করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কাজে আসতে পারে, এমন ওষুধ নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে বিশ্বের অনেক দেশের ছোট-বড় কোম্পানি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টি একাডেমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে বলে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ স্বীকৃতি দেওয়া না হলেও পরীক্ষামূলক ব্যবহারে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ফ্যাভিপিরাভির- এই দুইটি ওষুধ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশা দেখছেন।
বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সেসব ওষুধ তৈরি করতে শুরু করেছে। তবে সবগুলো ওষুধ এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। স্বল্পন্নোত দেশ হওয়ার কারণে ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মেধাসত্ত্ব আইন প্রযোজ্য হয় না।
বাংলাদেশের ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অব করোনাভাইরাস ডিজিজ-এ করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কয়েকটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোও এসব ওষুধ প্রস্তুত করে রাখতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যেই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পাশাপাশি ফ্যাভিপিরাভি, ওসেল্টামিভি ও ইভারমেকটিন প্রস্তুত করবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসকেএফ।
বাংলাদেশের আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মা ফ্যাভিপিরাভির তৈরি করতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে বেক্সিমকো ফার্মার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, রেমডেসিভির বাদে অন্যসবগুলো ওষুধ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। অনুমোদন পাওয়া গেলেই তারা সরবরাহ শুরু করবেন।
এছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসও এ ধরনের ওষুধ তৈরি করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক বিল্লাল আলম বলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কোম্পানিগুলো নিয়মিত উৎপাদন করছে। এছাড়া ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদন শুরু করেছে বেক্সিমকো, ইনসেপটা, বিকন ফার্মাসহ কয়েকটি কোম্পানি। তারা এর মধ্যেই বাজারজাত করার জন্য আবেদন করেছে।
http://www.dainikamadershomoy.com