স্মৃতি মুছে দেওয়ার বা হারানো স্মৃতি ফিরে পাওয়ার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেছেন ইনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা। ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের স্মৃতি মুছে আবার তা ফিরিয়েও দিয়েছেন তারা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে পারে বিজ্ঞানীদের এই অর্জন থেকে।
প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিভিন্ন মানসিক রোগের সমাধান মিলতে পারে স্মৃতি মুছে ফেলার বা ফিরে পাওয়ার গবেষণায় বিজ্ঞানীদের এই অর্জন থেকে। পিটিএসডির মতো মানসিক অসুস্থতা এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ ব্যাধির চিকিৎসার নতুন উপায় সৃষ্টি হতে পারে এই আবিষ্কার থেকে।
এ ব্যাপারে স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের ওই বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. রবার্টো ম্যালিনাও বলেন, “আমরা নতুন স্মৃতি তৈরি করতে পেরেছি। উদ্দীপ্ত করে সিন্যাপ্টিক সংযোগ আরও দৃঢ় আবার দুর্বল করার মাধ্যমে সেই স্মৃতি মুছে দিয়ে আবার ফিরিয়েও আনতে পেরেছি।”
প্রথমে ল্যাবরেটটির ইঁদুরগুলোর মধ্যে ভয়ের অনুভূতি সৃষ্টি করেনি বিজ্ঞানীরা। আলোর প্রতি সংবেদনশীল স্নায়ু উদ্বীপ্ত করে একই সময়ে ইঁদুরগুলোর পায়ে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ইলেকট্রিক শক দেন বিজ্ঞানীরা। এতে ভয় ও ব্যাথ্যার অনুভূতি সৃষ্টি হয় ইঁদুর গুলোর মধ্যে।
এরপর ওই ভয় আর ব্যাথার স্মৃতি মুছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। ধীর গতিতে নিউরাল সংযোগে লো-ফ্রিকোয়েন্সি অপটিকাল পালস দিয়ে ওই স্মৃতি মুছে দেন বিজ্ঞানীরা। আর সবশেষে নিউরাল সংযোগে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি অপটিকাল পালস প্রয়োগ করে আবারও সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন বিজ্ঞানীরা।