Faculty of Humanities and Social Science > Law
জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
Sultan Mahmud Sujon:
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ন আইন, ১৯৫০
(১৯৫১ সালের ২৮নং আইন)
[১৬ই মে, ১৯৫১]
প্রথম খণ্ড
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও বিস্তৃতি )
উপধারা-(১) এই আইন ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন নামে অভিহিত হইবে ।
উপধারা-(২) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে ।
ধারা-২ ( সংজ্ঞাসমূহ )
এই আইনের বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গে বিপরীত কোনো কিছু না থাকলে-
উপধারা-(১) 'সেস' শব্দটি ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় হার রেগুলেশন মোতাবেক ধার্যকৃত স্থানীয় হারসমূহকে অন্তর্ভূক্ত হইবে।
উপধারা-(২) 'দাতব্য উদ্দেশ্য' শব্দটি গরীবদের ত্রাণ, শিক্ষা, চিকিত্সা ও সাধারণ জনহিতকর অন্যান্য কার্যকে অন্তর্ভুক্ত করে;
উপধারা-(৩) 'কালেক্টর' অর্থ একটি জেলার কালেক্টর এবং একজন ডেপুটি কমিশনার ও সরকার কতৃর্ক এই আইনের অধীনে কালেক্টরের সমস্ত বা যে কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত হতে পারে এরূপ অন্যান্য কর্মকর্তা এর অন্তর্ভুক্ত হবে;
উপধারা-(৪) 'কমিশনার' বলতে ৪৮ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় ক্রয় কমিশনারকে বুঝায়;
উপধারা-(৫) 'কোম্পানী' বলতে ১৯১৩ সালের কোম্পানী আইনের অনুরূপ অর্থ বুঝাবে;
উপধারা-(৬) 'সম্পুর্ণ খাই খালাসী রেহেন' বলতে ঋণ হিসেবে গৃহীত অর্থ বা শস্য প্রদান করার নিশ্চয়তাস্বরূপ কোনো প্রজা কর্তৃক কোনো ভূমির দখলাধিকার এই শর্তে হস্তান্তর করাকে বুঝায় যে রেহেনের মেয়াদকাল ঐ ভূমি হতে প্রাপ্ত মুনাফার দ্বারা সকল সুদসহ ঋণ শোধ বলে ধরে নেয়া হবে;
উপধারা-(৭) জোতসমুহের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত 'একত্রীকরণ' শব্দটি দ্বারা বিভিন্ন জোতে অবস্থিত সকল অথবা যে কোনো পৃথক পৃথক দাগের ভূমি একত্রে সন্নিবেশ করার নিমিত্ত পুনঃবন্টন কার্যক্রমকে বুঝায়;
উপধারা-(৮) 'সমবায় সমিতি' বলিতে ১৯১২ সালের সমবায় সমিতি আইন বা ১৯৪০ সালের বঙ্গীয় সমবায় সমিতি আইন মোতাবেক রেজিস্ট্রিকৃত বা রেজিস্ট্রিকত বলে গণ্য একটি সমিতিকে বুঝায়;
উপধারা-(৯) 'রায়তী কৃষক' বা অধীনস্থ রায়তী কৃষক' বলিতে এমন রায়ত বা অধীনস্থ রায়তকে বুঝায় যে নিজ বা পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা চাকরদের দ্বারা বা বর্গাদারদের দ্বারা বা ভাড়াটে শ্রমিকদের দ্বারা বা সহ-অংশীদারদের দ্বারা চাষের নিমিত্ত ভূমি অধিকারে রাখে;
উপধারা-(৯)-ক 'পরিত্যাক্ত চা বাগান' অর্থ একক ব্যবস্থাপনার অধীনে রাখা ভূমির যে কোনো খণ্ড বা খণ্ডের সমষ্টি যা চা-এর চাষ বা চা উত্পাদনের নিমিত্ত দখল, বন্দোবস্ত অথবা ইজারা দেওয়া হইয়াছিল বা যার মধ্যে চা গাছের ঝোপ ছিল বা আছে এবং যা সরকার কতৃর্ক প্রদত্ত নোটিশের মাধ্যমে পরিত্যক্ত চা বাগান হিসেবে ঘোষিত হয়েছে এবং উক্ত ভূমির উপর নির্মিত দালান কোঠাও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে ।
শর্ত থাকে যে, কোনো ভূমির একটি খণ্ড বা খণ্ডগুলিকে পরিত্যক্ত বা চা বাগান হিসেবে ঘোষণা প্রদানকালে সরকার বিবেচনা করিতে পারেন-
(i) পূর্ববর্তী পাঁচ বছরে ঐরূপ ভূমির কমপক্ষে ১৫ শতাংশ পরিমাণ এলাকায় চা-এর আবাদ করা হয়েছে;
(ii) পূর্ববর্তী সাত বছরের অধিককাল এবং যে এলাকায় চা-এর আবাদ করা হয়েছে বিগত ৩ বছরে তার একর প্রতি উত্পাদন সেই সময় বাংলাদেশে চা আবাদকারী সমস্ত এলাকার একর প্রতি গড় উত্পাদনের শতকরা ২৫ ভাগের কম কি না সে বিষয়ে চা বোর্ডের মতামত;
উপধারা-(৯-খ ) ভূমি রেকর্ড ও জরিপ পরিচালক' শব্দসমুহ ভূমি রেকর্ড এবং জরিপের অতিরিক্ত পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করে।
উপধারা-(১০) 'দায়দায়িত্ব' শব্দটি কোনো জমিদারী, রায়তীস্বত্ব, হোল্ডিং, প্রজাস্বত্ব বা ভূমি সম্পর্কে ব্যবহৃত হয় যার দ্বারা উক্ত জমিদারী, রায়তীস্বত্ব,হোল্ডিং, প্রজাস্বত্ব বা ভূমির উপরে দখলদার কতৃর্ক সৃষ্ট কোনো রেহেন, দায়, পূর্ব দায়, অধীনস্থ প্রজাস্বত্ব, ইজমেন্ট বা অপরাপর অধিকার বা স্বার্থ কিংবা ঐগুলিতে নিহিত তার নিজস্ব স্বার্থের উপর সীমাবদ্ধতা অারোপ করে তাকে বুঝায়।
উপধারা-(১১) 'এস্টেট' অর্থ অাপাতত বলবত্ অাইন অনুসারে একটি জেলার কালেক্টর কতৃর্ক প্রস্তুতকৃত ও রক্ষিত রাজস্ব প্রদানকারী জমি ও রাজস্বমুক্ত জমির সাধারণ রেজিস্টারগুলির কোনো একটিতে অন্তর্ভুক্ত জমি এবং সরকারী সরকারী খাস মহল সমুহ ও রাজস্বমুক্ত জমি যাহা রেজিস্টার অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এবং সিরেট জেলার নিম্নলিখিত জমিও ইহার অন্তর্ভুক্ত -
(i) যে জমির জন্য অনতিবিলম্বে বা ভবিষ্যতে ভূমি রাজস্ব প্রদান করিতে হইবে যাহার জন্য একটি পৃথক চুক্তি সম্পাদন করা হইয়াছে;
(ii) যে জমির জন্য ভূমি রাজস্ব হিসাবে পৃথক একটি অংশ প্রদান করিতে হইবে কিংবা নিম্নরুপ করা হইয়াছে অথচ সেই অর্থের জন্য সরকারের সহিত কোনো চুক্তি সম্পাদিত হয় নাই;
(iii) এরূপ ভূমি যেগুলি সামাজিকভাবে ডেপুটি কমিশনারের রাজস্বমুক্ত এস্টেটের রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি;
(iv) এরূপ ভূমি যেগুলি সম্পূর্ণরূপে সরকারী সম্পত্তি হিসেবে ১৮৮৬ সালের আসাম ভূমি ও রাজস্ব রেগুলেশনের ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক প্রস্তুতকৃত রাজস্বভূক্ত বা রাজস্বমুক্ত এস্টেটের সাধারণ রেজিস্টারে পৃথকভাবে অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে;
উপধারা-(১২) 'হাট' বা 'বাজার' অর্থ সেই স্থান যে স্থানে লোকেরা সপ্তাহের প্রতিদিন বা বিশেষ দিনে প্রধানতঃ কৃষিপণ্য বা সবজি, গবাদিপশু, পশুর চামড়া, হাস-মুরগী, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ, দুগ্ধজাত সামগ্রী বা অন্যান্য খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য বা দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্য বেচাকেনার জন্য সমবেত হয়; ঐ স্থানে অবস্থিত ঐ সকল জিনিসের দোকানপাটও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৩) 'হোল্ডিং বা জোত' অর্থ ভূমির একটি খণ্ড অথবা খণ্ডসমূহ বা তার একটি অবিভক্ত অংশ যা কোনো রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক অধিকৃত এবং যা কোনো পৃথক প্রজাস্বত্বের বিষয়বস্তু;
উপধারা-(১৪) 'বসতবাটি' বলিতে বাসগৃহ ও তার আওতাভূক্ত ভূমি সেই সঙ্গে এ ধরনের বাসগৃহ সংলগ্ন বা সংশ্লিষ্ট কোনো আঙ্গিনা, বাগান, পুকুর, প্রার্থনার জায়গা, ব্যক্তিগত গোরস্থান বা শ্নশানঘাটকে বুঝায় এবং তা অন্তর্ভুক্ত করে বাসগৃহের সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে বা কৃষি বা সবজি চাষের সঙ্গে সংযুক্ত বহির্বাটিকে বা সুনির্দিষ্ট সীমানার মধ্যকার ভূমিকে তা পতিত হোক বা না হোক;
উপধারা-(১৫) কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট 'খাস ভূমি' বা 'খাস দখলীয় ভূমি' বলিতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যতীত ইজারাভূক্ত ভূমি, ঐ ভূমিতে দণ্ডায়মান ভবন ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন স্থানও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৬) 'ভূমি' বলিতে সেই রকমের ভূমিকে বুঝায় যেগুলি আবাদ করা হয় বা চাষাবাদ না করে ফেলিয়া রাখা হয় বা বছরের যে কোনো সময় জলে ভরা থাকে; এই ভূমি হইতে উদ্ভুত সুবিধা, ঘর-বাড়ি, দালানকোঠা এবং মাটির সাথে সংযুক্ত যে কোনো বস্তুর সঙ্গে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত যে কোনো বস্তুও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৬-ক) সাময়িকভাবে বলবত্ যে কোনো আইনে বা কোনো চুক্তিতে বা কোনো আদালতের রায় বা ডিক্রি আদেশে যাই থাকুক না কেন (১৬) উপধারায় বর্ণিত ভূমির সংজ্ঞার মধ্যে সকল রকমের উন্মুক্ত বা বদ্ধ মত্স্য খামার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৭) 'অকৃষি প্রজা' অর্থ একজন প্রজা যে কৃষি চাষ বা ফলচাষের সাথে সম্পর্কিত নয় এরূপ ভূমির অধিকারী থাকে; তবে যে ব্যক্তি চিরস্থায়ী ইজারা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার ইজারাসূত্রে ভূমি ও তার উপর নির্মিত দালান ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন জায়গা অধিকারে রাখে সে তার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
উপধারা-(১৮)'নোটিফিকেশন' অর্থ সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি,
উপধারা-(১৮-ক) 'ফলবাগান' বলিতে মানুষের প্রচেষ্টায় সৃষ্ট ফল গাছের বাগানকে বুঝায়, নারিকেল, সুপারি ও আনারসের এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৯) 'নির্ধারিত' অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়া;
উপধারা-(২০) 'স্বত্বাধিকারী' বলতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় যে অছি-এর মাধ্যমে বা তার নিজের কল্যাণে কোনো এস্টেট বা তার অংশ বিশেশের মালিকানার অধিকারী থাকে;
উপধারা-(২১) 'রেজিস্ট্রিকৃত' অর্থ কোনো দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য সাময়িকভাবে বলবত্ আইনের অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত;
উপধারা-(২২) 'খাজনা' বলিতে প্রজা কতৃর্ক ভূমি ব্যবহার বা দখলে রাখার নিমিত্ত আইনানুগভাবে ভূ-স্বামীকে পরিশোধযোগ্য বা অর্পণযোগ্য কোনো নগদ অর্থ বা দ্রব্যসামগ্রীকে বুঝায়;
উপধারা-(২৩) 'খাজনা গ্রহীতা' অর্থ একজন স্বত্বাধিকারী বা রায়তিস্বত্বের অধিকারী ও সেই সঙ্গে একজন রায়ত, একজন অধীনস্থ রায়ত বা একজন অকৃষি প্রজা যাহার ভূমি ইজারা প্রদান করা হয়েছে ও তত্সহ সেবা কার্য প্রদান করার বিনিময়ে কোনো ব্যক্তিকে নিষ্কর ভূমি প্রদানকারী উপরস্থ মালিক এর অন্তর্ভুক্ত; কিন্তু চিরস্থায়ী ব্যতীত অন্য প্রকারে যে ব্যক্তি তার এরূপ অকৃষি ভূমি ও এর উপরের কোনো দালান ও তত্সংলগ্ন প্রয়োজনীয় জায়গা স্থায়ীভাবে ইজারা প্রদান করিয়াছে সে এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নহে;
উপধারা-(২৪) 'রাজস্ব অফিসার' বলিতে এই আইন মোতাবেক বা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি অনুসারে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার সকল কার্য বা যে কোনো কার্য সম্পাদন করিবার উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত কোনো অফিসার রাজস্ব অফিসার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(২৫) 'স্বাক্ষরিত' বলিতে অন্তর্ভুক্ত যে ক্ষেত্রে স্বীয় নাম লিখিতে অক্ষম কোনো ব্যক্তি চিহ্নটি প্রদান করে; উক্ত ব্যক্তির নামও স্বাক্ষরিত সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত;
উপধারা-(২৬) উত্তরাধিকার' বলিতে উইল ছাড়া বা উইলের মাধ্যমে প্রদত্ত উভয়বিধ উত্তরাধিকার অন্তর্ভুক্ত হয়;
উপধারা-(২৭) 'প্রজা' বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে অপরের ভূমি দখল করিয়া আছে ও বিশেষ চুক্তির অবর্তমানে উক্ত ভূমির জন্য উক্ত ব্যক্তিকে খাজনা দিতে বাধ্য থাকেঃ
শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি যদি সাধারণভাবে প্রচলিত আধি বা বর্গা চাষী বা ভোগ ব্যবস্থাধীনে অপরের ভূমি এই শর্তে চাষাবাদ করে যে উক্ত ব্যক্তিকে সে উত্পন্ন ফসলের একটি অংশ প্রদান করিবে তবে সে প্রজা নহে, কিন্তু উক্ত ব্যক্তি প্রজা হিসেবে গণ্য হইবে;
উক্ত ব্যক্তিকে যদি তার ভূ-স্বামী কতৃর্ক সম্পাদিত বা তার অনুকূলে সম্পাদিত ও ভূমির মালিক কর্তৃক গৃহীত কোনো দলিলের মাধ্যমে একজন প্রজা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়; দেওয়ানী আদালত কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে যদি প্রজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কিংবা হয়;
উপধারা-(২৮) 'মধ্যস্বত্ব' অর্থ মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অধীনস্থ মধ্যস্বত্বের অধিকারীর স্বার্থ;
উপধারা-(২৯) 'গ্রাম' বলিতে সরকার কর্তৃক বা সরকারের কতৃর্ত্বাধীনে পরিচালিত জরীপে সুনির্দিষ্ট এবং পৃথক গ্রাম হিসেবে সীমানা চিহ্নিত ও জরিপকৃত এবং রেকর্ডভূক্ত এলাকাতে বুঝায় এবং যেখানে এ ধরনের কোনো জরিপ করা হয়নি সেখানে কালেক্টর রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনক্রমে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারির মাধ্যমে ঐ এলাকাতে গ্রাম ঘোষণা করতে পারেন;
উপধারা-(৩০) বত্সর বা কৃষি বত্সর বলিতে পহেলা বৈশাখে শুরু বাংলা সনকে বুঝাইবে;
উপধারা-(৩১) যে সমস্ত শব্দ বা বর্ণনা এই আইনের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ খণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু এই আইনে যেগুলির ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি এবং বঙ্গীয় প্রজস্বত্ব আইন, ১৮৮৫ বা সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৩৬ এ ব্যবহৃত হয়েছে ঐ সমস্ত শব্দ ও বর্ণনার অর্থ যে ভাবে ঐ আইনসমূহে দেয়া হয়েছে সেগুলি ঐ আইন যে এলাকায় প্রযোজ্য সেই এলাকা সমূহে একই অর্থ বুঝাইবে ।
ধারা-২ক ( অব্যাহতি)
সরকার জনস্বার্থে কোনো জমিতে বা বিভিন্ন শ্রেণীর জমিতে নিহিত স্থানীয় কতৃর্পক্ষের স্বার্থকে এই আইন অনুসারে অর্জন করা হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা অব্যাহতি দিতে পারিবেন ।
Sultan Mahmud Sujon:
দ্বিতীয় খন্ড
দ্বিতীয় অধ্যায়
কতিপয় খাজনা গ্রহীতার স্বার্থে অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিশেষ বিধানাবলী
ধারা-৩ (কতিপয় খাজনা গ্রহীতার স্বার্থ অধিগ্রহণ এবং উহার ফলাফল )
উপধারা-(১) এই আইন কার্যকর হওয়ার সময়ে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে খাজনা প্রাপকের নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা অাইনসংগত বলিয়া বিবেচিত হইবে-
(i) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত কোনো জেলায় বা জেলার অংশে বা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকের এস্টেট, মধ্যস্বস্ত, জোত বা প্রজাস্বত্বে বিদ্যমান সকল স্বার্থ; এবং
(ii) ১৮৭৯ সালের কোর্ট অব ওয়ার্ডস এ্যাক্টের অধীনে কোর্ট অব ওয়ার্ডসের ব্যবস্থাধীনে পরিচালিত খাজনা প্রাপকের এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অন্ত-ভূমিতে (land) এবং মাটির নীচে অবস্থিত খনিতে বিদ্যমান সকল স্বার্থ এই অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত ।
উপধারা-(২) এই আইনের ২০ ধারার (২), (৩), (৪), (৫) ও (৬) উপধারায় বর্ণিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ সম্পর্কিত (১) উপধারা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সাথে সাথে বা পরে যে কোনো সময় সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত তারিখ হইতে যে সকল ভূমি খাজনা প্রাপক খাস দখলে রাখিতে পারিবে না তা সরকার অধিগ্রহণ করিবে এবং ঐ সমস্ত সম্পত্তি দায়মুক্ত অবস্থায় চুড়ান্তরূপে সরকারের উপর বর্তাইবে ।
উপধারা-(২ক) এই ধারা মোতাবেক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে খাজনা প্রাপকের নাম নির্দিষ্ট উল্লেখ থাকিবে বা যে এলাকায় তার স্বার্থ বিদ্যমান আছে তা উল্লেখ থাকিবে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো নিয়মে বর্ণিত থাকিবে ।
উপধারা-(৩) উপধারা (১) ও (২) এ উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তির আকার ঐরূপ হইবে ও বিবরণী ঐরূপ থাকিবে যা নিরূপন বা নির্ধারণ করা যাইবে ।
উপধারা-(৪) উপধারা (১) অনুযায়ী প্রচলিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে-
(ক) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত, প্রজাস্বত্বে নিহিত স্বার্থ, খাস দখলীয় সকল সম্পত্তিতে নিহিত স্বার্থ, ঐ সকল এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অন্তঃভূমিতে এবং মাটির নীচে অবস্থিত খনিতে বিদ্যমান সমস্ত স্বার্থ ঐ সকল এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে খাজনা আদায়ের নিমিত্ত অফিস অথবা কাচারী হিসেবে ব্যবহৃত দালান অথবা দালানের অংশে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ দায়হীনভাবে সরকারের উপর চুড়ান্তরূপে বর্তাইবে ।
শর্ত থাকে যে, এই দফায় উল্লেখিত কোনো কিছুই সংশ্লিষ্ট খাজনা প্রাপকের বসতবাড়ীতে অবস্থিত দালানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ।
(খ) উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে যে সমস্ত বকেয়া খাজনা, সেস ও ঐগুলির সুদ বৈধভাবে খাজনা প্রাপকের নিকট কালেক্টরের পাওনা ছিল সেগুলি আদায়যোগ্য হইবে ও আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাহাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে । তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে বকেয়া খাজনা, সে এবং ঐগুলির সুদ বাবদ প্রাপ্য অর্থ কাটিয়া নেয়া হইবে ।
(গ) উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে যে সকল বকেয়া খাজনা, সেস এবং ঐগুলির সুদ খাজনা প্রাপকের প্রাপ্য ছিল তা উক্ত তারিখে তামাদি হইয়া না গিয়া না থাকাকালে সরকার কর্তৃক আদায়যোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে এবং আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক কালেক্টরের আদেশে যে ব্যক্তির উক্ত অর্থ পাওনা ছিল তাহাকে যখন ক্ষতিপূরণ (যদি পাওনা থাকে), প্রদান করা হইবে তখন তা হতে বকেয়া খাজনা, সেস এবং ঐগুলির সুদ বাবদ প্রাপ্য অর্থ কাটিয়া লওয়া হইবে ।
(ঘ) উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে ১৮৮২ সালের বেঙ্গল ইমব্যাংকমেন্ট এ্যাক্ট বা ১৯৫২ সালের ইস্ট বেঙ্গল ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ এ্যাক্ট মোতাবেক খাজনা প্রাপকের নিকট যদি কোনো বকেয়া অর্থ অথবা ভবিষ্যতের কিস্তি পাওনা থাকে তাহলে আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হতে উক্ত বকেয়া অর্থ এবং ভবিষ্যতের কিস্তির অর্থ কেটে নেয়া হবে ।
(ঘঘ) উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক যদি খাজনা প্রাপকের নিকট কোনো বকেয়া কৃষি আয়কর সরকারের পাওনা থাকে তবে আদায়ের অন্যান্য উপারের বিপরীত কোন কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হতে উক্ত বকেয়া কাটিয়া রাখা হইবে ।
(ঙ) এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ভূমি যে সমস্ত প্রজা (১) উপধারার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত খাজনা প্রাপকের প্রত্যক্ষ অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করিত তাহারা প্রত্যক্ষভাবে সরকারের প্রজা বলিয়া গণ্য হইবে এবং খাজনা প্রদানযোগ্য ভূমি অধিকারে অথবা দখলে রাখার নিমিত্তে প্রচলিত হারে সরকারকে খাজনা খাজনা প্রদান করিবে, অপর কোনো ব্যক্তিকে নহে।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯৫৭ সালের পূর্ব বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্ হওয়ার পূর্বে ৪৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়া কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি সেক্ষেত্রে এ সমস্ত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অধিকারী খাজনা প্রাপকের সরাসরি অধীনস্থ প্রজা ঐ সমস্ত ভূমি খাজনামুক্ত ভূমি ছাড়া অধিকারে রাখার জন্য ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও ৫৩ ধারা অনুযায়ী সংশোধনকৃত স্বত্বলিপিতে নির্ধারিত হারে খাজনা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে ।
(চ) উপধারা (২) অনুযায়ী যে সকল খাসভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি সেই সমস্ত ভূমি খাজনা প্রাপকগণ সরকারের প্রত্যক্ষ প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে এবং ৫ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা সরকারকে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে ।
(চচ) সিলেট জেলা ছাড়া অপরাপর জেলার ক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী স্বত্বলিপি চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত বা ৫ ধারা অনুযায়ী খাজনা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত (ঙ) দফার শর্তে ও (চ) দফায় বর্ণিত প্রজাগণ ৪র্থ অধ্যায় মতে প্রণয়নকৃত বিধি অনুযযায়ী প্রাথমিক খাজনার বিবরণীতে প্রদর্শিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদান করিবে। সিলেট জেলার ক্ষেত্রে (ঙ) দফার শর্তে উল্লেখিত প্রজাগণ ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন বা ১৯৮৬ সালের আসাম ল্যান্ড এ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন বা ১৯৫০ সালের বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন মোতাবেক সত্যায়িত খসড়া স্বত্বলিপির উপর ভিত্তি করে প্রণয়নকৃত সাময়িক খাজনার বিপরীতে প্রদর্শিত হারে সরকারকে খাজনা দিতে হইবে এবং (চ) দফায় বর্ণিত প্রজাগণকে ৫ ধারা ও তদনুযায়ী প্রণীত বিধি অনুসারে নির্ধারিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদান করিতে হইবে।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্ত ভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপিতে হ্রাসকৃত হারে বা বির্ধিত হারে উক্ত খাজনা দেখানো হয় বা ৫ ধারা অনুযায়ী হ্রাসকৃত হারে বা বর্ধিত হারে নির্ধারিত হয় বা ৫৩ ধারা অনুযায়ী উক্ত খাজনার পরিমাণ হ্রাস কিংবা বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে উক্ত প্রজার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে পূর্বে দেয়া খাজনার পরিমাণ কম হইলে নির্ধারিত খাজনার বাকী অংশ দিতে বাধ্য থাকিবে এবং বেশী হলে অতিরিক্ত খাজনা ভবিষ্যতে প্রদত্ত খাজনার সাথে সমন্বয় সাধন করার অধিকারী হইবে ।
(ছ) দফা (ঙ), (চ) ও (চচ) এ উল্লেখিত বকেয়া খাজনা আদায় করার জন্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ১৯১৩ সালের বঙ্গীয় সরকারী দাবি আদায় আইন মোতাবেক আদায়যোগ্য হইবে ।
(জ) দফা (ঙ) অনুযায়ী যে সকল মধ্যস্বত্ব সম্পূর্ণরূপে ও প্রত্যক্ষভাবে সরকারের অধীনে স্থানান্তরিত হইয়াছে তা ১৯৬৮ সালের বঙ্গীয় ভূমি রাজস্ব বিক্রয় আইন-এর ১ ধারা অনুসারে প্রদত্ত মধ্যস্বত্বের সংজ্ঞার ধারার একই অর্থ বুঝাইবে ।
উপধারা-(৪-ক) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও সিলেট জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (৪) উপধারার (ঙ), (চ) এবং (চচ) দফা মোতাবেক প্রদত্ত বকেয়া খাজনা আদায় করিবার ক্ষেত্রে তামাদি হওয়ার সময়সীমা খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হইতে ২৪ মাস বাদ দিয় গণনা করিতে হইবে ।
উপধারা-(৫) বিদায়ী খাজনা প্রাপকরা যাদের স্বার্থ এই ধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে তাহারা এই আইনে উল্লেখিত ক্ষতিপূরণ লাভের অধিকারী হইবে ।
ধারা-৩ক ( বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে বিবরণী দাখিলের নিমিত্ত নোটিশ )
৩ ধারা অনুযায়ী এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্ব বা খাস দখলীয় ভূমিতে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার উক্ত ধারার (১) উপধারা বা (২) উপধারা মোতাবেক উক্ত স্বার্থ অথবা ভূমি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পূর্বে যে কোনো সময়ে নির্ধারিত উপায়ে খাজনা প্রাপকের উপর নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে নোটিশ জারির ষাট দিনের কম নহে এমন নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত ফরমে নোটিশে নির্দেশিতভাবে নিম্নলিখিত সকল অথবা যে কোনো তথ্য সংবলিত একটি বিবরণী দাখিল করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারেন ।
(i) খাজনা প্রাপক কর্তৃক অধিকৃত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের মোট পরিমাণ এবং বর্ণনা ও বার্ষিক রাজস্ব খাজনা ও সেসসমূহ যাহা সে তাহার ভূমির তাত্ক্ষণিক উপরস্থ ভূমির ভূমি মালিককে বা সরকারকে ক্ষেত্র ভেদে প্রদান করিত তাহার বিবরণ;
(ii) যে গ্রাম, থানা এবং জেলায় এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের ভূমি অবস্থিত তাহার নাম ও সেই সঙ্গে তাত্ক্ষণিক পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের অধিক নহে সময়ের জন্য ব্যবহৃত খাজনা আদায়ের কাগজপত্রের তালিকা;
(iii) খাজনা প্রাপকের খাস দখলীয় সকল ভূমি যে গ্রাম এবং যে থানায় অবস্থিত তাহার নামসহ ভূমির পরিমাণ, বর্ণনা ও শ্রেণীবিন্যাস;
(iv) উক্ত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের অন্যান্যসহ অংশীদারগণ যাহারা যৌথভাবে খাজনা প্রাপকের সঙ্গে খাজনা আদায় করিত তাহাদের নাম এবং নির্ধারিত অংশসমূহের বিবরণ; ও
(v) উক্তরূপ অন্যান্য বিবরণ যাহা রাজস্ব অফিসার প্রয়োজন মনে করেন।
ধারা-৪ ( বিবরণী দাখিলের নিমিত্ত নোটিশ প্রদান ও নির্দেশ পালন না করার জন্য দন্ড )
উপধারা-(১) : ৩(১) ধারা মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যতশীঘ্র সম্ভব রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত পন্থায় খাজনা প্রাপক যাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডস আইন ১৮৭৯ মোতাবেক কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর পরিচালনাধীন রহিয়াছে সে ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রত্যেক খাজনা প্রাপককে নোটিশ জারির মাধ্যমে দাখিল করার নিমিত্ত নির্দেশ দিতে পারেন-
(ক) নির্ধারিত ফরমে একটি বিবরণী যাতে দেখাতে হবে-
(i) উক্ত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা যে সকল এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে তার স্বার্থ অধিগ্রহণ করা হয়েছে তার মোট পরিমাণ ও বর্ণনা এবং সেগুলির বার্ষিক খাজনা ও সেস, যা সে ভূমির উপরস্থ ভূ-স্বামী অথবা সরকারকে, ক্ষেত্র ভেদে প্রদান করত তার বর্ণনা;
(ii) যে গ্রাম, থানা ও জেলায় এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ভূমি অবস্থিত তাহার নাম এবং প্রত্যেক গ্রামের খাজনা ও সেস, কর বাবদ মোট বার্ষিক দাবির পরিমাণ ও দাবির সমর্থনে দাবী আদায়ের কাগজপত্রের তালিকা ।
(iii) তার খাস দখলীয় ভূমির পরিমাণ এবং বর্ণনা;
(iv) উক্ত এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্বের খাজনা গ্রহীতার সাথে যৌথভাবে খাজনা আদায়কারীর সহ-অংশীদারদের নাম ও নির্ধারিত অংশসমূহ; এবং
(খ) রাজস্ব অফিসারের প্রয়োজন অনুযায়ী অপরাপর বিবরণ, কাগজপত্র বা দলিলপত্র এবং নোটিশে উল্লখিত অফিসারের নিকট নোটিশ জারির ষাট দিনের কম নহে এরূপ সময়ে উক্ত এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সেরেস্তার সমস্ত কাগজপত্র;
শর্ত থাকে যে, ৩ক ধারা মোতাবেক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত বিবরণ দাখিল করা হয়েছে তাহা সঠিকভাবে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া রাজস্ব অফিসার মনে করিলে খাজনা প্রাপককে আর বিবরণী দাখিল করিতে হইবে না ।
উপধারা-(২) : উপধারা (১) এ বর্ণিত কাগজপত্র যে অফিসার গ্রহণ করিবেন তিনি হস্তান্তরিত কাগজপত্রের জন্য রশিদ প্রদান করবেন ।
উপধারা-(৩) : যৌথভাবে আদায়কারী সকল সহ-অংশীদার যৌথভাবে অধিকৃত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক এই ধারার (১) উপধারা অথবা ৩ক ধারা মোতাবেক নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশসমূহ পালন করিবার নিমিত্তে যৌথ ও এককভাবে দায়ী থাকিবে ।
উপধারা-(৪) : এই ধারার (১) উপধারা অথবা ৩ক ধারা মোতাবেক যাহার উপর নোটিশ দেয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তি যদি নোটিশে উল্লেখিত সময় বা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তাহার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে মঞ্জুরীকৃত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত নোটিশে উল্লেখিত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সকল বা কোনো নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইয়া থাকে, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করে বা কোনো তথ্য, কাগজপত্র বা দলিল গোপন করিয়া থাকে তবে-
(ক) সেই ব্যক্তি শুনানীর সুযোগ অন্তে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ধার্যকৃত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবেন, যাহা-
(i) রাজস্ব প্রদানের আওতাভুক্ত এস্টেটের বা খাজনা প্রদানের আওতাভুক্ত তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ক্ষেত্রে এস্টেটের বার্ষিক রাজস্ব বা তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের বার্ষিক খাজনার পাঁচ গুণ, অবস্থাভেদে বর্ধিত হইতে পারে; এবং
(ii) র
Sultan Mahmud Sujon:
তৃতীয় খন্ড
তৃতীয় অধ্যায়
চাকুরীর বিনিময়ে ভূমি ভোগ সম্পর্কে বিশেষ বিধানসমূহ
ধারা-১১ ( দখলী অধিকারসমূহ অর্জন )
উপধারা-(১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি তার সেবার বিনিময়ে কৃষি বা ফলচাষ বা বসবাসের প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তির অধীনে ভূমি অধিকারে রাখে বলে স্থানীয়ভাবে নানকর, চাকরান অথবা অনুরূপভাবে পরিচিত সেই ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে যার অধীনে ভূমি অধিকারে রাখে তাহাকে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা প্রদান সাপেক্ষে ঐ ভূমিতে দখলী অধিকার অর্জন করিবে এবং ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের যতটা দখলী রায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় ততটা তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) এ উল্লেখিত যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা বলতে ঐরূপ খাজনাকে বুঝায় যা দখলীয় রায়ত কতৃর্ক প্রদত্ত অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সংবলিত একই গ্রাম অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভূমির জন্য ঐরূপ প্রজা ও তার ভূ-স্বামীর মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে স্বীকৃত খাজনা বা চুক্তির অবর্তমানে প্রজা বা ভূ-স্বামীর আবেদনক্রমে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত প্রচলিত খাজনার হারের বেশী হইবে না ।
ধারা-১২ (কোন কোন ক্ষেত্রে প্রচার বসতবাড়ি উচ্ছেদ )
উপধারা-(১) ১১ ধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্তেও যেক্ষেত্রে ঐ প্রচার বসতবাড়ি ভূমির মালিকের বসতবাড়ির মধ্যে অবস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে সে বা তাহার ভূমির মালিক এই আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে উক্ত ভূমির দখল সম্বন্ধীয় মোকাদ্দমা গ্রহণ করার এখতিয়ার বিশিষ্ট দেওয়ানী আদালতে ঐ প্রচার বসতবাড়ি উচ্ছেদ করার আদেশের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) মোতাবেক দরখাস্ত দায়ের করা হইলে আদালত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ দান করিয়া যতটুকু যথাযথ মনে করিবেন ততটুকু সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়া এবং অনুসন্ধান করিয়া যদি সন্তুষ্ট হন যে, ঐ প্রজার বসতবাড়ি ভূমির মালিকের বসতবাড়ির মধ্যে অবস্থিত তবে প্রার্থীত আদেশ প্রদান করিবেন ।
শর্ত থাকে যে, আদালত যদি দেখেন, ১১ ধারা মাতাবেক বা অন্য কোনো উপায়ে দরখাস্তে বর্ণিত বসতবাড়ি ছাড়া ঐ প্রজা দখলী রায়ত হিসেবে চাষাবাদের নিমিত্ত পাঁচ বিঘার কম ভূমি দখলে রাখে তবে আদালত ভূমির মালিক কতৃর্ক প্রজাকে বিবেচনাপ্রসূত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন অথবা আদালতের মতানুসারে নতুন স্থানে বসতবাড়ি স্থানান্তরের খরচ, অনুরূপ বসতবাড়ি পুনঃনির্মানের খরচ, ঐরূপ নির্মাণের জন্য ভূমির খরচ এবং আদালত কতৃর্ক যথাযথ বিবেচিত অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ নিরূপণ করিবেন; যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমির মালিক প্রজাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অর্থ আদালতে জমা না দেয় বা প্রজা লিখিতভাবে আদালতে স্বীকার না করে যে, আদালতের বাহিরে ঐ পরিমাণ অর্থ ভূমির মালিকের নিকট হইতে গ্রহণ করিয়াছে ততক্ষণ পর্যন্ত আদালত উচ্ছেদের আদেশ প্রদান করিবেন না ।
উপধারা-(৩) উপধারা (১) মোতাবেক প্রদত্ত আদেশ ঐ প্রজার বিরুদ্ধে উচ্ছেদের ডিগ্রী হিসেবে গণ্য হইবে এবং ঐরূপ আদশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলিবে না ।
ধারা-১৩ (কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃষি ভূমির পুনরুদ্ধার )
উপধারা-(১) যদি কোনো ব্যক্তিকে ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলের পর দেওয়ানী আদালতের ডিক্রী বা আদেশ বা কালেক্টরের আদেশ বা কালেক্ট কতৃর্ক ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ ছাড়া অন্য কোনোভাবে ১১ ধারার (১) উপধারায় সেবার বিনিময়ে নিষ্করভাবে ভোগ দখলকৃত কৃষিচাষ ও ফলের চাষ হতে উচ্ছদ করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ঐ ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) মোতাবেক দরখাস্ত করা হইলে কালেক্টর পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করেন ও যতটুকু যথাযথ মনে করিবেন ততটুকু সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়া এবং অনুসন্ধান করিয়া যদি সন্তুষ্ট হন যে, উল্লেখিত তারিখের পরে ভোগ দখলকৃত ভূমি হইতে দরখাস্তকারীকে উচ্ছেদ করা হইয়াছে তবে কালেক্টর দরখাস্তকারীর নিকট উক্ত ভূমি নুপঃরুদ্ধারের জন্য আদেশ প্রদান করিতে ও তিনি যথাযথ মনে করিলে পরবর্তী কৃষি বছরের পরে নহে এমন তারিখ হইতে উক্ত আদেশ কার্যকর করিবেন ।
উপধারা-(৩) যে ব্যক্তির দখলে উক্ত ভূমি রহিয়াছে সে যদি দরখাস্তকারীর নিকট দখল কার্যকর হওয়ার তারিখে দখল হস্তান্ত না করে তবে কালেক্টর দরখাস্তকারীর আবেদনক্রমে উক্ত ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করিয়া ঐ ভূমিতে দরখাস্তকারীকে দখল প্রদান করিবেন ।
শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি যদি ভূমির মালিক ছাড়াও অন্য ব্যক্তি হয় তবে সে ভূমির মালিকের নিকট হইতে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ পাইবে ।
উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কৃষি চাষ বা ফলচাষের ভূমি কোনো ব্যক্তিকে পুনরুদ্ধার করিয়া দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ১১ ধারার বিধানসমূহ ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।
ধারা-১৪ ( আপিল ) ১১ ধারার (২) উপধারায় কালেক্টরের আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত এলাকার এখতিয়ারবান জেলা জজের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত আপিলে জেলা জজের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হইবে ।
ধারা-১৫ (বিবিধ ) ১১ ধারার (২) উপধারায় ১২ ধারার (১) উপধারায় বা ১৩ ধারার (১) উপধারায় কোনো দরখাস্ত নির্ধারিত ফরমে নির্ধরিত বিবরণসহ করিতে হইবে এবং তার সঙ্গে নির্ধারিত প্রসেস ফি জমা দিতে হইবে ।
ধারা-১৬ (কতিপয় ভূমির অব্যাহতি ) এই অধ্যায়ের কোনো কিছু চা এস্টেটের সীমানার মধ্যে অথবা অপর কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ।
Sultan Mahmud Sujon:
চতুর্থ খন্ড
চতুর্থ অধ্যায়
স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণ
ধারা-১৭ ( স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণ )
উপধারা-(১) সরকার এই আইন মোতাবেক কোনো জেলায়, জেলার অংশে বা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ এবং এই আইন মোতাবেক ঐ সমস্ত স্থানের ভূমিতে নিহিত অধিগ্রহণযোগ্য অন্যান্য স্বার্থ অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে এবং ২য় অধ্যায়ের অধীনে ইতোমধ্যে অধিগৃহীত স্বার্থসহ এই সমস্ত স্বার্থের নিমিত্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে এই মর্মে আদেশ জারি করিতে পারিবেন যে-
(ক) উক্ত জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্য স্বত্বলিপি তৈরী করিতে হইবে; বা
(খ) ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের দশম অধ্যায় মোতাবেক সর্বশেষ প্রণয়নকৃত ও চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ান উক্ত জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্য এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ এবং সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা কতৃর্ক রিভিশন বা পরিমার্জন করিতে হইবে ।
উপধারা-(২) যদি ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০১ ধারা মোতাবেক বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ১১৭ ধারা মোতাবেক কোনো জেলা, জেলার অংশ বা স্থানীয় এলাকার জন্য খতিয়ান তৈরীর উদ্দেশ্যে আদেশ করা হইয়া থাকে; কিন্তু খতিয়ান তৈরীর কাজ ম্পন্ন না হয় বা জেলা, জেলার অংশ অথবা এলাকার জন্য খতিয়ান তৈরী অথবা পরিমার্জনের উদ্দেশ্যে (১) উপধারা মোতাবেক আদেশ দানের সময় ঐ স্বত্বলিপি বা খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হয় তাহা হলে এই আইন মোতাবেক খতিয়ান তৈরীর কার্যক্রম স্থগিত হইবে এবং ঐ খতিয়ান এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ এবং সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তুত করিতে হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, স্বত্বলিপি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০ম অধ্যায় বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ৯ম অধ্যায় মোতাবেক আরম্ভকৃত কার্যক্রম ও ঐ স্বত্বলিপির খসড়া প্রকাশিত হওয়ার আগে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০৩ ধারার (৪) উপধারা বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ১১৯ ধারা মোতাবেক যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয়, গৃহীত কার্যক্রম এই অধ্যায় মোতাবেক স্বত্বলিপি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই অধ্যায় মোতাবেক শুরু করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।
উপধারা-(৩) উপধারা (১) মোতাবেক আদেশের সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে ঐ আদেশ যথাযথভাবে প্রস্তুত হইয়াছে বলিয়া চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য করা হইবে ।
ধারা-১৮ (যে সকল বিবরণ খতিয়ানে রেকর্ড করিতে হইবে ) যখন ১৭ ধারা মোতাবেক কোনো আদেশ প্রদান করা হয় তখন ঐ আদেশ অনুযায়ী প্রণয়নকৃত বা পরিমার্জিত খতিয়ানে রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিত বিবরণসমূহ রেকর্ডভুক্ত করিবেন ।
ধারা-১৯ ( খতিয়ানসমূহের খসড়া ও চুড়ান্ত প্রকাশ )
উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ১৮ ধারায় বর্ণিত বিবরণসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার নিমিত্ত একটি স্বত্বলিপি প্রণয়ন করা হয় অথবা পরিমার্জন করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্ধারিত নিয়মে প্রণয়নকৃত এবং পরিমার্জিত খসড়া স্বত্বলিপি প্রকাশ করিবেন ও প্রকাশের সময় যা কিছু অন্তর্ভুক্ত করা যাইত অথবা বাদ দেওয়া হইয়াছে সেই সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ ও বিবেচনা করিবেন ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কতৃর্ক প্রদত্ত কোনো আদেশে ক্ষুব্ধ ব্যক্তি সহকারী সেটলমেন্ট অফিসারের নিম্নতম পদে নহে এরূপ নির্ধারত রাজস্ব কর্র্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত নিয়মে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করিতে পারিবে ।
উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে এরূপ সকল আপত্তি এবং আপিল সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ অনুযায়ী বিবেচিত ও নিষ্পত্তি হইয়াছে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার চুড়ান্তভাবে স্বত্বলিপি প্রণয়ন করিবেন ও নির্ধারিত নিয়মে ঐ স্বত্বলিপি চুড়ান্তভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; এবং উক্ত প্রকাশ এই অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান যথাযথভাবে প্রণয়ন ও পরিমার্জনের জন্য চুড়ান্ত সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য হইবে ।
উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে (৩) উপধারা মোতাবেক একটি খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব বোর্ড কতৃর্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজস্ব অফিসার তার চুড়ান্ত প্রকাশনা ও তাহার তারিখ উল্লেখ করিয়া একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন এবং তিনি তাহাতে তারিখ ও পদবীসহ নাম স্বাক্ষর করিবেন ।
ধারা-২০ (খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক ও অকৃষি প্রজা কতৃর্ক দখলে রাখা ভূমিসমূহ)
উপধারা-(১) ৫ম অধ্যায় মোতাবেক খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহনের প্রেক্ষিতে একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক ও অকৃষি প্রজা (২) উপধারায় উল্লেখিত খাস ভূমি ছাড়া অন্য কোনো এলাকায় খাস ভূমি দখলে রাখার অধিকারী হইবে না ।
উপধারা-(২) একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা সরকারের অধীনস্থ প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে-
(ক) কোনো এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্বে খাজনা আদায়ের অফিস অথবা কর্মচারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত ও সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণের জন্য গৃহীত বসত-বাড়ির বাইরে অবস্থিত কোনো দালান অথবা দালানের অংশ ছাড়া বসতবাড়ি বা বসতবাড়ি সংলগ্ন ভূমি;
(খ) পরিত্যক্ত চা বাগান ছাড়া নিম্নে উল্লেখিত বিভিন্ন শ্রেণীর খাস দখলীয় ভূমি-
(i) কৃষি চাষ, ফল চাষ অথবা পুকুরের জন্য ব্যবহৃত ভূমি;
(ii) চাষযোগ্য বা সংস্কার করার পর চাষযোগ্য ভূমি;
(iii) পতিত অকৃষি ভূমিঃ
শর্ত থাকে যে, (ক) ও (খ) দফায় উল্লেখিত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত ভূমির মোট পরিমাণ ৩৭৫ বিঘা বা তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পিছু দশ বিঘা যা অধিক হইবে, এর অতিরিক্ত হইবে না ।
উপধারা-(২ক) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে অথবা কোনো দলিলে বা আদালতের রায় ডিক্রী বা আদেশ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও (২) উপধারার (ক) ও (খ) দফায় উল্লেখিত শ্রেণীভুক্ত ভূমি অন্তর্ভুক্ত করে না বা অন্তুর্ভুক্ত করে না বলে ধরিয়া লওয়া হ্ইবে-
(i) হাট অথবা বাজারে অবস্থিত ভূমি অথবা দালান; অথবা
(ii) সম্পূর্ণভাবে খননকৃত পুকুর ছাড়া মত্স্য খামার; অথবা
(iii) বনাঞ্চলের জন্য ভূমি; বা
(iv) ফেরীঘাট হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ব্যবহৃত ভূমি ।
উপধারা-(৩) ধারা ২ এর (৪) উপধারার (খ) দফা মোতাবেক একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক, অকৃষি প্রজা যে সকল জমি দখলে রাখার অধিকারী সেই সকল জমির বন্টন ঐ খাজনা গ্রহীতা, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজার ইচ্ছা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার বন্টন করিবেন বা যেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি সেইক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধি অনুযায়ী বন্টন করিবেন ।
শর্ত থাকে যে, এই ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের মাথাপিছু ১০ বিঘা পরিমাণ বা তার কম বা ১০ বিঘার অতিরিক্ত হইলে কমপক্ষে ১০ বিঘা পরিমাণ ভূমি অধিকারে রাখিতে পারিবে এবং ঐ পরিবারে ভূমি বন্টনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার যে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে ভূমি দখলে রাখে তার নাম রেকর্ডভুক্ত করিবেন ।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোনো খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কোনো ভূমি ১৯৫২ সালের কৃষি উন্নয়ন ফাইন্যান্স কর্পোরেশ এ্যাক্ট মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত কৃষি উন্নয়ন ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-এর নিকট বা ১৯৫৭ সালের কৃষি ব্যাংক এ্যাক্ট মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান কৃষি ব্যাংকের নিকট রেহেন রাখিয়াছে সেইক্ষেত্রে এই ধারা মোতাবেক ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষেত্রে (২) উপধারা মোতাবেক সেই সকল শ্রেণীর ভূমি এবং যেই পরিমাণ ভূমি সে অধিকারে রাখিতে পারিবে তাহার মধ্যে ঐ রেহেনকৃত ভূমি অন্তর্ভুক্ত করিতে বাধ্য থাকিবে এবং যেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা এই ধারা মোতাবেক ইতঃপূর্বে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছে কিন্তু অতিরিক্ত খাস ভূমি সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়নি, সেইক্ষেত্রে এই শর্তের বিধানসমূহ অনুযায়ী তাহার ইচ্ছা পরিমার্জন করার প্রয়োজন হইবে ।
উপধারা-(৪) উপধারা (২) এ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা খাজনা প্রাপকগণের বা রায়তী কৃষকগণের বা অধীনস্থ রায়তী কৃষকগণের দল যাহারা সমবায়ের ভিত্তিতে অথবা শক্তি চালিত যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়োগের অন্যভাবে বৃহদায়তন খামার অথবা বৃহদায়তন দুগ্ধ খামার পরিচালনা করিতেছে তাহারা এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেট সাপেক্ষে, এই উপধারায় নির্ধারিত ভূমির অতিরিক্ত সেই পরিমাণ ভূমি দখলে এবং অধিকারে রাখিতে পারিবে যে পরিমাণ ভূমি রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকিবে ।
শর্ত থাকে যে, সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ সময়ে ঐ সার্টিফিকেট রাজস্ব কতৃর্পক্ষের রিভিশনের আওতায় থাকিবে ।
উপধারা-(৪ক) উপধারা (২) এ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ চা বা কফি চাষ ও উত্পাদনের উদ্দেশ্যে অথবা রাবার চাষের উদ্দেশ্যে ভূমি অধিকারে রাখিলে বা কোনো কোম্পানী চিনি উত্পাদনের উদ্দেশ্যে আখ চাষের জন্য জমি অধিকারে রাখিলে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেট সাপেক্ষে এই উপধারায় নির্ধারিত পরিমাণ ভূমির অতিরিক্ত সেই পরিমাণ ভূমি দখলে এবং অধিকারে রাখিতে পারিবে যে পরিমাণ ভূমি রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকিবে ।
আরও শর্ত থাকে যে, এই উপধারার উদ্দেশ্যে একটি পরিত্যক্ত চা বাগানকে চা চাষ এবং উত্পাদনের জন্য অধিকৃত ভূমি হিসেবে ধরিয়া লওয়া যাইবে না ।
উপধারা-(৪খ) উপধারা (৪) ও (৪ক) বা ৩৯, ৪৩ এবং ৪৪ ধারা বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও উপধারা (৪) ও (৪ক) মোতাবেক সার্টিফিকেটের অধীনস্থ ভূমি ঐ তারিখে সরকরের উপর চুড়ান্তভাবে বর্তাইবে যখন উক্ত সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তির উক্ত ভূমি দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে ইজারা গ্রহণের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার তাহার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে, যেখানে সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তি উক্ত ভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণের জন্য ৩৯ ধারা মোতাবেক প্রাপ্য ক্ষতিপূরনের দাবি ত্যাগ করিয়াছে ও উক্ত সার্টিফিকেটের সমাপ্তি ঘটাইয়া কোনো প্রিমিয়াম দাবি না করিয়া ইজারার মধ্যে সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ভূমি ৮১ ধারার (১) উপধারার ২য় শর্ত মোতাবেক ইজারা দেয়া যাইবে একথা উল্লেখ করিয়াছে।
উপধারা-(৫) (i) এই ধারায় (১) (২) এবং (৩) উপধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হবে না-
(ক) বাতিল
(খ) বৃহদায়তন শিল্পের জন্য ব্যবহৃত দালান বা অট্টালিকা ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন এলাকার ভূমিসহ উক্ত শিল্পের কাঁচামালা উত্পাদনের জন্য ভূমি; বা
(গ) দেবোত্তর, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদের অধীনস্থ ভূমির যতটুকু অংশ সম্পূর্ণভাবে উত্সর্গীকৃত থাকে ততটুকু ভূমি ও যার আয় কোনো ব্যক্তি বিশেষের অার্থিক সুবিধার জন্য সংরক্ষণ না করিয়া সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় এবং দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য হয় ।
(i) যেক্ষেত্রে দেবোত্তর ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ ভূমি হইতে আগত আয়ের এক অংশ ধর্মীয় ও দাতব্য উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয় এবং এক অংশ কোনো ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক সুবিধার জন্য সংরক্ষণ করা হয়, সেক্ষেত্রে ভূমির উক্ত অংশ এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত দফা (i) এর উপদফা (গ) এর আওতাভুক্ত হইবে ।
ব্যাখাঃ এই ধারার (২) উপধারার উদ্দেশ্যে-
(ক) একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা পরিবারের সদস্যদিগকে নিয়ে গঠিত দলভুক্ত ব্যক্তিগণকেও অন্তর্ভুক্ত করে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হয়, এবং
(খ) একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা সম্পর্কিত পরিবার উক্ত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা ও একই মেসে বসবাসকারী এবং ঐ খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিগণকে নিয়ে গঠিত হয় ধরিয়া লওয়া হয়, কিন্তু তাহা একই মেসে বসবাসকারী কোনো কর্মচারী অথবা ভাড়াটিয়া শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করিবে না ।
উপধারা-(৬) হাট অথবা বাজারে অবস্থিত ভূমি বা বনাঞ্চল, মত্স্য খামার অথবা ফেরীর জন্য ব্যবহৃত ভূমির ক্ষেত্রে (৫) উপধারার দফা (i) এর উপদফা (গ) এবং উক্ত উপধারার দফা (ii) এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না অথবা প্রযোজ্য হইবে না ধরিয়া লওয়া হবে ।
ধারা-২১ ( দখলীয় ভূমির খাজনা প্রদান )
কোনো খাজনা প্রাপ্ত, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা ২০ ধারা মোতাবেক যে সমস্ত ভূমি দখলে রাখিয়া তাহার জন্য তাহাকে এই আইনের বিধান মোতাবেক ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা পরিশোধ করিতে হইবে ।
ধারা-২২ (সকল ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা প্রদান করতে হবে )
উপধারা-(১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে অথবা ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের দশম অধ্যায়ের অধীনে সর্বশেষ প্রস্তুত ও চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানের কোনো বিবরণে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো জেলার বা জেলার অংশের বা স্থানীয় এলাকার সমস্ত ভূমি, যা সম্বন্ধে খতিয়ান প্রস্তুত ও পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছে, এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে নির্ধারিত ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনার জন্য দায়ী থাকিবে এবং উক্তরূপে প্রস্তুত বা পুনঃপরীক্ষণ খতিয়ানে ঐরূপ খাজনা অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
শর্ত থাকে যে, যদি ৫ ধারা মোতাবেক কোনো ভূমির খাজনা ইতিপূর্&
Sultan Mahmud Sujon:
পঞ্চম অধ্যায়
খাজনা প্রাপকদের স্বার্থ ও কতিপয় অন্যান্য
স্বার্থ অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ
ধারা-৩২ (ব্যাখা)
এই অধ্যায়ে খাজনা প্রাপক, মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী বলিতে দ্বিতীয় অধ্যায়ের অধীনে যে খাজনা প্রাপক স্বত্বাধিকারী অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী স্বার্থসমূহ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে তাহাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে বা বুঝায় ।
ধারা-৩৩ (ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতের আদেশ)
৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক যে কোনো জেলা, জেলার অংশ বিশেষ অথবা স্থানীয় এলাকা সম্বন্ধীয় খতিয়ান প্রস্তুত, পুনঃপরীক্ষণ এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশের সাথে সাথে রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত উপায়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারন বিবরণী তৈরী করিবেন যাহার মধ্যে উক্ত জেলা, জেলার অংশবিশেষ অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকগণের সকলের মোট সম্পদ এবং প্রকৃত আয় এবং এই অধ্যায় অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে যাহাদের স্বার্থসমূহ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে সেই সমস্ত ব্যক্তিগণকে এই আইনের বিধানসমূহ মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপুরণসহ নির্ধারিত অপরাপর বিবরণসমূহ উল্লেখ থাকিবে ।
শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি সম্বন্ধে পঞ্চম ক অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করা হইয়াছে এই অধ্যায় অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে অধিগ্রহণকৃত উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরীর কোনো প্রয়োজন নাই ।
ধারা-৩৪ (মালিক, মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও পরিশোধের ক্ষেত্রে পৃথক ব্যবহার)
এরূপ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরীর ক্ষেত্রে বিবরণীর সাথে ম্বন্ধযুক্ত এলাকায় অবস্থিত কোনো এস্টেট, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বা কোনো এস্টেটের, মধ্যস্বত্বের, জোতের বা প্রজাস্বত্বের খন্ডে খাজনা আদায়কারী প্রত্যেক স্বত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অন্যান্য খাজনা প্রাপক, সে ভিন্নভাবে খাজনা আদায় করুক বা অন্যান্যদের সঙ্গে আদায় করুক না কেন এ অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ব্যবহৃত হইবে ।
শর্ত থাকে যে, মিতক্ষরা আইন মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে উক্ত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত খাজনা প্রাপকগণ উক্ত উদ্দেশ্যে যৌথভাবে গণ্য বা ব্যবহৃত হবে ।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে একাধিক স্বত্ত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারী অথবা অন্যান্য খাজনা প্রাপক যৌথভাবে খাজনা প্রাপকের স্বার্থসমূহ অধিকারে রাখে এবং ঐরূপ স্বার্থসমূহের প্রকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম না করে সে ক্ষেত্রে উক্ত স্বত্বাধিকারীগণ, রায়তী স্বাত্বের অধিকারীগণ, অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণ এই অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌথভাবে গণ্য বা ব্যবহৃত হইতে পারে ।
ধারা-৩৫ (খাজনা প্রাপকগণের মোট আয় প্রকৃত আয় গণনা )
উপধারা-(১) এই অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়নের উদ্দেশ্যে-
(ক) খাজনা প্রাপকের মোট আয় অধীনস্থ প্রজা কতৃর্ক ঐ খাজনা প্রাপককে দেয়া মোট খাজনা ও সেস এর সমস্টিকে ধরিতে হইবে ।
(i) ২য় অধ্যায় মোতাবেক স্বার্থ অধিগৃহণের ক্ষেত্রে নোটিশে বর্ণিত তারিখের অব্যবহিত আগের কৃষি বছরের জন্য; ও
(ii) অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপির অব্যবহিত আগের কৃষি বছরের জন্য; এবং
যেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপক এবং এস্টেটের মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী হয়, সেক্ষেত্রে ২০ ধারা মোতাবেক খাস ভূমি দখলে রাখার জন্য ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক নির্ধারিত মোট যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী পণয়নের জন্য গণনা করা হয় ।
তবে শর্ত থাকে যে, ২৪, ২৫, ২৫ক, ২৭ এবং ২৮ ধারায় বর্ণিত মধ্যস্বত্বের অধিকারী, রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার ক্ষেত্রে ঐ ভূমির জন্য ঐ সকল ধারার বিধান মোতাবেক ধার্যকৃত ও নির্ধারিত ও ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপিতে অন্তর্ভুক্ত খাজনাকে এই দফার উদ্দেশ্যে ঐ বছরের ঐভূমির জন্য ঐ মধ্যস্বত্বের অধিকরী রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক তার উপরস্থ উর্ধ্বতন ভূমির মালিককে দেয়া খাজনা বলে ধরিয়া লওয়া হইবে;
(খ) মোট আয় হতে নিম্নলিখিত অর্থ বাদ দিয়ে খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয় গণনা করা হবে-
(i) মোট আয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত ভূমির ক্ষেত্রে সরকার বা উপরস্থ ভূমির মালিককে, ভূমি রাজস্ব অথবা খাজনা ও সেস হিসেবে গ্রহীতা কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমাণ অর্থ;
(ii) ঐ বছরের আয়ের জন্য ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক কর হিসেবে ঐ খাজনা প্রাপক কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমাণ অর্থ;
(iii) ঐ বছরের আয়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত অকৃষি হতে আগত আয়ের জন্য ১৯২২ সালের আয়কর আইন মোতাবেক কর হিসেবে ঐ খাজনা প্রাপক কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমান অর্থ;
(iv ঐ ভূমির সেচ ব্যবস্থা এবং সংস্কারমূলক কার্যাদি পরিচালনা করার জন্য খাজনা প্রাপক কর্তৃক ব্যয়কৃত অর্থের বার্ষিক গড় পরিমাণ অর্থ;
(iv) মোট আয়ের শতকরা ২০ ভাগের বেশী নহে ঐ পরিমাণ আদায়ের জন্য চার্জ বাবদ অর্থ ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) এর (খ) দফার (i), (ii), (iii) উপদফায় বর্ণিত অর্থ গণনা করিতে গিয়ে অথবা ঐ দফার (i) উপদফায় বর্ণিত ব্যয় এবং চার্জ নির্ধারণ করিতে গিয়ে রাজস্ব অফিসা সরকার কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে ।
ধারা-৩৬ ( কর্তৃপক্ষকে মানিতে অসম্মত স্বত্বাধিকারীর প্রকৃত আয় )
৩৬ ধারায় ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ীভাবে বন্দোবস্তকৃত ব্যক্তিগত ভূ-সম্পত্তির অসম্মত মালিকের ক্ষেত্রে ৩৫ ধারার (১) উপধারার (ক) দফার (i) অথবা (ii) উপদফার উল্লেখিত কৃষি বত্সরের ঐরূপ স্বত্বাধিকারীকে প্রদেয় মালিকানাকে ৩৫ ধারা মোতাবেক হিসাবকৃত ঐরূপ স্বাত্বধিকারীর প্রকৃত আয় হিসেবে গণ্য করা হইবে ।
ধারা-৩৬ক (শেইর (SAIR) ক্ষতিপূরণ ভাতাগ্রহণকারী প্রকৃত আয় )
৩৫ ধারায় অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও শেইর (SAIR) ক্ষতিপূরণ ভাতা, যা বাজারের, জমিতে আদায়কৃত তোলা ও কর অবলুপ্তির কারণে জমির মালিককে প্রদান করা হয়, গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে ঐ গ্রহণকারীকে বার্ষিক প্রদানযোগ্য শেইর (SAIR) ক্ষতিপূরণ ভাতার পরিমাণকে ৩৫ ধারা অনুযায়ী গণনাকৃত ঐ গ্রহণকারীর প্রকৃত আয় হিসেবে গণ্য করিতে হ্ইবে ।
ধারা-৩৭ (খাজনা প্রাপকের স্বার্থের জন্য ক্ষতিপূরণের হার )
৩৫ এবং ৩৬ ধারা মোতাবেক প্রকৃত আয় গণনা করার পর খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ অধিগ্রহণ সম্পর্কে দেয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিম্নলিখিতভাবে নির্ধারণ করা হইবেঃ
উপধারা-(১) এক্ষেত্রে খাজনা প্রাপক কোনো এস্টেটের মালিক, স্থায়ী রায়তীস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের অধিকারী অথবা কোনো রায়ত বা অধীনস্থ, রায়ত হয় সেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ হইতে আগত প্রকৃত আয়ের উপর ভিত্তি করিয়া নিম্নলিখিত বিবরণী বা টেবিল অনুসারে নির্ধারণ করা হইবে; যথাঃ
বাংলাদেশে মোট প্রকৃত আয়ের পরিমাণ
প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার
(ক) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ প্রকৃত আয়ের দশগুণ ।
(খ) যেক্ষেত্রে গণনাকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম করে কিন্তু বাংলাদেশে মোট প্রকৃত আয়ের পরিমাণ দুই হাজার অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ প্রকৃত আয়ের আট গুণ বা উপরের (ক) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার আয়ের চেয়ে ঐ (ক) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(গ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দুই হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ প্রকৃত আয়ের সাত গুণ বা উপরের (খ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (খ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(ঘ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পাঁচ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ প্রকৃত আয়ের ছয় গুণ বা উপরের (গ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (গ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(ঙ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ আয়ের পাঁচ গুণ বা উপরের (ঘ) আইটেম অনুসারে সর্বোচপ্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঘ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(চ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ আয়ের চার গুণ বা উপরের (ঙ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঙ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(ছ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পঞ্চাশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করে না ।
ঐরূপ আয়ের তিন গুণ বা উপরের (চ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (চ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
(জ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করে ।
ঐরূপ আয়ের দুই গুণ বা উপরের (ঙ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঙ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে খাজনা প্রাপক অস্থায়ী মধ্যস্বত্বের অথবা অস্থায়ী অপর কোনো প্রজাস্বত্বের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপক প্রদানযোগ্য ব্যক্তি উক্ত খাজনা প্রাপকের উপরস্থ মালিকের স্বার্থ অধিগ্রহণ করার জন্য এই অধ্যায় অনুযায়ী উপরস্থ মালিককে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ হইতে প্রদান করা হইবে; এবং রাজস্ব অফিসার এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের অর্থ অস্থায়ী রায়তীস্বত্ব বা প্রজাস্বত্বের অধিকারী ও তার উপরস্থ জমির মালিকের মধ্যে ভাগ করে দিবেন; এবং ঐ অংশ ভাগ করার সময় রাজস্ব অফিসার অস্থায়ী রায়তীস্বত্ত্বের অসমাপ্ত সময় বিবেচনার মধ্যে রাখিবেন এবং
উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে ওয়কফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দোবাত্তর অথবা অপর কোনো ট্রাস্ট অথবা আইনতঃ বাধ্যবাধকতার অধীনস্থ কোনো এস্টেট, রায়তীস্বত্ত্ব জোত অথবা প্রজাস্বত্বের প্রকৃত আয় অথবা প্রকৃত আয়ের কোনো অংশ কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া দাতব্য অথবা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণভাবে উত্সর্গীকৃত ও প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ দফা (১) অনুযায়ী ধার্য করার পরিবর্তে বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে নির্ধারিত নিয়মে ধার্য করা হইবে যাহার পরিমাণ ঐ প্রকৃত আয় অথবা আয়ের অংশ যেখানে যা প্রযোজ্য তার সমান হইবে ।
ধারা-৩৮ (একাধিক এলাকায় কোনো খাজনা প্রাপকের স্বার্থসমূহের ক্ষতিপূরণ বিবরণী প্রস্তুত )
যেক্ষেত্রে কোনো খাজনা প্রাপক একাধিক এলাকায় অবস্থিত স্বার্থসমূহের খাজনা গ্রহণের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে ঐ স্বার্থ প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক নির্ধারণ করা হইবে এবং উক্ত স্বার্থ সম্বন্ধীয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করা হইবে ।
ধারা-৩৯ (খাস ভূমির ক্ষতিপূরণেরর হার )
উপধারা-(১) খাজনা প্রাপক, চাষী রায়ত, অধীনস্থ চাষী রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা ২০ ধারা মোতাবেক যে সকল ভূমি অধিকারে রাখতে পারে না সেই খাস দখলীয় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিবরণী অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হইবে ।
ভূমির শ্রেণী
প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার
(ক) কৃষি চাষ, ফল চাষ অথবা পুকুরের জন্য ব্যবহৃত ভূমির জন্য
উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ ।
(খ) যে সকল ভূমির উপর হাট অথবা বাজার বসে সেই সকল ভূমির জন্য
উক্ত হাট অথবা বাজার হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ ।ঐ
(গ) চাষযোগ্য অথবা সংস্কারের পর চাষযোগ্য ভূমির জন্য-
(i) লাভজনক ভূমি
(ii) অলাভজনক ভূমি
উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ বা বার্ষিক রায়তী এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার কতৃর্ক নির্ধারিত পার্র্শ্ববর্তী চাষযোগ্য ভূমির সমান এলাকার খাজনার দশগুণ, যার পরিমাণ অধিকতর হয় ।
একর প্রতি দশ টাকা ।
(ঘ)মত্স্য খামার বা বনাঞ্চলের জন্য বা ফেরী হিসেবে ব্যবহৃত ভমির জন্য
উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ ।
(ঘ-১) জঙ্গল, নদীর কোর্স অথবা মত্স্য খামার নয় এরূপ অচাষযোগ্য ভূমি যথা-রাস্তা, পথ, সাধারণের জন্য গোস্থান অথবা শ্মশানঘাট, নদী, খাল ও জলের কোর্স যা সর্ব-সাধারণ তাহাদের স্বাভাবিক অথবা প্রথাগত অধিকার দ্বারা অথবা ইজমেন্ট-এর অধিকার দ্বারা ব্যবহার করে ঐরূপ ভূমির জন্য যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না ।
উক্ত ভূমি হতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ ।
(ঙ)খালি অ-কৃষি ভূমির জন্য
নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত ভূমি ইজারা দেয়ার বার্ষিক মূল্যের পাঁচগুণ ।
(চ)দালানসহ ভূমির জন্য
(i) ভূমি
(ii) দালান
নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত ভূমি ইজারা দেয়ার বার্ষিক মূল্যের পাঁচগুণ ।
নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত অপচয় বাদ দিয়ে নির্মাণের প্রকৃত খরচ ।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version