Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)

<< < (25/35) > >>

arefin:
আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) একদা জুম’আর দিন সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে দান ক’রে থাকেন।” এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।(সহীহ বুখারী – ৯৩৫,৫২৯৫,৬৪০০; সহীহ মুসলিম – ৮৫২)
আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু সালামের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ হাদীস প্রসঙ্গে জানালাম। তিনি বলেন আমি সে সময়টি জানি। আমি বললাম, তাহলে আমাকেও বলে দিন, এ ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। তিনি বললেন, এ সময়টি আসরের পর হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। আমি বললাম, তা কি করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, বান্দা নামাযরত অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। অথচ আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামায আদায় করা হয় না।আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম(রাঃ)বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কি বলেননি ‘যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তে সে নামাযের মধ্যেই থাকে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন সেটাই এ সময়। (সহীহ আত তিরমীযী – ৪৯১; ইবনু মাযাহ – ১১৩৯; মুয়াত্তা মালিক,৭ম পরিচ্ছেদ; নাসায়ী – ১৪৩৩)

arefin:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে দু’ভাগে ভাগ করেছি, আমার বান্দার জন্য সে যা চাইবে।

বান্দা যখন বলে: ﴿ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ﴾ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।

বান্দা যখন বলে: ﴿ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ﴾ “দয়াময়, পরম দয়ালু”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে।

বান্দা যখন বলে: ﴿مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ﴾ “বিচার দিবসের মালিক”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছে। (একবার বলেছেন: আমার বান্দা তাকে আমার ওপর ন্যাস্ত করেছে),

বান্দা যখন বলে: ﴿إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ﴾ “আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই”।
আল্লাহ বলেন: এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে, আর আমার বান্দার জন্য যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে:
﴿ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [الفاتحة: 1، 7]
“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়”।
আল্লাহ বলেন: এটা আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দার জন্য যা সে চাইবে”। [মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।

najim:


হাফস ইবন আসেম থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেনে, ‘ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।’ (মুসলিম : ৫)

ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
এ সব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যা যা শোনা যায় তার সব কিছু বলা নিষেধ। কারণ, প্রতিনিয়ত সত্য-মিথ্যা অনেক কিছুই শোনা যায়, অতএব যে ব্যক্তি সব কিছু বলে বেড়াবে তার দ্বারা মিথ্যা প্রচারিত হওয়াই স্বাভাবিক, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে না। আর এটাই হচ্ছে মিথ্যা, মিথ্যার জন্য ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দখল নেই। হ্যাঁ, গোনাহগার হওয়ার ইচ্ছা শর্ত।আল্লাই ভাল জানেন।’ (মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থ : ১/৭৫)

arefin:
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাকে প্রথম তিন জান্নাতীকে এবং প্রথম তিন জাহান্নামীকে দেখানো হয়েছে।

প্রথম তিন জান্নাতী হলঃ
১) শহীদ। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে।
২)ক্রীতদাস। যে দুনিয়ায় মনিবের দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ থাকা স্বত্বেও কখনো আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী থেকে বিরত থাকেনি।
৩) দুর্বল ও দরিদ্র অধিক সন্তান-সন্তুতির পিতা। যে নিজ অবস্থায় সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীল রয়েছে।

প্রথম তিন জাহান্নামী হলোঃ
১) অত্যাচারী শাসক।
২)অধিক সম্পদশালী ব্যক্তি, যে যাকাত প্রদান করে না।
৩) অহংকারী দরিদ্র ব্যক্তি, যে দারিদ্র্য ও নিঃস্বতা সত্ত্বেও অহংকার ত্যাগ করে না।

>>তিরিমিযী, মুসনাদে আহমাদ<<

jas_fluidm:
thanks sir

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version