Career Development Centre (CDC) > Academia Lecture Series
একটি সাইকেল, একজন মোস্তফা কামাল এবং মেঘনা গ্রুপের গল্প
Noor E Alam:
সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার একটা গল্প থাকে। সেই গল্পের পাতায় পাতায় থাকে সংগ্রাম আর টিকে থাকার লড়াই। জীবনের নানা দোলাচলের মাঝে তাঁকে টপকে যেতে হয় একের পর এক বাধার সিঁড়ি। স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার সুতীব্র বাসনা তাঁকে পথ দেখায় অবিরাম। সেই পথে হাঁটতে হাঁটতে কেউ কেউ পৌঁছে যান সাফল্যের সোনালী বন্দরে। তেমনই একজন সফল ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল। তিনি দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান। মেঘনা ঘাটের পূর্ব-পশ্চিম প্রান্তজুড়ে কয়েক কিলোমিটারব্যাপী গড়ে তুলেছেন এক বিশাল শিল্প সাম্রাজ্য। প্রতিদিন চল্লিশটিরও বেশি কারখানায় ৩২টিরও বেশি পণ্য উৎপাদিত হয় এখানে। কাজ করছেন প্রায় ২১ হাজার কর্মী। একটি বাইসাইকেল কেনার সামর্থ ছিল না যাঁর, তার প্রতিষ্ঠানে এখন আড়াই হাজারের বেশি গাড়ি শুধু পণ্য আনা-নেওয়া করে। রয়েছে এক ডজন আন্তর্জাতিক জাহাজসহ ১০০টি অভ্যন্তরীণ জাহাজ। যে মোস্তফা কামাল একসময় গুলিস্তান আর পুরান ঢাকার অলিগলিতে পণ্য ফেরি করেছেন, কোনো ডিলার পাননি, কোনো এজেন্ট পাননি; সেই মোস্তফা কামালের প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য এখন হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে অনুরোধ আসে। মাত্র ১৭৫ টাকা নিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তার বার্ষিক টার্নওভার এখন দুই বিলিয়ন মাকিন ডলারেও বেশি।
Noor E Alam:
বিলিয়নিয়ার এই শিল্পসম্রাট গত ৩০ জুলাই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এসেছিলেন শিক্ষার্থীদেরকে তাঁর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শোনাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে শুনিয়েছেন সেই গল্প। মিলনায়তনে তো বটেই, মিলনয়তনের বাইরেও ছিল শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। একটিবার তাঁকে কাছ থেকে দেখা এবং তাঁর মুখ থেকে কথা শোনার এই বিরল সুযোগ তারা কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাননি। ডিআইইউ ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজ নামের ওই অনুষ্ঠানটি মূলত তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ায় উৎসাহী করতে সফল উদ্যোক্তার একক বক্তৃতার। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ব্যবসাক্ষেত্রের প্রথিতযথা ব্যবসায়ীদের জীবন, উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প ও সংগ্রামের ইতিহাস শিক্ষার্থীদের শোনাতে এ ধরনের আয়োজন গত দুই বছর ধরে করে আসছে। সেদিন গল্প শোনার ১৩তম আসর বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত কোরিয়া দূতাবাসের সেকন্ড সেক্রেটারি চো মিং ইয়ং, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক ও মোস্তফা কামালের জ্যেষ্ঠ কন্যা তাহমিনা মোস্তফা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক মো. আবু তাহের, মেঘনা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও মোস্তফা কামালের স্ত্রী বিউটি আক্তার, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক ও মোস্তফা কামালের কনিষ্ট কন্যা তানজিনা মোস্তফা, মোস্তফা কামালের জামাতা তাইফ ইউসুফ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ মো. হামিদুল হক খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি কোর্সের সমন্বয়ক সোহাগ মিয়া।
উল্লেখ্য, ইন্ড্রাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজের বক্তৃতাগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে একটি বই প্রকাশিত হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ব্যবসা, অথনীতি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। লেকচার সিরিজে আমন্ত্রিত উদ্যোক্তাদের ওপর ডিআইইউ থেকে প্রামাণ্যচিত্রও নির্মিত হবে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় আশা করছে যে, এ লোকবক্তৃতামালা নতুন প্রজন্মের সৎ, শিক্ষিত ও মেধাবী উদ্যোক্তাদেরকে সাহস, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিতে এগিয়ে যেতে পারছে না বলে যে ধারনা চালু রয়েছে, এ লোকবক্তৃতামালা সে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে অনেকখানি সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
Noor E Alam:
বরেণ্য এই শিল্পোদ্যোক্তাকে নিয়ে নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এ সময়। এর মাধ্যমে মেঘনা গ্রুপ ও মোস্তফা কামাল সম্পর্কে প্রধমিক ধারনা লাভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ধারনাকে আরও পোক্ত করতে মোস্তফা কামালের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনান ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান।আবু তাহের খান বলেন, আমাদের অধিকাংশের কাছে বৃষ্টিতে ভেজা আঠালো কাঁদামাটি মানেই এর পিচ্ছিল গাত্রে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া। কিন্তু সেই পিচ্ছিল কাঁদামাটিই কুমারের হাতে পড়ে হয়ে ওঠে সুদৃশ্য মৃৎপাত্র। নদীর বুক ও পাড় ঘেঁসে আমাদের কতোজনেরইতো নিত্য আসা-যাওয়া। কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে সেখানে সে কবে খুঁজে পেয়েছিল কুবের মাঝির জীবন? গোমতী বা মেঘনা সেতু হওয়ার বহু আগে থেকেই কুমিল্লা থেকে এ পথে কতশত মানুষের যাতায়াত কিন্তু মোস্তফা কামালের আগে কে কবে ভেবেছিলেন যে, মেঘনার এ এবড়ো থেবড়ো পাড় ঘেঁষেই গড়ে তোলো যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাড়া ফেলে দেয়ার মতো অজুত সম্ভাবনাময় নানা শিল্প-কারখানা? হ্যাঁ, ইতিহাসের সংগ্রামী মানুষ যেমন কঠিন পাথর ঘষে তার বুক চিরে খুঁজে পেয়েছে আগুনের সন্ধান, মোস্তফা কামালও তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যের নানা অচেনা পাথুরে পথঘাটকে নিরন্তর পরিশ্রম ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা দিয়ে একেবারেই অনায়াস সাধ্য করে তুলেছেন। বিদ্যালয়গামী মোস্তফা কামাল গ্রামের বাজারে চাচার সুপারির দোকানে বসে ব্যবসায়ের যে প্রথম পাঠ নিয়েছিলেন, সেটিই আজ পত্রপল্লবে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ—একুশ হাজার কর্মীর কর্ম ও কলরবে মুখর চল্লিশটিরও বেশি কারখানায় উৎপাদিত ৩২টিরও বেশি পণ্যের নিত্য সমাহার, যেখানে বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে। কোনো পরিশ্রম ছাড়াই রাতারাতি বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বুঁদ হয়ে থাকা নতুন প্রজন্মের তরুণদের জেনে রাখা ভালো, যাত্রাবাড়ির লজিংয়ে থেকে ৪ আনা দিয়ে বাসে করে গুলিস্তান এসে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মৌলভীবাজারে হাজী মোহাম্মদ হোসেনের দোকানে পৌঁছা এবং সারাদিনের কাজ শেষে একই পথে ফিরে যাওয়া। বিনিময়ে মাস শেষে সর্বসাকুল্যে ১৭৫ টাকা। এই ছিল মোস্তফা কামালের প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মজীবন। আমাদের অনেকের কাছেই তাঁর ওই বেতনের এ পরিমাণকে আপাতদৃষ্টে সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু বেতন সামান্য হলেও সেখানে কাজ করে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যে পুঁজি তিনি সংগ্রহ করেন, আজকের ২ বিলিয়ন ডলারের টার্নওভার সে পুঁজিরই ক্রমপুঞ্জিত রূপান্তর নয় কি? ব্যবসায়িক প্রস্তাব মূল্যায়নের এক অসাধারণ মেধাবী সামর্থ রাখেন মোস্তফা কামাল। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই তিনি সম্ভাব্য পণ্যের অগ্র ও পশ্চাৎ সংযোগ পণ্যগুলোর কথা ভাবেন। ভাবেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টতার স্তর নিয়েও এবং অবশ্যই পুঁজি সামর্থের বিষয়টি নিয়েও। এবং মেঘনা গ্রুপের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখতে পাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমে তিনি নিম্ন প্রযুক্তির স্বল্পপুঁজিসম্পন্ন পণ্যের কথা ভেবেছেন। কিন্তু মাথায় রেখেছেন এটিকেই উচ্চ প্রযুক্তির বড় পুঁজির ব্যবসায়ে রূপান্তরের। বস্তুত ধীরে ধীরে বড় ও বিকশিত হয়ে ওঠার এ চিন্তা তিনি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যেমনি করেছেন, তেমনি করেছেন জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও। অগ্র ও পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পের নানা আদ্যোপান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকরা যখন ঘর্মাক্ত হচ্ছেন, তারা মোস্তফা কামালের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়। তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ শোনার জন্য বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
Noor E Alam:
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দেশের সফল উদ্যোক্তাদের নানাভাবে সম্পৃক্ত রাখে। কিন্তু আমাদের এই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করছে এই সংস্কৃতি গড়ে তোলার। কারণ হিসেবে ড. মো. সবুর খান বলেন, তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আমাদের দেশের সফল উদ্যোক্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া আমাদেরই দায়িত্ব। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তারা কীভাবে উদ্যোক্তা হলেন সেই গল্প শুনলে তরুণরা অনুপ্রাণিত হবে। এই উদ্দেশ্য থেকেই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজ আয়োজন করে আসছে। ড. মো. সবুর খান আরো বলেন, ইন্ড্রাস্ট্রি যে ধরনের লোকবল চায়, সে ধরনের লোকবল আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরবরাহ করতে পারছে না। কারণ ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। এই সম্পর্ক তৈরি করতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে।
মোস্তফা কামালের জীবনকে অনুসরণ করতে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি আহ্বান জানান ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোস্তফা কামলের মেঘনা গ্রুপ যে অবদান রেখে চলেছে তা ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সততা নতুন উদ্যোক্তাদের পথ দেখাবে বলে মনে করেন তিনি।
Noor E Alam:
মোস্তফা কামাল সম্পর্কে এতকিছু শোনার পর শিক্ষার্থীরা আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে মোস্তফা কামালের মুখ থেকে কথা শোনার জন্য। তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জোগাড়। অতঃপর তিনি শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন। দৃঢ় পায়ে উঠলেন মঞ্চে। বলতে শুরু করলেন তাঁর শিল্পোদ্যোক্তা হয়ে গল্প।
শুরুতেই নিজেকে ‘কামলা’ বলে পরিচয় দিলেন মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমি একজন ‘কামলা’। কাজপাগল মানুষ। কাজ না করলে আমার ভালো লাগে না। সারাদিন কাজের মধ্যে ডুবে থাকতেই পছন্দ করি। মাত্র ১৭৫ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমেছিলাম। এখন মেঘনা গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই সফলতার পথ মোটেও মসৃন ছিল না। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দিনে ১৮ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেছি।
ত যে কাজ করেন, অবসর টবসর পান না নিশ্চয়? মোস্তফা কামাল হেঁসে বলেন, অবসর সত্যিই কম। তবু যেটুকু অবসর পাই, সেটা বই পড়েই কাটাই। বই পড়ার নেশা আমার ছোটবেলার। জেনারেল পারভেজ মোশাররফের লেখা বই ‘অন দ্যা ফায়ার’ এবং স্টিফেন মেয়ারের লেখা ‘মিডনাইট সান’ তাঁর জীবনদর্শন বদলে দিয়েছে বলে জানান মোস্তফা কামাল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে হাতের নাগালেই সব পাওয়া যায়। ঘরে বসেই অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, কেমব্রিজের বই পড়া যায়। অথচ আমাদের সময়ে ভালো বই ছিল দুর্লভ। বড় ভাইদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে পড়তে হতো। পড়ালেখার জন্য পায়ে হেঁটে যেত হতো সাত মাইল দূরের স্কুলে। এখন প্রযুক্তি তোমাদের হাতের মধ্যে অনেক সুযোগ সুবিধা এনে দিয়েছে।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version