Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - wahid

Pages: 1 [2] 3
16
চলতি বছরের ৯ জুলাই সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটতে পারে। অনুসন্ধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুগল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য এমন সতর্ক বার্তা জারি করেছে।
সতর্ক বার্তায় গুগল জানিয়েছে, জুলাইয়ের ৯ তারিখে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কম্পিউটারের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে গুগলের হোমপেজে বিশেষ বার্তা টানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে বিবিসি এক খবরে জানিয়েছিল, পিসি ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া `ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়ার' নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশে্লষকেরা জানিয়েছেন, `ডিএনএস চেঞ্জার' নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ইউআরএল বা ঠিকানা দিলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে তাদের ডিএনএস সার্ভার ঘুরে তবেই ওয়েবসাইটটি আসে। এতে হ্যাকাররা ইচ্ছামতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারবে।
ইন্টারনেট বিপর্যয়ের এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে কাজ করছে সার্চ সেবাদাতা গুগল।
এক খবরে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার পরিকল্পনা করেছে গুগল। ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটারগুলোর জন্য গুগলের সার্চ হোমপেজে একটি বড় আকারের বার্তা দেখাবে গুগল।
প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেক দিন আগেই ট্রোজান ভাইরাস নির্মাতাদের তাদের গ্রপ্তোর করেছিল। পাশাপাশি তাদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনও বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সচল রাখতে এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছিল। যদিও এই ৯ জুলাই এফবিআই এই সেবাটি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমে ডিএনএস রাউটিং(এক ধরনের ডোমেইন নেম সিস্টেম কাঠামো) এখনো পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই কার্যক্রমটি বন্ধ করতে চেয়েছিল এফবিআই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেকে সচেতন না থাকায় জুলাই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মাত্র চার মাসের জন্য এফবিআই ডিএনএস সার্ভারগুলো চালু করা হলেও আদালতের নির্দেশে সেগুলো এত দিন ধরেই সক্রিয় আছে। তবে এবার জুলাইয়ের ৯ তারিখেই এগুলো বন্ধের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা তঁাদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য http://www.dns-ok.us/ ঠিকানায় ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন। যদি সবুজ সংকেত দেখায় তবে ম্যালওয়ার মুক্ত আর লাল সংকেত দেখালে সেই কম্পিউটারে এই ভাইরাসটি বাসা বঁেধেছে।
এদিকে এফবিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৯ জুলাই যখন অস্থায়ী সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন তঁারা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।
যদি কোন কম্পিউটারে ট্রোজান খঁুজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা নির্মূল করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে- http://www.dcwg.org/fix/এই লিংকে
নিরাপত্তা বিশে্লষকেরা দ্রুত এ ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

17
Inspiration Stories / চমক দেখাল ইসমত !
« on: May 29, 2012, 07:35:35 PM »
প্রতিকূলতা যতই থাকুক, অদম্য ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে যে জয়ী হওয়া যায়, এর প্রমাণ রেখেছে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোহাম্মদ ইসমত। এবারের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের অধীনে (সিবিএসই) দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় মোহাম্মদ ইসমত পুরো ভারতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এনডিটিভির অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতের মণিপুর রাজ্যের ছোট একটি গ্রামে তাঁর বাড়ি। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুত্ থাকে মাত্র দুই থেকে চার ঘণ্টা। এর মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য কষ্টকর। তার ওপর যদি যোগ হয় অসুস্থতা, তাহলে তা আরেক দুর্ভোগ। এই অসুস্থতা ও দুর্ভোগ জয় করে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ইসমত।
পরীক্ষার আগে এমন একদিনও গেছে, যেদিন ভয়ানক পেটের ব্যথায় পড়াশোনা করেতে পারেননি মোহাম্মদ ইসমত। তবে স্বাভাবিকভাবে তিনি প্রতিদিন গড়ে আট ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছেন।
ইসমতের বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ইসমত মণিপুরের রাজধানী ইমফলে জেনিথ অ্যাকাডেমি সাংগাইপ্রোতে পড়াশোনা করেন। এই সাফল্য তাঁর জন্য নতুন নয়। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়ও তিনি অনেক ভালো ফল করেছিলেন।
ইসমতের এই সাফল্যের পেছনে তাঁর বাবা বশিরুর রহমান ও মা শাহিদান বিবির অবদানকে বেশি বলে মনে করে। ইসমত বলেন, তাঁর বাবা ধনী নন। কিন্তু আর্থিক দিকটি নিয়ে তিনি তাঁর বাবার ওপরই নির্ভর করেন।
ইসমত বলেন, ‘আমি জানতাম যে আমি এই ফল করতে পারব। এর জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’ ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস (আইএএস) পরীক্ষায়ও পুরো ভারতে প্রথম হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।
http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/05/29/2012-05-29-12-36-54-4fc4c2e65307e-manipuri_boy_tops_cbse_class_12_295x200.jpg

18
মাইক্রোসফট প্রফেশনাল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের ছাত্র শায়ান আনিক আখতার। এক হাজারের মধ্যে ৯৯৮ নম্বর পাওয়ায় তিনি এ রেকর্ড গড়েন। আর এ সাফল্যের কারণে জুলাই মাসে শায়ানের সঙ্গে দেখা করবেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

19
Inspiring Quotes / Motivational Quotes !
« on: May 29, 2012, 12:50:21 AM »
"A person who never made a mistake never tried anything new"
                                                                                                                         Albert Einstein
                                           
                                               

20
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন একটি ধাঁধা হাজির করেছিলেন বিশ্ববাসীর সামনে। তাঁর সেই ধাঁধার জট খুলতে ৩৫০ বছর ধরে গোলকধাঁধার মধ্যে ঘুরপাক খেতে হয়েছে বিশ্বের বাঘা বিজ্ঞানীদের। আর ১৬ বছরের এক কিশোর কিনা সহজেই গিট্টু খুলে দিল সেই ধাঁধার। এই কিশোরের নাম শৌর্য রায়। জন্ম ভারতের কলকাতায়। কিন্তু এখন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে জার্মানিতে।
বস্তুর গতিসংক্রান্ত নিউটনের ধাঁধাটি ছিল এমন—পৃথিবীর ওপর থেকে একটি ঢিল সামনের দিকে পৃথিবীর সামন্তরালে ছোড়া হলে অভিকর্ষের টানে ঢিলটি কিছুক্ষণ পরে মাটিতে এসে পড়ে। তবে ঢিলটির ওপর যে শক্তি (বল) প্রয়োগ করা হয় এবং এর ওপর অভিকর্ষের টান, এ দুটো মিলিয়ে একটি মিশ্র বল তৈরি হয়। ওই বলের প্রভাবে ঢিলটি কিছুটা বাঁকাপথে মাটিতে পড়ে। প্রথমবারের চেয়ে যদি আরও জোরে ছোড়া হয় ঢিলটি আরও দূরে গিয়ে মাটিতে পড়ে। কিন্তু ঠিক কতটা জোরে বা গতিতে ছোড়া হলে ঢিলটি পৃথিবীকে একপাক ঘুরে এসে ঠিক যেখান থেকে ছোড়া হয়েছিল সেখানে পড়বে? আর মাটিতে পড়ে ধাক্কা খেয়ে কোন দিকে লাফাবে?
নিউটনের এই ধাঁধার একটা উত্তর পাওয়া গেছে কয়েক বছর আগে উন্নত কম্পিউটারের সাহায্যে। যদিও সেই উত্তর ছিল বেশ জটিল ও গোলমেলে। তবে অঙ্ক কষে শৌর্য যে সমাধান বের করেছে, তা অনেক সহজ। তার পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজেই হিসাব করা যাবে বলটির গতিপথ।
শৌর্যের বাবা প্রকৌশলী। ছোটবেলা থেকেই বাবা তাকে অনেক জটিল জটিল পাটিগণিতের সমাধান করতে দিতেন। আর সেই কঠিন অঙ্কের সৌন্দর্য খুঁজে বের করাই ছিল তাঁর সবচেয়ে মজার কাজ। এ জন্য নতুন এই সাফল্যের পেছনে বাবার অবদানকেই বড় করে দেখাতে চায় শৌর্য।
শৌর্যরা বছর চারেক আগে কলকাতা থেকে জার্মানিতে গিয়ে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে। জার্মান ভাষা না জানার কারণে প্রথম দিকে তার খুব সমস্যা হতো। কিন্তু এখন সে অনর্গল কথা বলতে পারে জার্মান ভাষায়।
শৌর্য জানিয়েছে, তাঁর স্কুল থেকে একদিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে নিউটনের বিষয়ে বলতে গিয়ে এক অধ্যাপক দাবি করেন, ‘কোনো মানুষের পক্ষে নিউটনের ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।’ অধ্যাপকের দাবি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল শৌর্যের। তাঁর মনে হলো, সব কিছুরই উত্তর সম্ভব। নিউটনের ধাঁধার জট খুলে শৌর্য দেখিয়েছে, আসলেই সব সমস্যার একটা সমাধান আছে।
এই কৃতিত্বের জন্য শৌর্যকে তাঁর স্কুলে দুই ক্লাস ওপরে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর কাছে এটা এমন আনন্দের কিছু নয় এবং নিজেকে এতটা প্রতিভাবানও সে মনে করে না; বরং ভাবে, স্কুলে যদি আরও একটু ভালো করে ফুটবল খেলতে পারত, তাহলে সত্যি অনেক বেশি খুশি হতো সে।
http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/05/27/2012-05-27-18-42-24-4fc275908170f-untitled-15.jpg
[/size]

21
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন একটি ধাঁধা হাজির করেছিলেন বিশ্ববাসীর সামনে। তাঁর সেই ধাঁধার জট খুলতে ৩৫০ বছর ধরে গোলকধাঁধার মধ্যে ঘুরপাক খেতে হয়েছে বিশ্বের বাঘা বিজ্ঞানীদের। আর ১৬ বছরের এক কিশোর কিনা সহজেই গিট্টু খুলে দিল সেই ধাঁধার। এই কিশোরের নাম শৌর্য রায়। জন্ম ভারতের কলকাতায়। কিন্তু এখন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে জার্মানিতে।
বস্তুর গতিসংক্রান্ত নিউটনের ধাঁধাটি ছিল এমন—পৃথিবীর ওপর থেকে একটি ঢিল সামনের দিকে পৃথিবীর সামন্তরালে ছোড়া হলে অভিকর্ষের টানে ঢিলটি কিছুক্ষণ পরে মাটিতে এসে পড়ে। তবে ঢিলটির ওপর যে শক্তি (বল) প্রয়োগ করা হয় এবং এর ওপর অভিকর্ষের টান, এ দুটো মিলিয়ে একটি মিশ্র বল তৈরি হয়। ওই বলের প্রভাবে ঢিলটি কিছুটা বাঁকাপথে মাটিতে পড়ে। প্রথমবারের চেয়ে যদি আরও জোরে ছোড়া হয় ঢিলটি আরও দূরে গিয়ে মাটিতে পড়ে। কিন্তু ঠিক কতটা জোরে বা গতিতে ছোড়া হলে ঢিলটি পৃথিবীকে একপাক ঘুরে এসে ঠিক যেখান থেকে ছোড়া হয়েছিল সেখানে পড়বে? আর মাটিতে পড়ে ধাক্কা খেয়ে কোন দিকে লাফাবে?
নিউটনের এই ধাঁধার একটা উত্তর পাওয়া গেছে কয়েক বছর আগে উন্নত কম্পিউটারের সাহায্যে। যদিও সেই উত্তর ছিল বেশ জটিল ও গোলমেলে। তবে অঙ্ক কষে শৌর্য যে সমাধান বের করেছে, তা অনেক সহজ। তার পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজেই হিসাব করা যাবে বলটির গতিপথ।
শৌর্যের বাবা প্রকৌশলী। ছোটবেলা থেকেই বাবা তাকে অনেক জটিল জটিল পাটিগণিতের সমাধান করতে দিতেন। আর সেই কঠিন অঙ্কের সৌন্দর্য খুঁজে বের করাই ছিল তাঁর সবচেয়ে মজার কাজ। এ জন্য নতুন এই সাফল্যের পেছনে বাবার অবদানকেই বড় করে দেখাতে চায় শৌর্য।
শৌর্যরা বছর চারেক আগে কলকাতা থেকে জার্মানিতে গিয়ে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে। জার্মান ভাষা না জানার কারণে প্রথম দিকে তার খুব সমস্যা হতো। কিন্তু এখন সে অনর্গল কথা বলতে পারে জার্মান ভাষায়।
শৌর্য জানিয়েছে, তাঁর স্কুল থেকে একদিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে নিউটনের বিষয়ে বলতে গিয়ে এক অধ্যাপক দাবি করেন, ‘কোনো মানুষের পক্ষে নিউটনের ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।’ অধ্যাপকের দাবি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল শৌর্যের। তাঁর মনে হলো, সব কিছুরই উত্তর সম্ভব। নিউটনের ধাঁধার জট খুলে শৌর্য দেখিয়েছে, আসলেই সব সমস্যার একটা সমাধান আছে।
এই কৃতিত্বের জন্য শৌর্যকে তাঁর স্কুলে দুই ক্লাস ওপরে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর কাছে এটা এমন আনন্দের কিছু নয় এবং নিজেকে এতটা প্রতিভাবানও সে মনে করে না; বরং ভাবে, স্কুলে যদি আরও একটু ভালো করে ফুটবল খেলতে পারত, তাহলে সত্যি অনেক বেশি খুশি হতো সে।
http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/05/27/2012-05-27-18-42-24-4fc275908170f-untitled-15.jpg
[/size]

22
মদিনা নগরী আল মদিনা-আল মুনাওয়ারা নামে পরিচিত, যার বাংলা অর্থ আলোকিত নগরী। এই শহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শহর নামে পরিচিত। এর আরো নাম আছে যেমন- তাইবাহ, ইয়াসরিব, নবীর শহর, দার আল হিজরা (হিজরতকারীদের বাসস্থান)। ঐতিহাসিকদের মতে, এই নগরীর প্রাচীন নাম ছিল ইয়াসরিব। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর, যেখানে মুসলমানদের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা মোবারক।
ভৌগোলিক অবস্থান : মদিনা নগরী সৌদি আরবের হিজাজ অঞ্চলের পূর্বে অবস্থিত। সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমে ও লোহিত সাগরের আগে এই নগরীর অবস্থান। মদিনা অনেক পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত। পশ্চিমে আল হুজাজ পর্বত, উত্তর-পশ্চিমে সালা, দক্ষিণে আলইর ও উত্তরে ওহুদ পর্বত অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরের উচ্চতা ২০৩৪ ফিট।
আবহাওয়া : সাধারণত মদিনার আবহাওয়া মহাদেশীয়; গ্রীষ্মে গরম ও শুকনা আর শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে মৃদু তাপমাত্রা বিরাজমান। গরমে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। অন্যদিকে শীতের সময় হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায়। আর্দ্রতা সারা বছর তুলনামূলক ৩৫ শতাংশ। বৃষ্টি অপ্রতুল, যা সাধারণত নভেম্বর ও মে মাসে হয়।
মদিনায় মহানবী (সা.)-এর হিজরত : ইসলামী পরিভাষায় হিজরত বলতে বোঝায় দ্বীন ইসলামের খাতিরে নিজের দেশ ছেড়ে এমন স্থানে গমন করা, যেখানে সব প্রয়োজন পূর্ণ হতে পারে। রাসুল (সা.) আগমনের আগে এক সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করেছিল আরবসহ সারাবিশ্ব। ইতিহাসে ওই সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ বলা হয়। এ সময় সর্বত্র বিরাজ করছিল অশান্তির দাবানল। এই ক্রান্তিকালে কাণ্ডারি হয়ে এসেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। প্রথমদিকে দ্বিধাবিভক্ত ও কলহপ্রিয় জাতিকে একটি আদর্শের ছায়াতলে নিয়ে আসতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। মক্কাবাসী তাঁকে সাদরে গ্রহণ না করায় তিনি আল্লাহর নির্দেশে মদিনায় হিজরত করেন।
মসজিদে নববীর নির্মাণ : মদিনায় হিজরত করার পর সবচেয়ে প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল একটি মসজিদ নির্মাণ করা। হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেখানে অবস্থান করছিলেন, তার কাছেই দুই এতিমের কিছু অনাবাদি জমি ছিল। নগদ মূল্যে তাদের কাছ থেকে ওই জমিটি খরিদ করে তার ওপর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হলো। হজরত (সা.) সাধারণ মজুরের ন্যায় সবার সঙ্গে মিলে কাজ করলেন। নিজ হস্তে তিনি ইট-পাথর বয়ে আনলেন। কাঁচা ইটের দেয়াল, খেজুরগাছের খুঁটি ও খেজুর পাতার ছাদ- এই ছিল এর উপকরণ। মসজিদের কিবলা হলো বায়তুল মুকাদ্দিসের দিকে। কেননা সে সময় মুসলমানদের কিবলা ছিল ওই দিকে। অতঃপর কিবলা কাবামুখী হওয়ায় তদনুযায়ী মসজিদের সংস্কার করা হলো। মসজিদের একপাশে একটি উঁচু চত্বর নির্মিত হলো। এর নাম রাখা হলো 'সুফফা'। যেসব নওমুসলিমের কোনো বাড়িঘর ছিল না। এটি ছিল তাদের থাকার জায়গা। মসজিদের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে তার কাছেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর স্ত্রীদের জন্য কয়েকটি কক্ষ তৈরি করে নিলেন।
মসজিদে নববীর সংস্কার ও সম্প্রসারণ : মদিনা মসজিদ বা মসজিদে নববী মুসলমান শাসকদের দ্বারা অনেকবার সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সা.) ওফাতের পর হজরত ওমর (রা.) ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ করেন। তিনি মসজিদটি উত্তর দিকে ৩০ হাত, দক্ষিণে ১০ হাত, পশ্চিমে ২০ হাত সম্প্রসারণ করেন। হজরত ওমর (রা.)-এর সময় মসজিদের পরিমাপ দাঁড়ায় উত্তর-দক্ষিণে ১৪০ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১২০ হাত। হজরত ওসমান (রা.)-এর সময় ৬৪৬-৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে খেজুরপাতার পরিবর্তে ছাদে সেগুনকাঠ ব্যবহার করা হয়। ছাদের আকার দাঁড়ায় ১৬০ূ১৩০ হাত। এ সময় সম্প্রসারিত হয়ে মসজিদের আকার উত্তর-দক্ষিণে ১৬০ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১৫০ হাত। খলিফা আল ওয়ালিদের সময় মদিনা মসজিদটি আধুনিক ইমারতে পরিণত হয়। ওয়ালিদ ৭০৭ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে মসজিদে নববীকে সাজিয়ে তোলেন। তাঁর সময় মসজিদে নববীর পরিমাপ দাঁড়ায় ২০০ূ২০০ হাত। ৭০৭ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম মদিনা মসজিদের চারকোণে চারটি মিনার নির্মাণ করেন আল ওয়ালিদ। তখন প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ছিল ৫০ হাত ও প্রস্থ ছিল আট হাত। খলিফা মাহদী ৭৭৫-৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি সম্প্রসারণ করেন ৩০০ূ৩০০ হাত। আর মামলুক সুলতান কয়েতবে মসজিদে ১৪৮১ খ্রিস্টাব্দে গম্বুজ প্রতিষ্ঠিত করেন। উক্ত গম্বুজে সবুজ রঙের আস্তরণ দিয়েছিলেন ওসমানী সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমান আধুনিকায়নে মসজিদে নববীর রূপদান করেন সৌদি বাদশাহ আবদুুল আজিজ ইবনে সউদ। এর পরিকল্পনা করা হয় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৫৩-১৯৫৫ সালে মসজিদটি আধুনিকায়ন করে। বিশালকার মসজিদে নববীর সব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সৌদি রাজপরিবারের।
জিয়ারত : ইসলামের বিধান অনুযায়ী লাখ লাখ মুসলমান জিয়ারত করতে যান মদিনা মসজিদের অভ্যন্তরে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ। মহানবীর রওজার দুপাশে রয়েছে হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত ওসমান গনী (রা.)-এর রওজা শরিফ। বিশেষ করে হজ পালনের আগে বা পরে হাজিরা মসজিদে নববীতে একনাগাড়ে কমপক্ষে আট দিন অবস্থান করে ৪০ রাকাত নামাজ আদায় করেন।
কিবলা পরিবর্তন : আমরা জানি যে নবী (সা.) মক্কায় বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। অনুরূপ মদিনায়ও হিজরতের পরে ১৬ মাস ওই দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করেছিলেন।
মুসলমানদের শত্রু ইহুদিরা এ বিষয়কে একটি বাহানা হিসেবে ধরে ইসলামকে পরাস্ত করতে চাইল এবং বলল, 'মুহাম্মদ (সা.) দাবি করছে যে সে আলাদা একটি শরিয়ত ও নিয়মকানুন এনেছে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কিবলা সেই ইহুদিদের কিবলাই রয়েছে।' এ ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তায় নবী (সা.)-এর অন্তরে ব্যথার উদ্রেক হলো। তিনি রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেন এবং ওহির অপেক্ষায় আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। এমতাবস্থায় সুরা বাক্বারার ১৪৪ নম্বর আয়াত নাজিল হলো এবং তাতে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কিবলা পরিবর্তন করে কাবাকে কিবলা হিসেবে নির্দিষ্ট করার নির্দেশ এলো।
মসজিদে বনি সালামা : রজব মাসের মধ্যবর্তী সময়ের দিকে হিজরতের পর ১৬ মাস পূর্ণ হয়েছিল, নবী (সা.) 'বনি সালামাহ্' নামক মসজিদে জামাতে জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন। এমন সময় দুই রাকাত নামাজ আদায় শেষে জিবরাইল (আ.) সুরা বাক্বারার ১৪৪ নম্বর আয়াতটি নিয়ে নাজিল হলেন। নবী (সা.) ওই অবস্থায়ই কাবার দিকে ঘুরে যান। যারা তাঁর পেছনে নামাজ পড়ছিল তারাও ঘুরে গেল। আর এভাবেই জোহরের নামাজের পরবর্তী দুই রাকাত নামাজ কাবার দিকে ফিরে আদায় করে শেষ করলেন। সে জন্যই এই মসজিদ পরে 'মসজিদে জু-কিবলাতাইন' অর্থাৎ দুই কিবলাবিশিষ্ট মসজিদ নামে বিশেষ পরিচিত পায়। এ মসজিদটি মদিনায় অবস্থিত।
মসজিদে কোবা : হিজরতের পর মদিনার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর আগে হজরত নবী করিম (সা.) প্রথম কোবা নামক পল্লীতে বনি আমর ইবনে আওফের মেহমান হন এবং ১৪ দিন অবস্থান করেন। এখানেই তিনি সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কোবা পল্লীর এ মসজিদটিই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ। আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমেই প্রিয় নবী (সা.) হিজরত-পরবর্তী সোনালি যুগের সুচনা করেন।
হজরত কুলসুম ইবনে হাদাম (রা.) নামক প্রবীণ সাহাবির এক খণ্ড ভূমির ওপর এ মসজিদটি নির্মিত হয়। নির্মাণের প্রতিটি কাজে প্রিয় নবী (সা.) স্বয়ং অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ মসজিদের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা নির্দেশ করেই সুরা তওবার ১৩ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। যাতে বলা হয়েছে, সেই মহিমাময় মসজিদ, যার ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার ওপর প্রথম অবস্থা থেকেই। নামাজের উদ্দেশে এখানে দাঁড়ানোই সর্বাপেক্ষা সমীচীন। এর মধ্যে এমন লোক আছেন, যাঁরা অত্যধিক পবিত্রতার প্রতি বিশেষ যত্নবান। আর আল্লাহ তায়ালা পবিত্র লোকদেরই পছন্দ করেন।
এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর নবী করিম (সা.) কোবাবাসীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে তোমরা এমন কি পন্থা অবলম্বন করে থাক, যার প্রশংসা স্বয়ং আল্লাহপাক করেছেন? তাঁরা জবাব দিয়েছিলেন, মলমূত্র ত্যাগ করার পর প্রথমেই মাটি দ্বারা আমরা অপবিত্রতা দূর করি, তারপর পানি ব্যবহার করে পরিচ্ছন্ন হই। নবী করিম (সা.) তাঁদের এই পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতিটির প্রশংসা করেন (তিরমিজি শরিফ দ্বিতীয় খণ্ড, রুহুল মাআনি, ইবনে কাছির)।

23
হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর মহান উত্তরাধিকারী হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রধান কর্তব্য ছিল খাঁটি তাওহিদকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং কাবা ঘরকে অপবিত্রতা থেকে মুক্ত করা।
অষ্টম হিজরীর ১০ রমজান নবীকুল শিরোমণি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ১০ হাজার সৈন্যসহ মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে আরব গোত্রগুলো এসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সেনাদলে মিলিত হতে লাগল। মাররুয্ যাহ্রান নামক স্থানে শিবির স্থাপন করা হলো। সৈন্যরা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল। এ স্থানটি ছিল মক্কা মুকার্রমা থেকে এক মঞ্জিল অথবা তার চেয়েও কম দূরত্বে অবস্থিত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশে সৈন্যরা আলাদা আলাদাভাবে আগুন জ্বালালেন। তাতে পুরো মরুভূমি আলোয় ঝলমল করে উঠল। সৈন্য আগমনের মৃদু আওয়াজ কোরাইশদের কানে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছিল। সঠিক খবর অনুসন্ধানের জন্য তারা হজরত খাদিজা (রা.)-এর ভ্রাতুষ্পুুত্র হাকিম ইবনে হিযাম, আবু সুফিয়ান এবং বুদাইল ইবনে ওয়ারাকাকে পাঠাল।
আবু সুফিয়ানের ইতিপূর্বেকার সব কৃতকর্ম সবার সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তাঁর অতীতের প্রতিটি কর্মই তার হত্যার দাবীদার। ইসলামের সঙ্গে শত্রুতা, মদীনা আক্রমণ, আরব গোত্রগুলোকে উস্কানি দেওয়া, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে গোপনে হত্যার চক্রান্ত ইত্যাদি যেকোনো কারণে নবীজি (সা.) তাকে হত্যার আদেশ দিতে পারতেন। কিন্তু এসবের ঊর্ধে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দয়ার্দ্র হৃদয় ও ক্ষমাশীল মন। তিনি আবু সুফিয়ানের কানের কাছে মুখ নিয়ে অনুচ্চস্বরে বললেন, 'এটা ভয়ের স্থান নয়।'
নবী করীম (সা.) ক্ষমা, শান্তি ও নিরাপত্তার বৃত্ত এই দিন প্রসারিত করে দেন। ফলে মক্কার লোকদের মধ্যে কেবল সেই সব লোকই ধ্বংস হতে পারত, যারা নিজেরাই শান্তি ও নিরাপত্তা পেতে ইচ্ছুক কিংবা আগ্রহী নয় এবং নিজের জীবনের প্রতি যারা হতাশ কিংবা বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে। তিনি ঘোষণা দেন- "যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ, যে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করবে সেও নিরাপদ, আর মাসজিদুল হারামে যে প্রবেশ করবে সেও নিরাপত্তা লাভ করবে।" রাসুলুল্লাহ্ (সা.) সেনাবাহিনীকে হেদায়েত দিয়ে বলেছিলেন, "মক্কায় প্রবেশেরকালে কেবল তাদের ওপর হাত
তোলা জায়েজ, যারা তাদের পথে বাধা সৃষ্টি করবে কিংবা তাদের মোকাবিলায় দাঁড়াবে। তিনি এও নির্দেশ দিয়েছিলেন, মক্কার লোকদের সহায়-সম্পদের ব্যাপারে সংযম প্রদর্শন করতে হবে, এ বিষয়ে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করা যাবে না।"
নবী করীম (সা.) এমন বেশে মক্কায় প্রবেশ করেন যখন তাঁর মস্তক মোবারক আল্লাহর প্রতি দাসত্বসুলভ ভয় ও বিনয়ের আধিক্যে একেবারে ঝুঁকে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল, নবী করীম (সা.)-এর থুতনি উটনীর পিঠের কুঁজ স্পর্শ করবে। এ সময় তিনি কোরআন শরীফের সুরা ফাতাহ্ তেলাওয়াত করছিলেন।
বিজয়ের এই দিনে এক ব্যক্তি নবী করীম (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তিনি তার এই অবস্থা অনুভব করে তাকে অভয় প্রদান করেন এবং বলেন, "ভয় পেয়ো না, শান্ত হও। আমি কোনো বাদশাহ নই। আমি এমন এক কোরায়েশ মহিলার সন্তান, যিনি শুকনো গোশত ভক্ষণ করতেন।"
এ দিন আনসারদের পতাকা ছিল তাঁদের অধিনায়ক হজরত সা'দ ইবনে উবাদার (রা.) হাতে। অপরদিকে তিনি ছিলেন খাযরাজ গোত্রের সর্দার। তিনি সে সময় আবু সুফিয়ানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আবু সুফিয়ানের দিকে নজর পড়তেই বলে ওঠেন, 'আজ ঘোরতর যুদ্ধের দিন, প্রবল শোণিত পাতের দিন। আজ কাবা শরীফ অঙ্গনে সব কিছুই অনুমোদিত ও বৈধ বিবেচিত হবে। আল্লাহ তায়ালা আজ কোরায়েশদের অবনমিত করেছেন।' অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বাহিনীর মধ্যে আবু সুফিয়ানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে হজরত সা'দ ইবনে উবাদার (রা.) বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করলেন এই বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই মাত্র সা'দ কী বলল, তা কি আপনি শুনেছেন? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, কী বলল সা'দ? এ কথা শুনতেই তিনি সা'দের (রা.) কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। নবী করীম (সা.) সা'দের কথা খুবই অপছন্দ করলেন এবং বললেন- 'না, আজ ক্ষমা ও করুণা প্রদর্শনের দিন। আল্লাহ্ তায়ালা আজ কোরায়েশদের সম্মানিত করবেন এবং কাবার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।'
রাসুলুল্লাহ্ (সা.) যখন মক্কায় আপন জায়গায় পৌঁছে গেলেন এবং লোকেরাও নিশ্চিন্ত হয়ে গেল তখন তিনি বাইরে তাশরীফ নিলেন এবং বায়তুল্লাহ্র দিকে রওয়ানা হলেন। সেখানে গিয়ে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করলেন। এ সময় তাঁর পবিত্র হাতে একটি ধনুক ছিল। কাবার ভেতর সে সময় ৩৬০টি মূর্তি ছিল। তিনি ধনুকের সাহায্যে মূর্তিগুলোকে খোঁচা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন 'সত্য সমাগত আর মিথ্যা দূরীভূত; মিথ্যা তো দূরীভূত হওয়ার জন্যই'।

24
মানুষ পৃথিবীতে আসে আবার পৃথিবী থেকে চলে যায়। ইচ্ছা করলেও অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারে না সে। আল্লাহর নির্ধারিত সময়ে তাকে সাড়া দিতেই হয়। জীবন ও মৃত্যু উভয়ই আল্লাহর সৃষ্ট। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই বয়ঃবৃদ্ধির নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জন্য মৃত্যুর একটি সময় নির্ধারণ করে রেখেছেন। ওই সময়কে অতিক্রম করার ক্ষমতা কোনো মানুষেরই নেই। তবে কথা হচ্ছে, ওই নির্ধারিত সময়ের আগেও মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে মরণের আগেও মানুষ মরে যেতে পারে। বয়ঃবৃদ্ধির নিয়ম অনুসারে সুনির্দিষ্ট সময়ের তথা মৃত্যুর শেষ সীমানা পর্যন্ত সাধারণত মানুষ যেতে পারে না। বিভিন্ন কারণের ওপর ভিত্তি করে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পেতে পারে বা কমে যেতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে দেখা যায়, অনেক সময় মানুষ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসে। বেঁচে থাকে অনেক দিন। আর যদি যথোপযুক্ত চিকিৎসা না পায় তাহলে তো সে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হয়। দুর্ঘটনাকবলিত রোগীর যখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, তখন সময়মতো যদি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ত দেওয়া যায় তাহলে সে রোগী অনেক সময় বেঁচে ওঠে। আবার কেউ যদি জেনেশুনে বিষ পান করে আর সময়মতো যদি তার সঠিক চিকিৎসা করানো না যায়, তাহলে আল্লাহর তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী বিষক্রিয়ায় সে মৃত্যুর শীতল পরশকে আলিঙ্গন করবে- এটাই তো স্বাভাবিক। জাতসাপে দংশন করলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে, আবার সঠিক চিকিৎসায় অনেক সময় রোগী বেঁচেও যায়। পবিত্র কোরআন শরিফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, 'নারীদের মধ্য থেকে কেউ গর্ভবতী হয় না এবং সন্তান প্রসব করে না, তাঁর জানা ব্যতীত। আয়ুঃপ্রাপ্তদের কেউ আয়ু পায় না এবং কারো হতে কমে না, কিতাবের লেখা ব্যতীত। নিশ্চয়ই এটি আল্লাহর জন্য সহজ' (সুরা ফাতির : ১১)।
সব মানুষের আয়ুর একটি শেষ সীমা আছে। ওই সীমা থেকে তার আয়ু কমেও যেতে পারে। অর্থাৎ মরণের আগেও সে মরে যেতে পারে। মরণের শেষ সীমা পর্যন্ত সে পেঁৗছতে নাও পারে। আল্লাহর তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী দুরারোগ্য ব্যাধি, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে তার হতে পারে মৃত্যু।
মানুষের মধ্যে আবার কেউ কেউ তার আয়ুর শেষ সীমার দিকে ধাবিত হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দিই, তাকে তো আকৃতি-প্রকৃতিতে উল্টে দিই। তবু কি তারা বোঝে না' (সুরা ইয়াসিন : ৬৮)। অন্যত্র বলেছেন, 'আর তোমাদের মধ্যে কাউকে পূর্বাহ্নেই ডেকে পাঠানো হয়। আবার কাউকে এমন খারাপ বয়স পর্যন্ত পেঁৗছানো হয় যে সে জানার পরও সব ভুলে যায়' (সুরা হজ : ৫)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো ইরশাদ করেছেন, 'তোমাদের মধ্যে কারো কারো পূর্বেও মৃত্যু ঘটে, আর এ জন্য যে তোমরা যাতে নির্ধারিত কালপ্রাপ্ত হও এবং অনুধাবন করতে পারো, তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান' (সুরা মুমিন : ৬৭-৬৮)।
জীবনে চলার পথে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি, দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ রকম পরিস্থতিতে হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে বেঁচে থাকার জন্য, নির্ধারিত কালপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হবে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, 'আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার ওষুধ সৃষ্টি করেননি।' তিনি আরো বলেছেন, 'সব রোগের জন্য চিকিৎসা (ওষুধ) আছে। যখন সঠিক ওষুধ রোগের জন্য প্রয়োগ করা হয়, তখন রোগী আল্লাহর ইচ্ছায় সেরে ওঠে।' শুধু একটি রোগের চিকিৎসা নেই, তা হচ্ছে বার্ধক্য। কাজেই রোগব্যাধিতে বিচলিত না হয়ে এক আল্লাহর ওপর নির্ভর করে ওষুধ সেবনই সঠিক ও শ্রেয় পন্থা। আল্লাহ্র প্রাকৃতিক আইনে যে প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে, তার সঠিক ও সময়োচিত বাস্তবায়নে জীবন ফিরে আসতে পারে। কোরআন শরিফে মানুষের জীবন-মৃত্যুর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতির উত্থান-পতনের কথাও বলা হয়েছে। জ্ঞানী-বোধসম্পন্ন মানুষকে সেদিকে তাকানোর জন্য বলা হয়েছে বারবার। মানুষের যেমন আয়ুর শেষ সীমা আছে, তেমনি জাতিরও রয়েছে সুনির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল। কোরআনে বিধৃত আছে, 'প্রতিটি জাতির জন্য এক নির্দিষ্ট কাল আছে। যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা মুহূর্তকালও দেরি বা তাড়াতাড়ি করতে পারবে না' (সুরা ইউনুস : ৪৯)। কোরআনে আরো বর্ণিত হয়েছে, 'কোনো জাতিই তার নির্ধারিত কালকে তাড়াতাড়ি এগিয়ে আনতে পারে না, দেরিও করতে পারে না' (সুরা হিজর : ৫, সুরা মুমিনুন : ৪৩)। সে জন্য দুনিয়াতে প্রাচুর্যের মোহে অন্ধ না হয়ে ওপারের কড়ি সংগ্রহে যত্নবান হতে হবে। 'সময় থাকতে মনা হুঁশিয়ার'। সব কিছুরই সীমানা বেঁধে দেওয়া আছে। সে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই। জাতিরও নেই, মানুষেরও নেই। তাঁর দিকে মুখ করে দাঁড়াতেই হয়। আর মানুষের আয়ু তো পদ্মপাতায় শিশিরবিন্দুর মতো। এই ক্ষুদ্র জীবনে তাই প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। জীবন ক্ষুদ্র হলেও, পার্থিব জীবন তুচ্ছ হলেও এখানে থেকেই সংগ্রহ করতে হবে ফিরদাউসের অমিয় ধারা। রোগ-শোক, জরা-ব্যাধি, দুর্ঘটনায় বিচলিত না হয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভর করে শরণাপন্ন হতে হবে চিকিৎসকের। নির্ধারিত সময়ের আগেই যেন আমাদের চলে যেতে না হয়। আমরা যেন পূর্ণ আয়ুঃপ্রাপ্ত হয়ে বেশি পুণ্য অর্জন করে বেহেশতের সওদা লয়ে পরকালে পাড়ি জমাতে পারি। দিদার যেন পেতে পারি পরম প্রভু মহান আল্লাহর। আমরা যেন কোনোভাবেই ভুলে না যাই কোরআনের এই মহান বাণী- 'প্রত্যেক প্রাণকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে। তারপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে' (সুরা আনকাবুত : ৫৭)।

25
Anti Virus / ভাইরাস থেকে বাঁচতে
« on: May 25, 2012, 10:54:08 AM »
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্যআতঙ্কের নাম ভাইরাস এবং ওয়ার্ম। নানা উৎস থেকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে পেনড্রাইভ, ডিস্ক, মেমোরি কার্ডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মাধ্যমে। আর ইন্টারনেট থেকেও কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস।
ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, মানসম্মত হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা। অ্যান্টিভাইরাস থাকার পরও কিছু বিষয়ে সতর্কথাকা জরুরি।এর একটা হচ্ছে অটোরান সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া। সাধারণত বাইরের যন্ত্রাংশ (এক্সটারনাল ডিভাইস) থেকে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢোকার হার বেশি। এসব যন্ত্রাংশেভাইরাস বা ওয়ার্মথাকলে যন্ত্রাংশটি কম্পিউটার চলা শুরু হলেই ভাইরাস কার্যকর হয়ে ওঠে। এসব যন্ত্র সরাসরি না চালানো ভালো।তাই অটোরান বন্ধ রাখতে হবে।
অটোরান বন্ধ করতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে Start\Run-এ গিয়ে gpedit.msc লিখে OK করুন। এবার নতুন উইন্ডো আসবে। এখান থেকে computer configuration নির্বাচন করুন। এরপর Administrative Templates\System-এ যান। এবার Turn off Autoplay-এ দুই ক্লিক করুন। এরপর ‘Turn off Autoplay’ সক্রিয় করতে হবে এবং ‘Turn off autoplay on’ বক্স থেকে ‘All drives’ নির্বাচন করতে হবে। এবার OK করলেই কম্পিউটারের সব ধরনের যন্ত্রের অটোরান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কোনো পেনড্রাইভ বা অন্য যন্ত্র কম্পিউটারে লাগালেই সেটির ফাইলগুলো খুলবে না এবং ভাইরাসগুলো আক্রমণ করতে পারবে না।
অনেক সময় এক্সটারনাল ড্রাইভগুলো থেকে কম্পিউটারে তথ্য স্থানান্তরের সময়েও ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে। তাই ড্রাইভগুলো না খুলেই তথ্য আদান-প্রদান করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এর জন্য রয়েছে কিছু সফটওয়্যার। ভাইরাস ছড়ায় এমন ফাইলের বড় একটি অংশে .exe এক্সটেনশন থাকে।তাই পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য উৎস না হলে .exe এক্সটেনশনের ফাইল কম্পিউটারে না নেওয়াই
ভালো।

26
পৃথিবীতে মাটির ওপরে সর্বপ্রথম যে প্রাণীগুলোর পা পড়েছিল, সেগুলোর মধ্যে সম্ভবত চারপেয়ে উভচর প্রাণীদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের গবেষকেরা কম্পিউটারের থ্রিডি মডেল ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ৩৬ কোটি বছর আগের যে চারপেয়ে প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা হয়, তা সম্ভবত ঠিক নয়।
পাঠ্যপুস্তকে লেখা চারপেয়ে স্যালামান্ডারদের কোনো অস্তিত্ব তখন ছিল না, বরং সে সময় পানি থেকে সামনের দুই পা ব্যবহার করে হামাগুড়ি দিয়ে চলত এরা। বিবর্তনের ক্ষেত্রে উভচর জীবনযাপনে অভ্যস্ত প্রাণীগুলোর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ সাময়িকীতে।
‘ফিডপড’ নামের মাছ ও উভচর প্রাণীর বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণীর ফসিল বা জীবাশ্ম পরীক্ষা করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। এই ধরনের জীবাশ্মকে বলে ‘ইস্থাস্টোজিয়া’। এ ধরনের প্রাণী ৩৬ কোটি বছর আগে বাস করত বলে গবেষকেরা ধারণা করেন।
গবেষকেরা কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে দেখেছেন, ট্রেটরাপড গণের এই প্রাণীগুলো বেশির ভাগ সময় পানির নিচেই কাটাত। এরপর একসময় সেগুলো সামনের দুটি পা ও পেছনের পাখনা ব্যবহার করে হামাগুড়ি দিয়ে মাটির ওপরে চলে আসে এবং সেখানে সময় কাটাতে শুরু করে। কিন্তু এর আগে গবেষকেরা ধারণা করতেন যে এ সময়কার প্রাণীগুলো চারপেয়ে উভচর ছিল এবং সে অনুসারেই বিভিন্ন জাদুঘরে সে সময়কার জীবাশ্মগুলো এভাবে সাজানো হয়েছে।
নতুন এই গবেষণার ফল আবারও গবেষকদের আদিম উভচর প্রাণীর জীবাশ্ম নিয়ে কাজ করতে উত্সাহ দেবে।

                                                                   

27
বিনা মূল্যের অনলাইন তথ্যকোষ উইকিপিডিয়া ব্রাউজিংয়ের সময় যদি কোনো বিজ্ঞাপন দেখায়, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি উইকিপিডিয়ার কমিউনিটি অ্যাডভোকেসির পরিচালক ফিলিপ বিউডেটি উইকিপিডিয়া ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, উইকিপিডিয়ায় কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না। উইকিপিডিয়া একটি বিনা মূল্যের ওয়েবসাইট। এটি লাখ লাখ দাতার অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
ফিলিপ বলেন, যদি উইকিপিডিয়ার নাম ভাঙিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ চাওয়া হয়, তবে তা প্রতারণা। কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার আক্রমণের কারণেও এটি হতে পারে।
এদিকে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, উইকিপিডিয়ায় দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হলে সেই ম্যালওয়্যার ব্রাউজারকে আক্রান্ত করে ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করে। ব্রাউজারের এক্সটেনশন বন্ধ করে দিয়ে বা ম্যালওয়্যার নির্মূল ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

28
স্পেকট্রাল ইনস্ট্রুমেন্টস নামের একটি ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ১১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এক খবরে ইয়াহু অনলাইন জানিয়েছে, ক্যামেরাটি আলোকচিত্রীদের ব্যবহারের জন্যই বিশেষভাবে নকশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্পেকট্রাল ইনস্ট্রুমেন্টস নামের প্রতিষ্ঠানটি ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ক্যামেরা মহাকাশ ও ওষুধ গবেষণা কাজে ব্যবহূত হয়। স্পেকট্রালের তৈরি ১১১০ সিরিজের ক্যামেরার সাহায্যে দিনের বেলায় তারার ছবি তোলাও সম্ভব হয়েছে। ১১১০ সিরিজের এই ক্যামেরাকে আলোকচিত্রীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে জানা গেছে, ১১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় থাকছে আলট্রা লাইট-সেনসিটিভ সেন্সর, যা সাদা-কালো ছবি তোলার ক্ষেত্রে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেবে। এই ক্যামেরা তৈরিতে কাজ শুরু আগে ইন্টারনেটে এর জনপ্রিয়তা বা মানুষের আগ্রহ পরীক্ষা করে দেখছে ক্যামেরাটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাল ইনস্ট্রুমেন্টস।

29
কারও কাছ থেকে কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে তাকে মোবাইলের মেসেজ পাঠান। কারণ, সম্প্রতি গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোবাইলে পাঠানো মেসেজ বা খুদে বার্তাতেই মানুষ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উত্তর ও সঠিক তথ্য প্রকাশ করে। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ৬০০ আইফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মুখে বলার চেয়ে মানুষ যখন মোবাইলে মেসেজ টাইপ করে, তখন সে সত্য কথাই বেশি লেখে। মেসেজে সংক্ষিপ্ত আকারে গুছিয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় মানুষের মধ্যে।
এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হবে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চের সভায়।


30
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে নতুন মোবাইল ফোনসেট বাজারে ছাড়ছে মাইক্রোম্যাক্স ইনফরমেটিক্স লিমিটেড। এই সেটগুলো হলো এক্স ২১০+, এক্স ২৫৭, এক্স ২৮৩ ও এক্স ৬৫০। এসব ফোনে বাংলা ভাষায় অ্যাপ্লিকেশন ও খুদেবার্তা পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। সবগুলোতেই দুটি করে সিমকার্ড ব্যবহার করা যাবে।
এক্স ২১০+ সেটে রয়েছে ১.৭৭ ইঞ্চি স্ক্রিন, মিডিয়া প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, ফ্লাশসহ ভিজেএ ক্যামেরা। এক্স ২৮৩ সেটে রয়েছে ২.৪ ইঞ্চি স্ক্রিন, মিডিয়া প্লেয়ার, টর্চ, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, ফ্লাশসহ ভিজেএ ক্যামেরা। এক্স ২৫৭ সেটের পর্দা ২.৬ ইঞ্চি। এমপিথ্রি ও এমপিফোর মিডিয়া প্লেয়ার, টর্চ, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, ফ্লাশসহ ভিজেএ ক্যামেরা। এক্স ৬৫০ সেটে রয়েছে ৩.২ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন পর্দা, ফ্ল্যাশসহ ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইত্যাদি। মাইক্রোম্যাক্সের পরিচালক (ব্যবসা) বিকাশ জৈন বলেন, ‘গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা ভেবেই আমরা এসব ফোন নিয়ে এসেছি।’

Pages: 1 [2] 3