‘এইচআইভি মুক্ত হল যুক্তরাষ্ট্রের শিশু’এইচআইভি ভাইরাস নিয়ে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ে শিশু প্রমাণিত ওষুধের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পার হতেই শিশুটির এইচআইভির চিকিৎসা শুরু হয়।রোববার যু্ক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ‘রেট্রোভাইরাস ও সুযোগসন্ধানী সংক্রমণ’ সংক্রান্ত এক সম্মেলনে ওই শিশুটির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বাল্টিমোরের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. দেবোরা পারসাউদ।
মিসিসিপিতে জন্মগ্রহণকারী ওই শিশুটির বয়স এখন আড়াই বছর। জন্মের পর ৩০ ঘন্টা পার হতেই শিশুটির এইচআইভি চিকিৎসা শুরু করা হয়। গত প্রায় এক বছর ধরে ওষুধ দেওয়া বন্ধ করার পরও তার শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না।
যদি শিশুটির শরীরের এই অবস্থা বজায় থাকে তবে সে হবে বিশ্বের দ্বিতীয় এইচআইভি মুক্ত মানুষ। তাতে তার চিকিৎসা পদ্ধতিটিও এইচআইভি নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের চিকিৎসার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। যদি অন্য শিশুদের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি একই ফল দেয় তবে এটি নতুন আবিষ্কৃত একটি সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত হবে।
সম্মেলনে দেবোরা বলেন, “শিশুদের এইচআইভি থেকে মুক্ত করা সম্ভব এই ধারণার এটি একটি প্রমাণ।â€
ইতোমধ্যে শিশুদের এইচআইভি সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি ওষুধ নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে শিশুটির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এতে শিশুটি এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ড. পারসাউদ জানান, এ ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বন্ধ রাখলে সাধারণত ভাইরাসগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে যা এক্ষেত্রে এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
টিমোথি রে ব্রাউন হচ্ছেন বিশ্বের প্রথম ভাগ্যবান ব্যক্তি, যিনি এইচআইভি সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন। স্টেম সেল চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে ২০০৭ সাল নাগাদ তিনি পুরোপুরি এই ভয়াবহ ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে মুক্তি পান।
Source: Internet
Abu Kalam Shamsuddin
MTCA
DIU