প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিস, স্যামসাং আর নিউ ইয়র্কের সানি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কলেজ অফ ন্যানোস্কেল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে এই মাইলফলকে পৌঁছায় আইবিএম। এই গবেষণায় মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩শ' কোটি ডলার।
বর্তমানের মোবাইল ডিভাইসগুলোতে ‘২২ ন্যানোমিটার’ চিপের বহুল প্রচলন রয়েছে। এর বিপরীতে ৭-ন্যানোমিটারের চিপ তৈরিতে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়েছে গবেষকদের। পাঠকের সুবিধার জন্য আইবিএমের ওই চিপকে মানব ডিএনএর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। মানব ডিএনএ ব্যাসে ২.৫ ন্যানোমিটার। সেই হিসেবে তিনটি মানব ডিএনএর সমান আইবিএমের নতুন চিপটির ট্রানজিস্টর।
ম্যাশএবল জানিয়েছে, সিলিকন জার্মেনিয়াম চ্যানেল ট্রানজিস্টর আর ‘এক্সট্রিম আল্ট্রাভায়োলেট লিথোগ্রাফি ইন্টিগ্রেশন’-এর মাধ্যমে এত ছোট চিপ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে আইবিএম।
আইবিএমের সূত্রমতে, ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিমাণ ডেটা প্রসেসিং আর মোবাইল ডিভাইসের নির্মাণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এই প্রযুক্তি। ডিভাইসের পারফর্মেন্স বাড়তে পারে ৫০ শতাংশ। আর বিদুৎ খরচও কমে আসবে ৫০ শতাংশে।