ভাগ-৫
অকৃত উইল সম্পর্কিত উত্তরাধিকার
অধ্যায় - এক
প্রাথমিক
ধারা-২৯৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- (১) এইভাগ ১লা জানুয়ারী ১৮৬৬ সালের পূর্বে ঘটমান কোন উইলবিহীন অবস্থা অথবা কোন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না৷
(২) উপ-ধারা (১) অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, এই ভাগের বিধানাবলী সকল উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন সৃষ্টি করিবে৷
ধারা ৩০৷ মৃত ব্যক্তি কোন সম্পত্তি উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া মারা গিয়াছে সম্পর্কে৷- কোন ব্যক্তি কার্যকর হইতে সক্ষম উইল সম্পর্কিত বিলিব্যবস্থা করেন নাই এইরূপ সকল সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন (অকৃত উইল) অবস্থায় মারা গিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
উদাহরণ
(অ) 'ক' কোন উইল না করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সমস্ত সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(আ) 'ক' উইল করিয়া এবং 'খ' কে তাহার নির্বাহক নিয়োগ করিয়া মারা যান, কিন্তু উইলে আর অন্যকোন বিধান নাই৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(ই) 'ক' বেআইনী উদ্দেশ্যে সমস্ত সম্পত্তি উইল করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(ঈ) 'ক' খ কে ১০০০ এবং 'গ' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা উইল করিয়া দেন এবং উইলমূলে আর কোন কিছু প্রদান করেন নাই এবং ২০০০ টাকা রাখিয়া এবং অন্য কোন সম্পত্তি নয়, মারা যান৷ 'গ' কোন পুত্র না রাখিয়া ক-এর পূর্বে মারা গেলেন৷ ক ১০০০ টাকার বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলেন৷
অধ্যায় - দুই
পার্সি ব্যতীত অকৃত উইলের ক্ষেত্রে বিধিমালা
ধারা-৩১৷ পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবে না৷- পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোন কিছুই প্রযুক্ত হইবে না৷
ধারা-৩২৷ এইরূপ সম্পত্তি বর্তানো৷- অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি তাহার স্ত্রী বা স্বামী কিংবা ক্রমানুসারে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়গণের উপর এবং এই অধ্যায়ে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে বর্তাইবে৷
ব্যাখ্যা- একজন বিধবা, তাহার বিবাহের পূর্বে সম্পাদিত বৈধ চুক্তির দ্বারা তাহাকে তাহার স্বামীর ভূ-সম্পত্তিতে তাহার বণ্টনমূলক অংশ হইতে বাদ দেওয়া হইলে, তাহার জন্য এতদ্বারা প্রণীত বিধানে অধিকারী হইবে না৷
ধারা-৩৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী এবং সরাসরি (বা প্রত্যক্ষ) বংশধর, বা শুধুমাত্র বিধবা স্ত্রী ও জ্ঞাতি বা বিধবা স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি নয়, রাখিয়া গিয়াছেন৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন-
(ক) যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধরও রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর উল্লেখিত বিধি অনুসারে তাঁহার এক তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার বিধবা স্ত্রী এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার সরাসরি বংশধরগণ;
(খ) ৩৩ক ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত, যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া কিন্তু তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণকে রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তাঁহার সম্পত্তির অর্ধাংশ পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং অন্য অংশ পাইবে ক্রমানুযায়ী তাহার জ্ঞাতিগণ;
(গ) যদি তিনি তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকে রাখিয়া না যান, তাহলে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷
ধারা-৩৩ক৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন এবং কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই সেক্ষেত্রে বিশেষ বিধান৷- (১) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই এবং তাহার সম্পত্তি প্রকৃত মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক নয়, সেক্ষেত্রে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷
(২) যেক্ষেত্রে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক হয়, সেক্ষেত্রে বিধবা স্ত্রী উহা হইতে ৫,০০০/= টাকা পাইবেন এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বাত্সরিক ৪% হারে সুদ সহ উক্তরূপ ৫,০০০/= টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঐ সমুদয় সম্পত্তির উপর তাহার (বিধবার) চার্জ থাকিবে৷
(৩) অত্র ধারায় বিধবার জন্য প্রণীত বিধান তাহার পূর্বোক্ত সুদসহ উক্ত ৫,০০০/= টাকা পরিশোধের পরে বিদ্যমান উক্ত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশে তাহার (বিধবার) স্বার্থের অতিরিক্ত স্বরূপ এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ ৩৩ ধারার বিধান অনুযায়ী এমনভাবে বণ্টন করিয়া দিতে হইবে যেন উহা উক্ত প্রকৃত উইলকারীর সম্পত্তির সমুদয় অংশ৷
(৪) সম্পত্তির মোট মূল্য হইতে অকৃত উইলকারীর সকল দেনা এবং সত্কারে ব্যায়িত সকল অর্থ, এবং সম্পত্তির অন্যান্য সমস্ত দায় এবং চার্জ বাদ দিয়া সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে৷
(৫) অত্র দ্বারা প্রযোজ্য হইবে না-
(ক) নিম্নের কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে-
(অ) বাংলাদেশী কোন খৃস্টান,
(আ) বাংলাদেশী খৃস্টান অথবা মৃত্যুকালে বাংলাদেশী খৃস্টান ছিল এইরূপ কোন পুরুষের কোন সন্তান বা নাতি-নাতনী; বা
(ই) অত্র আইনের বিধানাবলী দ্বারা, বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২ সালের ২৪ ধারার অধীন, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রিত এইরূপ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি;
(খ) সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে মৃত ব্যক্তি উইলহীন অবস্থায় মারা না গেলে৷
ধারা-৩৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা কোন স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি রাখিয়া যান নাই৷- যেক্ষেত্রে অকৃত-উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে অতঃপর বর্ণিত বিধি অনুসারে তাহার সম্পত্তি পাইবে তাহার সরাসরি বংশধরগণ অথবা সরাসরি বংশধর নয় তাহার এমন জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণ; এবং তিনি তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকেও না রাখিয়া গেলে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হইবে সরকার৷
ধারা-৩৫৷ বিপত্নীকের অধিকার৷- স্বামী রাখিয়া স্ত্রী মারা গেলে, স্বামী উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কে একজন বিধবা স্ত্রীর যেমন অধিকার থাকে, সে (স্ত্রী) উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কেও তাঁহার (স্বামীর) একইরূপ অধিকার থাকিবে৷
সরাসরি বংশধর থাকিলে বণ্টন
ধারা-৩৬৷ বণ্টন বিধি৷- (বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গেলে বিধবার অংশ বাদ দেওয়ার পর) সরাসরি বংশধরদের মধ্যে অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টন বিধি ৩৭ থেকে ৪০ ধারায় বর্ণিত বিধির অনুরূপ হইবে৷
ধারা-৩৭৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র একটি সন্তান বা একাধিক সন্তান রাখিয়া যান৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী তাহার এক বা একাধিক সন্তান ছাড়া মৃত কোন সন্তানের মাধ্যমে কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর না রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি কেবলমাত্র একটি সন্তান থাকিলে ঐ জীবিত সন্তান অথবা তাহার সকল জীবিত সন্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিতে হইবে৷
ধারা-৩৮৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী এক বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন পৌত্র/পৌত্রী বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া জীবিত কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই এবং মৃত পৌত্র/পৌত্রীর মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বংশধরও রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে সম্পত্তি পাইবে তাহার জীবিত পৌত্র/পৌত্রী যদি কেবলমাত্র একজন থাকে, অথবা তাহার সকল জীবিত পৌত্র-পৌত্রীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইয়া যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) জন, মেরী এবং হেনরী নামে 'ক' এর তিন সন্তান ছাড়া অন্য কেউ নেই৷ তাহারা সকলে পিতার মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন৷ জন দুইটি, মেরী তিনটি এবং হেনরী চারটি সন্তান রাখিয়া যান৷ পরে ক মৃত পৌত্র/পৌত্রীর কোন বংশধর না রাখিয়া কেবলমাত্র ঐ নয়জন পৌত্র/পৌত্রী রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান৷ তাঁহার প্রত্যেক পৌত্র/পৌত্রী এক নবমাংশ করিয়া পাইবে৷
(আ) কিন্তু হেনরী যদি কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যাইতেন, তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি অকৃত উইলকারীর পাঁচ পৌত্র-পৌত্রী অর্থাত্ জন ও মেরীর সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যেত৷
ধারা-৩৯৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র প্রপৌত্র-পৌত্রী বা দূরবর্তী সরাসরি বংশধর রাখিয়া গিয়াছেন৷- একইভাবে সম্পত্তি পাইবে দাগ অনুসারে অকৃত উইলকারীর নিকটতম জীবিত সরাসরি বংশধরগণ, যেক্ষেত্রে তাহারা সকলে ধাপ অনুসারে তাহার প্রপৌত্র. পৌত্রী অথবা ধাপ অনুসারে সকলে আরো দূরবর্তী৷
ধারা-৪০৷ যে ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে নয় এবং যাহাদের মাধ্যমে দূরবর্তী বংশধর মৃত৷ - (১) যদি অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে অবস্থান করেন না এবং যে সকল ব্যক্তির বরাবরে তাহার নিকট হইতে আরো দূরবর্তী বংশধরগণ মৃত সেক্ষেত্রে উইলকারীর সরাসরি বংশধরের সংখ্যার অনুরূপ সমান ভাগে সম্পত্তি বণ্টিত হইবে, যাহারা তাহার মৃত্যুতে তাহার নিকটতম জ্ঞাতি ধাপে অবস্থান করতো অথবা তাহার উত্তরজীবি হিসাবে সরাসরি বংশধর রাখিয়া তাহার পূর্বে তাহার অনুরূপ ধাপের বংশধরগণ মারা যায়৷
(২) উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার জ্ঞাতির নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের মধ্যে উক্ত ভাগের অংশ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের সম্পর্কে উক্ত ভাগ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধর প্রত্যেকের সম্পর্কে বণ্টিত ভাগ তাহার উত্তরজীবি সন্তান বা সন্তানগণ বা অধিক দূরবর্তী সরাসরি বংশধরগণের দখলভুক্ত হইবে৷ যাহারা সর্বদা অকৃত উইলকারী উত্তরজীবি হিসাবে তাহার পিতামাতা যে অংশ পাইত ঐ অংশ গ্রহণ করেন৷
উদাহরণ
(অ) ক- এর জন, মেরী এবং হেনরী নামে তিন সন্তান ছিল৷ জন চার সন্তান, এবং মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যায়, এবং হেনরী পিতার উত্তরজীবি থাকেন৷ উইলবিহীন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ হেনরী এক-তৃতীয়াংশ জনের ৪ সন্তান এবং অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ মেরীর এক সন্তান পায়৷
(আ) ক- কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই, কিন্তু আটজন নাতি-নাতনী এবং মৃত নাতি-নাতনীর দুই সন্তান রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি নয় অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ প্রত্যেক নাতি-নাতনী এবং অবশিষ্ট এক নবমাংশ দুই প্রনাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷
(ই) ক-এর তিন সন্তান আছে, জন, মেরী এবং হেনরী৷ জন চার সন্তান, এবং জনের এক সন্তান দুই সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ 'ক' পরবর্তীতে উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায়৷ তাহার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হেনরী, এক-তৃতীয়াংশ মেরীর সন্তান এবং এক-তৃতীয়াংশ চার অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ জনের তিন উত্তরজীবি সন্তানের প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং অবশিষ্টাংশ জনের দুই নাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷
(ঈ) ক-এর দুই জন সন্তান আছে, জন এবং মেরী৷ জন তাহার গর্ভবতী স্ত্রী রাখিয়া পিতার পূর্বে মারা যান৷ তারপর ক মেরীকে রাখিয়া মারা যায় এবং যথাসময়ে জনের সন্তান জন্মায়৷ ক-এর সম্পত্তি মেরী এবং মরণোত্তর সন্তানের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়৷
সরাসরি বংশধর না থাকিলে বণ্টননীতি
ধারা-৪১৷ অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া না গেলে বণ্টননীতি৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি ধারা ৪২ হইবে ৪৮ অনুযায়ী বণ্টনের বিধিসমূহ (একজন বিধবা স্ত্রী থাকিলে তাহার অংশ বাদ দেওয়ার পর)
ধারা-৪২৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত৷- যদি অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷
ধারা-৪৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত, কিন্তু তাহার মাতা, ভাই এবং বোন জীবিত৷ - অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত এবং ভাই বা বোনও জীবিত এবং মৃত ভাই বা বোনের কোন সন্তান জীবিত না থাকে সেক্ষেত্রে মাতা এবং জীবিত প্রত্যেক ভাই বা বোন সমান অংশে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷
উদাহরণ
ক- তাহার মাতা সহোদর দুই ভাই জন ও হেনরী এবং এক বোন মেরী, যে মায়ের কন্যা, কিন্তু পিতার নয়, রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেল৷ মাতা এক-চতুর্থ অংশ এবং বৈপিত্রেয় বোন মেরী পাবে এক চতুর্থ অংশ৷
ধারা-৪৪৷ অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত থাকেন, এবং কোন ভাই বা বোন এবং কোন ভাইয়ের বা বোনের সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, যিনি বা যাহার উক্ত অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যেতে পারতেন, জীবিত থাকে, তাহলে মাতা এবং প্রত্যেক জীবিত ভাই বা বোন, এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বা বোনের জীবিত সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, এমনভাবে সম্পত্তিতে সমান অংশ পাইবে যেন উক্ত অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে এইরূপ সন্তান-সন্ততি (একাধিক হইলে)'র নিজ নিজ পিতা-মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করছেন৷
উদাহরণ
ক উইল না করে তার মাতা, তার দুই ভ্রাতা জন ও হেনরী এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত বৈমাতৃয় ভাই জজের দুই সন্তান রেখে মারা যান৷ মাতা এক পঞ্চমাংশ, মেরীর সন্তান এক পঞ্চমাংশ, জন ও হেনরী প্রত্যেকে এক পঞ্চমাংশ এবং অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশ জজের দুই সন্তানের মধ্যে বণ্টিত হবে৷
ধারা-৪৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত এবং তাহার মাতা এবং এক ভাই বা বোন কোন মৃতের ভাই বা বোনের সন্তানগণ জীবিত৷- অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু মাতা জীবিত থাকেন এবং ভাই ও বোন সকলে মৃত হন, কিন্তু অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহাদের সকল বা একজন সন্তান জীবিত থাকে, তাহা হইলে মাতা এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বোনের সন্তান বা সন্তানগণ সম্পত্তিতে এমনভাবে সমান অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় উক্তরূপ সন্তানদের (একাধিক হইলে) নিজ নিজ পিতা মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা (সন্তানরা) কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করিতেছে৷
উদাহরণ
ক- একজন অকৃত উইলকারী৷ তিনি তাহার মাতা এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত ভাই জর্জের দুই সন্তান ছাড়া কোন ভাই কিংবা বোন রাখিয়া যান নাই৷ মাতা এক-তৃতীয়াংশ, মেরীর সন্তান এ