রাস্তার মোড়ে ভুট্টার খই যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পোড়ানো ভুট্টাও মেলে হরহামেশা। ইংরেজিতে পপকর্ন আর বাংলায় ভুট্টার খই এখন তো সিনেমা দেখার প্রধান অনুষঙ্গ। শখের বশে খাওয়া এই ভুট্টা শরীরের কী কাজে লাগে তা জানালেন, ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ। বললেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভুট্টা যেমন ভালো, তেমনি পুষ্টি পূরণেও এটি অনন্য। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভুট্টায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ে। বিশেষ করে স্তন এবং যকৃৎ টিউমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে ভুট্টায়।’
হজমে সহায়ক: ভুট্টায় আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। এর দ্রবণীয় আঁশ শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বিরুদ্ধে লড়ে। অদ্রবণীয় আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
রক্তস্বল্পতা দূর: ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের স্বল্পতার কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ভুট্টা এই দুটি উপাদানের খুব ভালো উৎস। এতে আয়রনও আছে যথেষ্ট।
শক্তি তৈরিতে: ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। এই শর্করা শরীরে শক্তি তৈরি করে। কাজে গতি এনে দেয়। মস্তিষ্ক ও নার্ভাস সিস্টেমের জন্য ভুট্টা খুব জরুরি।
ওজন বাড়াতে: যাদের ওজন কম এবং ওজন খানিকটা বাড়াতে চান, তাঁরা ভুট্টা খেতে পারেন। এতে প্রচুর ক্যালরি শরীরের মাংশপেশি বাড়াতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: নিয়মিত ভুট্টা খেলে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ে। এর ক্যারোটিনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো।
গর্ভবতী মায়ের জন্য: ভুট্টায় থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব প্রয়োজন। ভুট্টা খেলে গর্ভের সন্তান অল্প ওজনে জন্ম নেওয়ার শঙ্কা কমে যায়।