জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি

Author Topic: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি  (Read 30111 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #15 on: October 22, 2011, 07:33:55 AM »
ধারা-৮৩ (রায়তগণের ভূমি ব্যবহার সম্পর্কে অধিকার )

কোনো রায়তের জোতের অন্তর্ভূক্ত ভূমি তাহার ইচ্ছা অনুযায়ী সে যে কোনোভাবে ভোগ-দখলে রাখার অধিকারী থাকিবে ।

ধারা-৮৪ ( কোনো রায়তের মৃত্যুতে জোতের উত্তরাধিকার বর্তন )

কোনো রায়ত যদি উত্তরাধিকারবিহীন অবস্থায় পতিত হয় তবে তাহার এই আইনের বিধানসাপেক্ষে এবং এই আইনের সংগে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপভাবে তাহার অপরাপর স্থাবর সম্পত্তি যেভাবে বর্তাইবে ইহাও সেইভাবে বর্তাইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যে উত্তরাধিকার আইন কোনো রায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই উত্তরাধিকার আইনে তাহার অপরাপর সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চলিয়া গেলে জোতে তাহার স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে ।

ধারা-৮৫ ( রায়ত উচ্ছেদের কারণ )

কোনো রায়তকে তাহার জোত বা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবা উহার অংশ বিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদ করা যাইবে না ।

ধারা-৮৬ ( সিকস্তির কারণে খাজনা হ্রাস এবং পরিবৃদ্ধির কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমিতে অধিকারের নিশ্চয়তা )

উপধারা-(১) যদি জোতের অন্তর্ভূক্ত জমি বা জমির অংশবিশেষ নদীগর্ভে সিকস্তি হইয়া যায় তাহা হইলে রাজস্ব অফিসারের নিকট প্রজা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করা হইলে আবেদন করা হইলে বা তাহাকে সংবাদ দেওয়া হইলে ঐ জোতের খাজনা বা উন্নয়ন কর কতটুকু হ্রাস করা বা মওকুফ করা হইবে যতটুকু রাজস্ব কর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথ ও ন্যায়সংগত বলিয়া বিবেচনা করিবেন এবং সিকস্তির কারণে যে ক্ষতি হইবে তাহা এই বিধি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হইবে যাহা পরবর্তীতে উক্ত ভূমি যথাস্থানে পুনঃউদ্ভব হইলে তখন উক্ত ভূমিতে স্বত্বের প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে ।

 

উপধারা-(২) সাময়িকভাবে বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অন্য কোনো কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারীর ঐ জমিতে বা জমির অংশে স্বত্ব, স্বার্থ এবং অধিকার সিকস্তির কারণে জমি অবলুপ্তির সময়ে বর্তমান থাকিবে যদি উক্ত জমি অবলুপ্তির ৩০ বছরের মধ্যে পূর্ব স্থানে পুনঃউদ্ভব হয় ।

উপধারা-(৩) অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ সম্পর্কে (২) উপধারার যাহা বলা আছে তাহা থাকা সত্ত্বেও, পুনঃউদ্ভাবিত জমিতে তাত্ক্ষনিক দখলাধিকার প্রথমে কালেক্টর নিজ উদ্যোগে বা যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল সেই প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী কর্তৃক বা অন্য কাহারো মাধ্যমে লিখিতভাবে সংবাদ পাইবার পর প্রয়োগ করিবেন ।

উপধারা-(৪) এই আইনের অন্যত্র কোনো কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও কালেক্টর অথবা রাজস্ব কর্মকর্তা এই ধরনের জমিতে দখল লইবার পর এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী দখল লওয়া সম্পর্কে জনগণকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাইবেন এবং পুনঃউদ্ভাবিত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে জরিপ করিবেন এবং ইহার ভিত্তিতে ম্যাপ প্রস্তুত করিবেন ।

উপধারা-(৫) কালেক্টর উপধারা (৪) অনুযায়ী সার্ভে জরীপ এবং ম্যাপ প্রস্তুত করিবার ৪৫ দিনের মধ্যে সিকস্তির কারণে যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছে তাহাকে অথবা যেইক্ষেত্রে তাহার উত্তরাধিকারকে এই পরিমাণ জমি বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ এইরূপ হইবে যাহা ইতিপূর্বে ঐ ব্যক্তির বা তাহার উত্তরাধিকারী কর্তৃক অধিকৃত জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া ৬০ বিঘার অতিরিক্ত না হয় এবং উক্ত প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী যদি উক্ত বন্দোবস্তের পর কোনো অতিরিক্ত ভূমি থাকে তবে তাহা সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং সরকারের কর্তৃত্বাধীনে থাকিবে ।

উপধারা-(৬) (৫) উপধারা অনুযায়ী বন্দোবস্তকৃত জমি সালামী মুক্ত হইবে কিন্তু এই শর্তসাপেক্ষে হইবে যে প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক যথাযথ ও ন্যায়সংগত বলিয়া ধার্যকৃত কর এবং ভূমি উন্নয়ন কর দিতে বাধ্য থাকিবে।

উপধারা-(৭) সরকার কর্তৃক বা কোন আইনের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা কর্তৃকপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজের ফলশ্রুতিতে কৃত্রিম বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুনঃউদ্ভব প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

ধারা-৮৬-ক (নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মামলা দায়েরে বাধা)

এই ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম যাহাতে কালেক্টর সম্পন্ন করিতে পারেন, সেই জন্য ৮৬ ধারার আওতাভুক্ত কোনো জমির ব্যাপারে কোনো মামলা, আবেদন অথবা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম ৮৬ (৪) ধারা অনুযায়ী জনগণের জ্ঞাতার্থে নোটিশ জারির পর ১২ মাসের মধ্যে দায়ের করা যাইবে না ।

ধারা-৮৭ (নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমির অধিকার )

 

উপধারা-(১)  সাময়িকভাবে বলবত্‍ কৃত অন্য কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণে যখন, কোনো জমি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, তখন ইহা সংযুক্ত জোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, কিন্তু উহা চূড়ান্তভাবে সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং উহার কর্তৃত্ব সরকারের হাতে থাকিবে ।

উপধারা-(২) উপধারা (১)-এর বিধানাবলী ঐ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সকল জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে তাহা ১৯৭২ সালের ২৮শে জুনের পূর্বে বা পরে পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত হউক না কেন, কিন্তু উহা ঐ তারিখের পূর্বে কোনো জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যদি জোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি মালিকের দখলে রাখার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (ষষ্ঠ সংশোধনী) আদেশ (পি. ও. ১৩৭/১৯৭২) শুরু হওয়ার পূর্বে বলবত্‍ কৃত আইনে স্বীকৃত বা ঘোষিত হইয়া থাকে ।

উপধারা-(৩) কোনো নদী বা সমুদ্র দুরে সরিয়া যাওয়ার কারণে জোতের সংলগ্ন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি অধিকার রাখার দাবী সম্পর্কিত সকল মামলা, আবেদন, আপিল বা অন্যান্য কার্যক্রম ঐ আদেশ কার্যকরী হওয়ার তারিখে কোনো আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট স্থগিত অবস্থায় থাকিলে তাহা আর চলিতে পারিবে না এবং তাহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং ঐ দাবী সম্পর্কিত কোনো মামলা, আবেদন বা আইনগত কার্যক্রম কোনো আদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-৮৮ রায়তের জোতজমি হস্তান্তর যোগ্যতা

অপরাপর স্থাপর সম্পত্তি যে নিয়মে এবং যতখানি হস্তান্তর করা যায় সেইভাবে রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ অত্র আইনের বিধানসাপেক্ষে হস্তান্তরযোগ্য হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, ২০ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী অধিকৃত চা বাগানের খাসজমি বা উহার অংশবিশেষ ডেপুটি কমিশনারের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ছাড়া হস্তান্তর করা যাইবে না এবং প্রস্তাবিত হস্তান্তর কোনো ভাবেই বাগানের অস্তিত্ব বিনষ্ট করিবে না অথবা অধিকৃত ভূমিতে চা চাষের ক্ষতি সাধন করিবে না ।

ধারা-৮৯ ( হস্তান্তর পদ্ধতি ) 

উপধারা-(১) উইল, ডিক্রীজারী মূলে নিলাম/বিক্রিঅথবা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট জারি ব্যতীত ঐরূপ প্রত্যেক হস্তান্তর রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে হইবে এবং রেজিষ্ট্রি অফিসার ঐরূপ কোনো দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য গ্রহণ করিবেন না, যদি না হস্তান্তরিত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য এবং যেক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য নাই সেক্ষেত্রে হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের মূল্য দলিলে উল্লেখ থাকে এবং যদি না ইহার সংগে সংযুক্ত করা হয়-

(ক) রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে পাঠাইবার জন্য নির্ধারিত প্রসেস ফি-সহ নির্ধারিত ফরমে হস্তান্তরের বিবরণসহ একটি নোটিশ; এবং

(খ) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে নোটিশসমূহের ও প্রসেস ফিসমূহের প্রয়োজন উহা ।

উপধারা-(২) ঐরূপ একটি হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের উইলের ক্ষেত্রে কোনো আদালত ̔প্রবেট̕ অথবা লেটার্স অভ এডমিনিষ্ট্রেশন মঞ্জুর করিবেন না, যে পর্যন্ত  R/F দরখাস্তকারী (১) উপধারার (ক) বর্ণিত একই রকমের নোটিশ ও একই অংকের প্রসেস ফি দাখিল করে ।

উপধারা-(৩) যে পর্যন্ত না ক্রেতা বন্ধকগ্রহীতা, সে যাহাই হউক, (১) উপধারায় বর্ণিত একই রকমের নোটিশ বা নোটিশসমূহ এবং একই অংকের প্রসেস ফি সমূহ জমা দেয় কোনো আদালত অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ডিক্রী জারীমূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট মূলে ঐরূপ কোন, হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের বিক্রয় অনুমোদন করিবেন না এবং কোন আদালত ঐরূপ কোন হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের কোনো বন্ধক সম্বন্ধে কোনো ফোরক্লোজারের চূড়ান্ত ডিক্রী বা আদেশ দিবেন না ।

উপধারা-(৪) যদি ঐরূপ একটি হোল্ডিং-এর খণ্ড অথবা অংশের হস্তান্তর এমন হয় যাহার ক্ষেত্রে ৯৬ ধারার বিধান প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে উক্ত হোল্ডিং-এর  সকল সহ-শরীক প্রজাগণের উপর জারীর জন্য এবং উহার এক কপি রেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসে অথবা আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয় ঝুলাইবার জন্য নির্ধারিত প্রসেস সমূহসহ হস্তান্তরের বিবরণাদিসহ নির্ধারিত ফরমে নোটিশসমূহে জমা দিতে হইবে ।

উপধারা-(৫) আদালত, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা রেজিষ্টারিং অফিসার, যে যেখানে প্রযোজ্য হয়, (১) উপধারার (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশ রেভিনিউ অফিসারের কাছে পাঠাইবেন এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে সহশরীক প্রজাগণের উপর জারী করিবেন এবং নোটিশের এক কপি আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে অথবা রেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসে, যেমন প্রযোজ্য হয়, ঝুলাইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নোটিশ জারী সরকার বা হোল্ডিং-এর কোনো সহশরীক প্রজা যাহাদের উপর এরূপ নোটিশ জারী হইয়াছে দ্বারা খাজনার পরিমাণ বা এইরূপ হোল্ডিং-এর পরিসীমার স্বীকৃত হিসাবে প্রয়োগ করা হইবে না । সরকার অথবা এইরূপ সহ-শরীক প্রজার হোল্ডিং-এর বিভাজন অথবা উহার জন্য দেয় খাজনা বণ্টনের ব্যক্ত সম্মতি হিসাবে নেওয়া হইবে না ।

আরও শর্ত থাকে যে, যাহাতে রাজস্ব অফিসার পক্ষ নন এমন কোনো মামলা, আপিল বা অন্যবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরবর্তী সময়ে যদি কোনো হস্তান্তর বাতিল বা সংশোধিত হয় তবে যে কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বপ্রথম যথাযথ মামলা বা কার্যক্রম রুজু করা হইয়াছিল সেই কর্তৃপক্ষ এইরূপ আদেশের কপি রাজস্ব অফিসারের কাছে প্রেরণ করিবেন ।

উপধারা-(৬) এই ধারায়-

(ক) হস্তান্তরগ্রহীতা, ক্রেতা এবং বন্ধক গ্রহীতা বলিতে তাহাদের স্বার্থের স্থলাবর্তীগণকেও বুঝাইবে; এবং

(খ) 'হস্তান্তর' বলিতে বাটোয়ারা বা, যে পর্যন্ত না একটি ডিক্রী অথবা ফোরক্লোজারে কোনো চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হয়, সরল বা খাই খালাসী বন্ধক বা শর্তসাপেক্ষে বিক্রয়ের বন্ধককে অন্তর্ভূক্ত করিবে না ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #16 on: October 22, 2011, 07:34:33 AM »
ধারা-৯০ ( জোতজমি হস্তান্তরের সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ড বলবত্‍ হওয়ার পর এই খণ্ডের বিধান ব্যতীত কোনো ব্যক্তিবিশেষ এই পরিমাণ ভূমি ক্রয় করিতে বা অন্য কোনোভাবে অর্জন করিতে পারিবে না যাহা তাহার নিজের ও পরিবারের জন্য অধিকৃত মোট ভূমির সংগে যুক্ত হইলে ৩৭৫ বিঘার অধিক হইবে ।

উপধারা-(২) আপাতত বলবত্‍  অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়তের জোত বা উহার কোনো অংশ বা খণ্ড বিক্রয়, দান বা উইলমূলে বা অন্যকোনো বা ডিক্রীজারী মূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধিনে কোনো সার্টিফিকেট জারিমূলে প্রকৃত কৃষক ছাড়া অন্য কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না এবং এরূপ কোন প্রজাস্বত্ব বা উহার কোন বা খণ্ড ঐরূপ কোন উপায়ে কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না যদি না সে নিজের ও পরিবারের জন্য আপাতত ৩৭৫ বিঘার কম জমির অধিকারী হয় এবং ঐরূপ কোনো হস্তান্তর বৈধ হইবে না যদি হস্তান্তরের সময় হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকৃত ভূমির সহিত উক্ত হস্তান্তরিত ভূমি যুক্ত হইলে ৩৭৫ বিঘার সীমা অতিক্রম করে ।

 তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির নিকট হস্তান্তর করা হইলে, ঐরূপ ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির মোট জমির পরিমাণ ৩৭৫ বিঘার বেশী হইলেও (১) এবং (২) উপধারার বিধানের অধীনে হস্তান্তর বাতিল হইবে না, যদি-

(ক) নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এইরূপ ব্যক্তিকে শক্তিচালিত যন্ত্রপাতির সাহায্যে বৃহাদায়তন কৃষি খামার প্রতিষ্ঠান উপায় অবলম্বন করিয়াছে বলিয়া সার্টিফিকেট দিয়া থাকে; এবং

(খ) সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সার্টিফিকেট দেয় যে, ঐরূপ সমিতি দলবদ্ধভাবে চাষী জমির মালিকগণ উত্কৃষ্ট ফসল উত্পাদনের জন্য সংগঠিত হইয়াছে, তাহারা শক্তিচালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুক বা না করুক এবং নিঃশর্তভাবে প্রত্যেকের জমির মালিকানা সমিতির নিকট হস্তান্তর করুক বা না করুক, উভয়ক্ষেত্রেই এইরূপ হস্তান্তরের সীমা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের মঞ্জুরকৃত সার্টিফিকেটে বর্ণিত থাকিবে ।

আরও শর্ত থাকে যে, (১) ও (২) উপধারার কোনো বিধান কোনো ব্যক্তি যে প্রকৃতপক্ষে চায়ের চাষ করিতেছে, বা কোনো সমবায় সমিতি বা কোনো কোম্পানী যাহা প্রকৃতপক্ষে উক্ত সমবায় সমিতি অথবা কোম্পানী কর্তৃক চিনি উত্পাদনের নিমিত্ত আখের চাষ করিতেছে বা অপর কোনো কোম্পানী যাহার উদ্দেশ্য কোনো পণ্যদ্রব্য উত্পাদনের দ্বারা শিল্পের উন্নতি সাধন করা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(৩) (১) ও (২) নং উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও, খাঁটি চাষী নহে এমন কোনো ব্যক্তিও নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতি লইয়া অনুমতিপত্রে বর্ণিত পরিমাণ ভূমি ভোগদখল করিতে ও বাণিজ্যিক শিল্পের উদ্দেশ্যে অথবা দাতব্য এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ভূমি খরিদ এবং ভোগ-দখল করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৪) (১) ও (২) উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত চাষী নহে এমন ব্যক্তি নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতিক্রমে অনুমতিপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ ভূমি তাহার পরিবারের বসতবাড়ি প্রস্তুতের নিমিত্ত অথবা সে নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা অথবা চাকরদের অথবা শ্রমিকদের দ্বারা বা সাহায্যে অথবা অংশীদারগণের বা বর্গাদারগণের সাহায্যে উক্ত ভূমি চাষ করিবার নিমিত্ত খরিদ অথবা অন্য উপায়ে অর্জন করিতে পারিবে এবং উক্ত অর্জিত ভূমি সরকারের প্রজা হিসাবে অধিকারে রাখিতে পারিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে (১) উপধারায় নির্ধারিত ভূমির বেশী পরিমাণ ভূমি অধিকারে রাখিতে দেওয়া হইবে নাঃ

আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদ্স্যগণের জন্য বসতবাড়ি তৈরীর নিমিত্ত তদকর্তৃক অধিকৃত ভূমির ক্ষেত্রে যদি অধিকার অর্জনের তারিখ হইতে পাঁচ বত্সরের ভিতর উক্ত ভূমির  উপর বসতবাড়ি প্রস্তুত না করা হয় তবে উক্ত জমিতে উক্ত ব্যক্তির অধিকারের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত ভূইম সরকারের উপর বর্তাইবে ।

উপধারা-(৫) অত্র ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোনো জোত বা প্রজাস্বত্ব বা উহার অংশ বা খণ্ডের হস্তান্তর করিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং উহা দায়যুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর চূড়ান্তভাবে অর্পিত হইবে ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #17 on: October 22, 2011, 07:35:13 AM »
ধারা-৯১ ( উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তিত অতিরিক্ত ভূমির অধিগ্রহণের ক্ষমতা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পূর্ব দখলকৃত মোট ভূমির সহিত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে তাহার প্রাপ্ত ভূমি সংযুক্ত হইয়া ৯০ ধারায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত অতিরিক্ত ভূমির জন্য ৩৯(১) ধারায় উল্লেখিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর উহা অধিগ্রহণ করা সরকারের জন্য আইনানুগ হইবে ।

ধারা-৯২ (কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ )

উপধারা-(১) জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে-

(ক) যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধান অনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকার উইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।

(খ) যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বত্সরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমর্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;

(গ) যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বত্সরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;

(ঘ) যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনো ভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজে অথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়ে পাঁচ বত্সর কাল যাবত্‍ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;

উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে তারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার ক অনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।

উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকল ব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মে নোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।

উপধারা-(৪) (১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির  কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ঐরূপ মামলা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক (৩) উপধারায় প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।

উপধারা-(৫) (১) উপধারায় জোতে কোনো রায়তের স্বার্থ বিলুপ্ত হইলে তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য উক্ত জোতের সমস্ত বকেয়া খাজনা অনাদায়যোগ্য বলিয়া গন্য হইবে ।

ধারা-৯৩ ( কোর্ফা পত্তনের উপর বিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১) কোনো রায়ত তাহার সমগ্র জোত অথবা উহার কোনো মেয়াদ অথবা শর্তে কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।

উপধারা-(২) এই ধারার বিধানসমূহ অমান্য করিয়া কোনো জোত অথবা উহার অংশ যদি কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তবে উক্ত জোত অথবা উহার অংশে রায়তের স্বার্থের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত জোত অথবা উহার অংশ, উহা যাহাই হউক, কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৯৪ ( কতিপয় ক্ষেত্রে দায় হস্তান্তর )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ৯০ ধারার (৫) নং উপধারায় অথবা ৯০ ধারায় (২) উপধারায় উল্লেখিত দায় সংশ্লিষ্ট ভূমির হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারার তারিখ হইতে নির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বাছাইকৃত হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতার অপরাপর জমির সংগে হস্তান্তরিত অথবা যুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নেওয়া হইবে; এবং তত্পর উক্ত হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারা সম্পন্ন হইবার আগে তাহার মূল ভূমিতে দায় প্রাপকের যে অধিকার নিহিত ছিল সেই একই অধিকার ঐ সমস্ত জমির উপর চলিতে থাকিবে । হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতা, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য উক্ত দায় সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহীত অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবে ।

ধারা-৯৫ ( রায়তি জোতের বন্ধকের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ছাড়া অন্য কোনো রকম বন্ধকাবদ্ধ হইবে না এবং ঐরূপ প্রত্যেক সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ৯০ ধারার অধীন কোনো রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ হস্তান্তর ক্ষেত্রে ৯০ ধারায় যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হইয়াছে ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ও একই সীমাবদ্ধতাসাপেক্ষ হইবে এবং যে সময়ের জন্য রায়ত ঐরূপ সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হইয়াছে উহার মেয়াদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন চুক্তি দ্বারা সাত বত্সরের বেশী হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোনো খাইখালাসী বন্ধক উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় বন্ধকের মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য সরাসরিভাবে বন্ধকের টাকা প্রতার্পণ করিয়া বন্ধকী ভূমি দায়মুক্ত করিয়া লইতে পারিবে ।

উপধারা-(২) ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক রেজিষ্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।

উপধারা-(৩) কোনো রায়ত যদি (১) উপধারায় নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ না করিয়া কোনো সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হয় অথবা (২) উপধারার অধীনে উহা নিবন্ধনকৃত না হয় তবে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৪) আপাতত বলবত্‍ অপর কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বন্ধকগ্রহীতা (১) নং উপধারার বিধান অনুসারে বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাধা দান করে অথবা অস্বীকার করে তবে বন্ধকদাতা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের (বর্তমানে থানা ম্যাজিষ্ট্রেটের) নিকট বা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং ঐ আবেদন করার পরও বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে ঐ বিধান অনুযায়ী বন্ধকগ্রহীতার প্রাপ্য অর্থ দরখাস্তকারী কর্তৃক প্রদান করার পর থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অথবা কর্তৃত্বে অবস্থিত বন্ধকী জমি সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র প্রদান করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৫) যদি বন্ধকগ্রহীতা (৪) উপধারার অধীন নির্ধারিত তারিখে বন্ধকী জমির দখল বন্ধকদাতার নিকট ফেরত্‍ না দেয় তবে বন্ধক দাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার ঐ বন্ধকগ্রহীতাকে উচ্ছেদ করিয়া দরখাস্তকারীকে ঐ জমির দখল প্রদান করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উচ্ছেদের নিমিত্ত বলপ্রয়োগ করিবেন অথবা প্রয়োগের ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা ৯৫-ক ( কতিপয় হস্তান্তর খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্য করা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোনো জোত বা উহার অংশবিশেষ কবলা মূল্যে পুনঃফেরতের চুক্তিসহ হস্তান্তর করা হয় অথবা যে ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হইতে কোনো মূল্য গ্রহণ করে এবং হস্তান্তরগ্রহীতা দখল করার ও উত্পাদিত ফসল ভোগ করার অধিকার অর্জন করে সেইক্ষেত্রে এইরূপ জোত বা উহার অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐরূপ মূল্যের পরিবর্তে হইলে হস্তান্তর দলিলে অন্যরূপ কিছু থাকিলেও উহাকে অনধিক ৭ বত্সরের পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯৫ ধারার বিধানা বলী প্রযোজ্য হইবে, ইহা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী আদেশ) ১৯৭২  কার্যকর হওয়ার তারিখের আগেই হউক বা পরেই হউক ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #18 on: October 22, 2011, 07:36:14 AM »
ধারা-৯১ ( উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তিত অতিরিক্ত ভূমির অধিগ্রহণের ক্ষমতা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পূর্ব দখলকৃত মোট ভূমির সহিত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে তাহার প্রাপ্ত ভূমি সংযুক্ত হইয়া ৯০ ধারায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত অতিরিক্ত ভূমির জন্য ৩৯(১) ধারায় উল্লেখিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর উহা অধিগ্রহণ করা সরকারের জন্য আইনানুগ হইবে ।

ধারা-৯২ (কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ )

উপধারা-(১) জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে-

(ক) যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধান অনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকার উইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।

(খ) যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বত্সরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমর্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;

(গ) যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বত্সরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;

(ঘ) যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনো ভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজে অথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়ে পাঁচ বত্সর কাল যাবত্‍ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;

উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে তারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার ক অনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।

উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকল ব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মে নোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।

উপধারা-(৪) (১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির  কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ঐরূপ মামলা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক (৩) উপধারায় প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।

উপধারা-(৫) (১) উপধারায় জোতে কোনো রায়তের স্বার্থ বিলুপ্ত হইলে তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য উক্ত জোতের সমস্ত বকেয়া খাজনা অনাদায়যোগ্য বলিয়া গন্য হইবে ।

ধারা-৯৩ ( কোর্ফা পত্তনের উপর বিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১) কোনো রায়ত তাহার সমগ্র জোত অথবা উহার কোনো মেয়াদ অথবা শর্তে কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।

উপধারা-(২) এই ধারার বিধানসমূহ অমান্য করিয়া কোনো জোত অথবা উহার অংশ যদি কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তবে উক্ত জোত অথবা উহার অংশে রায়তের স্বার্থের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত জোত অথবা উহার অংশ, উহা যাহাই হউক, কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৯৪ ( কতিপয় ক্ষেত্রে দায় হস্তান্তর )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ৯০ ধারার (৫) নং উপধারায় অথবা ৯০ ধারায় (২) উপধারায় উল্লেখিত দায় সংশ্লিষ্ট ভূমির হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারার তারিখ হইতে নির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বাছাইকৃত হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতার অপরাপর জমির সংগে হস্তান্তরিত অথবা যুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নেওয়া হইবে; এবং তত্পর উক্ত হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারা সম্পন্ন হইবার আগে তাহার মূল ভূমিতে দায় প্রাপকের যে অধিকার নিহিত ছিল সেই একই অধিকার ঐ সমস্ত জমির উপর চলিতে থাকিবে । হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতা, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য উক্ত দায় সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহীত অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবে ।

ধারা-৯৫ ( রায়তি জোতের বন্ধকের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ছাড়া অন্য কোনো রকম বন্ধকাবদ্ধ হইবে না এবং ঐরূপ প্রত্যেক সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ৯০ ধারার অধীন কোনো রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ হস্তান্তর ক্ষেত্রে ৯০ ধারায় যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হইয়াছে ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ও একই সীমাবদ্ধতাসাপেক্ষ হইবে এবং যে সময়ের জন্য রায়ত ঐরূপ সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হইয়াছে উহার মেয়াদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন চুক্তি দ্বারা সাত বত্সরের বেশী হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোনো খাইখালাসী বন্ধক উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় বন্ধকের মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য সরাসরিভাবে বন্ধকের টাকা প্রতার্পণ করিয়া বন্ধকী ভূমি দায়মুক্ত করিয়া লইতে পারিবে ।

উপধারা-(২) ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক রেজিষ্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।

উপধারা-(৩) কোনো রায়ত যদি (১) উপধারায় নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ না করিয়া কোনো সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হয় অথবা (২) উপধারার অধীনে উহা নিবন্ধনকৃত না হয় তবে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৪) আপাতত বলবত্‍ অপর কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বন্ধকগ্রহীতা (১) নং উপধারার বিধান অনুসারে বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাধা দান করে অথবা অস্বীকার করে তবে বন্ধকদাতা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের (বর্তমানে থানা ম্যাজিষ্ট্রেটের) নিকট বা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং ঐ আবেদন করার পরও বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে ঐ বিধান অনুযায়ী বন্ধকগ্রহীতার প্রাপ্য অর্থ দরখাস্তকারী কর্তৃক প্রদান করার পর থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অথবা কর্তৃত্বে অবস্থিত বন্ধকী জমি সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র প্রদান করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৫) যদি বন্ধকগ্রহীতা (৪) উপধারার অধীন নির্ধারিত তারিখে বন্ধকী জমির দখল বন্ধকদাতার নিকট ফেরত্‍ না দেয় তবে বন্ধক দাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার ঐ বন্ধকগ্রহীতাকে উচ্ছেদ করিয়া দরখাস্তকারীকে ঐ জমির দখল প্রদান করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উচ্ছেদের নিমিত্ত বলপ্রয়োগ করিবেন অথবা প্রয়োগের ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা ৯৫-ক ( কতিপয় হস্তান্তর খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্য করা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোনো জোত বা উহার অংশবিশেষ কবলা মূল্যে পুনঃফেরতের চুক্তিসহ হস্তান্তর করা হয় অথবা যে ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হইতে কোনো মূল্য গ্রহণ করে এবং হস্তান্তরগ্রহীতা দখল করার ও উত্পাদিত ফসল ভোগ করার অধিকার অর্জন করে সেইক্ষেত্রে এইরূপ জোত বা উহার অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐরূপ মূল্যের পরিবর্তে হইলে হস্তান্তর দলিলে অন্যরূপ কিছু থাকিলেও উহাকে অনধিক ৭ বত্সরের পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯৫ ধারার বিধানা বলী প্রযোজ্য হইবে, ইহা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী আদেশ) ১৯৭২  কার্যকর হওয়ার তারিখের আগেই হউক বা পরেই হউক ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #19 on: October 22, 2011, 07:36:50 AM »
ধারা-৯৬ ( অগ্রক্রয়ের অধিকার-)

উপধারা-(১) যদি কোনো প্রজার জোতের খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তর করা হয় তবে ঐ হোল্ডিং-এর এক বা একাধিক সহ-শরীক প্রজাগণ ৮৯ ধারা অনুযায়ী নোটিশ জারীর চার মাসের মধ্যে বা ৮৯ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো নোটিশ জারী না করা হয় তবে হস্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হইবার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের ঐ ভূমি খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন পেশ করিতে পারে ও কোনো জোত অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তর করা হইলে ঐ হস্তান্তর করা ভূমির সংলগ্ন ভূমি দখলকার প্রজা অথবা প্রজাগণ ঐ হন্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হওয়ার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের নিকট ঐ হোল্ডিং অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সহ-শরীক প্রজার বা হস্তান্তরিত ভূমির দখলদার প্রজার অত্র ধারা অনুবলে খরিদ করার অধিকার থাকিবে না-যদি না সে এমন ব্যক্তি হয় যাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড বা অংশ, সে যাহাই হউক, ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তরযোগ্য ।

উপধারা-(২) একজন সহ-শরীক প্রজা বা সহ-শরীক প্রজাগণ (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত দাখিল করিলে উক্ত দরখাস্তে জোতের অপর সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তর গ্রহীতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা দরখাস্ত করিলে ঐ দরখাস্তে হস্তান্তরিত জোতের সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার সমস্ত প্রজাগণকে এবং ক্রেতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) (ক) (১) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্ত খারিজ হইবে যদি দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ উহা দায়ের করার সময় মূল্যের অর্থ অথবা হস্তান্তরিত জোত বা জোতের খণ্ড অথবা অংশের মূল্য হস্তান্তর দলিলে বা ৮৯ ধারার অধীনে নোটিশ বর্ণিত, সে যাহাই হউক, মূল্যের অর্থ তত্‍সহ উহার শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ আদালতে জমা না দেয় ।

(খ) উক্তরূপ জমাসহ দরখাস্ত পাওয়ার পর আদালত ক্রেতা ও (২) নং উপধারার অধীনে দরখাস্তের পক্ষভুক্ত অপরাপর ব্যক্তিগণকে আদালতে যে সময় ধার্য করেন সে সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন ও হস্তান্তর বাবদ যে মূল্যের টাকা প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হইয়াছে তাহা বর্ণনার জন্য এরূপ ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । হস্তান্তরের তারিখ হইতে খাজনা বাবদ সে আরও কত টাকা পরিশোধ করিয়াছে ও জোত অথবা অংশের দায়মুক্ত করার নিমিত্ত এবং অপর কোনো উন্নয়ন কার্য্য বাবদ সে আর ও কত টাকা খরচ করিয়াছে উহা বলার নিমিত্ত ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । আদালত তখন সমস্ত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া প্রকৃত মূল্যের টাকা, খাজনা পরিশোধ ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির দায়মুক্তি বা উন্নয়ন বাবদ ক্রেতার খরচ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবেন । প্রয়োজনবোধে আদালত যাহা যথার্থ মনে করেন সেই সময়ের মধ্যে আরও অর্থ জমা দেওয়ার নিমিত্ত দরখাস্তকারী বা দরখাস্তকারীদিগকে নির্দেশ প্রদান করিবেন ।

তবে শর্ত হইল যে, ক্রেতা কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তর দলিলে বর্ণিত অর্থের চাইতে বেশী মূল্যের অর্থ দাবী  করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(৪) যখন (১) উপধারার অধীনে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা হয় তখন ক্রেতা, তাহাদের মধ্যে যদি কেহ থাকে তাহাকে সহ যে কোনো অবশিষ্ট সহ-শরীক প্রজা ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণ (১) উপধারায় বর্ণিত সময়ের মধ্যে বা (৩) উপধারার খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তের নোটিশ জারীর তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে, যাহা আগে ঘটিবে, ঐ দরখাস্তে যোগদানের জন্য দরখাস্ত দিতে পারিবে; কোন সহ-শরীক বা হস্তারিত সম্পত্তির লাগা ভূমির দখলদার প্রজা যে (১) উপধারা বা অত্র উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত করে নাই অত্র ধারা অনুযায়ী তাহার খরিদ করার আর কোনো অধিকার থাকিবে না ।

উপধারা-(৫) (ক) (অ) যদি কোনো সহ-শরীক প্রজা, যাহার স্বত্ব ওয়ারীশসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে;

(আ) কোনো সহ-শরীক প্রজা যাহার স্বত্ব খরিদসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে এবং

(ই) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজ্ঞা আবেদন করে এবং উহার শর্তাবলী পালন করে তাহা হইলে আবেদনকারী বা আবেদনকারীরা অত্র ধারায় বর্ণিত ক্রমানুসারে খরিদ করিবার অগ্রাধিকার পাইবে ।

(খ) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা আবেদন করে তবে আদালত এইরূপ প্রজাগণের মধ্যে নিম্নলিখিত বিবেচনায় অগ্রাধিকার ক্রমিক অনুযায়ী নির্ধারণ করিবেন-

(অ) দরখাস্তকারী প্রজাদের প্রত্যেকের দখলে থাকা মোট জমির পরিমাপ;

(আ) প্রজার সংলগ্ন ভূমি বসত বাড়ীর ভূমি অথবা অন্য প্রকারের ভূমি কিনা;

(ই) সংলগ্নতার বিস্তৃতি;

(ঈ) আবেদনকারীর সংলগ্ন ভূমির দখল লাভের প্রয়োজনীয়তা কতখানি; এবং

(উ) আবেদনকারীর ইজমেন্টের অধিকার, যদি কিছু থাকে ।

উপধারা-(৬) (ক) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করা যাইতে পারে সে সময় অতিবাহিত হইবার পর অত্র ধারার শর্তাবলী অনুসারে আদালত নির্ধারণ করিবেন যে, (১) উপধারা বা (৪) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত আবেদনসমূহের মধ্যে কোনটির অনুমতি প্রদান করিবেন;

(খ) যদি আদালত দেখিতে পান যে, অত্র ধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্তসমূহের অনুমতির আদেশ একাধিক দরখাস্তকারীর অনুকূলে দিতে হইবে তবে আদালত এইরূপ প্রত্যেক দরখাস্তকারী কতৃক যেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে তাহা নিরূপণ করিবেন ও অর্থ ন্যায়ানুগতভাবে ভাগ করিবার পর আদেশ প্রদান করিবেন যে, দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ যাহারা (৪) উপধারা মোতাবেক মূল দরখাস্তে যোগদান করিয়াছেন তাহার বা তাহাদের দ্বারা পরিশোধযোগ্য অর্থ আদালত যেমন সঙ্গত মনে করিবেন তেমন সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিবেন এবং এইরূপ কোনো দরখাস্তকারী যদি উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা না দেয় তাহা হইলে তাহার দরখাস্ত খারিজ হইয়া যাইবে ।

উপধারা-(৭) (ক) (৬) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে জমা, যদি কিছু থাকে, দিতে হইবে সেই সময় অতিবাহিত হইলে আদালত অত্র ধারা মোতাবেক খরিদ করিবার অধিকারী ও ইহার শর্তাবলী পালন করিয়াছে এইরূপ আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীগণ দ্বারা দায়েরকৃত আবেদন অথবা আবেদনসমূহ অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন এবং যেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ একাধিক আবেদনকারীর অনুকূলে প্রদান করিতে হয় সেক্ষেত্রে জোতটি অথবা জোতের খণ্ড অথবা অংশকে তাহাদের মধ্যে এইরূপভাবে ভাগ করিবেন যাহা আদালতের কাছে ন্যায়সংগত বলিয়া গণ্য হয় এবং (১) উপধারার অধীন যদি আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কোন অর্থ ফেরত পাইবে বলিয়া প্রতিপন্ন হয় তাহা হইলে (৬) উপধারার অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কর্তৃক দেওয়া জমার অর্থ হইতে ফেরত পাইবে ।

(খ) হস্তান্তরের জন্য ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্যের টাকা, এইরূপ টাকার উপর শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণসহ, হস্তান্তরের তারিখ হইতে জোতের অথবা খণ্ডের অথবা অংশের খাজনা বাবদ তত্‍কর্তৃক পরিশোধিত টাকা, যদি কিছু থাকে, এবং এইরূপ জোত অথবা খণ্ডের বা অংশের দায়মুক্তি বা উন্নয়নের জন্য তত্কর্তৃক ব্যয়িত টাকা, যদি কিছু থাকে, (৩) উপধারা মোতাবেক দেওয়া জমা হইতে ক্রেতাকে পরিশোধ করার জন্য আদালত একই সময় নির্দেশ প্রদানপূর্বক আদেশ দান করিবেন ।

উপধারা-(৮) (৭) উপধারা মোতাবেক কোনো বিভাগাদেশ জোতের বিভাজন হিসাবে গণ্য হইবে না ।

উপধারা-(৯) (৭) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে -(ক) হস্তান্তরের দরুন জোত অথবা খণ্ডে বা অংশে ক্রেতার উদ্ভুত অধিকার, স্বত্ব স্বার্থ উক্ত উপধারা অনুযায়ী প্রদত্ত যে কোনো আদেশের সাপেক্ষে সমস্ত দায়, যাহা হস্তান্তরের তারিখের পরে সৃষ্ট হইয়াছে, মুক্ত হইয়া, অবস্থাভেদে সহ-শরীক প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের, যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন (৭) উপধারা মোতাবেক মঞ্জুর হইয়াছে, তাহাদের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) ক্রেতার হোল্ডিং অথবা খণ্ডের বা অংশের খাজনা বাবদ দায় হস্তান্তরের তারিখ হইতে লোপ পাইবে এবং সহ-শরীক প্রজাগণ অথবা হস্তান্তরিত সম্পত্তি সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন এইরূপে মঞ্জুর হইয়াছে তাহারা ক্রেতার কাছে প্রাপ্য এইরূপ যে কোনো খাজনার নিমিত্ত দায়ী থাকিবে ।

(গ) আদালত এইরূপ আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে তাহার অথবা তাহাদের উপর অর্পিত সম্পত্তির দখলে তাহাকে অথবা তাহাদিগকে, সে যাহাই হউক, বহাল করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(১০) অত্র ধারার কোনো কিছুই প্রয়োগ করা যাইবে না-

(ক) জমার কোনো সহ-শরীক, যাহার স্বার্থ খরিদসূত্রে ছাড়া অন্য উপায়ে উদ্ভব হইয়াছে, এইরূপ সহ-শরীকের কাছে ভূমি হস্তান্তর করা হইলে; বা

(খ) বিনিময় অথবা বাটোয়ারামূলে, হস্তান্তর করা হইলে; বা

(গ) উইল অথবা দানমূলে স্বামী অথবা স্ত্রীর উইলকারী অথবা দাতা তাহার আনুকূলে বা কোনো উইলকারী অথবা দাতা তাহার তিন ডিক্রির মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্কিত আত্নীয়ের অনুকূলে, (দান অথবা হেবামূলে, আর্থিক বিনিময়ের হেবা বিল এওয়াজ ছাড়া) হস্তান্তর করিলে; বা

(ঘ) সরল বা সম্পূর্ণ খাই খালাসী বন্ধক বা, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধক মুক্তকরণের অধিকার হরণের চূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রি প্রদান করা না হয়, কোনো বন্ধক দ্বারা শর্তাধীন বিক্রয় করা হইলে; বা

(ঙ) মুসলিম আইনের বিধান মোতাবেক সৃষ্ট ওয়াকফ; অথবা

(চ) কোনো ব্যক্তির জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া কোনো ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্য উত্সর্গ করা হইলে ।

উপধারা-(১১) অত্র ধারা কোনো কিছুই মুসলিম আইনের অধীন কোনো অগ্রক্রয়ের অধিকার হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(১২) যে আদালতে সংশ্লিষ্ট ভূমির দখল সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার আছে, সেই আদালতে এই ধারার অধীনে দরখাস্ত দাখিল করিতে হইবে ।

উপধারা-(১৩) অত্র ধারাবলে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সাধারণ দেওয়ানী আপিল আদালতে আপিল দায়ের করা চলিবে । কিন্তু অন্য কোনো আইনে আপাতত অন্যরূপ  কিছু বলবত্‍  থাকিলেও প্রথম আপিল আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিল দায়ের করা চলিবে না ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #20 on: October 22, 2011, 07:37:23 AM »
ধারা-৯৬ ( অগ্রক্রয়ের অধিকার-)

উপধারা-(১) যদি কোনো প্রজার জোতের খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তর করা হয় তবে ঐ হোল্ডিং-এর এক বা একাধিক সহ-শরীক প্রজাগণ ৮৯ ধারা অনুযায়ী নোটিশ জারীর চার মাসের মধ্যে বা ৮৯ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো নোটিশ জারী না করা হয় তবে হস্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হইবার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের ঐ ভূমি খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন পেশ করিতে পারে ও কোনো জোত অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তর করা হইলে ঐ হস্তান্তর করা ভূমির সংলগ্ন ভূমি দখলকার প্রজা অথবা প্রজাগণ ঐ হন্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হওয়ার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের নিকট ঐ হোল্ডিং অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সহ-শরীক প্রজার বা হস্তান্তরিত ভূমির দখলদার প্রজার অত্র ধারা অনুবলে খরিদ করার অধিকার থাকিবে না-যদি না সে এমন ব্যক্তি হয় যাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড বা অংশ, সে যাহাই হউক, ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তরযোগ্য ।

উপধারা-(২) একজন সহ-শরীক প্রজা বা সহ-শরীক প্রজাগণ (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত দাখিল করিলে উক্ত দরখাস্তে জোতের অপর সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তর গ্রহীতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা দরখাস্ত করিলে ঐ দরখাস্তে হস্তান্তরিত জোতের সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার সমস্ত প্রজাগণকে এবং ক্রেতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) (ক) (১) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্ত খারিজ হইবে যদি দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ উহা দায়ের করার সময় মূল্যের অর্থ অথবা হস্তান্তরিত জোত বা জোতের খণ্ড অথবা অংশের মূল্য হস্তান্তর দলিলে বা ৮৯ ধারার অধীনে নোটিশ বর্ণিত, সে যাহাই হউক, মূল্যের অর্থ তত্‍সহ উহার শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ আদালতে জমা না দেয় ।

(খ) উক্তরূপ জমাসহ দরখাস্ত পাওয়ার পর আদালত ক্রেতা ও (২) নং উপধারার অধীনে দরখাস্তের পক্ষভুক্ত অপরাপর ব্যক্তিগণকে আদালতে যে সময় ধার্য করেন সে সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন ও হস্তান্তর বাবদ যে মূল্যের টাকা প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হইয়াছে তাহা বর্ণনার জন্য এরূপ ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । হস্তান্তরের তারিখ হইতে খাজনা বাবদ সে আরও কত টাকা পরিশোধ করিয়াছে ও জোত অথবা অংশের দায়মুক্ত করার নিমিত্ত এবং অপর কোনো উন্নয়ন কার্য্য বাবদ সে আর ও কত টাকা খরচ করিয়াছে উহা বলার নিমিত্ত ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । আদালত তখন সমস্ত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া প্রকৃত মূল্যের টাকা, খাজনা পরিশোধ ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির দায়মুক্তি বা উন্নয়ন বাবদ ক্রেতার খরচ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবেন । প্রয়োজনবোধে আদালত যাহা যথার্থ মনে করেন সেই সময়ের মধ্যে আরও অর্থ জমা দেওয়ার নিমিত্ত দরখাস্তকারী বা দরখাস্তকারীদিগকে নির্দেশ প্রদান করিবেন ।

তবে শর্ত হইল যে, ক্রেতা কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তর দলিলে বর্ণিত অর্থের চাইতে বেশী মূল্যের অর্থ দাবী  করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(৪) যখন (১) উপধারার অধীনে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা হয় তখন ক্রেতা, তাহাদের মধ্যে যদি কেহ থাকে তাহাকে সহ যে কোনো অবশিষ্ট সহ-শরীক প্রজা ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণ (১) উপধারায় বর্ণিত সময়ের মধ্যে বা (৩) উপধারার খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তের নোটিশ জারীর তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে, যাহা আগে ঘটিবে, ঐ দরখাস্তে যোগদানের জন্য দরখাস্ত দিতে পারিবে; কোন সহ-শরীক বা হস্তারিত সম্পত্তির লাগা ভূমির দখলদার প্রজা যে (১) উপধারা বা অত্র উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত করে নাই অত্র ধারা অনুযায়ী তাহার খরিদ করার আর কোনো অধিকার থাকিবে না ।

উপধারা-(৫) (ক) (অ) যদি কোনো সহ-শরীক প্রজা, যাহার স্বত্ব ওয়ারীশসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে;

(আ) কোনো সহ-শরীক প্রজা যাহার স্বত্ব খরিদসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে এবং

(ই) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজ্ঞা আবেদন করে এবং উহার শর্তাবলী পালন করে তাহা হইলে আবেদনকারী বা আবেদনকারীরা অত্র ধারায় বর্ণিত ক্রমানুসারে খরিদ করিবার অগ্রাধিকার পাইবে ।

(খ) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা আবেদন করে তবে আদালত এইরূপ প্রজাগণের মধ্যে নিম্নলিখিত বিবেচনায় অগ্রাধিকার ক্রমিক অনুযায়ী নির্ধারণ করিবেন-

(অ) দরখাস্তকারী প্রজাদের প্রত্যেকের দখলে থাকা মোট জমির পরিমাপ;

(আ) প্রজার সংলগ্ন ভূমি বসত বাড়ীর ভূমি অথবা অন্য প্রকারের ভূমি কিনা;

(ই) সংলগ্নতার বিস্তৃতি;

(ঈ) আবেদনকারীর সংলগ্ন ভূমির দখল লাভের প্রয়োজনীয়তা কতখানি; এবং

(উ) আবেদনকারীর ইজমেন্টের অধিকার, যদি কিছু থাকে ।

উপধারা-(৬) (ক) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করা যাইতে পারে সে সময় অতিবাহিত হইবার পর অত্র ধারার শর্তাবলী অনুসারে আদালত নির্ধারণ করিবেন যে, (১) উপধারা বা (৪) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত আবেদনসমূহের মধ্যে কোনটির অনুমতি প্রদান করিবেন;

(খ) যদি আদালত দেখিতে পান যে, অত্র ধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্তসমূহের অনুমতির আদেশ একাধিক দরখাস্তকারীর অনুকূলে দিতে হইবে তবে আদালত এইরূপ প্রত্যেক দরখাস্তকারী কতৃক যেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে তাহা নিরূপণ করিবেন ও অর্থ ন্যায়ানুগতভাবে ভাগ করিবার পর আদেশ প্রদান করিবেন যে, দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ যাহারা (৪) উপধারা মোতাবেক মূল দরখাস্তে যোগদান করিয়াছেন তাহার বা তাহাদের দ্বারা পরিশোধযোগ্য অর্থ আদালত যেমন সঙ্গত মনে করিবেন তেমন সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিবেন এবং এইরূপ কোনো দরখাস্তকারী যদি উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা না দেয় তাহা হইলে তাহার দরখাস্ত খারিজ হইয়া যাইবে ।

উপধারা-(৭) (ক) (৬) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে জমা, যদি কিছু থাকে, দিতে হইবে সেই সময় অতিবাহিত হইলে আদালত অত্র ধারা মোতাবেক খরিদ করিবার অধিকারী ও ইহার শর্তাবলী পালন করিয়াছে এইরূপ আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীগণ দ্বারা দায়েরকৃত আবেদন অথবা আবেদনসমূহ অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন এবং যেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ একাধিক আবেদনকারীর অনুকূলে প্রদান করিতে হয় সেক্ষেত্রে জোতটি অথবা জোতের খণ্ড অথবা অংশকে তাহাদের মধ্যে এইরূপভাবে ভাগ করিবেন যাহা আদালতের কাছে ন্যায়সংগত বলিয়া গণ্য হয় এবং (১) উপধারার অধীন যদি আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কোন অর্থ ফেরত পাইবে বলিয়া প্রতিপন্ন হয় তাহা হইলে (৬) উপধারার অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কর্তৃক দেওয়া জমার অর্থ হইতে ফেরত পাইবে ।

(খ) হস্তান্তরের জন্য ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্যের টাকা, এইরূপ টাকার উপর শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণসহ, হস্তান্তরের তারিখ হইতে জোতের অথবা খণ্ডের অথবা অংশের খাজনা বাবদ তত্‍কর্তৃক পরিশোধিত টাকা, যদি কিছু থাকে, এবং এইরূপ জোত অথবা খণ্ডের বা অংশের দায়মুক্তি বা উন্নয়নের জন্য তত্কর্তৃক ব্যয়িত টাকা, যদি কিছু থাকে, (৩) উপধারা মোতাবেক দেওয়া জমা হইতে ক্রেতাকে পরিশোধ করার জন্য আদালত একই সময় নির্দেশ প্রদানপূর্বক আদেশ দান করিবেন ।

উপধারা-(৮) (৭) উপধারা মোতাবেক কোনো বিভাগাদেশ জোতের বিভাজন হিসাবে গণ্য হইবে না ।

উপধারা-(৯) (৭) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে -(ক) হস্তান্তরের দরুন জোত অথবা খণ্ডে বা অংশে ক্রেতার উদ্ভুত অধিকার, স্বত্ব স্বার্থ উক্ত উপধারা অনুযায়ী প্রদত্ত যে কোনো আদেশের সাপেক্ষে সমস্ত দায়, যাহা হস্তান্তরের তারিখের পরে সৃষ্ট হইয়াছে, মুক্ত হইয়া, অবস্থাভেদে সহ-শরীক প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের, যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন (৭) উপধারা মোতাবেক মঞ্জুর হইয়াছে, তাহাদের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) ক্রেতার হোল্ডিং অথবা খণ্ডের বা অংশের খাজনা বাবদ দায় হস্তান্তরের তারিখ হইতে লোপ পাইবে এবং সহ-শরীক প্রজাগণ অথবা হস্তান্তরিত সম্পত্তি সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন এইরূপে মঞ্জুর হইয়াছে তাহারা ক্রেতার কাছে প্রাপ্য এইরূপ যে কোনো খাজনার নিমিত্ত দায়ী থাকিবে ।

(গ) আদালত এইরূপ আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে তাহার অথবা তাহাদের উপর অর্পিত সম্পত্তির দখলে তাহাকে অথবা তাহাদিগকে, সে যাহাই হউক, বহাল করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(১০) অত্র ধারার কোনো কিছুই প্রয়োগ করা যাইবে না-

(ক) জমার কোনো সহ-শরীক, যাহার স্বার্থ খরিদসূত্রে ছাড়া অন্য উপায়ে উদ্ভব হইয়াছে, এইরূপ সহ-শরীকের কাছে ভূমি হস্তান্তর করা হইলে; বা

(খ) বিনিময় অথবা বাটোয়ারামূলে, হস্তান্তর করা হইলে; বা

(গ) উইল অথবা দানমূলে স্বামী অথবা স্ত্রীর উইলকারী অথবা দাতা তাহার আনুকূলে বা কোনো উইলকারী অথবা দাতা তাহার তিন ডিক্রির মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্কিত আত্নীয়ের অনুকূলে, (দান অথবা হেবামূলে, আর্থিক বিনিময়ের হেবা বিল এওয়াজ ছাড়া) হস্তান্তর করিলে; বা

(ঘ) সরল বা সম্পূর্ণ খাই খালাসী বন্ধক বা, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধক মুক্তকরণের অধিকার হরণের চূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রি প্রদান করা না হয়, কোনো বন্ধক দ্বারা শর্তাধীন বিক্রয় করা হইলে; বা

(ঙ) মুসলিম আইনের বিধান মোতাবেক সৃষ্ট ওয়াকফ; অথবা

(চ) কোনো ব্যক্তির জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া কোনো ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্য উত্সর্গ করা হইলে ।

উপধারা-(১১) অত্র ধারা কোনো কিছুই মুসলিম আইনের অধীন কোনো অগ্রক্রয়ের অধিকার হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(১২) যে আদালতে সংশ্লিষ্ট ভূমির দখল সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার আছে, সেই আদালতে এই ধারার অধীনে দরখাস্ত দাখিল করিতে হইবে ।

উপধারা-(১৩) অত্র ধারাবলে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সাধারণ দেওয়ানী আপিল আদালতে আপিল দায়ের করা চলিবে । কিন্তু অন্য কোনো আইনে আপাতত অন্যরূপ  কিছু বলবত্‍  থাকিলেও প্রথম আপিল আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিল দায়ের করা চলিবে না ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #21 on: October 22, 2011, 07:37:57 AM »
ধারা ৯৭ ( আদিবাসী বা উপজাতীয়দের দ্বারা ভূমি হস্তান্তরে বিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১) সরকার সময় সময় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, এই ধারার বিধানাবলী কোনো জেলা অথবা স্থানীয় এলাকার নিম্নলিখিত আদিবাসী সমাজ অথবা গোত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এবং এইরূপ সমাজ এবং গোত্র এই ধারার উদ্দেশ্যে আদিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে এবং এইরূপ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ চূড়ান্ত প্রমাণ হইবে যে, এই ধারার বিধানাবলী এইরূপ সমাজ ও গোত্রের বেলায় প্রযোজ্য হইয়াছে যথা : সাঁওতাল, বানিয়াস, ভুঁইয়াম ভূমিজ, দালুস, গণ্ডা, হাদী, হাজং, হো,খারিয়া, খারওয়ার, কোরা, কোচ (ঢাকা বিভাগ), মগ (বাখেরগঞ্জ জেলা), মাল ও সুরিয়া, পাহাড়িয়া, মাচ, মাণ্ডা, মণ্ডিয়া, ওড়াং ও তোড়ি ।

উপধারা-(২) অত্র ধারার যেরূপ বিধান রাখা হইয়াছে উহা ব্যতীত কোনো আদিবাসী রায়ত কর্তৃক তাহার জোত বা উহার অংশে তাহার স্বত্বের কোনো হস্তান্তর বৈধ হইবে না যদি ইহা বাংলাদেশের ডমিসাইল্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী আদিবাসী যাহার কাছে এইরূপ জোত অথবা উহার অংশ ৮৮ ও ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তর করা যায় তাহার কাছে হস্তান্তর করা না হইলে ।

উপধারা-(৩) যদি কোনো ক্ষেত্রে আদিবাসী রায়ত অপর কোনো ব্যক্তি যে এইরূপ আদিবাসী নহে তাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড প্রাইভেট বিক্রি, দান বা উইল মাধ্যমে হস্তান্তর করিলে ইহার স্বপক্ষে অনুমতির জন্য যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে পারিবে ও রাজস্ব কর্মকর্তার ৮৮ ও ৯০ ধারার বিধানাবলী বিবেচনায় রাখিয়া দরখাস্তের উপর যাহা যথাযথ মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৪) (৩) উপধারায় উল্লেখিত প্রত্যেক হস্তান্তর নিবন্ধনকৃত দলিলমূলে করিতে হইবে এবং দলিল নিবন্ধনকৃত হওয়ার আগে জোতটি বা ইহার যে কোনো খণ্ড হস্তান্তরিত হইলে দলিল অনুযায়ী এবং হস্তান্তরের শর্তাবলী অথবা চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তার লিখিত সম্পত্তি গ্রহণ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৫) একজন আদিবাসী রায়ত তাহার জমি শুধুমাত্র এক প্রকারের বন্ধক যথা সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক প্রদানের ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ ।

তবে শর্ত এই যে, কৃষির উদ্দেশ্যে ঋণ প্রাপ্তির জন্য বা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বা সমবায় সমিতির নিকট হইতে কৃষির উদ্দেশ্যে ঋণ প্রাপ্তির বেলায় এই উপধারায় কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(৬) একজন আদিবাসী রায়ত অপর কোনো বাংলাদেশী ডমিসাইল্ড অথবা বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসকারী আদিবাসী যাহার সহিত ৯৫ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী সম্পূর্ণ খাইখালাসী চুক্তিবদ্ধ হওয়া যায় তাহার সহিত তাহার জোতের অন্তর্ভূক্ত যে কোনো ভূমিকে যে কোনো ব্যক্তি অথবা অব্যক্ত চুক্তির মাধ্যমে যে কোনো সময়ের জন্য যাহা কোনো মতেই সাত বত্সরের অধিক হইবে না বা হইতে পারে না এইরূপ সময়ের জন্য সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক চুক্তিতে আবদ্ধ হইতে পারে ।

উপধারা-(৭) কোনো আদিবাসী রায়ত এই ধারায় বিধানসমূহ লংঘন করিয়া কোনো হস্তান্তর করিলে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৮) (ক) যদি এই ধারার বিধানসমূহ লংঘন করিয়া কোনো আদিবাসী রায়ত কর্তৃক যদি কোনো জোত বা ইহার অংশ হস্তান্তর করে তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তার নিজ উদ্যোগে বা ইহার স্বপক্ষে তাহার বরাবরে পেশকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশবলে এইরূপ হস্তান্তর গ্রহীতাকে জোত অথবা অংশ হইতে উচ্ছেদ করিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশের আগে হস্তান্তর গ্রহীতাকে এইরূপ উচ্ছেদের জন্য কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হইবে ।

(খ) (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা কোনো আদেশ প্রদান করিলে-

(অ) তিনি হয় আদিবাসী বা তাহার উত্তরাধিকারী বা তাহার আইনসংগত প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তরিত ভূমি প্রত্যার্পণ করিবেন; বা

(আ) হস্তান্তরকারী বা তাহার উত্তরাধিকারী বা তাহার আইনসংগত প্রতিনিধি বা পাওয়া গেলে ভূমি সরকারের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া ঘোষণা দিবেন এবং রাজস্ব কর্মকর্তা উহা অন্য কোনো আদিবাসীর কাছে বন্দোবস্ত দিবেন ।

উপধারা-(৯) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো আদালত কোনো আদিবাসী রায়তের জোত বা ইহার অংশের স্বত্ব বিক্রয়ের নিমিত্ত ডিক্রি অথবা আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন না ।

তবে শর্ত এই যে, জোতের বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য বা সরকার বা কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বা সমবায় সমিতি কর্তৃক কৃষির উদ্দেশ্যে জোত-এর জামানত সাপেক্ষে প্রদত্ত ঋণ আদায়ের জন্য এই আইনের বিধানসমূহ মোতাবেক সার্টিফিকেট কার্যকর করিবার নিমিত্ত কোনো আদিবাসীর জোত বিক্রি করা যাইতে পারে ।

উপধারা-(১০) সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, এই ধারা কোনো জেলা বা স্থানীয় এলাকার যে কোনো শ্রেণী বা গোত্র যাহার ক্ষেত্রে (১) উপধারা অনুযায়ী ইহা প্রয়োগ করা হইয়াছে তাহার বেলায় এই ধারা প্রয়োগ হইতে বিরত থাকিবে ।

ধারা-৯৮ ( রায়ত এবং অকৃষি প্রজাগণ খাজনা পরিমার্জন )

অত্র অধ্যায়ে বর্ণিত বিধান ছাড়া কোনো রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার খাজনা বৃদ্ধি, হ্রাস অথবা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

ধারা ৯৮ক (কতিপয় ক্ষেত্রে খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ )

উপধারা-(১) অত্র আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, ভূমির খাজনা নির্ধারণ এবং পুনঃনির্ধারণ করা বৈধ হইবে-

(ক) যে ক্ষেত্রে রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক দখলিকৃত ভূমির খাজনা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ১৪৪ ধারার অধীনস্থ নির্ধারণ করা হয় নাই অথবা উক্ত ভূমি সম্বন্ধীয় খাজনা ১০৭ ধারার অধীনে নির্ধারণ করা হয় নাই; বা

(খ) যেখানে কোনো ভূমির খাজনা ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো বিধান অনুযায়ী কৃষিভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে যাহা পরবর্তীকালে অকৃষি ভূমি হিসাবে ব্যবহার করা হইয়াছে অথবা অকৃষি ভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে যাহা পরবর্তীকালে কৃষি ভূমি হিসাবে ব্যবহার করা হইয়াছে ।

উপধারা-(২) (১) উপধারার অধীন খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণের বেলায় জেলা প্রশাসক ২৬ ধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ বিবেচনা করিবেন;

তবে শর্ত থাকে যে, জেলা প্রশাসক এইরূপ এলাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না যেখানে ১৪৪ ধারা মোতাবেক খতিয়ান প্রস্তুত অথবা পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছে :

আরো শর্ত থাকে যে, রায়ত বা প্রজার উপস্থিত হওয়ার এবং এই বিষয়ের শুনানীর জন্য কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশ না দিয়া এই ধারা মোতাবেক কোনো  খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ সমাধা করা হইবে না ।

উপধারা-(৩) যে ক্ষেত্রে কোন জোতের একটি অংশ অকৃষি কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে ১০৭ ধারার (৩) উপধারার উল্লেখিত নীতি সমূহের যতখানি প্রযোজ্য হয় ততখানি মোতাবেক উক্ত অংশ পৃথক প্রজাস্বত্বরূপে গঠিত হইবে এবং খাজনা নির্ধারণ এবং পুনঃনির্ধারণ এই ধারা মোতাবেক সমাধা করা যাইবে ।

ধারা -৯৯ (খাজনার হার নির্ধারণ এবং খাজনার তালিকা প্রণয়নের আদেশ )

 উপধারা-(১) সরকার রাজস্ব অফিসারগণকে নির্দেশ প্রদান করিয়া আদেশ দিতে পারিবেন-

(ক) অত্র অধ্যায়ের বিধান এবং এতদ্উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী যে কোনো জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্য খাজনার হার নির্ধারণ করা ও নির্ধারিত ফরমে এবং নিয়মে খাজনার হারের ছক প্রণয়ন করাইতে যাহাতে ঐ নির্ধারিত খাজনার হার তত্সহ অপরাপর নির্ধারিত বিবরণসমূহ সুনির্দিষ্ট থাকিবে; এবং

(খ) যে কোনো জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার খাজনার হারের ছক অত্র অধ্যায়ের অধীনে প্রণয়ন ও বহালের পর উক্ত জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা এলাকার সমস্ত জনগণের জন্য ন্যায্য এবং ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ করিতে এবং নির্ধারিত ফরমে এবং নিয়মে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করিতে যাহাতে উক্ত নির্ধারিত খাজনা তত্সহ অপরাপর বিবরণসমূহ সুনির্দিষ্ট থাকিবে ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #22 on: October 22, 2011, 07:38:33 AM »
ধারা-১০০ (খাজনার হার নির্ধারণের পদ্ধতি )

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ৯৯ (১) ধারার (ক) অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে উক্ত আদেশে উল্লেখিত এলাকার জন্য খাজনার হার নির্ধারণের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার ভূমির অবস্থা ও উক্ত এলাকা যদি কৃষি এলাকা হয় তবে উক্ত এলাকার উত্পন্ন ফসল বিবেচনা করিয়া তিনি যেরূপ প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সেইরূপভাবে উক্ত এলাকাকে কয়েকটি সুবিধাজনক ইউনিটে ভাগ করিবেন ও রাজস্ব অফিসার অতঃপর উক্ত প্রতি ইউনিটের ভিন্ন শ্রেণীসমূহের ভূমির খাজনার হারসমূহ নির্ধারণ করিবেন ।

উপধারা-(২) রাজস্ব অফিসার (১) উপধারার অধীনে বিভিন্ন শ্রেণীসমূহের কৃষি ভূমির খাজনার হারসমূহ নির্ধারণের বেলায় নিম্নলিখিত বিষয়াদি বিবেচনা করিবেন-

(ক) যে শ্রেণীর ভূমির জন্য খাজনার হার নির্ধারণ করা হইতেছে উহার মাটির প্রকৃতি এবং সাধারণ উত্পাদন ক্ষমতা;

(খ) নির্ধারিত নিয়মে প্রতি একর ভূমির স্বাভাবিক উত্পাদন নির্ধারণ;

(গ) যে বত্সরগুলিতে ফসলের মূল্য অস্বাভাবিক ছিল সেই বত্সরসমূহ বাদ দিয়া বিগত বিশ বত্সরের ফসলের মূল্য অস্বাভাবিক ছিল সেই বত্সরসমূহ বাদ দিয়া বিগত বিশ বত্সরের ফসলের গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করিয়া নির্ধারিত উত্পাদিত ফসলসমূহের গড়মূল্য;

(ঘ) ঐরূপ ভূমি চাষের ক্ষেত্রে সেচ অথবা নর্দমা অথবা অপর কোনো বিশেষ সুবিধা

(ঙ) বিশেষ ইউনিটে সরকারী অর্থ ব্যয়ে কৃষি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলাফল ।

(চ) বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩) (১) উপধারার অধীন (যে কোনো শ্রেণীর কৃষি ভূমির ) একর প্রতি খাজনার হার ঐরূপ প্রতি একর ভূমির উত্পাদিত ফসলের মোট মূল্যের দশ ভাগের এক ভাগের বেশী হইবে না যাহা ঐরূপ প্রতি একর ভূমির স্বাভাবিক উত্পাদন (২) উপধারার (২) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত উক্ত উত্পাদিত ফসলের নির্ধারিত নিয়মে হিসাবকৃত গড় দাম দ্বারা বৃদ্ধি করিয়া প্রাপ্ত হয়;

উপধারা-(৪) রাজস্ব অফিসার (১) উপধারার অধীনে বিভিন্ন শ্রেণীর অকৃষি ভূমির খাজনার হার নির্ধারণার্থে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবেন ।

(ক) অনুরূপ সুবিধার অথবা অনুরূপ বর্ণনা সম্বলিত পার্শ্ববর্তী অকৃষি ভূমির জন্য সাধারণভাবে সরকারকে প্রদত্ত খাজনার হার;

(খ) ৯৯ ধারার অধীন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অব্যবহিত পূর্বে নির্ধারিত নিয়মে হিসাবকৃত ঐ জমির অথবা পার্শ্ববর্তী অনুরূপ ভূমির বাজার দাম;

(গ) প্রজাস্বত্বে বিশেষ শর্তসমূহ এবং অনুসঙ্গ যদি থাকে; এবং

(ঘ) সরকারী খরচে নির্দিষ্ট ইউনিটে উন্নয়নমূলক কার্যের ফলাফলঃ

তবে শর্ত থাকে যে, (১) উপধারার অধীনে নির্ধারিত যে কোনো শ্রেণীর অকৃষি ভূমির খাজনার হার আবাসিক এলাকার বেলায় উক্ত বাজার দামের শতকরা এক চতুর্থভাগের বেশী হইবে না ও অন্য কোনো এলাকার বেলায় উক্ত বাজার দামের শতকরা আধ ভাদের বেশী হইবে না।

উপধারা-(৫) (৪) উপধারার (৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অনুরূপ বর্ণনা সম্বলিত পাশ্ববর্তী ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদত্ত খাজনার ইউনিটে অবস্থিত ঐ ভূমির বর্তমান খাজনাসমূহ একত্র করিয়া মোট টাকাকে ইউনিটের মোট পরিমাণ দিয়া ভাগ করিয়া হিসাব করা হইবে ।

ধারা-১০১ (খাজনার হারের ছকসমূহ প্রাথমিক এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশ ও নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইহার অনুমোদন )

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার খাজনার হারসমূহের কোনো ছক প্রণয়ন করেন সেক্ষেত্রে তিনি ইহার একটি খসড়া নির্ধারিত সময়ের জন্য ইহার সংগে সম্বন্ধযুক্ত এলাকায় অথবা গ্রামে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

উপধারা-(২) খাজনার হার সমূহের ছকের কোনো লিখনীর বিরুদ্ধে আপত্তিকারী ব্যক্তি (১) উপধারা অনুযায়ী প্রকাশের ১ম দিন হইতে ৩০ দিনের ভিতর রাজস্ব অফিসারের কাছে দরখাস্ত করিতে পারিবে ও রাজস্ব অফিসার ঐরূপ কোনো আপত্তি বিবেচনা করিবেন এবং ছকের পরিবর্তন অথবা সংশোধন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৩) উক্ত সময়ের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি না জানানো হয় অথবা অথবা যদি আপত্তি জানানো হয় তবে উহার নিষ্পত্তির পর রাজস্ব অফিসার তাহার প্রস্তাবের কারণসমূহের পূর্ণ বিবরণ তত্সহ প্রয়োজনীয় বিবরণ এবং প্রতি শ্রেণীর ভূমির বর্তমান খাজনার হার ও প্রাপ্ত আপত্তিসমূহের সংক্ষিপ্ত সারসহ তাহার কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন ।

উপধারা-(৪) উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ (৩) উপধারার অধীনে দাখিলকৃত ছক পরিবর্তনসহ অথবা পরিবর্তন ছাড়া অনুমোদন করিতে পারিবেন অথবা পুনঃ পরীক্ষণের জন্য ফেরত্‍ পাঠাইতে পারিবেন ।

উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে খাজনার হারসমূহের ছক উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয় সেক্ষেত্রে অনুমোদনের আদেশকে ইহা প্রণয়নের নিমিত্ত কার্যক্রম অত্র আইন মোতাবেক সঠিকভাবে পরিচালিত হইয়াছে বলিয়া চূড়ান্ত সাক্ষ্যরূপে গণ্য করা হইবে এবং প্রতি শ্রেণীর ভূমির জন্য ছকে দেখানো হার প্রযোজ্য এলাকায় অবস্থিত উক্ত শ্রেণীর জন্য প্রদান যথাযথ ও ন্যায়সংগত হার বলিয়া অনুমান করা হইবে ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #23 on: October 22, 2011, 07:38:59 AM »
ধারা-১০২ (সর্বোচ্চ হার হিসাবে ছকে প্রদর্শিত হার )

১০১ ধারার অধীনে অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে দেখানো যে কোন শ্রেণীর ভূমির জন্য খাজনার হার সেই সর্বোচ্চ পরিমাণ হইবে যাহা ঐরূপ শ্রেণীর ভূমির জন্য একজন রায়ত বা অকৃষি প্রজার খাজনা নির্ধারণ করা যাইবে ।

ধারা-১০৩ (খতিয়ানে যে সকল বিবরণ থাকিতে হইবে )

১০০ ধারার (২) এবং (৪) উপধারায় উল্লেখিত একক ও খাজনার হার যাহা অত্র অধ্যায়ের অধীনে উক্ত ইউনিটের অন্তর্গত বিভিন্ন শ্রেনীর ভূমির জন্য নির্ধারিত হয় তদবিষয়ের বিবরণ অত্র খণ্ডের অধীনে পরিচালিত ঐ এককের খতিয়ানের অংশ হিসাবে গণ্য হইবে ।

ধারা-১০৪ (খাজনার হারসমূহের স্থায়িত্বকাল)

যে ক্ষেত্রে কোনো জেলা, জেলার অংশ বা এলাকার এককের জন্য অত্র অধ্যায়ের হার নির্ধারিত হয় এবং ১০০ ধারায় অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে প্রদর্শিত হয় সেক্ষেত্রে ঐ অনুমোদনের তারিখ হইতে কুড়ি (২০) বত্সর সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উহা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

ধারা-১০৫ (খাজনা বৃদ্ধির কারণসমূহ ও সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) কোনো ভুমির জন্য কোনো রায়ত (অথবা অকৃষি প্রজার) প্রদেয় খাজনা এই জন্য বৃদ্ধি করা যাইবে যে, তদকর্তৃক দেয় খাজনার পরিমাণ যে এককে উক্ত ভূমি অবস্থিত এবং যে এককের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ১১১ ধারা মোতাবেক অনুমোদিত খাজনার হারের ছকভুক্ত সেই এককের অনুরূপ শ্রেণীসমূহের ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত খাজনার হারে হিসাবকৃত খাজনার পরিমাণ মূলত কম হয় ।

উপধারা-(২) যে সমস্ত ক্ষেত্রে অব্যবহিত পূর্ববর্তী বত্সরের দেয় খাজনার চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি করা হয় ও অপর যে সমস্ত ক্ষেত্রে তিনি বিবেচনা করেন যে, তাত্ক্ষনিক খাজনা বৃদ্ধি দুর্ভোগ সৃষ্টি করিবে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, উক্ত খাজনা বৃদ্ধি বার্ষিক হিসাবে এই উদ্দেশ্যে তদকর্তৃক নির্ধারিত কয়েক বত্সরের জন্য কার্যকর হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, অব্যবহিত পূর্ববর্তী বত্সরের যে সময় হইতে ১১৩ ধারা অনুযায়ী নতুন খাজনা হিসাব করা হয় বিশেষ বত্সরে খাজনা বৃদ্ধি উক্ত বত্সরের দেয় খাজনার শতকরা ৫০ ভাগের বেশী হইতে পারিবে না ।

 

ধারা-১০৬ (খাজনা কমানোর কারণসমূহ)

নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণে রায়ত কর্তৃক দেয় কোনো জোতের খাজনা হ্রাস করা যাইবে যথাঃ

(ক) যদি কোনো রায়ত কর্তৃক দেয় খাজনা তাহার জোত ভূমি যেই ইউনিটে অবস্থিত সেই ইউনিটের অনুরূপ শ্রেণীসমূহের ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত এবং উক্ত ইউনিটের জন্য প্রযোজ্য খাজনার হারের ছকে অন্তর্ভুক্ত এবং ১০১ ধারায় অনুমোদিত খাজনা অপেক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশী হয় ।

(খ) বালি সঞ্চিত হওয়ার ফলে অথবা অপর কোনো আকস্মিক অথবা নিয়মিত প্রাকৃতিক কারণে যদি জোতের ভূমি খারাপ বা অনুর্বর হয়; এবং

(গ) যদি খাজনা শেষ নির্ধারিত হওয়ার সময় বিদ্যমান কোনো সেচ অথবা জল নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বা সেই সময় বিদ্যমান কোন বাঁধ অথবা বেড়ী যদি ভাংগিয়া যায় এবং উহার ফলে জোতের ভূমি খারাপ বা অনুর্বর হয় ।

ধারা-১০৬ক (খাজনা হ্রাসের কারণ)

কোনো প্রজা স্বত্বের অকৃষি প্রজা কর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনা এই কারণে হ্রাস পাইতে পারে সে তদকর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনার পরিমাণে যে ইউনিটে ঐ প্রজাস্বত্বের অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে অন্তর্ভুক্ত সেই ইউনিটের একই শ্রেণীর জমির এই অধ্যায় অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনার হারে হিসাবকৃত খাজনার পরিমাণের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশী থাকে ।

ধারা-১০৭ (যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ)

উপধারা-(১)  অত্র অধ্যায়ের অধীনে খাজনার হারের কোনো ছক প্রণযন ও অনুমোদনের পর রাজস্ব অফিসার পূর্ববর্তী ধারাসমূহের বিধানবলী মোতাবেক সেই এলাকার খাজনার হারের ছক প্রযোজ্য হয় সেই এলাকার সমস্ত প্রজাগণের ন্যায্য ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের জন্য ও ৯৯ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদের নির্দেশ মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ণের জন্য অগ্রসর হইবেন ।

উপধারা-(২) রাজস্ব অফিসারের যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ এবং খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করার উদ্দেশ্যে ঐরূপ প্রণয়নকৃত এবং অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে বর্ণিত খাজনার হার দ্বারা চালিত হইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, রাজস্ব অফিসার যদি লিখিত কারণ লিপিবদ্ধসাপেক্ষে বিবেচনা করেন যে, বিশেষ ক্ষেত্রে এবং বিশেষ বিশেষ এলাকায় উক্ত হারের প্রয়োগ অ-যথাযথ ও অন্যায়সংগত হইবে তবে তিনি উক্ত হার ঐ রূপ ক্ষেত্রেঅথবা এলাকায় প্রয়োগ করিতে বাধ্য নহেন ।

উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে অকৃষি ভূমি প্রজাস্বত্বে অন্তভূর্ক্ত অকৃষি ভূমি ছাড়া অন্য ভূমি নিয়া গঠিত হয় বা যেক্ষেত্রে ভূমির শ্রেণী বিন্যাস আংশিকভাবে কৃষি হইতে অকৃষিতে পরিবর্তিত হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ।

(অ) অকৃষি ও কৃষি ভূমির জন্য পৃথক প্রজাস্বত্ব গঠন করিবার জন্য প্রজাস্বত্বকে বিভক্ত করিবেন;

(অ) ঐরূপ গঠিত প্রজাস্বত্বের মধ্যে বর্তমান খাজনা বন্টন করিবেন ।

(ই) অত্র অধ্যায়ের বিধানবলী অনুযায়ী কৃষি এবং অকৃষি ভূমির জন্য ন্যায্য এবং ন্যায়সংগত খাজনা হিসাব করিবেন ।

ধারা-১০৮ (জরিপী খাজনা নির্ধারণ বিবরণীর প্রাথমিক প্রকাশনা ও সংশোধন)

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণযন করা হয়, সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত উপায়ে ও নির্ধারিত সময়ের জন্য ইহার একটি খসড়া প্রকাশনার ব্যবস্থা করিবেন ও উক্ত সময়কালে কোনো কিছু বাদ পড়া সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ এবং বিবেচনা করিবেন এবং সরকার কর্তৃক প্রস্তুত বিধিমালা অনুযায়ী উক্ত আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি করিবেন ।

উপধারা-(২) রাজস্ব অফিসার স্বীয় উদ্যোগে অথবা ক্ষতি গ্রস্থ পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০৯ ধারা অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট খাজনা নির্ধারণ বিবরণী দাখিল করার আগে যে কোনো সময় উহাতে ভুক্ত খাজনার পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট প্রজাকে হাজির হইবার এবং উক্ত বিষয়ে শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া কোনো অন্তর্ভুক্তির পরিমার্জন করা যাইবে না ।

ধারা-১০৯ (খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদন এবং চূড়ান্ত প্রকাশ ও স্বত্বলিপিতে ইহা অন্তর্ভুক্তকরণ)

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ১০৮ ধারার অধীন সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার  তাহার প্রস্তাবসমূহের কারণগুলি পূর্ণ বিবরণ এবং তদকর্তৃক গৃহীত আপত্তিসমূহের, যদি থাকে, সংক্ষিপ্তসার সম্বলিত খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদনের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করিবেন ।

উপধারা-(২) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ সংশোধনসমূহ বা সংশোধন ছাড়া খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদন করিতে পারিবেন অথবা পুনঃপরীক্ষণের নিমিত্ত ফেরত্‍ পাঠাইতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট প্রজাকে হাজির হওয়ার এবং ঐ বিষয়ে শুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান না করিয়া কোনো অন্তর্ভুক্তি সংশোধন অথবা বাদ অন্তর্ভুক্ত করা হইবে না ।

উপধারা-(৩) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর রাজস্ব অফিসার চূড়ান্তরূপে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করিবেন এবং নির্ধারিত উপায়ে উহা প্রকাশ করিবেন ও এই খণ্ডের অধীনে রক্ষিত খাজনা নির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত এলাকার জন্য খতিয়ানে ইহা অন্তর্ভূক্ত করিবেন ও ঐরূপ প্রকাশকে এই অধ্যায় মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত এলাকার জন্য খতিয়ানে ইহা অন্তর্ভুক্ত করিবেন ও ঐরূপ প্রকাশকে এই অধ্যায় মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ বিবরণী যথাযথভাবে প্রস্তুত করা হইয়াছে মর্মে চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #24 on: October 22, 2011, 07:39:24 AM »
ধারা-১১০ (উর্ধ্বতন রাজস্ব অফিসারের সমীপে আপিল ও তদকর্তৃক রিভিশন)

উপধারা-(১) যদি কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করা হয় তবে সেই আদেশের  তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে ১০৮ ধারার অধীন উত্থাপিত আপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশের বিরুদ্ধে অথবা ১০৯ ধারার অধীন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সমীপে আপিল করা যাইবে ।

উপধারা-(২) এই অধ্যায়ের অধীনে ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো ক্ষেত্রে ইহার স্বীয় উদ্যোগে বা কোনো দরখাস্তের ভিত্তিতে ১০৯ (২) ধারার অধীন খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদনের আদেশের বা (১) উপধারা মোতাবেক উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত আদেশের, যাহা পরে ঘটে, ছয় মাসের মধ্যে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অথবা উহার অংশ পরিমার্জনের নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, কিন্তু ইহা দ্বারা বিশেষ জজ কর্তৃক ১১১ ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে হাজির হইবার এবং উক্ত বিষয় শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবে না ।

ধারা-১১১ (বিশেষ জজের নিকট আপিল)

উপধারা-(১)  ১০৮ ধারার অধীন দায়েরকৃত আপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা অথবা ১০৯ ধারা অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত উপায়ে অত্র উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ জজের নিকট আপিল করিতে পারিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ১১০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী এই ব্যাপারে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা হয় নাই ।'

উপধারা-(২) হাইকোর্ট কর্তৃক রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করিয়া প্রদত্ত আদেশ কোনো আপিলে বিশেষ জজের আদেশ চূড়ান্ত হইবে এবং অত্র ধারায় বিশেষ জজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করা চলিবে না ।

উপধারা-(৩) ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানসমূহ অত্র ধারায় বিশেষ জজের কাছে দায়েরকৃত আপিলের বেলায় প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা-১১১ক (ভুলসমূহ শুদ্ধকরণ এবং খাজনার বিবরণী পরিবর্তন)

১০৯ (৩) ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত  হওয়ার আগে যে কোনো সময় রাজস্ব অফিসার খাজনা নির্ধারণ বিবরণীতে করণিক ভুল শুদ্ধ করিতে পারিবেন এবং ১১০ এবং ১১১ ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ কার্যকর করার জন্য যাহা প্রয়োজন করিতে পারিবেন ।

ধারা-১১২ (অত্র অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত খাজনা সম্পর্কে অনুমান)

এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত সমস্ত খাজনা শুদ্ধরূপে নির্ধারিত করা হইয়াছে এবং যথাযথ ও ন্যায়সংগত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

ধারা-১১৩ (যে তারিখ হইতে কার্যকর হইবে)

যে ক্ষেত্রে অত্র অধ্যায় মোতাবেক কোনো এলাকার খাজনা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত হয় সেক্ষেত্রে উহা ১১০ এবং ১১১ ধারার বিধানসাপেক্ষে ১০৯ ধারার (৩) উপধারার অধীন খাজনা নির্ধারণ বিবরণী, যাহাতে উক্ত খাজনা নির্দিষ্ট করা হয়, চূড়ান্তভাবে প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।

ধারা-১১৪ (নির্ধারিত খাজনা যে সময় পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকিবে)

যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যায় অনুসারে কোনো প্রকার খাজনা নির্ধারিত হয় সেক্ষেত্রে কুড়ি (২০ বত্সর) সময়ের মধ্যে উহা বৃদ্ধি করা যাইবে না এবং ১০৬ ধারার (খ) অনুচ্ছেদ অথবা (গ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কারণ ছাড়া উক্ত সময়ের মধ্যে খাজনা কমানো যাইবে না ।

ধারা ১১৫ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে বিধি-নিষেধ)

অত্র অধ্যায়ের অধীন খাজনার হার নির্ধারণ অথবা কোনো খাজনা নির্ধারণ অথবা খাজনার হার নির্ধারণে অথবা খাজনা নির্ধারণ বাদ সম্বন্ধে কোনো মামলা অথবা অপর কোনো আইনগত কার্যক্রম ১১১ ধারায় বর্ণিত বিষয় ছাড়া কোনো দেওয়ানী আদালতে দাখিল করা যাইবে না ।

ধারা ১১৬ (একই গ্রামে প্রজার জোতের সংযুক্তকরণ)

একই গ্রামের মধ্যে একই প্রজার যদি পৃথক একাধিক ভূখণ্ড থাকে, তবে উক্ত ভূখণ্ডগুলি কিংবা উহার কতিপয় যদি পৃথক প্রজাস্বত্বের অধীন হয়, তবে উক্ত ভূখণ্ডগুলি রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশক্রমে একই প্রজাস্বত্বে সংযুক্ত করা যাইবে ।

ধারা ১১৭ (জোতের উপরিভাগ এবং উহাতে বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১) এই অংশের ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও, রাজস্ব কর্মকর্তা- (ক) ১১৬ ধারা অনুযায়ী প্রজাস্বত্বের সংযুক্তির উদ্দেশ্যে, হয় স্বীয় উদ্যোগে না হয় এই উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক সহ-শরীক প্রজা কর্তৃক তাহার নিকট আবেদনক্রমে; বা

(খ) ১১৯ ধারা অনুযায়ী মালিকের জোতের একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে, হয় তাহার নিজ উদ্যোগে না হয় এই উদ্দেশ্যে তাহার নিকট আবেদনক্রমে; বা

(গ) খাজনা বন্টনের জন্য এজমালী প্রজাস্বত্বের উপরিভাগের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক সহ-শরীক কর্তৃক তাহার নিকট আবেদনক্রমে, সহ-শরীক প্রজাদের মধ্যে এজমালী প্রজাস্বত্বের উপরিভাগ এবং উহার বকেয়া খাজনাসহ, যদি থাকে তদকর্তৃক যথাযথ ও ন্যায়সংগত বিবেচিত খাজনার বন্টনের জন্য লিখিত আদেশ দ্বারা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ আদেশ প্রদান করা হইবে না যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষদিগকে উপস্থিত হওয়ার এবং এই ব্যাপারে শুনারীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান করা না হয়ঃ

আরও শর্ত থাকে যে, যেখানে (গ) দফা অনুযায়ী আদেশ প্রদান করা হয় এবং ইহার কারণে খাজনার বণ্টন প্রজাস্বত্বের অংশের খাজনা এক টাকার নিম্নে আণয়ন করে, সেখানে এক টাকার অংশ একটি পূর্ণ টাকায় পরিণত হইবে ।

উপধারা-(২) ১৯৬৭ সালের ৮ নম্বর অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩) একটি এজমালী জোতকে উপরিভাগ করিয়া যখন (১) উপধারা অনুযায়ী আদেশ প্রদান করা হয়, তখন ঐ উপরিভাগ মাঠে চিহ্ণিত হইতে পারে এবং ক্যাডেস্ট্রাল ম্যাপে প্রদর্শিত হইতে পারে ।

ধারা-১১৮ (এই ধারাটি ১৯৬৪ সালের ৬ নং আইন দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে )

ধারা-১১৯ (জোতের একত্রীকরণের জন্য আবেদন করার অধিকারী ব্যক্তি)

উপধারা-(১) একই বা পার্শ্ববর্তী সংলগ্ন গ্রামে জমি ভোগ বা দখলকারী দুই বা ততোধিক রায়ত তাহাদের জোত-জমা একত্রীকরণের জন্য রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন পেশ করিতে পারেন এবং এইরূপ একত্রিকরণের সহিত একটি পরিকল্পনাও পেশ করিতে পারেন ।

উপধারা-(২) কোনো গ্রাম বা সংলগ্ন গ্রামসমষ্টি দুই-তৃতীয়াংশের কম নহে এমন সংখ্যক রায়ত, যদি উক্তগ্রামে বা গ্রামসমূহের তিন-চতুর্থাংশের কম নহে এইরূপ কৃষি জমি ধারণ করিয়া থাকেন এবং তাহাদের জোত-জমাসমূহ একত্রীকরণের জন্য (১) উপধারার বিধান মোতাবেক আবেদন করেন, তাহা হইলে আবেদন উক্তগ্রাম বা গ্রামসমূহের সকল রায়তের পক্ষ হইতে করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

ধারা-১২০ (আবেদন গ্রহণ)

উপধারা-(১) ১১৯ ধারা অনুযায়ী একত্রীকরণের  আবেদন পাওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত আবেদন সম্পর্কে অনুসন্ধান করিবেন এবং যদি অনুসন্ধান করার পর বিবেচনা করেন যে উক্ত আবেদন নাকচ করা জন্য অথবা একত্রীকরণ হইতে কোনো জমি বাদ দেওয়ার জন্য যথাযথ এবং যথেষ্ট কারণ আছে তাহা হইলে তিনি উক্ত আবেদন নাকচ করার আংশিক অথবা অনুমোদিত না হওয়ার কারণ প্রদর্শন করিয়া সুপারিশসহ আবেদনটি নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন এবং উক্ত ঊর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ঐরূপ সুপারিশ পাওয়ার পর যাহা যথাযথ মনে করিবে ঐরূপ আদেশ প্রদান করিবে ।

উপধারা-(২) যদি রাজস্ব কর্মকর্তা (১) উপধারা অনুযায়ী কোনো সুপারিশ না করেন অথবা যদি উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ রাজস্ব কর্মকর্তার সুপারিশ পাওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তাকে আবেদন সম্পূর্ণ বা আংশিক স্বীকার করিয়া লওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তার উক্ত আবেদন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয় স্বীকার করিয়া লইবেন এবং এই অধ্যায়ের বিধানাবলী এবং এই আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী উহা পরিচালনা করিবেন । 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #25 on: October 22, 2011, 07:39:53 AM »
ধারা-১২১ (একত্রিকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনার অনুমোদন)

যখন জোতের একত্রীকরণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনসহ দাখিল করা হয় এবং উক্ত পরিকল্পনা তদসহ উক্ত পরিকল্পনায় এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের শর্ত ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা স্বীকৃত হয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা ১২০ ধারা অনুযায়ী আবেদন সম্পূর্ণরূপেবা আংশিকরূপে স্বীকার করার পর উক্ত পরিকল্পনা পরীক্ষা করিবেন এবং উক্তরূপ পরীক্ষার পর সংশোধনসহ বা ব্যতীত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করিবেন, অন্যথায় রিভিশনের জন্য ফেরত পাঠাইতে পারেন এবং রিভিশনের পর অনুমোদন করিতে পারেন :

তবে শর্ত থাকে যে, রাজস্ব কর্মকর্তা উক্ত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করিবেন না যদি জমির পুনঃ বন্টনের পরিণতিতে খাজনার বন্টনের দ্বারা পরিকল্পনার অধীনস্থ সকল জোতের মোট খাজনার পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ।

ধারা ১২২ (একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবং উপদেষ্টা পর্ষদ নিয়োগ)

উপধারা-(১) নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে, যথা :

(ক) যেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনের সংগে জোতের একত্রীকরণের কোন পরিকল্পনা দাখিল করা না হয় বা যেখানে আবেদনের সংগে ঐরূপ পরিকল্পনা দাখিল করা হয় কিন্তু এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা উহা অস্বীকৃত হয় নাই; বা -

(আ) যেখানে ঐ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী আবেদন জানানো হইয়াছে; বা

(ই) যেখানে সরকার নোটিফিকেশনের দ্বারা আদেশ প্রণয়ন করিয়া নির্দেশ দেয় যে কোনো এলাকায় জোতের একত্রীকরণ সম্পন্ন হইবে এবং উক্ত এলাকার রায়তের (১ক) উপধারা অনুযায়ী স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, রাজস্ব কর্মকর্তা ঐ সকল গ্রামে বা এলাকায়, যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, ঐ সকল আবেদনের বা প্রত্যেক রায়তের জোতের একত্রীকরণের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করিবেন এবং ঐরূপ প্রত্যেকটি পরিকল্পনা এই আইনের বিধানাবলী ও এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হইবে ।

(১ক) (১) উপধারার (ই) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নোটিফিকেশন প্রকাশিত হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা নোটিফিকেশনের সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকার রায়তদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাহা প্রয়োজন মোতাবেক বৃদ্ধি করা যাইতে পারে, জোতের একত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুতের জন্য আহবান জানাইবেন ।

উপধারা-(২) কোনো এলাকায় (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাহাকে সাহায্য করার জন্য অথবা (১ক) উপধারা অনুযায়ী কোনো এলাকায় ক্ষেত্রে জোতের একত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, উক্ত এলাকা সম্পর্কে একটি উপদেষ্টা পর্ষদকে ঐরূপ কারিগরী সহায়তা দান করিবেন ।

(২ক) যখন (১ক) উপধারা অনুযায়ী একটি স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয় তখন রাজস্ব অফিসার ১২১ ধারায় যে নিয়ম বর্ণিত আছে ঐ নিয়ম অনুযায়ী উক্ত পরিকল্পনা পরিচালনা করিবেন ।

উপধারা-(৩) (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইহার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষগণের মধ্যে সবচাইতে বেশী স্বীকৃতি সম্বলিত একত্রীকরণের প্রস্তাবকে বিবেচনায় আনিবেন এবং একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে জমির পুনঃবন্টনের ক্ষেত্রে তিনি দেখিবেন যাহাতে জোতের সর্বমোট এলাকা বা উহা হইতে উদ্ভুত সুবিধা যতটুকু সম্ভব কম পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

উপধারা-(৪) যদি (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, জমির পুনঃবন্টন তাহার জমির মূল খণ্ডের বাজার মূল্যের চাইতে রায়তের নিকট বণ্টনকৃত জমির খণ্ডের বাজার মূল্য কম আনয়ন করে তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা ঐ পরিকল্পনার মধ্যে ঐ রায়তকে ঐ রায়ত দ্বারা, যে রাজস্ব কর্মকর্তার মতানুসারে প্রথোমোক্ত রায়তের বেশী মূল্যবান জমি বন্দোবস্ত দ্বারা উপকৃত হয়, ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

উপধারা-(৫) (১) উপধারা অনুযায়ী জোত একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তা যেখানে জমি ঐ প্রকারের হয় যাহাতে বিভিন্ন এলাকায় উত্পাদিকা শক্তি এক বত্সর হইতে আর এক বত্সরে পরিবর্তিত হয় এই বিষয় যথাযথ বিবেচনার মধ্যে আনিবেন, যতটুকু সম্ভব জোতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করিবেন এবং যেখানে দাগগুলি বিভিন্ন সমতলে অবস্থান করে সেখানে জোতকে দুই বা ততোধিক ব্লকে একত্র করিতে পারেন যাহাতে প্রত্যেকটি বিভিন্ন সমতলে থাকে ।

উপধারা-(৬) ১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারা অনুযায়ী কোন এলাকায় জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা অনুমোদনের পূর্বে উক্ত এলাকায় অবস্থিত জমিতে সংযুক্ত রেহেনসহ সমস্ত দায়ের যতটুকু সম্ভব নিশ্চয়তা বিধান করিবেন এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিয়া দায়ের সুবিধা প্রাপক ব্যক্তিগণকে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে স্বার্থ সম্পর্ক ঘোষণা দিবার জন্য আহবান জানাইবেন এবং তখন যে ব্যক্তির অনুকূলে দায় সৃষ্টি করা হইয়াছে তাহার তাহার দায়িত্ব হইবে উক্ত নোটিশে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট উক্ত দায় সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করা এবং যদি উক্ত ব্যক্তি সময়ে দায় সম্পর্কে ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মূলত দায়বদ্ধ জমির অংশবিশেষ, যাহা একত্রীকরণের পর মালিকের থাকিল না, এবং এর সহিত সংযুক্ত দায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিবে ।

উপধারা-(৭) (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তা দেখিবেন যাহাতে এই পরিকল্পনার অধীনস্থ সকল জোতের মোট খাজনার জমির পুনঃবন্টনের পরিণতিতে খাজনা বন্টনের দ্বারা হ্রাসপ্রাপ্ত না হয় ।

উপধারা-(৮) যেখানে জোতের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরবর্তিত, সেখানে জোতের একত্রীকরণের জন্য কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তা একই সংগে এইভাবে খাজনা বন্ট ন করিবেন যাহাতে জোতের মালিকের উপর পরিণতি পূর্বের মত প্রত্যেক জোতের মূল্যের অনুপাতে থাকে ।

উপধারা-(৯) প্রত্যেক একত্রীকৃত জোতের একটি পৃথক খাজনা থাকিবে ।

ধারা ১২৩ (পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ এবং আপত্তি শুনানী)

উপধারা-(১) যখন জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, প্রকাশের সময় কোনো কিছু ভুক্ত হওয়া বা কোনো কিছু বাদ যাওয়া সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ করিবেন ও বিবেচনা করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী ঐ সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করিবেন ।

উপধারা-(২) যদি উক্ত সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি উত্থাপন না করা হয় অথবা যেখানে আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছে এবং উক্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করা হইয়াছে, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৩) ই, পি, অধ্যাদেশ নং ১৫/১৯৬১ এর দ্বারা বাতিল ।

ধারা-১২৪ (আপিল)-

উপধারা-(১) ১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল দায়ের করিতে পারে এবং এইরূপ আপিলে উক্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত (২) উপধারার শর্তসাপেক্ষে, চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

উপধারা-(২) উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (১) উপধারা অনুযায়ী প্রত্যেক আপিলের আদেশের বিরুদ্ধে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারের নিকট দ্বিতীয় আপিল করা যাইবে ।

ধারা-১২৫ (পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন) যখন ১২৪ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আপিল করার সময়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং যদি এইরূপ কোনো আপিল  করা হয়, যখন উক্ত ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী দ্বিতীয় আপিল করার সময়েরও পরিসমাপ্তি ঘটে এবং উক্ত ধারার (১) এবং (২) উপধারা অনুযায়ী সকল আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্ত আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্ত আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ করিয়া চূড়ান্ত আদেশ প্রদান না করা হয়, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা প্রয়োজন মোতাবেক উক্ত ধারা অনুযায়ী আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত আদেশ বলবত্‍ করার জন্য পরিকল্পনা সংশোধন করিবে এবং অতঃপর উক্ত পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করিয়া একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #26 on: October 22, 2011, 07:40:19 AM »
ধারা-১২৬ (পরিকল্পনা অনুমোদন হওয়ার পর গ্রামের স্বত্বলিপি সংশোধন এবং উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার  তারিখ)

উপধারা-(১) ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা এই অংশ অনুযায়ী রক্ষিত, পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কিত গ্রামের বা গ্রামসমূহের স্বত্বলিপি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং সকল প্রজা যাহারা উক্ত পরিকল্পনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে তাহারা বিনামূল্যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট হইতে উক্তরূপ সংশোধিত স্বত্বলিপির এক কপি পাইবে ।

উপধারা-(২) যখন ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয় তখন উহা ঐ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১২৭ (জোতের সীমানা চিহ্নিতকরণ)

জোতের একত্রীকরণ পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার সংগে সংগে পরিকল্পনার আওতাধীন জোতের চৌহদ্দি নির্ধারণ করার জন্য অথবা জোতের অন্তর্ভুক্ত সরেজমিনে জমির অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য রাজস্ব কর্মকর্তা যাহা অনুমোদন করিতে পারেন এইরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সার্ভেয়ার বা আমীন নিযুক্ত করিবেন ।

ধারা-১২৮ (একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলাফল এবং উহার অধীনস্থ রায়তদের অধিকার)

উপধারা-(১) ১২৫ ধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর উক্ত পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কযুক্ত সকল রায়তদের উপর উহা বাধ্যকর হইবে ।

উপধারা-(২) ১৯৬১ সালের ১৫ নং অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে।

উপধারা-(৩) ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক রায়ত যেদিন উক্ত পরিকল্পনা কার্যকর হইবে সেইদিন হইতে বণ্টনকৃত জোতসমূহের দখলের অধিকারী হইবে, এবং রাজস্ব কর্মকর্তার ঐ রায়ত কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ বণ্টনকৃত জোতে উক্ত রায়তকে দখল প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা করিবেন ।

উপধারা-(৪)একত্রীকরণের পূর্বে তাহার মূল জোতে যেরূপ অধিকার ছিল একজন রায়তের ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনার অধীনে তাহাকে বণ্টনকৃত একই অধিকার থাকিবে ।

ধারা-১২৯ (একত্রীকরণের  জন্য পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত জমির দায়)

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ কৃত আইনে বা কোনো চুক্তিতে অন্য বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার আওতাভুক্ত রায়তের জোত উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার তারিখের অব্যববহিত পূর্বে কোনো বন্ধক বা অন্যান্য দায়ের অধীন হয় তাহা হইলে উক্ত বন্ধক বা অন্যান্য দায় ঐ তারিখ হইতে ঐ পরিকল্পনার অধীনে ঐ রায়তের নিকট বন্টনকৃত জোতের বা পরিকল্পনার মধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত ঐ জোতের অংশবিশেষ হস্তান্তরিত বা সংযুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ইহার পর হইতে যে জমি বন্ধক বা অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছে সে জমিতে বন্ধক গ্রহীতা দায় প্রাপকের অধিকারের অবলুপ্তি ঘটিবে এবং ঐ মূল জমিতে বা উহার অংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে যেখান হইতে উক্ত বন্ধক অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছে উহার যে অধিকার ছিল তাহা বণ্টনকৃত জমি বা উহার অংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে বিদ্যমান থাকিবে ।

উপধারা-(২) ১২৮ ধারার (৩) উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, রাজস্ব কর্মকর্তা রেহেন বা দায় (১) উপধারা অনুযায়ী হস্তান্তরিত হইয়াছে এইরূপ জোত বা উহার অংশবিশেষের দখলের অধিকারী রেহেনগ্রহীতা বা অন্যান্য দায়প্রাপক কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত ঐ জোতের বা উহার অংশবিশেষ রেহেনগ্রহীতা বা দায়প্রাপককে দখল গ্রহণের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন ।

ধারা-১৩০ (হস্তান্তর কার্যকরী করার জন্য দলিলের অপ্রয়োজনীয়তা)- সাময়িকভাবে বলবত্কৃত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর কার্যকরী করিতে লিখিত দলিলের প্রয়োজন হয় না ।

ধারা-১৩১ ( একত্রীকরণের কার্যক্রম বিচারাধীন থাকাবস্থায় জোতের হস্তান্তর)

উপধারা-(১) এই অধ্যায় অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম বিচারাধীন থাকা সময়ে কোনো ব্যক্তি উক্ত কার্যক্রমের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো জমি রাজস্ব কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত হস্তান্তর করিতে পারিবে না এবং যেখানে এইরূপ অনুমতি লইয়া উক্ত জমি হস্তান্তরিত হয় সেখানে হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত কার্যক্রমে পক্ষভুক্ত হইবে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে এবং জমি হস্তান্তরকারীর স্থলে তাহাকে কায়মোকাম করা হইবে ।

উপধারা-(২) ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখে ও তারিখ হইতে কোনো সহ-শরীককে বহিষ্কার করিয়া  জোতের অংশ বিশেষ লাগাতার দখলের দ্বারা স্বত্ব অর্জন করিতে পারিবে না ।

ধারা-১৩২ (একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ আদায়)

উপধারা-(১) এই অধ্যায় অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ, একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা ২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হইবে এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালাসাপেক্ষে, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারা যাহাদের জোত প্রভাবিত হইয়াছে এইরূপ রায়তদের নিকট হইতে উদ্ধার করা হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে আবেদনকারীরা তাহাদের জোত একত্রীকরণের জন্য একটি স্বীকৃত পরিকল্পনা দাখিল করিয়াছে সেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অথবা ১২২ ধারার (১ক) উপধারা অনুযায়ী প্রস্তুত স্বীকৃত পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনো খরচ উদ্ধার করা হইবে না ।

উপধারা-(২) উপরে উল্লিখিত খরচের অংশে যাহা রায়ত প্রদান করার জন্য দায়ী, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারা প্রভাবিত রায়তের জোতের ক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা হিসাবে সরকার কর্তৃক উদ্ধারযোগ্য হইবে ।

ধারা-১৩৩ (বকেয়া সরকারী দাবী হিসাবে ক্ষতিপূরণ আদায়)

১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনার ক্ষতিপূরণ হিসাবে বর্ণিত কোন অর্থ বকেয়া সরকারী দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে ।

ধারা-১৩৪ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বাধা)

এই অধ্যায়ে বর্ণিত রায়তেদর জোতের একত্রীকরণ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে কোনো আবেদন বা মামলা কোনো দেওয়ানী আদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-১৩৪ (দিনাজপুর জেলার জন্য বিশেষ বিধান)

এই অধ্যায়ের উপরে উল্লিখিত ধারাগুলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন? জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা থানা এলাকায় কার্যকরী হইয়া থাকিলে উহা প্রথম হইতে বাতিল বলিয়া ধরিয়া লওয়া  হইবে একত্রীকরণের অব্যবহিত পূর্বে পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত জমিতে প্রজাদের বিদ্যমান অধিকার ও স্বার্থ এমন স্বাভাবিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকিবে যেন কখনই একত্রীকরণ করা হয় নাই ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #27 on: October 22, 2011, 07:40:50 AM »
ধারা-১৩৫ (খাজনার কিস্তি)

 উপধারা-(১) চুক্তি অথবা প্রতিষ্ঠিত রীতিসাপেক্ষে কোন রায়ত কর্তৃক পরিশোধনীয় খাজনা দুই সমান কিস্তিতে নির্ধারিত তারিখে দেয়, হিসাবে পরিশোধ করিতে হইব ।

উপধারা-(২) চুক্তিসাপেক্ষে অকৃষি প্রজা কর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনা বার্ষিক এক কিস্তিতে কৃষি বত্ সরটির শেষ দিনে পরিশোধ করিতে হইবে ।

ধারা-১৩৬ (খাজনা প্রদানের সময় ও স্থান)

উপধারা-(১) প্রত্যেক রায়ত প্রতি কিস্তির খাজনা প্রদান করিবে বা যাচনা করিবে ও প্রত্যেক অকৃষি প্রজা যেদিন খাজনা প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকে সেই দিন সূর্যাস্তের পূর্বে উহা প্রদান করিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো রায়ত অথবা কৃষি খাজনা প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে যে কোনো সময় ঐ বত্সরের জন্য দেয় খাজনা প্রদান বা যাচনা করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) খাজনা প্রদান বা যাচনা করা যাইবে-

(ক) গ্রাম্য তহশীল অফিসে অথবা এতদ্ উদ্দেশ্যে কালেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত সুবিধাজনক স্থানে, বা

(খ) নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডার যোগে;

উপধারা-(৩) যে ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডারযোগে খাজনা প্রেরণ করা হয় সেক্ষেত্রে বিপরীত কিছু প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত অনুমান করা হইবে যে উহা যাচনা করা হইয়াছে ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে ডাক মানি অর্ডারযোগে প্রেরিত খাজনার অর্থ গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে এই গ্রহণের ঘটনাকে ডাক মানি অর্ডার ফরমে উল্লিখিত বিবরণাদির শুদ্ধতা স্বীকারের সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা করা চলিবে না ।

উপধারা-(৫) যদি কোনো খাজনা বা উহার কোনো কিস্তির বা কিস্তির অংশ পরিশোধযোগ্য হইলে বা তত্পূর্বে প্রদান করা না হইলে উহা বকেয়া খাজনা হিসাবে গণ্য করা হইবে ।

ধারা-১৩৭ (খাজনা পরিশোধ বন্টন)

যেক্ষেত্রে একজন রায়ত বা অকৃষি রায়ত খাজনা বাবদ কোনো অর্থ প্রদান করে সেক্ষেত্রে উহা দ্বারা আপাতত বলবত্‍ আইনে তামাদি হয় নাই এমন কোনো বকেয়া, যদি থাকে, মিটানো হইবে এবং বকেয়া মিটাইবার পর কোনো অতিরিক্ত অর্থ থাকিলে বা কোনো বকেয়া না থাকিলে সম্পূর্ণ অর্থ চলতি বত্সরের খাজনার জন্য পরিশোধিত হইবে ।

ধারা-১৩৮ (খাজনা প্রদান করিলে রায়ত রসিদ পাওয়ার অধিকারী)

প্রত্যেক রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কালেক্টর কর্তৃক লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে একটি লিখিত রসিদ পাইবার অধিকারী হইবে যাহা উক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে ।

ধারা-১৩৯ (বকেয়ার দায়ে জোত বিক্রয়)

কোনো রায়তের জোত বা কোনো অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব উহার খাজনার দায়ে ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক স্বাক্ষরকৃত কোনো সার্টিফিকেট জারীমূলে বিক্রয়যোগ্য হইবে এবং খাজনাই উহার উপর প্রথম চার্জ হইবে ।

ধারা-১৪০ (বকেয়াসমূহের উপর সুদ)

কোনো খাজনা অথবা উহার কিস্তি দেয় হওয়ার তারিখ হইতে প্রদানের তারিখ পর্যন্ত বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট দায়েরের তারিখ পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটে, সময়ের নিমিত্ত ঐরূপ খাজনা অথবা কিস্তির টাকার উপর শতকরা ৬.২৫ টাকা হারে সাধারণ সুদ প্রদান করিতে হইবে ।

ধারা-১৪১ (১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক বকেয়া খাজনা আদায়)

সকল প্রকার বকেয়া খাজনা শুধুমাত্র ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের অধীনে সরকার এই বিষয়ে যে বিধি প্রণয়ন করিবেন উহার বিধানসাপেক্ষে আদায় করা যাইবে, অন্য প্রকার নহে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীনে স্বাক্ষরিত বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য উক্ত সার্টিফিকেট দায়িককে গ্রেফতার এবং তাহাকে দেওয়ানী কায়াদ আটক করিয়া কার্যকরী করা যাইবে না।

ধারা ১৪১ক (কতিপয় ক্ষেত্রে বিক্রয় বন্ধ করার জন্য আদালতে বন্ধকের দেনা হিসাবে অর্থ প্রদান)

যেক্ষেত্রে কোনো সহ-অংশীদার, প্রজার কোনো জোত বা প্রজাস্বত্বের স্বার্থ ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক স্বাক্ষরিত দেয় দাবী আদায়ের সার্টিফিকেট জারীর উদ্দেশ্যে বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপিত হয় ইহাতে তাহার স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেক্ষেত্রে বিক্রয়কে বন্ধ করার জন্য যদি সে প্রয়োজনীয় অর্থ আদালতে প্রদান করে সেক্ষেত্রে-

(ক) তদকর্তৃক প্রদত্ত অর্থ শতকরা বার্ষিক  সোয়া ৬ টাকা হারে সুদসহ দেনা হিসাবে গণ্য হইবে ও উক্ত জোত অথবা প্রজাস্বত্ব তাহার নিকট বন্ধক দ্বারা নিশ্চয়তা প্রদান করা হইবে; ও

(খ) ঐ জমি অথবা প্রজাস্বতের উপর বকেয়া খাজনার দায় ছাড়া অপর কোনো দায়ের চেয়ে তাহার বন্ধক অগ্রাধিকার পাইবে ।

(২) অত্র ধারার কোনো কিছুই উক্ত সহ-শরীকদারের অপর কোনো প্রতিকারের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না ।

ধারা-১৪২ (তামাদি)

যে বত্সরের খাজনা বকেয়া পড়ে সেই বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য তামাদি মেয়াদ সেই বত্সরের শেষ দিন হইতে তিন বত্সর কাল হইবে ।

ধারা-১৪৩ (খতিয়ান সংরক্ষণ)

কালেক্টর অত্র আইনের ৪র্থ খণ্ড অথবা এই খণ্ড অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ান নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবেন, প্রকৃত ভুল শুদ্ধ করিয়া ও উহাতে নিম্নলিখিত হেতুতে পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত করিবেন-

(ক) হস্তান্তর অথবা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে নামজারী;

(খ) জোত ক্ষুদ্রতর অংশ ভাগকরণ, একত্রীকরণ বা সংযুক্তকরণ;

(গ) সরকার কর্তৃক ক্রয় করা ভূমি অথবা জোতের নূতন বন্দোবস্ত; এবং

(ঘ) ভূমি পরিত্যাগ অথবা সিকস্তি অথবা অধিগ্রহণজনিত কারণে খাজনা মওকুফ ।

ধারা-১৪৪ (খতিয়ানসমূহ সংশোধন)

উপধারা-(১) সরকার যদি কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করেন তবে সরকার কোনো জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার স্বত্বলিপি সরকার কর্তৃক প্রণীত অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিয়া আদেশ দিতে পারেন ।

উপধারা-(২) সাধারণভাবে উপরোল্লিখিত ক্ষমতার ক্ষতিসাধন না করিয়া সরকার বিশেষভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির যে কোনটি সম্বন্ধে আদেশ দান করিতে পারেন, যথা-

(ক) যেক্ষেত্রে মোট প্রজাগণের অর্ধেকের কম নহে ঐরূপ আদেশ প্রদানের নিমিত্ত দরখাস্ত করিয়াছে;

(খ) যেক্ষেত্রে প্রজাগণের মধ্যে বিরাজমান অথবা উত্থিত হইতে পারে এমন সাংঘাতিক ধরনের বিবাদ মীমাংসার জন্য ; এবং

(গ) যেক্ষেত্রে কোনো জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার খাজনা নির্ধারণ করা পর্যায়ে আছে ।

উপধারা-(৩) (১) উপধারায় প্রদত্ত কোনো আদেশ সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত হইলে বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত আদেশ যথাযথভাবে প্রদানের চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে ১ উপধারায় কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত আদেশ মোতাবেক প্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ানে ঐ সকল বিবরণসমূহ রেকর্ড করিবেন যেইগুলি নিরূপণ করা হইবে ।

উপধারা-(৪ক) (অ) অত্র আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, রাজস্ব  অফিসার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ করিবেন। যথা :

(ক) যেক্ষেত্রে রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক অধিকৃত ভূমির খাজনা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ৯৮ (ক) ধারার অধীন নির্ধারণ করা হয় নাই অথবা ১০৭ ধারা মোতাবেক উক্ত ভূমি সম্বন্ধীয় খাজনার ব্যবস্থা করা হয় নাই, অথবা

(খ) যেক্ষেত্রে ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কোনো ভূমির খাজনা কৃষি ভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হয় ও পরবর্তীতে উক্ত ভূমি অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় বা ভাইস ভার্সা । রাজস্ব অফিসার এই ধারা মোতাবেক কোনো খাজনা নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণের বেলায় ২৬ ধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ বিবেচনা করিবেন ।

(আ) যেক্ষেত্রে কোনো জোতের অংশ অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ৯৮(ক) ধারার ৩ উপধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন ।

উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে (৪) উপধারায় উল্লেখিত বিবরণসমূহ ধারণ অথবা অন্তর্ভূক্তির জন্য খতিয়ান প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করা হয় এবং (৪ক) উপধারা মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারণ নিয়মে প্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত স্বত্বলিপির খসড়া নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রকাশ করিবেন এবং উক্ত প্রকাশের সময় কোন কিছু অন্তর্ভুক্ত হওয়া অথবা বাদ পড়া সম্বন্ধে আপত্তিসমূহ গ্রহণ ও বিবেচনা করিবেন ।

উপধারা-(৬) (৫) উপধারা মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তির উপর রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের দ্বারা ক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের পদ মর্যাদার নীচে নয় এইরূপ নির্ধারিত রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত সময়সীমার ভিতর আপিল দায়ের করিতে পারেন ।

উপধারা-(৭) যখন ঐরূপ সমস্ত আপত্তি এবং আপিলের বিবেচনা ও নিষ্পত্তি এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক সম্পন্ন হয় তখন রাজস্ব অফিসার চূড়ান্তভাবে রেকর্ড প্রণয়ন করিবেন এবং নির্ধারিত নিয়মে উহা চূড়ান্তভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং এই ধারা মোতাবেক রেকর্ড সঠিকভাবে প্রণয়ন এবং পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছে মর্মে উক্ত প্রকাশ চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৮) যেক্ষেত্রে একটি খতিয়ান (৭) উপধারায় চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে সেইক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার ল্যাণ্ড রেকর্ডস-এর ডাইরেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের ভিতর ঐ চূড়ান্ত প্রকাশ এবং উহার তারিখের বিষয় উল্লেখ করিয়া একটি সার্টিফিকেট দিবেন এবং উহাতে তাহার নাম অফিসের পদবীসহ স্বাক্ষর ও তারিখ দিবেন ।

ধারা-১৪৪-ক (স্বত্বলিপির বিশুদ্ধতার অনুমান)

১৪৪ ধারার বিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত বা পরিমার্জনকৃত প্রতিটি স্বত্বলিপির লিখন উহাতে বর্ণিত বিষয়ের এইরূপ লিখনে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং অশুদ্ধ বলিয়া সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধ বলিয়া অনুমান করিতে হইবে ।

ধারা-১৪৪-খ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১) যখন ১৪৪ ধারার (১) উপধারার বিধান অনুযায়ী কোনো এলাকার স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের বা পরিমার্জনের নির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হয়, তখন ১১১ ধারার বিধানসাপেক্ষে, কোনো দেওয়ানী আদালত খাজনা পরিবর্তনের বা কোনো প্রজাস্বত্বের বিষয়ে প্রজার মর্যাদা নির্ধারণের জন্য কোনো মামলা বা আবেদন গ্রহণ করিবেন না এবং এইরূপ আদেশের পর যদি এইরূপ এলাকার এইরূপ কোনো মামলা বা আবেদন বিচারাধীন থাকে, তাহা আর চলিবে না এবং বাতিল হইবে এবং উক্ত তারিখের পরে কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয় বা আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়া হয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফল হইবে না ।

উপধারা-(২) এই অধ্যায় অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুত ও পরিমার্জনের কোনো নির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হইলে বা এইরূপ স্বত্বলিপি বা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, প্রকাশন, স্বাক্ষরকরণ বা তসদিককরণ সম্পর্কে দেওয়ানী আদালত কোনো মামলা বা আবেদন দাখিল করা যাইবে না এবং যদি এইরূপ কোনো মামলা বা আবেদন দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন থাকে তাহা আর চলিবে না তাহা বাতিল হইবে এবং যদি এইরূপ কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয় অথবা এইরূপ আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়া হয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফল হইবে না ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #28 on: October 22, 2011, 07:41:14 AM »
ধারা-১৪৫ (স্বত্বলিপি পরিমার্জন খরচ আদায়)

উপধারা-(১) যেখানে এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো জেলা, জেলার অংশবিশেষ বা স্থানীয় এলাকায় স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, এইরূপ প্রস্তুতকরণ ও পরিমার্জনের জন্য যাহা খরচ হইবে তাহা রায়তের এবং ভূমির অন্যান্য দখলকারীদের নিকট হইতে যদি থাকে এইরূপ অংশ কিস্তিতে আদায় করা হইবে, যাহা সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্ধারণ করিতে পারেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, চতুর্দশ অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী এইরূপ রায়তের যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যেখানে ১৪৪ ধারার (২) উপধারার (গ) দফা অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের ব্যবস্থা লওয়া হইয়াছে সেখানে খরচের কোনো অংশই রায়তেদর বা দখলকারদের নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না ।

উপধারা-(২) (১) উপধারা অনুযায়ী খরচের যে অংশ যাহা কোনো ব্যক্তির দিতে হইবে তাহা উক্ত জেলা, জেলার অংশ বিশেষ বা স্থানীয় এলাকার মধ্যে অবস্থিত উক্ত ব্যক্তির জোতের বকেয়া খাজনা বা অন্য হিসাবে যাহাই হউক, সরকার আদায় করিতে পারিবেন ।

ধারা-১৪৬ (রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর তদারক ও নিয়ন্ত্রণ)

উপধারা-(১) রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর সাধারণ তদারক ও নিয়ন্ত্রণ ভূমি প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ঐ সকল কর্মকর্তা ভূমি প্রশাসন বোর্ডের অধীন থাকিবে ।

উপধারা-(২) (১) উপধারার বিধানসাপেক্ষে বিভাগীয় কমিশনার তাহার বিভাগের অন্যান্য রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

উপধারা-(৩) উপরোল্লিখিত বিধান এবং বিভাগের কমিশনারের নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে কালেক্টর তাহার জেলার অন্যান্য সকল রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

ধারা-১৪৭ (আপিল)

এই অংশ বা এই অংশের আইন অনুযায়ী প্রণীত বিধিমালাতে আপিলের বিশেষ বিধানসাপেক্ষে রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক এই অংশের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক মূল বা আপিল আদেশের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিতভাবে আপিল করা যাইবে যথা :

(ক) কালেক্টর নিকট, যখন কালেক্টরের অধীনস্থ রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(কক) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট, যখন বিভাগের মধ্যে জেলার কালেক্টর কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(খ) ১৯৭৩ সালের পি, ও ১২ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট, যখন বিভাগের কমিশনার কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় ।

ধারা-১৪৮ (আপিলের জন্য তামাদি)

১৪৭ ধারা অনুযায়ী আপিলের জন্য তামাদির সময়সীমা যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল জানানো হয় সেই আদেশের তারিখ হইতে চলিতে থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ হইবে অর্থাত্‍-

(ক) কালেক্টরের নিকট আপিল-৩০ দিন

(খ) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল-৬০ দিন

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট আপিল-৯০ দিন।

ধারা-১৪৯ (রিভিশন)

উপধারা-(১) এই অংশের আওতায় রিভিশনের বিশেষ বিধান সাপেক্ষে, কালেক্টর তাহার নিজ উদ্যোগে তাহারাই অধীনস্থ একজন রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে বা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

(১ক) একজন বিভাগীয় কমিশনার তাহার নিজ উদ্যোগে তাহার বিভাগের মধ্যকার কোনো জেলার কালেক্টর কর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে অথবা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) ১৯৭২ সালের ১২ নং পি, ও, দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩) ভূমি প্রশাসন বোর্ড উহার নিজ উদ্যোগে এই অংশের অধীনে কোনো বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে অথবা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারেন ।

উপধারা-(৪) ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় এই অংশের অধীনে সংরক্ষিত স্বত্বলিপির লিখন অথবা এই অংশের অধীনে প্রস্তুতকৃত এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত সেটেলমেন্ট রেষ্ট রোলে যথার্থ ভুল রহিয়াছে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে সংশোধনের আদেশ দিতে পারিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়া থাকিলে এই ধারার অধীনে আদেশের পরিমার্জন করা যাইবে না ।

আরও  শর্ত থাকে যে, আপিলের সংশ্লিষ্ট পক্ষবৃন্দকে বিষয়টির উপর শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া (৪) উপধারার অধীনে কোনো সংশোধনীর আদেশ দেওয়া যাইবে না ।

ধারা-১৫০ (রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক রিভিউ)

উপধারা-(৪) একজন রাজস্ব কর্মকর্তা যে কোনো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনক্রমে অথবা স্ব-উদ্যোগে তাহার নিজের প্রদত্ত অথবা তাহার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের এই অংশের অধীনে পেশকৃত যে কোনো আদেশ রিভিউ করিতে পারেন এবং এইরূপ কোনো আদেশ রিভিউ করিতে গিয়া এইরূপ আদেশকে পরিবর্তন, খণ্ডন বা বহাল রাখিতে পারেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, (ক) এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে একটি আদেশের রিভিউর জন্য আবেদন করা না হইলে অথবা যখন এইরূপ আবেদন ত্রিশ দিন অতিবাহিত হইবার পর দাখিল করা হয় তখন উক্ত সময়ের মধ্যে আবেদন না করার যথেষ্ট কারণ ছিল রাজস্ব কর্মকর্তাকে আবেদনকারী সন্তুষ্ট না করিতে পারিলে গ্রহণ করা যাইবে না;

(খ) যদি এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা হইয়া থাকে অথবা উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের আবেদন করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে আদেশ রিভিউ গ্রহণ করা যাইবে না; এবং

(গ) উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে শুনানী করার জন্য হাজির হইবার জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত রিভিউতে একটি আদেশ সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

উপধারা-(২) রিভিউ এর আবেদন নাকচ করিয়া অথবা রিভিউতে পূর্ববর্তী কোনো আদেশ বহাল রাখিয়া আদেশ দেওয়া হইলে তার বিরুদ্ধ কোনো আপিল চলিবে না ।

ধারা-১৫১ (এই আইন অনুযায়ী আপিল, রিভিশন ও রিভিউ-এর আবেদনের জন্য তামাদির সময়সীমা গণনা)

উপধারা-(১) ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের (১৯০৮ সালের ৯ নং আইন) ৬, ৭, ৮ এবং ৯ ধারা ২৯ ধারার (২) উপধারা, পঞ্চম অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা, আপিল এবং আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং এই আইনের বিধানসাপেক্ষে পূর্ববর্তী আইনের অবশিষ্ট বিধানাবলী উক্ত অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা আপিল ও আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(২) পঞ্চম অংশে বর্ণিত সকল মামলা, আপিল ও আবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে, তামাদির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়ের না হইলে ঐরূপ দায়েরকৃত মামলা আপিল ও আবেদন খারিজ হইয়া যাইবে যদিও তামাদির বিষয় ওজর করা হয় নাই ।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #29 on: October 22, 2011, 07:41:44 AM »
ধারা-১৫১ক (কতিপয় জমির ক্ষেত্রে খাজনা মওকুফ)

উপধারা-(১) এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, যেখানে মালিক বা অকৃষি প্রজা এমন জমি অধিকারে রাখে যাহা প্রথমত গণপ্রার্থনা বা ধর্মীয় পূজা, গণ-কবর বা শ্নশানের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে ঐ জমির খাজনা মওকুফের জন্য সে নির্ধারিত ফরমে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানাইতে পারে ।

উপধারা-(২) এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসক যাহা যথাযথ মনে করিবেন এরূপ অনুসন্ধান করার পর নিশ্চয়তা বিধান করিবেন যে আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত ব্যবহৃত হয় কিনা ।

উপধারা-(৩) যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাহা হইলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঐ ব্যবহৃত জমির এলাকা নির্ধারণ করিবেন এবং ঐ এলাকার খাজনা মওকুফ করিয়া দিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন এবং যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে ঐ আবেদন প্রত্যাখ্যান করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৪) যদি (৩) উপধারা অনুযায়ী নির্ধারিত এলাকা জোত বা প্রজাস্বত্ব অংশবিশেষ হয়, তাহা হইলে জেলা প্রশাসক এই এলাকাকে অবশিষ্ট জোত বা প্রজাস্বত্ব হইতে পৃথক করিবেন এবং ঐ এলাকার জন্য নিষ্কর প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি করিবেন ।

উপধারা-(৫) যেখানে (৪) উপধারা অনুযায়ী পৃথক নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হয়, সেখানে জেলা প্রশাসক জোত বা প্রজাস্বত্ব যাহা হইতে নিষ্কর প্রজাস্বত্বের সৃষ্টি হইয়াছে, তাহার প্রদানযোগ্য খাজনা ঐ নিষ্কর প্রজাস্বত্বের এলাকার অনুপাতে হ্রাস করিবেন ।

উপধারা-(৬) (৩) উপধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ঐ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কশিনারের নিকট আপীল করিতে পারেন।

উপধারা-(৬ক) (৬) উপধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৭) ১৯৭৩ সালের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৮) ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় স্ব-উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক এই ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ পরিমার্জিত করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৯) এই ধারা অনুযায়ী খাজনা প্রদান করা হইতে অব্যাহতির আদেশ, এইরূপ আদেশের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১খ (১৫১ ধারা মোতাবেক খাজনা মওকুফবিশিষ্ট জমির খাজনা পুনঃনির্ধারণ )

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে ১৫১ক ধারা মোতাবেক যে সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিবার নিমিত্ত কোনো জমির খাজনা মওকুফ করা হইয়াছিল উহা যদি সেই সমস্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ভূমির খাজনা পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা জেলা প্রশাসকের থাকিবে এবং একই গ্রামের বা সংলগ্ন গ্রামের অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সম্বলিত ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদেয় খাজনার হার বিবেচনা করিয়া তিনি যাহা ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত মনে করিবেন সেইরূপভাবে উহা নির্ধারণ করিবেন ।

শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উপস্থিত হওয়ার এবং উক্ত বিষয়ে শুনানীর নিমিত্ত ১৫ দিনের কম নহে নোটিশ প্রদান না করিয়া উহা পুনঃনির্ধারণ করা চলিবে না ।

উপধারা-(১) উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের ভিতর (বিভাগীয় কমিশনারের) কাছে আপিল দায়ের করিতে পারে ।

উপধারা-২ক (২) উপধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের ভিতর উক্ত আদেশ রিভিশন করার জন্য ভূমি প্রশাসন বোর্ডের কাছে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে এবং বোর্ডের আদেশ চূড়ান্ত হইবে ।

উপধারা-(৩) ১৯৭৩ সনের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধার-(৪)- ঐ পুনঃনির্ধারিত খাজনা এই ধারা মোতাবেক পুনঃনির্ধারণের তারিখের পরের কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।

ধারা-১৫১গ (কতিপয় ক্ষেত্রে কৃষি জমি সম্পর্কিত রাজস্ব মওকুফ)

এই আইনের অন্যত্র ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এবং এই অধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে, যেখানে যে কোনো পরিবার কর্তৃক বাংলাদেশে অধিকৃত মোট কৃষি জমির পরিমাণ পচিঁশ বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বৈশাখ হইতে অথবা ১৫১-ঝ ধারা অনুযায়ী উহা যে তারিখ হইতে মওকুফের  অধিকারী হইবে সেই তারিখ হইতে যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, উক্ত জমি সম্পর্কিত ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে অব্যাহিত পাইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে যে পরিবারের অধিকৃত জমির পরিমাণ পঁচিশ বিঘা অতিক্রম করিয়াছিল, সে পরিবার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হইতে ১৫১ ঘ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হস্তান্তরের কারণে মোট জমির পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়া পঁচিশ বিঘা বা তাহার কম হওয়ার ফলে ভূমি রাজস্ব  মওকুফ পাওয়ার দাবির অধিকারী হইবে না ।

আরও  শর্ত থাকে যে, এই ধারা অথবা ১৫১ঝ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব মওকুফ কোনো ব্যক্তিকে ১৯৫৮ সালের অর্থ (তৃতীয় অধ্যাদেশ)। (১৯৫৮ সালের ৮২নং ই, পি, অধ্যাদেশ) অনুযায়ী অতিরিক্ত উন্নয়ন এবং রিলিফ কর, ১৯৩০ সালের বঙ্গীয় (গ্রামাঞ্চল) প্রাথমিক শিক্ষা আইন (১৯৩০ সালের ৭ নং বঙ্গীয় আইন) অনুযায়ী সেসকর ১৯৫৯ মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের (১৯৫৯ সালের ৮ নং পি, ও,) অধীনে স্থানীয় রেটস, যাহা ভূমি রাজস্বের উপর ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠে এবং সাময়িকভাবে বলবতকৃত অন্য কোনো আইন অনুযায়ী প্রদানযোগ্য অন্য কোনো খাজনা, কর, সেস কর প্রদান করা হইতে অব্যাহতি পাইবে না ।

ধারা ১৫১ঘ (পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমির অধিকারী পরিবার প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)- ১৯৭৩ সালের ৩১শে জানুয়ারীর মধ্যে, সকল পরিবারের প্রধানগণ, যাহারা হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা যাহাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বাংলাদেশে পঁচিশ বিঘার উর্ধ্বে কৃষি জমি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে অথবা বিবরণী দাখিলের তারিখে অধিকারে রাখিত বা রাখে, তাহারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে ঐ সকল জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সকল ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো শ্রেণীর ক্ষেত্রে বা কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিবরণী দাখিলের সময়সীমা যাহা যথাযথ মনে করিবেন ততদিন বর্ধিত করিতে পারিবে ।

ধারা-১৫১ঙ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলক জমি গোপন করার জন্য শাস্তি)

কোনো পরিবারের প্রধান যে বিবেচনা সংগত কারণ ব্যতীত, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১-ঘ ধারা অনুযায়ী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তদকর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছামূলকভাবে কোনো কিছু বাদ দেয়া বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে, সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী করা হয় নাই বা বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে বিবরণী দাখিলের ব্যর্থতা বা বিবরণীতে কোনো জমি বাদ বা অসত্য ঘোষণা এমন জমি সম্পর্কে ঘটে যাহা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বা তাহার পরে ঐ পরিবারের কোনো সদস্য কর্তৃক হস্তান্তরিত হইয়াছে সেই জমি বাজেয়াপ্ত হইবে না কিন্তু তাহার পরিবর্তে ঐ পরিবারের সদস্য বা সদস্যরা যে জমি দখলে রাখিয়াছে সেই জমি হইতে সমপরিমাণ জমি বাজেয়াপ্ত করা হইবে ।

ধারা ১৫১চ (কতিপয় ক্ষেত্রে মওকুফপ্রাপ্ত জোতের পুনঃনির্ধারণের জন্য দায়)

যদি কোনো ব্যক্তি যে ১৫১গ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে নিষ্কৃতি পায় পরবর্তীকালে কোনো সময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্রয়, দান, হেবার দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে কৃষি জমি অর্জন করে যাহা তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক ইতিপূর্বে অর্জিত মোট কৃষি জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া সর্বমোট পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত হয় তাহা হইলে তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের সদস্য কর্তৃক অধিকৃত সর্বমোট কৃষিজমি নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হইবে; যথা :

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে; এবং

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে অর্জনের ক্ষেত্রে ঐ অর্জনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১ছ (কতিপয় ক্ষেত্রে অর্জিত জমির জন্য পরিবারের প্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)

কোনো পরিবারের প্রধান যে অথবা যাহার পরিবারের কোনো সদস্য কৃষি জমি অর্জন করার ফলে পরিবার কর্তৃক অর্জিত কৃষিজমির মোট পরিমাণ ১৫১চ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হয় ঐ অর্জনের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে তত্কর্তৃক ও তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক সকল কৃষি জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।

ধারা-১৫১জ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলকভাবে জমি গোপন রাখার জন্য শাস্তি)

একজন পরিবারের প্রধান যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১ছ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু বাদ দেয় বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে সে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী দাখিল করা হয় নাই বা যাহা বিবরণী হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে ঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

ধারা ১৫১ঝ (জমির পরিমাণে হ্রাসপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি )

যেখানে কোনো পরিবার কর্তৃক ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৫১ঘ বা ১৫১জ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের পর উত্তরাধিকার বা প্রকৃত হস্তান্তরের কারণে পচিঁশ বিঘা বা তাহার কম হয়, সেখানে ঐ পরিবারের প্রধান নির্ধারিত ফরমে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি চাহিয়া ঐ হ্রাসপ্রাপ্তির তারিখ ও কারণ বর্ণনা করিয়া রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানাইতে পারিবে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা যথাযথ অনুসন্ধান করার পর আবেদনে বর্ণিত বিবরণী সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইয়া নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ঐ নিষ্কৃতি অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন, যথা :

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে ।

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরে আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ আবেদনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্ সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১ ঞ (পরিবার ও পরিবারের প্রধানের সংজ্ঞা)

(ক) কোনো ব্যক্তি সম্পর্কিক 'পরিবার' ঐ ব্যক্তি ও তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধু, পুত্রের পুত্র ও পুত্রের অবিবাহিতা কন্যা ।

তবে শর্ত এই যে, একজন বয়স্ক ও বিবাহিত পুত্র যে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পূর্ব হইতে বিরামহীনভাবে তাহার পিতামাতা হইতে স্বাধীনভাবে পৃথক মেসে বসবাস করিয়া আসিতেছে সেও তাহার স্ত্রী-পুত্র ও অবিবাহিতা কন্যা একটি পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।

আর ও শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবোত্তর বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি যেখানে সুবিধাভোগীদের তাহাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে ঐ সকল সম্পত্তি হস্তান্তর করার অধিকার থাকে সেইক্ষেত্রে ঐ সকল সুবিধাভোগীরা একত্রে ঐ সকল জমি সম্পর্কিত পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।

(২) ''পরিবারের প্রধান'' বলিতে বুঝায়-

(১) (ক) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ঐ পুরুষ বা মহিলা যাহার সম্পর্ক দ্বারা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত নিয়মে পরিবার নির্ধারণ করেন ।

(১) (খ) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্রে মুতওয়াল্লী, সেবায়েত বা ট্রাস্টিকে, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয় ।

ধারা-১৫২ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)- (১) সরকার পূর্বে প্রকাশ করার পর এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে কার্যকর করার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

(২) বিশেষভাবে ও উপরোক্ত ক্ষমতার সাধারণভাবে কোন হানিকর কিছু না করিয়া নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের সকল অথবা যে কোন একটির জন্য উক্ত বিধিমালায় থাকিবে, যথা :

(ক) ৮৬ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম ও ঐ উপধারায় বর্ণিত মওকুফের পরিমাণ নির্ধারণ করিবার নিয়ম;

(খ) বাতিল

(গ) ৮৯ ধারায় (১) উপধারা ক অনুচ্ছেদ এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশের ফরম ও উহাতে বর্ণিত প্রসেস ফী এর পরিমাণ;

(ঘ) ৯০ ধারার (৩) ও (৪) উপধারায় বর্ণিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ

(ঙ) ৯২ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশের ফরম ও যে নিয়মে যে সময়ের মধ্যে ঐ নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ প্রকাশের নিয়ম,

(চ) ৯৪ ধারা মোতাবেক দায় হস্তান্তর করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ভূমি নির্ধারণের নিয়ম বা উপায়;

(ছ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার ক অনুচ্ছেদে বর্ণিত খাজনার হার নির্ধারণ করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি ও প্রয়োগকৃত ক্ষমতা ও উক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার হারের টেবিলের ফরম, ঐ টেবিলের প্রস্তুতকরণের নিয়ম এবং উহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;

(জ) ৯৯ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার বন্দোবস্তকৃত খাজনা বিবরণী-এর ফরম, উহা প্রস্তুতের নিয়ম ও উহাতে বণীর্ত বিবরণসমূহ;

(ঝ) ১০০ ধারার (২) উপধারার চ অনুচ্ছেদ এবং (৩) উপধারায় বর্ণিত খাজনার গড় হার নির্ধারণের সময়;

(ট) ১০১ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক খাজনার হারের খসড়া টেবিলের প্