Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Forman

Pages: 1 [2] 3 4
16
ইউরোপ থেকে স্বল্প খরচে ফ্রিল্যান্সারদের পারিশ্রমিক আনতে যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান সার্ভিস স্ক্রিল লিমিটেড ও হোমপে’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সোনালী ব্যাংক।
তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের স্ক্রিল লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং হোমপে’র মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্ক্রিল মানি ট্রান্সফার সেবার মাধ্যমেস্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন।



পাশাপাশি বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ইউরোপ থেকে সরাসরি কেনাকটা করা যাবে।

এ ছাড়াও স্ক্রিল মানি ট্রান্সফার সেবা ব্যবহার করে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পারিশ্রমিক বৈধভাবে স্বল্প খরচে আনতে পারবেন।

সম্প্রতি লন্ডনে স্ক্রিল লিমিটেডের কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দা মুনা তাসনীম।

স্ক্রিল প্রধান নির্বাহী লরেনজো পেলিগ্রিনো এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল ওয়াহাব এই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পলক বলেন, "আমাদের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের বিশ্ববাজারে অংশ নিতে সহায়তা করার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। ফ্রিল্যান্সার এবং অন্যান্য নাগরিককে অনলাইনে বৈশ্বিক অর্থ আদান প্রদান এবং অনলাইন বাজার ব্যবস্থা এবং মার্চেন্ট ইকোসিস্টেমগুলোর সঙ্গে যুক্ত করবে এই সেবা।”

Source: Bdnews24

17
২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে তথ্য ফাঁসের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। ২০২০ সালে মোবাইলভিত্তিক ম্যালওয়্যার এবং ব্যাংকিং ট্রোজানের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে।



শীর্ষস্থানীয় অ্যাকাউন্টিং ও কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫জি এবং ইন্টারনেট অফ থিংস-এর (আইওটি) পরিধি বাড়ছে, ডেটার গতি বাড়বে, সঙ্গে বাড়বে সাইবার হামলার গতিও-- খবর আইএএনএস-এর।

‘সাইবার ট্রেন্ডস ইন ২০১৯ অ্যান্ড প্রেডিকশনস ফর ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “হামলার গতি এবং কার্যকরিতা বাড়াতে হ্যাকাররা উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হামলা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেটা সুরক্ষায় নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়বে আইওটি।”

“সাইবার হামলা বাড়ছে এবং এটি বাড়তেই থাকবে। যদি ঘটে তা নয়, বিষয়টি হচ্ছে কখন ঘটবে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং ফ্রেইমওয়ার্কভিত্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার নিরাপত্তা আরও ভালো এবং সক্রিয়ভাবে মোকাবেলা করতে পারবে,” বলেন গ্র্যান্ট থর্নটন ইন্ডিয়ার সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড আইটি রিস্ক অ্যাডভাইজরি পার্টনার আকশায় গারকেল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার হয়রানিসহ সাইবারনিরাপত্তার ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ছয় গুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে। আর অপরাধের ধরন শনাক্তকরণ এবং সাইবার অপরাধ কমানো ডেটা বিশ্লেষকদের জন্য আরও জটিল হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, “৯৫ শতাংশ সাইবার নিরাপত্তা ভাঙ্গবে মানুষের ভুলের কারণে। মানবকেন্দ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার মূল কারণ এবং মানবকেন্দ্রিক সমাধানের পাশাপাশি প্রযুক্তিও দরকার।”

ধারণা মতে, ২০১৯ সালে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ৪৩০ কোটি। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

Source: Bdnews24

18
অলিম্পিক এবং ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) অফিশিয়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার। এই অ্যাকাউন্টগুলো সাময়িকভাবে লক করে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইমেইল ববৃতিতে টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন তৃতীয় পক্ষের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলোয় আক্রমণ করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি-- খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।



“যখনই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ অ্যাকাউন্টগুলো লক করে দিয়েছি এবং এগুলো পুনরুদ্ধার করতে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি,” বলেছেন টুইটার মুখপাত্র।

আলাদাভাবে আইওসি’র এক মুখপাত্র বলেন, সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের বিষয়ে তারাও তদন্ত চালাচ্ছে।

টুইটারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শনিবার স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার অ্যাকাউন্টও একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছে।

হ্যাকিংয়ের পর এক টুইট বার্তায় বার্সেলোনার পক্ষ থেকে বলা হয়, “এফসি বার্সেলোনা একটি সাইবার নিরাপত্তা নীরিক্ষণ চালাবে এবং তৃতীয় পক্ষের টুলের সঙ্গে সব প্রোটোকল ও লিঙ্ক পর্যালোচনা করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”

আগের মাসেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) বেশ কিছু দলের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট।

চলতি মাসের শুরুতে ফেইসবুকের টুইটার অ্যাকাউন্টও কিছু সময়ের জন্য আক্রান্ত হয়েছে।

Source: Bdnews24

19
উইন্ডোজ ১০-এ গুরুতর ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। সংস্থাটি বলছে, উইন্ডোজ ১০-এর  ওই ত্রুটির সুযোগ নিয়ে সহজেই ম্যালিশাস সফটওয়্যাকে আসলের বেশে চালিয়ে দিতে পারবে হ্যাকাররা।
এরই মধ্যে ত্রুটি সারাতে প্যাচ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। ত্রুটিটির সুযোগ নেওয়া হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনও দেখতে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ত্রুটিটি সম্পর্কে জানিয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)। -- খবর বিবিসি’র।



এনএসএ ওই ত্রুটি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতো কিনা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলেই উল্লেখ করেছে বিবিসি।

ত্রুটিটি সম্পর্কে প্রথমে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ক্রেবস। তিনি জানান, ত্রুটি সারাতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য প্যাচ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। ত্রুটিটিকে ‘অসাধারণ ভীতিকর’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

উইন্ডোজের মূল উপাদান ‘ক্রিপ্ট৩২.ডিএলএল’ ফাইলে পাওয়া গেছে গুরুতর ওই নিরাপত্তা ত্রুটিটি। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা ওই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে নানাবিধ ফাংশনে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, ‘ডিজিটাল সার্টিফিকেট’, যা সফটওয়্যারে ‘সাইন-ইন’ করার কাজে লাগে।

ফলে চাইলেই হ্যাকাররা ত্রুটিটির সাহায্যে ম্যালিশাস প্রোগ্রামকে পুরোপুরি ‘আসল’ বলে চালিয়ে দিতে পারবে। এনএসএ’র সাইবার-নিরাপত্তা পরিচালক অ্যান নিউবার্গার সাংবাদিকদের বলেছেন, বাগটি “ভরসার জায়গাকেই অরক্ষিত” করছিল।

তিনি আরও জানিয়েছেন, মাইক্রোসফটের অনুরোধেই বাগ সম্পর্কে সবাইকে জানিয়েছে এনএসএ।

শুধু উইন্ডোজ ১০ নয়, উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ এবং ২০১৯-এও ত্রুটিটি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। ইউনিভার্সিটি অফ সারের অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেছেন, “বিষয়টি বড়, কারণ মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহৃত মূল ক্রিপ্টোগ্রাফিক সফটওয়্যারকে আক্রান্ত করেছে এটি। হ্যাকাররা এর সুযোগ নিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ না মিললেও, অসংখ্য ব্যবহারকারীকে আক্রমণ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বিষয়টি। এটি আতংকিত না হয়ে দ্রুত প্যাচ দিয়ে সারিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা।”

Source: Bdnews24

20
যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সতর্ক থাকতে হবে। এখন অনেক জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম স্মার্টফোনে ঢুকে সর্বনাশ ঘটাতে পারে। স্মার্টফোনে এসব প্রোগ্রাম চালু থাকলে গোপনে ফোনের কার্যকলাপের তথ্য পাচার করে দেয়। গোয়েন্দাগিরির শিকার হতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাই গুগলের প্লেস্টোরে থেকে ডাউনলোড করা কয়েকটি অ্যাপ দ্রুত সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।



ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিপিএন প্রোর পক্ষ থেকে ২৪টি বিপজ্জনক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এসব অ্যাপ ইতিমধ্যে ৩৮ কোটি ২০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সরানোর অভিযোগে গুগল ইতিমধ্যে এসব অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে। তবে স্মার্টফোন এসব অ্যাপ থাকা মানেই বিপদ ঘটতে পারে। এসব অ্যাপের মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা ও ব্যাটারির অ্যাপ, প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি, ভিডিও ধারণ করার বিভিন্ন অ্যাপ।

বিপজ্জনক ২৪ অ্যাপের তালিকা দেখে নিন: ওয়ার্ল্ড জু, ওয়ার্ড ক্রাশ, ওয়ার্ড ক্রসি, ওয়েদার ফোরকাস্ট, ভাইরাস ক্লিনার ২০১৯, টার্বো পাওয়ার, সুপার ক্লিনার, সুপার ব্যাটারি, সাউন্ড রেকর্ডার, সকার পিনবল, পাজল বক্স, প্রাইভেট ব্রাউজার, নেট মাস্টার, মিউজিক রোম, লেজার ব্রেকার, জয় লঞ্চার, হাই ভিপিএন, ফ্রি ভিপিএন, হাই ভিপিএন প্রো, হাই সিকিউরিটিজ ২০১৯, ফাইল ম্যানেজার, ডিগ ইট, ক্যান্ডি সেলফি ক্যামেরা, ক্যান্ডি গ্যালারি, ক্যালেন্ডার লাইট।

Source: Prothomalo

21


টম অ্যান্ড জেরিকে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে পরিচিত ডুয়েটের একটি হিসেবে ধরা হয়। ইঁদুর-বিড়াল যুগলের এ কাহিনি নির্মাণের চিন্তাটি আসে, যখন নির্মাতা বিল হ্যান্না ও জো বারবেরা একেবারে খাদের কিনারায় ছিলেন। তারা কাজ করতেন প্রযোজক সংস্থা এমজিএম’র অ্যানিমেশন বিভাগে।

জানা যায়, দু’জনেরই বয়স তখন ত্রিশের নিচে। তারা অনেকটা বিরক্ত হয়েই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। তখন বারবেরা প্রস্তাব করেন ইঁদুর ও বিড়ালের প্রতিদিনের খুনসুঁটির কাহিনি নিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করার। যদিও এর আগে অনেকবার এ পটভূমিতে কার্টুন তৈরি হয়েছে।



সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৪০ সালে তারা প্রথমবার প্রকাশ করেন ‘পুস গেটস দ্য বুটস’। প্রথম ছবিটিই সফলতা পায়। নির্মাতা স্টুডিও সেরা অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। কিন্তু যারা তৈরি করেছিল, তাদের কোনো কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

প্রথম পর্বে ইঁদুর ও বিড়ালের নাম ছিল ‘জ্যাসপার’ ও ‘জিঙ্কস’। পরে তা পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘টম’ ও ‘জেরি’। কার্টুনের চরিত্রদের সব কার্যকলাপ ফুটিয়ে তোলে স্কট ব্র্যাডলির আবহ সংগীত। টমের মানুষের মত চিৎকারের কণ্ঠ দেন হ্যান্না।



পরের দুই দশকে প্রায় ১০০টি ছোট পরিসরের কার্টুন তৈরির পেছনে ছিলেন হ্যান্না ও বারবেরা। প্রতিটি পর্ব তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং প্রায় ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে বিখ্যাত এই কার্টুন। তোপের মুখে পড়েন কখনো কখনো।

আপাত দৃষ্টিতে সহিংস কিছু কাহিনির চিত্রায়ন ও ইঙ্গিতপূর্ণ হাস্যরসাত্মক দৃশ্যপট থাকলেও বিশ্বজুড়ে এখনো দারুণ জনপ্রিয় টম অ্যান্ড জেরি। নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আশি বছরে পা রেখেছে বহুল পরিচিত এ কাহিনি। যা নিয়ে গীতিনাট্যভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়। ওই ছবিতে চরিত্রগুলো গান গাইতো এবং কথাও বলতো।

নির্মাতা বিল হ্যান্না মারা যান ২০০১ সালে। জো বারবেরার মারা যান ২০০৬ সালে। মারা যাওয়ার এক বছর আগে জো বারবেরা শেষবারের মতো টম অ্যান্ড জেরির একটি পর্ব তৈরি করেছিলেন। যেটি ছিল সঙ্গী বিল হ্যান্নাকে ছাড়া তার তৈরি করা টম অ্যান্ড জেরির প্রথম পর্ব।



টম অ্যান্ড জেরির বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী ওয়ার্নার ব্রাদার্স এ বছরের বড়দিনের আগে নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ফিল্ম বাজারে ছাড়বে। তাতে ক্লো গ্রেস মোরেৎজ ও কেন জেওং কাজ করবেন। এছাড়া এ সম্পর্কে বিশেষ আর কিছু জানা যায়নি।

টম অ্যান্ড জেরি এখনো শিশুদের কাছে জনপ্রিয়। হ্যান্না ও বারবেরার এই অমর কীর্তি শিশুদের আজীবন আনন্দ দিয়ে যাবে। শত-সহস্র বছর পেরিয়ে যাবে এর আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতা।

Source: jagonews24

22
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল হ্যাকারদের একটি গ্রুপ। শুক্রবার বিকেলে ‘আওয়ারমাইন’ নামে ওই হ্যাকিং গ্রুপটি ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম হ্যাকিংয়ের পর ‘এমন কি ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব’ লিখে সতর্কবার্তা দেয়।



আওয়ারমাইন বলছে, সাইবার দুর্বলতা তুলে ধরার প্রচেষ্টা হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। জানুয়ারিতে তারা মার্কিন জাতীয় ফুটবল লিগের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল।

ফেসবুকের টুইটার অ্যাকাউন্টে গ্রুপটি এক বিবৃতি পোস্ট করে। যাতে লেখা হয়, ‘আমরা আওয়ারমাইন। বেশ, তাহলে ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব কিন্তু তাদের নিরাপত্তা টুইটারের তুলনায় ভালো।’

তারা ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও হ্যাক করে সেখানে আওয়ারমাইনের একটি লোগো পোস্ট করে।

এদিকে টুইটার নিশ্চিত করেছে যে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ হ্যাকিং করা হয়েছে এবং বুঝতে পাওয়ার পর সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তারা বলে, ‘বুঝতে পারার সাথে সাথে আমরা সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছি এবং ফেসবুকে আমাদের অংশীদারদের সাথে মিলে সেগুলো পুনরুদ্ধারে কাজ করছি।’

আওয়ারমাইন হচ্ছে দুবাই ভিত্তিক একটি হ্যাকিং গ্রুপ, যারা এর আগে বিভিন্ন করপোরেশন এবং হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে হামলা চালিয়েছে। অতীতে, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি এবং গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইয়ের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট এবং নেটফ্লিক্স ও ইএসপিএনের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল তারা।

গ্রুপটি দাবি, নিরাপত্তার অভাবটিকে দেখানোর জন্যই তারা এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। এ ধরনের হামলার শিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তারা নিজেদের সেবা ব্যবহারেরও নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

Source: jagonews24

23
বতর্মানে বাংলাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। এদিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিছু দেশে এই নেটওয়ার্ক চালু হলেও এখন অনেক দেশে তা বিস্তৃত করার কাজ চলছে।

ফাইভ-জির এই অবস্থার মধ্যে সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে দেশটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় সিক্স-জির প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এই দ্রুতগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিক্স-জির গতি হবে ফাইভ-জির চেয়ে ৮ হাজার গুণ বেশি। সেই হিসাবে সিক্স-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট।

সিক্স-জি নিয়ে গবেষণা কাজের জন্য দুটি গ্রুপ করেছে চীন। এর একটি করা হয়েছে এক্সিকিউটিবদের নিয়ে, যারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে থেকে কাজটির দেখভাল করবে। আরেকটি গ্রুপ করা হয়েছে একেবারে টেকনিক্যালদের নিয়ে, যারা কাজটি করবে।

দুটি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ের ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রযুক্তি কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজগুলো করবে।

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অন্তত ১০ বছর সময় লেগেছে চীনের। সিক্স-জির উন্নয়নে এখন কাজ শুরু করলে তা সফল হতে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা। অবশ্য চীনের আগেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। গত বছরের জুনেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা।

Source: jagonews24

24
Thanks for sharing.

25
Internet / আলো দিয়ে চলবে ইন্টারনেট!
« on: February 08, 2020, 03:41:00 PM »
যখন এই আলোগুলো চালু হয়, তখন শুধু ঘরটিই উজ্জ্বল হয় না, তথ্যও প্রচার হয়। বার্লিনের ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের এই গবেষকরা আলো ব্যবহার করে তারহীন তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন। এই প্রযুক্তি 'লাইফাই' নামে পরিচিত। ইংরেজি ‘লাইট ফেডালিটি' শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ এটি।



এলইডি ল্যাম্পের মাধ্যমে কাজ করে লাইফাই। এলইডি বাতি অত্যন্ত দ্রুত বন্ধ ও চালু করা যায়। রিসিভার ডিভাইসে থাকা সেন্সরগুলো সিগন্যাল গ্রহণ করে। সিগন্যাল ট্রান্সমিটারের গতিও অনেক। লাইফাই অত্যন্ত বিস্তৃত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে যা ইতিবাচক ব্যাপার। আমাদের সিলিং লাইট থেকে তারহীন প্রযুক্তিতে তথ্যও দ্রুত সরবরাহ করা যায়৷ কিন্তু এটা কি আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে?

ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সারাক্ষণ মিটমিট করে জ্বলে? উত্তর হচ্ছে না, যা এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক্ষেত্রে খুব চমৎকার সামঞ্জস্য আনা হয়েছে। সেটা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে চোখের পক্ষে সনাক্ত করা সম্ভব না হয়৷

এখানে জ্বলতে থাকা সবুজ আলোগুলো শুধু ডিজাইন উপকরণ হিসেবে কাজ করছে। বার্লিনের বিজ্ঞানীরা এই ডিভাইসগুলো সম্প্রতি তৈরি করেছেন। সবুজ আলো দেখলে বোঝা যায় যে এগুলো কাজ করছে। এই অপটিক্যাল তারহীন ব্যবস্থা কাজ করার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হচ্ছে- তথ্যে প্রেরণ আর গ্রহণ করার যন্ত্রের মধ্যে ভিজ্যুয়াল সংযোগ থাকতে হবে। আলোর সূত্র যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে সিগন্যাল পাওয়া যাবে না। তথ্য সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

উনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, অপটিক্যাল ডেটা কানেকশনের একটি সুবিধা হচ্ছে এটাকে সহজেই এক ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। এজন্য আমার শুধু জানালার পর্দা নামিয়ে ফেলতে হবে। আর তখন এই ব্যবস্থায় সরবরাহ করা সব তথ্য ঘরের মধ্যেই থেকে যাবে। রেডিও লিংকের সঙ্গে তুলনা করলে এটা একটা বড় সুবিধা। কারণ অন্য ব্যবস্থায় ঘরের বাইরে থাকা ডিভাইসও একই তথ্য গ্রহণ করার সুযোগ থেকে যায়।

তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থায় বাইরে থেকে বিঘ্ন ঘটানোও সম্ভব নয়। আলোভিত্তিক এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন এই প্রযুক্তির রিসিভার হচ্ছে এই বাক্সটি।

পাশাপাশি অন্যান্য লাইফাই ডিভাইসগুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সেগুলোর অন্তত একটি সবসময় রিসিভারের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে। ফলে রোবটটি সার্বক্ষণিক নড়াচড়ার মধ্যে থাকলেও তথ্য সরবরাহ কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। আর এই প্রকল্পের জন্য এটা এক বড় সাফল্য।

আনাগ্নোস্টিস বলেন, আমার মত হচ্ছে, এই প্রযুক্তি প্রথমে একটি শিল্পখাতে প্রয়োগ করা উচিত। কেননা সেখানেই এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা পূরণ করতে পারি এবং একইসঙ্গে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আরো সুযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে আলোর মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থা আমাদের নিত্যদিনের কাজকর্মেও ব্যবহার করা যাবে। যেমন মিউজিয়াম এবং গণপরিবহনে এটা কাজে লাগতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশে যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ রয়েছে কিংবা যেখানে সাধারণ তারহীন প্রযুক্তি ব্যবহারে জটিলতা রয়েছে। তবে, সেসবের আগে বেশি কিছু সমস্যাও সমাধান করতে হবে।

গবেষকরা আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানের আশা করছেন। আর তখন নিত্যদিনে ব্যবহার করা যাবে লাইফাই।

Source: Kalerkontho

26
ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অনলাইনে লেনদেন–সম্পর্কিত তথ্য চুরির ক্ষেত্রে ফেসবুককে বেশি কাজে লাগাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ফিশিং বা ক্ষতিকর লিংকযুক্ত মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে ফেসবুককে নকল করার হার এখন সবচেয়ে বেশি।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব ব্যস্ত অনলাইন কেনাকাটার মৌসুমের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেকপয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিস। তাদের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনটি গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।



চেকপয়েন্টের থ্রেট ইনটেলিজেন্স শাখা চেকপয়েন্ট রিসার্চের গবেষকেরা বলেন, সবচেয়ে বেশি ই-মেইল ফিশিং আক্রমণের শিকার হওয়া ব্র্যান্ডের শীর্ষে ছিল ইয়াহু। সুইডেনের মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাইকে ওয়েবভিত্তিক ফিশিং আক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নকল করা হয়।

ব্র্যান্ড ফিশিং আক্রমণের ক্ষেত্রে সাইবার দুর্বৃত্তরা কোনো অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা পরিচিত কোনো ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট নকল করে। এ ক্ষেত্রে তারা কাছাকাছি ডোমেইন নেম ও ইউআরএল বা ওয়েবপেজ ডিজাইন নকল করে প্রকৃত সাইটের মতোই তৈরি করে।

ভুয়া ওয়েবসাইটে একধরনের ফরম থাকে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের ‘ব্র্যান্ড ফিশিং রিপোর্ট’ অনুযায়ী, সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা রকম কৌশল খাটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার কারকারীদের ধোঁকা দেয়।

থ্রেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের পরিচালক মায়া হরোইজ বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে বা লগইনসংক্রান্ত পাসওয়ার্ড পেতে নানা রকম কৌশল নিতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। সাধারণত স্প্যাম মেইল বা কোনো কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে পাঠানো ক্ষতিকর লিংকযুক্ত মেইল এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়েবপেজের মতো নকল ওয়েবপেজ তৈরি করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট আক্রমণ পরিচালনা করে দুর্বৃত্তরা। নেটফ্লিক্স, পেপ্যাল ও মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটের নকলও করে তারা।

Source: Prothomalo

28
Online Money Earning / অনলাইনে ছবি বিক্রি
« on: February 04, 2020, 10:28:41 AM »
অনেকের জন্য ফটোগ্রাফি একটি নেশা, আবার অনেকের জন্য পেশা। নেশা বা পেশা যা-ই হোক না কেন, চাইলে ভালো মানের ছবি অনলাইনে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। ডিএসএলআর ক্যামেরাই হোক আর ভালো মোবাইল ফোন ক্যামেরাই হোক, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ক্রেতার চাহিদা পূরণে সক্ষম যেকোনো ছবিই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



ছবির অনলাইন বাজার

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট আছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করার শর্তাবলি ভিন্ন ভিন্ন হয়। একেকটি ওয়েবসাইটে লাখ লাখ ছবি বিভাগ অনুযায়ী সাজানো থাকে ক্রেতাদের প্রদর্শনের জন্য। আর অনলাইনে ছবি ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়। শাটার স্টক, আই-স্টক ফটো, অ্যালামাই, ফটোলিয়া (অ্যাডোবি স্টক), ক্রেস্টক, বিগস্টকফটো, গেটি ইমেজেস, ড্রিমসটাইমসহ আরও অনেক মার্কেটপ্লেসে ছবি বিক্রি করা যায়।

নিবন্ধন ও মান যাচাই
প্রতিটি ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করার আগে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করতে হয়। কাজের মান যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইটে নির্দিষ্টসংখ্যক ছবি জমা দিতে হয় অথবা পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়। মান যাচাইয়ের পর উত্তীর্ণ ছবিগুলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।

কারা কেনেন, কেন কেনেন

বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, গণমাধ্যম, ব্লগ ও অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তাদের কাজে ব্যবহারের জন্য ছবি কিনে থাকে। সব ধরনের ছবিই বিক্রি হতে পারে। ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে প্রকৃতি, ভ্রমণ, খাবারদাবার, সাজসজ্জা, শিক্ষা, চিকিৎসা, আন্দোলন, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক ইত্যাদি। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে কপিরাইটমুক্ত ছবি। গুগল ইমেজ সার্চ থেকে সরাসরি ছবি নিলে স্বত্ব নিয়ে ঝামেলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তারা গুগল থেকে সরাসরি ছবি না নিয়ে অনলাইন বাজার থেকে কপিরাইটমুক্ত ছবি কিনে থাকেন।

কত সম্মানী পাওয়া যায়

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায়, তার একটি অংশ ছবির মালিককে সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয়। ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করে থাকে। দৈনিক বা মাসিক ছবির সংখ্যার ওপর প্যাকেজের মূল্য নির্ধারিত হয়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট ভেদে ছবি বিক্রির ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছবির মালিককে সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয়। তবে একজন বিক্রেতা যদি একটি নির্দিষ্ট ছবি শুধু একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (এক্সক্লুসিভলি) বিক্রি করেন, তাহলে বেশি সম্মানী পেতে পারেন আর যদি একটি নির্দিষ্ট ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে (নন-এক্সক্লুসিভলি) বিক্রি করেন, তাহলে সম্মানীর পরিমাণ কমে যেতে পারে। সম্মানীর পরিমাণ কম হলেও ছবি বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে কোনো নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেস থেকে বেশি আয় করা সম্ভব।

যা খেয়াল রাখা উচিত

কাজ শুরুর আগে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখা ভালো।

১. নিবন্ধন করার আগে মার্কেটপ্লেসের শর্তাবলি ভালোভাবে জেনে নেওয়া

২. বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে স্থান পাওয়া ছবিগুলো দেখে ছবির মান ও ধরন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া

৩. ছবির রেজল্যুশন ও উচ্চতা-প্রস্থের অনুপাত সম্পর্কে সচেতন থাকা

৪. ছবিতে আলোর পরিমাণ যথাযথ রাখা

৫. ছবিটি কেনার পর ক্রেতার যেন খুব বেশি সম্পাদনার প্রয়োজন না পড়ে, সেদিকে নজর রাখা

৬. বাংলাদেশ থেকে টাকা তোলা যাবে কি না

৭. কত শতাংশ সম্মানী হিসেবে পাওয়া যাবে

৮. কত দিন পরপর টাকা তোলা যাবে

৯. সর্বনিম্ন কত টাকা তোলা যাবে

Source: Prothomalo

29
এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা ঘরে বসে করা যায়, এমন কাজ খোঁজেন। গুগল তাদের সার্চ ফিচারে এমন সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গুগলে চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করার বছরখানেক পরে চাকরি খোঁজার ফিচারে নতুন এ সুবিধা যুক্ত করছে গুগল।



গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগদাতা ও চাকরি দেওয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে যুক্ত করতে উন্নত চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করছে গুগল। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি ঘরে বসে বা দূরে বসে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যাবে।

যাঁরা ঘরে বসে কাজ খোঁজেন, তাঁদের জন্য এই ফাংশন দারুণ কাজে দেবে। গুগলের ক্লাউড পণ্য ব্যবস্থাপক জেনিফার সু গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানান।

গুগল তাদের সাইটে ১০০টি ভাষার চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করেছে।

গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন গুগল সার্চ ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা আছে, এমন কাজ খুঁজছেন বেশি। তাঁদের কথা ভেবেই নতুন সুবিধা আনা হচ্ছে।

Source: Prothomalo

30
ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী বা গৃহিণী, অনেকেই শখের বশে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। কিন্তু লেখার মান ভালো হলে এই শখের কাজ থেকেই আয় করা সম্ভব। তা ছাড়া আপনার লেখা প্রিন্ট মাধ্যম বা অনলাইনে প্রকাশিত হলে আপনি সবার কাছ থেকে পাবেন বাড়তি কদর। অফলাইন ও অনলাইন দুইভাবেই কনটেন্ট রাইটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখে অফলাইনে আয় করা যায়। আর অনলাইনে আয় করতে আপওয়ার্ক, ফিভার, ফ্রিল্যান্সারসহ অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিবন্ধন করে খুঁজে নিতে হবে নিজের পছন্দের লেখালেখির কাজটি।

কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে

যে কেউই কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন চাকরি করতে চাইলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে। তবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বা অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। লেখার ভালো হাত থাকলে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব। ভাষাগত দক্ষতা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বাধীন আয়ের উৎস হিসেবে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং কী কী ধরনের হতে পারে

বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ দিয়ে থাকেন। কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে কিছু ধরন হলো ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ই-বুক রাইটিং, নিউজ কনটেন্ট রাইটিং, এসইও কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং, পণ্যের রিভিউ লেখা, পণ্যের বর্ণনা লেখা, একাডেমিক কনটেন্ট রাইটিং, সিভি রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং, গবেষণার কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও ব্রশিউর রাইটিং ইত্যাদি। তা ছাড়া রি-রাইটিং, প্রুফরিডিং ও এডিটিংয়ের কাজও করা যায়।

পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। দেশের পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখলে প্রতিটি লেখা ছাপা হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী পাওয়া যায়। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের উল্লেখযোগ্য প্রসারের কারণে প্রয়োজন পড়ছে অধিক সংখ্যক অনলাইন কনটেন্টের। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি কাজ জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করা সম্ভব। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে উচিত কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো মানের কাজ প্রদান করে সেবাগ্রহীতার থেকে ভালো মন্তব্য আদায় করে নেওয়া। তবে প্রথমেই পূর্ণ পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের আয়ের ওপর নির্ভর না করে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেখালেখির কাজটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। অভিজ্ঞতা ও কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভালো মানের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিকও বেশি পাওয়া যাবে। তখন কনটেন্ট রাইটিংকে পূর্ণ পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।

ভালো কনটেন্ট তৈরির উপায়

কাজ পাওয়ার পর প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কী উদ্দেশ্যে আপনি কনটেন্ট তৈরি করছেন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি আপনার মেধা দিয়ে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।

● বিভিন্ন ভালো কনটেন্ট পড়ে একটি সামগ্রিক ধারণা তৈরি করা

● অন্যের কনটেন্ট কপি-পেস্ট না করে স্বতন্ত্র কনটেন্ট তৈরি করা

● বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখা

● নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে কোনো তথ্য না দেওয়া

● নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা

● অনেক বড় প্যারাগ্রাফ না লিখে একেকটি বিষয়ের জন্য একেকটি ছোট প্যারাগ্রাফ তৈরি করা

● যথাযথ কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা

● নিয়মিত চর্চা করা

Source: Prothomalo

Pages: 1 [2] 3 4