Faculty of Humanities and Social Science > Law

জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি

<< < (2/6) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
উপধারা-(১ক) উপধারা (১) এ ভিন্নতর কিছু থাকা সত্ত্বেও, যে ভূমিতে হাট বা বাজার বসে অথবা যে ভূমি বন অথবা মত্‍স্য খামার লইয়া গঠিত হয় অথবা ফেরীর জন্য ব্যবহৃত হয় ঐরূপ ওয়াকফ,ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবাত্তর বা অন্য কোনো ট্রাস্ট-এর অধীনস্থ খাস জমি অথবা সম্পূর্ণরূপে উত্‍সগীর্কৃত করা হইয়াছে ও যার আয় কোনো ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য করা হইয়াছে এরূপ জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ ঐ উপধারায় উল্লেখিত বিবরণী অনুযায়ী নির্ধারণ করার পরিবর্তে নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত উক্ত প্রযোজ্য বার্ষিক গড় আয়ের পরিমাণ অর্থ বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে ধার্য করা হইবে, কিন্তু উক্ত বৃত্তির পরিমাণ এই ধারার বিধান মোতাবেক নির্ধারিত ঐ জমি হইতে আগত প্রকৃত বার্ষিক লাভের অতিরিক্ত হইবে না ।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি হইতে ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গীত হয় ও অংশ বিশেষ কোনো ব্যক্তির আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য সংরক্ষণ করা হয় যা এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হইয়াছে তাহা এই উপধারার আওতাধীন থাকিবে ।
উপধারা-(২) উপধারা (১) ও (১ক) মোতাবেক জমির শ্রেণীবিন্যাসের ক্ষেত্রে কোনো বিবাদ দেখা দিলে তা নির্ধারিত রাজস্ব কতৃর্পক্ষের নিকট পাঠানো হইবে যার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
উপধারা-(৩) উপধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফার উদ্দেশ্যে জমি হতে প্রকৃত বার্ষিক লাভ নিম্নলিখিত নিয়মে নির্ধারণ করা হবে৷
(ক) যে বছরের জন্য নির্ধারণী বিবরণ প্রস্তুত করা হইবে তার অব্যবহিত দশ বছরের পূর্বের প্রত্যেক প্রকার ফসলের গড় দাম দ্বারা, নির্ধারিত নিয়মে জমির স্বাভাবিক বার্ষিক উত্‍পাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করিয়া প্রথমে জমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্য গণনা করা হইবে ।
(খ) ভূমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্য হইতে নিম্নলিখিত বিষয় বাদ দিয়ে প্রকৃত বার্ষিক লাভ গণনা করিতে হইবে-
(i) আবাদের জন্য খরচ হিসেবে নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত অর্থ যার পরিমাণ ভূমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্যের শতকরা পাঁচ ভাগের বেশী হবে না;
(ii) ভূমির বার্ষিক রাজস্ব বা খাজনা ও সেস কর হিসেবে খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ;
(iii) ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক ঐ জমির আয়ের জন্য কর হিসেবে খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ;
(vi) ১৯২২ সালের আয়কর আইন মোতাবেক উক্ত জমির আয়ের জন্য কর হিসেবে খাজনা প্রদান অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ ।
উপধারা-(৪) উপধারা (১) এর (খ) (ঘ) ও (ঘ-১) দফার উদ্দেশ্যে প্রকৃত বার্ষিক আয় বলিতে এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক রাজস্ব অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত প্রকৃত বার্ষিক আয়কে বুঝায় ।
উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে রায়তী কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত জমি যার জন্য (১) উপধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়, রেহেন অবস্থায় থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত উপধারা মোতাবেক ঐ রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা ও তাহার রেহেন গ্রহীতার মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে; এবং রাজস্ব অফিসার এই আইন মোতাবেক এই আইনের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধানসমূহ মোতাবেক উক্ত ক্ষতিপূরণ ভাগ করিয়া দিবেন; এবং ঐ ভাগ করার সময় রাজস্ব অফিসার খাই-খালাসী রেহেনের ক্ষেত্রে উক্ত রেহেনের ক্ষেত্রে উক্ত রেহেনের অসমাপ্ত সময়কে বিবেচনার মধ্যে রাখিবেন ।
ধারা-৪০ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রাথমিকভাবে প্রকাশ )

এই অধ্যায়ের অধীনে অধিগ্রহণযোগ্য বা ২য় অধ্যায় মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এই রকম খাজনা প্রাপক চাষী রায়ত, অধীনস্থ চাষী রায়ত এবং অকৃষি প্রজার খাজ ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ২৭, ৩৮ এবং ৩৯ ধারা মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অংক নির্ধারিত হওয়ার পর ৩৩ ধারা মোতাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করিবেন ও উক্ত বিবরণী যখন তৈরী হইবে রাজস্ব অফিসার তখন তার খসড়া নির্ধারিত নিয়মে ত্রিশ দিনের কম নহে এরূপ সময়ের জন্য প্রকাশ করাইবেন এবং উক্ত প্রকাশের সময়ের মধ্যে এতে কোনো কিছু অন্তর্ভুক্ত করা অথবা এ হইতে কোনো কিছু বাদ দেওয়া সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ করিবেন ও তা বিবেচনা করিবেন এবং সরকার কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক ঐ সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীনে কোনো আপত্তি করা চলিবে না-
(i) এই ব্যক্তির দ্বারা যে খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরীতে অন্তর্ভুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়নি; অথবা
(ii) ঐ বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এরূপ খাজনার পরিমাণ সম্বন্ধে যা ৫ ধারা অথবা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ৪৬ক ধারার (২) উপধারা মোতাবেক নির্ধারিত হইয়াছে ।
উপধারা-(২) কোনো জেলায় অথবা জেলার অংশে অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন গ্রাম অথবা দলবদ্ধ গ্রামসমূহের নিমিত্ত অথবা এক বা একাধিক ব্যক্তি যাহার অথবা যাহাদের বিভিন্ন এলাকায় থাকা স্বার্থ যে সম্বন্ধে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান রিভিশন এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে তাহার বা তাহাদের নিমিত্ত (১) উপধারা মোতাবেক ভিন্ন খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুত ও প্রকাশ করা যাইতে পারে ।
ধারা-৪১( উর্ধ্বতন রেভিনিউ কতৃর্পক্ষের নিকট আপিল )

৪০ ধারার (১) উপধারায় প্রদত্ত রাজস্ব অফিসারের প্রতিটি আদেশের বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে দুই মাস মেয়াদের মধ্যে নির্ধারিত উধ্বতন রাজস্ব অফিসারের নিকট আপিল করা চলিবে; এবং উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব অফিসার এতদুদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক উক্ত অাপিল বিবেচনা ও নিষ্পত্তি করিবেন ।
ধারা-৪২ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর চুড়ান্ত প্রকাশ )

যেক্ষেত্রে ঐরূপ সমস্ত আপত্তি ও আপিলের নিষ্পত্তি হয় সেই ক্ষেত্রে খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে রাজস্ব অফিসার ঐরূপ পরিবর্তন সাধন করিবেন যাহা ৪০ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক আনীত আপত্তি বা ৪১ ধারা মোতাবেক আপিলের প্রেক্ষিতে দেওয়া আদেশ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন হইয়া পড়ে এবং ঐ পরিবর্তিত বিবরণী নির্ধারিত নিয়ম মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করিবেন এবং উক্ত প্রকাশ এই অধ্যায়ের অধীনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী সঠিকভাবে প্রস্তুত হইয়াছে তাহার চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হইবে এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রতিটি এন্ট্রি অতঃপর বর্ণিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্ত এন্ট্রিতে বর্ণিত বিষয় খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ সমূহের প্রকৃতি, ভূমির সঠিক পরিমাণ ও স্বার্থের দাবিদারগণের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হারাহারিভাবে বন্টন এবং চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে ধরা হইবে ।
ধারা-৪৩ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর চুড়ান্ত প্রকাশ সম্পর্কে সার্টিফিকেট ও অনুমান )
উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ৪২ ধারায় কোনো ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক সাধারণ অথবা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ে রাজস্ব অফিসার উক্ত চুড়ান্ত প্রকাশ এবং প্রকাশের তারিখের ঘটনা বর্ণনাক্রমে একটি সার্টিফিকেট তৈরী করিবেন ও তাতে তার নাম এবং অফিসের উপাধিসহ দস্তখত করিবেন ও তারিখ লিখিবেন ।
উপধারা-(২) ৪২ ধারায় কোনো গ্রাম, দলবদ্ধ গ্রাম অথবা স্থানীয় এলাকা সম্বন্ধে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণ চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ এবং চুড়ান্ত প্রকাশের বিষয় বর্ণনা করিয়া ঘোষনা দিবেন যে, উক্ত গ্রাম, অথবা দলবদ্ধ গ্রাম অথবা স্থানীয় এলাকা, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয় এর নিমিত্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে ও উক্ত বিজ্ঞপ্তি উক্ত প্রকাশ এবং তারিখের চুড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হইবে ।
ধারা-৪৪ ( স্বাত্বাধিকারী, রায়তীস্বত্বের অধিকারী ও অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ ও কতিপয় খাস জমি সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ ও সরকারের উপর ন্যাস্ত ও তার ফলাফল )

আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অথবা এই আইনের ২য় অধ্যায় অথবা অপর কোনো চুক্তিতে ভিন্ন কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও ৩ ধারার (৪) উপ-ধারার (ক) (খ) (গ) ও (ঘ) দফার ৪০ এবং ৪৬ঙ ধারার (৩) উপধারার বিধান সাপেক্ষে ৪৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে এই মর্মে ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি সরকারী গেজেট প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত ফলাফল উদ্ভব হইবে, যথাঃ
উপধারা-(১) কোনো এস্টেটে নিহিত সব স্বত্বাধিকারীর রায়তীস্বত্বে নিহিত সব রায়তী স্বত্বের অধিকারীর এবং বিবরণীতে বর্ণিত এলাকায় পত্তনভুক্ত জোত অথবা প্রজাস্বত্বে নিহিত অন্য সব খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ঐ এলাকাভুক্ত এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, এর অংশ বিশেষের স্বার্থসহ ঐ সব ভূ-স্বামী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের বা ঐ এলাকাভুক্ত এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব অথবা ঐ এস্টেট রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষের ভূমি যাহা ঐ স্বত্বাধিকারী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের খাস দখলে থাকে এতে নিহিত স্বার্থ ও ইতঃপূর্বে ২য় অধ্যায় মোতাবেক বা ৪৬ঙ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এমন স্বার্থ ছাড়া ঐ এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব বা ঐ এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষের জমির মাটির নীচে নিহিত সব খাজনা প্রাপকের স্বার্থসহ জমির অধিকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখ হইতে সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে এবং দফা (২) এ বর্ণিত ঐ ভূ-স্বামী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের অধিকার সাপেক্ষে সব রকম দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত হইবে ।
উপধারা-(২) প্রত্যেক স্বত্বাধিকারী, রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপক যার বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত কোনো এস্টেট রায়তীস্বত্ব বা জোত বা প্রজাস্বত্বের বা কোনো এস্টেট, রায়তীস্বত্ব অথবা জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষে নিহিত স্বার্থ, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, এই আইন মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, যে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক যে সমস্ত জমি দখলে রাখার অধিকারী হয় তা সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের প্রথম দিন হতে কার্যকর এই আইনের বিধান সাপেক্ষে সরকারের অধীনে সরাসরি প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে ।
উপধারা-(৩) যে সব জমি রায়ত, অধীনস্থ রায়ত, অথবা অকৃষি প্রজা চতুর্থ অধ্যায় মোতাবেক দখলে রাখার অধিকারী তার অতিরিক্ত বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত এ রায়ত, অধীনস্থ রায়ত ও অকৃষি প্রজার স্বার্থসহ ইতঃপূর্বে এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এই রকম স্বার্থ ছাড়া অধিকৃত অতিরিক্ত সব জমির মাটির নীচে নিহিত স্বার্থ ও সেখানে নিহিত সমস্ত অধিকার সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি সালের ১লা তারিখ হইতে সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে এবং সকল প্রকার দায়দেনা মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত হইবে ।
উপধারা-(৪) উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখের অব্যবহিত পূর্বে বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত জমির অধিকারী সব রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক এবং অন্য কোনো প্রজা, যদি তারা ইতঃপূর্বে এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক সরকারের সরাসরি প্রজা না হইয়া থাকে, তবে উক্ত কৃষি বছরের ১লা তারিখ হইতে কার্যকরী সরকারের অধীনস্থ প্রজা হইবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ঐসব জমি যেগুলি (৩) দফা মোতাবেক বা এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক সরকারের উপর ন্যস্ত হয়নি এতে দখলে রাখার অধিকারী হইবে এবং ঐ অধিকৃত জমির জন্য সরকারকে খাজনা প্রদানের জন্য দায়ী থাকিবে ।
উপধারা-(৫) ৩ ধারার (৪) উপধারার (খ) দফায় বর্ণিত সব বকেয়া রাজস্ব এবং সেস করসহ সুদ যদি পাওনা থাকে বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত এস্টেট সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখে বৈধভাবে প্রাপ্য হইলে এতে ঐ কৃষি বছরের ১লা তারিখের পর বিদায়ী মালিকের নিকট আদায়যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে ও আদায়ের জন্য অন্য কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কতৃর্ক আদেশ প্রদান করা হইলে ঐ মালিককে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ বকেয়া সেস কর এবং সুদের অর্থ বাদ দিয়ে তা আদায় করা হইবে ।
উপধারা-(৬) ১৮৮২ সালের বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট আইন বা ১৯৫২ সালের পূর্ব বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ আই মোতাবেক খাজনা প্রাপকের নিকট সরকার কতৃর্ক আদায়যোগ্য সব অর্থ বা ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখে প্রাপ্য থাকে এবং যাহা ৩ ধারার (৪) উপধারার (ঘ) দফা অনুযায়ী ইতঃপূর্বে আওতাভুক্ত হয়নি ঐ অর্থ ১৮৮২ সালের বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট আইন অথবা ১৯৫২ সালের পূর্ব বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ আইন মোতাবেক বকেয়া পাওনা হিসেবে হোক অথবা ভবিষ্যতের কিস্তি হিসেবে হোক আদায়ের অপর কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কতৃর্ক আদেশ প্রদান করা হইলে আদায়যোগ্য অর্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জমির স্বার্থ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ বকেয়া পাওনা এবং ভবিষ্যতের কিস্তির অর্থ বাদ দিয়া অাদায় করা হইবে।
উপধারা-(৬ক) ১৯৪৪ সালের বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট&#

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা ৪৬। খতিয়ান মুদ্রণ ও বিতরণ-

উপধারা-(১) সকল এস্টেট, মধ্যস্বত্ব অথবা জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত জোত বা প্রজাস্বত্বে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ যেগুলি সম্বন্ধে ৪র্থ অধ্যায়ের অধীনে খতিয়ান প্রণয়ন পরিমার্জন এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে সেইগুলির সংগে সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রকাশিত হইবার পর ঐ খাজনা প্রাপকদের পর্যায়ভুক্ত সম্পূর্ণ স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটাইয়া ও যে সকল ব্যক্তি ঐ স্বার্থ অধিগ্রহণ করার ফলে প্রজা হিসাবে সরাসরি সরকারের অধীনে আসিবে তাহা প্রদর্শন করিয়া সংশোধন করা হইবে, ও জেলার রাজস্ব বিবরণী প্রকাশের পরে খতিয়ানের সহিত সম্বন্ধযুক্ত এলাকায় এক বা একাধিক সদস্যের জন্ম হইলে তাহা ঐ উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক কালেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত হইবে ।

উপধারা-(২) খতিয়ানের মুদ্রিত অনুলিপি উহার সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় প্রজাদের মধ্যে নির্ধারিত নিয়মে বিনামূল্যে বিতরণ করা হইবে ।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের অধীন অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতকরণের জন্য বিশেষ বিধানসমূহ ৫-ক অধ্যায় অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতকরণ ।

ধারা-৪৬ ( বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতকরণ )-

উপধারা-(১) ১৭ অথবা ৩১ ধারার অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করিবার পরিবর্তে সরকার গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ৩ক ও ৪ ধারার অধীন দাখিলকৃত অথবা দখলকৃত বিবরণী কাগজপত্র এবং দলিল-দস্তাবেজের উপর ভিত্তি করিয়া ৩ ধারার অধীন অধিগ্রহণকৃত খাজনা প্রাপকের সম্পত্তি ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করিবার জন্য আদেশ দিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) যখন (১) উপধারার অধীন আদেশ করা হয় তখন রাজস্ব অফিসার ঐ বিবরণী, কাগজপত্র এবং দলিল-দস্তাবেজ নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন, প্রয়োজন মাফিক সংশোধন করিবেন ও ঐ খাজনা প্রাপকের অব্যবহিত অধীনস্থ সকল প্রজার যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা ২৪, ২৫, ২৫ক, ২৬ ও ২৮ ধারায় বর্ণিত নীতি অনুসারে নির্ধারিত করিবেন ।

উপধারা-(৩) উপধারা (২) এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার পর রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত নিয়মে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করিবেন যাহাতে ঐ খাজনা প্রাপকের মোট সম্পত্তি ও প্রকৃত আয় এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে তাহার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও তদসহ নির্ধারিত অন্যান্য বিবরণ থাকিবে ।

ধারা ৪৬-খ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে প্রতিবন্ধকতা)

৪৬ ধারার অধীনে কোনো আদেশ প্রদানের পর উক্ত ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী যে ভূমির যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ করা প্রয়োজন হয় সেই ভূমির খাজনা পরিবর্তন অথবা নির্ধারণের জন্য কোনো দেওয়ানী আদালত কোনো মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করিবেন না এবং উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখে যদি কোনো মামলা অথবা দরখাস্ত কোনো দেওয়ানী আদালতে রুজু থাকে তবে উহার কার্যক্রম আর চলিবে না এবং উহা বাতিল হইবে ।

ধারা ৪৬-গ (পঞ্চম-ক অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর ক্ষেত্রে ৩৪-৩৪ ধারার বিধানসমূহ প্রয়োগ )

 এই অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী ও প্রকাশের ক্ষেত্রে-

(ক) ৩৪, ৩৮ এবং ৪০-৪৩ ধারার বিধানসমূহ যতটুকু প্রযোজ্য ততটুকু প্রয়োগ করিতে হইবে;

(খ) ৩৭ ও ৩৯ ধারার বিধানাবলী সম্পূর্ণ প্রয়োগ হইবে;

(গ) নিম্নলিখিত সংশোধনসাপেক্ষে ৩৫ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে যথা:

“(ক) বিজ্ঞপ্তি তারিখের অব্যবহিত অধীনস্থ প্রজাগণ কর্তৃক প্রদত্ত” মোট খাজনা ও সেস নিয়া ও যেক্ষেত্রে ঐ খাজনাপ্রাপক কোনো এস্টেটের মালিক বা মধ্যস্বত্বের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে ২০ ধারার অধীন ঐ এস্টেটের বা মধ্যস্বত্বের মধ্যে অধিকৃত খাস ভূমির জন্য ৫ ধারার অধীন নির্ধারিত মোট যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নিয়া ঐ খাজনাপ্রাপকের মোট আয় গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো (মধ্যস্বত্বের অধিকারী) বা রায়ত অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার ক্ষেত্রে ২৪, ২৫, ২৫ক ও ২৮ ধারায় নীতিসমূহ মোতাবেক ৪৬ (ক) ধারার (২) উপধারায় কোনো ভূমির জন্য নিধারিত খাজনাকে এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যপূরণের জন্য ঐ ভূমির জন্য ঐ রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক ঐ বত্সরের জন্য প্রদানযোগ্য খাজনা বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ”

ধারা-৪৬ঘ (৫ম-ক অধ্যায়ের অধীন অবাধ্য মালিকের প্রকৃত আয় )

৪৬ গ ধারার (গ) অনুচ্ছেদে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, অস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ব্যক্তিগত সম্পত্তির অবাধ্য মালিকের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখেরঅব্যবহিত আগের বত্সরে  উক্ত মালিককে প্রদত্ত মালিকানাকে উক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হিসাবকৃত উক্ত মালিকের প্রকৃত আয় বলিয়া গণ্য করা হইবে ।

ধারা-৪৬(ঙ) পঞ্চম-ক অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চূড়ান্ত প্রকাশনার ফলাফল-

 দ্বিতীয় অধ্যায়ে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, ৪৩ ধারার (২) উপধারার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে এই মর্মে ঘোষণা দিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে ।

উপধারা-(১) ধারা-৩ এর (৪) উপধারার ঙ অনুচ্ছেদের অধীন যে সমস্ত প্রজা সরকারের সরাসরি প্রজা হিসাবে গণ্য হয় তাহারা ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকর তাহাদের অধিকৃত ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীন নির্ধারিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদান করিবে ।

উপধারা-(২) ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখে পরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকর খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ভূমির ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তির সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ধার্যকৃত ক্ষতিপূরণের জন্য ৬ অথবা ৬ক ধারা মোতাবেক প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদানের তারিখ হইতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার কৃষি বত্সরের শেষ দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ঐ বিবরণীতে বর্ণিত স্বার্থ বা ভূমির জন্য নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অর্থের শতকরা ৩ ভাগ পরিমাণ অর্থ ঐ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে বাদ যাইবে ।

উপধারা-(৩) ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকর খাস দখলীয় সকল ভূমিতে খাজনা প্রাপকের স্বার্থ যাহা সে ২০ ধারা মোতাবেক দখলে রাখার অধিকারী নহে অথবা যাহার জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হইয়াছে যদি তাহা ৩ (২) ধারানুসারে ইতিপূর্বে অধিগৃহীত না করা হইয়া থাকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ও সম্পর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় চূড়ান্তভাবে সরকারেরর উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৪৭ রাজস্ব ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ - অত্র আইনের এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে  নিম্নলিখিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে:

(ক) স্টেট পার্চেজ কমিশনার;

(খ) ল্যাণ্ড রেকর্ডস এণ্ড সার্ভেস- এর ডাইরেক্টর;

(গ) সেটেলমেন্ট অফিসারগণ ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারগণ;

(ঘ) অন্যান্য রাজস্ব অফিসারগণ;

(ঙ) বিশেষ জজগণ ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৪৮ নিয়োগ ও ক্ষমতাসমূহ-

উপধারা-(১) স্টেট পার্চেজ- এর কমিশনার সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন ।

উপধারা-(২) স্টেট পার্চেজ- এর কমিশনার সমস্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অত্র আইন  ও অত্র আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও অর্পিত কর্তব্য সম্পাদন করিবেন । তিনি ল্যাণ্ড রেকর্ডস এণ্ড সার্ভেস-এর ডাইরেক্টর ও তাহার মাধ্যমে তাহার অধীনস্থ অপরাপর সকল অফিসারগণের উপর পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধীয় সাধারণ ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ করিবেন ।

উপধারা-(৩) ডাইরেক্টর অব ল্যাণ্ড রেকর্ড এণ্ড সার্ভে- অাইনের  অধীনে ডাইরেক্টর অত্র আইনের অধীনে অথবা ইহার অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক সেই সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করিবেন যে সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তব্য তাহাকে প্রদান করা হইবে অথবা তাহার উপর ন্যস্ত করা হইবে ।

উপধারা-(৪) জেলা জজ অথবা অধীনস্থ জজের ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়াছেন এমন এক অথবা একাধিক ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে তাঁহার বা তাহাদের কাছে দায়েরকৃত আপিলের শুনানীর উদ্দেশ্যে অথবা ৪২ ধারা অনুযায়ী প্রকাশিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত বিরোধ সমূহের তদন্ত করার জন্য অথবা ৪২ ধারার অধীন কোনো ক্ষতিপূরণ বন্টনের জন্য ৬০ ধারার অধীন প্রেরিত বিষয়সমূহের নিষ্পত্তির জন্য সরকার বিশেষ জজ নিয়োগ করিতে পারিবেন ।

 

ক্ষতি পূরণ নির্ধারণ বিবরণীর রিভিশন এবং ক্ষতিপূরণ সম্বন্ধে বিরোধসমূহের নিষ্পত্তি

ধারা-৪৯ (ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী পরিমার্জন )

কমিশনার, জেলার জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনারের পদমর্যাদার নীচে নন এমন কোনো অফিসার বা অনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেটেলমেন্ট অফিসার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করার সময় আবেদনক্রমে কোনো ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী বা উহার অংশবিশেষ এবং বিবরণীর উপর ভিত্তি করিয়া প্রস্তুতকৃত কোনো খতিয়ান অথবা খতিয়ানের কোনো অংশ পুনঃ পরীক্ষণ করার ঐরূপ নির্দেশ দিতে পারিবেন, কিন্তু ৪১ ধারার অধীনে উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের আদেশ অথবা ৫১ ধারা বা ৫২ ধারার (৪) উপধারার অধীনে বিশেষ জজের আদেশ ইহার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে এই বিষয়ে উপস্থিত হইবার ও শুনানীর জন্য ১৫ দিনের কম নয় সময়ের নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐরুপ নির্দেশ জারি করা যাইবে না ।

ধারা-৫০ ( রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ভুল সংশোধন )

৫৮ ধারার অধীনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অনুসারে রাজস্ব অফিসার যে কোনো সময় আবেদনক্রমে অথবা স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্পর্কযুক্ত এলাকার নিমিত্ত ৪র্থ অধ্যায়ের অধীনে প্রস্তুতকৃত পুনঃপরীক্ষিত এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে যে কোনো লিখনি যদি তিনি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত লিখনি প্রকৃত ভুলের প্রজার স্বার্থ উত্তরাধিকারের উপর বর্তানোর ফলে অথবা হস্তান্তরের কারণে উক্ত লিখনি শুদ্ধকরণ প্রয়োজন তবে সংশোধন করিতে পারিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরুপ লিখনির বিরুদ্ধে যদি ৫১ অথবা ৫৩-ধারার অধীন কোনো আপিল করা হইয়া থাকে বা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানির সুযোগ দিবার জন্য হাজির হইবার যথাযথ নোটিশ না দিয়া ঐরূপ শুদ্ধাকরণ করা যাইবে না ।

ধারা-৫১ ( বিশেষ জজের নিকট আপিল )

উপধারা-(১) কোনো ব্যক্তি ৪১ ধারার অধীন উধ্বর্তন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অথবা ৪৯ ধারার অধীন কমিশনার অথবা অপর অফিসারের আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ হইলে সে ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজের কাছে ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারার অধীন প্রকাশিত হওয়ার ৬০ দিনের ভিতর বা যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উহা প্রদানের ৬০ দিনের মধ্যে যাহাই পরে ঘটে, আপিল করিতে পারিবে ।

উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করিবার স্বত্ব সম্বেন্ধ অথবা ক্ষতিপূরণের অংশবিশেষের বন্টন সম্বন্ধে উদ্ভুত বিবাদের ব্যাপারটি রাজস্ব অফিসার ৬০ ধারার অধীন বিশেষ  জজের কাছে প্রেরণ করেন সেইক্ষেত্রে উক্ত বিশেষ জজ ঐ বিবাদের বিষয় অনুসন্ধান করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং তাহার সিদ্ধান্ত ৫২ ধারার শর্তসাপেক্ষে চূড়ান্ত হইবে ।

ধারা-৫২ ( বিশেষ জজ কর্তৃক হাইকোর্টে মামলার বিবরণী প্রেরণ )

উপধারা-(১) বিশেষ জজের দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোনো পক্ষ ঐ রূপ আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের ভিতর নির্ধারিত ফরমে তদসহ ৫০ টাকা ফিস প্রদান করিয়া, যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি, সরকার ছাড়া অন্য কেহ করে, দরখাস্তের মাধ্যমে বিশেষ জজকে ঐরূপ আদেশ হইতে উদ্ভুত কোনো আইনের প্রশ্ন হাইকোর্টে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানাইতে পারিবেন ও উক্ত দরখাস্ত প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে বিশেষ জজ উক্ত মোকদ্দমার বিবরণ প্রস্তুত করিয়া ইহা হাইকোর্টে প্রেরণ করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, (২) উপধারার অধীনে যদি বিশেষ জজ সরকার ছাড়া অন্য কোনো পক্ষ কতৃর্ক দরখাস্ত মোকদ্দমার বিবরণ দিতে অস্বীকার করেন তবে ঐরূপ পক্ষ মোকদ্দমার বিবরণ প্রদানের অস্বীকৃতির নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে তাহার দরখাস্ত প্রত্যাহার করিয়া নিতে পারিবে এবং যদি সে এইরূপ করে তবে তাহার প্রদত্ত ফেরত্ দেওয়া হইবে ।

উপধারা-(২) উপধারার-১ এর অধীন দরখাস্ত দাখিলের পর যদি কোনো আইনের প্রশ্ন উদ্ভুত হয় নাই এই হেতুতে উক্ত বিশেষ মামলার বিবরণ প্রদান করিতে অস্বীকার করেন, তবে দরখাস্তকারী পক্ষ প্রত্যাখ্যানের নোটিশের ৬০ দিনের ভিতর হাইকোর্টে আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং যদি হাইকোর্ট বিশেষ জজের সিদ্ধান্তের শুদ্ধতা সম্বন্ধে সন্তুষ্ট না হন তবে মামলার বিবরণ প্রস্তুত করিবার ও উহা হাইকোর্ট পাঠাইবার জন্য বিশেষ জজকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন । বিশেষ জজ ঐরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর যথাযথভাবে মোকদ্দমার বিবরণী তৈরী করিয়া উহা হাইকোর্টে প্রেরণ করিবেন ।

উপধারা-(৩) এই ধারার অধীনে প্রেরিত মোকদ্দমার বিবরণ উদ্ভুত প্রশ্ন নির্ধারণ করিবার জন্য যথেষ্ট এই মর্মে যদি হাইকোর্ট সন্তুষ্ট না হন তবে এই উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট নির্দেশিত বিষয় অন্তর্ভূক্ত অথবা পরিবর্তন করিবার জন্য পুনরায় উক্ত মোকদ্দমা নির্দেশিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত অথবা পরিবর্তন করিবার জন্য পুনরায় উক্ত মোকদ্দমা বিশেষ জজের কাছে ফেরত্ পাঠাইতে পারিবেন ।

উপধারা-(৪) উক্ত মোকদ্দমার শুনানীর পর হাইকোর্ট উদ্ভুত আইনের প্রশ্নসমূহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং যে সকল হেতুর উপর ভিত্তি করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে উহা বর্ণনা করিয়া ইহার রায় প্রদান করিবেন এবং যে সকল হেতুর উপর ভিত্তি করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে উহা বর্ণনা করিয়া ইহার রায় প্রদান করিবেন ও কোর্টের সীলমোহরকৃত এবং সীলমোহরকৃত এবং রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত উক্ত রায়ের একটি কপি বিশেষ জজের কাছে প্রেরণ করিবেন যিনি উক্ত রায়ের সহিত মিল রাখিয়া এইরূপ আদেশ দিবেন যাহা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির নিমিত্তে প্রয়োজন হয় ।

উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে হাইকোর্টে কোনো রেফারেন্স করা হয় সেইক্ষেত্রে খরচ আদালতের বিবেচনাধীন অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

ধারা-৫৩ ( বিশেষ জজের নিকট আপিল )

কোনো ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা দখলেরা স্বত্বলিপি তৈরির বেলায় আপিলের প্রেক্ষিতে ১৯ (২) ধারার অধীন রাজস্ব অফিসারের প্রদত্ত আদেশ দ্বারা বা ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা দখলের খতিয়ান সম্বন্ধীয় ৩১ (২) ধারার অধীন খতিয়ানের কোনো লিখনি দ্বারা বা ৪৬ক ধারার (২) উপধারার অধীন খতিয়ানের কোনো লিখনি দ্বারা বা ৪৬ক ধারার (২) উপধারার অধীন কোনো ভূমির ন্যায্য ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের নিমিত্তে আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ঐরূপ আদেশ  বা লিখনির বিরুদ্ধে আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারা অনুযায়ী প্রকাশের তারিখ হইতে ৩ মাসের ভিতর ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজের কাছে আপিল দায়ের করিতে পারিবে । ৫২ ধারায় ভিন্নরূপ যাহা কিছু থাকুক না কেন, উক্ত আপিলে বিশেষ জজের রায় চূড়ান্ত হইবে ।

ধারা-৫৪ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী শুদ্ধকরণ )

৪৯ ধারার অধীন কমিশনার অথবা অন্য অফিসার প্রদত্ত নির্দেশ বা ৫১, ৫৩ অথবা ৫২ ধারার (২) উপধারার অধীন বিশেষ জজ প্রদত্ত আদেশ বা কোনো ভূমির মালিকানা অথবা দখল ঘোষণা করিয়া কোনো মামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমে কোনো দেওয়ানী  আদালতের অথবা হাইকোর্টের চূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রী কার্যকর করিবার নিমিত্তে যেমন প্রয়োজন হইবে রাজস্ব অফিসার স্বত্বলিপির অথবা ক্ষতিপূরণ বিবরণী সেইরূপ পরিবর্তন করিবেন ।

ধারা-৫৫ ( বিশেষ জজের কাছে আপিল ও বিশেষ জজ কর্তৃক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির প্রয়োগ )

৫১ (১) ধারার অধীনে বিশেষ জজের কাছে দায়েরকৃত আপিলের ক্ষেত্রে বা ৫১ (২) ধারার অধীন বিশেষ জজের কাছে দায়েরকৃত আপিলের ক্ষেত্রে বা ৫১ (২) ধারার অধীন তত্কর্তৃক পরিচালিত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী যতটুকু সম্ভব প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা-৫৬ ( কতিপয় বিচার্য বিষয় উত্থাপনে বাধা )

অত্র আইনের অন্যত্র যাহা কিছু থাকুক না কেন, কোনো দেওয়ানী আদালতে অথবা হাইকোর্টে ভূমি সম্পর্কে মামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমের কোনো পক্ষ ১৯, ৪০, ৪৯, ৫১, ৫৩ অথবা ৬০ ধারার অধীন কোনো রাজস্ব অফিসার, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ, বিশেষ জজ অথবা কমিশনার অথবা অপর কোনো অফিসারের কাছে উক্ত ভূমি সম্পর্কিত কোনো ইস্যু যাহা ঐরূপ মামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমে মূলত বিচার্য বিষয় উত্থাপন করিতে পারিবে না ।

ধারা-৫৭ ( ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদানযোগ্য অর্থের সীমা ও পরিমাণ  )

উপধারা (১) এই আইনের অন্যত্র বা ৫৪ ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, কোনো খাজনাগ্রহীতা তাহার বাংলাদেশ অধিকৃত সকল এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বে নিহিত সকল খাজনা গ্রহণের স্বার্থ হইতে আগত মোট প্রকৃত আয়ের উপর ৩৭ ধারা অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে গণনাকৃত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অধিকারী হইবে না ।

উপধারা-(২) যখন কোনো খাজনাগ্রহীতা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিকারে রাখে, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা কোনো এলাকায় অবস্থিত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ৫৪ ধারাআ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অনুযায়ী প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ ৫৮ ধারা অনুযায়ী পূর্বে ঐ খাজনা গ্রহীতাকে এলাকা বা এলাকাসমূহে অবস্থিত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে (১) উপধারা অনুযায়ী অনুমোদিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হইয়াছে কিনা তাহার নিশ্চয়তা বিধান করিবেন, এবং যদি দেখা যায় অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হইয়াছে, তাহা হইলে ঐ স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য বিবরণী অনুযায়ী প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ অতিরিক্ত অর্থ কাটিয়া রাখা হইয়াছে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐ খাজনাগ্রহীতাকে এই ব্যাপারে উপস্থিত হওয়ার জন্য ও শুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐ অর্থ কাটিয়া রাখা যাইবে না ।

আরো শর্ত থাকে যে, ঐ অর্থ কাটিয়া নেওয়ার জন্য প্রদত্ত আদেশের ত্রিশ দিনের মধ্যে ঐ আদেশের বিরুদ্ধে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করা যাইবে যাহার আদেষ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারন বিবরণী অনুযায়ী প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে (২) উপধারার  অধীন কোনো অর্থ কাটিয়া রাখার পর যাহা অতিরিক্ত অর্থ থাকে তাহা ৫৮ ধারার উদ্দেশ্যে ঐ বিবরণীর শর্তসমূহ মোতাবেক ঐ স্বার্থসমূহের জন্য খাজনা প্রাপককে দেয় ক্ষতিপূরণ হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা ৫৮ ক্ষতিপূরণ প্রদানের পদ্ধতি

যেক্ষেত্রে ৫১ ধারা অথবা ৫৩ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে কোনো এন্ট্রি বা লিখনি বাদ সম্পর্কে আপিল দায়ের করার সময় অতিবাহিত হয় এবং যেক্ষেত্রে ৫১ ধারার অধীন ঐ আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ঐ আপিলের সংগে সম্পর্কযুক্ত বিশেষ জজ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ সম্পর্কে ৫২ ধারার  অধীন হাইকোর্টে রেফারেন্স করার সময় অতিবাহিত হয় এবং আপিল সম্পর্কে ৫২ ধারার অধীন সকল রেফারেন্সের নিষ্পত্তি সম্পন্ন হয় এবং ঐ রেফারেন্স হইতে উদ্ভুত ঐ ধারার (৪) উপধারার অধীন সকল আদেশ প্রদান করা হইয়াছে এবং যেক্ষেত্রে ৫৩ ধারায় দায়েরকৃত আপিলের  নিষ্পত্তি সম্পন্ন হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার স্বত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারীগণ বা অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণকে ও চাষী রায়তগণ, অধীন রায়তগণ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে শুরু করিবেন, যাদ্ধারা ৫৪ ধারা মোতাবেক চূড়ান্তভাবে সংশোধিতকৃত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ঐ বিবরণীর শর্ত মোতাবেক দোষ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে কালেক্টরের আদেশে ৩ ধারার (৪) নং উপধারার খ,গ, ঘ, ঘঘ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৪ ধারার ৫, ৬, ৬ক বা ৭অনুচেছদ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ কাটিয়া রাখার পরও ৪৪ ধারার ৮ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৬ঙ ধারার ২ অনুচ্ছেদ বা ৭৬খ ধারার অধীন নির্ধারিত অর্থ কাটিয়া রাখার পরও ১০ম অধ্যায় অনুসারে নির্ধারিত অর্থ আদায় করার পর খাজনা প্রাপক যদি এই আইনের ১০ম অধ্যায় অনুসারে তাহার ঋণ পরিশোধ করিয়া লইবার জন্য আবেদন করে, তবে ক্ষতিপূরণ বিবরণী মোতাবেক তাহাকে দেয় ক্ষতিপূরণের অর্থের শুধুমাত্র অর্ধেক অর্থ হইতে ৩ ধারার (৪) উপধারার খ, গ, ঘ বা ঘঘ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৪ ধারার ৫, ৬, ৬ক, ৭ বা ৮ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৬ঙ ধারার অনুচ্ছেদ অথবা ৭৬ক ধারার অধীন কর্তনযোগ্য অর্থ বাদ দিয়া প্রদান করা হইবে এবং ঐ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাকী অর্ধেক অর্থ প্রদান স্থগিত থাকিবে এবং ঐ ধারা মোতাবেক  যে সকল ঋণ ঐ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে আদায়যোগ্য হইবে তাহা ৭১ (৭) ধারার বিধানাবলী অনুযায়ী আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখিতে হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, পাকা বাসভবনসহ ভূমির জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক ঐ ব্যক্তিকে দেয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক ঐ ব্যক্তিকে দেয় ক্ষতিপূরণ সরকার ঐ ভূমির ও পাকা বাসভবনের খাস দখল না লওয়া পর্যন্ত প্রদান করা হইবে না ।

উপধারা-(২) দেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ নগদ অর্থ দ্বারা বা বণ্ডসমূহ দ্বারা বা আংশিক নগদ ও আংশিক বণ্ডসমূহ দ্বারা প্রদান করা হইবে। বণ্ডগুলি হস্তান্তর অযোগ্য দলিল হইবে ও উহাতে বর্ণিত ব্যক্তি বা স্বার্থের উত্তরাধীকে ৪০ কিস্তির বেশি নহে এইরূপ বার্ষিক কিস্তিতে প্রদান করা হইবে এবং উহা প্রদান করার তারিখ হইতে বার্ষিক তিন টাকা হারে সুদ প্রদান করা হইবে ।

উপধারা-(৩) যদি কোনো এষ্টেট, মধ্যস্বত্ব বা জোত বা উহার অংশ অথবা কোনো ভূমি সম্পর্কিত ঐ ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করার অধিকারী ব্যক্তির ঐ এষ্টেট, ‌মধ্যস্বত্ব, জোত বা তাহার অংশ অথবা কোনো ভূমি হস্তান্তর করার ক্ষমতা না থাকিত বা ক্ষতিপূরণ গ্রহণের মালিকানা অথবা উহার বন্টন সম্পর্কিত কোনো বিবাদ দেখা দেয় তবে রাজস্ব অফিসার ক্ষতিপূরণের অর্থ বা বণ্ডসমূহ যাহার মাধ্যমে উহা প্রদান করা হয়, জেলার কালেক্টরের নিকট জমা রাখিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বর্ণিত কোন কিছুই এই ধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণের সমস্ত বা অংশ বিশেষের অর্থ গ্রহণকারী ব্যক্তির বৈধভাবে অধিকারীর নিকট ঐ অর্থ প্রদানের দায়িত্ব ক্ষুন্ন হইবে না।

উপধারা-(৪) (২) ও (৩) উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ৩৭ ধারার ৩ দফা অথবা ৩৯ ধারার (১ক) উপধারায় উল্লেখিত বার্ষিক বৃত্তি, ওয়াকফ অথবা আল-আল-আওলাদ-এর ক্ষেত্রে ওয়াকফ্ কমিশনারের নিকট ও অন্য কোনো ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ট্রাষ্টির নিকট প্রদান করিতে হইবে ।

উপধারা-(৫) যদি (১) উপধারার অধীনে অনুমোদিত অর্থ অপেক্ষা অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় বা যদি আইনগতভাবে অধিকারী নয় ঐরূপ কোনো ব্যক্তি ক্ষতিপূরণের অর্থ গ্রহণ করে তবে কালেক্টর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে ঐ অর্থ ফেরত্‍ প্রদানের নির্দেশ দিবেন । যদি ঐ ব্যক্তি ফেরত্ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে ঐ অর্থ সরকারী দাবী বলিয়া গণ্য হইবে ও উহা সরকারী দাবী হিসাবে ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইনের ১ নং তফ্সিলের ৪ (১) অনুচ্ছেদ ঐ ব্যক্তির নিকট হইতে আদায় করা হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বর্ণিত কোনো কিছুই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অপরাধজনক দায়িত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না ।

ধারা ৫৯। হস্তান্তর করার অযোগ্য ব্যক্তির অধিকারে এস্টেটসমূহ রায়তীস্বত্বসমূহ, জোতসমূহ বা ভূমিসমূহ সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণের অর্থ তকবা বণ্ড জমা ।

উপধারা-(১) যদি ৫৮ (৩) ধারার অধীন বণ্ড অথবা নগদে প্রদত্ত  ক্ষতিপূরণের অর্থ জেলার কালেক্টরের নিকট জমা দেওয়া হয় ও কালেক্টরের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত এস্টেট মধ্যস্বত জোত অথবা উহার অংশবিশেষ অথবা কোনো ভূমি এমন ব্যক্তি কর্তৃক অধিকৃত হয় যাহার উহা হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা ছিল না তাহা হইলে কালেক্টর যেক্ষেত্রে নগদ অর্থ  জমা দেওয়া হয়, যেরুপ যথাযথ মনে করিবেন ঐরূপ সরকারী বা অন্য কোনো অনুমোদিত ঋণপত্র ক্রয় করিয়া উক্ত অর্থ বিনিয়োগ করার আদেশ প্রদান করিবেন ও বণ্ড সমূহের সুদ অথবা ঐ বিনিয়োগকৃত অর্থের সুদ বিনিয়োগ হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঐ ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গকে প্রদান করার নির্দেশ দিবেন যে বা যাহারা আপাতত ঐ এষ্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত বা উহার অংশ অথবা অন্যান্য ভূমিতে নিহিত স্বার্থ, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয়, যদি ঐ স্বার্থ ৩ ধারা অথবা ৪৪ ধারার অধীন সরকারের উপর না বর্তাইয়া থাকে ইহার অধিকারী হইয়াছেন এবং ঐ বণ্ড বা ঋণপত্র জমাকৃত অবস্থায় থাকিবে যতদিন পর্যন্ত না-

(ক) ঐগুলি চূড়ান্ডভাবে অধিকারী ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিগণের নিকট হস্হান্তর করা হয়; বা

(খ) ঐগুলি প্রদানযোগ্য হয় ।

উপধারা-(২) যদি ঐ বণ্ডসমূহ বা জামানতগুলি প্রদানযোগ্য হয় এবং হওয়ার কালে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ চূড়ান্তভাবে ঐগুলির অধিকারী না হয় তবে কালেক্টর ঐ বণ্ডসমূহ বা ঋণপত্রগুলির বিক্রয়লবদ্ধ অর্থ যেইরূপ যথাযথ মনে করিবেন এইরূপ সরকারী অথবা অন্য কোনো অনুমোদিত ঋণপত্র  ক্রয় করিয়া ঐ অর্থ বিনিয়োগ করার আদেশ প্রদান করিবেন এবং (১) উপধারার বিধানসমূহ ঐরূপ বিনিয়োগ ও বিনিয়োগের এবং বিনিয়োগ হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থের বেলায় প্রযোজ্য হইবে যেভাবে ঐগুলি ৫৮ (৩) ধারার অধীন কালেক্টরের নিকট জমাকৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ (১) উপধারা অধীন বিনিয়োগ, ঐ বিনিনয়োগের সুদ এবং বিনিয়োগ হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইব ।

উপধারা-(৩) এই ধারা মোতাবেক প্রযোজ্য সকল অর্থ, বণ্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জেলার কালেক্টর নিম্নলিখিত বিষয়সহ সকল ন্যায়সংগত চার্জ এবং আনুসঙ্গিক খরচ সরকার কর্তৃক প্রদান করার জন্য আদেশ প্রদান করিবেন, যথা :

(ক) উপরোল্লিখিত ঐ বিনিয়োগসমূহের ব্যয়; (খ) যাহার উপর ভিত্তি করিয়া সাময়িক কালের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা হইয়াছে ঋণপত্রের সুদ বা ঋণপত্রের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা বণ্ড সমূহ বা অন্যান্য সেই ঋণপত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দাবীদারগণের মধ্য সংঘটিত মামলা ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রমের অর্থ প্রদানের আদেশের জন্য ব্যয় ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে কোনো বার্ষিক বৃত্তি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫৮ ধারার (৪) উপধারায় ওয়াকফ্ কফিশনারের নিকট প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে তিনি ঐ অর্থ ক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত ঐ ওয়াকফ্ সম্পত্তি দখলের অধিকারী মুতওয়াল্লী অথবা কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট প্রদান করিবেন, এবং যেক্ষেত্রে কোনো বার্ষিক বৃত্তি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ঐ উপধারা মোতাবেক এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ট্রাষ্টি- এর নিকট প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত ঐ সময় ট্রাষ্ট সম্পত্তি দখলের অধিকারী সেবায়েত্ অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট প্রদান করিবেন, এবং এই উপধারা মোতাবেক প্রত্যেকটি বৃত্তি প্রদানের সকল খরচ সরকার কর্তৃক বহন করা হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ কমিশনার অথবা অন্য ট্রাষ্টি ঐ বৃত্তির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ অর্থ প্রদান স্থগিত রাখিতে পারিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সন্তুষ্ট না হয় যে, ৫৮ ধারার (৪) উপধারা মোতাবেক পূর্ববর্তী বত্সরের প্রদত্ত বার্ষিক বৃত্তির অর্থ যে উদ্দেশ্য প্রদান করা হইয়াছিল তাহা খরচ করা হইয়াছে ।

ধারা ৬০ ( স্বত্ব অথবা ভাগ বাটোয়ারা প্রশ্নে বিরোধ )

যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ কোনো ব্যক্তির  গ্রহণ করিবার স্বত্ব নিয়া বা ঐরূপ ক্ষতিপূরণ অথবা উহার অংশ বিশেষের বন্টন নিয়া কোনো বিরোধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজের কাছে বিবাদ সম্বন্ধে তদন্ত করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করিবেন ।

ধারা ৬০ক (কতিপয় ধারা ভবিষ্যৰ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অপ্রযোজ্য )

১৯৫৬ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা উহার পরে খাজনা গ্রহণের স্বার্থে অধিগ্রহণের বেলায় ৩ (৪) ধারার (গ) অনুচ্ছেদ, ৪৪ ধারার (৭) অনুচ্ছেদ এবং হইতে ৬৮ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না ।

ধারা ৬১ ( বকেয়ার সংজ্ঞা )

৩ ধারার (৪) উপধারার (গ) অনুচ্ছেদ বা ৪৪ ধারার ৭ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বকেয়াসমূহ বলিতে উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লেখিত তারিখে বা দিনে ক্ষেত্র বিশেষ যাহাই হউক, যে বকেয়ার বিষয়ে মোকদ্দমা বিচারাধীন আছে সেই বকেয়া অন্তর্ভুক্ত বা উল্লেখিত তারিখের পূর্বে খাজনা বা অর্থের জন্য যে সকল ডিক্রি পাওয়া গিয়াছে কিন্তু উহা বাতিল বা তামাদি বারিত হয় নাই, সেই সকল ডিক্রির দরুন অনুমোদিত খরচ উক্ত বকেয়ার অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

ধারা ৬২ ( বকেয়া পরিশোধ এবং আদায় )

উপধারা-(১) এই আইনের ৩ ধারার (৪) উপধারার (গ) অনুচ্ছেদ বা ৪৪ ধারার (৭) দফায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইয়াছে এইরুপ বকেয়া খাজনা, সকল কর ও সুদ সরকারকে প্রদান করিতে হইবে, অপর কাহাকেও নহে, এবং এই উপধারার বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো খাজনা প্রদান করা হইলে উহা বৈধ হইবে না ।

উপধারা-(২) ৬৩, ৬৪ এবং ৬৫ ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে এইরূপ সকল বকেয়া খাজনা এবং কর ও সুদ এবং ৩৪ ধারার (খ) দফায় বা ৪৪ ধারার (৫) নং দফায় উল্লেখিত সমস্ত বকেয়া রাজস্ব, কর ও সুদ আদায়ের অন্যান্য পদ্ধতির হানিকর কিছু না করিয়া রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের বিধানাবলী মোতাবেক আদায়যোগ্য হইবে ।

ধারা ৬৩ ( বিচারাধীন মোকদ্দমা এবং কার্যক্রম সম্পর্কিত বিধান )

যদি ৩ (৪) ধারার (গ) দফায় বা ৪৪ ধারার (৭) দফা অনুসারে সরকারের উপর বর্তাইয়াছে এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের জন্য কোনো খাজনা প্রাপক বা খাজনা প্রাপকগণ কোনো মামলা বা এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে কোনো ডিক্রি জারীর কার্যক্রম উক্ত তারিখে বা দিনে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয়, আদালতে রুজু থাকে তাহা হইলে খাজনা প্রাপক যদি একক ভূস্বামী হন বা এরূপ সকল অংশীদার খাজনা প্রাপকগণ যদি একটি পূর্ণ সহ-শরীক জমিদারিত্ব সৃষ্টি করে; তবে ঐরূপ মামলা অথবা কার্যক্রম আর অধিক অগ্রসর করা যাইবে না এবং উহা প্রত্যাহার করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ১৯৯৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের অধীনে দায়েরকৃত কোন সার্টিফিকেটের মত এইরূপ কোনো ডিক্রি জারী করা যাইতে পারে ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা ৬৪ ( সরকারের অধীনে প্রজাগণ কর্তৃক দখলকৃত ভূমির বকেয়া খাজনা আদায় )

উপধারা-(১) যে বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ প্রযোজ্য সেই বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য কোনো সার্টিফিকেট বা ডিক্রিভুক্ত বকেয়া এইরূপ কোনো প্রজার কোনো জোত বা ভূমি সম্পর্কিত, উক্ত সার্টিফিকেট দেনাদার বা সাব্যস্ত খাতককে গ্রেপ্তার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা বা এইরূপ বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত নয় এমন অবস্থান বা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের দ্বারা, বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত (জোত বা ভূমি) ব্যতীত, বাস্তবায়ন করা চলিবে না ।

উপধারা-(২) যদি এইরূপ বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত জোত বা ভূমি ঐরূপ সার্টিফিকেট বা ডিক্রি জারির পূর্বে অন্য কোনো ডিক্রি বা সার্টিফিকেটমূলে বিক্রি করা হয় । তবে আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনের ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও ঐরূপ বকেয়ার জন্য উক্ত জোত বা ভূমির উপর চার্জ সৃষ্টি হইবে ।

ধার ৬৫ ( সরকারের অধীন প্রজা কর্তৃক অধিকৃত জমি বকেয়া আদায়ের জন্য বিক্রয় )

যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোনো সার্টিফিকেট দেনাদার অথবা ডিক্রি সরকারের অধীনস্থ প্রজা হিসাবে সার্টিফিকেট অথবা সাব্যস্ত খাতক কর্তৃক অধিকৃত কোনো ভূমি ক্রোক এবং বিক্রীর মাধ্যমে কার্যকর করা হয় সেক্ষেত্রে ঐরূপ বিক্রয়, (যেই এলাকায় ৫ম খণ্ড প্রযোজ্য হয় ঐ এলাকার ক্ষেত্রে), ৯০ ধারার বিধানসমূহ সাপেক্ষে কার্যকর হইবে ।

ধারা ৬৫ ( সরকারের অধীনে প্রজা কর্তৃক অধিকৃত জমি বকেয়া আদায়ের জন্য বিক্রয় )

যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট দেনাদার অথবা ডিক্রি সরকারেরর অধীনস্থ প্রজা হিসাবে সার্টিফিকেট  অথবা সাব্যস্ত খাতক কর্তৃক অধিকৃত কোনো ভূমি ক্রোক এবং বিক্রীর মাধ্যমে কার্যকর করা হয় সেক্ষেত্রে ঐরূপ বিক্রয়, (যেই এলাকায় ৫ম খণ্ড প্রযোজ্য হয় ঐ এলাকার ক্ষেত্রে), ৯০ ধারার বিধানসমূহসাপেক্ষে কার্যকর হইবে ।

ধারা ৬৬ ( কিস্তি মঞ্জুর এবং জারী স্থগিত করিবার ক্ষমতা )

এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট অথবা ডিক্রিজারী করিবার জন্য সার্টিফিকেট কর্মকর্তা ঐরূপ সার্টিফেকেট অথবা ডিক্রির অর্থ আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে অনধিক তিন বত্সর সময়ের মধ্যে কিস্তিতে সার্টিফিকেট দেনাদার অথবা সাব্যস্ত খাতক কর্তৃক পরিশোধ করার নিমিত্ত আদেশ প্রদানের এবং ঐরূপ সময়ের জন্য সার্টিফিকেট অথবা ডিক্রি কার্যকর করা স্থগিত করিতে ক্ষমতাবান হইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কিস্তির পরিশোধে ব্যর্থ হইলে ঐ সমস্ত বাকী অর্থের জন্য সার্টিফিকেট বা ডিক্রিজারীতে দেওয়া হইবে ।

ধারা ৬৭ ( বিদায়ী খাজনা প্রাপকগণকে অর্থ পরিশোধ )

উপধারা-(১) ধারা ৩ এর  (৪) উপধারার (গ) দফা অথবা ৪৪ ধারার (৭) দফার সরকারের উপর বর্তাইয়াছে এমন কোনো বকেয়া খাজনা, সেস এবং সুদ যাহা উক্ত দফাসমূহে বর্ণিত তারিখে বা দিনের, যেখানে যাহা প্রয্যেজ্য হয়, অব্যবহিত আগে খাজনা প্রাপকগণের পাওনা ছিল উহার জন্য সরকার নির্ধারিত উপায়ে গণনাকৃত শতকরা পঞ্চাশ ভাগ অর্থ, সুদ ব্যতীত, ক্ষতিপূরণ হিসাবে উক্ত তারিখ বা দিন হইতে অনধিক ৪ বত্সরের মধ্যে নির্ধারিতভাবে ও নির্ধারিত কিস্তিতে উক্ত বিদায়ী খাজনা প্রাপককে পরিশোধ করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, বিদায়ী খাজনা প্রাপককে শুনানীর সুযোগ প্রদানের পর ঐরূপ খাজনা প্রাপকের কাছে সরকারের কোন ঋণ বা পাওনা থাকিলে উক্ত অর্থ প্রদানের পূর্বে সরকার উহা কাটিয়া রাখিতে পারিবেন।

উপধারা-(২) সরকার (১) উপধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে ঐ উপধারার অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে ঐরূপ বকেয়াসমূহ হইতে সরকার কর্তৃক প্রকৃতপক্ষে আদায়কৃত সর্বমোট অর্থের শতকরা ৭০ ভাগের সমপরিমাণ অর্থ নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত নিয়মে বিদায়ী খাজনা প্রাপককে প্রদান করিবেন এবং (১) উপধারার অনুবিধির বিধান এইরূপ অর্থ প্রদানের বেলায়ো প্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(৩) কালেক্টর (২) উপধারার অধীন প্রদেয় অর্থ এখতিয়ারের অধিকারী মুন্সেফের নিকট নির্ধারিত নিয়মে জমা দিবেন, কালেক্টর কর্তৃক বর্ণিত যে ব্যক্তি অর্থপ্রাপ্ত হইবেন মুন্সেফ অতঃপর উহার বিবরণসমূহ প্রকাশ করিবেন এবংঐ অর্থের বিরুদ্ধে উক্ত ব্যক্তির সহ-শরীকগণ ও উর্ধ্বতন মালিকের, যদি থাকে, নিকট হইতে দাবী আহবান করিবেন এবং তত্পর একটি রোয়েদাদ তৈরী করিবেন তত্পর যাহাদের বৈধ দাবি আছে বলিয়া তিনি দেখেন তাহাদের মধ্যে বিতরণ করিবেন ।

ধারা ৬৮ ( তামাদি মেয়াদ গণনা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই অধ্যায় মোতাবেক বকেয়া আদায়ের জন্য তামাদির মেয়াদ গণনার বেলায়, ৩ (৪) ধারার (গ) দফা অথবা ৪৪ ধারার (৭) নং দফার অধীনে সরকারের উপর বর্তানো বকেয়া পাওনাসমূহ উক্ত দফার অধীন বকেয়া পাওনাসমূহ বর্তানোর তারিখে অথবা দিনে বা তারিখ বা দিন হইতে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয়, ১০ বত্সর সময় এবং যেক্ষেত্রে ৬৩ ধারায় বর্ণিত ঐ বকেয়াসমূহ আদায়ের নিমিত্ত দায়েরকৃত কোনো মোকদ্দমা অথবা কার্যক্রম কোনো আদালত স্থগিত থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত মোকদ্দমা বা কার্যক্রম স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দেওয়া হইবে ।

ধারা ৬৮ক ( এই অধ্যায়ের প্রয়োগ )

এই অধ্যায়ের বিধানাবলী ১৯৫৬ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ এবং প্রজাস্বত্ব সংশোধনী অধ্যাদেশ বলবত্‍ হওয়ার তারিখে অথবা তারিখের পরে খাজনা প্রাপকের অধিগ্রহণের বেলায় প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা ৬৮খ ( সার্টিফিকেট কর্মকর্তার নিকট বিচারাধীন মোকদ্দমা সম্পর্কে অস্থায়ী বিধানাবলী )

উপধারা-(১) বকেয়া খাজনা আদায়ের সকল রিকুইজিশন ও নবম -ক অধ্যায়ের বিধানাবলীর অধীন সার্টিফিকেট কর্মকর্তা কর্তৃক বকেয়া খাজনা আদায়ের নিমিত্ত ডিক্রি জারী করিবার আবেদন যাহা ১৯৫৭ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (২য় সংশোধনী) অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখে সার্টিফিকেট কর্মকর্তার নিকট রুজু রহিয়াছে উহা উক্ত বলবত্‍ হওয়ার তারিখের সাথে সাথে রিকুইজিশন অথবা আবেদনের সাথে সম্পর্কযুক্ত বকেয়া খাজনা আদায়ের মামলা শুনানীর এখতিয়ারসম্পন্ন দেওয়ানী আদালতে স্থানান্তরিত হইবে ।

উপধারা-(২) উক্তরূপ স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত রিকুইজিশন অথবা আবেদনকে ১৯০৮ সালের কার্যবিধির অর্থে আরজী অথবা ডিক্রি কার্যকর  করিবার নিমিত্ত আবেদন হিসাবে গণ্য হইবে ও মোকদ্দমা অথবা আবেদন বকেয়া আদায় অথবা ডিক্রি কার্যকর করিবার নিমিত্ত আপাতত বলবত্‍ বিধানসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, যে আদালতে উক্ত রিকুইজিশন অথবা আবেদন স্থানান্তরিত হইয়াছে সেই আদালত উক্ত মামলা অথবা আবেদনের কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে উক্ত রিকুইজিশন অথবা আবেদনের নিমিত্ত সার্টিফিকেট কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত কোর্ট ফি ও উক্ত আদালতে উক্ত আরজী অথবা আবেদনের জন্য প্রদানযোগ্য কোর্ট ফির মধ্যে যে পার্থক্য রহিয়াছে সেই পরিমান অর্থ আদায় করিবেন ।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version