Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - 750000045

Pages: [1] 2 3
1
আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা কী? কেন এত এত শিক্ষিত লোকজন থাকতেও সকাল-বিকেল বিদেশ থেকে মানুষ আমদানি করতে হয়? কেন আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশে অথবা বিদেশে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কাজকর্ম পায় না?

এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে নানা রকম: ‘আমাদের পড়াশোনার মান খারাপ’, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজে সিরিয়াস না’ অথবা ‘অদক্ষ’ ইত্যাদি ইত্যাদি! কিন্তু আজ যদি আমরা এগুলোকে বাদ দিয়ে এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করি ‘ভাষা’ এবং ভাষাকেই, দেখি না কেমন হয় আলোচনাটা!

হয়তো ভাবছেন প্রথমেই আসবে ‘ইংরেজি’। ইংরেজির যে অবস্থা, তাতে উচ্চতর জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করার দরজা একেবারেই সংকীর্ণ! ধরে নিচ্ছি, ইংরেজি জানা বা না জানা বিষয়টিও এ ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল? উচ্চশিক্ষার ভাষার খোঁজে আমরা কোথায় যাব?

একটু দায়িত্ব নিয়ে খোলা মনে ভাবুন, দেখবেন আমাদের সর্বনাশটা শুরু হয়েছে যখন থেকে, বিশেষ করে ইংরেজ শাসন আমল থেকে আমরা ইংরেজিকে উচ্চশিক্ষার একমাত্র সিঁড়ি হিসেবে দেখতে শুরু করেছি। অথচ পৃথিবীর বহু উন্নত দেশের মানুষ আমাদের চেয়ে অনেক কম ইংরেজি জানেন। কিন্তু উন্নতিতে অগণিত ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের চেয়ে তারা অগ্রগামী। সে বিবেচনায় বলাই যায়, ইংরেজি হলো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এবং বিতরণের কয়েকটি ভাষার মধ্যে একটি মাত্র!

একজন দরজিকে ডেকে একটি কাপড় দেখিয়ে একই রকম কাপড় এনে দিতে বললে তিনি হয়তো একটা ছবি তুলে বাজার ঘুরে সেই রকম অথবা তার কাছাকাছি একটি রঙের কাপড় এনে দেবেন। কিন্তু একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সেই একই কাজ করবেন বিজ্ঞানের ভাষায়। রঙের মিশ্রণ এবং তার কেমিক্যাল কম্পোজিশন ঠিক করে তৈরি করে ফেলবে কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, যে ফর্মুলায় ওই রং মিলবে শতভাগ—পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে। তার মানে হলো, এ ক্ষেত্রে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভাষা ‘কেমিস্ট্রি’ তথা রসায়ন!

একটু খেয়াল করলে মনে পড়বে কয়েক বছর আগের সংবাদপত্র ও বাজেট–পরবর্তী প্রকাশনার কথা। একগাদা কাগজে ছাপা হতো বাজেটের ক্রোড়পত্র, যা বেশির ভাগ মানুষ পড়ার জ্ঞান অথবা ধৈর্য কোনোটাই রাখত না। অথচ সেই সাংবাদিকেরাই আজ দুটো ছবি বা পাই চার্ট দিয়ে বাজেট বুঝিয়ে দেন—কত সহজে, সবাইকে। তার মানে হলো, এ ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিকের সবচেয়ে বোধগম্য ভাষা হলো পরিসংখ্যান বা গণিত।

এভাবে ভাবতে থাকলে একে একে সব বিষয়ের মধ্যেই বিজ্ঞানের সব শাখার উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই অপরিহার্য রূপে অথচ প্রায় ক্ষেত্রে আমরা এগুলোকে করে রেখেছি নন-ডিপার্টমেন্টাল কোর্স! চলতি বাজার ধরতে গিয়ে কোর্স প্রণয়ন পঠন–পাঠন মূল্যায়নে বিজ্ঞানের মূল শাখাগুলোকে অবমূল্যায়ন করে নিজেদেরই মূল্যহীন করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেখতে পাই!

বর্তমান প্রেক্ষাপটে জোর গলায় বলাই যায়, উচ্চশিক্ষার ভাষা হিসেবে যদি আমরা বিজ্ঞানের সব শাখাকে কাজে না লাগাই, তাহলে উচ্চশিক্ষার নিম্ন মান কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না।

মাতৃভাষা ভুলে গেলে যেমন মানুষ নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না, একইভাবে গণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ইত্যাদিকে আজীবন ধারণ করার বদলে শুধু পাস করে পার হওয়ার ধান্দায় থাকলেও আমাদের উচ্চশিক্ষিতরা নিচের স্তরে থেকে যাবে অনন্তকাল। তখন খাতা–কলমে শিক্ষিত হয়ে আমরা দেশকে ও দেশের সামগ্রিক উন্নতির বদলে অবনতিই ঘটাব। কেননা, জ্ঞান–বিজ্ঞান চর্চা এবং প্রয়োগের ভাষা এগুলো সবই।

ব্যবসায় থেকে শুরু করে চারু-কারুকলা, শিল্প-সাহিত্য-চলচ্চিত্র কোথায় নেই এসব? মঞ্চের আলো, সাউন্ড সিস্টেম, ক্যামেরা ও চোখ ঝলসানো, হৃদয় মাতানো সব উৎসবে বিজ্ঞানের এসব বিষয়ের দক্ষতারই তো প্রতিফলন, নাকি?

কিছুদিন আগে বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশের চরমভাবে পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণও বিজ্ঞানের প্রধান বিষয়গুলোর প্রতি অনীহা এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবজ্ঞা! সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবন এক নয়। সৃষ্টিশীলতা বা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে উদ্ভাবনময় হয়ে উঠতে হলে প্রয়োজন কাজটা সত্যি সত্যি করে ফেলবার যোগ্যতা, যা বিজ্ঞানের জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া সম্ভব নয়।

একই সঙ্গে প্রয়োজন কিছু শব্দ, যেমন: গণতন্ত্র, সুশাসন, জেন্ডার, অর্থনীতির বিভিন্ন ঘরানার ধারণার সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ এবং উপলব্ধির পরিচয়। সর্বোপরি নিজের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভাবতে শেখা এবং কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিক শক্তি। শিক্ষা তখনই হয়ে ওঠে জাতীয় প্রবৃদ্ধির অংশ!

ওডিশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি) অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, তারা যেভাবে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রথম এক বছরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য তৈরি করে, সেটি আমাদের কাছে বিবেচনাযোগ্য। দেশের নানা জায়গা থেকে আসা নানা ভাষার এবং বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসে রেখে লিবারেল আর্টস, ন্যাচারাল সায়েন্সেস, সমাজবিজ্ঞানের নানা বিষয়ে যত্নের সঙ্গে দক্ষ করে তোলা হয়। একই সঙ্গে সেখানে পূর্বের কোনো পঠন-পাঠনের ত্রুটি থাকলে তা কাটিয়ে পুরো প্রস্তুত করা হয় অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী কিংবা সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে উঠতে। মানুষ গড়ার কারিগর বরেণ্য শিক্ষাবিদ ডক্টর অচ্যুয়ত সামান্তের গড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছুই আমাদের কাছে গবেষণার ও শিক্ষার বিষয় হতে পারে।

আসলে পণ্য বেচাকেনার ব্যবসাটা বুঝলেও পণ্য তৈরির ব্যবসাটা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। এভাবে চলতে থাকলে অন্যের উৎপাদিত পণ্যের ফেরিওয়ালা হয়েই খুশি থাকতে হবে আমাদের। অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে যেখানে থাকতে আমি প্রচণ্ড নারাজ...অন্যদের অবস্থান জানতেও খুব ইচ্ছা করে!

মনে রাখা দরকার, কীভাবে শিখতে হয়, সেটি যেমন শেখার বিষয়, ঠিক তেমনি শেখা উচিত কীভাবে শেখাতে হয়, সেটিও কালবিলম্ব না করে! শেখানোর যোগ্যতা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা শিক্ষাব্যবস্থা এগোতে পারে না, বরং কয়েক গুণ পিছিয়ে যায়। পৃথিবীতে একজন কৃষকও নেই, যিনি অপ্রস্তুত জমিতে বীজ বপন করে ভালো ফসলের আশা করেন।

সৈয়দ রাজু: শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

2
জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্প

পাঠাও মালিক ১০০ মিলিয়ন USD বা বাংলাদেশী টাকায় ৮২০ কোটি টাকা যা শুরু একেবারে শুন্য থেকে।

যেখানে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাফ বেজুসও তিন বছরের মধ্যে এমন সাফল্য পায়নি।(Though they were in different critical situation).

এটি বাংলাদেশের তরুনদের একটি অনন্য রেকর্ড, যার জন্য আমরা গর্ব করতে পারি। এটি যদি বিশ্বের অন্য কোন দেশের তরুনরা করতো তাহলে পুরো বিশ্বে সাড়া পড়ে যেত প্রচারনার। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সেটা জানেই না।
কিন্তু কেন??

এই গল্পটা তাদের জন্য যারা ভাবে বাংলাদেশে কোন সুযোগ-সুবিধা নাই, বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া ব্যবসা হয়না এবং এটা কখনই সম্ভব না সৎ উপায়ে কোটি টাকা ইনকাম করা।

বাংলাদেশের তিনজন যুবক ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮২০ কোটি টাকার রাইড শেয়ারিং কোম্পানী পাঠাও যখন শুরু করেছিল তখন তাদের কোন মুলধন ছিলনা। তারা সব কিছু করেছিল সততা এবং নীতিগত ভাবে।

২০১৫ সালে তিনজন বন্ধু মিলে পাঠাও কোম্পানী শুরু করে বাই-সাইকেলে পন্য ডেলিভারী দিবার জন্য। তাদের সম্পদ বলতে ছিল তিনটা বাই-সাইকেল।

*** তিনজন বন্ধু হলঃ

১। হোসাইন এম ইলিয়াস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

২। সিফাত আদনান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET)

৩। ফাহিম সালেহ, বেন্টলি ইউনিভার্সিটি, USA.

খুব সল্প সময়ের মধ্যে তারা একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে মটর বাইকে রাইড শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করলো। তারা মোটামুটি ভালো সফলতা পেতে শুরু করলো। তাদের সফলতা দেখে বিভিন্ন বিদেশী ইনভেস্টররা তাদের ব্যবসায় ইনভেস্ট করলো। যার ফলে আমাদের সবার পরিচিত মোটর বাইক রাইড শেয়ারিং কোম্পানী পাঠাও আজ ১০০ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৮২০ কোটি টাকার মালিক।

এই রকম হিরো আরো কয়েকটি লাগবে এই বাংলায়!!

3
সুখী কে না হতে চায়? আমরা প্রত্যেকেই যে যার মতো সুখে থাকতে চাই। এর মূল চাবিকাঠি রয়েছে নিজের হাতেই। প্রতিদিনের চলার পথ যত বন্ধুরই হোক না কেন, নিজেই পথটা তৈরি করে নিতে পারেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার দিয়েছেন এই পরামর্শ।

১. নেতিবাচক চিন্তা আর নয়
আগামীকাল পরীক্ষা আর আজ রাতে আপনার মনে ভিড় করল হাজারো দুশ্চিন্তা, যার অধিকাংশই নেতিবাচক। খুব সহজ ভাষায় এ ধরনের চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুধু এমন চিন্তাই নয়, নেতিবাচক মানুষ এবং আলোচনা থেকেও সরে আসুন। কেননা, আপনার পরিধি নিজেই বুঝবেন, অন্যের কথায় সহজেই প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই।

২. নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করা
‘ওর ওটা আছে, আমার নেই কেন’—এ ধরনের চিন্তা আপনার নিজ মানসিক শক্তিকেই কমিয়ে দেয়। এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করবে। তাই মনে রাখুন, সবার প্রতিভা এক নয়। কারও হয়তো পড়াশোনায় মেধা আছে, আবার কারও খেলাধুলায়। তাই চেষ্টা করুন নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার।

৩. ইতিবাচক থাকুন
আপনি কাজটা যেভাবে করবেন, তার ফলটাও সে রকমই হবে। এটা মাথায় রেখেই কাজে লেগে পড়ুন। শেষ বিকেলে কী হবে তার জন্য চিন্তা না করে নিজেকে আশ্বাস দিন। প্রতিটি ঘটনারই দুটি দিক থাকে—ইতিবাচক ও নেতিবাচক। চেষ্টা করুন সব সময় ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করার। এর ভালো দিকটা আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

৪. ঠিকমতো খাবার ও ঘুম
শরীর ও মন একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। তাই একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। যেমন পরিমিত পরিমাণে খাবার ও ঘুম। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় শারীরিক ব্যায়াম বা ইয়োগা করতে পারেন। এতে দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব হয়।

৫. নিজেকে ভালোবাসুন
সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সময় বরাদ্দ রাখুন কিছুটা নিজেরও জন্য। আপনার প্রিয় মানুষটি কাছে নেই? আপনি নিজেই ব্যস্ত হয়ে পড়ুন না! ঘুরে আসুন কোথাও কিংবা শখের বিষয়গুলো চর্চা করুন। কিংবা পরিবারের সবার জন্য কিছু একটা রান্না করে ফেলুন ঝটপট।

৬. পরিবার ও বন্ধুর সঙ্গে সময় উপভোগ
বন্ধুমহল কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে দুই পক্ষই খুশি হবে। এমন অনেক ব্যাপার থাকে, যা আমরা প্রিয় মানুষটির চেয়ে বন্ধুটির কাছে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তাই কিছুটা সময় বন্ধু মানুষটির সঙ্গে বেড়িয়ে আসুন।

৭. কিছু বিষয়কে যেতে দিন
সব কাজেই যে প্রথম হতে হবে এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রতিটা কাজেই সময় নিয়ে চিন্তা করুন এবং মনে করুন, ‘সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।’

৮. কৃতজ্ঞ থাকুন
দিন শেষে যখন নীড়ে ফিরবেন, তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সফল। অনেকেই আছেন, ঠিক আপনার জীবনটাই পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

৯. অন্যের প্রতি সহযোগিতা
অনেকেই পাশের মানুষের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেবে দেখার চেষ্টা করুন, সেই মানুষটি কেন এমন করেছেন। সমানুভূতি থেকেই এমনটি করা সম্ভব। তাই সব সময় নিজের ব্যাপারগুলো না দেখে অন্যদের সমস্যাগুলোও বোঝার চেষ্টা করুন।

১০. আস্থা রাখুন নিজের ওপর
যত যাই হোক, নিজেকে বোঝার ক্ষমতা আপনারই আছে। সব নেতিবাচকতা এড়িয়ে নিজেকে অভয় দিন, ‘দিন শেষে আমিই জয়ী!’

4
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুর ও জাপানের। ২০১৮ সালের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম।

বিশ্বের সব দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এ তুলনামূলক রিপোর্টটি প্রকাশ করে বহুজাতিক ল ফার্ম হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। তালিকায় ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারার সুবিধার উপর ভিত্তি করে হালনাগাদ করা হয়।

২০১৭ সালের হালনাগাদে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ছিল জার্মানির। কিন্তু এ বছর জার্মানিকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান দখল করেছে সিঙ্গাপুর ও জাপানের পাসপোর্ট। এ দু’টি দেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে বিনা ভিসায় বিশ্বের ১৮০টি দেশ ভ্রমণ করা যায়।

জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। জার্মানির পাসপোর্ট নিয়ে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে ১৭৯টি দেশে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া একত্রে অবস্থান করছে তৃতীয়তে। এসব দেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিনা ভিসায় ১৭৮টি দেশ ঘুরে আসা যাবে।

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায় ৩৮টি দেশ। একই অবস্থানে রয়েছে লেবানন, ইরান ও কসোভো। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে উত্তর কোরিয়া (৯৫তম) ও মিয়ানমার (৯৪তম)।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে মালদ্বীপ (৫৯তম)। এরপর রয়েছে ভারত (৮১তম), ভুটান (৮৫তম), শ্রীলংকা (৯৪তম), নেপাল (৯৯তম) ও পাকিস্তান (১০২তম)।

তালিকায় সবচেয়ে নিচে অবস্থানকারী দেশটি আফগানিস্তান। দেশটির অবস্থান ১০৫, পয়েন্ট ২৪।

তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে অবস্থানকারী বেশিরভাগই ইউরোপের পাসপোর্ট। যুক্তরাজ্য রয়েছে চতুর্থ ও যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম অবস্থানে।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তালিকার প্রথম ১৫টি দেশের নাম ও পয়েন্ট নিচে দেওয়া হলো:

১. সিঙ্গাপুর, জাপান – ১৮০ পয়েন্ট
২. জার্মানি – ১৭৯ পয়েন্ট
৩. ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া – ১৭৮ পয়েন্ট
৪. পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস – ১৭৭ পয়েন্ট
৫. কানাডা, সুইটজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র – ১৭৬ পয়েন্ট
৬. অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, বেলজিয়াম – ১৭৪ পয়েন্ট
৭. মাল্টা, নিউজিল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র – ১৭৩ পয়েন্ট
৮. আইসল্যান্ড – ১৭২ পয়েন্ট
৯.হাঙ্গেরি – ১৭১ পয়েন্ট
১০. লাতভিয়া – ১৭০ পয়েন্ট
১১. লিচেনস্টেইন, মালয়েশিয়া – ১৬৯ পয়েন্ট
১২. স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া – ১৬৭ পয়েন্ট
১৩. পোল্যান্ড, লিথুনিয়া – ১৬৬ পয়েন্ট
১৪. মোনাকো, এস্তোনিয়া – ১৬৫ পয়েন্ট
১৫. সাইপ্রাস - ১৬৩ পয়েন্ট

5
অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা শারীরিক কারণে শুরু হলেও ক্রমশ তা মানসিক দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে। কম বয়সে চুল পেকে যাওয়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে, প্রিম্যাচিওর ক্যান্যাইটিস।

আধুনিক লাইফস্টাইলের পাশাপাশি এ সমস্যার কারণ কিন্তু অনেকটাই জিনগত। স্ট্রেসের ফলে শরীরে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের অভাব হতে পারে। যার থেকে চুলে অকালপক্কতা দেখা যেতে পারে। লিভারের ধারাবাহিক সমস্যা থাকলেও কম বয়সে চুল পেকে যায়। তাই সে ক্ষেত্রে লিভারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও জরুরি। এই সমস্যা পুরোপুরি জিনগত নয়। ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, উত্তরাধিকার সূত্রে লিউকোডার্মার সমস্যা হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

পাকা চুল তুলে ফেললে পাকা চুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যদি সামান্য কয়েকটা চুল সাদা হয়ে থাকে, তবে সেগুলো তোলার বদলে রুট থেকে কেটে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

চুল রং করতে হেনা-মেহেন্দির মতো ন্যাচারাল প্রডাক্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ কেমিক্যাল প্রডাক্টে অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জির ভয় থাকে।

ভিটামিনের অভাব দূরীকরণের জন্য ছয় মাস বা এক বছরের কোর্স করা যেতে পারে। এ ছাড়া রোজকার ডায়েটে সবুজ শাকপাতা বা টাটকা ফল থাকা ভীষণভাবে জরুরি।

যে সমস্যার ওপর আপনার হাত নেই, তা নিয়ে ভেবে ভেবে চুল আরও সাদা করে ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে আপনি যা করতে পারেন, তা হলো খাদ্যাভাসে বদল ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। আর চুল রং করা এখন ফ্যাশন। সমস্যার জন্য হোক বা মনের খুশিতে হোক, চুল রাঙিয়ে নেওয়ার সুযোগ তো সব সময়ই রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রেও কী প্রডাক্ট ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে অবশ্যই সতর্ক হবেন।
 

6
অ্যালোভেরাকে বলা হয় জাদুকরি উদ্ভিদ । রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে খুশকি দূর করাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা উপকারী। অ্যালোভেরার এমনই কিছু গুণের কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও ঔষধি গুণ। এর মধ্যেকার বিশেষ উপাদান পলিফেনল যা বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।

২. রোদে পোড়া ভাব, বর্ণের সমস্যা কমাতে অ্যালোভেরা দ্রুত কাজ করে। এ ধরনের সমস্যায় অ্যালোভেরা জেল কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩. অ্যালোভেরা বলিরেখা কমায়। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে তারুণ্য ধরে রাখার উপাদান। ৩০ দিন টানা অ্যালোভেরা জেল মাখা মুখ নরম করে এবং কোলাজেন বাড়ায়।

৪. এটি খুশকি ও স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। এটি স্ক্যাল্পকে আর্দ্র করে, প্রদাহ ও খুশকি কমায়।

 


7
শিক্ষকদের জন্য আরো নতুন ১০টি আইন প্রণয়নের জন্য খসড়া প্রকাশ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়া আইনের বিষয়ে মতামত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষা আইনের খসড়া প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনা, নানা প্রস্তাব বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার নতুন করে খসড়া প্রণয়ন করেছে।

যেসব ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দণ্ড ও জরিমানা গুনতে হবে-

১. ইংরেজী মাধ্যমসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন ও অন্যান্য ফি সরকারের অনুমোদন ছাড়া নির্ধারণ করা যাবে না। আইন লঙ্ঘন করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে। ইংরেজী মাধ্যমের প্রতিষ্ঠান হলেও বাংলা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয় পড়ানো হবে বাধ্যতামূলক।

২. আইন অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজী মাধ্যম ও এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের এ বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

৩. মাধ্যমিক স্তরে সাধারণ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও ইংরেজী মাধ্যম বা বিদেশী কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী কোন শাখাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন নিতে হবে। এ নিয়ম লঙ্ঘন করলেও সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

৪. জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন করবে। এনসিটিবির অনুমোদন ছাড়া এসব স্তরে শিক্ষাক্রমে অতিরিক্ত কোন বিষয় বা বই অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কেউ অতিরিক্ত বই অন্তর্ভুক্ত করলে জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালী সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির পরিপন্থী ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যক্রম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্যও জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৬. সরকার প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই ধারা লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ছয় মাসের জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৭. শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তির বিষয়ে বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালীন মানসিক বা শারীরিক শাস্তি দেয়া যাবে না। এটি লঙ্ঘন করলে শিক্ষক অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৮. প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নির্ধারিত পাঠ্যবই না পড়িয়ে বাইরের বই পড়ালে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল বা উভয় দণ্ড রাখা হয়েছে খসড়ায়।

৯. কলেজ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছর জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

১০. অনুমতি ছাড়া বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালালে বা শাখা ক্যাম্পাস, স্ট্যাডি সেন্টার বা টিউটোরিয়াল কেন্দ্র স্থাপন করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।

8
ধনী-গরীব নির্বিশেষ বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ কোমর ব্যথায় ভোগেন। অধিকাংশই এ ব্যথা নিজ থেকে চলে যায়। আর কিছু ব্যথা আছে চরম ও স্থায়ী। যা ইন্টারভেনশনের (চিকিৎসা সেবা) মাধ্যমে চিরতরে সারানো যায়।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ইন্টারন্যাশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. খন্দকার এম রহমান বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন। শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) ধানমন্ডির গ্রিন রোডের ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় যোগ দেন তিনি।ডা. খন্দকার এম রহমান বলেন, ইন্টারভেনশন বা শরীরে ব্যথার সঠিক স্থানে ইনজেকশন প্রয়োগ করে ব্যথা সারানো হয়। ফলে সেখানকার নার্ভ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই ব্যথা মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। এভাবে রোগী ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পান।এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। বছর খানেকের মধ্যে সেই নার্ভ সেল আবারও বিনির্মাণ হয়ে যায়,’ যোগ করেন তিনি।

ডা. এম রহমান বলেন, বিশেষ কোনো কারণে মানুষের ব্যথা হতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়ের সংযোগস্থল ক্ষয়ে যায়। এর মাঝের সংশ্লিষ্ট উপাদানে পড়ে ঘাটতি। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যথা হয়।

9
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা একটি মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। পৃথিবী থেকে ২০৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটি। এর নাম এল ২ পাপিস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণের ফলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে সূর্য বুড়ো হলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষকেরা বলছেন, ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি) এল ২ পাপিস নক্ষত্রটির। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল।
বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, এখন থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের সূর্য লাল দানব (রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে। এ সময় সূর্যের আকার বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেড়ে যাবে।
অধ্যাপক ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে।
ডেসিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সূর্য আরও বড় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই এটি পৃথিবীকেও ধ্বংস করে ফেলবে।’
ডেসিন বলেন, পৃথিবীর পাথুরে অভ্যন্তর সূর্যের সেই লাল দানব দশায় টিকে থেকে সাদা বামন অবস্থা পর্যন্ত একে প্রদক্ষিণ করবে কি না, তা দেখার বিষয়। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতির্বিদেরা এল ২ পাপিসকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পৃথিবী থেকে মাত্র ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটি মহাজাগতিক হিসেবে খুব কাছের।
গবেষকেরা পর্যবেক্ষণের সময় এল ২ পাপিসের ৩০ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে একটি বস্তু দেখেছেন, যা ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর অর্ধেক। গবেষকেরা তাই ভাবছেন, নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে তা জানা যাবে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

10
Heightened activity in the amygdala — a region of the brain involved in stress — is associated with a greater risk of heart disease and stroke, according to a study published in The Lancet that provides new insights into the possible mechanism by which stress can lead to cardiovascular disease in humans.

Smoking, high blood pressure and diabetes are well-known risk factors for cardiovascular diseases and chronic psychosocial stress could also be a risk factor.The authors suggest a possible biological mechanism, whereby the amygdala signals to the bone marrow to produce extra white blood cells, which in turn act on the arteries causing them to develop plaques and become inflamed, which can cause heart attack and stroke.

The researchers note that the activity seen in the amygdala may contribute to heart disease through additional mechanisms, since the extra white blood cell production and inflammation in the arteries do not account for the full link.

11
চীনের জিংহুয়া প্রদেশের সিয়াস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত সিয়াস উইন্টার ক্যাম্প-২০১৬-এ যোগ দিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২০ শিক্ষার্থী এবং এক অনুষদ সদস্য চীনে গেছেন। দুই সপ্তাহব্যাপী এ ক্যাম্পে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার মাধ্যমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ ছাড়া তাঁরা চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর ক্রেডিট-ভিত্তিক একটি কোর্স করবেন। চীন যাত্রার প্রাক্কালে শিক্ষার্থী দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউসুফ এম ইসলাম, পরিচালক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) প্রফেসর মো. ফখরে হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক শেখ আবদুল কাদের আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

12
যুক্তরাজ্য সরকার কমনওয়েলথ বৃত্তির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সে দেশে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে এক বছরের স্নাতকোত্তর এবং তিন বছরের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করতে হবে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডির যেকোনো একটি বিভাগে। আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণিসহ যেকোনো বিভাগে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বৃত্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এখানেই পাওয়া যাবে বৃত্তির জন্য আবেদন ফরম। আগ্রহী সবাইকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজসহ স্ক্যান করে ই-মেইলে (ds_stp@moedu.gov.bd ) পাঠানোর কথা বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে।

13
ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দাদের বহু কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রকল্প দুটির কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল বাড়ানোর ফলে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চলাচল শুরু করবে।

এদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়নকাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ হিসেবে পরিচিত দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। মেট্রোরেলের ডিপো উত্তরা আর বিআরটি’র ডিপো এলাকা গাজীপুরে।

প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠান থেকে ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে গাজীপুর বাস ডিপোর নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করেন।

ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। অপরদিকে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত হবে বিআরটির রুট।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।

২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেল প্রকল্পটি ৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্যাকেজ-১ এর (ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন) ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান কাজ শেষ হয়েছে।

মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরটি-৬ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এপ্রকল্পে জাইকা ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা করছে। বাকি অর্থ প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকার।

দ্রুতগতির মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে থেমে প্রতি ঘণ্টায় এটি ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এই ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ ও ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, রূপসী বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড ও বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত চলাচল করবে।

যাত্রা পথে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এগেুলো হলো উত্তরা নর্থ, সেন্ট্রাল ও সাউথ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার। অন্যদিকে বিআরটি চারটি প্যাকেজের আওতায় সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে দুটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ডিপো নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১৮ এর ডিসেম্বরে বিআরটি চালু হবে বলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

14
Faculty Sections / সেলফির ভালো-মন্দ
« on: June 22, 2016, 03:29:37 PM »
যাঁরা নিয়মিত সেলফি তোলেন, তাঁরা নিজেদের সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করেন। অর্থাৎ আসলে যতটা আকর্ষণীয়, তার চেয়েও বেশি সুন্দর মনে করেন নিজেদের। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় নিজেই নিজের ছবি তোলার নাম সেলফি। সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমের বদৌলতে এখন এ রকম ছবির ছড়াছড়ি বিশ্বজুড়ে। নিজেদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কাজে সেলফি খুবই কার্যকর। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা সেখানকার ১৯৮ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর একটি জরিপ চালান, যাঁদের ১০০ জন নিয়মিত সেলফি তোলেন। তাঁদের সবাইকে একটি করে সেলফি তুলতে বলেন গবেষকেরা, তারপর বলেন প্রতিটি ছবিকে মূল্যায়ন করতে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করলে সেই সেলফি অন্যরা কতটা পছন্দ করবে, সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়। ওই ১৯৮ জনের বাইরে আরও ১৭৮ জনের কাছে ছবিগুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত চাওয়া হয়। এতে দেখা যায়, সেলফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের বেশি আকর্ষণীয় মনে করেন। ছবিতে তাঁদের চেহারা অন্যদের চেয়ে পছন্দনীয় দেখায় বলে তাঁরা মত দেন।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল রে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, সেলফিপ্রিয় মানুষেরা সাধারণত নিজেদের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তাঁরা মনে করেন, সেলফিতে তাঁদের বেশি আকর্ষণীয় দেখায়—অন্য কারও তুলে দেওয়া ছবির চেয়ে। কিন্তু নিরপেক্ষ মতামত বলছে, এসব সেলফির চেয়ে অন্যদের তুলে দেওয়া ছবিতেই তাঁদের বেশি ভালো দেখায়।

15
গবেষকেরা কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পাথরে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। ভূগর্ভের অনেক গভীরে কার্বন ডাই-অক্সাইডে চাপ প্রয়োগে পাথরে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ প্রক্রিয়াটি বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার সমাধান দিতে পারে। গ্রিনহাউস গ্যাসকে যুগান্তকারী এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যায়।

গবেষকেরা আইসল্যান্ডে এ গবেষণা চালান। বায়ুমণ্ডলে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভূপৃষ্ঠের শত শত ফুট নিচে আগ্নেয়গিরির বেসল্ট শিলার মধ্যে পরিচালনা করায় তা দ্রুত পাথরে পরিণত হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক জুয়ার্গ ম্যাটার বলেন, কার্বন নির্গমন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পাথর বানিয়ে স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়া যায়।

বর্তমান বিশ্বে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে উদ্ভাবনী ‘কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড স্টোরেজ’ (সিসিএস) সমাধান খুঁজছেন।

Pages: [1] 2 3