Faculty of Humanities and Social Science > Law

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&

<< < (5/9) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়- ঊনিশ

তহবিলের আয়ের স্বার্থের দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৭২৷ তহবিলের স্বার্থ বা আয়ের দান৷- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে তহবিলের স্বার্থ বা আয় এবং দানের ভোগ সীমিত মেয়াদের হইবে বলিয়া উইলে অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত থাকে, সেক্ষেত্রে আসল এবং সুদ/স্বার্থ উত্তরদায়গ্রহীতার দখলভুক্ত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ-কে ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ দান করে৷ উক্ত সিকিউরিটিকে প্রভাবিত করার মত উইলে অন্য কোন ক্লজ থাকে না৷ খ, ক এর ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের অধিকারী হয়৷

(আ) ক, খ কে ৫.৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ এবং তাহার মৃত্যুর পরে উহা গ-কে দান করে৷ ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় উক্ত নোটের স্বার্থ লাভ করিবে এবং খ এর মৃত্যুর পরে উহার অধিকারী হইবে ''গ''৷

(ই) ক, খ কে তাহার ভূমির খাজনা দান করে৷ ''খ'' উক্ত ভূমি লাভ করিবে৷

Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায় - বিশ

বার্ষিক ভাতার দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৭৩৷ উইল দ্বারা ভিন্নরূপ অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে তত্ কর্তৃক সৃষ্ট বার্সিক ভাতা শুধুমাত্র জীবনভর প্রদেয় হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলমূলে কোন বার্ষিক ভাতা সৃষ্টি করা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে উক্ত বার্ষিক ভাতা সম্পত্তি হইতে প্রদত্ত হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকা কিংবা উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ে কোন নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগে দান করা সত্ত্বেও উইল দ্বারা বিপরীত অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে উত্তরদায়গ্রহীতা শুধুমাত্র তাহার জীবনের জন্য উক্ত বার্ষিক ভাতা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে বার্ষিক ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতি বছরে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

(আ) ''ক'' মাসিক হারে খ-কে ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতিমাসে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

(ই) ক, খ কে ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা এবং খ এর মৃত্যুর পর উহা গ কে দান করে৷ খ তাহার জীবদ্দশায় ৫০০ টাকা ভাতা পাইবে৷ গ, খ এর উত্তরজীবী হইলে সে-এর মৃত্যু থেকে তাহার মৃত্যু পর্যন্ত ৫০০ টাকা বার্ষিক ভাতা পায়৷

 

ধারা-১৭৪৷ যেক্ষেত্রে সাধারণভাবে সম্পত্তি লভ্যাংশ কিংবা সম্পত্তি হইতে বার্ষিক ভাতা প্রদত্ত হইবে বলিয়া উইলে নির্দেশ থাকে অথবা বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে উইলকৃত অর্থ বিনিয়োগকৃত হইবে সেক্ষেত্রে ন্যস্ততার সময়কাল৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুতে কোন ব্যক্তির জন্য [শিরোনাম টু লিথ], সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি উত্তরদায়গ্রহীতার উপর স্বার্থসহ ন্যস্ত হয় এবং তিনি তাহার জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের অথবা উক্ত উদ্দেশ্যে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' তাহার উইলে ''খ'' এর জন্য ১,০০০ টাকা বার্ষিক ভাতা তাহার সম্পত্তি হইতে ক্রয় করিতে হইবে বলিয়া নির্বাহকদের নির্দেশ দেন৷ ''খ'' তাহার জন্য ১,০০০ টাকার বার্ষিক ভাতা ক্রয় করিতে অথবা উক্ত বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত হইবে এমন পরিমাণ অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷

(আ) ক, খ কে একটি তহবিল দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে, খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল ''গ'' এর জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে খাটাইতে হবে৷ খ এবং গ উইলকারীর উত্তরজীবী৷ গ, খ এর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল গ এর প্রতিনিধির দখলভুক্ত হয়৷

 

ধারা-১৭৫৷ বার্ষিক ভাতা হ্রাসকরণ৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতা দান করা হয় কিন্তু উইলকারীর সম্পত্তি উইল দ্বারা প্রদত্ত সকল উত্তরদায় পরিশোধের পর্যাপ্ত না হয়, সেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতাটি উইল দ্বারা প্রদত্ত অন্যান্য আর্থিক উত্তর দায়ের ন্যায় একই অনুপাতে হ্রাস পাইবে৷

 

ধারা-১৭৬৷ যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে সমুদয় বার্ষিক ভাতা প্রথমে মিটাইতে হয়৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে অবশিষ্টের কোন অংশ অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিবার পূর্বে সমুদয় বার্ষিক ভাতা মিটাইতে হয় এবং প্রয়োজন হইলে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশ উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য হইবে৷

Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়-একুশ

পাওনাদার এবং অংশীদারের উত্তরদায় সম্পর্কে

 

ধারা-১৭৭৷ অংশীদার আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হয়৷ - যেক্ষেত্রে একজন দেনাদার তাহার পাওনাদারের বরাবরে কোন উত্তরদায় দান করে এবং উইল হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় না যে, উত্তরদায়টি দেনা মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হইয়াছে, সেক্ষেত্রে পাওনাদার উক্ত উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৭৮৷ শিশু আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং অংশলাভের অধিকারী হইবে৷- যেক্ষেত্রে কোন পিতা চুক্তিমূলে শিশুকে অংশ প্রদানে বাধ্য কিন্তু, উক্তরূপ করিতে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত শিশুকে উত্তরদায় দান করে এবং উইল দ্বারা এইরূপ ইঙ্গিত দেয় না যে উত্তরদায়টি উক্ত অংশ মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সন্তান উত্তরদায় এবং অংশগ্রহণ করার অধিকারী হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ এর সাথে বিবাহ চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং শর্ত আরোপ করে যে, সে উক্ত ইপ্সিত বিবাহের প্রত্যেক কন্যাকে তাহার বিবাহে ২০,০০০ টাকা প্রদান করিবে৷ এই শর্ত ভাঙ্গিয়া ''ক'' প্রত্যেক বিবাহিত কন্যাকে ২০,০০০ টাকা দান করে৷ উত্তরদায় গ্রহীতাগণ তাহাদের অংশ ছাড়াও এই দানের অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৭৯৷ উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য পরবর্তী বিধান দ্বারা কোন প্রত্যাহার হইবে না৷- উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য বন্দোবস্ত বা ভিন্নরূপ কোন পরবর্তী বিধানের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে কোন দান প্রত্যাহার করা যাইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, তাহার পুত্র খ কে ২০,০০০ টাকা দান করেন৷ তিনি পরবর্তীতে খ কে ২০,০০০ টাকা প্রদান করেন৷ তদদ্বারা উত্তরদায়টি প্রত্যাহৃত হয় না৷

(আ) ক তাহার এতিম ভাইঝি খ কে, যাহাকে তিনি তাহার শৈশব হইতে লালন পালন করিয়াছেন, ৪০,০০০ টাকা দান করেন৷ পরবর্তীতে খ-এর বিবাহ উপলক্ষ্যে তিনি তাহাকে ৩০,০০০ টাকা দেন৷ উত্তরদায়টি তদদ্বারা বিলুপ্ত হয় না৷

 

অধ্যায়-বাইশ

নির্বাচন সম্পর্কে

 

ধারা-১৮০৷ যে অবস্থায় নির্বাচন হইবে৷- যে কোন ব্যক্তি উইলমূলে এমন কিছু বিলি করিতে চান, যাহার বিলিব্যবস্থা করিবার অধিকার তাহার নাই, সেক্ষেত্রে জিনিসটি যে ব্যক্তির দখলভুক্ত হয় তিনি উক্ত বিলিব্যবস্থা নিশ্চিত করিবেন না উহাতে অসম্মত দিবেন তাহা নির্বাচন করিবেন, এবং পরবর্তীটির ক্ষেত্রে/ দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাহাকে উইলমূলে প্রদত্ত লাভ ত্যাগ করিতে হইবে৷

 

আলোচনা

বাছাইয়ের শর্তাবলীঃ-

(১) উইলকারী উইলের মাধ্যমে তার নিজস্ব কিছু অন্যকে দিয়া থাকে;

(২) উইলকারী উইলের মাধ্যমে আগন্তুককে যে সম্পত্তি দিতে চায় তা, উত্তরদায় গ্রহীতার দখলভুক্ত হতে হবে৷

(৩) নীতিটি কেবলমাত্র উইলের অধীনে দাবী এবং dehor দাবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে৷

 

ধারা-১৮১৷ মালিক কর্তৃক ব্যক্ত স্বার্থে হস্তান্তর৷- ১৮০ ধারায় বিধৃত অবস্থায় ত্যক্ত কোন স্বার্থ এমনভাবে উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট হস্তান্তিরত হইবে যেন উহা তাহার অনুকূলে উইলমূলে বিলিব্যবস্থা করা হয় নাই উইলদ্বারা তাহাকে প্রদত্ত হইবে বলিয়া অভিষ্ট দানের পরিমাণ বা মূল্যের চার্জ নিরাশ উইলগ্রহীতাকে দান করা সাপেক্ষে এবং সত্ত্বেও৷

 

ধারা-১৮২৷ উইলকারীর মালিকানা সম্পর্কে তাহার বিশ্বাস অপ্রাসাঙ্গিক৷- ১৮০ এবং ১৮১ ধারার বিধানাবলী, উইলকারী তাহার উইল দ্বারা যাহা বিলিব্যবস্থা করিতে চাহেন তাহা তাহার নিজের বলিয়া বিশ্বাস করুক বা না করুক, প্রযোজ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) সুলতানপুরের ফার্মিটি গ-এর ছিল৷ ক উহা উইলমূলে খ-কে দান করেন এবং গ-কে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায় দেন৷ গ তাহার ৮০০ টাকা মূল্যের সুলতানপুরের খামারটি রাখার নির্বাচন করেন৷ গ-১০০০ টাকার উত্তরদায়টি বাতিল করিয়া দেন, যাহা হইতে ৮০০ টাকা খ-এর নিকট চলিয়া যায় এবং অবশিষ্ট ২০০ টাকা অবশিষ্ট দানের মধ্যে পড়ে অথবা ক্ষেত্রমতে, উইলহীন উত্তরাধিকারের বিধি মোতাবেক বর্তায়৷

(আ) ক, খ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করেন যদি খ-এর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং তাহার সন্তান আছে) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান না থাকে৷ ক, গ-কে একটি হীরাও দান করেন, যাহা খ-এর দখলভুক্ত৷ খ কে হীরাটি ত্যাগ করিবার অথবা ভূ-সম্পত্তিটি হারাবার নির্বাচন করিতে হইবে৷

(ই) ক, খ কে ১০০০ টাকা এবং গ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করে, যাহা কোন বন্দোবস্তাধীনে ঘ-এর দখলভূক্ত হইবে যদি তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং সন্তানের অধিকারী) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান রাখিয়া না যান৷ খ-কে অবশ্যই ভূ-সম্পত্তিটি পরিত্যাগ করিবার অথবা উত্তরদায়টি ঘোরানোর নির্বাচন করিতে হইবে৷

(ঈ) ১৮ বত্সর বয়স্ক একজন ব্যক্তি ''ক'' বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নির্বাসিত কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডে রিয়েল প্রপার্টির মালিক, আইন অনুযায়ী গ যাহার উত্তরাধিকারী৷ ক, গ কে একটা উত্তরদায় দান করে এবং খ কে ''আমার যেখানেই যাহাই থাকুক সকল সম্পত্তি'' দান করে এবং ২১ বত্সরের নীচে মারা যায়৷ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টি উইলমূলে হস্তান্তরিত হয় না৷ গ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টির দাবী ত্যাগ না করিয়াই তাহার উত্তরদায়ের দাবী করিতে পারিবে৷

 

ধারা-১৮৩৷ মানুষের কল্যাণার্থে দান কিভাবে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গণ্য৷- একজন ব্যক্তির কল্যাণার্থে দান, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, তাহার নিজের বরাবরে দানের ন্যায় একই জিনিস হয়৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুর খুরডের খামারটি খ এর সম্পত্তি; ক উহা গ কে দান করে এবং তাহার নিজের নির্বাহকদের সুলতানপুর বুজুর্গ নামে আরেকটি ফার্মটি এই নির্দেশ দিয়া দান করে যে, উহা বিক্রিত হইবে এবং উহার লভ্যাংশ খ-এর দেনা পরিশোধে ব্যয় করিতে হইবে৷ খ উইলের শর্ত মানিয়া চলিবে কিনা কিংবা উহার বিপরীতে সুলতানপুর খুরড়ের খামারটি রাখিবে কিনা তাহা নির্বাচন করিবে৷

 

ধারা-১৮৪৷ পরোক্ষভাবে লাভ বঞ্চিত৷- উইলের অধীন সরাসরি কোন লাভ গ্রহণ করিতেছে না কিন্তু পরোক্ষভাবে উহার অধীন লাভ হইতে বঞ্চিত হইতেছে এইরূপ ব্যক্তি নির্বাচন করিতে পারে না৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুরের ভূমি গ এর নামে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাহার একমাত্র সন্তান খ এর নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়৷ ক উক্ত ভূমি খ-কে এবং ১০০০ টাকা গ-কে দান করে৷ গ উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় এবং কোন নির্বাচনও করে না৷ খ, গ এর সম্পত্তির দেখাশুনার ভার নেয় এবং তত্ত্বাধায়ক হিসাবে উইলের অধীনে গ এর পক্ষে ভূ-সম্পত্তি গ্রহণ করার নির্বাচন করে৷ খ উক্ত ক্ষমতায় ১,০০০ টাকার উত্তরদায় গ্রহণ করে এবং সুলতানপুর ভূমির খাজনা গ কে দেয়৷ তাহার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যে সে উইলের বিপরীতে সুলতানপুরের ভূমি দখলে রাখে৷

 

ধারা-১৮৫৷ উইলের অধীন বিশেষ যোগ্যতায় গ্রহণকারী ব্যক্তি অন্য বৈশিষ্ট্যে বিপরীতভাবে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারে৷ যে ব্যক্তি তাহার বিশেষ যোগ্যতায় উইলে অধীনে কোন লাভ গ্রহণ করে ঐ ব্যক্তি অন্য কোন চরিত্রে উইলের বিপরীতে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারিবে৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ''খ''-কে ২,০০০ টাকা এবং ''গ'' কে ১,০০০ টাকা, যে ''খ'' এর একমাত্র সন্তান, দিয়া যায়৷ ''গ'' ''খ'' এর সম্পত্তির ভার নেয় এবং প্রশাসক গিসাবে উইলের বিপরীতে উক্ত ভূ-সম্পত্তি রাখার এবং ২,০০০ টাকার উত্তর দায় পরিত্যাগ করার নির্বাচন করে৷ ''গ'' ইহা করিতে পারিবে এবং উইলের অধীন ১,০০০ টাকার উত্তরদায় দাবী করিতে পারিবে৷

 

ধারা-১৮৬৷ সর্বশেষ ৬টি ধারার বিধানাবলীর ব্যতিক্রম৷- ১৮০ ধারা থেকে ১৮৫ ধারা পর্যন্ত যাহা কিছু বলা হোক না কেন যেক্ষেত্রে কোন বিশেষ দান উত্তরদায়গ্রহীতার অধিকারভুক্ত কোন কিছুর পরিবর্তে, যাহা উইল দ্বারা বিলিব্যবস্থা করা হয়, হইবে বলিয়া উইলে প্রকাশ করা হয় তখন উত্তরদায়গ্রহীতা উক্ত বস্তু দাবী করিলে সে অবশ্য বিশেষ উপহারটি পরিত্যাগ করিবে কিন্তু উইল তাহাকে প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা সে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য নয়৷

 

উদাহরণ

''ক'' এর বিবাহ বন্দোবস্তাধীন তাহার স্ত্রী, যদি তিনি ক এর উত্তরজীবি হন, তাহার জীবদ্দশায় সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ভোগের অধিকারী৷ ক উইলমূলে উক্ত সম্পত্তির স্বার্থের পরিবর্তে তাহার স্ত্রীকে তাহার জীবদ্দশায় ২০০ টাকা বার্ষিক ভাতা দান করে এবং ভূ-সম্পত্তিটি তাহার পুত্রকে দান করে৷ তিনি তাহার স্ত্রীকে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায়ও প্রদান করেন৷ স্ত্রী বন্দোবস্তাধীন যাহা কিছু পান তাহা নেওয়ার নির্বাচন করেন৷ তিনি বার্ষিক ভাতা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবে কিন্তু, ১০০০ টাকার উত্তর দায়টি নয়৷

 

ধারা-১৮৭৷ কখন উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন উক্ত লাভ নেওয়ার নির্বাচন হইবে৷- উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন নেওয়ার জন্য উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক নির্বাচন গঠন করে যদি তাহার নির্বাচন করার অধিকার এবং নির্বাচন করিতে একজন যুক্তিসংগত ব্যক্তির রায়কে যে সমস্ত বিষয়ে প্রভাবিত করে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবগতি থাকে অথবা তিনি উক্ত বিষয়ের তদন্তের অধিকার পরিত্যাগ করে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক সুলতানপুর খুর্দ্ নামে একটি ভূ-সম্পত্তির মালিক এবং তাহার সুলতানপুর বুজুর্গ নামে অন্য একটি ভূ-সম্পত্তিতে জীবনস্বত্ব আছে, যাহাতে তাহার মৃত্যুর পর তাহার সন্তান ''খ'' পূর্ণভাবে অধিকারী হইবে৷ ''ক'' উইলমূলে সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তি ''খ'' কে এবং সুলতানপুর বুজুর্গে  সম্পত্তি ''গ'' কে দান করে৷ ''খ'' সুলতানপুর বুজুর্গের ভূ-সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে উহা ''গ'' এর দখলে নেওয়ার অনুমতি দেয় এবং সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তির দখলে প্রবেশ করে৷ ''খ'' ''গ'' কে প্রদত্ত সুলতানপুর বুজুর্গের দান করে নাই৷

(আ) ''ক'' এর জ্যেষ্ঠপুত্র খ সুলতানপুর নামে একটি ভূ-সম্পত্তির দখল দেয়৷ ''ক'' ''গ'' কে সুলতানপুর এবং ''ক'' এর সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ ''খ'' কে দান করে৷ ''খ'' এর নির্বাহক দ্বারা জ্ঞাত হয় যে, অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫,০০০ টাকা হইবে এবং সে ''গ'' কে সুলতানপুরের দখল নেওয়ার অনুমতি দেয়৷ সে পরবর্তীতে জানিতে পারে যে উক্ত অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশী হয় না৷ ''খ'' এর বরাবরে সুলতানপুর ভূ-সম্পত্তির দান নিশ্চিত করে নাই৷

 

ধারা-১৮৮৷ কোন অবস্থায় অবগতি বা স্বত্ব ত্যাগ অনুমান করিতে বা ধরিয়া নিতে হয়৷- বিপরীত মর্মে সাক্ষ্য না থাকিলে অসম্মতি প্রকাশ করার কোন কার্য সম্পাদন ব্যতিরেকে উত্তরদায়গ্রহীতা যদি উইল দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত লাভ দুই বছর ভোগ করিয়া থাকে তাহা হইলে তদন্ত সম্পর্কে জ্ঞান বা দাবী ত্যাগ অনুমান করিয়া লইতে হইবে৷

(২) উত্তরদায়গ্রহীতার কোন কার্যের ফলে যদি দানের বিষয়বস্তু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে যেন উক্তরূপ কার্যটি সম্পাদন করা হয় নাই এইরূপ একই অবস্থায় স্থাপন করিতে অসম্ভব হইয়া পড়ে তাহা হইলে উক্ত কাযর্য হইতে তদন্তের অবগতি বা দাবী ত্যাগ অনুমান করা যাইবে৷

 

উদাহরণ

''গ'' অধিকারী এইরূপ কোন ভূ-সম্পত্তি ক, খ কে এবং একটি কয়লা খনি গ কে দান করে৷ গ খনির দখল নিয়া উহা নিঃশেষ করিয়া ফেলে৷ ফলে সে খ এর বরাবরে ভূ-সম্পত্তির দানটি নিশ্চিত করিয়াছে৷

 

ধারা-১৮৯৷ কখন উইলকারীর প্রতিনিধি উত্তরদায়গ্রহীতাকে বাছাই করার আহবান করিতে পারিবে৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর পর হইতে এক বছরের মধ্যে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকারীর প্রতিনিধিকে উইলটি নিশ্চিত করার বা উহাতে সম্মতি না দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত না করে তাহা হইলে প্রতিনিধি উক্ত সময় অবসানান্তে তাহাকে বাছাই করিতে তলব করিবে এবং যদি সে উক্ত তলব গ্রহণ করিবার পরে যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে উহা পালন না করে তাহা হইলে সে উইলটি নিশ্চিত করিতে বাছাই করিয়াছে বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-১৯০৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে বাছাই স্থগিতকরণ৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে অক্ষমতার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা কোন যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাছাই না করা পর্যন্ত বাছাই স্থগিত থাকিবে৷

Sultan Mahmud Sujon:
ধ্যায়- তেইশ

মৃত্যু অনুমানে দান সম্পর্কে

ধারা-১৯১৷ মৃত্যু কল্পনায় (অনুমান) কৃত দানের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি৷- (১) একজন ব্যক্তি মৃত্যু কল্পনায় দানের মাধ্যমে কোন অস্থাবর সম্পত্তি, যাহা সে উইল দ্বারা বিলির ব্যবস্থা করিতে পারিত, বিলি ব্যবস্থা করিতে পারবি৷

(২) ঐক্ষেত্রে মৃত্যু কল্পনায়/ভাবনায় কোন দান করা হয়, যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, যিনি অসুস্থ এবং তাহার অসুস্থতার কারণে শীঘ্র মৃত্যুর আশা করেন, কোন স্থাবর সম্পত্তির দখল দান হিসাবে রাখার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করে সেক্ষেত্রে দাতা উক্ত অসুস্থতার কারণে মারা যাইবে৷

(৩) উক্ত দানদাতা কর্তৃক পুন প্রবর্তন করা যাইবে এবং যে সময়ে তিনি দানটি করিয়াছিলেন উক্ত সময়ে যদি আরোগ্য লাভ করে অথবা যাহার বরাবরে দান করা হইয়াছে তিনি তাহার উত্তরজীবী হন তাহা হইলে দানটি কার্যকারী হইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় ''খ'' কে তদকর্তৃক রাখিয়া দিবার জন্য নিম্নলিখিত বস্তু অর্পণ করেঃ-

        একটি ঘড়ি,

        ক-কে গ দ্বারা প্রদত্ত একটি বন্ড,

        একটি ব্যাংক নোট,

        সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,

        বিনিময় বিল,

        কয়েকটি রেহেল দলিল৷

        ক উক্ত দ্রব্যগুলো প্রত্যার্পণ কালে অসুস্থতায় মারা যায়৷

        ''খ'' নিম্নলিখিত দ্রব্যের অধিকারী হয়৷

        ঘড়িটি,

        গ এর বন্ডের দেনা,

        ব্যাংক নোট,

        সহকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,

        বিনিময় বিল,

        রেহেন দিললের অর্থ

     

    (আ) ক অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় খ কে একটি ট্র্যাংকের চাবি, ক এর দখলভুক্ত দ্রব্য জমা আছে এইরূপ একটি গুদামের চাবি অর্পণ করে তাহাকে ট্র্যাংকের ভিকরকার দ্রব্য অথবা জমাকৃত দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ দেবার ইচ্ছায় এবং ক-এর মৃত্যুতে উহা নিকট রাখিয়া দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে৷ ক মারা যায়৷ খ ট্র্যাংক এবং ট্র্যাংকের মধ্যকার দ্রব্য অথবা ক এর গুদামের অধিকারী হয়৷

    (ই) ক অসুস্থ হইয়া মৃত্যু ভাবনায় কিছু দ্রব্য আলাদা আলাদা পার্সেলে রেখে দেয় এবং পার্সেলগুলোর উপর যথাক্রমে খ এবং গ এর নামের চিহ্ন দেয়৷ ক এর জীবদ্দশায় পার্সেলগুলি অর্পণ করা হয় নাই৷ ক মারা যায়৷ খ এবং গ পার্সেলের অধিকারী হয় না৷

     

Sultan Mahmud Sujon:
ভাগ-৭

মৃতের সম্পত্তির সংরক্ষণ

 

ধারা-১৯২৷ মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকারে অধিকার দাবীকারী ব্যক্তি বেআইনী দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকারের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে৷- (১) যদি কোন ব্যক্তি স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যান তাহা হইলে উহাতে বা উহার কোন অংশে উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার দাবীকারী কোন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত এইরূপ জেলার জেলা জজের নিকট কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রকৃত দখল নেওয়ার পর অথবা যখন দখল নেওয়ার বল প্রয়োগ পদ্ধতি আশংকা করা হয়, প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷

(২) কোন প্রতিনিধি আত্মীয় বা নিকট বন্ধু বা কোর্ট অভ ওয়ার্ড পূর্বোক্ত কোন সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারসূত্রে অধিকারী এইরূপ কোন নাবালক, অযোগ্য অথবা অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷

 

আলোচনা

পরিচালনামূলক মামলাঃ

বৃহত্ অর্থে পরিচালনা মৃত ব্যক্তির সম্পদের সংগ্রহ, উইলকারীর উইলের অধীনে অধিকারী ব্যক্তিকে দেনা পরিশোধ এবং অবশিষ্টাংশের বণ্টন অন্তর্ভূক্ত করে৷

 

ধারা-১৯৩৷ জজের দ্বারা তদন্ত৷- যে জেলা জজের নিকট আবেদন করা হয় ঐ জেলা জজ প্রথমত দরখাস্তকারীকে শপথপূর্বক জেরা করিবেন এবং দখলরত অথবা জোরপূর্বক দখল গ্রহণকারী ব্যক্তির কোন আইনগত শর্ত নাই এবং দরখাস্তকারী অথবা যাহার পক্ষে তিনি দরখাস্ত করেন তিনি প্রকৃতপক্ষে অধিকারী এবং মামলার স্বাভাবিক প্রতিকার দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা আছে এবং প্রকৃত অর্থে দরখাস্তটি করা হয় এইরূপ বিশ্বাস করিবার পযাপ্ত কারণ আছে কিনা তদসস্পর্কে তিনি যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন তেমন আরো তদন্ত করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-১৯৪৷ কার্যপদ্ধিত৷- যদি জেলা জজ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, পূর্বোক্তভাবে এবং অন্য কোনভাবে নয় বিশ্বাস করিবার পর্যাপ্ত কারণ আছে তাহা হইলে তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দিবেন এবং খালি করার নোটিশ দিবেন এবং যুক্তসংগত সময় অবসানের পর সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে দখল অধিকার নিষ্পত্তি করিবেন (অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতির ন্যায় মামলা সাপেক্ষে) এবং সেই মোতাবেক দখল অর্পণ করিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, জজের একজন অফিসার নিয়োগ করিবার ক্ষমতা থাকিবে যিনি দ্রব্যাদির তালিকা গ্রহণ করিবেন এবং দরখাস্তের ভিত্তি অনতিবিলম্বে উহা সিল করিবেন অথবা অন্য কোনভাবে নিশ্চিত করিবেন, তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করিয়া থাকুন বা না থাকুন৷

 

ধারা-১৯৫৷ কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটর নিয়োগ৷- যদি পূর্বোক্তভাবে উক্তরূপ তদন্তের পর আরো প্রতীয়মান হয় যে সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি নিষ্পন্ন হইবার পূর্বে সম্পত্তি আত্মসাতের আশংকা বা অপচয় হওয়ার ঝূঁকি আছে এবং দখলভুক্ত পক্ষের নিকট হইতে সিকিউরিটি লাভের বিলম্ব অথবা উহার অপর্যাপ্ততা দখলহীন পক্ষকে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির সম্মুখীন করিবে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি আইনগত মালিক হওয়া সত্ত্বে জেলা জজ এক বা একাধিক কিউরেট নিয়োগ করিতে পারিবেন, যাহারা তাহার বা তাহাদের নিয়োগের শর্ত মোতাবেক কর্তৃত্বপরায়ণ হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ভূমির ক্ষেত্রে জজ কালেকটরকে অথবা কালেকটরের অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কিউরেটরের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেনঃ

আরো শর্ত থাকে যে, কোন সম্পত্তি সম্পর্কে কিউরেটরের প্রত্যেকটি নিয়োগ যথোপযুক্তভাবে প্রকাশ করিতে হইবে৷

 

ধারা-১৯৬৷ কিউরেটরের উপর অর্পণযোগ্য ক্ষমতা৷ - জেলা জজ সাধারণভাবে সম্পত্তির দখল গ্রহণ করার অথবা দখলভুক্ত পক্ষ কর্তৃক মুচলেকা না দেওয়া পর্যন্ত অথবা সম্পত্তির তালিকা না করা পর্যন্ত অথবা দখলভুক্ত পক্ষ দ্বারা সম্পত্তি আত্মাসাত্ বা অপচয় হইতে রক্ষার জন্য কিউরেটরকে সম্পত্তি দখলদান করার ক্ষমতা দিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, জজের বিবেচনায় দখলভুক্ত পক্ষকে মুচলেকা দেওয়া বা না দেওয়ার ভিত্তিতে উক্ত দখল অব্যাহত রাখার অনুমতি দিবেন এবং অব্যাহতভাবে দখল রাখা তালিকা ইঙ্গিত দেওয়া অথবা দলিল বা অন্যকোন দ্রব্যাদি নিশ্চিত করণার্থে তিনি যেমন আদেশ দিবেন তেমন আদেশ সাপেক্ষ হইবে৷

 

ধারা-১৯৭৷ কিউরেটর কর্তৃক কতিপয় ক্ষমতা প্রয়োগ নিষিদ্ধ৷- (১) যেক্ষেত্রে ১০নং ভাগের অধীন সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয়, অথবা প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিসট্রেশন মঞ্জুর করা হয়, সেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন নিয়োজিত কিউরেটর আইনসঙ্গতভাবে সার্টিফিকেট ধারক, নির্বাহক বা প্রশাসকের অধিকার কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না৷

(২) কিউরেটরকে দেনা, প্রভৃতি পরিশোধ: যে সকল ব্যক্তি আদালত কর্তৃক অনুমোদিত কিউরেটরের গ্রহণের জন্য দেনা বা খাজনা পরিশোধ করিয়াছে, তাহাদেরকে অব্যাহতি দিতে হইবে এবং কিউরেটর ক্ষেত্রমতে সার্টিফিকেট, প্রোবেট, বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাভকারী ব্যক্তিকে উহা পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন৷

 

ধারা-১৯৮৷ কিউরেটরকে জামানত দিতে হইবে৷- (১) জেলা জজ কিউরেটরের নিকট হইতে তাহার ট্রাস্টের বিশ্বস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য এবং অতঃপর বর্ণিত সন্তোষজনক হিসাব প্রদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিবেন এবং তাহাকে সম্পত্তি হইতে জেলা জজ যেমন যুক্তিসঙ্গত মনে করিবেন তেমন বেতন গ্রহণের ক্ষমতা দান করিবেন যাহা কোনভাবেই অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে এবং স্থাবর সম্পত্তির বার্ষিক লাভের উপর ৫% এর অধিক হইবে না৷

(২) কিউরেটর কর্তৃক সকল অতিরিক্ত অর্থ আদালতে প্রদান করিতে হইবে এবং সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি বিচারের প্রেক্ষিতে উহাতে উধিকারী ব্যক্তির কল্যানার্থে উক্ত অর্থ জন নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

(৩) যুক্তিসংগত সকল ডিসপাচে কিউরেটরের নিকট হইতে জামানত নিতে হইবে এবং সম্ভব হইলে যে সকল ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ব্যক্তিকে কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে ঐ সকল ক্ষেত্রে সাধারণভাবে উত্তরদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিতে হইবে কিন্তু জামানত গ্রহণে বিলম্ব হইলে তাহা কিউরেটরকে অনতিবিলম্বে তাহার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা দিতে জজকে নিবারণ করিবে না৷

 

ধারা-১৯৯৷ কালেক্টরের নিকট হইতে রিপোর্ট যেক্ষেত্রে ভূ-সম্পত্তি রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি অন্তর্ভূক্ত করে৷- (১) যেক্ষেত্রে মৃতের ভূ-সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারকে রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি-লইয়া গঠিত হয়, সেক্ষেত্রে দখলরত পক্ষকে সমন দেওয়া কিউরেটর নিয়োগ অথবা উক্ত নিয়োগে ব্যক্তিকে মণোনয়ন দেওয়া সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জেলা জজ কালেক্টরের নিকট হইতে প্রতিবেদন দাবি করিবেন এবং উহার ফলে কালেক্টর উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেই উক্ত রিপোর্ট ব্যতিরেকে অগ্রসর হইতে পারিবেন৷

(২) জজ উক্তরূপ কোন রিপোর্ট অনুযায়ী কার্য করিতে বাধ্য থাকিবেন না কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্য করিবার ক্ষেত্রে তিনি অনতিবিলম্বে উক্তরূপ করিবার কারণ সম্বলিত একটি বিবৃতি দাখিল করিবেন, যদি হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কারণের সহিত অসন্তুষ্ট হন তাহা হইলে উহা কালেক্টরের রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্রসর হইবার জন্য জজকে নির্দেশ দিবেন৷

 

ধারা-২০০৷ মামলা দায়ের এবং আত্মরক্ষা৷- কিউরেটর মামলা দায়ের অথবা আত্মরক্ষা সম্পর্কিত জেলা জজের সকল আদেশ সাপেক্ষ হইবেন এবং সকল মামলা ভূ-সম্পত্তির পক্ষে কিউরেটরের নামে দাখিল করা যাইবে অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন যাইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, দেনা অথবা খাজনা আদায়ের জন্য কিউরেটরের নিয়োগের আদেশে সুস্পষ্ট কর্তৃত্বের আবশ্যক হইবে কিন্তু, উক্তরূপ প্রকাশ্য কর্তৃত্ব উক্ত কর্তৃত্ব বলে গৃহীত সকল অর্থ হিসাব দানে কিউরেটরকে সক্ষম করিব৷

 

ধারা-২০১৷ কিউরেটর দ্বারা তত্ত্বাবধান অবস্থায় দৃশ্যতঃ মালিককে ভাতা৷- কিউরেটরের অধীনে সম্পত্তির তত্ত্বাবধান থাকাকালে উক্ত সম্পত্তিতে পক্ষসমূহের বিদ্যমান আপাত যুক্তগ্রাহ্য অধিকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অবস্থা সম্পর্কে জেলা জজ যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সংক্ষিপ্ত তদন্তের ভিত্তিতে তাহাদেরকে তেমন ভাতা প্রদান করিতে পারিবেন, এবং তিনি তাহার বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে উহাতে অধিকারী নয় এইরূপ পক্ষের ক্ষেত্রে সুদসহ পুনঃ পরিশোধের জন্য জামানত নিতে পারিবেন৷

 

ধারা-২০২৷ কিউরেটরকে হিসাব দাখিল করিতে হইবে৷- কিউরেটর বস্তুনিষ্ঠভাবে মাসিক হিসাব দাখিল করিবেন এবং তিন মাসের প্রত্যেক সময়কাল অবসানে, যদি তাহার প্রশাসন তত সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এবং সম্পত্তির দখল ত্যাগের প্রেক্ষিতে, জেলা জজের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান তাহার প্রশাসনের বিস্তারিত হিসাব দাখিল করিবেন৷

 

ধারা-২০৩৷ হিসাব পরিদর্শন এবং উহার নকল রাখিবার সংশ্লিষ্ট পক্ষের অধিকার৷- (১) কিউরেটরের হিসাব সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে এবং উক্তরূপ সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ কিউরেটর কর্তৃক সকল রশিদ এবং পরিশোধের একটি নকল হিসাব রাখিবার জন্য পৃথক কোন ব্যক্তিকে নিয়োগের ক্ষমতা থাকিবে৷

(২) যদি দেখা যায় যে, কিউরেটরের হিসাব বাকী থাকে অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ অথবা কিউরেটর জেলা জজের দ্বারা আদিষ্ট সময়ে উহা দাখিল না করেন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ প্রত্যেক ব্যর্থতার জন্য অনধিক ১,০০০ টাকা দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷

 

ধারা-২০৪৷ একই সম্পক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিউরেটর নিযোগ বাঁধা৷- যদি কোন জেলা জজ মৃত ব্যক্তির সমুদয় সম্পত্তির বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ করেন তাহা হইলে উক্তরূপ নিয়োগ অন্য কোন জেলা জজকে অন্য কোন কিউরেটর নিয়োগ হইতে বাঁধা দিবেন কিন্তু সম্পত্তির কোন অংশ বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ উক্ত সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ বা অন্য কোন অংশ বিষয়ে আরেকজন কিউরেটরের নিয়োগকে বাঁধা দিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন জজ কোন জজের নিকট এই ভাগের অধীন পূর্বে দায়েরকৃত কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারার বিষয় সম্পর্কিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে একজন কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবেন না অথবা কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারা গ্রহণ করিবেন নাঃ

আরও শর্ত থাকে যে, কোন ভূ-সম্পত্তির কতিপয় অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জজের দ্বারা যদি দুই বা ততোধিক কিউরেটর নিয়োগ করা হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ সমুদয় সম্পত্তির একজন কিউরেটর নিয়োগের জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন আদেশ দিতে পারিবে৷

 

ধারা-২০৫৷ কিউরেটরের জন্য আবেদনের সময়সীমা৷- জেলা জজের নিকট এই ভাগের অধীন কোন দরখাস্ত যে স্বত্বাধিকারীর সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে দাবী করা হয় ঐ স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে করিতে হইবে৷

 

ধারা-২০৬৷ মৃত ব্যক্তির দ্বারা আইনগত নির্দেশের সরকারী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে এই ভাগ বলবত্ করণের বাধা৷- এই ভাগে বিধৃত কোন কিছুই নাবালক অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে কোন সম্পত্তির মৃত স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর পরে তাহার সম্পত্তির দখলের জন্য তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন আইনগত নির্দেশ বা বন্দোবস্ত সম্পর্কিত কোন সরকারী কার্যের লংঘনের অনুমতি দান করে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং উক্তরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে যখনই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উপর এক্তিয়ার সম্পন্ন জজ উক্তরূপ নির্দেশের অস্তিত্ব বিষয়ে সন্তুষ্ট হন, তখনই তিনি উহা কার্যকর করিবেন৷

 

ধারা-২০৭৷ নাবালকের ক্ষেত্রে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে উহার এক্তিয়ারভুক্ত সম্পত্তির কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে৷- এইভাগে বিবৃত কোন কিছুই কোন সম্পত্তির কোর্ট অব ওয়ার্ডের দখলে কোন বিশৃঙ্খলার অনুমতি দিবে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি, যাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডের বিষয়াধীন, এই ভাগের অধীনকৃত দরখাস্তের পক্ষ হইলে জেলা জজ, যদি তিনি দখলভুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার এবং একজন কিউরেটর নিয়োগ করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, পূর্বোক্ত জামানত গ্রহণ ব্যতিরেকে কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটরের সহিত কোর্ট অব ওয়ার্ড নিয়োগ করিবেন এবং সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে যদি নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি সম্পত্তির দখলের অধিকারী বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহাকে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে দখল অর্পণ করিতে হইবে৷

 

ধারা-২০৮৷ মামলা করার অধিকার হেফাজত৷- এই ধারায় বিবৃত কোন কিছুই ঐ পক্ষের দ্বারা মামলা দায়েরের কোন বাধা হইবে না৷ যে পক্ষের আবেদন দখলভুক্ত পক্ষের সমনজারীর পূর্বে বা পরে প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে কিংবা এই ভাগের অধীন দখল হইতে বিচ্ছেদ হইয়াছে৷

 

ধারা-২০৯৷ সংক্ষিপ্ত কার্যধারার সিদ্ধান্তের ফল৷- এই ভাগের অধীন কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারায় জেলা জজের সিদ্ধান্ত প্রকৃত দখলের বন্দোবস্তের চাইতে অন্য কোন ফল থাকিবে না, কিন্তু এই উদ্দেশ্যের জন্য ইহা চূড়ান্ত হইবে এবং কোন আপীল বা রিভিউয়ের সাপেক্ষ হইবে না৷

 

ধারা-২১০৷ সরকারী কিউরেটর নিয়োগ৷- সরকার কোন জেলা বা জেলাসমূহের জন্য কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং এক্তিয়ার সম্পন্ন জেলা জজ যেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন কিউরেটরের নিয়োগ দান তাহার বিবেচনাপ্রসূত সে সকল ক্ষেত্রে উক্ত কিউরেটরদেরকে মনোনীত করিবেন৷

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version