Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith
Know about Islam & Hadith
ariful892:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,তোমরা দুনিয়া সন্ধানে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। মনে রেখ প্রত্যেকের জন্য তা থেকে যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সে কেবল তাই পাবে।
{মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস : ২১৩৩; মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১৬০২}
=====================================================================
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মাদকের উপর অভিশাপ; মাদক পানকারীর উপর অভিশাপ, পরিবেশনকারীর উপর অভিশাপ; বিক্রয়কারীর উপর অভিশাপ, ক্রয়কারীর উপর অভিশাপ; যে মাদক নিংড়ায় তার উপর অভিশাপ, যার আদেশে নিংড়ানো হয় তার উপর অভিশাপ; বহনকারীর উপর অভিশাপ, যার কাছে বহন করে নেওয়া হয় তার উপর অভিশাপ; আর যে মাদক বিক্রয়লব্ধ অর্থ ভোগ করে তার উপর অভিশাপ।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৬৭৬; জামে তিরমিযী, হাদীস : ১২৯৫}
====================================================================
আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ (অর্থাৎ আমার সবকিছু) আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত।
[সূরা আনআম, আয়াত-১৬২]
ariful892:
যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯
============================================
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
{মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫}
============================================
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ যখন কেউ তার মুসলিম ভ্রাতার জন্য তার অনুপস্থিতিতে দু‘আ করে তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন! তখন দু‘আকারীর জন্যও অনুরূপ হবে।
- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৩৪
ariful892:
*মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তিনটি অভিসম্পাতযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকো; পানিতে থুথু ফেলা, যাতায়াতের পথে এবং ছায়াদার স্থানে মলত্যাগ করা। (হাদীস নং-২৬)[কিতাবুত তাহারাত]
*হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেন; যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না। (হাদীস নং-২২৭) [কিতাবুত তাহারাত]
*আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন এবং তা পবিত্র, সুগন্ধিযুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন। (হাদীস নং-৪৫৫)[কিতাবুস সালাত]
*আবু কাতাদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ মসজিদে পৌঁছে বসার পূর্বেই যেন দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) নামায আদায় করে। (হাদীস নং-৪৬৭)[কিতাবুস সালাত]
ariful892:
*আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কাউকে চিৎকার করে হারানো জিনিস তালাশ করতে শুনে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে তোমার ঐ জিনিস ফিরিয়ে না দিন। কেননা মসজিদ এইজন্য নির্মান করা হয়নি। (হাদীস নং-৪৭৩)[কিতাবুস সালাত]
*আবু বাকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে। (হাদীস নং-১৫১৪)[কিতাবুস সালাত]
*আবু উমামা ইবন সাহল ইবন হুনায়ফ (রা) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে শাহাদাত প্রাপ্তির কামনা করে, এ ব্যক্তি নিজের বিছানায় মারা গেলেও আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। (হাদীস নং-১৫২০)[কিতাবুস সালাত]
*আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর এক বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তার উপর দশ বার রহমত বর্ষন করেন। (হাদীস নং-১৫৩০)[কিতাবুস সালাত]
ariful892:
*মহানবী (সা) বলেন, যে ব্যক্তি বার বৎসর যাবত আযান দেয় তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায় এবং তার আযানের বদৌলতে প্রতিদিন তার জন্য ষাটটি সওয়াব এবং প্রতিটি ইকামতের বিনিময়ে ত্রিশটি সওয়াব লিখা হয়। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
*নবী করিম (সা) বলেন, যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমতুল্য সওয়াব পাবে -তবে এই সওয়াব অন্য ধরনের, ইহাতে রোযাদারের সওয়াবের কিছুমাত্র লাঘব হবে না। (তিরমিযী)
*হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেহই পূর্ন ঈমানদার হইতে পারিবে না, যে পর্যন্ত না তোমাদের মাতা-পিতা, সন্তান-সন্ততি এবং যাবতীয় মানুষ অপেক্ষা আমি তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় না হই। (বুখারী, মুসলিম)
*মহানবী (সা) বলেছেন, রমজানের রোযা ব্যতিত অন্যান্য সমস্ত রোযার মধ্যে মহররম মাসের রোযা শ্রেষ্ঠ এবং ফরজ নামাজ ব্যতিত যাবতীয় নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ শ্রেষ্ঠ। (মুসলিম)
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version