IT Help Desk > IT Forum

IT News

<< < (6/7) > >>

Golam Kibria:

আসছে গ্যালাক্সি এস৩
স্মার্টফোনের অঙ্গনে এখন কেবলই শৈল্পিক সব উদ্ভাবনা। পছন্দের আর বৈশিষ্ট্যগুণে প্রতিটি পণ্যেই একে অন্যকে ছাড়িয়ে যেতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজেও এসেছে বেশ কিছু নতুন মডেল। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্যালক্সি২ এর বাজার এখন চাহিদাগুণে সরব। তবে গ্যালাক্সি সিরিজের অনাগত অতিথি হচ্ছে এস৩ মডেল। এরই মধ্যে এস৩ মডেলের ডিজাইনের গোপন তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে বলে নির্মাতা সূত্র জানিয়েছে।

১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার কারণে এ স্মার্টফোন এ যাবৎকালের প্রকাশিত সব মডেলকেই চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম। ২০১২ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল সম্মেলনে এ পণ্যের খসড়া মডেল প্রদর্শন করা হবে বলে নির্মাতা সূত্র তথ্য দিয়েছে।

এ স্মার্টফোনে থাকবে অ্যানড্রইভিত্তিক ফ্যানড্রইড ব্লগ চর্চার সহজ এবং অবাধ সুযোগ। এ মুহূর্তের প্রতিযোগিতায় ১.৮ গিগাহার্টজ গতির শক্তিশালী ডুয়াল কোর মোবাইল প্রসেসর, ২জিবি র‌্যাম এবং ৪.৬ ইঞ্চির অ্যামোলেড পর্দায় পাওয়া যাবে এইচডি ডিসপ্লের চোখ ধাঁধানো দৃশ্যপট।

স্যামসাং উদ্ভাবিত গ্যালাক্সি এস সিরিজের তৃতীয় পণ্য হবে এস৩। এতে মেগা ক্যামেরার বৈশিষ্ট্যকেই বাজার প্রতিযোগিতার সবচে বড় বধশক্তি বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। তবে এ বছরের শেষভাগে নাকি ২০১২ সালে এ মেগা স্মার্টফোনের দেখা মিলবে তা কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে পারছে না। গ্যালাক্সি এস৩ তাই ভক্তদের আপাতত অপেক্ষাতেই রাখছে।

Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=d776fa0e9fbd7e02c14b9c6f4d167355&nttl=2011101109521562549&toppos=2

Golam Kibria:

‘দোয়েল’ বাংলাদেশের প্রথম ল্যাপটপ: বিবিসি
সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশ উন্মোচন করল দেশীয় ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ‘দোয়েল’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়েলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরই মধ্যে দোয়েল নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিবিসি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ৪টি মডেলের দোয়েল ল্যাপটপ প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে ন্যূনতম মডেলের প্রাইমারি নোটবুকের দাম ১০ হাজার টাকা (১৩০ডলার/৮৩ পাউন্ড) নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ব্যাপক জনপ্রিয় অ্যানড্রইড অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। আর মূল পর্দা ১০.১ ইঞ্চি।

অন্য দুটি নোটবুক সিরিজে আছে ১৩ হাজার টাকার বেসিক এবং ২০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড মডেল। আর পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ আছে একটি। এর দাম ২৬ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

দোয়েলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি অংশকেই ই-গর্ভন্যান্সের আওতাভুক্ত করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি আধুনিকায়নে অচিরেই পুরো দেশের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

দোয়েল প্রসঙ্গে টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ ইসমাইল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে এটি একটি বড় ধরনের উদ্যোগ। গ্রামাঞ্চলে স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ দেওয়া হলে ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য গ্রামের মানুষের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে।

শুরুতে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর অফিসে এ ল্যাপটপ সববরাহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সাধারণ মানুষ এবং ১ কোটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ল্যাপটপ ধাপে ধাপে বিপণন করা হবে।

এ মুহূর্তে দোয়েল যন্ত্রাংশের মাত্র ১০ ভাগ বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। আর বাকি ৯০ ভাগ যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে আনা হচ্ছে। দোয়েল তৈরিতে মালয়েশিয়ার এম টু করপোরেশন এবং টিএফটি ডিসপ্লে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই দোয়েল উৎপাদনে ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ বাংলাদেশেই প্রস্তুত হবে বলে টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে জানান।

বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যদিও বাংলাদেশ এখনও ইন্টারনেট গতির প্রশ্নে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এ ছাড়াও দোয়েলের দ্রুত প্রাপ্তী নিয়েও আসে নানা ধরনের কৌতূহল।

Golam Kibria:

এবারে ঢাকায় চালু হলো দেশের প্রথম ল্যাপটপ বাজার। ঢাকার শান্তিনগরে ইস্টার্র্ন প্লাস শপিং কমপ্লেক্সের ৫ তলায় যাত্রা শুরু করল এ বিশেষায়িত প্রযুক্তিবাজার। বিসিএস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশের প্রথম ল্যাপটপ এবং প্রযুক্তিপণ্যের একক ও স্বতন্ত্র বাজার ‘ইস্টার্ন প্লাস বিসিএস ল্যাপটপ বাজার’। তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ১৩ অক্টোবর প্রধান অতিথি হিসেবে এ ল্যাপটপ বাজারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং শিক্ষামন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিশেষ অতিথি ছিলেন।

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং ইস্টার্ন প্লাস দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে এ বাণিজ্যকেন্দ্র চালু হলো। এ বাজারের উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী বর্ণিল প্রদর্শনী। এ উদ্বোধনী আয়োজন আগামী ২১ অক্টোবর চলবে।

ইস্টার্র্ন প্লাস শপিং কমপ্লেক্সে ল্যাপটপ বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্টার্ন প্লাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হারুনুর রশীদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর বাংলালায়ন কমিউনিকেশনের প্রধাস প্রযুক্তি কর্মকর্তি রায়ান ক্যাটলিং। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রদর্শনীর আহবায়ক ও বিসিএসের যুগ্ম মহাসচিব নাজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েল।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিসিএসের মহাসচিব মজিবুর রহমান স্বপন, প্রদর্শনীর যুগ্মআহ্বায়ক এবং ইস্টার্ন প্লাস দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে সবার হাতের নাগালে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া। এ উদ্যোগে বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধির পতে এগোবে। এর ফলে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, শুধু ব্যবসা নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে নেওয়া কার্যক্রম হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের পদক্ষেপ নিতে বলেন।

মুনাফা একটু কম করে সেবামূলক ব্যবসা করলে ব্যবসা সুপ্রসারিত হবে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দিতে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, সরকার শিশুদের হাতে ‘দোয়েল’ নোটবুক ও ল্যাপটপ তুলে দিয়ে কাজ শুরু করেছে।

সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল ফোন ও কৃষকের হাতে ল্যাপটপই প্রমাণ করে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল হতে শুরু করেছে। এ উদ্যোগে ‘ল্যাপটপ বাজার’ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=8cab01fe5f2ac4568804c631ae519b8c&nttl=2011101309314262968&toppos=4

Golam Kibria:

বিশ্ব বদলে স্টিভের পাশে ওজনিয়াক!
বিশ্ব বদলে দেওয়া স্টিভ জবস পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি চলে গেলেও বিশ্ব তার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ প্রযুক্তিকে তিনি দিয়েছেন ভিন্ন মাত্রা। তাকে প্রযুক্তি বিশ্বের বিজ্ঞানী বলা হয়। তবে তিনি বিজ্ঞানী নন। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী এবং আইডিয়া মেকার। স্টিভ জবস চলে যাওয়ার পর অ্যাপল নিয়ে এতো আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু একজন মানুষ বরাবরের মতই রয়েই যাচ্ছেন অন্তরালে। তিনি হচ্ছেন অ্যাপেলের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক। পুরো নাম স্টিফেন ওজনিয়াক।

স্টিভ ওজনিয়াক হচ্ছেন জবসের বন্ধু। দুজনই ৭০ দশকের দিকে একসঙ্গে মেইনফ্রেম কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। জবস হুট করে একদিন ওজনিয়াককে বললেন, তিনি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে অ্যাসেম্বল করা কম্পিউটার তৈরি করে বিক্রি করতে চান। এটা শুনে ওজনিয়াকের মাথায় হাত! এও কি সম্ভব? সফটওয়্যারের সমস্ত বিষয় জবস দেখবেন বলেও ওজনিয়াককে জানিয়ে দিলেন। সেই সাথে ওজনিয়াককে বলা হলো, কম্পিউটারটির হার্ডওয়্যার ডিজাইন করতে। কাজ শুরু করলেন দুজনেই।

ওজনিয়াক মনে মনে এমনই কিছু একটা করতে চাচ্ছিলেন। তিনি ভিন্ন ধরনের কম্পিউটার তৈরি করার স্বপ্ন লালন করছিলেন। অন্যদিকে জবসের মনে ছিল ব্যবসা করার স্বপ্ন। দুজনের স্বপ্ন একজায়গায় দাঁড় করানো হলো। জসব এবং ওজনিয়াক রাতভর কাজ করে চলেন। জবসের শোবার ঘর ভরে গেলো কম্পিউটারে। অন্যদিকে ওজনিয়াকেরও একই অবস্থা।

ডিজাইন শেষ হওয়ার পর দুজনের কাছেই বিষয়টি ছেলেখেলা মনে হলো। আশানুরূপ সাফল্য আসলো না। দুজনের মন খারাপ। কিন্তু মনের ভেতর আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠলো। ভাবলেন, একসঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। জবস তখন শোবার ঘর থেকে কাজকে বের করতে চাইলেন। তাই দুজনের ঘর থেকে সমস্ত যন্ত্রপাতি এসে ভিড় করালেন  জবসের গ্যারেজে। শুরু করে দিলেন স্বপ্নকে সত্য করার প্রক্রিয়া। প্রতিষ্ঠানের নাম দিলেন ‘অ্যাপেল’। আর সেই অ্যাপেল বদলে দিলো পৃথিবী।

স্টিফেন ওজনিয়াক জন্মগ্রহণ করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯৫০ সালে। ছোটবেলা থেকেই ওজনিয়াক ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলাধুলা করতে পছন্দ করতেন। তারা যে এলাকায় থাকতেন সেখানে একবার সব ছেলেমেয়েরা মিলে এক বাসা থেকে আরেক বাসায় লম্বা তারের মাধ্যমে ইন্টারকম সার্ভিস চালু করতে সক্ষম হয়। যা দেখে এলাকার মুরুব্বিরা বিস্মিত হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবি ছিলেন ওজনিয়াক। তবে মজার বিষয় ছিল যে, স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক হয়ত এক সুতোয় গাঁথা ছিলেন। তা না হলে কি, এতো মেধাবী হওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে চলে আসেন?

১৯৭৫ সালে অ্যাপেল চালু করার পর থেকে ওজনিয়াক নজর দেন হার্ডওয়্যারের দিকে। তিনি নিজে সার্কিট বোর্ড ডিজাইনের কাজ করতেন; এবং তিনিই প্রথম অ্যাপল-১ এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন। অ্যাপল -১ ডিজাইন করার পর মানুষের ঘরে কীভাবে কম্পিউটার পৌঁছে দেওয়া যায় সে ভাবনায় লিপ্ত হন। মানুষের হাতের নাগালে এবং আরও সহজবোধ্য কি করে করা যায় সেখানটাতেও নজর দেন। স্টিভ জবস এ বিষয়গুলো নিয়ে দিন-রাত কাজ করতেন।

১৯৭৬ সালের ১ মার্চ তারা অ্যাপেলের নাম বদলে দেন ‘অ্যাপেল কম্পিউটার’। সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল। দুজন তখন প্রযুক্তি জগতে অন্যরকম মানুষ। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘটলো দূর্ঘটনা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের প্রাইভেট বিমানে ভ্রমণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওজনিয়াক। বহুদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাটান। একসময় স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন। মনেই করতে পারছিলেন না তার কি হয়েছে? কিভাবে তিনি হাসপাতালের বিছানায় আসলেন? এসব কিছু স্টিভ জবসকে বিমর্ষ করে তুলতো। কারণ তখনই অ্যাপেলের পরিচালনা পর্ষদের সাথে দ্বন্দ তৈরি হয় স্টিভের। এমন সময়ে কাছের বন্ধু বিছানায় পড়ে আছে। বিপদে বন্ধুর সহযোগিতাও পাননি স্টিভ জবস।

একসময় ওজনিয়াক সুস্থ হন। কিন্তু আর কাজে ফেরেননি। কাজ না করে তিনি পড়াশোনায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আবার প্রবেশ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ওজনিয়াক অ্যাপলে ইস্তফা দেন। বন্ধুকে নিয়ে নিজ হাতে গড়ে তোলা অ্যাপল থেকে বিদায়ের সময় বিমর্ষ হয়ে উঠেন ওজনিয়াক। সে সময় স্টিভ জবসও কোম্পানিতে নেই। কিন্তু বন্ধুর সাথে সবসময় যোগাযোগ তার ছিল। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্তও তিনি বন্ধুর পাশে ছিলেন।

ওজনিয়াকের কৃতিত্ব জবসের থেকেও কোন অংশে কম বললে ভুল হবে। ওজনিয়াক প্রথম ইউনিভার্সেল রিমোট কন্ট্রোল ডিজাইন করেন। এমনকি জিপিএস টেকনোলজির উদ্ভাবকও তাকেই বলা হয়। জিপিএস তারই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি হুইলস অব জিয়ুস থেকে নির্মিত। তবে ২০০৬ সালে তার এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। একই বছর তিনি তার অটোবায়োগ্রাফি বই প্রকাশ করেন। এ বইতে জবসের সঙ্গে কী করে প্রযুক্তি বিশ্বকে বদলে দিয়েছেন; সে গল্পই আছে।

মাত্র দুজন মানুষের প্রচেষ্টায় গ্যারেজ থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চায় পৌঁছে যেতে পারে একটি প্রতিষ্ঠান। সে প্রমাণই রাখলেন স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক। দুই বন্ধু ভাবনা-চিন্তা একসঙ্গে মিশে একাকার হয়ে আজ বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান অ্যাপেল।

Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ba5e0fe7b7c422762a71b25fee92972d&nttl=2011101206243862701&toppos=2

goodboy:
কিন্ডলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছে আইপ্যাড মিনি


ট্যাবলেট পিসির বাজারে এ মুহূর্তে অ্যাপলের নতুন মাথাব্যথা অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার। সাত ইঞ্চি স্ক্রিন-সমৃদ্ধ ১৯৯ ডলারের এই ট্যাবটির বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে। তবে বাজারে কিন্ডলের প্রভাব সংকুচিত করে দেওয়ার লক্ষ্যে অ্যাপল অচিরেই সাত ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি ট্যাবলেট পিসি বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। খবর সি-নেটের।
এটি হবে অ্যাপলের বিখ্যাত ট্যাবলেট ব্র্যান্ড আইপ্যাডেরই আরও একটি কমদামি সংস্করণ। তবে এর দামও হবে ২০০ ডলার। আইপ্যাড মিনি নাম দিয়ে বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা এই নতুন ট্যাবলেট পিসিটি কিন্ডলকে চ্যালেঞ্জর মুখে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড নাম হিসেবে অ্যাপলের তুলনায় অ্যামাজন অনেকটাই পিছিয়ে আছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে অ্যাপলের প্রয়াত প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস বলেছিলেন, একটি ট্যাবলেট পিসির সব ধরনের সুবিধা পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য কমপক্ষে ১০ ইঞ্চির স্ক্রিনের প্রয়োজন হয়। অ্যাপলের সাত ইঞ্চি স্ক্রিন সমৃদ্ধ কোনো ট্যাব বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নেই বলেই তিনি জানিয়েছিলেন।

source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-15/news/193998

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version