ধারা-১৫১ক (কতিপয় জমির ক্ষেত্রে খাজনা মওকুফ)
উপধারা-(১) এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, যেখানে মালিক বা অকৃষি প্রজা এমন জমি অধিকারে রাখে যাহা প্রথমত গণপ্রার্থনা বা ধর্মীয় পূজা, গণ-কবর বা শ্নশানের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে ঐ জমির খাজনা মওকুফের জন্য সে নির্ধারিত ফরমে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানাইতে পারে ।
উপধারা-(২) এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসক যাহা যথাযথ মনে করিবেন এরূপ অনুসন্ধান করার পর নিশ্চয়তা বিধান করিবেন যে আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত ব্যবহৃত হয় কিনা ।
উপধারা-(৩) যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাহা হইলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঐ ব্যবহৃত জমির এলাকা নির্ধারণ করিবেন এবং ঐ এলাকার খাজনা মওকুফ করিয়া দিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন এবং যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে ঐ আবেদন প্রত্যাখ্যান করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন ।
উপধারা-(৪) যদি (৩) উপধারা অনুযায়ী নির্ধারিত এলাকা জোত বা প্রজাস্বত্ব অংশবিশেষ হয়, তাহা হইলে জেলা প্রশাসক এই এলাকাকে অবশিষ্ট জোত বা প্রজাস্বত্ব হইতে পৃথক করিবেন এবং ঐ এলাকার জন্য নিষ্কর প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি করিবেন ।
উপধারা-(৫) যেখানে (৪) উপধারা অনুযায়ী পৃথক নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হয়, সেখানে জেলা প্রশাসক জোত বা প্রজাস্বত্ব যাহা হইতে নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হইয়াছে, তাহার প্রদানযোগ্য খাজনা ঐ নিষ্কর প্রজাস্বত্বের এলাকার অনুপাতে হ্রাস করিবেন ।
উপধারা-(৬) (৩) উপধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ঐ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কশিনারের নিকট আপীল করিতে পারেন।
উপধারা-(৬ক) (৬) উপধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করিতে পারিবে ।
উপধারা-(৭) ১৯৭৩ সালের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।
উপধারা-(৮) ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় স্ব-উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক এই ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ পরিমার্জিত করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(৯) এই ধারা অনুযায়ী খাজনা প্রদান করা হইতে অব্যাহতির আদেশ, এইরূপ আদেশের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-১৫১খ (১৫১ ধারা মোতাবেক খাজনা মওকুফবিশিষ্ট জমির খাজনা পুনঃনির্ধারণ )
উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ১৫১ক ধারা মোতাবেক যে সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিবার নিমিত্ত কোনো জমির খাজনা মওকুফ করা হইয়াছিল উহা যদি সেই সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ভূমির খাজনা পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা জেলা প্রশাসকের থাকিবে এবং একই গ্রামের বা সংলগ্ন গ্রামের অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সম্বলিত ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদেয় খাজনার হার বিবেচনা করিয়া তিনি যাহা ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত মনে করিবেন সেইরূপভাবে উহা নির্ধারণ করিবেন ।
শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উপস্থিত হওয়ার এবং উক্ত বিষয়ে শুনানীর নিমিত্ত ১৫ দিনের কম নহে নোটিশ প্রদান না করিয়া উহা পুনঃনির্ধারণ করা চলিবে না ।
উপধারা-(১) উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের ভিতর (বিভাগীয় কমিশনারের) কাছে আপিল দায়ের করিতে পারে ।
উপধারা-২ক (২) উপধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের ভিতর উক্ত আদেশ রিভিশন করার জন্য ভূমি প্রশাসন বোর্ডের কাছে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে এবং বোর্ডের আদেশ চূড়ান্ত হইবে ।
উপধারা-(৩) ১৯৭৩ সনের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।
উপধার-(৪)- ঐ পুনঃনির্ধারিত খাজনা এই ধারা মোতাবেক পুনঃনির্ধারণের তারিখের পরের কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।
ধারা-১৫১গ (কতিপয় ক্ষেত্রে কৃষি জমি সম্পর্কিত রাজস্ব মওকুফ)
এই আইনের অন্যত্র ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এবং এই অধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে, যেখানে যে কোনো পরিবার কর্তৃক বাংলাদেশে অধিকৃত মোট কৃষি জমির পরিমাণ পচিঁশ বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বৈশাখ হইতে অথবা ১৫১-ঝ ধারা অনুযায়ী উহা যে তারিখ হইতে মওকুফের অধিকারী হইবে সেই তারিখ হইতে যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, উক্ত জমি সম্পর্কিত ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে অব্যাহিত পাইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে যে পরিবারের অধিকৃত জমির পরিমাণ পঁচিশ বিঘা অতিক্রম করিয়াছিল, সে পরিবার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হইতে ১৫১ ঘ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হস্তান্তরের কারণে মোট জমির পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়া পঁচিশ বিঘা বা তাহার কম হওয়ার ফলে ভূমি রাজস্ব মওকুফ পাওয়ার দাবির অধিকারী হইবে না ।
আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারা অথবা ১৫১ঝ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব মওকুফ কোনো ব্যক্তিকে ১৯৫৮ সালের অর্থ (তৃতীয় অধ্যাদেশ)। (১৯৫৮ সালের ৮২নং ই, পি, অধ্যাদেশ) অনুযায়ী অতিরিক্ত উন্নয়ন এবং রিলিফ কর, ১৯৩০ সালের বঙ্গীয় (গ্রামাঞ্চল) প্রাথমিক শিক্ষা আইন (১৯৩০ সালের ৭ নং বঙ্গীয় আইন) অনুযায়ী সেসকর ১৯৫৯ মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের (১৯৫৯ সালের ৮ নং পি, ও,) অধীনে স্থানীয় রেটস, যাহা ভূমি রাজস্বের উপর ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠে এবং সাময়িকভাবে বলবতকৃত অন্য কোনো আইন অনুযায়ী প্রদানযোগ্য অন্য কোনো খাজনা, কর, সেস কর প্রদান করা হইতে অব্যাহতি পাইবে না ।
ধারা ১৫১ঘ (পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমির অধিকারী পরিবার প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)- ১৯৭৩ সালের ৩১শে জানুয়ারীর মধ্যে, সকল পরিবারের প্রধানগণ, যাহারা হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা যাহাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বাংলাদেশে পঁচিশ বিঘার উর্ধ্বে কৃষি জমি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে অথবা বিবরণী দাখিলের তারিখে অধিকারে রাখিত বা রাখে, তাহারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে ঐ সকল জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সকল ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো শ্রেণীর ক্ষেত্রে বা কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিবরণী দাখিলের সময়সীমা যাহা যথাযথ মনে করিবেন ততদিন বর্ধিত করিতে পারিবে ।
ধারা-১৫১ঙ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলক জমি গোপন করার জন্য শাস্তি)
কোনো পরিবারের প্রধান যে বিবেচনা সংগত কারণ ব্যতীত, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১-ঘ ধারা অনুযায়ী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তদকর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছামূলকভাবে কোনো কিছু বাদ দেয়া বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে, সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী করা হয় নাই বা বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে বিবরণী দাখিলের ব্যর্থতা বা বিবরণীতে কোনো জমি বাদ বা অসত্য ঘোষণা এমন জমি সম্পর্কে ঘটে যাহা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বা তাহার পরে ঐ পরিবারের কোনো সদস্য কর্তৃক হস্তান্তরিত হইয়াছে সেই জমি বাজেয়াপ্ত হইবে না কিন্তু তাহার পরিবর্তে ঐ পরিবারের সদস্য বা সদস্যরা যে জমি দখলে রাখিয়াছে সেই জমি হইতে সমপরিমাণ জমি বাজেয়াপ্ত করা হইবে ।
ধারা ১৫১চ (কতিপয় ক্ষেত্রে মওকুফপ্রাপ্ত জোতের পুনঃনির্ধারণের জন্য দায়)
যদি কোনো ব্যক্তি যে ১৫১গ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে নিষ্কৃতি পায় পরবর্তীকালে কোনো সময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্রয়, দান, হেবার দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে কৃষি জমি অর্জন করে যাহা তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক ইতিপূর্বে অর্জিত মোট কৃষি জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া সর্বমোট পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত হয় তাহা হইলে তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের সদস্য কর্তৃক অধিকৃত সর্বমোট কৃষিজমি নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হইবে; যথা :
(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে; এবং
(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ অর্জনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-১৫১ছ (কতিপয় ক্ষেত্রে অর্জিত জমির জন্য পরিবারের প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)
কোনো পরিবারের প্রধান যে অথবা যাহার পরিবারের কোনো সদস্য কৃষি জমি অর্জন করার ফলে পরিবার কর্তৃক অর্জিত কৃষিজমির মোট পরিমাণ ১৫১চ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হয় ঐ অর্জনের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে তত্কর্তৃক ও তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক সকল কৃষি জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।
ধারা-১৫১জ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলকভাবে জমি গোপন রাখার জন্য শাস্তি)
একজন পরিবারের প্রধান যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১ছ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু বাদ দেয় বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী দাখিল করা হয় নাই বা যাহা বিবরণী হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।
ধারা ১৫১ঝ (জমির পরিমাণে হ্রাসপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি )
যেখানে কোনো পরিবার কর্তৃক ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৫১ঘ বা ১৫১জ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের পর উত্তরাধিকার বা প্রকৃত হস্তান্তরের কারণে পচিঁশ বিঘা বা তাহার কম হয়, সেখানে ঐ পরিবারের প্রধান নির্ধারিত ফরমে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি চাহিয়া ঐ হ্রাসপ্রাপ্তির তারিখ ও কারণ বর্ণনা করিয়া রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানাইতে পারিবে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা যথাযথ অনুসন্ধান করার পর আবেদনে বর্ণিত বিবরণী সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইয়া নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ঐ নিষ্কৃতি অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন, যথা :
(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে ।
(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ আবেদনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্ সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-১৫১ ঞ (পরিবার ও পরিবারের প্রধানের সংজ্ঞা)
(ক) কোনো ব্যক্তি সম্পর্কিক 'পরিবার' ঐ ব্যক্তি ও তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধু, পুত্রের পুত্র ও পুত্রের অবিবাহিতা কন্যা ।
তবে শর্ত এই যে, একজন বয়স্ক ও বিবাহিত পুত্র যে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পূর্ব হইতে বিরামহীনভাবে তাহার পিতামাতা হইতে স্বাধীনভাবে পৃথক মেসে বসবাস করিয়া আসিতেছে সেও তাহার স্ত্রী-পুত্র ও অবিবাহিতা কন্যা একটি পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।
আর ও শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবোত্তর বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি যেখানে সুবিধাভোগীদের তাহাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে ঐ সকল সম্পত্তি হস্তান্তর করার অধিকার থাকে সেইক্ষেত্রে ঐ সকল সুবিধাভোগীরা একত্রে ঐ সকল জমি সম্পর্কিত পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।
(২) ''পরিবারের প্রধান'' বলিতে বুঝায়-
(১) (ক) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ঐ পুরুষ বা মহিলা যাহার সম্পর্ক দ্বারা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত নিয়মে পরিবার নির্ধারণ করেন ।
(১) (খ) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্রে মুতওয়াল্লী, সেবায়েত বা ট্রাস্টিকে, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয় ।
ধারা-১৫২ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)- (১) সরকার পূর্বে প্রকাশ করার পর এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে কার্যকর করার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।
(২) বিশেষভাবে ও উপরোক্ত ক্ষমতার সাধারণভাবে কোন হানিকর কিছু না করিয়া নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের সকল অথবা যে কোন একটির জন্য উক্ত বিধিমালায় থাকিবে, যথা :
(ক) ৮৬ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম ও ঐ উপধারায় বর্ণিত মওকুফের পরিমাণ নির্ধারণ করিবার নিয়ম;
(খ) বাতিল
(গ) ৮৯ ধারায় (১) উপধারা ক অনুচ্ছেদ এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশের ফরম ও উহাতে বর্ণিত প্রসেস ফী এর পরিমাণ;
(ঘ) ৯০ ধারার (৩) ও (৪) উপধারায় বর্ণিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ
(ঙ) ৯২ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশের ফরম ও যে নিয়মে যে সময়ের মধ্যে ঐ নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ প্রকাশের নিয়ম,
(চ) ৯৪ ধারা মোতাবেক দায় হস্তান্তর করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ভূমি নির্ধারণের নিয়ম বা উপায়;
(ছ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার ক অনুচ্ছেদে বর্ণিত খাজনার হার নির্ধারণ করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি ও প্রয়োগকৃত ক্ষমতা ও উক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার হারের টেবিলের ফরম, ঐ টেবিলের প্রস্তুতকরণের নিয়ম এবং উহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;
(জ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার বন্দোবস্তকৃত খাজনা বিবরণী-এর ফরম, উহা প্রস্তুতের নিয়ম ও উহাতে বণীর্ত বিবরণসমূহ;
(ঝ) ১০০ ধারার (২) উপধারার চ অনুচ্ছেদ এবং (৩) উপধারায় বর্ণিত খাজনার গড় হার নির্ধারণের সময়;
(ট) ১০১ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক খাজনার হারের খসড়া টেবিলের প্