Faculty of Humanities and Social Science > Law

জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি

<< < (6/6)

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-১২১ (একত্রিকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনার অনুমোদন)

যখন জোতের একত্রীকরণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনসহ দাখিল করা হয় এবং উক্ত পরিকল্পনা তদসহ উক্ত পরিকল্পনায় এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের শর্ত ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা স্বীকৃত হয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা ১২০ ধারা অনুযায়ী আবেদন সম্পূর্ণরূপেবা আংশিকরূপে স্বীকার করার পর উক্ত পরিকল্পনা পরীক্ষা করিবেন এবং উক্তরূপ পরীক্ষার পর সংশোধনসহ বা ব্যতীত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করিবেন, অন্যথায় রিভিশনের জন্য ফেরত পাঠাইতে পারেন এবং রিভিশনের পর অনুমোদন করিতে পারেন :

তবে শর্ত থাকে যে, রাজস্ব কর্মকর্তা উক্ত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করিবেন না যদি জমির পুনঃ বন্টনের পরিণতিতে খাজনার বন্টনের দ্বারা পরিকল্পনার অধীনস্থ সকল জোতের মোট খাজনার পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ।

ধারা ১২২ (একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবং উপদেষ্টা পর্ষদ নিয়োগ)

উপধারা-(১) নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে, যথা :

(ক) যেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনের সংগে জোতের একত্রীকরণের কোন পরিকল্পনা দাখিল করা না হয় বা যেখানে আবেদনের সংগে ঐরূপ পরিকল্পনা দাখিল করা হয় কিন্তু এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা উহা অস্বীকৃত হয় নাই; বা -

(আ) যেখানে ঐ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী আবেদন জানানো হইয়াছে; বা

(ই) যেখানে সরকার নোটিফিকেশনের দ্বারা আদেশ প্রণয়ন করিয়া নির্দেশ দেয় যে কোনো এলাকায় জোতের একত্রীকরণ সম্পন্ন হইবে এবং উক্ত এলাকার রায়তের (১ক) উপধারা অনুযায়ী স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, রাজস্ব কর্মকর্তা ঐ সকল গ্রামে বা এলাকায়, যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, ঐ সকল আবেদনের বা প্রত্যেক রায়তের জোতের একত্রীকরণের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করিবেন এবং ঐরূপ প্রত্যেকটি পরিকল্পনা এই আইনের বিধানাবলী ও এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হইবে ।

(১ক) (১) উপধারার (ই) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নোটিফিকেশন প্রকাশিত হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা নোটিফিকেশনের সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকার রায়তদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাহা প্রয়োজন মোতাবেক বৃদ্ধি করা যাইতে পারে, জোতের একত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুতের জন্য আহবান জানাইবেন ।

উপধারা-(২) কোনো এলাকায় (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাহাকে সাহায্য করার জন্য অথবা (১ক) উপধারা অনুযায়ী কোনো এলাকায় ক্ষেত্রে জোতের একত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, উক্ত এলাকা সম্পর্কে একটি উপদেষ্টা পর্ষদকে ঐরূপ কারিগরী সহায়তা দান করিবেন ।

(২ক) যখন (১ক) উপধারা অনুযায়ী একটি স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয় তখন রাজস্ব অফিসার ১২১ ধারায় যে নিয়ম বর্ণিত আছে ঐ নিয়ম অনুযায়ী উক্ত পরিকল্পনা পরিচালনা করিবেন ।

উপধারা-(৩) (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইহার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষগণের মধ্যে সবচাইতে বেশী স্বীকৃতি সম্বলিত একত্রীকরণের প্রস্তাবকে বিবেচনায় আনিবেন এবং একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে জমির পুনঃবন্টনের ক্ষেত্রে তিনি দেখিবেন যাহাতে জোতের সর্বমোট এলাকা বা উহা হইতে উদ্ভুত সুবিধা যতটুকু সম্ভব কম পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

উপধারা-(৪) যদি (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, জমির পুনঃবন্টন তাহার জমির মূল খণ্ডের বাজার মূল্যের চাইতে রায়তের নিকট বণ্টনকৃত জমির খণ্ডের বাজার মূল্য কম আনয়ন করে তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা ঐ পরিকল্পনার মধ্যে ঐ রায়তকে ঐ রায়ত দ্বারা, যে রাজস্ব কর্মকর্তার মতানুসারে প্রথোমোক্ত রায়তের বেশী মূল্যবান জমি বন্দোবস্ত দ্বারা উপকৃত হয়, ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

উপধারা-(৫) (১) উপধারা অনুযায়ী জোত একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তা যেখানে জমি ঐ প্রকারের হয় যাহাতে বিভিন্ন এলাকায় উত্পাদিকা শক্তি এক বত্সর হইতে আর এক বত্সরে পরিবর্তিত হয় এই বিষয় যথাযথ বিবেচনার মধ্যে আনিবেন, যতটুকু সম্ভব জোতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করিবেন এবং যেখানে দাগগুলি বিভিন্ন সমতলে অবস্থান করে সেখানে জোতকে দুই বা ততোধিক ব্লকে একত্র করিতে পারেন যাহাতে প্রত্যেকটি বিভিন্ন সমতলে থাকে ।

উপধারা-(৬) ১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারা অনুযায়ী কোন এলাকায় জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা অনুমোদনের পূর্বে উক্ত এলাকায় অবস্থিত জমিতে সংযুক্ত রেহেনসহ সমস্ত দায়ের যতটুকু সম্ভব নিশ্চয়তা বিধান করিবেন এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিয়া দায়ের সুবিধা প্রাপক ব্যক্তিগণকে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে স্বার্থ সম্পর্ক ঘোষণা দিবার জন্য আহবান জানাইবেন এবং তখন যে ব্যক্তির অনুকূলে দায় সৃষ্টি করা হইয়াছে তাহার তাহার দায়িত্ব হইবে উক্ত নোটিশে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট উক্ত দায় সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করা এবং যদি উক্ত ব্যক্তি সময়ে দায় সম্পর্কে ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মূলত দায়বদ্ধ জমির অংশবিশেষ, যাহা একত্রীকরণের পর মালিকের থাকিল না, এবং এর সহিত সংযুক্ত দায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিবে ।

উপধারা-(৭) (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তা দেখিবেন যাহাতে এই পরিকল্পনার অধীনস্থ সকল জোতের মোট খাজনার জমির পুনঃবন্টনের পরিণতিতে খাজনা বন্টনের দ্বারা হ্রাসপ্রাপ্ত না হয় ।

উপধারা-(৮) যেখানে জোতের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরবর্তিত, সেখানে জোতের একত্রীকরণের জন্য কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তা একই সংগে এইভাবে খাজনা বন্ট ন করিবেন যাহাতে জোতের মালিকের উপর পরিণতি পূর্বের মত প্রত্যেক জোতের মূল্যের অনুপাতে থাকে ।

উপধারা-(৯) প্রত্যেক একত্রীকৃত জোতের একটি পৃথক খাজনা থাকিবে ।

ধারা ১২৩ (পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ এবং আপত্তি শুনানী)

উপধারা-(১) যখন জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, প্রকাশের সময় কোনো কিছু ভুক্ত হওয়া বা কোনো কিছু বাদ যাওয়া সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ করিবেন ও বিবেচনা করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী ঐ সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করিবেন ।

উপধারা-(২) যদি উক্ত সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি উত্থাপন না করা হয় অথবা যেখানে আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছে এবং উক্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করা হইয়াছে, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৩) ই, পি, অধ্যাদেশ নং ১৫/১৯৬১ এর দ্বারা বাতিল ।

ধারা-১২৪ (আপিল)-

উপধারা-(১) ১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল দায়ের করিতে পারে এবং এইরূপ আপিলে উক্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত (২) উপধারার শর্তসাপেক্ষে, চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

উপধারা-(২) উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (১) উপধারা অনুযায়ী প্রত্যেক আপিলের আদেশের বিরুদ্ধে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারের নিকট দ্বিতীয় আপিল করা যাইবে ।

ধারা-১২৫ (পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন) যখন ১২৪ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আপিল করার সময়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং যদি এইরূপ কোনো আপিল  করা হয়, যখন উক্ত ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী দ্বিতীয় আপিল করার সময়েরও পরিসমাপ্তি ঘটে এবং উক্ত ধারার (১) এবং (২) উপধারা অনুযায়ী সকল আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্ত আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্ত আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ করিয়া চূড়ান্ত আদেশ প্রদান না করা হয়, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা প্রয়োজন মোতাবেক উক্ত ধারা অনুযায়ী আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত আদেশ বলবত্‍ করার জন্য পরিকল্পনা সংশোধন করিবে এবং অতঃপর উক্ত পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করিয়া একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-১২৬ (পরিকল্পনা অনুমোদন হওয়ার পর গ্রামের স্বত্বলিপি সংশোধন এবং উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার  তারিখ)

উপধারা-(১) ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা এই অংশ অনুযায়ী রক্ষিত, পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কিত গ্রামের বা গ্রামসমূহের স্বত্বলিপি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং সকল প্রজা যাহারা উক্ত পরিকল্পনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে তাহারা বিনামূল্যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট হইতে উক্তরূপ সংশোধিত স্বত্বলিপির এক কপি পাইবে ।

উপধারা-(২) যখন ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয় তখন উহা ঐ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১২৭ (জোতের সীমানা চিহ্নিতকরণ)

জোতের একত্রীকরণ পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার সংগে সংগে পরিকল্পনার আওতাধীন জোতের চৌহদ্দি নির্ধারণ করার জন্য অথবা জোতের অন্তর্ভুক্ত সরেজমিনে জমির অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য রাজস্ব কর্মকর্তা যাহা অনুমোদন করিতে পারেন এইরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সার্ভেয়ার বা আমীন নিযুক্ত করিবেন ।

ধারা-১২৮ (একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলাফল এবং উহার অধীনস্থ রায়তদের অধিকার)

উপধারা-(১) ১২৫ ধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর উক্ত পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কযুক্ত সকল রায়তদের উপর উহা বাধ্যকর হইবে ।

উপধারা-(২) ১৯৬১ সালের ১৫ নং অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে।

উপধারা-(৩) ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক রায়ত যেদিন উক্ত পরিকল্পনা কার্যকর হইবে সেইদিন হইতে বণ্টনকৃত জোতসমূহের দখলের অধিকারী হইবে, এবং রাজস্ব কর্মকর্তার ঐ রায়ত কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ বণ্টনকৃত জোতে উক্ত রায়তকে দখল প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা করিবেন ।

উপধারা-(৪)একত্রীকরণের পূর্বে তাহার মূল জোতে যেরূপ অধিকার ছিল একজন রায়তের ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনার অধীনে তাহাকে বণ্টনকৃত একই অধিকার থাকিবে ।

ধারা-১২৯ (একত্রীকরণের  জন্য পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত জমির দায়)

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ কৃত আইনে বা কোনো চুক্তিতে অন্য বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার আওতাভুক্ত রায়তের জোত উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার তারিখের অব্যববহিত পূর্বে কোনো বন্ধক বা অন্যান্য দায়ের অধীন হয় তাহা হইলে উক্ত বন্ধক বা অন্যান্য দায় ঐ তারিখ হইতে ঐ পরিকল্পনার অধীনে ঐ রায়তের নিকট বন্টনকৃত জোতের বা পরিকল্পনার মধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত ঐ জোতের অংশবিশেষ হস্তান্তরিত বা সংযুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ইহার পর হইতে যে জমি বন্ধক বা অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছে সে জমিতে বন্ধক গ্রহীতা দায় প্রাপকের অধিকারের অবলুপ্তি ঘটিবে এবং ঐ মূল জমিতে বা উহার অংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে যেখান হইতে উক্ত বন্ধক অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছে উহার যে অধিকার ছিল তাহা বণ্টনকৃত জমি বা উহার অংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে বিদ্যমান থাকিবে ।

উপধারা-(২) ১২৮ ধারার (৩) উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, রাজস্ব কর্মকর্তা রেহেন বা দায় (১) উপধারা অনুযায়ী হস্তান্তরিত হইয়াছে এইরূপ জোত বা উহার অংশবিশেষের দখলের অধিকারী রেহেনগ্রহীতা বা অন্যান্য দায়প্রাপক কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত ঐ জোতের বা উহার অংশবিশেষ রেহেনগ্রহীতা বা দায়প্রাপককে দখল গ্রহণের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন ।

ধারা-১৩০ (হস্তান্তর কার্যকরী করার জন্য দলিলের অপ্রয়োজনীয়তা)- সাময়িকভাবে বলবত্কৃত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর কার্যকরী করিতে লিখিত দলিলের প্রয়োজন হয় না ।

ধারা-১৩১ ( একত্রীকরণের কার্যক্রম বিচারাধীন থাকাবস্থায় জোতের হস্তান্তর)

উপধারা-(১) এই অধ্যায় অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম বিচারাধীন থাকা সময়ে কোনো ব্যক্তি উক্ত কার্যক্রমের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো জমি রাজস্ব কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত হস্তান্তর করিতে পারিবে না এবং যেখানে এইরূপ অনুমতি লইয়া উক্ত জমি হস্তান্তরিত হয় সেখানে হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত কার্যক্রমে পক্ষভুক্ত হইবে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে এবং জমি হস্তান্তরকারীর স্থলে তাহাকে কায়মোকাম করা হইবে ।

উপধারা-(২) ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখে ও তারিখ হইতে কোনো সহ-শরীককে বহিষ্কার করিয়া  জোতের অংশ বিশেষ লাগাতার দখলের দ্বারা স্বত্ব অর্জন করিতে পারিবে না ।

ধারা-১৩২ (একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ আদায়)

উপধারা-(১) এই অধ্যায় অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ, একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা ২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হইবে এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালাসাপেক্ষে, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারা যাহাদের জোত প্রভাবিত হইয়াছে এইরূপ রায়তদের নিকট হইতে উদ্ধার করা হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে আবেদনকারীরা তাহাদের জোত একত্রীকরণের জন্য একটি স্বীকৃত পরিকল্পনা দাখিল করিয়াছে সেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অথবা ১২২ ধারার (১ক) উপধারা অনুযায়ী প্রস্তুত স্বীকৃত পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনো খরচ উদ্ধার করা হইবে না ।

উপধারা-(২) উপরে উল্লিখিত খরচের অংশে যাহা রায়ত প্রদান করার জন্য দায়ী, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারা প্রভাবিত রায়তের জোতের ক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা হিসাবে সরকার কর্তৃক উদ্ধারযোগ্য হইবে ।

ধারা-১৩৩ (বকেয়া সরকারী দাবী হিসাবে ক্ষতিপূরণ আদায়)

১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনার ক্ষতিপূরণ হিসাবে বর্ণিত কোন অর্থ বকেয়া সরকারী দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে ।

ধারা-১৩৪ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বাধা)

এই অধ্যায়ে বর্ণিত রায়তেদর জোতের একত্রীকরণ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে কোনো আবেদন বা মামলা কোনো দেওয়ানী আদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-১৩৪ (দিনাজপুর জেলার জন্য বিশেষ বিধান)

এই অধ্যায়ের উপরে উল্লিখিত ধারাগুলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন? জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা থানা এলাকায় কার্যকরী হইয়া থাকিলে উহা প্রথম হইতে বাতিল বলিয়া ধরিয়া লওয়া  হইবে একত্রীকরণের অব্যবহিত পূর্বে পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত জমিতে প্রজাদের বিদ্যমান অধিকার ও স্বার্থ এমন স্বাভাবিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকিবে যেন কখনই একত্রীকরণ করা হয় নাই ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-১৩৫ (খাজনার কিস্তি)

 উপধারা-(১) চুক্তি অথবা প্রতিষ্ঠিত রীতিসাপেক্ষে কোন রায়ত কর্তৃক পরিশোধনীয় খাজনা দুই সমান কিস্তিতে নির্ধারিত তারিখে দেয়, হিসাবে পরিশোধ করিতে হইব ।

উপধারা-(২) চুক্তিসাপেক্ষে অকৃষি প্রজা কর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনা বার্ষিক এক কিস্তিতে কৃষি বত্ সরটির শেষ দিনে পরিশোধ করিতে হইবে ।

ধারা-১৩৬ (খাজনা প্রদানের সময় ও স্থান)

উপধারা-(১) প্রত্যেক রায়ত প্রতি কিস্তির খাজনা প্রদান করিবে বা যাচনা করিবে ও প্রত্যেক অকৃষি প্রজা যেদিন খাজনা প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকে সেই দিন সূর্যাস্তের পূর্বে উহা প্রদান করিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো রায়ত অথবা কৃষি খাজনা প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে যে কোনো সময় ঐ বত্সরের জন্য দেয় খাজনা প্রদান বা যাচনা করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) খাজনা প্রদান বা যাচনা করা যাইবে-

(ক) গ্রাম্য তহশীল অফিসে অথবা এতদ্ উদ্দেশ্যে কালেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত সুবিধাজনক স্থানে, বা

(খ) নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডার যোগে;

উপধারা-(৩) যে ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডারযোগে খাজনা প্রেরণ করা হয় সেক্ষেত্রে বিপরীত কিছু প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত অনুমান করা হইবে যে উহা যাচনা করা হইয়াছে ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে ডাক মানি অর্ডারযোগে প্রেরিত খাজনার অর্থ গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে এই গ্রহণের ঘটনাকে ডাক মানি অর্ডার ফরমে উল্লিখিত বিবরণাদির শুদ্ধতা স্বীকারের সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা করা চলিবে না ।

উপধারা-(৫) যদি কোনো খাজনা বা উহার কোনো কিস্তির বা কিস্তির অংশ পরিশোধযোগ্য হইলে বা তত্পূর্বে প্রদান করা না হইলে উহা বকেয়া খাজনা হিসাবে গণ্য করা হইবে ।

ধারা-১৩৭ (খাজনা পরিশোধ বন্টন)

যেক্ষেত্রে একজন রায়ত বা অকৃষি রায়ত খাজনা বাবদ কোনো অর্থ প্রদান করে সেক্ষেত্রে উহা দ্বারা আপাতত বলবত্‍ আইনে তামাদি হয় নাই এমন কোনো বকেয়া, যদি থাকে, মিটানো হইবে এবং বকেয়া মিটাইবার পর কোনো অতিরিক্ত অর্থ থাকিলে বা কোনো বকেয়া না থাকিলে সম্পূর্ণ অর্থ চলতি বত্সরের খাজনার জন্য পরিশোধিত হইবে ।

ধারা-১৩৮ (খাজনা প্রদান করিলে রায়ত রসিদ পাওয়ার অধিকারী)

প্রত্যেক রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কালেক্টর কর্তৃক লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে একটি লিখিত রসিদ পাইবার অধিকারী হইবে যাহা উক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে ।

ধারা-১৩৯ (বকেয়ার দায়ে জোত বিক্রয়)

কোনো রায়তের জোত বা কোনো অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব উহার খাজনার দায়ে ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক স্বাক্ষরকৃত কোনো সার্টিফিকেট জারীমূলে বিক্রয়যোগ্য হইবে এবং খাজনাই উহার উপর প্রথম চার্জ হইবে ।

ধারা-১৪০ (বকেয়াসমূহের উপর সুদ)

কোনো খাজনা অথবা উহার কিস্তি দেয় হওয়ার তারিখ হইতে প্রদানের তারিখ পর্যন্ত বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট দায়েরের তারিখ পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটে, সময়ের নিমিত্ত ঐরূপ খাজনা অথবা কিস্তির টাকার উপর শতকরা ৬.২৫ টাকা হারে সাধারণ সুদ প্রদান করিতে হইবে ।

ধারা-১৪১ (১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক বকেয়া খাজনা আদায়)

সকল প্রকার বকেয়া খাজনা শুধুমাত্র ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের অধীনে সরকার এই বিষয়ে যে বিধি প্রণয়ন করিবেন উহার বিধানসাপেক্ষে আদায় করা যাইবে, অন্য প্রকার নহে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীনে স্বাক্ষরিত বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য উক্ত সার্টিফিকেট দায়িককে গ্রেফতার এবং তাহাকে দেওয়ানী কায়াদ আটক করিয়া কার্যকরী করা যাইবে না।

ধারা ১৪১ক (কতিপয় ক্ষেত্রে বিক্রয় বন্ধ করার জন্য আদালতে বন্ধকের দেনা হিসাবে অর্থ প্রদান)

যেক্ষেত্রে কোনো সহ-অংশীদার, প্রজার কোনো জোত বা প্রজাস্বত্বের স্বার্থ ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক স্বাক্ষরিত দেয় দাবী আদায়ের সার্টিফিকেট জারীর উদ্দেশ্যে বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপিত হয় ইহাতে তাহার স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেক্ষেত্রে বিক্রয়কে বন্ধ করার জন্য যদি সে প্রয়োজনীয় অর্থ আদালতে প্রদান করে সেক্ষেত্রে-

(ক) তদকর্তৃক প্রদত্ত অর্থ শতকরা বার্ষিক  সোয়া ৬ টাকা হারে সুদসহ দেনা হিসাবে গণ্য হইবে ও উক্ত জোত অথবা প্রজাস্বত্ব তাহার নিকট বন্ধক দ্বারা নিশ্চয়তা প্রদান করা হইবে; ও

(খ) ঐ জমি অথবা প্রজাস্বতের উপর বকেয়া খাজনার দায় ছাড়া অপর কোনো দায়ের চেয়ে তাহার বন্ধক অগ্রাধিকার পাইবে ।

(২) অত্র ধারার কোনো কিছুই উক্ত সহ-শরীকদারের অপর কোনো প্রতিকারের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না ।

ধারা-১৪২ (তামাদি)

যে বত্সরের খাজনা বকেয়া পড়ে সেই বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য তামাদি মেয়াদ সেই বত্সরের শেষ দিন হইতে তিন বত্সর কাল হইবে ।

ধারা-১৪৩ (খতিয়ান সংরক্ষণ)

কালেক্টর অত্র আইনের ৪র্থ খণ্ড অথবা এই খণ্ড অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ান নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবেন, প্রকৃত ভুল শুদ্ধ করিয়া ও উহাতে নিম্নলিখিত হেতুতে পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত করিবেন-

(ক) হস্তান্তর অথবা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে নামজারী;

(খ) জোত ক্ষুদ্রতর অংশ ভাগকরণ, একত্রীকরণ বা সংযুক্তকরণ;

(গ) সরকার কর্তৃক ক্রয় করা ভূমি অথবা জোতের নূতন বন্দোবস্ত; এবং

(ঘ) ভূমি পরিত্যাগ অথবা সিকস্তি অথবা অধিগ্রহণজনিত কারণে খাজনা মওকুফ ।

ধারা-১৪৪ (খতিয়ানসমূহ সংশোধন)

উপধারা-(১) সরকার যদি কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করেন তবে সরকার কোনো জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার স্বত্বলিপি সরকার কর্তৃক প্রণীত অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিয়া আদেশ দিতে পারেন ।

উপধারা-(২) সাধারণভাবে উপরোল্লিখিত ক্ষমতার ক্ষতিসাধন না করিয়া সরকার বিশেষভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির যে কোনটি সম্বন্ধে আদেশ দান করিতে পারেন, যথা-

(ক) যেক্ষেত্রে মোট প্রজাগণের অর্ধেকের কম নহে ঐরূপ আদেশ প্রদানের নিমিত্ত দরখাস্ত করিয়াছে;

(খ) যেক্ষেত্রে প্রজাগণের মধ্যে বিরাজমান অথবা উত্থিত হইতে পারে এমন সাংঘাতিক ধরনের বিবাদ মীমাংসার জন্য ; এবং

(গ) যেক্ষেত্রে কোনো জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার খাজনা নির্ধারণ করা পর্যায়ে আছে ।

উপধারা-(৩) (১) উপধারায় প্রদত্ত কোনো আদেশ সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত হইলে বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত আদেশ যথাযথভাবে প্রদানের চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে ১ উপধারায় কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত আদেশ মোতাবেক প্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ানে ঐ সকল বিবরণসমূহ রেকর্ড করিবেন যেইগুলি নিরূপণ করা হইবে ।

উপধারা-(৪ক) (অ) অত্র আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, রাজস্ব  অফিসার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ করিবেন। যথা :

(ক) যেক্ষেত্রে রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক অধিকৃত ভূমির খাজনা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ৯৮ (ক) ধারার অধীন নির্ধারণ করা হয় নাই অথবা ১০৭ ধারা মোতাবেক উক্ত ভূমি সম্বন্ধীয় খাজনার ব্যবস্থা করা হয় নাই, অথবা

(খ) যেক্ষেত্রে ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কোনো ভূমির খাজনা কৃষি ভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হয় ও পরবর্তীতে উক্ত ভূমি অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় বা ভাইস ভার্সা । রাজস্ব অফিসার এই ধারা মোতাবেক কোনো খাজনা নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণের বেলায় ২৬ ধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ বিবেচনা করিবেন ।

(আ) যেক্ষেত্রে কোনো জোতের অংশ অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ৯৮(ক) ধারার ৩ উপধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন ।

উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে (৪) উপধারায় উল্লেখিত বিবরণসমূহ ধারণ অথবা অন্তর্ভূক্তির জন্য খতিয়ান প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করা হয় এবং (৪ক) উপধারা মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারণ নিয়মে প্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত স্বত্বলিপির খসড়া নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রকাশ করিবেন এবং উক্ত প্রকাশের সময় কোন কিছু অন্তর্ভুক্ত হওয়া অথবা বাদ পড়া সম্বন্ধে আপত্তিসমূহ গ্রহণ ও বিবেচনা করিবেন ।

উপধারা-(৬) (৫) উপধারা মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তির উপর রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের দ্বারা ক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের পদ মর্যাদার নীচে নয় এইরূপ নির্ধারিত রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত সময়সীমার ভিতর আপিল দায়ের করিতে পারেন ।

উপধারা-(৭) যখন ঐরূপ সমস্ত আপত্তি এবং আপিলের বিবেচনা ও নিষ্পত্তি এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক সম্পন্ন হয় তখন রাজস্ব অফিসার চূড়ান্তভাবে রেকর্ড প্রণয়ন করিবেন এবং নির্ধারিত নিয়মে উহা চূড়ান্তভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং এই ধারা মোতাবেক রেকর্ড সঠিকভাবে প্রণয়ন এবং পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছে মর্মে উক্ত প্রকাশ চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৮) যেক্ষেত্রে একটি খতিয়ান (৭) উপধারায় চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে সেইক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার ল্যাণ্ড রেকর্ডস-এর ডাইরেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের ভিতর ঐ চূড়ান্ত প্রকাশ এবং উহার তারিখের বিষয় উল্লেখ করিয়া একটি সার্টিফিকেট দিবেন এবং উহাতে তাহার নাম অফিসের পদবীসহ স্বাক্ষর ও তারিখ দিবেন ।

ধারা-১৪৪-ক (স্বত্বলিপির বিশুদ্ধতার অনুমান)

১৪৪ ধারার বিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত বা পরিমার্জনকৃত প্রতিটি স্বত্বলিপির লিখন উহাতে বর্ণিত বিষয়ের এইরূপ লিখনে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং অশুদ্ধ বলিয়া সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধ বলিয়া অনুমান করিতে হইবে ।

ধারা-১৪৪-খ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১) যখন ১৪৪ ধারার (১) উপধারার বিধান অনুযায়ী কোনো এলাকার স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের বা পরিমার্জনের নির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হয়, তখন ১১১ ধারার বিধানসাপেক্ষে, কোনো দেওয়ানী আদালত খাজনা পরিবর্তনের বা কোনো প্রজাস্বত্বের বিষয়ে প্রজার মর্যাদা নির্ধারণের জন্য কোনো মামলা বা আবেদন গ্রহণ করিবেন না এবং এইরূপ আদেশের পর যদি এইরূপ এলাকার এইরূপ কোনো মামলা বা আবেদন বিচারাধীন থাকে, তাহা আর চলিবে না এবং বাতিল হইবে এবং উক্ত তারিখের পরে কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয় বা আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়া হয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফল হইবে না ।

উপধারা-(২) এই অধ্যায় অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুত ও পরিমার্জনের কোনো নির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হইলে বা এইরূপ স্বত্বলিপি বা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, প্রকাশন, স্বাক্ষরকরণ বা তসদিককরণ সম্পর্কে দেওয়ানী আদালত কোনো মামলা বা আবেদন দাখিল করা যাইবে না এবং যদি এইরূপ কোনো মামলা বা আবেদন দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন থাকে তাহা আর চলিবে না তাহা বাতিল হইবে এবং যদি এইরূপ কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয় অথবা এইরূপ আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়া হয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফল হইবে না ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-১৪৫ (স্বত্বলিপি পরিমার্জন খরচ আদায়)

উপধারা-(১) যেখানে এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো জেলা, জেলার অংশবিশেষ বা স্থানীয় এলাকায় স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, এইরূপ প্রস্তুতকরণ ও পরিমার্জনের জন্য যাহা খরচ হইবে তাহা রায়তের এবং ভূমির অন্যান্য দখলকারীদের নিকট হইতে যদি থাকে এইরূপ অংশ কিস্তিতে আদায় করা হইবে, যাহা সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্ধারণ করিতে পারেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, চতুর্দশ অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী এইরূপ রায়তের যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যেখানে ১৪৪ ধারার (২) উপধারার (গ) দফা অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের ব্যবস্থা লওয়া হইয়াছে সেখানে খরচের কোনো অংশই রায়তেদর বা দখলকারদের নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না ।

উপধারা-(২) (১) উপধারা অনুযায়ী খরচের যে অংশ যাহা কোনো ব্যক্তির দিতে হইবে তাহা উক্ত জেলা, জেলার অংশ বিশেষ বা স্থানীয় এলাকার মধ্যে অবস্থিত উক্ত ব্যক্তির জোতের বকেয়া খাজনা বা অন্য হিসাবে যাহাই হউক, সরকার আদায় করিতে পারিবেন ।

ধারা-১৪৬ (রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর তদারক ও নিয়ন্ত্রণ)

উপধারা-(১) রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর সাধারণ তদারক ও নিয়ন্ত্রণ ভূমি প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ঐ সকল কর্মকর্তা ভূমি প্রশাসন বোর্ডের অধীন থাকিবে ।

উপধারা-(২) (১) উপধারার বিধানসাপেক্ষে বিভাগীয় কমিশনার তাহার বিভাগের অন্যান্য রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

উপধারা-(৩) উপরোল্লিখিত বিধান এবং বিভাগের কমিশনারের নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে কালেক্টর তাহার জেলার অন্যান্য সকল রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

ধারা-১৪৭ (আপিল)

এই অংশ বা এই অংশের আইন অনুযায়ী প্রণীত বিধিমালাতে আপিলের বিশেষ বিধানসাপেক্ষে রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক এই অংশের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক মূল বা আপিল আদেশের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিতভাবে আপিল করা যাইবে যথা :

(ক) কালেক্টর নিকট, যখন কালেক্টরের অধীনস্থ রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(কক) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট, যখন বিভাগের মধ্যে জেলার কালেক্টর কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(খ) ১৯৭৩ সালের পি, ও ১২ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট, যখন বিভাগের কমিশনার কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় ।

ধারা-১৪৮ (আপিলের জন্য তামাদি)

১৪৭ ধারা অনুযায়ী আপিলের জন্য তামাদির সময়সীমা যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল জানানো হয় সেই আদেশের তারিখ হইতে চলিতে থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ হইবে অর্থাত্‍-

(ক) কালেক্টরের নিকট আপিল-৩০ দিন

(খ) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল-৬০ দিন

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট আপিল-৯০ দিন।

ধারা-১৪৯ (রিভিশন)

উপধারা-(১) এই অংশের আওতায় রিভিশনের বিশেষ বিধান সাপেক্ষে, কালেক্টর তাহার নিজ উদ্যোগে তাহারাই অধীনস্থ একজন রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে বা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

(১ক) একজন বিভাগীয় কমিশনার তাহার নিজ উদ্যোগে তাহার বিভাগের মধ্যকার কোনো জেলার কালেক্টর কর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে অথবা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) ১৯৭২ সালের ১২ নং পি, ও, দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩) ভূমি প্রশাসন বোর্ড উহার নিজ উদ্যোগে এই অংশের অধীনে কোনো বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে অথবা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারেন ।

উপধারা-(৪) ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় এই অংশের অধীনে সংরক্ষিত স্বত্বলিপির লিখন অথবা এই অংশের অধীনে প্রস্তুতকৃত এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত সেটেলমেন্ট রেষ্ট রোলে যথার্থ ভুল রহিয়াছে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে সংশোধনের আদেশ দিতে পারিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়া থাকিলে এই ধারার অধীনে আদেশের পরিমার্জন করা যাইবে না ।

আরও  শর্ত থাকে যে, আপিলের সংশ্লিষ্ট পক্ষবৃন্দকে বিষয়টির উপর শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া (৪) উপধারার অধীনে কোনো সংশোধনীর আদেশ দেওয়া যাইবে না ।

ধারা-১৫০ (রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক রিভিউ)

উপধারা-(৪) একজন রাজস্ব কর্মকর্তা যে কোনো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনক্রমে অথবা স্ব-উদ্যোগে তাহার নিজের প্রদত্ত অথবা তাহার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের এই অংশের অধীনে পেশকৃত যে কোনো আদেশ রিভিউ করিতে পারেন এবং এইরূপ কোনো আদেশ রিভিউ করিতে গিয়া এইরূপ আদেশকে পরিবর্তন, খণ্ডন বা বহাল রাখিতে পারেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, (ক) এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে একটি আদেশের রিভিউর জন্য আবেদন করা না হইলে অথবা যখন এইরূপ আবেদন ত্রিশ দিন অতিবাহিত হইবার পর দাখিল করা হয় তখন উক্ত সময়ের মধ্যে আবেদন না করার যথেষ্ট কারণ ছিল রাজস্ব কর্মকর্তাকে আবেদনকারী সন্তুষ্ট না করিতে পারিলে গ্রহণ করা যাইবে না;

(খ) যদি এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা হইয়া থাকে অথবা উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের আবেদন করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে আদেশ রিভিউ গ্রহণ করা যাইবে না; এবং

(গ) উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে শুনানী করার জন্য হাজির হইবার জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত রিভিউতে একটি আদেশ সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

উপধারা-(২) রিভিউ এর আবেদন নাকচ করিয়া অথবা রিভিউতে পূর্ববর্তী কোনো আদেশ বহাল রাখিয়া আদেশ দেওয়া হইলে তার বিরুদ্ধ কোনো আপিল চলিবে না ।

ধারা-১৫১ (এই আইন অনুযায়ী আপিল, রিভিশন ও রিভিউ-এর আবেদনের জন্য তামাদির সময়সীমা গণনা)

উপধারা-(১) ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের (১৯০৮ সালের ৯ নং আইন) ৬, ৭, ৮ এবং ৯ ধারা ২৯ ধারার (২) উপধারা, পঞ্চম অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা, আপিল এবং আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং এই আইনের বিধানসাপেক্ষে পূর্ববর্তী আইনের অবশিষ্ট বিধানাবলী উক্ত অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা আপিল ও আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(২) পঞ্চম অংশে বর্ণিত সকল মামলা, আপিল ও আবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে, তামাদির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়ের না হইলে ঐরূপ দায়েরকৃত মামলা আপিল ও আবেদন খারিজ হইয়া যাইবে যদিও তামাদির বিষয় ওজর করা হয় নাই ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-১৫১ক (কতিপয় জমির ক্ষেত্রে খাজনা মওকুফ)

উপধারা-(১) এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, যেখানে মালিক বা অকৃষি প্রজা এমন জমি অধিকারে রাখে যাহা প্রথমত গণপ্রার্থনা বা ধর্মীয় পূজা, গণ-কবর বা শ্নশানের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে ঐ জমির খাজনা মওকুফের জন্য সে নির্ধারিত ফরমে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানাইতে পারে ।

উপধারা-(২) এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসক যাহা যথাযথ মনে করিবেন এরূপ অনুসন্ধান করার পর নিশ্চয়তা বিধান করিবেন যে আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত ব্যবহৃত হয় কিনা ।

উপধারা-(৩) যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাহা হইলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঐ ব্যবহৃত জমির এলাকা নির্ধারণ করিবেন এবং ঐ এলাকার খাজনা মওকুফ করিয়া দিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন এবং যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে ঐ আবেদন প্রত্যাখ্যান করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৪) যদি (৩) উপধারা অনুযায়ী নির্ধারিত এলাকা জোত বা প্রজাস্বত্ব অংশবিশেষ হয়, তাহা হইলে জেলা প্রশাসক এই এলাকাকে অবশিষ্ট জোত বা প্রজাস্বত্ব হইতে পৃথক করিবেন এবং ঐ এলাকার জন্য নিষ্কর প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি করিবেন ।

উপধারা-(৫) যেখানে (৪) উপধারা অনুযায়ী পৃথক নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হয়, সেখানে জেলা প্রশাসক জোত বা প্রজাস্বত্ব যাহা হইতে নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হইয়াছে, তাহার প্রদানযোগ্য খাজনা ঐ নিষ্কর প্রজাস্বত্বের এলাকার অনুপাতে হ্রাস করিবেন ।

উপধারা-(৬) (৩) উপধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ঐ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কশিনারের নিকট আপীল করিতে পারেন।

উপধারা-(৬ক) (৬) উপধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৭) ১৯৭৩ সালের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৮) ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় স্ব-উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক এই ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ পরিমার্জিত করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৯) এই ধারা অনুযায়ী খাজনা প্রদান করা হইতে অব্যাহতির আদেশ, এইরূপ আদেশের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১খ (১৫১ ধারা মোতাবেক খাজনা মওকুফবিশিষ্ট জমির খাজনা পুনঃনির্ধারণ )

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ১৫১ক ধারা মোতাবেক যে সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিবার নিমিত্ত কোনো জমির খাজনা মওকুফ করা হইয়াছিল উহা যদি সেই সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ভূমির খাজনা পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা জেলা প্রশাসকের থাকিবে এবং একই গ্রামের বা সংলগ্ন গ্রামের অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সম্বলিত ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদেয় খাজনার হার বিবেচনা করিয়া তিনি যাহা ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত মনে করিবেন সেইরূপভাবে উহা নির্ধারণ করিবেন ।

শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উপস্থিত হওয়ার এবং উক্ত বিষয়ে শুনানীর নিমিত্ত ১৫ দিনের কম নহে নোটিশ প্রদান না করিয়া উহা পুনঃনির্ধারণ করা চলিবে না ।

উপধারা-(১) উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের ভিতর (বিভাগীয় কমিশনারের) কাছে আপিল দায়ের করিতে পারে ।

উপধারা-২ক (২) উপধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের ভিতর উক্ত আদেশ রিভিশন করার জন্য ভূমি প্রশাসন বোর্ডের কাছে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে এবং বোর্ডের আদেশ চূড়ান্ত হইবে ।

উপধারা-(৩) ১৯৭৩ সনের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধার-(৪)- ঐ পুনঃনির্ধারিত খাজনা এই ধারা মোতাবেক পুনঃনির্ধারণের তারিখের পরের কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।

ধারা-১৫১গ (কতিপয় ক্ষেত্রে কৃষি জমি সম্পর্কিত রাজস্ব মওকুফ)

এই আইনের অন্যত্র ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এবং এই অধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে, যেখানে যে কোনো পরিবার কর্তৃক বাংলাদেশে অধিকৃত মোট কৃষি জমির পরিমাণ পচিঁশ বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বৈশাখ হইতে অথবা ১৫১-ঝ ধারা অনুযায়ী উহা যে তারিখ হইতে মওকুফের  অধিকারী হইবে সেই তারিখ হইতে যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, উক্ত জমি সম্পর্কিত ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে অব্যাহিত পাইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে যে পরিবারের অধিকৃত জমির পরিমাণ পঁচিশ বিঘা অতিক্রম করিয়াছিল, সে পরিবার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হইতে ১৫১ ঘ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হস্তান্তরের কারণে মোট জমির পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়া পঁচিশ বিঘা বা তাহার কম হওয়ার ফলে ভূমি রাজস্ব  মওকুফ পাওয়ার দাবির অধিকারী হইবে না ।

আরও  শর্ত থাকে যে, এই ধারা অথবা ১৫১ঝ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব মওকুফ কোনো ব্যক্তিকে ১৯৫৮ সালের অর্থ (তৃতীয় অধ্যাদেশ)। (১৯৫৮ সালের ৮২নং ই, পি, অধ্যাদেশ) অনুযায়ী অতিরিক্ত উন্নয়ন এবং রিলিফ কর, ১৯৩০ সালের বঙ্গীয় (গ্রামাঞ্চল) প্রাথমিক শিক্ষা আইন (১৯৩০ সালের ৭ নং বঙ্গীয় আইন) অনুযায়ী সেসকর ১৯৫৯ মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের (১৯৫৯ সালের ৮ নং পি, ও,) অধীনে স্থানীয় রেটস, যাহা ভূমি রাজস্বের উপর ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠে এবং সাময়িকভাবে বলবতকৃত অন্য কোনো আইন অনুযায়ী প্রদানযোগ্য অন্য কোনো খাজনা, কর, সেস কর প্রদান করা হইতে অব্যাহতি পাইবে না ।

ধারা ১৫১ঘ (পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমির অধিকারী পরিবার প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)- ১৯৭৩ সালের ৩১শে জানুয়ারীর মধ্যে, সকল পরিবারের প্রধানগণ, যাহারা হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা যাহাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বাংলাদেশে পঁচিশ বিঘার উর্ধ্বে কৃষি জমি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে অথবা বিবরণী দাখিলের তারিখে অধিকারে রাখিত বা রাখে, তাহারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে ঐ সকল জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সকল ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো শ্রেণীর ক্ষেত্রে বা কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিবরণী দাখিলের সময়সীমা যাহা যথাযথ মনে করিবেন ততদিন বর্ধিত করিতে পারিবে ।

ধারা-১৫১ঙ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলক জমি গোপন করার জন্য শাস্তি)

কোনো পরিবারের প্রধান যে বিবেচনা সংগত কারণ ব্যতীত, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১-ঘ ধারা অনুযায়ী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তদকর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছামূলকভাবে কোনো কিছু বাদ দেয়া বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে, সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী করা হয় নাই বা বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে বিবরণী দাখিলের ব্যর্থতা বা বিবরণীতে কোনো জমি বাদ বা অসত্য ঘোষণা এমন জমি সম্পর্কে ঘটে যাহা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বা তাহার পরে ঐ পরিবারের কোনো সদস্য কর্তৃক হস্তান্তরিত হইয়াছে সেই জমি বাজেয়াপ্ত হইবে না কিন্তু তাহার পরিবর্তে ঐ পরিবারের সদস্য বা সদস্যরা যে জমি দখলে রাখিয়াছে সেই জমি হইতে সমপরিমাণ জমি বাজেয়াপ্ত করা হইবে ।

ধারা ১৫১চ (কতিপয় ক্ষেত্রে মওকুফপ্রাপ্ত জোতের পুনঃনির্ধারণের জন্য দায়)

যদি কোনো ব্যক্তি যে ১৫১গ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে নিষ্কৃতি পায় পরবর্তীকালে কোনো সময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্রয়, দান, হেবার দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে কৃষি জমি অর্জন করে যাহা তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক ইতিপূর্বে অর্জিত মোট কৃষি জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া সর্বমোট পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত হয় তাহা হইলে তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের সদস্য কর্তৃক অধিকৃত সর্বমোট কৃষিজমি নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হইবে; যথা :

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে; এবং

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ অর্জনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১ছ (কতিপয় ক্ষেত্রে অর্জিত জমির জন্য পরিবারের প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)

কোনো পরিবারের প্রধান যে অথবা যাহার পরিবারের কোনো সদস্য কৃষি জমি অর্জন করার ফলে পরিবার কর্তৃক অর্জিত কৃষিজমির মোট পরিমাণ ১৫১চ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হয় ঐ অর্জনের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে তত্কর্তৃক ও তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক সকল কৃষি জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।

ধারা-১৫১জ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলকভাবে জমি গোপন রাখার জন্য শাস্তি)

একজন পরিবারের প্রধান যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১ছ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু বাদ দেয় বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী দাখিল করা হয় নাই বা যাহা বিবরণী হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

ধারা ১৫১ঝ (জমির পরিমাণে হ্রাসপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি )

যেখানে কোনো পরিবার কর্তৃক ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৫১ঘ বা ১৫১জ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের পর উত্তরাধিকার বা প্রকৃত হস্তান্তরের কারণে পচিঁশ বিঘা বা তাহার কম হয়, সেখানে ঐ পরিবারের প্রধান নির্ধারিত ফরমে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি চাহিয়া ঐ হ্রাসপ্রাপ্তির তারিখ ও কারণ বর্ণনা করিয়া রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানাইতে পারিবে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা যথাযথ অনুসন্ধান করার পর আবেদনে বর্ণিত বিবরণী সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইয়া নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ঐ নিষ্কৃতি অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন, যথা :

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে ।

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ আবেদনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্ সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১ ঞ (পরিবার ও পরিবারের প্রধানের সংজ্ঞা)

(ক) কোনো ব্যক্তি সম্পর্কিক 'পরিবার' ঐ ব্যক্তি ও তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধু, পুত্রের পুত্র ও পুত্রের অবিবাহিতা কন্যা ।

তবে শর্ত এই যে, একজন বয়স্ক ও বিবাহিত পুত্র যে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পূর্ব হইতে বিরামহীনভাবে তাহার পিতামাতা হইতে স্বাধীনভাবে পৃথক মেসে বসবাস করিয়া আসিতেছে সেও তাহার স্ত্রী-পুত্র ও অবিবাহিতা কন্যা একটি পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।

আর ও শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবোত্তর বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি যেখানে সুবিধাভোগীদের তাহাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে ঐ সকল সম্পত্তি হস্তান্তর করার অধিকার থাকে সেইক্ষেত্রে ঐ সকল সুবিধাভোগীরা একত্রে ঐ সকল জমি সম্পর্কিত পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।

(২) ''পরিবারের প্রধান'' বলিতে বুঝায়-

(১) (ক) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ঐ পুরুষ বা মহিলা যাহার সম্পর্ক দ্বারা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত নিয়মে পরিবার নির্ধারণ করেন ।

(১) (খ) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্রে মুতওয়াল্লী, সেবায়েত বা ট্রাস্টিকে, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয় ।

ধারা-১৫২ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)- (১) সরকার পূর্বে প্রকাশ করার পর এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে কার্যকর করার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

(২) বিশেষভাবে ও উপরোক্ত ক্ষমতার সাধারণভাবে কোন হানিকর কিছু না করিয়া নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের সকল অথবা যে কোন একটির জন্য উক্ত বিধিমালায় থাকিবে, যথা :

(ক) ৮৬ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম ও ঐ উপধারায় বর্ণিত মওকুফের পরিমাণ নির্ধারণ করিবার নিয়ম;

(খ) বাতিল

(গ) ৮৯ ধারায় (১) উপধারা ক অনুচ্ছেদ এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশের ফরম ও উহাতে বর্ণিত প্রসেস ফী এর পরিমাণ;

(ঘ) ৯০ ধারার (৩) ও (৪) উপধারায় বর্ণিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ

(ঙ) ৯২ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশের ফরম ও যে নিয়মে যে সময়ের মধ্যে ঐ নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ প্রকাশের নিয়ম,

(চ) ৯৪ ধারা মোতাবেক দায় হস্তান্তর করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ভূমি নির্ধারণের নিয়ম বা উপায়;

(ছ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার ক অনুচ্ছেদে বর্ণিত খাজনার হার নির্ধারণ করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি ও প্রয়োগকৃত ক্ষমতা ও উক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার হারের টেবিলের ফরম, ঐ টেবিলের প্রস্তুতকরণের নিয়ম এবং উহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;

(জ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার বন্দোবস্তকৃত খাজনা বিবরণী-এর ফরম, উহা প্রস্তুতের নিয়ম ও উহাতে বণীর্ত বিবরণসমূহ;

(ঝ) ১০০ ধারার (২) উপধারার চ অনুচ্ছেদ এবং (৩) উপধারায় বর্ণিত খাজনার গড় হার নির্ধারণের সময়;

(ট) ১০১ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক খাজনার হারের খসড়া টেবিলের প্

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version