অভিনন্দন আম্পায়ারকে
এক দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী আর ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের মধ্যে কথা হচ্ছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী: ক্রিকেট ম্যাচ জেতায় আপনাদের অভিনন্দন।
বোর্ডপ্রধান: অভিনন্দন পলকে দিন। সে আমাদের পরাজয় থেকে বাঁচিয়েছে।
ত্রীড়ামন্ত্রী: সে আমাদের ব্যাটসম্যান, নাকি বোলার?
বোর্ডপ্রধান: সে একজন আম্পায়ার!
হাঁটতে পারবে তো
চিৎকার করে এলবিডব্লিউর আবেদন করল বোলার, ‘হাউজ দ্যাট!’
এদিকে ব্যাটসম্যান তখন পায়ে বল লেগে ব্যথায় কোঁকাচ্ছে। ধীর পায়ে ব্যাটসম্যানের দিকে এগিয়ে গেলেন আম্পায়ার। বললেন, ‘হাঁটতে পারবে তো?’
ব্যাটসম্যান: হুম। রানার লাগবে না। আমি রান করতে পারব।
আম্পায়ার: রান করতে হবে না। হেঁটে হেঁটে প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারলেই হবে। তুমি আউট।
আম্পায়ারিং
ম্যাচ শেষে দলের অধিনায়ক বলছেন আম্পায়ারকে, ‘স্যার, ক্রিকেট সম্পর্কে আপনাকে আমার এমন কিছু কথা বলার আছে, যা আপনি জানেন না।’
আম্পায়ার: বলুন।
অধিনায়ক: ক্রিকেট হচ্ছে একটি খেলা। এ খেলা দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দলেই ১১ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলা হয় বল আর ব্যাট দিয়ে…
ছক্কার প্রতি দুর্বলতা
এক ব্যাটসম্যানকে কোনো বোলারই আউট করতে পারছিল না। অধিনায়ক বল তুলে দিল এক তরুণ বোলারের হাতে—
বোলার: চিন্তা কোরো না। আমি এই ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা কোথায়, জানি।
তরুণ বোলারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকাল ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক: হুম্ম! ওর যে ‘ছক্কা’র প্রতি দুর্বলতা আছে, তুমি তাহলে আগেই জানতে!
টিভির বিজ্ঞাপন
ক্রিকেটারের ছেলে বলছে, ‘মা! মা! দেখে যাও! বাবা একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে!’
ক্রিকেটারের স্ত্রী বলল, ‘গিয়ে ভালো করে দেখ্ গাধা! ওটা নিশ্চয় কোনো টিভির বিজ্ঞাপন!’
নামের পাশে ১০০ কিংবা তারও বেশি রান
প্রবীণ ক্রিকেটার বলছে এক নবীন ক্রিকেটারকে, ‘জানো, আমি যখন খেলতাম, তখন প্রতি ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে আমার নামের পাশে ১০০ কিংবা তারও বেশি রান থাকত।’
নবীন ক্রিকেটার: জানি। এবং এ-ও জানি, আপনি ছিলেন একজন বোলার!
হাতে ব্যথা
বোলারের একের পর এক আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর বোলার বলছে আম্পায়ারকে, ‘তুমি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে, কেমন লাগে।’
আম্পায়ার: আমি তোমার জায়গায় থাকলে তো বোলিংই করতে পারতাম না!
বোলার: কেন?
আম্পায়ার: আমার হাতে ব্যথা। দুই দিন ধরে হাত ওপরে তুলতে পারছি না!
ভাগেরটা খেয়ে শেষ
ছক্কা মেরে ব্যাটসম্যান বলছে বোলারকে, ‘বাউন্ডারির বাইরে অনেক কচি ঘাস আছে। যাও, গিয়ে চরে খাও!’
‘বাহ্! তুমি তোমার ভাগেরটা খেয়ে শেষ করেছ দেখছি!’ পিচের দিকে ইঙ্গিত করে বলল বোলার।
এখন ঠিকমতো খেলো
নেটে অনুশীলনের সময় ব্যাটসম্যানরা কেউই ব্যাটে বল লাগাতে পারছিলেন না। কোচ রেগে গিয়ে ব্যাটসম্যানের হাত থেকে ব্যাট কেড়ে নিয়ে বললেন, ‘এবার আমাকে বল করো, আমি দেখাচ্ছি।’
পরপর ছয়টি বল খেলে কোচ একটি বলও ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। তার পর এদিক-ওদিক তাকিয়ে ঝাঁঝের সঙ্গে বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি দেখলাম, তোমরা ঠিক এমনটাই খেলছিলে! এখন যাও, আর ঠিকমতো খেলো!’
ফায়ার ব্রিগেডে খবর
টেস্ট ম্যাচে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন এক ব্যাটসম্যান। গ্যালারি থেকে বিপক্ষ দলের এক দর্শক চিৎকার করে বললেন, ‘কেউ ফায়ার ব্রিগেডে খবর দাও। ওকে মাঠ থেকে বের করতে হবে!’
ফায়ার ব্রিগেডে খবর
টেস্ট ম্যাচে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন এক ব্যাটসম্যান। গ্যালারি থেকে বিপক্ষ দলের এক দর্শক চিৎকার করে বললেন, ‘কেউ ফায়ার ব্রিগেডে খবর দাও। ওকে মাঠ থেকে বের করতে হবে!’
কোন ব্যাটটা দিয়ে মারব
খেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আহত হলেন একজন ব্যাটসম্যান।
ফিজিও: কী সমস্যা বোধ করছ?
ব্যাটসম্যান: আমি সবকিছু তিনটা দেখতে পাচ্ছি!
ফিজিও: সমস্যা নেই। তিনটা বলের মধ্যে তুমি শুধু মাঝখানের বলটা মারবে।
পরের বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরল ব্যাটসম্যান।
ফিজিও: কী ব্যাপার? তুমি মাঝখানের বলটা খেলোনি?
ব্যাটসম্যান: খেলেছি। কিন্তু কোন ব্যাটটা দিয়ে মারব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না!
ঘুষ দেওয়ার লোভ
ক্রিকেটপাগল স্বামী প্রতি ছুটির দিনেই ক্রিকেট খেলতে মাঠে ছোটেন।
স্ত্রী: আমার মনে হয়, যে ছুটির দিনে তুমি বাসায় থাকবে, সেদিন আমি খুশিতে মারাই যাব।
স্বামী: আমাকে ঘুষ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না!
খারাপ খবর
খানিক আগেই আউট হয়ে যাওয়া এক ব্যাটসম্যান প্যাভিলয়নে বসে দেখছিল তার দল ক্রমশই হেরে যাচ্ছে। খেলা দেখতে দেখতে সে মুখ গোমড়া করে বসে আছে, এমন সময় তার এক বন্ধু এসে কানে কানে বলল, দোস্ত, একটা খুবই খারাপ খবর আছে, তোর বাড়িতে আগুন লেগে সারা বাড়ি পুড়ে ছাই, তোর ছেলে-মেয়ে-বৌ রাস্তার ওপরে বসে হাপুস নয়নে কাঁদছে!
ব্যাটসম্যান বিষণ মুখে তার দিকে ফিরে বলল, আমি এর থেকেও একটা খারাপ খবর তোকে দিতে পারি! আমাদের লাস্ট ব্যাটসম্যান এইমাত্র আউট হয়ে গেল!
অল্পের জন্য সেঞ্চুরিটা করা হলো না
ক্রিকেট ম্যাচ শেষ করে বিলটু তার বন্ধু সঞ্জুর সঙ্গে কথা বলছে—
সঞ্জু: কী রে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
বিলটু: ক্রিকেট খেলে আসলাম।
সঞ্জু: তা তুই কত রান করেছিস?
বিলটু: অল্পের জন্য সেঞ্চুরিটা করা হলো না।
সঞ্জু: কেন?
বিলটু: আর বলিস না! বিপক্ষ দল দুর্দান্ত এক বোলার নিয়ে এসেছিল।
সঞ্জু: কী করেছে সেই বোলার?
বিলটু: আরে, মাত্র ৯৯ রান বাকি থাকতেই আমার উইকেটটা নিয়ে নিয়েছে ওই বোলার।
টসে তো জিতেছিলে
দশ উইকেটে হেরে দলটি ফিরে এল ক্লাবে। ক্লাব ম্যানেজার উৎসাহ যোগাতে চাইলেন খেলোয়াড়দের।
: নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। হেরেছ তো কী হয়েছে? টসে তো জিতেছিলে।
আমি দৌড়াচ্ছি কেন
মাঠে চলছিল ক্রিকেটের উত্তেজনাকর মুহূর্ত। ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খুবই শোচনীয়, খুব বাজে ব্যাট করছিলেন তাঁরা। এ সময় গ্যালারি থেকে চিৎকার ভেসে এল, ‘মফিজ মফিজ তোমার বাড়িতে আগুন লাগছে।’ ব্যাটসম্যান ব্যাট রেখে দিয়ে ভোঁ দৌড় দিলেন মাঠের বইরে। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ তাঁর খেয়াল হলো-‘আরে আমি দৌড়াচ্ছি কেন? আমার নাম তো মফিজ নয়?’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৩, ২০০৯
নেট প্রাকটিসে পার্থক্য
আগামী ম্যাচটি হচ্ছে টিমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার পুরো সপ্তাহ ধরে কঠিন পরিশ্রম করলেন। পুরোটা সপ্তাহ তিনি নেটে অনুশীলন করে কাটালেন। সবশেষে ম্যাচের আগের দিন মাঠে প্রাকটিসের এক ফাঁকে তিনি কোচকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়ছে?’
কোচ তাঁকে আগাগোড়া একনজর দেখলেন। তারপর বললেন,‘হ্যাঁ, তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৩, ২০০৯
মার্কিন দর্শক এবং ক্রিকেট
এক মার্কিন দর্শক ইংল্যান্ড গেছেন ক্রিকেট খেলা দেখতে। এটা তাঁর জীবনে প্রথম ক্রিকেট খেলা দেখা। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন। তাঁর খুব ভালো লাগল ব্যাট হাতে দুজন ব্যাটসম্যান মাঠে প্রবেশ করছেন। বিপক্ষ দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে তাঁরা খেলছেন। প্রথম ছয় বলে ব্যাটসম্যানরা চার রান করলেন। এসব কিছুই তাঁর ভালো লাগল। ছয় বল শেষে আম্পায়ার বললেন, ‘ওভার।’
মার্কিন দর্শক উঠে দাঁড়ালেন। পাশের দর্শকের উদ্দেশে বললেন, ‘খেলাটা খুবই মজার, আনন্দদায়ক; কিন্তু দ্রুত শেষ হয়ে গেল।’