আয়রনের অভাব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা

Author Topic: আয়রনের অভাব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা  (Read 2380 times)

Offline Dr Alauddin Chowdhury

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 54
  • Test
    • View Profile
আয়রনের অভাব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা
Date: October 27, 2014
       
       রক্তে অক্সিজেন পরিবহনব্যবস্থায় আয়রনের উপস্থিতি থাকায় রক্ত সংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আয়রন বা লৌহ। কোন ব্যক্তির বয়স এবং পুরুষ-মহিলা বিবেচনায় যে পরিমাণ হিমোগেস্নাবিন স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে থাকা প্রয়োজন তার চেয়ে পরিমাণে কম থাকলে সেই ব্যক্তির রক্তস্বল্পতা বা এ্যানিমিয়া আছে বলা যাবে। বাংলাদেশের মেয়েদের যে সমস্যাটি অত্যন্ত পরিচিত, সেটি হলো আয়রনের অভাব। আর আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া থেকে শুরু করে মানসিক প্রতিবন্ধকতা সহ নানা ধরনের রোগ হয়। সমগ্র বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। আর বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রক্তস্বল্পতা অন্যতম। অ্যানিমিয়া হলে শরীরে ক্লান্তি আসে, অনেক ক্ষেত্রে ত্বক ফ্যাকাসে হওয়া এবং এক ধরনের শারীরিক অস্থিরতাও হতে পারে। আয়রন- গর্ভবতী মায়ের জন্য আয়রন খুবই দরকার। গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আয়রন এর ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া আয়রন শরীরের রক্ত বাড়াতেও সাহায্য করে।
       সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, আয়রনের অভাবের জন্য শুধু এনিমিয়াই নয়, মেয়েদের বুদ্ধিও লোপ পায়; সেই সাথে লোপ পায় স্বাভাবিক কাজ করার দক্ষতা। ১৮-৩৫ বছর বয়সী ১১৩ জন মহিলার ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধি খাটানোর মতো কাজে আয়রনের ঘাটতিসম্পন্ন মহিলাদের ভুলের পরিমাণ স্বাভাবিকদের চেয়ে দ্বিগুণ।

বিভিন্ন কারণে রক্তক্ষরণ হতে পারে: যেমন দুর্ঘটনা, ডেলিভারির সময় রক্তক্ষরণ হয়, মাসিকের সময় রক্তস্রাব হয়, ম্যালেরিয়া, পেপটিক আলসার, লিভার সিরোসিস ইত্যাদি। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে রক্তস্বল্পতার অন্যতম প্রধান কারণ পেটে হুকওয়ার্ম বা বক্রকৃমি থাকা, কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে রক্তস্বল্পতা হয়। যেমন যক্ষ্মা, কালাজ্বর, ক্যান্সার ইত্যাদি। আমাদের দেশে অধিকাংশ শিশু আয়রনজনিত খাবারের অভাবে এ্যানিমিয়ায় আক্রানত্ম হয়। তার কারণ দারিদ্র্য এবং পরিবারে পুষ্টিজ্ঞানের অভাব। জন্মের ৪-৬ মাস পর আয়রনসমৃদ্ধ বাড়তি খাবার না খেয়ে শুধু বুকের দুধ খেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এ সময় শুধু মায়ের দুধে আয়রনের অভাব পূরণ হয় না।
আয়রনের উৎস:
    টক ফল: ভিটামিন সি পাকস্থলীতে অম্লত্ব বাড়ায়, যার ফলে আয়রন শোষণ বেশি হয়। শরীরে আয়রনের অভাব ধরা পড়লে আমলকী, পেয়ারা, পেঁপে, টমেটো, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি এবং ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত যেকোনো ফল খাদ্যতালিকায় রাখুন।
    যকৃৎ বা কলিজা: গরু, মুরগি, খাসি বা ভেড়ার যকৃৎ বা কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। ১০০ গ্রাম কলিজা থেকে প্রায় ২৩ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
    শেল ফিশ: অয়েস্টার, মুসেল এবং যেকোনো খোলসাবৃত প্রাণীর মাংসেও প্রচুর আয়রন থাকে। শামুক, ঝিনুক বা অয়েস্টারের প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে প্রায় ২৮ মিলিগ্রাম আয়রন। ফলে চিংড়ি মাছ খেতে পারেন আয়রনের ঘাটতি পূরণে।
    তেলবীজ: কুমড়া, শসা, বাঙ্গি ও তরমুজের বীজ আয়রনসমৃদ্ধ। এ ধরনের বীজের ১০০ গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া সম্ভব। পেস্তা বাদাম, চীনাবাদাম, অ্যালমন্ড ও অন্য কোনো প্রজাতির বাদাম আয়রনসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম বাদামে আয়রন থাকে ৬ মিলিগ্রাম।
    পাতাজাতীয় শাকসবজি: পুঁই শাক, পালং শাক, কচু, মুলা, শালগম, পাতাকপি ও ফুলকপিতে আয়রন পাওয়া যায়। এ ধরনের প্রতি ১০০ গ্রাম সবজি থেকে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
    চকোলেট ও কফি: ডার্ক চকোলেট ও কফি আয়রনসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম চকোলেট বা কফিতে প্রায় ১৭ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
    বিফ ও ল্যাম্ব: প্রতি ১০০ গ্রাম বিফ বা ল্যাম্বে প্রায় ৪ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।


    ‡kl K_v:
             Ò‡ivM wbivg‡qi ‡P‡q ‡ivM cÖwZ‡ivaB DËgÓ| বন্ধুরা, আশা করি আয়রনের অভাব প্রতিরোধের জন্য আয়রনের উৎসসমৃহ জানতে পেরেছেন। একটু সচেতনতার মাধ্যমে আয়রনের অভাব জনিত রোগ হতে আমরা বেঁচে যেতে পারি।  শিশু, গর্ভবতী মা থেকে শুরু করে সকলেরই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহ‡ণ  wb‡R m‡PZb nDb, cwiev‡ii mKj‡K m‡PZb করুন, mgvR‡K m‡PZb করুন, GKwU my¯’¨ my›`i RvwZ MV‡b GwM‡q Avmyb|



Offline ayasha.hamid12

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 372
  • Test
    • View Profile
 Creating consciousness is very important to solve the problem..