বাজারে এসেছে শীতের রকমারি সবজি। এসবের মধ্যে টমেটো বেশ নজর কাড়ে। অবশ্য এই সবজি এখন বছরের অন্যান্য সময়ও পাওয়া যায়। টমেটোর আছে নানা গুণ। এতে আছে ভিটামিন ‘এ’, যা আমাদের ত্বক সুন্দর রাখে। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘সি’। আর টমেটোর ভিটামিন ‘কে’ রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। নিকোটিনিক অ্যাসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। তাই হৃদ্রোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়তা করে। গ্লুটামিক অ্যাসিড মস্তিষ্ক রাখে সুস্থ। টমেটোর পটাশিয়াম মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) প্রতিরোধে কার্যকর।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটো থেকে শক্তি পাওয়া যায় প্রায় ২০ ক্যালরি। টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। ‘লাইকোপিন’ নামের একধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে টমেটোর রং লাল। টমেটোর মতো এত বেশি পরিমাণে লাইকোপিন আর কোনো সবজি বা ফলে আছে বলে জানা যায়নি।
লাইকোপিন শরীরের মুক্ত যৌগমূলকগুলোকে নষ্ট করে দেয় এবং কোষগুলোকে রক্ষা করে। লাইকোপিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। জরায়ু মুখ, প্রোস্টেট, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, পাকস্থলী, গ্রাসনালি ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসার প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় এ ব্যাপারে প্রমাণ মিলেছে।
রান্নায় লাইকোপিন নষ্ট হয় না, বরং বাড়ে। তাই টমেটো রান্না করে খাওয়া বাড়তি উপকারী। অন্যান্য ফল বা সবজি রান্না করে খেলে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেলেও টমেটোতে তার বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। তাই শীতে প্রতিবেলায় টমেটো খান, আর সুস্থ থাকুন। সূত্র: ওয়েবএমডি।