এক্সপেরিয়েন্স বলে, ভাইভাতে ভালো করার অন্ততঃ একশো’ টেকনিক আছে যেগুলোর একটাও কাজ করে না৷ তাই, এই লেখা পড়ে কিছু হবে না, এটা মাথায় রেখে হোয়াই-সো-সিরিয়াস টাইপ মুড নিয়ে লেখাটা পড়তে পারেন৷
1. আই কনট্যাক্ট রাখুন৷ অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলা কোনো কাজের কথা না৷
2. নার্ভাসনেস থাকবে না, এটা হয় না, থাকবেই৷ ওটা কাটানোর কিছুটা দায়িত্ব সিচুয়েশনের উপরে ছেড়ে দিন৷
3. আপনি কী বলছেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি সেটা কীভাবে বলছেন এবং কী লুকাচ্ছেন, কীভাবে লুকাচ্ছেন৷ ইউফেমিজম্ শিখুন৷
4. প্রিপারেশন থেকে প্রিপেয়ার্ডনেস বেশি জরুরী৷
5. আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় কিংবা আপনাকে আপনার মতো থাকতে দেয় না, এমন কিছু শুনবেন না, করবেন না৷
6. মাঝে মাঝে স্মার্টনেস না দেখানোই স্মার্টনেস৷
7. যাঁরা বোঝেন না, তাঁরাই বলেন বেশি, বাড়িয়েও বলেন৷ তাঁদের পরামর্শ এড়িয়ে চলুন৷ ভুল বোঝার চেয়ে না বোঝা ভালো৷
8. এই ক’দিনে নিজেকে বদলাতে যাবেন না, পারবেনও না৷ সেই পুরোনো ‘আমি’টাকেই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন৷
9. ইংরেজিতে কনভারসেশন প্র্যাক্টিস করুন৷ তবে এমন করো সাথে নয়, যে শুধু ভুলই ধরিয়ে দেয়৷
10. কী কী পড়বেন সেটা ঠিক করা থেকে বেশি জরুরী কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন সেটা ঠিক করা৷
11. কী জানেন না, সেটা নিয়ে অত ভাববেন না৷ হয়তো আপনাকে ওটা জিজ্ঞেসই করা হবে না৷
12. চেহারায় একটা ডাউন-টু-আর্থ ভাব ফুটিয়ে তুলুন, যাতে আপনাকে বকা দিতেই কষ্ট লাগে৷
13. নিজেকে উৎসাহী শ্রোতা হিসেবে দেখান৷ ভাইভা বোর্ডে বেশি সময় রাখলেই বেশি মার্কস পাবেন, এই ধারণাটা বোধ হয় ভুল৷
14. মাথায় রাখুন, শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ষাটভাগ ভুলে গিয়ে বাকী চল্লিশভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট৷
15. পজিটিভ অ্যাটিচিউড, মেন্টাল ম্যাচিউরিটি, রেডি উইট, থট ক্ল্যারিটি, ডিসেন্ট অ্যাপিয়ারেন্স, এটিকেট, কমনসেন্স, কুল টেম্পেরামেন্ট এই ব্যাপারগুলো ভাইভা বোর্ডে দেখা হয়৷
বুদ্ধিমানরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানরা এগিয়ে যান৷