মস্তিষ্ক উন্নয়নে এবং প্রতিভা বিকাশে কিছু &#24

Author Topic: মস্তিষ্ক উন্নয়নে এবং প্রতিভা বিকাশে কিছু   (Read 2860 times)

Offline sadique

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 304
  • hope to win.....struggle to win........
    • View Profile
১.খাবার:- খাবারের পরিমানের উপর মস্তিষ্কের চালনা নির্ভর করে। ভালভাবে মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে পেটে একটু ক্ষুধা রেখে খেতে হয়। রাসূল (স যে অল্প আহার করেছেন এবং আমাদের করতে বলেছেন তা আসলেই বিজ্ঞান ভিত্তিক, অতিভোজনের ফলে মাথা থেকে রক্ত পাকস্থলীতে হজম ক্রিয়ার জন্য নেমে আসে। যার ফলে মস্তিষ্কের ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তদ্রুপ অনাহারও মস্তিষ্ক ক্রিয়ায় সমস্যা হয়। ভি,এইচ,মার্টাম তার “হিউম্যান নিউট্রিশান” গ্রন্থে ছাত্রদের দিনে মোট পাচঁবার খেতে বলেছেন এবং পরিমাণে কম ।

২.কোষ্টশুদ্ধি:- নিয়মিত কোষ্টশুদ্ধি না হলে পেঠে খাদ্যের জমা অংশ পচে যে গ্যাস জন্মায় তা মস্তিষ্কে সরাসরি বিক্রিয়া করে। এজন্য যাদের বদ হজম আছে তারা মাথার কাজ বেশি করতে পারে না।

৩.চাই প্রচুর অক্সিজেন:- মস্তিষ্ক চালনাকালে কর্টেক্সের বিশেষ বিশেষ কেন্দ্রের নিউরন পুঞ্জের মধ্যে অত্যন্ত প্রবলবেগে বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায় এক প্রকার তীব্র প্রবাহ চলতে থাকে।
বৈজ্ঞানিকগন এই প্রবাহের হার মেপে দেখেছেন। নিউরনের সৃষ্ট তরঙ্গ প্রবাহের আঁকাবাঁকা রেখাগুলো সেকেন্ডে দশ থেকে পনেরবার পর্যন্ত স্পন্দিত হয়।এতে যে কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা সহজেই অনুমেয়। তাই যখনই মস্তিষ্কের বিশেষ কেন্দ্র সক্রিয় হয়ে উঠে তখনই রক্ত সেখানে এসে বিশেষ প্রকার শক্তি যুগিয়ে দেয়। রক্ত যে শক্তি দেয় তার প্রধার দুইটি অংশের একটি হচ্ছে শর্করা আরেকটি হচ্ছে অক্সিজেন, মস্তিষ্কের কঠোর স্নায়ুবিক কাজের জন্য যে পরিমান অতিরিক্ত অক্সিজেন দরকার হয় তার পরিমাণ স্বাভাবিক দেহ ধারণের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের দশ হতে বিশ গুন বেশি। সুতারাং এই অতিরিক্ত অক্সিজেন যাতে রক্ত সংগ্রহ করতে পারে তার জন্য প্রত্যেক মস্তিষ্কজীবিকে প্রত্যহ অন্তত ২ ঘন্টা মুক্ত বাতাসে কঠোর প্ররিশ্রম করতে হবে।আর আমরা দেখি রাসূল (স সহ বিজ্ঞ মণীষীগন যারা ধ্যান করেছেন তারা বেছে নিয়েছেন বিশুদ্ধ বায়ুময় নিরিবিল জায়গা। অর্থাৎ বিশুদ্ধ অক্সিজেন মগজের ক্ষমতাকে আরো শাণিত করে।

৪.ঘুম:- ঘুম মস্তিষ্কের জন্য এক অমুল্য সম্পদ। দুইটি কারণে ঘুম বেশি দরকার পড়ে সেটা হল প্রথমত: কর্টেক্সের নিউরন গুলির পরিপূর্ণ বিশ্রাম ঘটে দ্বিতীয়ত: নিদ্রাকালে রক্ত নিজেই বিশোধিত হয় এবং বাতাস থেকে প্রচুর পরিমাণ বাড়তি অক্সিজেন সংগ্রহ করে নেয়। আর তাই চার্চিল নব্বই বছর বয়সেও ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা মানসিক প্ররিশ্রম করতে পারতেন কারণ তিনি দিনে নয় ঘন্টা করে নিদ্রা যেতেন।

৫.পরিবেশ:- পরিবেশ মানুষের মস্তিষ্ক উন্নয়নে দারুনভাবে প্রভাবিত করে বিশেষ করে ঠান্ডাযুক্ত পরিবেশের মুক্তবাতাস মানুষের মস্তিষ্ক উন্নয়ে সহায়তা করে সুতরাং কোলাহলমুক্ত পরিবেশ আর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা আবহাওয়া মগজেক কাযর্করী করার জন্য বিশেষভাবে উপেযাগী আর আমরা সাধারণত জানি যে শীতপ্রধান দেশের মানুষ অপেক্ষাকৃত মেধাবী হয়। একজন কিশোরের নাম বলব, যে মাইলের পর মাইল হেটে গিয়ে বই ধার করে এনে পড়ত। তার পড়ার সময় ছিল দিনের কাজের শেষে যখন সবায় ঘুমিয়ে পড়েতা, কামরার মধ্যে চুল্লিতে একটা নতুন কাঠ জালিয়ে সে আলোতে সে পড়ত ঘুমে ঢুলে না পড়া পর্যন্ত। কালের প্ররিক্রমে সে হয়েছিল যুক্তরাস্ট্রের মহান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।
« Last Edit: June 08, 2012, 07:39:38 PM by sadique »
Md. Sadique Hasan Polash
Dept. of Journalism and Mass Communication
ID:111-24-227
E-mail:polash24-227@diu.edu.bd
Mobile:01723207250