Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)

(1/35) > >>

arefin:
সায়ীদ ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে তার পরিবার-পরিজনদের রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে দ্বীন রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ এবং যে তার জীবন রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৭৭২;
তিরমিযী, হাদীস : ১৪১৮

arefin:
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না।"

-সুনানে কুবরা,নাসায়ী,হাদীস নং ৯৯২৮
-- আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ,হাদীস : ৭৫৩২
--- আলমুজামুল আওসাত, তবারানী (হাদীস : ৮০৬৪)
----আততারগীব ওয়াততারহীব,মুনযিরী, হাদীস : ২৩৭৬
-----মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১২৮

arefin:
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-হে বনী হাশেম! তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। হে বনূ আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাদের রক্ষায় কিছুই করতে পারবো না।
{মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৫২২, তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-৪৯৮৪, তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩১৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৬৪৬, সুনানে নাসায়ী-হাদিস নং-৬৪৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৮৪০২}

কুরআনে এসেছে যে," কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না"। {সূরা আনআম-১৬৫}

## প্রিয় পাঠক এবার দেখুন আটরশীর পীর কী বলে-

দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা খোদা প্রাপ্তির পথে যে, যতটুকুই অগ্রসর হওনা কেন, তোমাদের ছায়ের ছুলুক যদি জীবৎকালে সম্পন্ন নাও হয়, তবুও ভয় নাই। মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পূণ্যাত্মা [হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও স্বীয় পীর] তোমাকে প্রশিক্ষণ দিবেন। মা’রেফতের তালিম দিবেন। ফলে হাশরের মাঠে সকলেই আল্লাহর অলী হইয়া উঠিবেন। এই কারণেই বলা হয় যে, এই তরীকায় যিনি দাখিল হন, তিনি আর বঞ্চিত হন না। {সাহসূফী হযরত ফরিদপূরী [মাঃ জিঃ আঃ] ছাহেবের নসিহত-৪/৯৩, প্রকাশক পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর, ৪র্থ মুদ্রণ, ৮ই এপ্রিল ১৯৯৮ ইং}

arefin:
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ভাল পথে আহবান করে, তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পুরস্কারের সমপরিমাণ পুরস্কার সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পুরস্কারের কোনো ঘাটতি হবে না। আর যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্তির দিকে আহবান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপের কোনো ঘাটতি হবে না।

-- সহীহ মুসলিম,হাদিস, ২৬৭৪

_______________________________________________________

তাই আমাদেরন উচিৎ ভালকাজে আহ্বান করা এবং খারাপ কাজে মানুষকে সহযোগিতা না করা এবং খারাপ কাজে মানুষকে উৎসাহিত না করা। আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদেরকে মানুষকে ভাল কাজে ডাকার এবং মন্দকাজে নিষেধ করার তাওফীক দান করুন। আমিন

arefin:
হযরত আবু যর (রা) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করলেন!শেষ পর্যায়ে আমি আরয করলাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে খোদা-ভীতির উপদেশ দিচ্ছি। কেননা এটা তোমার যাবতীয় কাজকে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে। আমি বললাম, আরও অধিক কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ কোরাআন তেলাওয়াত ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ তা'আলার যিকিরকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও। এটা তোমার ঊর্ধ্ব আকাশে স্মরণযোগ্য এবং পৃথিবীতে তোমার জন্য আলো হবে। আমি পুনরায় বললাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ নীরবতা দীর্ঘ কর। কেননা এটা শয়তানকে দূরে সরিয়ে দিবে এবং দীনী কাজে তোমার সহায়ক হবে। আমি আরয করলাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ অধিক হাসা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। কেননা এটা অন্তরকে মেরে ফেলে এবং চেহারার জ্যোতি বিদূরিত করে দেয়। আমি আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ ন্যায় কথা বল! যদিও তা (কারো কাছে) তিক্ত হয়। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় কাজ করতে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ তোমার মধ্যে যে দোষ-ত্রুটি তুমি জান , তা যেন তোমাকে অন্য লোকের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা থেকে তোমাকে বিরত রাখে।
-- বায়হাকী, মিশকাতঃ ৪১৫

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version