Recent Posts

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 10
51
যা হয়েছিল সেই গবেষণায়

৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৬১ জন মেয়েকে নিয়ে গবেষণাটি করা হয়। এই মেয়েদের সবাইকেই বেশ চাপের পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছিল। কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে কোনো বিষয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয়েছিল তাদের। আরও ছিল কঠিন অঙ্কের হিসাব কষার কাজ। এসব কাজ তাদের করতে হয়েছিল অচেনা মানুষদের সামনে। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়ার পর মেয়েদেরকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। একটি দলের মেয়েদেরকে তাদের মায়েদের স্পর্শ পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অন্য একটি দলের মেয়েরা তাদের মায়েদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল। বাকি দলটির মেয়েরা সাদামাটা একটি চলচ্চিত্র দেখে মনের চাপ কমানোর সুযোগ পেয়েছিল। তারপর তিনটি দলের মেয়েদের লালা এবং প্রস্রাবের হরমোন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল, কাদের মানসিক চাপ সত্যিই কমেছিল।


গবেষণার ফলাফল
যারা মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিল এবং যারা মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল, তাদের হরমোনের পরিবর্তন ছিল ইতিবাচক। আবেগ ও ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন অক্সিটোসিন বেড়েছিল এই দুই দলের মেয়েদেরই। চাপের হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে গিয়েছিল। মা যখন সন্তানকে জড়িয়ে ধরেন কিংবা কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেন, তখন হরমোনের এ ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ এ গবেষণার ফলাফল বলছে, মায়ের কণ্ঠস্বর মাকে জড়িয়ে ধরার মতোই প্রশান্তি দিতে পারে সন্তানকে। যে দলটিকে চলচ্চিত্র দেখতে দেওয়া হয়েছিল, তাদের হরমোনের এমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি।

শেষ কথা
পড়ালেখা বা কাজের সূত্রে মায়ের থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। বিয়ের পর অনেককে মায়ের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে হয়। কারণ যেটিই হোক, মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকার অর্থই হলো আপনি মায়ের শরীরের চেনা গন্ধটা পাচ্ছেন না, চাইলেই মাকে জড়িয়ে ধরতে পারছেন না। তবে সব সময়ের জন্য মায়ের কাছে থাকার কিংবা মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসার সুযোগ না পেলেও আপনি মায়ের কাছে থাকার প্রশান্তির খানিকটা পেতেই পারেন। যোগাযোগপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে অডিও বা ভিডিও কল করা তো কোনো ব্যাপারই নয়। তাই যত দূরেই থাকুন না কেন, মাকে ফোন করুন নিয়মিত। তাতে আপনি ভালো থাকবেন, ভালো থাকবেন আপনার মা।


সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
52


পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন ঘটে। শরীর ক্রমেই এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। এরপর আসে ঈদ। ঈদের দুই–তিন দিন খাবারের বেলায় বেশি বিধিনিষেধ মানা হয় না। এত কিছুর পর এবার স্বাভাবিক লাইফস্টাইলে ফিরে আসার সময় হয়েছে। শরীরকে আবার রোজকার আদর্শ খাদ্যাভ্যাসে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রোজা শেষে নিয়মিত খাবারের ধরনে ফেরার সময় হজমে অস্বস্তি ও বিপাকীয় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের ওজনও বাড়তে পারে।

লক্ষ রাখুন

পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার দিয়ে শুরু করুন। গরম পড়েছে, তাই ভারী খাবার কমিয়ে দিন। বাড়তি খাওয়া এড়ানোর চেষ্টা করুন।

ভারী ব্যায়াম শুরু করার আগে হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।

ফল, শাকসবজি ও শস্যের মতো খাবারগুলো অগ্রাধিকার দিন। শর্করা, আমিষ, ভালো চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেলসমৃদ্ধ সুষম খাবারে
অভ্যস্ত হোন।

 

খাদ্যতালিকায় রাখুন

ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট পেতে ফলমূল ও শাকসবজি।

লাল আটার রুটি, ওটস বা লাল চালের ভাতের মতো শস্যজাতীয় খাবার।

মুরগি, গরুর মাংস, মাছ বা ডিমের মতো উৎস থেকে খাবারে প্রোটিন যোগ করুন। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন।

হজমে সহায়তা করার জন্য বেশ খানিকটা ফাইবারজাতীয় (আঁশ) খাবার রাখবেন।

কিছু পরামর্শ

উৎসব পেরিয়ে গেলে খাবারের মধ্যে সালাদ, শাকসবজি ও স্যুপ রাখুন, যা হজমে সাহায্য করবে এবং শরীরকে বেশি চাপ দেবে না। প্রচুর তাজা ফলমূল খান।

প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সহায়ক। পাশাপাশি বাড়িতে তৈরি ফলের রস, দইয়ের লাচ্ছি, ডাবের পানি পান করতে পারেন এ গরমে।

ঈদের পর কাজের চাপে শরীর একটু ক্লান্ত ও ভারী অনুভূত হতে পারে। এর মানে এ নয় যে শারীরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের পর হালকা ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে, খাবার ভালোভাবে হজম হয় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ঈদে কেক, পায়েস, সেমাই, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টান্ন খাবার বেশি খাওয়া হয়। অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে শরীরে ও যকৃতে চর্বি জমতে পারে, রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তাই ঈদের পর মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে প্রাকৃতিক বা অর্গানিক উৎস থেকে শর্করা গ্রহণ করুন, যেমন ফলমূল বা জটিল শর্করা।

উৎসবে ভারী খাবার থেকে ফিরে আসার জন্য প্রাকৃতিক ও সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ দুধ, দই, বাদাম, ওটস, চিয়া সিডস ইত্যাদি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

উৎসব ও রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য পরিচিত সমস্যা। এটি থেকে বাঁচতে আঁশযুক্ত খাবার খান। প্রচুর পানি পান করুন।

মনে রাখবেন, রোজায় খাবারের সূচি পাল্টে যায়। রোজার পর আবার তা পরিবর্তন হয়। তাই সকালে স্বাস্থ্যকর নাশতা জরুরি। দুপুরে মাছ, ডাল, সবজি রাখুন। রাতে হালকা খাবার। তাহলে ধীরে ধীরে শরীর স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরতে পারবে।

লাজিনা ইসলাম চৌধুরী: পুষ্টিবিদ পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা
53
AI in Education / How How AI Is Transforming Education Forever
« Last post by Imrul Hasan Tusher on April 05, 2025, 01:09:59 PM »
How How AI Is Transforming Education Forever — and What It Means for the Next Generation of Thinkers

As AI reshapes learning and fuels entrepreneurial thinking, the institutions that embrace innovation will create the next generation of problem-solvers, while others risk becoming obsolete.

Key Takeaways

1. Students are already leveraging AI to learn, create and problem-solve. Institutions that embrace AI as a learning partner will succeed, while those that fail to integrate it will fade into irrelevance.

2. The education system must move beyond memorization and rigid curriculums to focus on adaptability, problem-solving and hands-on experience with emerging technologies.

3. Schools should foster entrepreneurial thinking by allowing students to actually work on real-world problems, teaching them to embrace failure as a learning tool and building networks and ecosystem collaborations.

Opinions expressed by Entrepreneur contributors are their own.

AI is already transforming education, whether academia is ready or not. Students are using AI tools to learn, create and problem-solve on their own terms. Institutions that embrace AI as a learning partner will thrive, while those that resist will fade into irrelevance. AI isn't just an add-on — it's the foundation for a faster, more adaptive and more impactful education system.

The problem: Schools are preparing students for a world that no longer exists

Advancements in AI are redefining the skills needed for success. Yet, our education system remains stuck in an industrial-era model, preparing students for a workforce that no longer exists. Schools continue to emphasize memorization, standardized testing and rigid curriculums that fail to equip students for the modern world.

If we want to future-proof the next generation, we need to rethink education from the ground up, focusing on adaptability, problem-solving and continuous learning. I'm not dismissing academia — after all, the internet, groundbreaking scientific discoveries and countless innovations emerged from universities and research institutions. But for the next era, we must merge academia with AI, innovation and entrepreneurship, ensuring that students don't just consume knowledge but also create, build and shape the future.

AI is driving this change — universities must keep up

AI is already rewriting the rules of education. Students are using AI — whether institutions allow it or not. For every AI detection tool, there will be a workaround. The institutions that embrace AI as a learning tool rather than fight it will be the ones that stay relevant.

What this means for education:

Institutions must move at the speed of innovation, with policies that enable rather than hinder progress.

AI should be thoughtfully integrated into the curriculum and assignments, and not ignored and shamed

AI can and should replace outdated operational processes, freeing resources to focus on what truly matters: impactful, adaptive education.

Reimagine. Reinvent. Reinnovate.

With the world's knowledge now accessible to everyone, education must move at the speed of innovation. We don't need a system that prepares students for jobs that will soon be obsolete — we need one that equips them with the mindset, skills and tools to create the future. We need a system that prioritizes problem-solving over memorization, adaptability over rigidity and hands-on experience over theoretical knowledge.

This isn't about dismantling education; it's about intentionally rebuilding it for what's next. And if we need a blueprint, entrepreneurs have already figured it out.

Entrepreneurs succeed because they learn differently

Entrepreneurs don't wait for permission to solve problems — they identify gaps, experiment, fail fast and iterate. They operate in environments of uncertainty, adapting to new technologies and market shifts in real time. Imagine if schools encouraged the same mindset:

Learning by doing: Entrepreneurs don't just study business; they build businesses. Students should be launching projects, coding apps and working on real-world problems instead of just reading about them.

Embracing failure as a learning tool: In school, failure means bad grades. In business, failure is data. Teaching students to experiment, iterate and learn from setbacks fosters resilience and problem-solving skills.

Building networks and ecosystem collaborations: Entrepreneurs succeed by surrounding themselves with mentors and ecosystem peers.

Entrepreneurial thinking isn't just for business owners — it's one of the most critical survival skills for the next few decades. AI transformation will reward those who can adapt, innovate and continuously learn, not those who simply follow instructions

3 key tracks for reimagining education

Reforming education isn't about minor adjustments. It's about reimagining everything. I've seen this firsthand through my work with institutions worldwide, helping them transform to stay ahead of the future. Whether running AI innovation and entrepreneurship workshops, launching AI-driven business incubators or advising on modernizing education models, one thing is clear: The schools that thrive are those that recognize learning must be as dynamic as the world itself.

The institutions succeeding in this new era aren't the ones resisting change — they're the ones embracing it. They understand that education isn't a rigid system but a continuously evolving ecosystem. The most forward-thinking schools are moving beyond being mere knowledge distributors and instead becoming real-world innovation hubs where students, faculty and industry collaborate to shape the future.

1. Curriculum transformation: What should students actually be learning?

Move from static to dynamic learning: Shift curriculums to evolving, real-time learning paths that adapt to industry trends and technological advancements.

Teach future-ready skills: Embed digital fluency, critical thinking, problem-solving and hands-on experience with emerging technologies into every discipline.

Integrate use of AI: Ensure students actively use AI in coursework to tackle real-world challenges, applying entrepreneurial thinking and practical execution rather than just studying theories.

2. Rethinking university operations: How should education be delivered?

Streamline bureaucracy: Cut administrative red tape and outdated approval processes to create a more agile, responsive system.

Automate where possible: Leverage AI to handle routine back-office tasks, freeing up resources for academic initiatives.

Embrace agile operations: Universities that operate like startups — lean, fast and adaptive — will thrive in an era of rapid change.

3. Real-time innovation, AI entrepreneurship and industry collaboration

Redefine entrepreneurship as problem-solving in real time: Shift the focus from business creation to using AI and technology to solve real-world challenges with instant feedback.

Become a hub for AI innovation in your region: Engage with employers, startups and ecosystem players, creating partnerships that bridge education and industry.

Create AI innovation centers to drive pragmatic results: Establish dedicated programs and spaces where students, faculty and industry leaders collaborate to deliver pragmatic, measurable AI solutions.


Education must become a living, breathing AI innovation lab

The academic environment has long been a place of discovery, innovation and progress. Universities have shaped industries, advanced society and nurtured generations of thinkers and leaders. Now, with AI transforming learning in real time, education has an unprecedented opportunity to evolve even further.

AI isn't just a tool — it's a catalyst for deeper learning, creativity and real-world problem-solving. It enables students, educators and industry leaders to collaborate in ways never before possible, accelerating innovation and bridging the gap between theory and practice.

The institutions that embrace AI, entrepreneurship and continuous innovation will lead the next era of learning. The moment to act is now — AI is already rewriting the rules.

Source: https://forum.daffodilvarsity.edu.bd/index.php?action=post;board=1776.0
54
Generative AI / Which jobs will most likely be replaced with AI first
« Last post by Imrul Hasan Tusher on April 05, 2025, 01:04:14 PM »
Which jobs will most likely be replaced with AI first after Bill Gates revealed the only three he believes will survive

As artificial intelligence continues to become an increasing part of our day-to-day lives, there are some jobs that the technology is likely more capable of managing than others.

If you're familiar with AI tech like ChatGPT, you might already be using it to make your work life easier. Maybe you ask it to write up a schedule, or help you out with a few ideas when you find yourself stuck in a rut.

But there's a difference between using the tech to help you out at work, and having it take over your job altogether.

Bill Gates, the co-founder of Microsoft, has previously shared his thoughts on the positions that would prove too complex for AI to manage at the moment, suggesting roles in coding, the energy sector and biology are safe - at least for the time being.


Artificial intelligence is becoming increasingly capable (Jia Tianyong/China News Service/VCG via Getty Images)

However, what kind of jobs could be at risk of becoming more and more automated?

Last year, Forbes took a dive into the jobs that AI realistically could manage - and you might have noticed that a few of the positions are already being diverted to artificial workers.

Data and Administration

While one wrong entry in a spreadsheet could turn into a nightmare for humans, AI's position as a computer means it's not only capable of processing and organizing huge amounts of data quickly, but also with precision.

Jobs around data entry could therefore be at risk, though AI could also prove beneficial to workers who only have to deal with repetitive tasks such as data entry on an occasional basis, as AI could take the task off their hands.


Filing data is one of the roles AI could potentially take over (Getty Stock Photo)

Customer Service

If you've called a restaurant or helpline recently and been fooled by a scarily realistic voice that turned out to be AI, then you'll know that this is an area where AI is already prevalent.

Since systems like Siri and Alexa can already respond to human requests, extending that into the customer service sector is simply building on that task. Arguably it does remove the element of human empathy from calls, but AI has the benefit of offering personalized responses and managing queries at a high volume.

Assembly Lines

Images from factories already prove that robotic technology has been implemented in this area, with AI-equipped robots capable of managing assembly lines and roles in manufacturing with precision.

Not only can the robots work quickly, but they don't need to take breaks, meaning the businesses become a lot more productive than would be possible with human workers.

Graphic Design

While AI might lack the complete originality of the human brain, the tech is capable of coming up with basic design elements and carrying out simple design tasks such as creating social media posts and website layouts. Removing humans from these roles could prove cost-effective for businesses.

Translation

Being able to speak multiple languages and bridge a barrier between cultures is a passion for millions of people, but the increased capabilities of AI make it possible for anyone with a phone to translate their words.

On a bigger scale, AI could provide straightforward text in multiple languages in real time, making them a cost-effective alternative to human translators.

Photo Editing

Similar to graphic design, this comes with the caveat that AI does not have the same level of creativity that human photographers and editors do, but the tech is capable of carrying out straightforward editing such as adjusting lighting and framing photos.

Admittedly it's disheartening to think that so many roles could be replaced by AI, but there's also the benefit of utilizing the technology to allow human workers the time to carry out more complex tasks, or to make our day-to-day lives easier. The tech isn't as individual and unique as a human and we can only hope that it will never replace true human interaction, but as it becomes more advanced every day, it's probably better to lean into the tech than try to fight it.



Bill Gates believes only these three jobs will survive AI taking over workplaces

Bill Gates had a rather bleak prediction for the future as AI continues to change the way the world works.

In case you somehow have missed the latest technological advancements, the increasing prevalence of artificial intelligence has gotten some workers feeling a bit nervous.

And while it might not exactly be like the dystopian futures seen in popular sci-fi films, it could still be a less than ideal situation for us mere mortals as AI advances, at least, according to billionaire Bill Gates.

The tech mogul has reportedly warned that many jobs will simply become obsolete as the technology becomes more ingrained in society.

But Gates has been pretty confident that there are three jobs which AI will keep its hands off.


Bill Gates isn't exactly optimistic about AI advancing AND you keeping your job (Sean Gallup/Getty Images)

Wonderful for them, but at least there are interesting reasons as to why their jobs aren’t under threat like the rest of us.

Coders
While AI can generate code, at this point, it is far from perfect. People will need to be able to monitor it, fix mistakes and bugs as well as design even more advanced systems.

So we have AI needing people to... build and monitor more AI. Kind of poetic in a way.

Energy experts
Gates has also alluded to the energy sector being too complex for AI to realistically handle at this stage.

The oil, nuclear and renewable energy sectors require strategy and too much expertise to have a fully automated industry.

Engineers, researchers, and technicians are expected to still be needed to manage infrastructure, understand industry challenges, and innovate for the future.


AI is expected to be a mainstay in society in some form or another (Getty Stock Image)

Biologists

When it comes to biologists, while AI can be used as a tool (like it already is) in the medical industry, the technology lacks the necessary creativity for scientific discovery.

So, in the meantime experts will likely just use it for analyzing heaps of data and diagnosing diseases.

Gates has admitted he certainly could be wrong but the way this ever-advancing technology is used will likely reshape everyday life in similar ways the industrial revolution and the internet did in the past.

And if by some miracle AI doesn’t become a mainstay, we can all claim we knew it was never going to take off and was just a fad.

Source: https://www.unilad.com/news/us-news/bill-gates-ai-taking-over-jobs-886912-20250326
55
যাঁরা খেজুর খেতে চান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য

খেজুর ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজসমৃদ্ধ। খেতে সুস্বাদু, শক্তির ভালো উৎস। রমজান মাস ছাড়াও নিয়মিত খেজুর খান অনেকেই। তবে কেউ কেউ খেজুর পছন্দ করেন না বলে খান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য।


রমজান মাস ছাড়াও নিয়মিত খেজুর খান অনেকেইছবি: পেক্সেলস

প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে থাকে
ক্যালরি ৩০০ কিলোক্যালরি

শর্করা ৭৫.০৩ গ্রাম

আমিষ ২.৫ গ্রাম

চর্বি ০.৩৯ গ্রাম

খাদ্য আঁশ ৮ গ্রাম

বিটা-ক্যারোটিন ৬ মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন এ ১০ আইইউ

থায়ামিন (বি১) ০.০৫২ মিলিগ্রাম

রিবোফ্লাভিন (বি২) ০.০৬৬ মিলিগ্রাম

নায়াসিন (বি৩) ১.২৭৪ মিলিগ্রাম

প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৫৮৯ মিলি গ্রাম

ভিটামিন বি৬ ০.১৬৫ মিলিগ্রাম

ফোলেট (বি৯) ১৯ মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন সি ০.৪ মিলিগ্রাম

ভিটামিন ই ০.০৫ মিলিগ্রাম

ভিটামিন কে ২.৭ মাইক্রোগ্রাম

ক্যালসিয়াম ৩৯ মিলিগ্রাম

লৌহ ১.০২ মিলিগ্রাম

ম্যাগনেশিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম

ম্যাংগানিজ ০.২৬২ মিলিগ্রাম

ফসফরাস ৬২ মিলিগ্রাম

পটাশিয়াম ৬৫৬ মিলিগ্রাম

সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম

জিংক ০.২৯ মিলিগ্রাম


ইফতারে ২-৩টি খেজুর খেলে আপনার শারীরিক দুর্বলতা দূর হবেছবি: পেক্সেলস

সারা দিন রোজা রাখার ফলে রক্তের শর্করা বেশ কমে যায়। ইফতারে কোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেয়ে ২-৩টা খেজুর খেলে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে আবার বাড়বে। তবে খেজুর উচ্চ ক্যালরি-সমৃদ্ধ এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। অনেকে বলেন, সকালে খালি পেটে খেজুর ভেজানো পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

ইফতারে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
১. সারা দিন রোজা রাখার ফলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। ইফতারে ২-৩টি খেজুর খেলে আপনার শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে। খেজুর এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। শুধু রোজার সময় নয়, যেকোনো কারণে শারীরিক দুর্বলতায় খেজুর এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

২. খেজুরে আয়রন বেশি বলে যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খেজুর খুব উপকারী।

৩. খেজুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।


খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ বিদ্যমানছবি: পেক্সেলস

৪. খেজুর আঁশসমৃদ্ধ বলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে; রক্তের কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল (খারাপ চর্বি) কমাতে সহায়ক।

৫. খেজুরে পটাশিয়াম বেশি থাকায় স্নায়ু ও পেশির দুর্বলতা কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৬. খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ বিদ্যমান। অল্প খেজুর আপনার শরীরের সারা দিনের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম। প্রতিদিন শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুর খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৭. বাড়ন্ত শিশুদের খাবারে প্রতিদিন ২-৩টি খেজুর রাখলে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ফলে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি হয় ত্বরান্বিত।

৮. অন্তঃসত্ত্বা নারীর আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ সব ধরনের খনিজের ঘাটতি পূরণে খেজুর অতুলনীয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা ঘটে।

৯. খেজুরের ক্যারোটিনয়েড–জাতীয় উপাদান চোখের রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে।

অপকারিতা

খেজুরের তেমন কোনো অপকারী দিক নেই বললেই চলে। উচ্চ পটাশিয়াম থাকায় কিডনি রোগীদের জন্য খেজুর উপযোগী নয়। ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারবেন, তবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।


অতিরিক্ত খেজুর খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকেছবি: পেক্সেলস

কাঁচা খেজুর

কাঁচা খেজুর ও পাকা খেজুরের মধ্যে প্রধান পার্থক্য সুগারে। পাকা খেজুরে সুগারের পরিমাণ একটু বেশি, কাঁচা খেজুরে বেশ কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পাকা খেজুরের চেয়ে কাঁচা খেজুর বেশি উপযোগী। তাই শুধু রোজার মাসেই নয়, সারা বছরই প্রতিদিন অন্তত দুটি করে খেজুর আপনার খাবার তালিকায় রাখুন।

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/qzltxankgh
56
পিএইচডি একজন শিক্ষকের পূর্ব শর্ত হওয়া উচিত


ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিজেই নিজের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার পক্ষে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। লাগাম টানতে টান অর্থ উত্তোলনের একক ক্ষমতায়। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নিরঙ্কুশতায়। কিন্তু, কেনো? দৈনিক আমাদেও বার্তাকে দেয়া সাম্প্রতিক এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সাবলিলভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কথা বলেছেন, সমসাময়িক পরিস্থিতি ও করণীয়, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক, গবেষণার মান ও প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।

পিএইচডি রিসার্চ বর্তমানে খুব বেশি প্রচলিত একটা শব্দ। সম্প্রতি একটি কথা উঠেছে যে, ‘নো পিএইচডি নো প্রফেসর’। এই বিষয়টিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? অধ্যাপনার জন্য পিএইডডি কতোটা জরুরি বলে মনে করেন?

প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের নিয়োগ নিয়ে অনেকরকম সমালোচনা আছে, আমাদের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে। যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা পদ্ধতিগতভাবে রাজনীতিকরণ করেছি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রাজনীতিকরণ করেছি। আমরা যারা রাজনীতির বাইরের মানুষ, আমাদের পক্ষে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন একটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। এবং এটি করতে গেলে কিছু ভালো উদাহরণ তৈরি করতে হবে।

লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা যদি বলি, আমাদের ক্ষেত্রে যেটা করেছি- আমি যদি এখন প্রথমেই হাত দেই যে, ঠিক আছে একদম ঢালাওভাবে সব পরিবর্তন করতে চাই, যে পরিমাণ রেজিস্ট্যান্স হবে, আমার এখনকার যে বাস্তবতা, বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র এবং জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেখানে আমাকে প্রতিদিন টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে, আমার পক্ষে খুব বেশি বড় পরিসরে হঠাৎ করে রিফর্ম করা কঠিন।

অতএব, আমি কিছু ভালো উদাহরণ তৈরি করতে চাই। সেই উদাহরণগুলো থেকে ছাত্র-শিক্ষকরা এটাকে যখন গ্রহণ করবেন, ওই উদাহরণটা থেকে আমরা সাপোর্ট তৈরি করবো এবং তারপর থেকে স্কিল আপ করবো। একটা উদাহরণ দেই- আমার যে রিসার্র্চ সেন্টারগুলো আছে, এখন রিসার্চ সেন্টারগুলোতে আমরা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছি। আর আগে এটা লিটারেলি ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দিতে পারতেন। তিনি যাকে খুশি তাকে দিতে পারতেন। এখানে রাজনৈতিক বিবেচনা মুখ্য হতো।


এখন আমি যেটা করেছি, ভাইস চ্যান্সেলর ক্ষমতা কমিয়ে ফেলছি। এজন্য আমি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম করেছি। ভাইস চ্যান্সেলর সিদ্ধান্তগুলো এককভাবে নিতে পারবেন না। আমার প্ল্যান হচ্ছে, টাকার পরিমাণও লিমিট করে দেওয়া। যেমন- দশ লাখ টাকা, পাঁচ লাখ টাকা, আমি চিন্তা করছি কীভাবে করা যায়। একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি টাকা সাইন করতে গেলেই দুটি সিগনেচার লাগবে। এককভাবে ভাইস চ্যান্সেলর করতে পারবেন না।


ঠিক একইভাবে আমরা যেটা করছি নিয়োগের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার জন্য, আমরা একটা সার্চ কমিটি করেছি। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, যাদের সরাসরি কোনো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নেই, তারা এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন। তারা তিনটি নাম দেবেন। সেই তিনটি নাম থেকে একজনকে নেবেন। এর বাইরে যেতে পারবেন না।

এভাবে আমরা আমাদের দুটি প্রধান সেন্টারে অলরেডি নিয়োগ দিয়েছি। একটি হচ্ছে সামাজিক বিজ্ঞান উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র, আরেকটি হচ্ছে বিজ্ঞান উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র। দুটিতেই ভালো ফল পেয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই উদাহরণগুলো দিয়ে ধীরে ধীরে আমরা এরপর লেকচারারের জন্য প্রয়োগ করবো, ডিনদের জন্য প্রয়োগ করবো। আস্তে আস্তে এটা করতে হবে। যাতে আমি কিছু ভালো উদাহরণ তৈরি করতে পারি।

আমরা একটা কমেটি করে দিয়েছি এটা দেখবার জন্য যে, আমরা পিএইচডি বাধ্যতামূলক করবো কোন পর্যায় পর্যন্ত। জেনারেল পর্যায়ে এটা কারো কারো জন্য বিলাসিতা হতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষকের জন্য এটা পূর্ব শর্ত হওয়া উচিত। আমি এটাই মনে করি।

আপনার বক্তব্যের মধ্যে ফ্যাসিলিটির কথা এলো, পিএইচডির কথা এলো। কিন্তু, গবেষণার মান নিয়ে কী বলবেন? বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গবেষণা কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, আপনি আসার পর যেগুলো পেয়েছেন, এগুলোকে বিশ্বমানের সাথে তুলনা করলে আমরা কোন পর্যায়ে আছি?

প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা র‍্যাঙ্কিং নিয়ে আলাদা একটা উদ্যোগ নিয়েছি। একদম শুধু র‍্যাঙ্কিং দেখার জন্য। সংশ্লিষ্ট মণ্ডলীদের সাথে কথা বলে আমি বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছি। যেমন- জাস্ট একটা উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, ভালো জার্নাল যদি কেউ ছাপান, তার খরচটা আমাদের যত বাজেট সীমাবদ্ধতা থাকুক, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টাকাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভালো জার্নাল ছাপালে, জর্নাল ছাপানোর খরচটা আমরা দিচ্ছি। রিসার্চ প্রজেক্টগুলোর ক্ষেত্রে আমরা বাজেট কাট করছি না। এমনিতেই বাজেট কম, যতদূর আছে রিসার্চের ক্ষেত্রে কাজ করছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা গবেষণা প্রজেক্ট জমা দিচ্ছেন, তাদেরকে পূর্ণ ফ্যাসিলেশন দিচ্ছি। আমার দপ্তরে আমি দিনেরটা দিনে শেষ করার চেষ্টা করছি। কোনো সময় পারছি, আবার কোনো সময় পারছি না। কিন্তু দিনেরটা আর এক সপ্তাহ আটকে থাকবে না। সম্ভাবনা নেই।


কিছু উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে, টিকে থাকতে পারে, এরকম শিক্ষক আমাদের আছে। মুশকিল হচ্ছে অতি রাজনীতিকরণের কারণে এরা বেশিরভাগই ডুব দিয়ে থাকছে। তাদেরকে প্রশাসনিকভাবে আইডেন্টিফাই করে পূর্ণ ফ্যাসিলিটেট করা, সহযোগিতা করার কাজটা আমরা খুব সিস্টেমেটিক্যালি আগে করতে পারিনি। এখন সেটা করার চেষ্টা করছি। আমি তো কোনোরকম কোনো দলমত কিছু না দেখে, আমাদের যারা সবচাইতে ভালো পাবলিকেশন করেছেন এবং যাদের নাম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিস্টে আছে, তাদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছি। আইপিএসসির তরফ থেকে আমরা বলেছি যে, ট্রেনিং প্রশিক্ষণের জন্য বলেছি।

একটা ফাউন্ডেশন কোর্স আমরা সব শিক্ষকের জন্য চালু করতে চাই। সিভিল সার্ভিসেরও ফাউন্ডেশন কোর্স আছে। বিশেষ করে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আসবেন, তারা পদ্ধতিগতভাবে পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর ক্লাসে যাবেন। এটিকে আমি ধীরে ধীরে করতে চাই, তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এবার সম্পূর্ণ নতুন সিলেবাসে আইপিএসসির নেতৃত্বে একটি ফাউন্ডেশন কোর্স এবার রান করলাম। আগেও আমাদের এটা দুয়েকবার হয়েছে, কিন্তু ফাউন্ডেশন কোর্স তখন ছিল বিক্ষিপ্তভাবে। এবার আমরা পরিকল্পিতভাবে করছি, যাতে এটাকে বাধ্যতামূলক করতে পারি। যেন নতুন যারা শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন, তারা প্রত্যেকেই ফাউন্ডেশন কোর্স করে আসবেন। এবং তাতে অনেকগুলো বিষয় ইনক্লুডিং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, পাবলিক স্পিকিং, একজন শিক্ষক পরিষ্কার বাংলায় বা ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন- এই ব্যাপারগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।


আমরা এখনো আন্তর্জাতিক মানে অনেক পিছিয়ে আছি। কিন্তু আমাদের ভেতরে পটেনশিয়াল আছে। আমাদের এখনো ২০-২৫ ভাগ শিক্ষক আছেন, যারা ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু এই ব্যক্তি হিসেবে তার যে অর্জন, তার আমি প্রাতিষ্ঠানিকরণ করতে পারি না। সেটা যদি আমি করতে পারি, অটোমেটিক্যালি আমি কিছু বেনিফিট পাবো। সেজন্য আমি ঠিক ওই পথেই যাচ্ছি। তাতে আপনি কিছু পরিবর্তন হয়তো দেখবেন, তিন-চার মাসের মধ্যে সামান্য কিছু পরিবর্তন এসেছে। কিছু র‍্যাঙ্কিংয়ে আমরা চার-পাঁচ ধাপ এগিয়েছি। লং ওয়ে টু গো।

আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমার মনে হচ্ছে সমস্যাগুলো কোথায় মোটামুটি তা আইডেন্টিফাই করেছি এবং সইে অনুযায়ী একেকটা স্টেপ নিচ্ছি। সময় লাগবে। আই থিংক, উই আর ইন দ্যা রাইট ট্র‍্যাক।

একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা আছে যে, বাই ডিফল্ট ডাকসুর সভাপতি হচ্ছেন ভিসি। সবাই বলছেন, ভিসি কেন সভাপতি থাকবেন? এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?

আমার ব্যক্তিগত অভিমত যদি বলেন, আমি ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার পক্ষে। যেখানে যেখানে সম্ভব। এটা হলো আমার অবস্থান। এই ব্যাপারটার জন্যই আমরা কমিটিগুলো করে দিয়েছি। অল গঠনতন্ত্র সংশোধনে একটা পরিষ্কার কমিটি আছে, ছাত্রদের সাথে সিস্টেমেটিক মিটিং করছে তারা। তারা যদি বৃহত্তর সংগঠনের ভিত্তিতে বলে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

আপনার বক্তব্যেও ভেতরে কিন্তু শিক্ষাখাত এবং এনজিও খাত- দুটোরই ডেসক্রিপশন পাচ্ছি। আপনি একাধিকবার স্কেল আপ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এটি আসলে এনজিওতে সুপরিচিত শব্দ। শিক্ষায় তেমন একটা ব্যবহার হয় না। এই দুই খাতের মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যারেক্টারটাও আলাদা। যেমন আর ফর রেসপনসিবিলিটি। শিক্ষা রেসপনসিবিলিটি শেখায়। আবার আর ফর রাইটস। যার চর্চা এনজিওতে বেশী। এই দুটোর ভেতরে কীভাবে সমন্বয় হতে পারে?

প্রথম কথা হচ্ছে, আমি চাই সমাজের সব প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে চলতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনি সর্বজনীন একটা প্রতিষ্ঠান বলেন। এটা এনজিওরও প্রতিষ্ঠান, এটা সরকারেরও প্রতিষ্ঠান, এটা শ্রমিক বা রিকশাওয়ালারও প্রতিষ্ঠান। আবার এটা প্রফেসর ইউনূসেরও প্রতিষ্ঠান। এই মানসিকতা যদি আমাদের থাকে, তাহলে আমাকে বুঝতে হবে আমার শক্তি হচ্ছে সমাজকে নিয়ে চলা।


আমি সরকারের ওপর যতো নির্ভর করবো, আমার মেরুদণ্ড ততো দুর্বল হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সরকার এলে, তাদের যদি পূর্ণ সদিচ্ছাও থাকে.... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মাথা উঁচু করে চলতে হলে সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। পূর্ণ সদিচ্ছা থাকলেও আমাদের যে মাপের রিসোর্স দরকার, এটা সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এবং বিশেষ করে রাজনৈতিক সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা যতো বাড়বে, ততো আমার স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি বাড়বে। এবং সেটি বুঝতে হলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, তাহলে আমার শক্তি কী? এই মুহূর্তে আমার শক্তি কী? আমার পেছনে কোনো পুলিশও নেই, কোনো ছাত্র সংগঠনও নেই যে আমাকে সারাক্ষণ প্রটেকশন দিচ্ছে। আমি মূলত নির্ভর করছি আপনাদের ওপর।

আমার ওপর একটা আক্রমণ আসতে পারে, যদি আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলি এই কাজটা আমি চেষ্টা করছি সাপ্তাহিকভাবে করতে। আমি এতো দূর করতে পারলাম ভাই, এতদূর আমি পারছি না অমুকের কারণে। আমার ধারণা যে, মানুষ আমার পেছনে থাকবে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শক্তি। এবং ভাইস চ্যান্সেলরদেরকে এভাবেই চালাতে হবে। সেটা চালানোর জন্য আমাকে সার্বক্ষণিক সমাজকে নিয়ে চলতে হবে। যেখানে যেখানে সুযোগ আছে, অভিভাবকদের কাছে যাওয়া....। আমি এটা সব সময় বলি, আপনাদেরকে আবারো বলছি, আমার যদি আজকে ক্ষমতা থাকতো, আমার এই ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর বাবা এবং মাকে আমি ডেকে আনতাম। ডেকে একটা বিরাট মাঠে দাঁড়াতাম এবং তাদেরকে শুধু বলতাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বিশ্বাস করে আপনাদের সন্তানের দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনাদেরকে সালাম জানাই। শুধু এই কথাটুকুই বলবো, সমাজকে নিয়ে আমাকে চলতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নাই।

সমাজ যখন আমার পেছনে দাঁড়াবে, তখন এই ক্ষতিকারক শক্তিগুলো বিশেষ করে ক্ষতিকারক রাজনৈতিক শক্তিগুলো দুবার ভাববে আমাকে ঘাঁটানোর আগে। এটা পরিষ্কার কথা। রাজনৈতিক শক্তির মধ্যেও অনেক শুভশক্তি আছে। দুর্বৃত্তায়নের কারণে তুলনামূলকভাবে এই শুভ শক্তিরা এখন চাপা পড়ে যাচ্ছে। তারাও তখন আমার পাশে এসে দাঁড়াবে। আমার ভিত্তি তৈরি করার প্রধান উপায় হচ্ছে এটা যে, সমাজকে নিয়ে চলতে হবে আমাকে। যেখানে যেখানে সম্ভব, এনজিওকে নিয়ে চলবো। আমি ভলান্টিয়ার এজেন্সিগুলোকে নিয়ে চলবো। অভিভাবকদের নিয়ে চলবো। যেখানে যা সম্ভব, আমি সেটা করতে চাই।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটা স্বপ্ন সবার মাঝে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে কন্ট্রিবিউশন করতে পারে বা নেতৃত্ব দিতে পারে?

আরো অনেকবারের মতোই এবারো এই আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো কিন্তু আমি এককভাবে কোনো কৃতিত্ব নিতে চাই না। আমরা মনে করি, আমাদের মূল ভূমিকা হবে সবাইকে সাথে নিয়ে চলা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা বিশাল ভূমিকা ছিল। আমি সব সময় চাই তারা আমাদের সাথে থাকুক। আমি চাই রিজিওনাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের সাথে থাকুক। পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে থাকুক। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে থাকুক। আমি চাই যে, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা নিবিড় হোক। আমি চাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং আমাদের শিক্ষকরা মিলে আমরা যৌথভাবে প্রজেক্ট সাবমিট করি। রিসার্চগুলো যৌথভাবে করি। এই বিভেদ আমাদের কমাতেই হবে। এবং এটাই আমাদের শক্তি।

সম্প্রতি একটি বিষয় খুবই আলোচিত হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকদের, এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

জি¦। আমরা পদ্ধতিগতভাবে একটা কাঠামো তৈরি করছি। অলরেডি আমাদের একটি ফর্ম আছে টিচিং ইভ্যালুয়েশনের ওপর। সেই ফর্মটি এখন কিছু কিছু বিভাগ অপশনাল হিসেবে প্রয়োগ করছে। অনেক বিভাগই করছে। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ যেমন করে। আবার এটি যেহেতু বাধ্যতামূলক নয়, তাই কেউ কেউ করছে না। আমরা চাচ্ছি এটার ব্যাপারে একটা বৃহত্তর সমঝোতা করে এটা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া। যাতে একটা পদ্ধতিগতভাবে ছাত্ররা তাদের শিক্ষকের মূল্যায়ন করতে পারেন। যে সার্ভিসটা তিনি পেয়েছেন, তাতে কতটুকু তিনি হ্যাপি আছেন, কতটুকু নেই।

শিক্ষকদের তো টিকে থাকতে হবে। আমাদের ওপর ছাত্রদের ট্রাস্ট এবং আমরা আমাদের সার্ভিসটা তাদেরকে কতটুকু দিতে পারলাম? সেটি যতো গ্রহণযোগ্য হবে, ততোই আমার শক্তি বাড়বে। আমার সম্পর্কে আমার ছাত্ররা কী বলে? সেটিই আমার প্রধান মাপকাঠি। আর এই পদ বা যাই বলুন না কেন, এটি কিন্তু একদমই সাময়িক। আর আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে বলেন, আমি এটাকে একটা দায়িত্ব মনে করছি। একটা নির্দিষ্ট বাস্তবতায় এই দায়িত্বটা আমরা নিয়েছিলাম। এবং আমি এটা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে চলে যেতে চাই। আমি একজন শিক্ষক, আমি শিক্ষকতায় ফিরে যেতে চাই।

সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলেন ....

সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্কগুলোর একটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক। বিভিন্ন কারণে আমাদের কিছু কালো দাগ লেগেছে। কিন্তু এগুলো অতিক্রম্য। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে, এই সম্পর্কটা এতোই পবিত্র যে আমরা যদি নিজেদেরকে বিসর্জন দিতে পারি, এটি অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্কে পরিণত হবে। আমরা সব কাজ করেছি, করে দেখিয়েছি। অতএব এই শক্তি, ছাত্র-শিক্ষক শক্তি থাকলে, বৃহত্তর পর্যায়ে জাতি উপকৃত হবে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে এর শক্তি ব্যবহার করতে পারবো।

গ্রন্থনা: এম মাহবুব আলম ও সাদ আদনান, আলোকচিত্র: বুলবুল আহমেদ

Source: https://www.dainikshiksha.com/bn/news/special-interview-with-the-vice-chancellor-of-dhaka-university-297201
57
রাতে কত ক্ষণ ঘুমোন আপনি? বেশি বা কম হলে কিন্তু ঝুঁকির আশঙ্কা! কোন বয়সে কেমন ঘুম প্রয়োজন?

বেশির ভাগ মানুষই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোন। সেই বিশেষ শ্রেণির মানুষদের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কম। মানুষ যখন ৬ ঘণ্টার কম অথবা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোন, তখনই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।


কোন বয়সে কত ক্ষণ ঘুমোনো উচিত? ছবি: সংগৃহীত।

ঘুম মানেই ৮ ঘণ্টা, এই ধারণা আদৌ ঠিক নয়। সারা জীবন ধরে একটি মানুষ একই সময় ঘুমে ব্যয় করলে, তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ঘুমের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ের উপর। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক গবেষক র‍্যাফায়েল প্যালায়ো বলেন, ‘‘ঘুম প্রত্যেক মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে সহজ পদক্ষেপ হল ঘুম। কত ক্ষণের ঘুম দরকার, কেবল সেটি জেনে লাভ নেই, যদি না আপনার ঘুমের মান ভাল হয়। ঘুমের দৈর্ঘ্য এবং মান, দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই বিষয় যদি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, তা হলে ঘুম থেকে ওঠার পর আর ক্লান্তি থাকে না।

জনস হপকিন্সের বিহেভিয়ারাল স্লিপ মেডিসিন চিকিৎসক মলি অ্যটউড বলেন, ‘‘এমন বহু রোগী দেখি আমরা, যাঁরা জানান, বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও ক্লান্তি কাটে না। তার মানেই বুঝে নিতে হবে, পাশাপাশি অন্য অনেক সমস্যা আছে। বেশির ভাগ মানুষই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোন। সেই বিশেষ শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কম। কেউ যখন ৬ ঘণ্টার কম অথবা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোন, তখনই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’’

বয়স অনুযায়ী তালিকা দিলেন অ্যটউড।

নবজাতকদের সবচেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টার। বেড়ে ওঠার সময়ে শরীরে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে।

ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন ২৬ থেকে ৬৪ বছরের বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়েছে। আরও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এর থেকে কিছুটা কম এবং ১৬ থেকে ২৫ বছরের মানুষদের আরও কিছুটা বেশি ঘুমোনোর কথা বলা হয়েছে।


ঘুমের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ের উপর। ছবি: সংগৃহীত।

মানুষ প্রায় প্রতি ৯০ মিনিট অন্তর ঘুমের একটি করে পর্যায় পার করেন। রাতের প্রথম অংশে গভীর ঘুম হয়, যা শরীর মেরামত এবং শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য। শেষের দিকে, ঘুম চক্রের বেশির ভাগ সময় ঘুমের মধ্যে চোখের পাতা নড়াচড়া করে। অর্থাৎ, ঘুমন্ত ব্যক্তির আরইএম (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট) ঘটে। এর অর্থ, ব্যক্তি স্বপ্ন দেখছেন। এই সময়টি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যটউড বলেন, শিশুরা ঘুম চক্রের প্রায় ৫০ শতাংশ গভীর ঘুমেই কাটায়। বয়ঃসন্ধিকালে এটি কমে যায়, কারণ আমাদের শরীরে একই ধরনের মেরামত এবং পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন পড়ে না।

Source: https://www.anandabazar.com/lifestyle/how-much-sleep-do-you-need-in-the-night-according-to-your-age-explained-by-doctor-dgtl/cid/1592153



58
Bill Gates Says AI Will Replace Doctors, Teachers and More in Next 10 Years, Making Humans Unnecessary 'for Most Things'


Bill Gates. Photo: ARUN SANKAR/AFP via Getty

Bill Gates said that AI will replace doctors, teachers, mental health professionals and more within the next 10 years while appearing on The Tonight Show to promote his debut memoir Source Code
The Microsoft co-founder also said with the increased role of AI, humans will not be needed for "most things"
Gates remains optimistic about the future of AI, however, especially with regards to health and climate
Artificial intelligence will likely replace doctors, teachers and more professionals within the decade, according to Bill Gates.

While sharing his vision for the future of artificial intelligence (AI) on The Tonight Show Starring Jimmy Fallon last month, the Microsoft co-founder — who is one of the world’s most famous businessmen and philanthropists — said that soon, humans won’t be needed “for most things.”

In the Feb. 4 Tonight Show appearance to promote Gates’ debut memoir Source Code, host Jimmy Fallon asked the billionaire, 69, to give his two cents on the hot-button topic of AI, explaining the pros and cons in “layman’s terms” — and he obliged.

Why Bill Gates Is Telling All About Life Before His Billions, from Trying LSD to Being Put in Therapy by His Parents (Exclusive)
"So the era we've come to is sort of the vision that computing was expensive and it basically became free,” Gates said. “The era that we're just starting is that intelligence is rare, you know, a great doctor, a great teacher. And with AI, over the next decade, that will become free. Commonplace, you know? Great medical advice, great tutoring.”


Bill Gates and Jimmy Fallon on 'The Tonight Show' on Feb. 4, 2025. Todd Owyoung/NBC via Getty

“And it's kind of profound,” the tech billionaire continued, “because it solves all these specific problems, like, we don't have enough doctors or, you know, mental health professionals.”

But, he explained, this so-called influx of intelligence also “brings with it so much change,” begging questions like, “What will jobs be like?” and “Should we just work like two or three days a week?”

“So I love the way it'll drive innovation forward, but I think it's a little bit unknown,” Gates said before posing a question many have asked about the future role of AI: “Will we be able to shape it?”

"And so, legitimately, people are like, ‘Wow, this is a bit scary.’ It's completely new territory,” he added.

Bill Gates Says He Believes He Likely Would Be Diagnosed with Autism If He Were a Kid Today
Along with an increase of AI across professions, the Microsoft co-founder also envisions a diminished role for humans, he told Fallon, 50. “I mean, will we still need humans?” Fallon asked, to which Gates replied, “Not for most things.”

But, ultimately, “we’ll decide” what the continued role of humans will be, he said.

“You know, like baseball. We won't want to watch computers play baseball,” Gates said. “So there'll be some things that we reserve for ourselves, but in terms of making things and moving things, and growing food, over time, those will be basically solved problems.”

Elsewhere in his Tonight Show appearance, Fallon asked the billionaire what keeps him optimistic, “and what could you tell everyone to stay optimistic about the future?”

Gates' answer? “The ability to improve health,” from Alzheimer's disease to polio, as well as the potential for innovation that can improve the global climate.

“There's a lot of great stuff coming along,” the philanthropist said. “So I'm a little more optimistic about that than people who don't get to see that innovation pipeline.”

Never miss a story — sign up for PEOPLE's free daily newsletter to stay up-to-date on the best of what PEOPLE has to offer, from celebrity news to compelling human interest stories.

Gates appeared on the talk show to promote Source Code, the first installment of a planned trilogy of memoirs that covers Gates’ childhood and young adulthood.

Speaking with PEOPLE about the book, which hit shelves on Feb. 4, Gates said, “Generally I'm totally focused on what's coming next, the next innovation, but a few years ago I realized that 2025 would be the year I turned 70, the year that Microsoft turns 50 and the year that the Gates Foundation turns 25."

This realization, he told PEOPLE, led him to think about how, “through luck and a variety of things, my parents and early friends put me in a position to have a wonderful life and be extremely lucky and be at the center of the digital revolution.”  And so, he thought to himself, “reflecting on that would be good for me.”

Source: https://people.com/bill-gates-ai-will-replace-doctors-teachers-in-next-10-years-11705615
59
হথর্ন ইফেক্ট" একটা ইন্টারেষ্টিং হিউম্যান বিহেভিওর

১৯৩২ সালে সাইকোলজিস্ট এলটন মায়োর নেতৃত্বে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি হথর্ন নামক এক ফেক্টরীতে একটা এক্সপেরিমেন্ট কন্ডাক্ট করেন। এক্সপেরিমেন্টে তারা দেখতে পান যে  যখনই শ্রমিকরা কোনো সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধায়নে থাকে তখনই তাদের প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যায়।  এই বেড়ে যাওয়া ফেনোমেনাকেই "হথর্ন ইফেক্ট" বলে আমরা মোটামুটি সবাই এই হথর্ন ইফেক্টে আসক্ত ।

মাত্রাতিক্ত জোরে গাড়ি চালাচ্ছি? পুলিশ দেখলেই আস্তে করে স্পিড কমিয়ে দেই
কিউবিকেলে রিলেক্সে মুডে কাজ করছি? বস ঢুকতেই শিরদাঁড়া খাড়া করে ফেলি
হোটেল লবির কর্নারে দুষ্টামি করছি, সিকিউরিটি ক্যামেরা দেখলেই ভদ্র হয়ে যাই
জিমে আলসেমি করছি? ইন্সট্রাক্টর আসতেই মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যাই 
কিংবা ক্লাসরুমে হট্টগোল করছি? টিচার ঢুকছি সবাই আলিফ হয়ে যাই
অর্থাৎ আমরা যখনই কোনো অথরিটির প্রেসেন্স ফিল করি,আমাদের বিহেভিওর অটোমেটিক ইম্প্রুভ হয়ে যায়।

এই "হথর্ন ইফেক্ট" আমাদের ইবাদাহতেও বিদ্যমান।  বাসায় কেউ না থাকলে আমাদের নামাজ এক রকম আর মসজিদে যখন ইমাম সাহেব আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে তখন নামাজ অন্য রকম। আমাদেরকে যিনি বানিয়েছেন তিনিও ভালো করেই জানেন আমাদেরকে এই বিহেভিওর সম্পর্কে তাই তো নবুওতের প্রায় শেষ প্রান্তে তিনি জিব্রাঈল আমিনকে পাঠালেন সাহাবাদের সামনে আমাদেরকে এই ইফেক্টের ইম্পর্টেন্স জানানোর জন্য।   

আসল ঘটনাটা অনেকটা এরকম: 

রাসুলের জীবনের শেষ প্রান্তে একদিন সাহাবাদের কে দারস দিচ্ছিলেন এমন সময় জিব্রাইল আমিন মানুষের বেশে এসে রাসুলকে ৪ টি প্রশ্ন করেন

প্রথমে জানতে চান "ইসলাম কি?"
রাসূল বলেন ইসলাম হলো আমাদের ৫ টি পিলার
শাহাদা, সালাহ, সিয়াম, জাকাহ এবং হজ

তারপর জানতে চান "ইমান কি?"
রাসূল উত্তর দেন, ইমান হলো আমাদের ফেইথের ৬ টা এলিমেন্ট। আল্লাহ, তার রাসূলগণ, তার ফেরেশতাকুল, তার কিতাব, শেষ দিবসে এবং ডেসটিনির উপর বিশ্বাস রাখা। 

তারপর জানতে চান 

"ইহসান কি?"
রাসূল তখন উত্তর দেন "ইহসান হলো এমন ভাবে ইবাদত করা যেন আমরা তাঁকে দেখছি আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে অ্যাটলিস্ট এটা মাথায় রাখা যে তিনি আমাদের দেখছেন।"

অর্থাৎ সেই "হথর্ন ইফেক্ট"

ফাইনালি প্রশ্ন করলেন

কিয়ামত কবে হবে?

রাসূলুল্লাহ বললেন,কিয়ামত কবে হবে সেটা আপনিও জানেন না, আমিও জানি না তবে এর দুটো সাইন আমি আপনাকে জানাতে পারি তারপর তাঁকে তিনি সাইন দুটো জানালেন।

জিব্রাইল আমিনের ছুড়ে দেয়া এই ৪ টি প্রশ্ন আমাদের দ্বিনের ৪ টি ডিমেনশন কে রিপ্রেসেন্ট করে।  এই হাদিসের ইম্পর্টেন্স এতটাই বিশাল যে একে "উম্মুল হাদিথ" বলেও সম্মোধন করা হয়। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় যে দ্বীনেকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে আমাদেরকে এই ৪ টি ডিমেনশনকে এক করে বুঝতে হবে। পূর্ব যুগের উলামারা বিষয়টা বুঝেছিলেন,তাইতো এই প্রশ্ন আর উত্তর গুলোকে ঘিরে গড়ে তুলেছিলেন দ্বিনের ৪ টি ডিফারেন্ট "ফিল্ড অফ স্টাডিজ"।

"ইসলাম কি?" এর ইনডেপ্থ স্টাডিস কে নিয়ে গড়ে তুললেন "ফিকহ" বা "ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স" 
"ইমান কি?" এর ইনডেপ্থ স্টাডিস কে নিয়ে গড়ে তুললেন "আকিদা" বা "ইসলামিক থিওলজি"
"ইহসান কি? এর ইনডেপ্থ স্টাডিস কে নিয়ে গড়ে তুললেন "তাসাওউফ" বা "ইসলামিক স্পিরিচুয়ালিটি"
আর "শেষ জমানার সাইন গুলো কি?" এর ইনডেপ্থ স্টাডিস কে নিয়ে গড়ে তুললেন "ইসলামিক এসকেটলজি".

দ্বীন শিখতে গিয়ে উপলব্ধি করলাম আমরা ফিকহ এবং আকিদাতে ইদানিং যতটা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি বাকি ডিসিপ্লিনে অতটা দিচ্ছি না। ইদানীং অবশ্য এসকটলজি নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন, তবে "ইসলামিক স্পিরিচুয়ালিটি" বা "তাসাওউফ" যেন বেমালুম হারিয়েই গেলো। অথচ এই স্পিরিচুয়ালিটি হলো দ্বিনের একটা কোর কনসেপ্ট কারণ এটাই তো আমাদের ক্যারেক্টার ফর্ম করে! ১৯০০ শতাব্দীর পূর্বে যত বই পত্র ঘাটলাম
দেখলাম যে মেক্সিমামই এই "তাসাওউফ"  বা স্পিরিচুয়ালিটির উপর গুরুত্ব দিয়েছে   

"কীভাবে নিজের ভিতর টা সুন্দর করা যায়"
"কীভাবে নিজের হার্ট কে পরিষ্কার রাখা যায়"
"কীভাবে নিজের আমলে খুশু আনা যায়"

এই প্রশ্ন গুলোই তো স্পিরিচুয়ালিটির এসেন্স!

অথচ ১৯০০ শতাব্দীর পর এটাকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করা শুরু হলো যেন এটা একটা বখে যাওয়া কোনো সন্তান। 

ফলশ্রুতি?

দ্বীন আগে যেটা ক্যারেক্টার বেসড ছিল তা হয়ে গেলো টেকনিক বেসড। আগে যেখানে জোর দেওয়া হতো "ধার্মিক হও" এখন সেখানে জোর দেয়া হচ্ছে "ধার্মিকের মত এপিয়ার্ড হও"।   

আজকের লিখার অবজেক্টিভ?

আমরা যেন জিব্রাইল আমিনের তৃতীয় প্রশ্ন "ইহসান" এর কনসেপ্ট কে আবার রিভাইভ করতে পারি। কারণ আল্লাহ বলছেন,"নিশ্চয়ই, যারা ইহসান করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আল-বাকারাহ ২:১৯৫) আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই এই লিখা।

সাধারণত আমরা মনে করি ইহসান হলো কারো কোনো উপকার করা, যেমন আমি তোমাকে ইহসান করলাম অর্থাৎ আমি তোমাকে একটা ফেভার করলাম। ভাষাগত ভাবে এটা প্রচলিত হলেও ইসলামিক টার্মিনোলোজিতে এর মূল ভীত কিন্তু ভিন্ন, আরো গভীর।

ইহসান এসেছে হা সা না রুট থেকে। হাসান অর্থ সুন্দর,আরবি লিটারেচারে সুন্দরকে কয়েকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন জামালাও কিন্তু সুন্দর। তবে স্পেসিফিকালি যাদের নাক উটের নাকের মত বাঁকানো সুন্দর, সেটা হচ্ছে জামালা। কারণ আরবিতে উট কে জামাল বলে তেমনি হাসান হচ্ছে চোখ, দৃষ্টি বা দেখার সাথে অ্যাসোসিয়েটেড যার চোখ সুন্দর কিংবা যেই কাজটা দেখতে সুন্দর সেটা হচ্ছে হাসান। এই এই হাসান থেকেই এসেছে ইহসান।

সো খেয়াল করে দেখুন, "আল্লাহ আমাদের দেখছে" এই কনসেপ্ট যদি আমরা সর্ব অবস্থায় এডাপ্ট করতে পারি

আমাদের প্রতি কাজ অটোমেটিকলি সুন্দর হয়ে উঠে, 
আমাদের ক্যারেক্টার সুন্দর হয়ে উঠে,
আমাদের হার্ট সুন্দর হয়ে উঠে,
আমাদের আমল সুন্দর হয়ে উঠে,

আর এই এফেক্টটাই হলো ইহসান ইফেক্ট। যারা ইহসান কে রপ্ত করতে পারে তাদেরকে আমরা মুহসিন বলি।
এই মুহ্সিনদের উপর ইহসানের ইম্পেক্টের বিষয়ে ইমাম গাজ্জালী সুন্দর একটা কথা বলেছেন, বলেন আমরা যখন মুহসিন হয়ে উঠি তখন দুটো বিষয় ঘটে:

প্রথমত আমরা যখন কোনো খারাপ কাজ করতে থাকি তখন ইমমেডিয়েটলি সেটা রেকগনাইজ করতে পারি। তখন কনসিয়াসলি নিজেকে প্ৰশ্ন করতে পারি যে,

"আমি আল্লাহ কে বেশি ভালোবাসি?

নাকি "আমার নাফ্সে বেশি ভালোবাসি?"

"যদি আল্লাহকে বেশি ভালোবেসে থাকি তাহলে নাফ্সের ইচ্ছায় করা এই কাজ গুলো আমি পরিত্যাগ করলাম"
এভাবে আমরা কনসাসলি সঠিক রাস্তায় ফিরে আস্তে পারি।

দ্বিতীয়ত আমরা যখন ভালো কিছু করি এবং মানুষ যখন আমাদেরকে প্রশংসা করতে থাকে। তখনও সেটা কনসাসলি বুঝতে পারি। তখনও নিজেকে কনশালী প্রশ্ন করতে পারি,   

"আমি কি আল্লাহকে ভালোবেসে এই কাজ করছি নাকি মানুষের প্ৰশংসার জন্য করছি" তখন নিজের হার্টকে কেলিব্রেট করতে পারি এবং তখন এতো টুকু অন্তত বুঝতে পারি যে যদি কিছু ভাল কিছু করে থাকি তা এই জন্য করছি যে"এটা করা উচিত ছিল কিংবা এটা আল্লাহ ভালোবাসে এই জন্য করছি।" 

ইট ড্যাশেন্ট মেটার

মানুষ আমাকে ভালো বললো কি না বললো আমি কারো প্রশংসার উপর ডিপেন্ডেন্ট না। আমি আমার নাফ্সের ইচ্ছার উপরেও ডিপেন্ডেন্ট না! এই স্টেইট টা যে কতটা লিবেরাটিং তা এক্সপেরিয়েন্স না করলে বুঝানো যাবে না।

সো এখন প্রশ্ন আসে

আমরা এই স্টেইট কিভাবে এচিভ করতে পারি?

কি ভাবে আমরা মুহসিন হতে পারি?

ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি মুহসিন হওয়ার আগে আমাদেরকে মুত্তাকী হওয়া প্রয়োজন। 

মুত্তাকী আবার কি?

আগে অনেক বার বলেছি আজ আবার একটু নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি। আমরা সবাই মোটামুটি সব সময় একটা ঘোরের মধ্যে থাকি সব সময় একটা চিন্তার জগতে ডুবে আছি। আমরা সেটা টের পাই না অনেকটা মাছের মত। মাছ যেমন জানে না সে সারাদিন পানির ভিতর থাকে তেমনি আমরা জানি না যে আমরা সারাদিন চিন্তার জগতে থাকি। 

বিষয়টা বুঝতে পারবেন যখন আপনি এই চিন্তার জগৎ থেকে বের হয়ে জীবনকে দূর থেকে দেখবেন 

কীভাবে?

ছোট্ট একটা এক্সারসাইজ দিচ্ছি, এই মুহূর্তে নিজেকে মনে মনে প্রশ্ন করুন,

"আচ্ছা আমি এখন কি চিন্তা করছি?" অথবা

"আচ্ছা এই মুহূর্তে আমার নেক্সট চিন্তাটা কি হবে?"

প্রশ্নগুলো করে সাথে সাথে দেখার চেষ্টা করুন কোনো চিন্তা আসে কিনা? আসবে না তবে দেখবেন মাথাটা ব্লেনক হয়ে যাচ্ছে আর মাথায় হালকা ব্লাড রাশ হচ্ছে। যদি কোনো চিন্তা আসেও তখন আপনি সাথে সাথে দেখতে পাবেন ফিল করতে পারবেন যে এই মাত্র নতুন একটা নতুন চিন্তা মাথায় প্রবেশ করলো। 

এই এক্সারসাইজটাকে "মাইন্ডফুল" এক্সারসাইজ বলে, আপনি যদি প্রতিদিন এই মাইন্ডফুল এক্সারসাইজ প্র্যাকটিস করতে থাকেন আপনার অব্জার্ভেশন পাওয়ার বাড়তে থাকবে আর আপনার অ্যাওয়ারনেস বিল্ড আপ হতে থাকবে। আপনি যখন "কনসিয়াসলি এওয়ার" থেকে এই চিন্তার থ্রেড গুলোকে অব্জার্ভ করা শুরু করবেন 
একটা সময় ডিফারেন্সিয়েট করতে পারবেন যে, কোনটা আপনি আর কোনটা আপনার চিন্তা।  আপনি তখন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন। টের পাবেন যে আপনি আপনার চিন্তার প্রোডাক্ট না। আপনি, আপনিই।
আপনি একটা স্বাধীন সত্তা, চিন্তার বেড়াজাল মুক্তি একটা ইউনিক সত্তা।  সেই সত্তা যে এতদিন ঘুমিয়ে ছিল আজ সেটা জাগ্রত। আপনি আজ জেগে উঠেছেন! এই জেঁগে উঠাকে স্পিরিটলিটির ভাষায় এওকেনিং বা য়াকজা বলে।

আপনি যখন এওকেন হবেন আমি তখন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন এবং তখন আরেকটা সত্য রিয়েলাইজ করতে পারবেন। তখন ফিল করতে পারবেন যে, একজন শক্তিমান সত্তা সর্ব অবস্থায় আপনাকে দেখেছেন, আপনার রব আপনাকে দেখছেন! এই অবস্থায় অটোমেটিকলি আপনার বিহেভিওর ইম্প্রুভ হওয়া শুরু করবে। তাইতো প্রচলিত কথা আছে,"মান আরফু নাফসুহু ফাকাদ আরফু রব্বাহু" অর্থাৎ"যে নিজেকে চিনলো সে যেন তার রব কে চিনলো।"

সো এখন আপনি প্রতিটা কাজ করার সময় একাধিকবার চিন্তা আসবে যে, "তিনি তো দেখছেন" "করাটা কি ঠিক হবে?" এই যে "কনসিয়াসলি এওয়ার হয়ে নিজেকে সংযত করলেন, এই একশনটাকে বলে "তাকওয়া"। আর যারা এই স্টেটটা এচিভ করতে পারে তাদেরকে বলা হয় "মুত্তাকী"। মুত্তাকী এবং মুহ্সিন খুব কাছাকাছি দুটো বিশেষণ। তাইতো সূরা নেহালের ১২৮ নাম্বার আয়াতে দুটোকে এক করে তিনি ঘোষণা দেন,   "নিশ্চয়ই, আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা মুত্তাকী এবং যারা মুহসিন"। আবারো বলি  মুত্তাকী এবং মুহসিন খুব কাছাকাছি দুটো শব্দ। কনফিউসড হওয়া বেশ সহজ তাই সামারি করে বলছি,  তাকওয়া হচ্ছে সেই এওএরনেস যে আল্লাহ এই মুহূর্তে আমায় দেখছে তাই খারাপ কিছু করা যাবে না আর ইহসান হচ্ছে সেই এওএরনেস যে আল্লাহ এই মুহূর্তে আমায় দেখছে তাই যেই কাজটা করছি সেটা সুন্দর করে করতে হবে।

এই তাকওয়া আর ইহসানের কথা শুনলেই মাইকেল এঞ্জেলোর একটা গল্পের কথা মনে পরে যায়। ব্রু কুচঁকানোর কিছু নাই। আল্লাহর রাসূল বলেছেন, জ্ঞানীদের বাণী হলো বিশ্বাসীদের হারানো সম্পদ,তা সে যেখানেই খুঁজে পাক।"

আমি মাইকেল এঞ্জেলোর এই গল্প থেকে এই হিকমত খুঁজে নিচ্ছি। মাইকেল এঞ্জেলো যখন সিস্টিন চেপেলের সিলিং আঁকা শেষ করলেন দেখা গেলো সিস্টিন চেপেলের প্রতিটা কর্নারে তিনি প্রচণ্ড নিখুঁতভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন এমনকি অন্ধকারাচ্ছন্ন কর্নার গুলোতেও। অন্ধকারে কাজ করতে করতে তিনি প্রায় অন্ধ হতে বসেছিলেন! তবুও তিনি কাজে কোনো ফাঁকি দেননি যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়।

এত কানা কন্চিতেও কেন এতো এফোর্ট দিয়ে কাজ করলেন?

এখানে তো আর কেউ দেখছে না। জবাবে আকাশের পানে আঙুল তাকে করে পালটা উত্তর ছুড়েন।

"কেউ দেখছে না কে বললো?"

"উনি তো দেখছেন, তাই না?

"উনি তো দেখছেন"

এই রিয়েলাইজেশনটা আমাদের হার্টে বিশাল ইম্পেক্ট ফেলে আমরা নরম হয়ে উঠি। আমাদের লজ্জা বেড়ে যায় ,আমাদের মধ্যে গ্রেটিচুড বেড়ে যায়.আমাদের রুহানি শক্তি বেড়ে যায় এবং প্রত্যেকের জন্য এম্পেথি ফিল করা স্টার্ট করি।

যেটা বুঝলাম আমরা দ্বিনের দুটো পার্ট আছে। একটা দেখা যায় আর একটা দেখা যায় না একটা ইন্টারনাল আর একটা এক্সটার্নাল। একটা হলো টেকনিক বেসড একটা ক্যারেক্টার বেসড একটা স্পিরিচুয়াল আর একটা রিচুয়াল। এক্সটার্নালি আপনি দেখতে যতটা বিশাল ধার্মিক ইন্টার্নালি আপনি সেরকম নাও হতে পারেন।    এক্সটার্নালি আপনার দাড়ি থাকতে পারে,জুব্বা পড়তে পারেন,এমনকি টাকনুর উপর কাপড়ও পড়তে পারেন কিন্তু ইন্টার্নালি আপনি হয়ত মারাত্মক হিংস্র, অন্যের সুখ আপনার সহ্যই হয় না। হিংসা বিদ্বেষ আর প্রতারণায় আপনি প্রতি নিয়ত নিমজ্জিত। কেউ আপনাকেও বিন্দু মাত্র বিস্বাস করতে পারে না।  এই যদি হয় আপনার দ্বিনের অবস্থা তাহলে আপনার আর ইবলিশের মধ্যে পার্থক্য কি থাকলো?

ইবলিশের গল্প তো জানা আছে তাই না?

সে তার রিচুয়াল ইবাদাহ দিয়ে সবাই কে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো জমিনের এমন কোনো জায়গা বাকি ছিল না যেখানে সে আল্লাহ কে সিজদা করে নাই। এক্সটার্নাল ডিমেসনসনে সে সুপার পারফর্মের তখনকার শরিয়তের সব আহকামে সে প্রচণ্ড পণ্ডিত।

তবে ইন্টারনাল ডিমেনশনে?

ইন্টারনাল ডিমেসনসনে সে ছিল এক্সট্রিমলি করাপ্টেড "ভিতর থেকে সুন্দর হতে হবে" এই কনসেপ্টই সে শিখতে পারে নাই। তাই তো হজরত আদম কে যখন তার থেকে বেশি ইজ্জত দেয়া হলো সে সেটা সহ্যই করতে পারলো না।  জিদের বসে সারা জীবনের আমল টিনএজারদের মতো ছুড়ে ফেললো। সে এখনো ভেবে কূল পায় না যে"কেন আল্লাহ আদম কে আমার থেকে বেশি প্রাধান্য দিলো"। হয়তো এখনো মনে মনে ভাবে,"আদম কি আমার সত্যি আমার থেকে বেটার ছিল?
কেন ছিল?"

কারণ সে বুঝে নাই যে,আমাদের দ্বীন হচ্ছে আইস বার্গের মত উপর থেকে এর পটেনশিয়াল বুঝা যায় না   বুঝতে হলে যেতে হবে পানীর নিচে।  অর্থাৎ দ্বীনে উপর দিয়ে যা দেখি তা যতটা না ইম্পরটেন্ট তার থেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে তার ভিতরটা কি রকম। ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে আমাদের আখলাক আমাদের কন্ডাক্ট আমাদের মেনার।

 ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে আমরা মানুষের জন্য কতটা ভালো ভাবছি,

মানুষের জন্য কতটা ভালো ভাবছি,

অন্যের খুশিতে কত টা খুশি হচ্ছি, 

অন্যের দুঃখে কত টা দুঃখী হচ্ছি,

খেয়াল করে দেখুন উপরে যা বললাম এ সবই  হচ্ছে ইন্টারনাল বিষয়। উপর থেকে দেখা যায় না আর এই বিহেভিওর গুলোই তো স্পিরিচুলিটির শিক্ষা। শিক্ষা যে নিজের হার্টকে আর নিজের সৌল কে কীভাবে আমরা প্ৰসিদ্ধ রাখতে পারি। 

তাই বলছি আমাদের জীবনে এই "তাসাউফ" বা স্পিরিচুয়ালিটির কনসেপ্টটা আবার জাগ্রত করতে হবে স্পিরিচুয়ালিটি ইগনোর করে আমরা যদি শুধু রিচুয়াল নিয়েই পরে থাকি

তাহলে একটু ভাবুনতো আমাদের আর ইবলিসের মধ্যে পার্থক্যটা কি থাকলো?

~ সামিউল হক

Source: Collected.
60
শরীরে কোন বিষয়গুলো ঘটলে মানুষ হঠাৎ করে মারা যায়?


জীবনে চলার পথে আমরা অনেক সময় মানুষকে বলতে শুনি, ‘ইশ! লোকটা হঠাৎ করে মরে গেল!’ অনেক সময় আমরা শুনি যে কেউ হয়তো ঘুমের মাঝেই ‘হঠাৎ করে’ মারা গেছেন। কোনও প্রকার পূর্বসংকেত না থাকায় এগুলোকে আমাদের কাছে ‘হঠাৎ করে মারা যাওয়া’ তথা অপ্রত্যাশিত মৃত্যু মনে হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী এর সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। মানুষ এভাবে মারা যায় মূলত কিছু শারীরবৃত্তীয় ব্যর্থতার কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক আর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাগুলো হঠাৎ মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

এই প্রতিবেদনে এমন কিছু বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে, যা হঠাৎ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যায় হৃদরোগে

হৃদরোগ

মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অঙ্গ হৃৎপিণ্ড। হৃদপিণ্ডের চেয়ে হার্ট শব্দটিই আমাদের কাছে চেনা এখন। হার্ট বা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ দরকার হয়। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মে‌ডি‌সিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “হয় কার্ডিয়াক ফেইলিউরে, অথবা রেস্পিরেটরি ফেইলিউরে মারা যাবে।” অর্থাৎ, হঠাৎ মৃত্যুর পিছনে ওই দু’টোর যে কোনও একটি কারণ থাকবেই। ডা. আজাদ বলছিলেন, হার্টের পেশীগুলো অকার্যকর হয়ে গেলে হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে। অথবা, হৃদস্পন্দন কমে গেলে কিংবা ধমনী ব্লক হয়ে গেলেও মানুষ তৎক্ষণাৎ মারা যেতে পারে। তিনি জানান, হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েক মিনিটের মাঝে যদি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে তা নিশ্চিত মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, হার্ট অ্যাটাকের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন দিলে রোগীর বেঁচে যাওয়ার কিছুটা হলেও সম্ভাবনা থাকে। সিপিআর বিশ্ব জুড়ে বহুল প্রচলিত এক জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি। কেউ অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারালে, তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে বা শ্বাস প্রশ্বাস চালু না থাকলে, সেই ব্যক্তিকে সিপিআর দিতে হয়। তবে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এসব লক্ষণগুলো হচ্ছে– বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা, বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট, এবং বমি বমি ভাব ও বমি।

বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।


শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না

রেস্পিরেটরি ফেইলিউর

হঠাৎ মৃত্যুর আরেকটি খুব সাধারণ কারণ হলো রেস্পিরেটরি ফেইলিউর বা শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা। আমাদের শ্বাসযন্ত্র যখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় অথবা, শরীর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড যথাযথভাবে বের করতে পারে না, তখন এই জটিলতা তৈরি হয়। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, এটি চিহ্নিত করার কিছু পূর্ব লক্ষণ আছে। যেমন– শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া, ঠোঁট বা আঙুলের ডগা নীল হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে পড়া, অতিরিক্ত ঘাম, অস্থির বোধ করা, মাথা ব্যথা, দৃষ্টি আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি। ডা. আজাদ বলেন, এ ক্ষেত্রে “প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো হয়, রোগীকে ছয় মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে এনে ব্যবস্থা নিতে পারলে। কিন্তু সেটি তো সম্ভব না।”

প্রথমত, এত অল্প সময়ের মাঝে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব। আর আনলেও প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে সমস্যা চিহ্নিত করতেও অনেকটা সময় চলে যায়। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, যদি দ্রুত চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। যারা এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের প্রতি তিন জনের মাঝে একজন মৃত্যুবরণ করে।


পালমোনারি এম্বোলিজম হচ্ছে ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা

পালমোনারি এম্বোলিজম

হঠাৎ মৃত্যুর আরেকটি বড় কারণ হলো পালমোনারি এম্বোলিজম বা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা। উদাহরণ হিসাবে ডা. আজাদ বলেন, “অনেক সময় দেখবেন যে কেউ নামাজে সিজদা করতে গিয়ে পড়ে গেছেন এবং মারা গেছেন। এরকম অবস্থাকে বলে পালমোনারি এম্বোলিজম।” এর অর্থ, “ফুসফুসের রক্তনালী ব্লক হয়ে গেছে।” ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, দ্রুত চিকিৎসা না করালে পালমোনারি এম্বোলিজমের কারণে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মৃত্যুও হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, প্রায় ৩৩ শতাংশ পালমোনারি এম্বোলিজমে আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা শুরু করার আগেই মারা যায়। বিশ্বব্যাপী হার্ট ও রক্তনালীর যেসব সাধারণ রোগ আছে, এটি সেগুলোর অন্যতম। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পরেই হলো পালমোনারি এম্বোলিজমের স্থান। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে নয় লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন– হঠাৎ করে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস চলা, প্রচুর ঘাম হওয়া, চিন্তিত বোধ করা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি। পাশাপাশি কারও কারও বুক, বাহু, পিঠ, কাঁধ, গলা অথবা চোয়ালে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা এত বেশি যে প্রতিবার শ্বাস নেওয়ার সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে। যারা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, বা অন্যান্য হার্টের ব্যাধিতে আক্রান্ত কিংবা যাদের পরিবারে রক্ত জমাট বাঁধাসহ এসব রোগের ইতিহাস আছে, তারা পালমোনারি এম্বোলিজমে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া, বয়স যদি ৬০ বছরের বেশি হয় বা কারও ওজন যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে তারাও ঝুঁকিতে থাকে।


স্ট্রোকের লক্ষণ

স্ট্রোক

স্ট্রোকের সাথে অনেকে হার্ট অ্যাটাককে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু দু’টি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কের কোনও অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়। এই স্ট্রোক বিশেষত হেমোরেজিক স্ট্রোক, হঠাৎ মৃত্যুর আরেকটি প্রধান কারণ। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। কারণ এই রক্তের মাধ্যমেই শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। কোনও কারণে মস্তিষ্কের কোষে যদি রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা ছিঁড়ে যায় তখনই স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে রোগীর পঙ্গুত্বের পাশাপাশি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। স্ট্রোকের লক্ষণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। অনেকে স্ট্রোক হওয়ার কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে যান। এ কারণে আর চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম এর আগে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, কারও মধ্যে স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে বিন্দুমাত্র সময়ক্ষেপণ না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

স্ট্রোকের লক্ষণগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো– আচমকা শরীরের কোনও একটা দিক অবশ হয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা/ অন্ধকার দেখা, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া বা কথা জড়িয়ে যাওয়া, হঠাৎ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাজ পড়ার মতো তীব্র মাথাব্যথা, জিহ্বা অসাড় হয়ে মুখ বেঁকে যাওয়া, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়া/জ্ঞান হারানো, বমি বমি ভাব, বমি, খিঁচুনি, ইত্যাদি। এ ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে বিছানায় বা মেঝেতে কাত করে শুইয়ে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে, দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী যত অসংক্রামক ব্যাধি আছে, সেগুলোর মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান। উন্নত বিশ্বের তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বলে মত সংস্থাটির।


সুস্থ থাকার জন্য সুশৃঙ্খল জীবনযাপন প্রয়োজন

প্রতিরোধের উপায় কী?

হঠাৎ মৃত্যু অনেক কারণে হতে পারে এবং একেক কারণের জন্য সমাধানও একেক রকম। তবে সামগ্রিকভাবে বললে এর একমাত্র সমাধান সুশৃঙ্খল জীবন, বলছিলেন ডা. আজাদ। তিনি বলেন, “যেগুলোর কথা বলা হলো, এই অবস্থাগুলো একবার হলে বার বার হয়। তাই, ধরা পড়ার সাথে সাথে সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে। তবে অনেক সময় সতর্ক থাকলেও মারা যেতে পারে।” ডাক্তাররা এই হঠাৎ মৃত্যু’র বিষয়গুলো নিয়ে খুব ভয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কারণ এসবের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর আর্টিফিশিয়াল লাইফ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়।” কিন্তু বেশিরভাগ রোগীই সেই সুবিধাটা পায় না। ফলে, অপ্রত্যাশিত মৃত্যু নেমে আসে। তবে এই পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য তিনি সুশৃঙ্খল জীবনাচরণের প্রতি জোর দিয়েছেন। “নিয়ম সবার জন্য সমান। যার ডায়াবেটিস আছে, তার জন্যও যা নিয়ম, হার্টের রোগীর জন্যও একই নিয়ম। তা হলো– ডিসিপ্লিনড লাইফস্টাইল, ব্যালেন্সড ডায়েট, এক্সারসাইজ।” সেইসাথে, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন সবাইকে তিনি। তিনি আরও বলেছেন যে শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে। অর্থাৎ, “ইমোশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
 তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রোগী শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এর পরিবর্তে সমস্যা বড় হওয়ার আগেই, অর্থাৎ শুরুতেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা দরকার।

Source: https://www.bbc.com/bengali/articles/cx282k3ppepo?fbclid=IwY2xjawJLayNleHRuA2FlbQIxMQABHS_xMIPTZEzFj6E959Jan0Xwq1ud_VHC04M1HqtWprexjGuoacEGpo0QFQ_aem_b6hkZFVTkmsFQaCCCod9Gw
Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 10