আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জীবন সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাবএইড হাসপাতালের চিফ কনসালট্যান্ট ডা. বরেন চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ যে কোনো সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সিঙ্গাপুর নেয়া হতে পারে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এ বিষয়ে ডা. বরেণ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, তার (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে। শারীরিক অবস্থা খুব ভালো নয়। তার পুরো শরীর ‘কলাপস’ করেছে। তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বিদেশে নেয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অবস্থার আরও অবনতি না হলে আজ সিঙ্গাপুর নেয়া হতে পারে। অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার তিনি ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা গেছে।
ল্যাবএইড হাসপাতালে রাত ১টার দিকে গণমাধ্যমকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হক বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন- তা সঠিক নয়। তার হার্টবিট ঠিক আছে। সকালে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন তাকে বিদেশে পাঠানো হবে কিনা চিকিৎসার জন্য।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ করেন তিনি। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন সুরঞ্জিত। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সদস্য। ষাটের দশকে রাজনীতি শুরু করা এ বর্ষীয়ান নেতা গত ৪ দশকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।