One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)

Author Topic: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)  (Read 51369 times)

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #90 on: July 04, 2012, 12:35:31 PM »
►মধ্য শাবানের রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ

إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ – سورة الدخان:3ـ4
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়”।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।

আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر:1
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة:185
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শা‘বানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন, যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে’। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।

অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ মত প্রকাশ করেছেন। (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।

►সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলো।

আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে, এ আয়াতের তাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মতভেদ করলেও তিনি শা’বানের মধ্য তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল বারা’আত নামকরণ করেননি।

►শাবান মাসের মধ্য রজনীতে ইবাদাত সম্মন্ধে কিছু হাদিস◄

শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।

►হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত।

২. আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

►আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)।

৩. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।

►হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট।
উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা বানোয়াট, আর তাই গ্রাহ্যতারহিত।

►প্রথম হাদীসটি দুর্বল, দ্বিতীয় হাদীসটিও অধিকাংশ আলেমের মতে দুর্বল, যদিও কোন-কোন আলেম এর বর্ণনাকারীগণকে শক্তিশালী বলে মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র বর্ণনাকারী শক্তিশালী হলেই হাদীস বিশুদ্ধ হওয়া সাব্যস্ত হয়না।

►মোট কথাঃ প্রথম ও দ্বিতীয়, এ হাদীস দুটি দুর্বল। খুব দুর্বল বা বানোয়াট নয়। সে হিসেবে যৎকিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে এ রাত্রির ফযীলত রয়েছে।

►কিন্তু আমরা যদি উপরে উল্লিখিত প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীসটি পাঠ করে দেখি তাহলে দেখতে পাব —আল্লাহ তা‘আলা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানাতে থাকেন — হাদীসদ্বয়ে এ বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে। মুলত সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট এসেছে যে, “আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী, হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]

সুতরাং আমরা এ হাদীসদ্বয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং এ রাত্রির বিশেষ কোন বিশেষত্ব আমাদের নজরে পড়ছে না। এজন্যই শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) সহ আরো অনেকে এ রাত্রির অতিরিক্ত ফযীলত অস্বীকার করেছেন।

►►শা‘বানের মধ্যরাত্রির পরদিন কি রোযা রাখা যাবে?

উত্তরঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শা‘বান মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন। (এর জন্য দেখুনঃ বুখারী, হাদীস নং ১৯৬৯, ১৯৭০, মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬, ১১৬১, মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৩১, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হাদীস নং ৬৫৭)।
সে হিসাবে যদি কেউ শা‘বান মাসে রোযা রাখেন তবে তা হবে সুন্নাত। শাবান মাসের শেষ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ। তবে রোজা রাখার সময় মনে করতে হবে যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহেতু শা‘বান মাসে রোজা রেখেছিলেন তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে।

অথবা যদি কারও আইয়ামে বিদের (সকল মাসেই) নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫ এ তিনদিন রোযা রাখার নিয়ম থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র শা‘বানের পনের তারিখ রোযা রাখা বিদ‘আত হবে। কারণ শরীয়তে এ রোযার কোন ভিত্তি নেই।

আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের পরিপূর্ণ পদাঙ্ক অনুসরন করে চলার তৌফিক দিন। আমীন।
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #91 on: July 19, 2012, 12:20:36 PM »
রোয়াদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজাঃ

হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জান্নাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে শুধু রোযাদাররা প্রবেশ করবে। ঘোষণা করা হবে রোযাদাররা কোথায়? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। যখন তারা প্রবেশ করবে তখন ঐ দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না।
- সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৬।
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #92 on: August 03, 2012, 10:35:33 AM »
আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ একদিন জিবরাঈল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বসেছিলেন। সেই সময় তিনি উপর দিক থেকে দরজা খোলার একটা প্রচন্ড আওয়াজ শুনতে পেয়ে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ এটি আসমানের একটি দরজা। আজকেই এটি খোলা হলো ইতিপূর্বে আর কখনো খোলা হয়নি। আর এই দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসলেন। আজকের এই দিনের আগে আর কখনো তিনি পৃথিবীতে আসেননি। তারপর তিনি সালাম দিয়ে বললেনঃ আপনি আপনাকে দেয়া দু'টি নূর বা আলোর সু-সংবাদ প্রহণ করুন। আপনার পূর্বে আর কোন নবীকে তা দেয়া হয়নি। আর ঐ দুইটি নূর হলো ফাতিহাতুল কিতাব বা সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষাংশ। এর যে কোন হরফ আপনি পড়বেন। তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে দেয়া হবে।

 (সহীহ মুসলিম - ১৭৫৪)
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #93 on: August 05, 2012, 06:11:50 PM »
আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে ভাগ করে দিয়েছি। এবং আমার বান্দা যা চায় তা তাকে দেয়া হবে। সে যখন ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বলে, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে’।
যখন সে বলে ‘আর রাহমানির রাহীম’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে’।
যখন সে বলে ‘মালিকি ইয়াইমিদ্দীন’, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার সম্মান করেছে’।
যখন সে বলে ‘ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতায়ীন’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘এটা আমার আর আমার বান্দার ব্যাপার। আর আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা দেয়া হবে।’
যখন সে বলে, ‘ইহদিনা. …. …. ضالين’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘এটা আমার বান্দার। সে যা চায়, তাকে তা-ই দেয়া হবে।

[মুসলিম শরীফ : ৯০৪]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline najim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 154
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #94 on: September 02, 2012, 02:16:44 PM »



রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন জিনিস অধিকহারে মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে ? তিনি উত্তরে বলেন, মুখ ও লজ্জাস্থান।

[তিরমিযী, ২০০৪]

Najim U Sharker (Sharif)
Deputy Director (P&D)
Daffodil International University

Offline najim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 154
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #95 on: September 02, 2012, 02:17:45 PM »



নম্র আচরণের মর্যাদা:

প্রখাত সাহবী জারির বিন আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি:

“যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বঞ্চিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বঞ্চিত।” (সহীহ মুসলিম)
Najim U Sharker (Sharif)
Deputy Director (P&D)
Daffodil International University

Offline goodboy

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1133
  • "Find your ways, Built your inspiration."
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #96 on: September 03, 2012, 12:09:01 PM »
Righteousness is good morality:
On the authority of Al-Nawwas bin Samaan, that the prophet said:

"Righteousness is good morality, and wrongdoing is that which wavers in your soul and which you dislike people finding out about."

related by Muslim.
Md. Abul Hossain Shajib.
101-11-1375
Department of BBA, Sec:B.
25th Batch.
Daffodil International University.
Email: shajib_1375@diu.edu.bd
Admin Executive
creative.bd

Offline najim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 154
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #97 on: September 13, 2012, 12:11:10 PM »
সুবহানাল্লাহ!!

উকবা ইবন আমির (রা) বলেনঃ আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনিয়াছিঃ যাহার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাহার ব্যাপারে ধৈর্য ধারন করে (তাহাদিগকে বোঝাস্বরূপ মনে করে না) এবং তাহাদিগকে সাধ্যানুসারে ভাল (খাওয়ায়) পরায়...
, উহারা তাহার জন্য দোযখের আগুন হইতে রক্ষাকারী অন্তরাল হইবে।

বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, অনুচ্ছেদ ৪১, হাদীস ৭৬

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণীতঃ

রাসূল (সা) বলেছেনঃ যে মুসলমানের দুইটি কন্যা সন্তান হইবে এবং সে উহাদিগকে উত্তমভাবে রাখিবে, তাহারা তাকে বেহেশতে পৌছাবে।

বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, অনুচ্ছেদ ৪১, হাদীস ৭৭
Najim U Sharker (Sharif)
Deputy Director (P&D)
Daffodil International University

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #98 on: September 14, 2012, 02:34:00 PM »
হযরত উসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমার প্রতি যদি কেউ কৃতজ্ঞতার আচরণ করে তখন যদি তুমি তাকে জাযাকাল্লাহ খাইরান (আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন) বল তাহলেই তুমি তার যথাযোগ্য প্রশংসা করলে।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৪১৩}
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #99 on: September 14, 2012, 02:37:47 PM »
জুম’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওাব্ব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান।” (বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬)
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #100 on: September 16, 2012, 10:16:28 AM »
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি রাত-দিনে বারো রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে। যোহরের আগে চার রাকাত, যোহরের পর দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত।

{মিশকাত, পৃ : ১০৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৩; জামে তিরমিযী, হাদীস : ৪১৪}
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline faizun

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #101 on: September 16, 2012, 05:32:31 PM »
Sir,

thank you very much for continuing this topic.
Faizun Nesa
Senior Lecturer of Physics,
Department of Natural Science, FSIT,
Daffodil International University

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #102 on: September 25, 2012, 10:13:46 AM »
হযরত জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ল সে আল্লাহর নিরাপত্তায় চলে আসবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা যেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে তোমাদেরকে পাকড়াও না করেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা যাকে তার নিরাপত্তার কারণে পাকড়াও করবেন তাকে ধরে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-১৫২৫, সুনানে বায়হাকী, হাদিস নং-২০১৪)

# অর্থাৎ ফজর নামায ঘুম থেকে উঠে আদায় করতে হয়। সে সময় উঠাটা কষ্টকর। সেই সময় যে ব্যক্তি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ফজরের নামায আদায় করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা নিজ জিম্মায় নিয়ে নেন। সুতরাং সেই ব্যক্তিকে যদি কেউ কষ্ট দেয় তাহলে পরোক্ষভাবে আল্লাহর জিম্মায় থাকা ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়া হল। তাই সেই কষ্টদাতাকে আল্লাহ তায়ালা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (নাউজুবিল্লাহ)
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #103 on: September 25, 2012, 10:14:50 AM »
আলী (রা) থেকে বর্ণিত।
নবী (সা) বলেন, কোন মুসলমান যদি অপর কোন অসুস্থ মুসলমান ভাইকে সকাল বেলা দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোআ করতে থাকে আর কোন মুসলমান যদি অপর কোন অসুস্থ মুসলমান ভাইকে সন্ধ্যা বেলা দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য ভোর পর্যন্ত দোআ করতে থাকে। এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি করা হয়।

[সহীহ আত্‌ তিরমিযী, ৯৬৯]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline najim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 154
    • View Profile
Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
« Reply #104 on: October 09, 2012, 02:42:40 PM »

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সবাইকে বললেন,

 â€˜তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বলল, আমাদের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি যার কোন টাকা-পয়সা ও ধন-সম্পদ নেই। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যে ক্বিয়ামতের দিন ছালাত, ছিয়াম, যাকাত ইত্যাদির নেকী নিয়ে হাযির হবে। কিন্তু দেখা যাবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারু মাল আত্মসাৎ করেছে, কারু রক্ত প্রবাহিত করেছে ও কাউকে মেরেছে। তখন তার নেকীসমূহ থেকে তাদের বদলা দেওয়া হবে। এভাবে দিতে দিতে তার সব নেকী শেষ হয়ে গেলে বাকী বদলার জন্য দাবীদারদের পাপসমূহ তার উপরে চাপানো হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (এভাবেই নেকীর পাহাড় নিয়ে আসা লোকটি অবশেষে নেকীহীন নিঃস্ব ব্যক্তিতে পরিণত হবে এবং জাহান্নামে পতিত হবে)। [12]
Najim U Sharker (Sharif)
Deputy Director (P&D)
Daffodil International University