বয়স এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনো শিশুকে অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে দেওয়া হলে অন্যদের তুলনায় তার হাঁপানি বা অ্যাজমার আশঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই এক বছরের কম বয়সী শিশুর সংক্রমণজনিত রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে অন্য কোনো ওষুধ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক হাজার শিশুর ওপর গবেষণা শেষে হাঁপানির সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের এই যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। এক দিন থেকে ১১ বছর বয়সী এসব শিশুর তথ্য গবেষকরা ম্যানচেস্টার অ্যাজমা অ্যান্ড এলার্জি রিসার্চ সেন্টার থেকে নিয়েছেন। তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, এক বছরের কম বয়সী শিশু, যাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে কিংবা কানের প্রদাহ এবং ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে তাদের হাঁপানির কারণে আবার হাসপাতালে আসতে হয়েছে।
গবেষকদের ভাষ্য, অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শিশুর শরীরের সাইটোকিন নামক জীবাণুনাশক পদার্থের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিকসেবী শিশু অন্যদের তুলনায় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রদাহে বেশি আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি গবেষকরা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মধ্যে এমন কিছু উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন, যা শরীরের ১৭কিউ২১ নামক অংশের দুটি বংশগতি উপাদানের সঙ্গে মিশে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দেয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।