রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর

Author Topic: রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর  (Read 19881 times)

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর

খবর সূএ:

ফ্ল্যাটবাড়ি :ধরাছোঁয়ার বাইরে



সব মানুষের স্বপ্ন থাকে একটা সুন্দর বাড়ি। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে সবাই নিতে চায় একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। তাই তো ঢাকার বাইরের জেলা থেকে অভিবাসী হয়ে ঢাকায় আসা মানুষের স্বপ্ন থাকে একটি আধুনিক অনুষঙ্গের মনোরম ফ্ল্যাটের। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফ্ল্যাটের দাম। ফলে উচ্চবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্তরাই যেখানে ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, সেখানে মধ্যবিত্তের কথা বলাই বাহুল্য।

ঢাকার একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন বেলায়েত হোসেন। ঢাকায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন শুরু থেকেই। তিনি বলেন, পাখিরও একটি ঠিকানা আছে অথচ আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের সেই ঠিকানাটুকুও নেই। তিনি আরও বলেন, উপার্জনের সিংহভাগই চলে যায় বাড়িভাড়া আর পাঁচ সদস্যের পরিবারের খাদ্যের জোগান দিতে। তার মতে, ফ্ল্যাটের যে দাম বেড়েছে তাতে সারাজীবন সৎ পথে আয় করে কারও পক্ষে একটি ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার জন্য যে ব্যাংক লোন পাওয়া যায় তাতে যে পরিমাণ সুদ আরোপ করা হয় তা একটি ফ্ল্যাটের দ্বিগুণ দাম হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে , ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী আর ব্যাংক লাভবান হচ্ছে। গ্রাহকের কোনো লাভ হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর এলাকাভেদে গত ১০ বছরে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত। বারিধারায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ৪৫০০ থেকে ১১০০০, ধানমণ্ডিতে ৬৯০০ থেকে ৯০০০, মিরপুরে ৩৫০০ থেকে ৪৫০০, শান্তিনগরে ৪৪০০ থেকে ৬০০০, বসুন্ধরায় ৮০০০ থেকে ৯০০০, মোহাম্মদপুরে ৩০০০ থেকে ৫৫০০, গুলশানে ১০০০০ থেকে ১৫০০০, উত্তরায় ৩৮০০ থেকে ৫৯০০। ঢাকার বাইরেও ফ্ল্যাটের উচ্চ মূল্য লক্ষণীয়। এতে এলাকাভেদে ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম পড়বে ৪০ লাখ থেকে কোটির ওপরে। ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্পেস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার ওহাহিদুজ্জামান জানান, গত এক দশকে জমি এবং রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর, রঙ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, গ্গ্নাস, পিভিসি পাইপ, টাইলস ও মোজাইকসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েছে। এ ছাড়াও ফ্ল্যাট নিবন্ধন ও ভূমি নিবন্ধনে খরচ বেড়ে যাওয়াকেও ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত এক দশকে জমির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০০ শতাংশ, ইটের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ, সিমেন্ট ৩০০ শতাংশ, রড ৩০০ শতাংশ। এ অবস্থায় সরকার এই শিল্পের দিকে সুনজর না দিলে আগামীতে ফ্ল্যাটের দাম আরও বেড়ে যাবে। ফলে মধ্যবিত্ত কেন, উচ্চ মধ্যবিত্তদেরও নিজের ফ্ল্যাটের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সব সময়ই স্থির আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ওপর তীব্রভাবে আঘাত করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে তাদের আয়ের সঙ্গতি না বাড়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান কমে যায়। ফলে তারা ন্যূনতম চাহিদা পূরণের দিকে নজর দেয়। সে ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট হয়ে ওঠে বিলাসিতা। অথচ বাসস্থান একটি মৌলিক চাহিদা। জমি বা ফ্ল্যাট মালিকরা বসে থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সুবিধা ভোগ করে। তবে সরকার ফ্ল্যাট বা জমির মূল্যবৃদ্ধির ওপর প্রতি চার বছর পরপর করারোপ করে সেই টাকা ফ্ল্যাট নির্মাণে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ভাবতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন উৎপাদনহীন ভূমি ব্যবসা অনুৎসাহীত হবে, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত মানুষের আবাসন সমস্যা কিছুটা সমাধান হতে পারে।
« Last Edit: June 08, 2011, 12:47:41 PM by BRE SALAM SONY »
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর
« Reply #1 on: June 08, 2011, 12:53:50 PM »
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর

খবর সূএ:

নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর



নগরীতে প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে নামে-বেনামে অনেক ডেভেলপার কোম্পানি। কয়েক বছর আগেও নামিদামি এলাকার বাইরে দেখা যেত না বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট। ডেভেলপারের সংখ্যাও ছিল কম কিন্তু যুগ পরিবর্তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেভেলপার কোম্পানি ও অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা। নগরীর দয়াগঞ্জ, জুরাইন, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়াসহ ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটের দাম প্রতিবর্গফুট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সে সঙ্গে ওয়ারী, মতিঝিল থেকে ধানমণ্ডি, বনানী, গুলশান, মোহাম্মদপুরসহ এলাকাভেদে ফ্ল্যাটের দাম প্রতিবর্গফুট নেওয়া হচ্ছে ৬ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রতিবছরই বাড়ছে এ সব ফ্ল্যাটের দাম, দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কয়েকটি ডেভেলপার কোম্পানির কর্মকর্তা নির্মাণ সামগ্রী, শ্রমিক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির চেয়ে ফ্ল্যাটের দাম তুলনামূলক বেশি। নির্মাণ সামগ্রীর প্রধান উপাদান রডের বর্তমান মূল্য মান ও গ্রেডভেদে গড়ে ৫২-৫৮ হাজার টাকা টন। গত ২ বছর যার মূল্য ছিল গড়ে ৩৫-৪৮ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর ইটের মূল্য প্রতি হাজার গড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। গত বছর একই ইটের মূল্য ছিল ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার টাকা ও ২০০৯ সালে ছিল প্রায় ৭ হাজার টাকা। মধ্যমানের ইটের দাম আরও কম। মান ও কোম্পানিভেদে একই পরিমাণের সিমেন্টের গড় মূল্য প্রতি বস্তা ৩৮০-৪২০ টাকা। বিগত ২ বছরে প্রতি বস্তা সিমেন্টের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০-৫০ টাকা। গত ২ বছরে বিভিন্ন প্রকার বালুর দাম গাড়িপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ২-৪শ' টাকা। এ ছাড়া ২২ টাকা বর্গফুটের টাইলসে ৪০ টাকা ও ৪শ' টাকা মূল্যের টাইলস দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬শ' টাকা। এ ছাড়া রঙ, স্যানিটারি সামগ্রী, কাঠের দরজা-জানালাসহ শ্রমিকের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রতি এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীর খরচ একই পরিমাণ হলেও এলাকাভেদে কিছুটা উন্নতমানের সরঞ্জাম দিয়ে চাকচিক্য করে ডেভেলপারগুলো ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছে। ডেভেলপার কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, নগরীর মধ্যমান এলাকার ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়ে গড়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ মিলে প্রতি বর্গফুটে যোগ হয় আরও ৪-৫শ' টাকা; যা বিক্রি করা হয় প্রতি বর্গফুট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হিসেবে। অনেক এলাকায় কিছু অসাধু কোম্পানি সাধারণ নির্মাণ সামগ্রী ও সরঞ্জাম দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে ছোট আকারের ফ্ল্যাট তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের এক কর্মকর্তা জানান, নামিদামি কোম্পানিগুলো তাদের সুনাম নষ্ট করতে চান না। রিহ্যাবও অনিয়ম সমর্থন করে না। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানান, অ্যাপার্টমেন্টের চুক্তি হওয়ার ২-৩ বছর বা তার অধিক সময় পর কাজ শেষ হয়। ফলে চুক্তির সময় দাম কম থাকলেও ২-৩ বছরে নির্মাণ সামগ্রীসহ আনুষঙ্গিক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে ফ্ল্যাটের দামও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাস্তবে জিনিসপত্রের দাম কমলেও তুলনামূলকভাবে ফ্ল্যাটের দাম কমে না কিন্তু সামান্য দাম বাড়লে ফ্ল্যাটের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শতকরা ২০ ভাগ কোম্পানি নিয়মনীতি না মেনে কোনো রকমে অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করছে। নামিদামি এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টে লিফটসহ আধুনিক সরঞ্জাম থাকলেও সেগুলোর দামের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ ক্রেতাদের কাছ থেকে উঠিয়ে নেয় ডেভেলপার কোম্পানিগুলো। দীর্ঘমেয়াদি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে যথাযথ পাইলিং ও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবেলার ব্যবস্থা তদারকি ও জায়গার দাম বিবেচনায় ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করে সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা উচিত বলে মনে করেন নগরবাসী।
« Last Edit: June 08, 2011, 01:11:40 PM by BRE SALAM SONY »
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
ডেভেলপারের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনতে বিভিন্নভাবে প্রতারিত



জনবহুল এ নগরীতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে সাধ্য অনুযায়ী অনেকে কিনছেন ফ্ল্যাট। অনেকে আবার ডেভেলপারের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনতে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন ।
নগরীর ভাসানটেক, মিরপুর-১২ ও ১৩, মধ্যবাড্ডা, দয়াগঞ্জ, জুরাইনসহ কয়েকটি এলাকার কয়েক ফ্ল্যাট ক্রেতা জানান, ৩ বছরে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা এখনও পাচ্ছি না। মধ্যবাড্ডার এক ব্যবসায়ী জানান, চুক্তির সময় যে ধরনের সরঞ্জাম দেওয়ার কথা থাকে তা অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয় না। এছাড়া সঠিক সময়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিলে চুক্তি অনুযায়ী ক্রেতাকে বাড়িভাড়া বাবদ প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ পুরো টাকা পরিশোধ হয়েছে যথাসময়ে।
ফ্ল্যাটের আয়তনের মাপেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ভবনের সিঁড়ি, প্রতি তলার সিঁড়ি ও ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক সংলগ্ন খালি জায়গাও প্রতিটি ফ্ল্যাটের মাপের আয়তনের সঙ্গে যুক্ত করে অর্থ আদায় করছেন বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতাদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। তাছাড়া প্রতি তলার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের সংযুক্ত ৫ বা ১০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের দেয়ালের জায়গার দাম দিতে হয় উভয় ফ্ল্যাটের মালিককে। ফলে একই পরিমাণ জায়গার দ্বিগুণ দাম নিচ্ছে ডেভেলপার কোম্পানিগুলো। এ কারণে নির্দিষ্ট বর্গফুটের আয়তনের চুক্তির চেয়ে মূল ফ্ল্যাটের আয়তন অনেক কম থাকে। নিয়ম অনুযায়ী ডেভেলপার কোম্পানি ও জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তির পর রাজউকের অনুমোদন বা প্ল্যান পাস করিয়ে নিতে হয়। এরপর ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য যোগাযোগ সংবলিত সাইববোর্ড টানানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে তা না করে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ ও কিস্তি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে। সে সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্টের সব ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু করে না কোম্পানিগুলো। এ জন্য ফ্ল্যাট পেতে ক্রেতা ও জমির মালিককে দেরির ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ডেভেলপার কোম্পানির প্রতারণা প্রসঙ্গে  জানান, রাজউকের নিয়ম-নীতি অনুসরণ এবং ক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই সবাইকে ব্যবসা করা উচিত। ক্রেতাদেরও সচেতন হয়ে দেখে-শুনে ভালোভাবে যাচাই করে ফ্ল্যাট বুকিং করা উচিত। তবে গ্যাস, বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকায় অনেক অ্যাপার্টমেন্ট প্রস্তুতের পরও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। প্রতারণার অভিযোগটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সত্য নয় বলে মনে করেন

খবর সূএ:
[size=06]Click Here [/size]
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
ঋণের সুদ ও অন্য ঋণের ঝক্কি




মানুষ যত শহরমুখী হচ্ছে ততই বাড়ছে আবাসন সংকট। আর এ সংকট নিরসনে হাউজিং কোম্পানিগুলো যেমন দেদার চালিয়ে যাচ্ছে হাউজিং ব্যবসা, তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং কিছু প্রতিষ্ঠানও বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য দিচ্ছে হোম লোন। বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে এ সব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। তবে চাইলেই সবাই ঋণ নিতে পারেন না। অনেককেই ঋণ নিতে নানা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হয়।


বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের সুদ ও অন্য বিষয়ে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও হোম লোনের সুদ ১১-১৬ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করে। ব্র্যাক ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস, আইডিএলসিসহ অনেক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান হোম লোন দিয়ে থাকে। হোম লোনের জন্য কোনো কোনো ব্যাংক জামানত নিয়ে থাকে।

আবার কোনো কোনো ব্যাংক জামানত ছাড়াই ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা হোম লোন দিয়ে থাকে। যেমন_ এইচএসবিসি ব্যাংকে এ ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা চাকরিজীবী হলে মাসিক আয় হতে হবে নূ্যনতম ৪০ হাজার টাকা আর ব্যবসায়ী হলে আয় হতে হবে ৫০ হাজার টাকা। একইভাবে অন্য ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানে ঋণগ্রহীতার মাসিক আয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরিজীবীর নূ্যনতম আয় হতে হয় ২৫ হাজার টাকা আর ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে নূ্যনতম আয় হতে হয় ৩০ হাজার টাকা।


সে অনুযায়ী কাগজপত্র বা প্রমাণাদি চাওয়া হয়। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু আয় নয় ঋণগ্রহীতার বয়সের ওপরও কোনো কোনো ব্যাংক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়সসীমা হতে হয় ২৫ থেকে ৬৫ বছর। বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য পুরো ঋণ ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় না। নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে ও পুরনো বাড়ি মেরামত করা সাপেক্ষে কোনো কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। বাকিটা বিনিয়োগকারীর থাকতে হয়।

আপাতদৃষ্টিতে নিয়মকানুন সহজ মনে হলেও হোম লোন পাওয়া মোটেও সহজ নয়। কোনো কোনো ব্যাংক জামানতকৃত জমি বা বাড়ির কাগজপত্র দাবি করে। সে সব ঠিকমতো দেখাতে না পারলে ঋণ পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় জামানত দেওয়া সম্পত্তির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও কোনো কোনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করে। ঘুষ ছাড়া ঋণের কাগজপত্র ছাড় দেওয়া হয় না। আবেদনপত্র মাসের পর মাস জমা হয়ে থাকে। আর টাকা দেওয়া হলে দ্রুত ঋণের কাগজপত্র পাস হয়ে যায়। হোম লোন পেতে ঝক্কি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবী আদিল হোসেন জানান, হোম লোন পেতে ব্যাংকে দিনের পর দিন ধরণা দিতে হয়। পরিচিত কেউ না থাকলে খুব সহজে ঋণ পাওয়া যায় না। তার মতে, সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি আরও সহজ করা প্রয়োজন। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা একেক ব্যাংকে একেক রকম হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ব্যাংকে এ সময়সীমা ২০ থেকে ২৫ বছর হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিরত মোকলেসুর রহমান বলেন, ব্যাংকে যে পরিমাণ সুদ দিতে হয় আর যতদিন ধরে দিতে হয় তাতে একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দ্বিগুণ দাম হয়ে যায়।


খবর সূএ:
[size=06][/size]
« Last Edit: June 08, 2011, 01:49:55 PM by BRE SALAM SONY »
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
চলনবিলে কৃষিজমি ভরাট করে গড়ে উঠছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা      




কৃষিজমিতে আর ইটের ভাটা বা অন্য কোনো স্থাপনা করা যাবে না বলে ভূমি মন্ত্রণালয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও চলনবিলের ভূমিদস্যু আর অসাধু ভূমি ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন কৃষিজমি ভরাট করে গড়ে তুলছেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে আবাদি জমি কিনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা তা বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভিন্ন সরকারের আমলের মন্ত্রী-এমপিরা চলনবিলে হাজার হাজার হেক্টর খাসজমি প্রভাবশালীদের কাছে লিজ ও বন্দোবস্ত দেয়ার কারণে কৃষিজমি ভরাট করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আবাসন ব্যবসা। এতে একদিকে কমছে কৃষিজমির পরিমাণ, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে চলনবিলের পরিবেশ। আর এক সময়ের ১ হাজার ৮ বর্গকিলোমিটারের চলনবিল বেদখল হয়ে বর্তমানে ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, ওইসব রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে তুলেছেন আবাসন ব্যবসা। তাছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা এতটাই প্রভাবশালী যে, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক ভরাট করে যাচ্ছে কৃষিজমি। এদিকে চলনবিল জাতীয় রক্ষা কমিটি ঢাকায় এক কনভেনশন করে বিলকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে। তবুও বিল রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।


সূত্র জানায়, নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম; নরাজস্থলীতে নির্মাণকাজ না করেই বরাদ্দের অর্ধকোটি টাকা লোপাট
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
দুর্গম পার্বত্য এলাকা রাজস্থলী উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুনর্নির্মাণ কাজ না করেই সরকারি বরাদ্দের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দা ইউনিয়নের চিংখংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইয়ংমংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ কাজের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের অনকূলে ২১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা করে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। রাজস্থলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে যথানিয়মে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে বিদ্যালয় দুটির পুনর্নির্মানের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয় দুটি নির্মাণের কার্যাদেশ গ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করা দূরের কথা যথাস্থানে কোনো নির্মাণ সামগ্রীও পৌঁছায়নি।


এব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমউদ্দিন জানান, তার দায়িত্ব নেয়ার পূর্বে আগের প্রকৌশলী আতাউর রহমানের সময় এ দুর্নীতির ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ঘটনাটি দীর্ঘদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখার পর সমপ্রতি প্রকাশ পেলে বিভাগীয় আপসমূলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী আতাউর রহমানের কাছ থেকে লোপাটকৃত অর্থ ফেরত নিয়ে দুটি স্কুল ভবন পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকৌশলী আতাউর রহমান কিস্তিতে লোপাটকৃত অর্থ ফেরত দিচ্ছেন বলে বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমউদ্দিন জানান।ওগাঁর রানীনগর, আত্রাই; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া; পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বেড়া এবং বগুড়ার দক্ষিণমিলে চলনবিলের অবস্থান। বর্তমানে চলনবিলের মোট জমির পরিমাণ ৫ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৬ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদযোগ্য ৪ লাখ ২২ হাজার ৫৬০ হেক্টর। এছাড়া বিলের গভীরতা ১ দশমিক ৫৩ মিটার থেকে ১ দশমিক ৮৩ মিটার। কিন্তু ১ হাজার ৮ বর্গকিলোমিটারের চলনবিল প্রভাবশালীদের দখলের কারণে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে।

স্থানীয়দের মতে, ১৯১৪ সালে প্রথম একটি রেলপথের মাধ্যমে চলনবিলকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। তবে চলনবিলের মূল সংকোচন শুরু হয় নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক নির্মাণের সময় থেকেই। এরপর সিংড়া-বারুহাস-তাড়াশ এবং হাটিকুমরুল সড়ক নির্মাণ করে চলনবিলকে বিভক্ত করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলনবিলের কৃষিজমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে হাটবাজার। তাছাড়া নাটোরের হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়কের পাশে চলনবিলের জায়গা ভরাট করে শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। অপরদিকে চলনবিলের নাটোর-বগুড়া মাহসড়কের পাশে কৃষিজমি ভরাট করে তা প্লট আকারে বিক্রি করছেন সিংড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী। তিনি জানান, চলনবিল এলাকায় প্রায় ৮ বিঘা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি তারা কয়েকজন মিলে কিনে নিয়েছেন।

এরপর সেগুলো ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বিলটি গঠনের সময়ে চলনবিলের আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮ বর্গকিলোমিটার। এছাড়া ১৯০৯ সালে তত্কালে বিলের আয়তন ছিল ১৪২ বর্গমাইল। এর মধ্যে ৩৩ বর্গমাইলে সারা বছর পানি জমে থাকত। আর জমির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর। ১৯৬৭ সালে জনবসতি এলাকা বাদ দিয়ে সেসময় বিলের জলময় অংশের আয়তন ছিল ৫শ’ বর্গমাইলের ওপরে। এরপর কৃষিজমি ভরাট আর ভূমিদস্যুদের কবলে বর্তমানে ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে চলনবিল।

চলনবিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সদস্য সচিব ও পিকেএসএসের নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ বলেন, চলনবিলের অবস্থান নির্ণয় করে বিলটি রক্ষার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। আর চলনবিলে কৃষিজমি ভরাট ঠেকানো না গেলে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী এই বিলটি। তাই এখনই বিলটি রক্ষার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।



খবর সূএ:


[/size]
« Last Edit: June 08, 2011, 01:59:59 PM by BRE SALAM SONY »
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
রিয়েল এস্টেট বিল পাস
« Reply #5 on: June 08, 2011, 02:03:36 PM »
সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দিয়ে রিয়েল এস্টেট বিল পাস       




অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ডেভেলপার কর্তৃক প্রতারণামূলক অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিল ২০০৯ গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

তবে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এ আইনের বিধান প্রযোজ্য হবে না। কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রত্যেক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডেভেলপারকে সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলের ষষ্ঠ অধ্যায়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অপরাধ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ১৯ ধারা অনুসারে নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যক্তি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করলে অনূর্ধ্ব ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অনুমোদন ছাড়া রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করলেও একই ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী ডেভেলপার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমির মালিককে তার অংশ হস্তান্তর না করলে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে রিয়েল এস্টেট সম্পর্কিত অপরাধগুলো আপসযোগ্য, জামিনযোগ্য এবং অ-আমলযোগ্য।

খবর সূএ:


[/size]




আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সমস্যা ও সম্ভাবনা





নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০১০ সাল বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট বা হাউজিং ব্যবসার জন্য একটি সাফল্যের বছর। ফ্লাট ও জমি মিলে এই সেক্টরে এ বছর বিক্রির হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ, যা ২০০৯ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। আর এই বিক্রির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে ফ্লাট বিক্রি থেকে। যার সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ হাজারটি।

অর্থনৈতিক বিশ্বমন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস ও বিদ্যুতের অপ্রতুলতা, সিমেন্ট-রডসহ কাঁচামালের অব্যাহত দামবৃদ্ধির মতো নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও হাউজিং ব্যবসার ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে এই শিল্পের জন্য একটি বড় ইতিবাচক ঘটনা। এরসঙ্গে প্রসঙ্গ এসে যায়- আরো বেশি করে সহায়ক অবকাঠামো নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের শিল্পখাতগুলোতে কিছুটা পরিলক্ষিত হয়। তবে সরকারের কিছু সময়োচিত সিদ্ধান্তের কারণে সেই সংকটময় সময় রিয়েল এস্টেট খাত ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছে। সরকারের দেয়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই এই খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন যা এই শিল্পের সাময়িক সংকট উত্তরণের জন্য ছিল সহায়ক। রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট তানভিরুল হক প্রবালের মতে, সরকারের এই উদ্যোগের কারণে ফ্লাট বিক্রির হার ২০০৯ সালে প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বরাবরের মতো দেশীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ক্রেতার ব্যাপক আগ্রহ শেষ পর্যন্ত হাসি ফুটিয়ে তোলে ব্যবসায়িদের।

বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের প্রতি উৎসাহ এবং আগ্রহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানান হাউজিং ফেয়ার, প্রমোশনাল ইভেন্ট, প্রবাসী বাংলা পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার, বহুমুখি মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ইত্যাদি কারণে এই খাতে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অন্য যে কোনো শিল্পখাতের চেয়ে এই খাত তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবং স্বল্পতম সময়ে মুনাফা অর্জনের অধিক সুযোগ থাকায় অনেক বিনিয়োগকারীই এই সেক্টরকে অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

তবে ব্যাপক সম্ভাবনা সত্ত্বেও ২০১১  সালটি এই শিল্পের জন্য একটি সংকটময় বছর হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা। এই শিল্পের প্রধান দুটি কাঁচামাল হলো গ্যাস ও বিদ্যুত। বর্তমানে এই দুটি উপকরণেরই অবস্থা খুবই নাজুক। অব্যাহত লোডশেডিং, জরুরি গ্যাস প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা ইত্যাদির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্মাণ শিল্পের প্রতিটি উপকরণের দাম। এসবের মাঝে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি কিছু সিদ্ধান্ত এই শিল্পের ভবিষ্যতকে আরো কিছুটা অনিশ্চিত করে তুলেছে।

সম্প্রতি এক সিদ্ধান্তে নতুন কোনো আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এই বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৩ ভাগ যাতে সৌর বিদ্যুৎ থেকে পূরণ করা হয় সে বিষয়ে শিগগিরই সরকার এটি নীতিমালা করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট তানভিরুল হক প্রবালের মতামত- সরকারি এই সিদ্ধান্ত নির্মাণ শিল্পের জন্য নেতিবাচক হবে। কারণ প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেল বসাবার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এই শিল্পে নেই। এছাড়া সোলার প্যানেল ক্রয় ও তা রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এদিকে গত বছর পাস হওয়া ‘রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০’ এর কারণে এই খাতের বেশকিছু  কোম্পানি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। কারণ এইখাতে নিয়োজিত প্রায় দেড় হাজার কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৮২৭টি কোম্পানি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)- এর সদস্য এবং এই সদস্যদের মধ্য থেকে মাত্র ৯টি কোম্পানি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর তালিকাভুক্ত।

রাজউকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে- রাজউক কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত না হলে ১ জুলাই ২০১০ থেকে কোনো কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে জমি বিক্রি বা ফ্লাট নির্মাণের অনুমতি পাবে না। রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, বেসরকারি ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। তিনি আরো বলেন, দেশের বিদ্যমান বিল্ডিং কোড মেনে পরিকল্পিতভাবে সকল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে হবে।

‘রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০’ আইন অনুযায়ি, এই খাতে নিয়োজিত কোনো কোম্পানি যদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের, যেমন রাজউক, রিহ্যাব ইত্যাদির কাছে যদি নিবন্ধনকৃত (রেজিস্ট্রিকৃত) না হয় তবে কোম্পানির মালিক পক্ষকে ২ বছরের জেল এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। অধিকন্তু মালিক পক্ষ যদি তাদের ব্রুশিয়ারে প্রকাশিত সুবিধাগুলো থেকে কোনো কিছু কম করে থাকেন তাহলে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের জেল হতে পারে। এই আইনের অপর এক ধারায় বলা হয়েছে, যে নির্মিতব্য ভবনের সরকার অনুমোদিত নকশায় যদি কোনো পরিবর্তন আনা হয় তবে মালিকপক্ষকে হয় ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

সম্প্রতি পাস হওয়া আইনটির আওতায় জমি বিক্রেতার অধিকারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আইনের একটি বিশেষ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, যদি কোনো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ক্রয়কৃত জমির মালিকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অমান্য করেন অথবা ভবন নির্মাণ অসমাপ্ত রাখেন এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপুরণ না প্রদান করেন তাহলে এ জাতীয় আচরণকে প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হবে। এই প্রতারণার অপরাধে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষকে ২ বছরের জেল বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। অপরদিকে এই আইনে বলা হয়েছে- যদি কোনো জমির মালিক ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করলে তাকে দুই বছরের জেল অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে


খবর সূএ:


[/size]

আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০০৮
( ২০০৮ সনের ৫৬ নং অধ্যাদেশ)
       




 
 
রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও উহার ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত
 
অধ্যাদেশ

যেহেতু রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও উহার ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং

যেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;

সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করিলেনঃ-

     
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
     
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন         
(১) এই অধ্যাদেশ রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০০৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবৎ হইবে।
     
     
      
     
সংজ্ঞা         
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই অধ্যাদেশে-

(১) "অনুমোদিত নক্শা" অর্থ প্রযোজ্য ইমারত নিমার্ণ বিধিমালা এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (Bangladesh National Building Code) অনুযায়ী অনুমোদিত ভবনের নক্শা;

(২) "কমন স্পেস" অর্থ রিয়েল এস্টেট এর জন্য সহযোগী স্পেস যেমন- লিফ্ট-লবীর, সিঁড়ি ঘর, লিফ্ট মেশিন রুম, জেনারেটর সাব-স্টেশন, কেয়ার টেকার কক্ষ, গার্ড রুম, কমন ফ্যাসিলিটিস এর জন্য ব্যবহৃত স্থান;

(৩) '' কতৃর্পক্ষ '' অর্থ ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত বা, ক্ষেত্রমত, উল্লিখিত কতৃর্পক্ষ;

(৪) "ক্রেতা" অর্থ রিয়েল এস্টেট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এর সহিত চুক্তিবদ্ধ কোন ব্যক্তি;

(৫) ''নগর উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ'' অর্থ Town Improvement Act, 1953 (Act No. XIII of 1953) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত 'রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ', Chittagong Development Authority Ordinance, 1959 (Ordinance No. LI of 1959) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত 'চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ', Khulna Development Authority Ordinance, 1961 (Ordinance No. II of 1961) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত 'খুলনা উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ' এবং Rajshahi Town Development Authority Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXVIII of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত 'রাজশাহী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ';

(৬) "নিবন্ধন সনদ" অর্থ ধারা ৫ এর অধীন ইস্যুকৃত নিবন্ধন সনদ;

(৭) "নির্ধারিত" অর্থ এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

(৮) "প্লট" অর্থ বাসযোগ্য এক খণ্ড জমি যাহার উপর এক বা একাধিক আবাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বা বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট নিমার্ণ করা যায়;

(৯) "ফ্লোর স্পেস" অর্থ দেওয়াল ও অন্যান্য ভারবাহী কাঠামোর আনুভূমিক ক্ষেত্রফলসহ ব্যবহারযোগ্য ইমারতের একটি তলার ক্ষেত্রফল;

(১০) "ব্যক্তি" অর্থে কোম্পানী, সমিতি বা ব্যক্তি সমষ্টি, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তভুর্ক্ত হইবে;

(১১) "বিল্ডিং সার্ভিসেস" অর্থ আলো-বাতাসের চলাচল, বৈদ্যুতিক সংযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, উত্তাপন (heating), অভ্যন্তরীণ শব্দ (acoustics) নিয়ন্ত্রণ, লিফট, গ্যারেজ, এস্কেলেটর ও মুভিং ওয়াক স্থাপন, পানি সরবরাহ, অগ্নিনিবাপণ, পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশন, গ্যাস সরবরাহ এবং টেলিফোন সংযোগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধার সন্নিবেশ;

(১২) "রিয়েল এস্টেট (real estate) অর্থ উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও ক্রয়-বিক্রয়ের নিমিত্ত আবাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বা বাণিজ্যিক প্লট অথবা এপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট, প্রাতিষ্ঠানিক বা মিশ্র ফ্লোর স্পেস জাতীয় স্থাবর ভূ-সম্পত্তি;

(১৩) "রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা" অর্থ বেসরকারী অথবা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে রিয়েল এস্টেট প্লট অথবা এপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট এবং প্রাতিষ্ঠানিক বা মিশ্র ফ্লোর স্পেস জাতীয় স্থাবর ভূ-সম্পত্তির উন্নয়ন, ক্রয়-বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, বরাদ্দ, নিমার্ণ ও রক্ষণাবেক্ষণ;

(১৪) "রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প বা প্রকল্প " অর্থ ডেভেলপার কতৃর্ক-

(অ) বেসরকারী আবাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বা বাণিজ্যিক প্লট উন্নয়ন ও বরাদ্দ, এবং

(আ) রিয়েল এস্টেট নিমার্ণ, ক্রয়-বিক্রয়, বরাদ্দ, ইত্যাদির জন্য গৃহীত প্রকল্প বা প্রকল্পসমূহ; এবং

(১৫) "রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা ডেভেলপার" অর্থ রিয়েল এস্টেট নিমার্ণ, ক্রয়-বিক্রয়, বরাদ্দ, ইত্যাদির সহিত সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি।
     
     
      
     
প্রযোজ্য         
(১) সম্পূর্ণভাবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কাযর্ক্রমের ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না।

(২) সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অথবা উহার অধীনস্থ বা সংযুক্ত কোন দপ্তর বা সংস্থা বা কতৃর্পক্ষ অথবা কোন সংবিধিবদ্ধ কতৃর্পক্ষ বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কোন ডেভেলপার এর সহিত যৌথভাবে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কাযর্ক্রম পরিচালনা করিলে উহা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং সেইক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশ এবং তদধীন প্রণীত বিধিমালা প্রযোজ্য হইবে।
     
     
দ্বিতীয় অধ্যায়
কতৃর্পক্ষ প্রতিষ্ঠা, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিবন্ধন, দায়িত্ব, ইত্যাদি
     
কতৃর্পক্ষ প্রতিষ্ঠা         
(১) সরকার, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এক বা একাধিক কতৃর্পক্ষ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং তদুদ্দেশ্যে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত এলাকার জন্য কতৃর্পক্ষ হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।

(২) বিশেষ করিয়া এবং উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংশ্লিষ্ট নগর উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ এবং নগর উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের অবর্তমানে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) অধ্যাদেশ, ২০০৮ এর অধীন গঠিত সংশ্লিষ্ট সিটি কপোরেশন, উক্ত অধ্যাদেশে বর্ণিত অধিক্ষেত্রের জন্য, কতৃর্পক্ষ হিসাবে গণ্য হইবে।
     
     
      
     
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিবন্ধন         
(১) এই অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের নিকট হইতে নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সমগ্র বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করিতে হইলে উক্ত রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে সরকারের নিকট হইতে নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে।

(৩) প্রত্যেক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রের কপিসহ নিবন্ধনের জন্য সরকার বা, ক্ষেত্রমত, কতৃর্পক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে, যথাঃ-

(ক) ট্রেড লাইসেন্স;

(খ) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট;

(গ) মূল্য সংযোজন কর (VAT) রেজিস্ট্রেশন নম্বর;

(ঘ) প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার ও কারিগরী ব্যক্তিদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র;

(ঙ) কোম্পানী হইলে, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন (Memorandum of Association) এবং আর্টিকেলস্ অব এসোসিয়েশন (Articles of Association) সহ সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন (Certificate of Incorporation);

(চ) রিয়েল এস্টেট এণ্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) অথবা 'ল্যান্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন' এর নিবন্ধনের কপি (যদি থাকে)।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর সরকার বা, ক্ষেত্রমত, কতৃর্পক্ষ প্রাপ্ত তথ্যাদি ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে যাচাই-বাছাইপূবর্ক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-

(ক) আবেদনকারী রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত শতাবলী পূরণ করিতে সক্ষম, তাহা হইলে উক্ত সময়ের মধ্যে আবেদনটি মঞ্জুর করিবে এবং তদসম্পর্কে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে; অথবা

(খ) আবেদনকারী উক্ত শতাবলী পূরণ করিতে অক্ষম, তাহা হইলে কারণ উল্লেখ করিয়া আবেদন নামঞ্জুর করিবে এবং তদসম্পর্কে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।

(৫) উপ-ধারা ৪(ক) এর অধীন আবেদন মঞ্জুর করা হইলে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, কতৃর্পক্ষ আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবার তারিখ হইতে পরবতী ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে, প্রযোজ্য ফিস আদায় সাপেক্ষে, ৫(পাঁচ) বৎসরের জন্য আবেদনকারীর বরাবরে একটি নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবে এবং উক্ত নিবন্ধন সনদ ৫(পাঁচ) বৎসর অন্তর অন্তর নবায়ন করা যাইবে।

(৬) নিবন্ধিত ডেভেলপারদের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও প্রকাশ করিবে।

(৭) নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডেভেলপারের নিবন্ধন নবায়ন, বাতিল ও সংশোধন করা যাইবে।
     
     
      
     
ডেভেলপারের দায়-দায়িত্ব         
(১) এই অধ্যাদেশের অধীন সকল ডেভেলপারকে তদকতৃর্ক প্রস্তুতকৃত প্রসপেক্টাসে রিয়েল এস্টেট এর নিবন্ধন নম্বরসহ উহার নাম, ঠিকানা ও যথাযথ কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক অনুমোদিত নক্শার অনুমোদন নম্বরসহ স্মারক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করিতে হইবে।

(২) কোন ডেভেলপার কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং ডেভেলপার কতৃর্ক হস্তান্তর দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা বা অধিকার প্রাপ্তির পূর্বে রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রচার করিতে পারিবে না।

(৩) প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে ক্রেতার নিকট ডেভেলপার কোন রিয়েল এস্টেট বিক্রয় করিতে বা বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হইতে পারিবে না।

(৪) প্রত্যেক ডেভেলপার ক্রেতাকে কতৃর্পক্ষের অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিলপত্র প্রদর্শন করিবে।

(৫) অনুমোদিত নক্‌শা ব্যতীত অন্যান্য সহযোগী স্থাপত্য নক্‌শা, কাঠামোগত নকশাসহ (structural design) অন্যান্য বিল্ডিং সার্ভিসেস ডিজাইন ও দলিলাদি ডেভেলপার কতৃর্ক প্রতিস্বাক্ষরিত হইতে হইবে।

(৬) বেসরকারী বা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে আবাসিক প্লট প্রকল্পের আওতাধীন জমির মালিকানা স্বত্ব ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে, অনুসরণ করিতে হইবে।

(৭) প্রত্যেক ডেভেলপারকে যথাযথ কতৃর্পক্ষের নিকট হইতে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে, এবং প্রযোজ্য ইমারত নিমার্ণ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী রিয়েল এস্টেট এর নক্শার অনুমোদন, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন, প্রকল্প উন্নয়ন, সংশোধন, পুনঃঅনুমোদন বা নবায়ন করিতে হইবে।

(৮) বেসরকারী বা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যান নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথ কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক অনুমোদিত হইতে হইবে।

(৯) রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪, অনুযায়ী নাগরিক সুবিধাদি, যতদূর সম্ভব, নিশ্চিত করিতে হইবে।

(১০) প্রত্যেক ডেভেলপারকে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প এইরূপে বাস্তবায়ন করিতে হইবে যাহাতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যে কোন প্রকারের অবকাঠামো বা প্লট বা ফ্ল্যাট বা রাস্তাঘাট, বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানি সরবরাহ, পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশন, গ্যাস সরবরাহ এবং টেলিফোন সংযোগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধার কোনরূপ ক্ষতি সাধন না হয়।
     
     
      
     
ভূমির মালিক কতৃর্ক রিয়েল এস্টেট নির্মাণ         
(১) কোন ডেভেলপার জমি খরিদ করিয়া উক্ত জমিতে মালিক নিয়ত হইয়া উক্ত জমির উপর বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রিয়েল এস্টেট নির্মাণ করিলে এই অধ্যাদেশের সকল বিধি-বিধান তাহার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

(২) কোন ব্যক্তি এককভাবে বা কয়েকজন ব্যক্তি যৌথভাবে কোন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান না হইয়াও তাহার বা তাহাদের নিজস্ব ভূমির উপর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্য রিয়েল এস্টেট নির্মাণ করিলে, তাহার বা তাহাদের ক্ষেত্রেও, যতদূর প্রযোজ্য হয়, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
     
     
তৃতীয় অধ্যায়
রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রয়, রেজিস্ট্রেশন, হস্তান্তর, ইত্যাদি
     
রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রয়ের শতাবলী         
(১) প্রসপেক্টাসে বা বরাদ্দপত্রে রিয়েল এস্টেট এর বিক্রয়যোগ্য এলাকার বিভাজনসহ যথাযথ ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ উল্লেখ করিতে হইবে।

(২) রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিস্তারিত শর্ত, যতদূর সম্ভব, পক্ষদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করিতে হইবে।

(৩) কোন ডেভেলপার ক্রেতার সম্মতি ব্যতীত বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট প্লট বা ফ্ল্যাট পরিবর্তন করিতে পারিবে না।

(৪) কোন ডেভেলপার ক্রেতার নিকট হইতে চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করিতে পারিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন পক্ষ পরবর্তীতে কোন উন্নতমানের সরঞ্জামাদি সংযোজনের প্রস্তাব করিয়া পরস্পর সম্মত হইয়া এই মর্মে সম্পূরক চুক্তি সম্পাদন করিলে এই বিধান কার্যকর হইবে না।
     
     
      
     
হস্তান্তর দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন         
(১) রিয়েল এস্টেটের সমুদয় মূল্য পরিশোধের পর ডেভেলপার অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ক্রেতাকে রিয়েল এস্টেটের দখল হস্তান্তর, দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন কাযার্দি সম্পন্ন করিয়া দিবে।

(২) রিয়েল এস্টেট এর দখল হস্তান্তরকালে উহার আয়তন কম বা বেশী হইলে তাহার মূল্য ক্রয়কৃত দর (rate) অনুযায়ী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সমন্বয় করিতে হইবে।

(৩) কোন ডেভেলপার কোন ভূমির মালিকের নিকট হইতে বা পক্ষে আম-মোক্তারনামা দলিল বলে ভূমি প্রাপ্ত হইয়া উক্ত ভূমিতে রিয়েল এস্টেট নির্মাণ এবং তদীয় অংশে প্রাপ্ত রিয়েল এস্টেট ক্রেতাগণের নিকট বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে ভূমির মালিক বা তাহার পক্ষে আম-মোক্তারনামা দলিলে, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, এই মর্মে ডেভেলপারকে ক্ষমতা অর্পন করিতে হইবে যাহাতে ডেভেলপার তাহার অংশে প্রাপ্ত রিয়েল এস্টেট বাবদ দলিল স্বয়ং সম্পাদন করিয়া বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে পারে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত মতে ভূমির মালিক বা তাহার পক্ষে ডেভেলপারকে আম-মোক্তারনামা দলিলের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করিয়া রিয়েল এস্টেট বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষমতা অর্পণ করা না হইলে, নির্মিত রিয়েল এস্টেট বিক্রয় বা হস্তান্তরযোগ্য হইব&#
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
রিয়েল এস্টেট ব্যাবসা না থাকলে আমাদের ঘর থাকত না:তাপস

ঢাকা, ১২ মার্চ, রেডটাইমস বিডি ডটকম:
সংসদ সদস্য শেখ ফজলে  নূর তাপস বলেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা না থাকলে আমাদের ঘর থাকতো না। পথে থাকতে হত। এই ব্যবসায় কেউ কেউ দুর্নীতি করেন বটে তবে এমন কোন পেশা আছে যেখানে ইমেজ সংকট নেই। কোন কোন রাজনীতিবিদের কারণে আমাদেরকেও ইমেজ সংকটে ভুগতে হয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন রিহ্যাবের সভাপতি তানভীরুল হক চৌধুরী প্রবাল। সভাপতিত্ব করেন রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায়ী ও সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ। উপস্থাপনায় ছিলেন প্রকৌশলী সরদার আমিন।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত নবধারা প্যানেলের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, ১/১১ পর রিয়েল এস্টেট ব্যাবসা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন আবার ঘুরে দাড়িয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, রাজউক এখন রিয়েল এ্যস্টেট ব্যাবসা করতে নেমেছে। এটা যদি তাদের করতে হয় তবে ব্যাবসার নিয়ম মেনে করতে হবে।
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
ড্যাপ বাস্তবায়নে রিয়েল এস্টেট ক্রেতাদের বঞ্চিত না করার আবেদন



ডেস্ক রিপোর্ট

ডিটেইলড এরিয়া প−্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের েেত্র রিয়েল এস্টেট ক্রেতাদের বঞ্চিত না করার আবেদন জানিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত ১৩ জুলাই নিউইয়র্কের অনন্ত ঢাকা ক−াবে প্রবাসী বাংলাদেশী রিয়েল এস্টেট বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় প−টের ক্রেতারা বর্তমান সরকারের প্রতি এই আবেদন জানান।


সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের েেত্র কোনো বিরোধিতা নয় বরং আমরা আমাদের খরিদকৃত প−ট পেতে চাই। রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ভুলের খেসারত আমাদের পে বহন করা সম্ভব হবে না।' তারা আরো বলেন, ‘আমরা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ঢাকায় প−ট কিনেছি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ও বিজ্ঞাপনগুলোর বৈধতা বিচারের দায়িত্ব ছিল সরকারের।’
প্রসঙ্গত, প্রবাসী ক্রেতাদের অনেকেই সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর অপোর পরও ক্রয়কৃত প−টগুলো বুঝে পাননি। কেউ কেউ গ্র“প রেজিস্ট্রেশনের একটি কাগজ পেলেও তারা এ কাগজের গুরুত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঢাকার ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর বিদ্যমান প্রায় ২৬টি প্রকল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আনার সংবাদ প−ট ক্রেতাদের আরো শঙ্কিত করে তুলেছে।
‘ঢাকা হোমস্ মার্কেটিং’ এর প্রেসিডেন্ট বেলায়েত বলেন, সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা এখানে এসে প্রবাসীদের ল্যান্ড-প্রপার্টিতে বিনিয়োগের কথা বলেন। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেছে। এ সেক্টরে পূর্ববর্তী কোনো সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। দেশের রাজনৈতিক ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যদি বর্তমান সরকারি নীতিমালার কারণে ইতিমধ্যে পরিশোধিত জমিগুলোর মূল্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো ক্রেতাদের ফিরিয়েও দেয়, তাহলেও ক্রেতারাই সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হবে। কারণ পরিশোধিত জমির বর্তমান মূল্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। এখন জমির মূল্য ফেরত দিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো পরবর্তীতে অন্য কোনো সরকারের অনুমোদন নিয়ে আবার সেসব প−ট আরো বেশি দামে বিক্রি করবে। এ অবস্থায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো কোনোভাবেই তিগ্রস্ত হচ্ছে না। সেজন্য সাধারণ ক্রেতাদের তির হাত থেকে রার জন্য সরকারের ঢাকা ড্যাপ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্থান রেখে সরকারের দায়িত্বে বিষয়গুলো নিষ্পত্তির আহ্বান জানান প্রবাসী রিয়েল এস্টেট ক্রেতারা।
আমেরিকা কানাডায় বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর আনুমানিক ১২ হাজার ক্রেতা রয়েছেন যারা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই তাদের ক্রয়কৃত প−ট নিয়ে আর্থিক ও মানসিক অনিশ্চয়তায় ভোগেন। তার ওপর বর্তমানে বহুল আলোচিত ঢাকা ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে গেলে এদের প্রায় চার হাজার ক্রেতা সরাসরি তিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নিউইয়র্কে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারি প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা হোমস’ এর প্রেসিডেন্ট বেলায়েত।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়েল এস্টেট বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, সেক্রেটারি বজলুর রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আজিজুর রহমান প্রবাসী ক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যার উপর বক্তব্য রাখেন। রিয়েল এস্টেট বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বলেন, বেশিরভাগ প্রবাসী এখানে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট মেলা থেকে ঢাকার প−টগুলো কিনেছেন। আমেরিকায় এসব রিয়েল এস্টেট মেলা সাধারণত সরকারের কোনো মন্ত্রী বা উচপদস্থ কর্মকর্তারা উদ্বোধন করে গেছেন। এসব কারণেও রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর ওপর ক্রেতারা আস্থা রেখেছিল। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তাদের কার্যক্রমে অনেক ত্র“টি বিদ্যমান। বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লেখা একটি আবেদনপত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন সভাপতি হাওলাদার। ঐ আবেদনপত্রে ঢাকা ড্যাপ বাস্তবায়নের েেত্র ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে ক্রয়কৃত জমি যেন তারা পেতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানানো হয়।

খবর সূএ:


[/size]

আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
প্ল্যান অনুমোদনের অধিকার রাজউকের থাকা উচিত নয়




মানুষের একটা অন্যতম প্রধান প্রয়োজন বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। সারাজীবন একটি মানুষ তিল তিল করে সঞ্চয় করে এই বাসস্থানের জন্য। নিজে স্বপ্ন দেখে যে তার একটা বাসস্থান হবে। সবাই গর্ব করে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্দীয়-স্বজনের কাছে বলে আনন্দ পায় যে তার একটি বাসস্থান হবে।

 প্রকারভেদে একটি বাসস্থান দ্বারা একজনের বা একটি পরিবারের সামাজিক মর্যাদা বা সামাজিক অবস্থানও প্রকাশ পায়। ছাত্রজীবনের লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনে ঢোকার সুযোগ পাওয়াই আমাদের জনবহুল দেশের এক বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা উত্তরণের পর পারিবারিক জীবনে এসে এই সমস্যা সংকুল দেশের রাজধানী নামে ছোট এবং অপরিকল্পিত ঢাকা শহরে একটি বাসস্থানের মালিক হওয়ার স্বপ্ন খুব কম লোকেরই পূর্ণ হয়। বেশিরভাগ লোকই হতাশা ও না পাওয়ার বেদনা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে আমাদের কারোর কোনো ভাবনা ছিল বলে মনে হয় না। এখনো কেউ ভাবছে বলে মনে হচ্ছে না। ঢাকা শহরের উন্নয়নের জন্য ডিআইটি বা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রাজউকের অনেক পরিকল্পনা আছে যাকে কাগুজে বাঘ বলা যেতে পারে কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। বাস্তবতা হলো যে রাজউকের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভবও নয়। কেন সম্ভব নয় বা কি করলে সম্ভব হতে পারে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক, আলোচনা বা টকশো হতে পারে। কিন্তু এই বাস্তবতার পরিবর্তন হবে না। রাজউকের এই ব্যর্থতার কারণে মানুষের চাহিদাতো আর থেমে থাকে না। মানুষের বাসস্থান পাওয়ার জন্য প্রবল ইচ্ছা, স্বপ্ন এবং চাহিদার কারণেই এক সময় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসে। শুরু হয় রিয়েল এস্টেটের অগ্রযাত্রা।

অনেকেই তাদের স্বপ্নের বাসস্থান পেতে থাকে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হয়। রাজউকের ব্যর্থতায় জন্ম নেওয়া রিয়েল এস্টেটের প্রসারে জনগণ উপকৃত হতে থাকে। এক্ষেত্রে সরকার সহায়ক ভূমিকা নিয়ে আরো অনেক উপকার করতে পারত। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মহৎ দিকগুলো এড়িয়ে শুধুমাত্র তাদের মুনাফার দিকটির সামনে এনে একটি গোষ্ঠী তৎপর হয় এবং বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা তৈরি করতে থাকে। রাজউকের প্লট/ফ্লাট পাওয়ার পদ্ধতিতে কতজন কতভাবে প্রতারিত হয় বা ব্যবসা করে লাভবান হয় সেদিকে কারোর নজর নেই। অথচ এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। অন্যদিকে একজন ব্যবসায়ী রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে কিছু লাভ করবে এটাই সবার গাত্রদাহের কারণ হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে রিয়েল এস্টেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর কর্মসংস্থান ও জনগণের বাসস্থানের স্বপ্নের সমাধান হচ্ছে না।

আমাদের দেশের অনেক অদ্ভূতুরে নিয়মের মধ্যে এটাও একটা অদ্ভুতুরে নিয়ম যে প্লট বা ফ্লাটের প্ল্যান রাজউকের অনুমোদিত হতে হবে। এটার কোনো বিন্দুমাত্র যৌক্তিকতা নাই। রাজউককে একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং তা পালনে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। রাজউক তার দীর্ঘ ইতিহাসে প্লট/ফ্লাট দিয়ে অল্পকিছু লোককে সম্পদশালী করেছে। রাজউকের কিছু কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ব্রোকার সম্পদশালী হয়েছে। রাজউক যাদের উচ্ছেদ করে জমি দখল/অধিগ্রহণ করেছে তাদের একটি বিশাল গোষ্ঠী এখনো বাপ-দাদার ভিটা হারিয়ে হতাশ জীবন কাটাচ্ছে। রাজউক যেহেতু প্লট/ফ্লাট ব্যবসায়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাই যুক্তির কথা অবশ্যই হবে যে প্লট/ফ্লাটের প্ল্যান অনুমোদনের কর্তৃপক্ষ অন্য কেউ হবে। যেমন অন্যান্য সেক্টরে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে এতো বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারত না এবং লোকজন শিক্ষা সুবিধাও পেতে পারত না। একইভাবে বিটিসিএল-এর অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন টেলিফোন কোম্পানি হতে পারতো না বা বিটিভির অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি টিভি হতে পারত না।

দিনে দিনে প্লট/ফ্লাটের দাম বাড়ছে যার প্রধান কারণ জমির অপ্রতুলতা। রাজউকের প্লট গ্রহিতাদের আকাশচুম্বী চাহিদা এমন দাঁড়িয়েছে যে তারা বিনা খরচায় তার জমির উপর নির্মিত আমুল ভবনের মালিক হতে চায়। ১০ কাঠা জমিতে ২০টি ফ্লাট হবে যার ১২টিই পাবে প্লটের মালিক এবং আরো পাঁচ কোটি টাকা নগদে অর্থাৎ ৮টি ফ্লাটের নির্মাণ খরচই দাঁড়াচ্ছে ১০ কোটি টাকা যার মধ্যে একজন ব্যবসায়ী নগদ বিনিয়োগ ৮ কোটি টাকা এবং তিন বছরের কঠোর পরিশ্রম অতঃপর যদি ২ কোটি টাকাও লাভ হয় সেটা থেকে ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাদ দিলে কি থাকে তা অঙ্ক করে বলা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে প্লট/ফ্লাটের দাম মানুষের নাগালে রাখতে হলে অতি দ্রুত, জরুরিভাবে এবং অতি আবশ্যিকভাবেই প্লট/ফ্লাটের অনুমোদন কর্তৃপক্ষ বদল করতে হবে। এই নতুন কর্তৃপক্ষ শুধু বেসরকারি প্লট/ফ্লাটের অনুমোদন দেবে না বরং রাজউকের প্লট/ফ্লাটেরও অনুমোদন দেবে। সেক্ষেত্রে মানুষ আবার হয়তো স্বপ্ন দেখতে পারবে তার একটি নিজস্ব বাসস্থানের যেখানে সে স্বস্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়তে পারে।

দিনে দিনে রাজউক থেকে প্ল্যান অনুমোদন করানোর জন্য সময় এবং খরচ দুটোই বাড়ছে। সময় মতো প্ল্যান অনুমোদন না হওয়ায় অনেক প্রকল্প বাতিল হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনগণ। একদিকে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্য, জমির উচ্চমূল্য আর রাজউকের বাড়াবাড়ি সব মিলিয়ে প্লট/ফ্লাটের মূল্য যাচ্ছে ক্রয়সীমার বাইরে। রাজউকের বাদ দিয়ে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে গঠন করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে তা নয়। তবুও এখান থেকেই চেষ্টা শুরু করতে হবে এবং অপরাপর সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজউক যেহেতু প্লট/ফ্লাট নির্মাণ ও বিক্রয়ের দায়িত্ব পালন করছে সুতরাং অন্যান্য প্লট/ফ্লাট নির্মাতা ও বিক্রেতার প্ল্যান অনুমোদনের দায়িত্ব রাজউকের থাকতে পারে না। এটাকে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বলে এবং নৈতিকভাবেই এখানে অন্য কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন রয়েছে এবং এই অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের সময় খুব সহজেই ওয়ানস্টপ প্রবর্তন সম্ভব যা রাজউকের অধীনে সম্ভব হয় নাই।

রাজউক শুধু অনুমোদনেই ব্যর্থ নয় বাস্তবায়নের তাদের ব্যর্থতা আরো সীমাহীন, আজ ঢাকা শহরে অননুমোদিত ভবনের সংখ্যা সহস াধিক, অনুমোদিত প্লানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মিত ভবনের সংখ্যা শতকরা একশতভাগ, ভূমিকম্প বিবেচনায় না রেখে নির্মিত ভবনের সংখ্যা শতকরা নব্বই ভাগ। এসব ব্যর্থতার দায় কার? নিশ্চয়ই রাজউকের। যে দায়িত্ব পালনে অক্ষম তাকে বেশি দায়িত্ব দিয়ে ব্যর্থতার ভার না বাড়ানেই শ্রেয়। বেসরকারি প্লট/ফ্লাট সময় মতো অনুমোদনের ব্যবস্থা নিলে বাজারে প্লট/ফ্লাটের সরবরাহ বাড়বে এবং দামও ক্রয়সীমার মধ্যে আসবে আর অন্যান্য প্লট মালিকদের আকাশচুম্বী মূল্য চাহিদাও কমবে যা জনগণের বাসস্থানের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে।

খবর সূএ:
[size=06][/size]
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
২১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নিউইয়র




জাল ক্রেডিট কার্ড তৈরী, ব্যাংকের চেক তৈরী এবং ভূয়া নাম-ঠিকানার কল্পিত লোকের নামে বাড়ি ক্রয়ের ঋণ মঞ্জুর করার মাধ্যমে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার তথা ২১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর মামলায় নিউইয়র্কের ১৪ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যানহাটান ইউএস এটর্নী এবং এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা যৌথভাবে ১১ ফেব্রুয়ারী সংঘবদ্ধ এ প্রতারক চক্রের গ্রেফতারের তথ্য প্রকাশ করেন। এদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থান থেকে। গ্রেফতারকৃত এজাজ কবীর চৌধুরী মিঠুকে গ্রেফতার করা হয় জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে। সে সময় তিনি ঢাকা থেকে ফিরছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুরে। এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক জেনিস কে ফেডারেসিক এবং সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট ইউএস এটর্নী প্রীত ভেরারা কর্তৃক বার্তা সংস্থা এনাকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১১ বছরে উপরোক্ত প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটান এবং কুইন্সে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জ্যামাইকার এজাজ কবীর চৌধুরী মিঠু, জিয়া আলম জিয়া, ফ্লাশিংয়ের রাশেদ আহমেদ শাহেদ, ফিরোজ মিলন ফিরোজ, ব্রুকলীনের মো: আলতাফ ওরফে সবুজ, জ্যাকসন হাইটস এলাকার মো: জেড আলম, শাহজাহান কাবাল বাবু, মোহাম্মদ মারুফ মিয়া (ড. মিয়া হিসেবে সমধিক পরিচিত), ব্রুকলীনের শামসুল আরেফিন আলম, জ্যাকসন হাইটসের মঞ্জুর আলম মিলন (নোয়াখালীর চাটখিলের সুলীনের ছোট ভাই, এই সুলীনও বহু অর্থ নিয়ে ঢাকায় পাত্তাড়ি গুটিয়েছেন এবং তাকে খুঁজছে তদন্ত কর্মকর্তারা), ক্যানেল স্ট্রীটে পারফিউম ভূইয়া হিসেবে খ্যাত মোহাম্মদ কাওসার, ব্রুকলীনের মাজহারুল করিম মামুন, ব্রঙ্কসের এ জেড এম সারোয়ার শাহীন এবং জ্যামাইকার মতিয়র রহমান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে আরো দু-দফায় ২৬ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, রিয়েল এস্টেট প্রতারণা এবং ব্যাংকের সাথে প্রতারণার দায়ে।

তাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা হয়েছে। এবার একত্রে ১৪ বাংলাদেশীকে গ্রেফতারের সংবাদ মূলধারায় প্রচারিত হওয়ায় বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের ইমেজ আরেকবার কালিমালিপ্ত হলো। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত এহেন অপকর্মে লিপ্ত থাকার বিষয়টি কম্যুনিটির অনেকে জানতেন। এতদসত্বেও অভিযুক্তরা নিজেদেও এহেন অপকর্ম থেকে নিবৃত্ত করেননি। অধিকন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেন বলে জানা গেছে। কেউ কেউ মিডিয়ার সাথে, আবার কেউ সমাজসেবামূলক সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। এফবিআই জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আরো অনেকে নজরদারিতে রয়েছে বলে অপর একটি সূত্রে বার্তা সংস্থা এনা জানতে পেরেছে। এনা আরো জানতে পেরেছে, এ চক্রের কয়েক সদস্য ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক থেকে পালিয়েছে। কেউ ঢাকায়, আবার কেউ অন্য স্টেটে আত্মগোপন করেছেন। এদের অন্তত: দু’জন ঢাকায় গিয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪ জনের জামিন হয়েছে মোটা অংকের বন্ডে। মামলা চলবে ইউএস ফেডারেল কোর্টে জজ কিম্বা এম উডের এজলাসে।

আরো জানা গেছে, বাংলাদেশে পালিয়েও সংশ্লিষ্টরা রক্ষা পাবে না। সেখান থেকেই ধরে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

খবর সূএ:
[size=06][/size]
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
কুয়াকাটায় জমি নিয়ে জালিয়াতি!




সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আবাসন ব্যবসার নামে জমি নিয়ে জালিয়াতি করা হচ্ছে। খাসজমি দখলের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিও বিভিন্ন উপায়ে দখল করা হচ্ছে। 'স্বপ্নের আবাসন' গড়ে দেওয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন কোম্পানি অবৈধ ব্যবসায় নামায় দুঃস্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এই অবৈধ ব্যবসা ঘিরে দখল, পাল্টা দখল, হামলা, মামলায় সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের শহর কুয়াকাটা এখন অশান্ত। প্রভাবশালীদের নানা তৎপরতায় ভূমিহীন হয়ে পড়ছেন কুয়াকাটার প্রকৃত জমির মালিকরা। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মায়াজালে প্রতারিত হচ্ছেন এসব আবাসন প্রকল্পের সাধারণ ক্রেতারা। এসব ক্রেতার বেশিরভাগই দেশের বিভিন্ন শহরের উচ্চমধ্যবিত্ত মানুষ। খোদ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসনও যেন এসব ব্যবসায়ীর কাছে অসহায়। জেলা প্রশাসক সমকালকে বলেছেন, ৫০টিরও বেশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তাদের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নেয়নি। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করছে না। বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিরুদ্ধে বায়নাপত্র নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এসব কোম্পানি সরকারি রাস্তা,
জলাশয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা গায়ের জোরে প্রকল্পভুক্ত করেছে।

কলাপাড়া ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার লতাচাপলী, কাউয়ারচর, চরচাপলী ও গঙ্গামতি মৌজায় বিস্তৃত দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন অঞ্চল কুয়াকাটা। এর মধ্যে লতাচাপলী মৌজায় এক হাজার ১৭২ দশমিক ৭৯৯ একর খাসজমি রয়েছে। যার ৩২৬ দশমিক ৫৩ একর বেদখল ও দেওয়ানি মামলাভুক্ত খাসজমি। প্রায় ৮৫০ একর জমি জনসাধারণের ব্যবহারে বন্দোবস্ত কৃষি খাসজমি। আবাসন ব্যবসার নামে বিভিন্ন এলাকার খাসজমি দখল করা হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, ২০০২-০৩ সালে লুজ (জাল) খতিয়ানের প্রায় ২০০০ একর জমির বিপরীতে মালিকানা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের খাজনা বই ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভে সেকশনের খতিয়ানে নামের বিভ্রাট রয়েছে। খাজনা আদায় বইতে মূল কাগজের পরিবর্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরবিহীন ফটোকপি সংযুক্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কয়েক যুগ আগে সমুদ্রে বিলীন হওয়া প্রচুর পরিমাণে জমি প্রকৃতির বিবর্তনে নতুনভাবে জেগে উঠেছে। সমুদ্র বেলাভূমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসে স্পষ্ট রেকর্ড নেই। ভূমি অফিসের রেকর্ডে অস্পষ্টতা থাকা ওই সব জমি নিজেদের দাবি করে একাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি 'স্বপ্নের অবাসন' হিসেবে লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করছে।

কুয়াকাটার গঙ্গামতি মৌজার ৩৬ খতিয়ানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুয়া নিলাম দেখিয়ে আবাসন প্রকল্পের আওতায় বিক্রি করছে। ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে এসব জমির ভুয়া নিলাম দেখানো হয়। এসব জমির মূল মালিকদের এলাকা ছেড়ে যেতে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি একই মৌজায় জেলা খতিয়ানে ভুয়া নিলাম খুলে ৫৮-এর স্থলে ৪৮ খতিয়ান দেখিয়ে ভূমিদস্যুরা হাইপেরিয়ান কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগালে স্থানীয় জমির মালিকরা ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে একাধিকবার দখল, পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, ভুয়া নিলামের নামে জমি দখলের এই প্রক্রিয়া এখন 'ওপেন সিক্রেট।' পাশাপাশি স্থানীয় ভূমি অফিসের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট খতিয়ানের বিপরীতে জাল কাগজ বানানো হচ্ছে। এসব জমি চড়া মূল্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রির ঘটনা এখন নিয়মিত। অধিকাংশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানিই ভুয়া নিলাম এবং ভুয়া খতিয়ান নম্বরে জমি দখল করেছে।

নানা অভিযোগে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে অনেকবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি সিভিল আদালতেও কুয়াকাটার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উচ্ছেদ হওয়া বৈধ মালিকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রকল্প এলাকায় সরকারি খাসজমি ও খাল থাকলেও স্থানীয় ভূমি অফিস রহস্যজনক কারণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আর এসব মামলা-হামলা, দখল-বেদখল, পাল্টা দখলের প্রক্রিয়ায় আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে একটি অসাধু চক্র। কুয়াকাটার কাউয়ারচর এলাকার হাজী এরশাদ উল্লাহ ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, 'কাউয়ারচর মৌজার ৩৬ খতিয়ানের ১৪৬ একর সম্পত্তি ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে ভুয়া নিলাম দেখিয়ে এলাকার প্রভাবশালী সোহেল সিকদার নিজের নামসহ তার বন্ধু রিপন ও মোস্তাফিজের নামে মালিকানা দেখায়। এরপর এই একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছে কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়। অথচ ভুয়া নিলাম কেনা ও মিউটেশন বাতিলে এই জমি নিয়ে দেওয়ানি মামলা ১৯৭৫ সাল থেকে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।'

জাল-জালিয়াতির ওই চক্রের মূল হোতা সোহেল সিকদার উচ্চপদস্থ ভূমি কর্মকর্তাদের সিলসহ একাধিকবার ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে জানান ভুক্তভোগী এরশাদউল্লাহ।

কুয়াকাটার কাউয়ারচর মৌজায় জেগে ওঠা বেলাভূমির বড় অংশ একটি প্রভাবশালী মহল একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। স্থানীয় ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় ওই জমির মালিকানার জাল কাগজ তৈরি করা হয়। এখন এসব রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গণমাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

ফ্লাশ রিয়েল এস্টেট, নাসির হাউজিং, ইমপেরিয়াল হাউজিং, সেলডম, নাসিম রিভার ভিউ, জাহাঙ্গীর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, পানকৌড়ি, ক্যাসিলডা, মোহনা হাউজিং, কুয়াকাটা রিয়েল এস্টেট, ওয়েস্টার্ন রিয়েল এস্টেট, পিপিডিএল, আইডিয়াল হাউজিং, নবদয় হাউজিং, ওশান সিটি, সান শাইন সিটি, কিংস ট্যুরিজম, কুয়াকাটা ডিজিটাল টাউন, কুয়াকাটা অ্যাসেটসহ অর্ধশতাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড বর্তমানে কুয়াকাটায়। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এর মধ্যে বসুধা ও সেঞ্চুরি আবাসন প্রকল্প ছাড়া আর কোনো কোম্পানির প্রকল্পের পক্ষে জেলা প্রশাসনের অনাপত্তিপত্র নেই।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী সমকালকে বলেন, 'সমুদ্রের বেলাভূমিতে প্রকৃতির বিবর্তনে জেগে ওঠা চরের মালিকানা সরকারের। এতে অবৈধ দখল, বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড টানানো বেআইনি। কুয়াকাটার গঙ্গামতি-কাউয়ারচর এলাকা নিয়ে সরকারের 'এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী সমকালকে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কোনো ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত না দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এতদিন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে কুয়াকাটায় ৫০টির বেশি আবাসন ব্যবসায়ীকে অনাপত্তিপত্র সংগ্রহের নোটিশ দেওয়া হলেও কর্ণপাত করেনি। এখন ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে_ জমির অনাপত্তি নেওয়া অংশেই প্রকল্পের কার্যক্রম চালানো যাবে। যে যতই বিজ্ঞাপন প্রচার করুক, অনাপত্তিপত্র ছাড়া এখন কাউকে আবাসন প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।

খবর সূএ:
[size=06][/size]
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
আবাসনের স্বপ্ন নিয়ে প্রতারণা






রাজধানী ঢাকার ড্যাপ এলাকায় গড়ে উঠা শতাধিক বেসরকারি হাউজিং প্রকল্প বন্ধ করার ফলে হাজার হাজার প্লট ও ফ্ল্যাট ক্রেতা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। প্রকল্পের আওতাধীন হাজার হাজার প্লট ক্রেতার ভাগ্যে কি হবে বা তারা তাদের সারা জীবনের তিল তিল করে জমানো টাকায় ক্রয়কৃত প্লটের মূল্য ফেরত পাবেন কি না তাও অনিশ্চিত। অথচ হাউজিং কোম্পানিগুলো তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। ফলে এসব কোম্পানি বন্ধ হলেও প্রকল্প মালিকদের কোন ক্ষতি হয়নি। বরং তারা প্রকল্পের প্লট বিক্রির টাকায় পুনরায় নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছেন। বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত বা আদায় করার ব্যাপারে এখনো সরকার কিংবা রাজউক কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তবে রাজউকের অননুমোদিত এলাকায় গৃহীত আবাসন প্রকল্পে প্লট ক্রয় ও বিক্রি উভয়ই দণ্ডনীয় অপরাধ। এটাকে শেয়ার কেলেংকারির চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, প্রকল্পগুলোর অর্থ উদ্ধারে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রসঙ্গত, ডিটেল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের পক্ষে সরকারের মহাপরিকল্পনার আওতায় রাজধানী ঢাকাকে একটি সুন্দর পরিকল্পিত নগর হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা হাউজিং প্রকল্পগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এদের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা নগর পরিকল্পনাবিদগণ বারবার সতর্ক বার্তা দিলেও কর্ণপাত করেননি বিনিয়োগকারীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ড্যাপ এলাকায় বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির ৬০ হাজার ফ্ল্যাট বাড়ি রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটও রাজউক অনুমোদিত নয়। অথচ হাউজিং কোম্পানিগুলো এসব ফ্ল্যাট সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা। ফলে বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ এখন হুমকির সম্মুখীন। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অবস্থিত রাজউক অননুমোদিত ও ড্যাপের আওতাভুক্ত শতাধিক ছোট-বড় আবাসন প্রকল্প রয়েছে। রাজউক, রিহ্যাব ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার এসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য মতে, এসব হাউজিং কোম্পানি ২৬ হাজার কোটি টাকার লক্ষাধিক প্লট ও অর্ধ লক্ষাধিক ফ্ল্যাট বিক্রি করেছে। এসব প্লটের শতকরা ৯৯ ভাগই পানির নিচে অথবা জলাভূমি কিংবা কৃষি জমিতে অবস্থিত। খাল, নদী ও সরকারি জলাভূমি দখল করে হাউজিং গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে প্রায় সব    আবাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে। বাস্তবে অধিকাংশ প্রকল্পেরই কোন অস্তিত্ব নেই। কেবল সাইনবোর্ড ঝুলিয়েই লোপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সরকার গৃহীত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী রাজউক অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পগুলো অবৈধ।

রাজউকের নগর পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ড্যাপে সরকারি ১৬টি বৃহত্ প্রকল্প ছাড়াও ২ হাজার ৭২৬টি শিল্প কল-কারখানা, নানা প্রতিষ্ঠান ও  শতাধিক আবাসন প্রকল্প রয়েছে, যা ড্যাপের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এই আবাসন প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্প। এই প্রকল্পে বসুন্ধরা গ্রুপের সাড়ে ৬ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। ১৮ হাজার প্লট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রকল্পে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্লট গ্রহীতাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই প্রবাসী। এর মধ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিএল) সাউথ টাউনে ৮শ’ বিঘা জমি রয়েছে। তৈরি প্লট আছে দুই শতাধিক। রাজধানীর দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটি প্রকল্পে ১০ হাজার প্লট রয়েছে।

সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সূত্র মতে, ড্যাপের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ (নন-কনফার্মিং) হিসাবে চিহ্নিত সরকারি বৃহত্ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পের সম্প্রসারিত অংশের ১১৩৭ একর জমি, পানগাঁও কন্টেইনার পোর্টের অধিগ্রহণকৃত ৫৮ একর জমি ও স্থাপনা, ৫৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত সোনাকান্দা বিসিক শিল্পনগরী, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন রাজধানীর আবর্জনা ফেলার সর্ববৃহত্ ডাম্পিং স্টেশন, ৪৯ একরের সাভারের ডিসিসি ল্যান্ডফিল সাইট, ৪৬২ একর অধিগ্রহণকৃত জমিতে বাস্তবায়নাধীন সেনাবাহিনীর ট্রেনিং গ্রাউন্ড এবং ২১১ একর জমির উপর বাস্তবায়নাধীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার প্রকল্প। ইতিমধ্যেই এসব প্রকল্পের শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বেসরকারি হাউজিং প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসুন্ধরা রিভার ভিউ প্রকল্প, মধুমতি মডেল টাউন (বিলামালিয়া), ইস্টার্ন মায়া কানন, দক্ষিণ রামচন্দপুরের এডভান্স এনজেল সিটি, খাগান উত্তর দত্তপাড়া, আশুলিয়া মডেল টাউন, রামচন্দপুরে ঢাকা উদ্যান ও অন্যান্য প্রকল্প। এ অবস্থায় এই এলাকাকে অবকাঠামোগত পরিকল্পনায় প্রধান বন্যা প্রবাহ ও উপ-প্রধান বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসাবে দেখাতে ড্যাপে সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো অপসারণের জন্য জোর সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে ওঠা হাজার হাজার প্লট গ্রহীতা সংকটে পড়েছেন।

এদিকে, রাজউক, নগর পরিকল্পনাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ স্বয়ং পূর্তমন্ত্রী ড্যাপ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলেও ড্যাপের আওতাধীন বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট ক্রেতা বিনিয়োগকারীদের অর্থের ভবিষ্যত্ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। এমনকি যেসব হাউজিং কোম্পানি ড্যাপের আওতায় অননুমোদিত আবাসিক প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে তাদেরকে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য কোন ধরনের চাপ দিয়েছে এমন তথ্যও পাওয়া যায়নি। অথচ প্লটের পাশাপাশি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের বিষয়টিও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল। অথচ সরকার ও রাজউক ড্যাপের আওতায় গড়ে উঠা হাউজিং প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিলেও প্লট বাণিজ্য এখনও বন্ধ হয়নি। বরং এসব হাউজিং কোম্পানি আগের মতোই সাধারণ ও স্বল্প আয়ের লোকদের কাছে নানাভাবে এসব প্লট বিক্রি করে চলেছে।

অননুমোদিত হাউজিং প্রকল্পের তালিকা

রাজউক সূত্র মতে, ড্যাপ এলাকায় অননুমোদিত হাউজিং প্রকল্পগুলো হচ্ছে-বিডিসিএল-এর টঙ্গীঁর গুটিয়ায় অবস্থিত নর্থ টাউন, কাঁচপুর-মদনপুরে ইস্ট টাউন প্রকল্প। এদের সবগুলো প্রকল্প মিলিয়ে এ পর্যন্ত চার হাজার তৈরি প্লট বিক্রি হয়েছে। বড় কাঠালিয়ায় জানোভ্যালী প্রপার্টিজের পিংক সিটি আবাসিক প্রকল্প, বাড্ডা-সুঁতিভোলায় স্বদেশ প্রপার্টিজ লিমিটেডের সানভ্যালী আবাসিক প্রকল্প, আশুলিয়ায় পারটেক্স গ্রুপের আশুলিয়া সিটি প্রকল্প ও প্যারাডাইজ রিয়েল এস্টেট, যমুনা সিটি, আশুলিয়ায় আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আশুলিয়া মডেল টাউন, সবুজবাগের মান্ডায় গ্রীন মডেল টাউন। এছাড়াও রয়েছে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট, মধুমতি মডেল টাউন, আশুলিয়ায় ব্র্যাক কনকর্ডের রেইনবো টাউন প্রকল্প, আশুলিয়ায় নিউ উত্তরা মডেল টাউন, বাড্ডায় নতুনধারা হাউজিং কোম্পানি, ধউর-রানাভোলায় মিশন এনার্জি এ্যান্ড প্রপার্টিজ, বাউনিয়ায় এম এন হাউজিং, কেরানীগঞ্জ ও রানাভোলায় যুবক হাউজিং প্রকল্প, রিয়েল এস্টেট প্রকল্প, ধউরে নিউ হ্যাভেন, গোড়ান চটবাড়িতে বায়তুল আমান, সাঁতারকুলে হিরাঝিল প্রকল্প, কেরানীগঞ্জে রিভারভিউ প্রকল্প, রিভারভিউ দক্ষিণা প্রকল্প, সাউথ টাউন, কিংডম হাউজিং, তানশির প্রকল্প, নিউভিশন, সবুজছায়া, সিলভার টাউন, সবুজছায়া গোল্ডেন সিটি, সবুজছায়া মডেল টাউন, আরকে হা্উজিং, মধুসিটি, রমজাননগর হাউজিং, খোলামোড়ায় বিসমিল্লাহ রিয়েল এস্টেট, মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ, মাওলানা রিয়েল এস্টেট, সাঁতারকুলে নূরনগর হাউজিং, কাঁঠালদিয়ায় টাউনভিউ আবাসিক প্রকল্প, মোহাম্মদপুরে নবীনগর ও মীনাবাজার প্রকল্প, মোহাম্মদী হাউজিং, ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি, আলী নূর রিয়েল এস্টেট, জনক-জননী মডেল টাউন, রায়েরবাজার মডেল টাউন, ফেন্সী ইন্টারন্যাশনাল প্রকল্প, সাভার ভোকেশন সিটি প্রকল্প, সাভার বিসিএস পুলিশ অফিসার্স কো-অপারেটিভ হাউজিং প্রকল্প, সাভার বাইপাস প্রকল্প, আশুলিয়া আবাসিক প্রকল্প, রংধনু আবাসিক প্রকল্প, প্রত্যাশা হাউজিং প্রকল্প, লতিফ রিয়েল এস্টেট প্রকল্প, মধুমতি আবাসিক প্রকল্প ও নর্দান হোল্ডিং প্রকল্প।

থেমে নেই প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রি

রাজউকের অননুমোদিত ও ড্যাপ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পগুলোতে প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রি থেমে নেই। আদালত ও রাজউকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অবৈধভাবে হাউজিং ব্যবসায়ীরা প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। কেউ কেউ সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। আবার কোন কোন হাউজিং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলা দিয়ে রিহ্যাব মেলা বা হাউজিং ফেয়ারের নামে ড্যাপের ফ্ল্যাড ফ্লো জোনে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্পে প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রি করে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পক্ষান্তরে নিঃস্ব বা প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

এ ব্যাপারে রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: নূরুল হুদা ইত্তেফাককে বলেন, অননুমোদিত ও ড্যাপ এলাকায় গড়ে তোলা একাধিক আবাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে রিয়েল এস্টেট ও ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করা হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ইত্তেফাককে বলেন, আইন অমান্যকারী ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় আনতেই রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। মন্ত্রী পরিষদের সাত সদস্যকে নিয়ে গঠিত ড্যাপ পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের পরই ক্ষতিগ্রস্তদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিক্রিয়া

ক্ষতিগ্রস্ত প্লট ও ফ্ল্যাট ক্রেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নানাভাবে। কানাডা প্রবাসী ডা. সাবরিনা মমতাজ ইত্তেফাককে বলেন, ৩৮ লাখ টাকা কাঠা দরে ২০০৫ সালে বারিধারা সংলগ্ন এলাকার একটি বেসরকারি হাউজিং কোম্পানি থেকে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করি। ইতিমধ্যে প্লটের সমস্ত কিস্তির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। দেশে ফিরে তিনি জানতে পেরেছেন, তার ক্রয়কৃত প্লটসহ প্রকল্পের একটি বৃহত্ অংশ ড্যাপের আওতায় পড়েছে। রাজউকে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পেরেছেন, ওই প্রকল্পটি ড্যাপের ফ্ল্যাড ফ্লো জোন হিসাবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া আবাসন প্রকল্পটিও রাজউকের অনুমোদনহীন। এমন অবস্থায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। ডা. সাবরিনা মমতাজ দুঃখ করে বলেছেন, তার সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়েই তিনি প্লটটি ক্রয় করেন। দেশে ফিরে এবার প্লটে বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, তাও ভেস্তে গেছে। এখন রাজউক ও হাউজিং কোম্পানিতে গণধরনা দিয়েও তিনি সমস্যার কোন কূল-কিনারা পাচ্ছেন না। হাউজিং কোম্পানির পক্ষে বলা হয়েছে, ড্যাপ কাটানোর চেষ্টা চলছে। কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি নিরুপায় হয়ে গুলশান থানায় একটি জিডি করেছেন। ডা. সাবরিনার মতো অভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন আরো অনেকেই।

ঢাকার বনশ্রী, বসুন্ধরা-বারিধারা, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্লট ও ফ্ল্যাট কিনে সর্বস্বান্ত হয়েছেন দিলারা জামান, আফজাল হোসেন, আক্তার হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল হক, কবির আহমেদ, কাওছার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, দুলাল হোসেন, হামিদা বেগম, কনক রানী দাশ ও শিক্ষক আলী আজগার কাঞ্চন। এসব ভুক্তভোগী বলেন, কিছু কিছু হাউজিং কোম্পানি ড্যাপের দোহাই দিয়ে প্লট গ্রহীতাদের কিস্তি নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু হাউজিং কোম্পানিগুলো গোপনে তাদের প্লটগুলো অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা করছে। ভুৃক্তভোগীরা আরো জানান, তারা নানা তথ্য জানতে গিয়ে হাউজিং কোম্পানিগুলোর লোকদের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছেন। তারা সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু প্রতিকারের দাবি করছেন।

রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০’-এ যা আছে

রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিবন্ধন ক্ষেত্রে বলা হয়, কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। ডেভেলপারের দায়-দায়িত্বের বিষয়ে বলা হয়, কোন ডেভেলপার রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং হস্তান্তর দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা বা অধিকার প্রাপ্তির পূর্বে রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রির জন্য প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না। প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে ক্রেতার নিকট ডেভেলপার কোন প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে বা বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। হস্তান্তর দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেটের সমুদয় মূল্য পরিশোধের পর ডেভেলপার অনূর্ধ্ব তিন মাসের মধ্যে ক্রেতাকে রিয়েল এস্টেটের দখল হস্তান্তর, দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন কার্যাদি সম্পন্ন করে দেবেন। রিয়েল এস্টেট হস্তান্তরে ব্যর্থতা বিষয়ে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেভেলপার রিয়েল এস্টেট হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে রিয়েল এস্টেটের মূল্যবাবদ পরিশোধিত সমুদয় অর্থ চুক্তিতে নির্ধারিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণসহ ৬ মাসের মধ্যে প্রাপকের হিসাবে প্রদেয় চেকের মাধ্যমে ফেরত প্রদান করবেন।

অপরাধ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি নিবন্ধন গ্রহণ না করে কোন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করলে তিনি অপরাধ করেন বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ২ বছর কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্÷
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com