Faculty of Humanities and Social Science > Law
উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&
Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়- তিন
মঞ্জুর পরিবর্তন এবং প্রত্যাহার
ধারা-২৬১৷ কোন ভুল আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে৷- নাম এবং বর্ণনায় কিংবা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান উল্লেখে বিদ্যমান ভুল, বা সীমিত মঞ্জুরে আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে এবং তদানুসারে ব্যবস্থাপনাপত্র বা প্রবেট মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷
ধারা-২৬২৷ ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের পরে সংযুক্ত উইলসহ আবিষ্কৃত কডিসিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি৷- যদি সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের পরে কোন কডিসিল আবিষ্কৃত হয়, তাহা হইলে যথোপযুক্ত প্রমাণ এবং সনাক্তকরণের প্রেক্ষিতে উহা মঞ্জুরের সহিত যুক্ত করা যাইবে এবং তদানুসারে উক্ত মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷
ধারা-২৬৩৷ সঠিক কারণবশতঃ প্রত্যাহার বা বাতিল৷- উপযুক্ত কারণে মঞ্জুরীকৃত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল করা যাইবে৷
ব্যাখ্যা- নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ বিদ্যমান বলিয়া বিবেচিত হইবে-
(ক) মঞ্জুর লাভের কার্যধারা মূলতঃ ত্রুটিপূর্ণ; বা
(খ) মিথ্যা বিবৃতি বা ঘটনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু আদালতে গোপন করিবার মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছে; বা
(গ) মঞ্জুরীর সঠিকতার জন্য আইনের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অসত্য অভিযোগের মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছিল, যদিও উক্ত অভিযোগ অজ্ঞানবশতঃ কিংবা অসতর্কতাবশতঃ করা হইয়াছিল; বা
(ঘ) অবস্থার কারণে উক্ত মঞ্জুর অপ্রয়োজনীয় এবং কার্যকরহীন হইয়া গিয়াছে; বা
(ঙ) যে ব্যক্তির বরাবরে মঞ্জুরি করা হইয়াছিল উক্ত ব্যক্তি এই ভাগের ৭নং অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক স্বেচ্ছায় এবং যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে কোন তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করেন নাই কিংবা উক্ত অধ্যায়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অসত্য তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করিয়াছেন৷
উদাহরণ
(অ) যে আদালতের মাধ্যমে মঞ্জুর করা হইয়াছিল ঐ আদালতের কোন এক্তিয়ার ছিল না৷
(আ) যে পক্ষসমূহকে উল্লেখ করা উচিত ছিল তাহাদের উল্লেখ না করিয়া মঞ্জুর করা হইয়াছিল৷
(ই) প্রাপ্ত উইলের প্রবেট জাল করা হইয়াছিল অথবা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল,
(ঈ) ক, খ- এর বিধবা স্ত্রী হিসাবে তাহার ভূ-সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপনাপত্র লাভ করে কিন্তু খ এর সাথে তাহার কখনও বিবাহ হয়নি মর্মে জানাজানি হইয়া যায়৷
(উ) ক, খ এর ভূ-সম্পত্তিতে যেন খ উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ ভাবে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে কিন্তু উহার একটি উইল আবিষ্কৃত হয়৷
(ঋ) প্রবেট মঞ্জুর করার পরে এমন একটি কডিসিল আবিস্কৃত হয়েছে যা উইলের অধীন নির্বাহকের নিয়োগ প্রত্যাহার করে বা সংযুক্ত করে৷
(এ) যে ব্যক্তিকে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র দেওয়া হয় পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিকারগ্রস্ত হইয়া যায়৷
Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায় - চার
প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের প্রথা সম্পর্কিত
ধারা-২৬৪৷ প্রবেট প্রভৃতি মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারে জেলা জজের এখতিয়ার৷- (১) জেলা জজ তাহার জেলার মধ্যে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের সকল ক্ষেত্রে এখতিয়ার থাকে৷
(২) ৫৭ ধারা প্রযোজ্য হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে সেক্ষেত্রে কোন আদালত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার উক্ত আদালতকে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তদ্রূপ করিবার ক্ষমতা দান করে।
ধারা-২৬৫৷ বিরোধহীন ক্ষেত্র কারবারে জেলা জজের প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা৷- (১) সুপ্রিম কোর্ট তত্কর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সীমার মধ্যে জেলা জজের পক্ষে কার্য করিবার জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করে কোন জেলার মধ্যে বিরোধহীন ক্ষেত্রে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে প্রতিনিধি হিসাবে তেমন সংখ্যক বিচার বিভাগ ও কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) উক্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ জেলা প্রতিনিধি নামে অভিহিত হইবে৷
ধারা-২৬৬৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর সম্পর্কে জেলা জজের ক্ষমতা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র এবং তত্ সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে জেলা জজের আদালতে নিষ্পন্নাধীন কোন দেওয়ানি মামলা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে তাহার উপর আইন বলে যেইরূপ ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সেইরূপ ক্ষমতা কর্তৃত্ব তাহার থাকিবে৷
ধারা-২৬৭৷ উইল সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি দাখিলে জেলা জজ কোন ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারিবে৷- (১) জেলা জজ উইল সংক্রান্ত বা উইল সংক্রান্ত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোন পেপার বা লেখা আদালতে দাখিল বা আনার জন্য ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করিতে পারিবে৷
(২) যদি প্রমাণ করা না যায় যে, উক্ত কোন পেপার বা লেখা উক্ত ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিন্তু, উক্ত পেপার বা লেখা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(৩) উক্ত ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের সত্য জবাব দিতে হইবে এবং আদালত আদেশ করিলে উক্ত পেপার বা লেখা দাখিল করিতে হইবে এবং তিনি কোন মামলার পক্ষ হইলে উক্ত প্রশ্নের জবাব না দিলে বা আদালতে হাজির না হইলে বা উক্ত পেপার লেখা না নিলে দণ্ডবিধির অধীনে যেরূপ শাস্তি ভোগ করিতেন সেরূপ শাস্তি পাইবে৷
(৪) কার্যধারা ব্যয় বিচারকের বিবেচনাপ্রসূত হইবে৷
ধারা-২৬৮৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যধারা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যক্রম অতঃপর অন্য কোনভাবে বর্ণিত ব্যতীত অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর সম্ভব ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
ধারা-২৬৯৷ কখন এবং কিভাবে সম্পত্তি সংরক্ষণে জেলা জজ হস্তক্ষেপ করিবে৷- (১) মৃত ব্যক্তির উইলের প্রবেট মঞ্জুর না করা পর্যন্ত অথবা তাহার ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপক নিয়োগ না করা পর্যন্ত যে জেলা জজের এখতিয়ারে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত ঐ জেলা জজ উক্ত সম্পত্তির স্বার্থ দাবীকারী কোন ব্যক্তির উদ্যোগে উহা সংরক্ষণের জন্য হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হইবে এবং যেক্ষেত্রে সম্পত্তি কোন ক্ষতি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বলিয়া জজ মনে করেন, সেই সকল ক্ষেত্রে এবং তিনি উপযুক্ত মনে করিলে তদুদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ এবং দখলে রাখার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে কিংবা উইলবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশী খ্রীস্টানের সম্পত্তির কোন অংশের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না৷
ধারা-২৭০৷ জেলা জজ কখন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷- জেলা জজ তাহার আদালতের সীলমোহর কোন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তির দরখাস্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে উইলকারী বা ক্ষেত্রমত অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময় উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে বসবাসের স্থান বা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন৷
ধারা-২৭১৷ মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোন আবাসস্থল না থাকিলে জেলা জজের নিকটকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তি৷- যখন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে যে জেলায় তাহার নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল ছিলনা, ঐ জেলা জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় তখন উক্ত দরখাস্ত জজ তাহার স্ববিবেচনায় প্রত্যাখান করিবে, যদি তাহার রায়ে উক্ত দরখাস্ত আরো সঠিক বা সুবিধাজনকভাবে অন্য কোন জেলায় নিষ্পত্তি করা যায় কিংবা যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা তাহার এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তিতে সীমিতভাবে উহা মঞ্জুর করিবেন৷
ধারা-২৭২৷ প্রতিনিধি প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷- কোন জেলা প্রতিনিধির নিকট দরখাস্তের ভিত্তিতে যে বিষয়ে কোন বিবাদ নাই ঐ বিষয়ে তত্কর্তৃক প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে সত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষেত্রমত উইলকারী অথবা অকৃত উইলকারী উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে তাহার মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-২৭৩৷ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের চূড়ান্ততা৷- স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তি বা ভূ-সম্পত্তিতে বা মৃত ব্যক্তির উপর প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের কার্যকরতা থাকিবে এবং মৃত ব্যক্তির সকল দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব সম্পর্কে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার দখলভুক্ত সম্পত্তি সকল ধারক ব্যক্তিগণ এবং দেনা পরিশোধপূর্বক সকল দেনাদারকে এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি অর্পনকারী সকল ব্যক্তিগণকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিব:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে, বা
(খ) জেলা জজের মাধ্যমে, যেখানে মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে তাহার নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল এবং জজ এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, বাংলাদেশের সীমানার বাইরের সম্পত্তি এবং ভূ-সম্পত্তির মূল্যায়নে ১০,০০০ টাকার অধিক হয় না৷
মঞ্জুরীকৃত প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের মাধ্যমে অন্যভাবে নির্দেশিত না থাকিলে সমগ্র বাংলাদেশে একইভাবে কার্যকর হইবে৷
ধারা-২৭৪৷ ২৭৩ ধারার অনুবিধি অধীনে মঞ্জুরীকৃত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত দলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ উক্ত মঞ্জুর সম্পর্কে একটি সার্টিফিকেট নিম্নলিখিত আদালতে পাঠাইয়া দিবেন৷ যথা-
(ক) যখন মঞ্জুর হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে হয় তখন প্রত্যেকটি জেলা আদালতে;
(খ) জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইলে হাইকোর্ট বিভাগে৷
(২) উপধারায় (১) উল্লেখিত প্রতিটি সার্টিফিকেট চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে ফাইল করিতে হইবে৷
ধারা-২৭৫৷ উপযুক্তভাবে কৃত এবং সত্যায়িত হইলে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার দরখাস্তে চূড়ান্ততা৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা দরখাস্ত, যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধিততে করা হয় এবং সত্যায়িত করা হয় প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের ক্ষমতাদানের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ কোন মঞ্জুর শুধুমাত্র এই কারণে অভিশংসিত হইবে না যে, উইলকারী বা অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময়ে জেলার মধ্যে নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল বা সম্পত্তি ছিল না যদি না আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে মঞ্জুর প্রত্যাহার করার কার্যধারার মাধ্যমে লাভ করা হয়৷
ধারা- ২৭৬৷ প্রবেটের জন্য পিটিশন৷- (১) সংযুক্ত উইল সহযোগ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত স্পষ্টভাবে লিখিত ভাষায় পিটিশনের মাধ্যমে উইলসহ করিতে হইবে কিংবা ২৩৭, ২৩৮ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে ঐ দরখাস্তের বিষয়বস্তুর একটি অনুলিপি খসড়া বা বিবৃতি সহযোগ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবৃত করিতে হইবে-
(ক) উইলকারীর মৃত্যুর সময়;
(খ) সংযুক্ত লেখা যে তাহার সর্বশেষ উইল তাহা;
(গ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য সম্পত্তির পরিমাণ;
এবং
(ঙ) দরখাস্তটি প্রবেট সংক্রান্ত হইলে পিটিশনার যে উইলে উল্লেখিত নির্বাহক৷
(২) উক্ত বিবরণাদি ছাড়াও পিটিশনে আরও উল্লেখ থাকিবে-
(ক) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল, এবং
(খ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
Case Law
Section 276- In our country an application for probate or letters of administration is governed by the old law i.e. the Limitation Act, 1908 and there is no bar of limitation in applying for the grant of probate or letters of administration or revocation thereof. [Mokta Hossain Vs. Budhi Bala Dashi. 48 DLR 2021.
Section 276-In a suit for probate or letters of administration all that the Court is to see is that if the will in question is a genuine one and then the Court is required to see if the testator had disposing mind at the time of execution of the Will. [Moktar Hossain Vs. Budhi Bala Dashi, 48 DLR 2021.
ধারা-২৭৭৷ কোন্ ক্ষেত্রে পিটিশনের সাথে উইলের অনুবাদ সংযুক্ত করিতে হইবে৷ কোর্ট অনুবাদক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা অনুবাদের প্রত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় উইল, খসড়ার অনুলিপি লেখা হয় ঐ ক্ষেত্রে আদালত, যদি ভাষাটি এমন হয় যে উহার জন্য একজন অনুবাদক নিয়োগ করিতে হয় কিংবা যদি উইল অনুলিপি বা খসড়া অন্য ভাষায় হয়, উহা অনুবাদ করিবারযোগ্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবে এবং অনুবাদটি উক্ত ব্যক্তির দ্বারা নিম্নলিখিতভাবে প্রত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ) এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি মূল অংশের ভাষা এবং চরিত্র পড়িয়াছি এবং নিখুঁতভাবে বুঝিয়াছি এবং উপরোক্ত অনুবাদ সত্য এবং সঠিক''৷
ধারা-২৭৮৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য পিটিশন৷- (১) ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্ত পূর্বোক্তভাবে স্পষ্টভাবে লিখিত পিটিশনের মাধ্যমে করিতে হইবে এবং দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ থাকিবে৷
(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান;
(খ) মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থান;
(গ) পিটিশনের যে অধিকার দাবী করে;
(ঘ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্পত্তির পরিমান;
(ঙ) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল;
(চ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-১৭৯৷ কতিপয় ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন প্রভৃতিতে বিবৃতি সংযোজন৷- (১) ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত, কোন আদালতে সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া কোন ভূ-সম্পত্তির উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্তকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার পিটিশনে যথাক্রমে ২৭৬ ও ২৭৮ ধারায় বিষয়াদি ছাড়াও এইরূপ বিবৃতি করিবে যে, তাহার বিশ্বাস মতে সর্বশেষ পূর্বোক্তভাবে উক্ত কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া ঐ উইলের প্রবেট বা ঐ ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য অন্য কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয় নাই কিংবা উক্তরূপ কোন দরখাস্ত করা হইলে যে আদালতে উহা করা হইয়াছে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উহা করিয়াছে এবং উহাতে কার্যধারাসমূহ (যদি থাকে)৷
(২) ২৭৩ ধারার অনুবিধির অধীনে যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালত উপযুক্ত মনে করিলে দরখাস্তটি বাতিল করিতে হইবে৷
ধারা-২৮০৷ প্রবেট, প্রভৃতির জন্য পিটিশন স্বাক্ষরিত এবং সত্যায়িত হইবে৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন সকল ক্ষেত্রে পিটিশনার এবং তাহার আইনজীবী, যদি থাকে, কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং পিটিশনার কর্তৃক নিম্নলিখিতভাবে সত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ), উপরোক্ত পিটিশনের এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, পিটিশনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা আমার তথ্য এবং বিশ্বাস মতে সত্য৷''
ধারা-২৮১৷ উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা প্রবেটের জন্য পিটিশনের সত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি প্রবেটের জন্য করা হয়, সেক্ষেত্রে পিটিশনটি নিম্নলিখিতভাবে বা মর্মে কমপক্ষে উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা সত্যায়িত হইবে৷
যথা-
''আমি (গ, ঘ), উপরোক্ত পিটিশনে উল্লেখিত সর্বশেষ উইলের একজন সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি উক্ত উইলকারীকে উইলে তাহার স্বাক্ষর (বা চিহ্ন) উপস্থিত থাকিয়া সংযুক্ত করিতে দেখিয়াছি (বা উক্ত উইলকারী উপরোক্ত পিটিশনে সংযুক্ত লেখা আমার উপস্থিতিতে তাহার সর্বশেষ উইল বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন৷)
ধারা-২৮২৷ পিটিশন বা ঘোষণায় মিথ্যা বর্ননার শাস্তি৷- এতদ্বারা সত্যায়িত করিতে হইবে মর্মে আবশ্যক কোন পিটিশন বা ঘোষণায় যদি এইরূপ কোন বর্ণনা থাকে যাহা প্রত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানে অথবা বিশ্বাস করে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ১৮৬০ সালের বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-২৮৩৷ জেলা জজের ক্ষমতা৷- (১) সকল ক্ষেত্রে জেলা জজ বা জেলা প্রতিনিধি উপযুক্ত মনে করিলে-
(ক) শপথপূর্বক ব্যক্তিগতভাবে পিটিশনারকে জেরা করিতে পারিবে;
(খ) উইলের উপযুক্ত কার্যকর সম্পর্কে বা ক্ষেত্রমত ব্যবস্থাপনাপত্রে পি
Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়- পাঁচ
নিজেদের ভুলের নির্বাহকগণ সম্পর্কে
ধারা-৩০৩৷ নিজের ভুলের নির্বাহক৷- যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করেন, কিংবা নির্বাহকের পদ ভুল অন্য কোন কার্য করেন, এবং কোন বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক না থাকে, ঐ ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক নিজেকে করিতে পারিবেন৷
ব্যতিক্রম৷- (১) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কিংবা সত্ কারের ব্যবস্থার জন্য বা পরিবার অথবা সম্পত্তির তাত্ ক্ষণিক প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ একজন নির্বাহককে তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক করিবে না৷
(২) অন্যের নিকট হইতে গৃহীত মৃতের পণ্য লেনদেনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিজের ভুলের নির্বাহক করে না৷
উদাহরণ
(অ) ক মৃত ব্যক্তির কিছু পণ্য ব্যবহার করে বা দিয়া দেয় বা বিক্রি করে অথবা তাহার নিজের ঋণ বা উত্তর দায় পূরণার্থে উহা গ্রহণ করে অথবা মৃতের দেনায় পরিশোধ গ্রহণ করে৷ ক তাহার নিজে ভুলের একজন নির্বাহক৷
(আ) ক মৃত ব্যক্তির দেনা সংগ্রহ ও তাহার পণ্য বিক্রয় করিবার জন্য মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং তাহার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরে উক্তরূপ কার্য করা অব্যাহত রাখে৷ এখানে ক মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্য সম্পর্কে তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷
(ই) ক মৃত ব্যক্তির নির্বাহক না হয়েও তাহার নির্বাহক হিসাবে মামলা দায়ের করে৷ ক তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷
ধারা-৩০৪৷ নিজের ভুল বিষয়ে নির্বাহকের দায়৷- যখন একজন ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক হওয়া বিষয়ে কার্য করেন, তখন তিনি বৈধ নির্বাহক বা প্রশাসক বা মৃতের কোন পাওনা দায় বা উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট জবাবদিহি হইবেন, ঐ পরিমাণ সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে সম্পত্তি বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট পরিশোধিত পরিমাণ হইতে দেওয়ার পর তাহার নিকটে আসে৷
অধ্যায় -ছয়
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা
ধারা-৩০৫৷ মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান মামলার কারণ এবং মৃত্যুতে দেয় দেনা বিষয়ে৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান সকল মামলার কারণ বিষয়ে এবং দেনা আদায়ের ক্ষমতা বিষয়ে মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকিলে তাহার যে ক্ষমতা থাকিত, ঐ ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩০৬৷ মৃত ব্যক্তি এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলার অধিকার এবং দাবী৷- মৃত্যুর সময়ে কোন ব্যক্তি তা তাহার নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের পক্ষে বা বিপক্ষে বিদ্যমান সকল অধিকার ১৮৬০ সালের দণ্ডিবিধিতে অর্জিত মানহানি বা আঘাত কিংবা মৃত হয় না এইরূপ ক্ষতি এবং পক্ষের মৃত্যুর পরে দাবীকৃত প্রতিকার পাওয়া যায় না এইরূপ ব্যতীত, বিদ্যমান থাকিবে৷
উদাহরণ
(ক) কোন কর্মকর্তার দোষ বা অবহেলার কারণে রেললাইনে সংঘর্ষ ঘটে এবং একজন বাদী বারাত্মকভাবে আহত হয়, কিন্তু মৃত্যু হয় না৷ কোন মামলা দায়ের না করিয়া তিনি পরে মারা যান৷ মামলার কারণ বিদ্যমান থাকে না৷
(আ) 'ক' বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন৷ 'ক' মারা গেল৷ মামলা করিবার কারণ তাহার প্রতিনিধির বরাবরে থাকে না৷
ধারা-৩০৭৷ সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার জন্য নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- (১) উপধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১২১-ধারার অধীনে তাহার উপর ন্যস্ত মৃতের সম্পত্তি তিনি যেমন বিবেচনা করেন তেমন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বিলিব্যবস্থা করিবার ক্ষমতা থাকে৷
উদাহরণ
(অ) মৃত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির অংশ উইলমূলে দান করেন৷ নির্বাহক উক্ত দানের সম্মতি না দিয়া সম্পত্তি বিক্রয় করে৷ বিষয়টি বৈধ৷
(আ) নির্বাহক তাহার বিবেচনার প্রয়োগ বলে মৃতের স্থাবর সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক দেন৷ বন্ধকটি বৈধ৷
(২) যদি মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত হন তাহা হইলে উপধারা (১) বলে অর্পিত সাধারণ ক্ষমতা নিম্নিলিখত বাধানিষেধ শর্তসাপেক্ষ হইবে৷ যথা-
(অ) নির্বাহকের উপর ন্যস্ত অস্থাবর সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার ক্ষমতা তাহাকে নিয়োগকারী উইলের মাধ্যমে আরোপিত বাধানিষেধ সাপেক্ষ হয় যদি না উক্ত বাধা নিষেধ সত্ত্বেও প্রবেট তাহাকে এবং প্রবেট মঞ্জুরীকৃত আদালত তাহাকে লিখিত আদেশ বলে আদেশে বর্ণিত অনুমিত পদ্ধতিতে স্থাবর সম্পত্তি বিলি করিবার ক্ষমতা দান করে৷
(আ) একজন ব্যবস্থাপক ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরীপত্র দানকারী আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতীত-
(ক) ২১১ ধারার অধীনে সাময়িকভাবে তাহার উপর ন্যস্ত কোন অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক চার্জ করতে বা বিক্রয়মূলে হস্তান্তর, দান, বিনিময় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে পারিবেন না বা
(খ) ৫ বছরের অধিক মেয়াদে উক্ত কোন সম্পত্ত ইজারা দিতে পারিবেন না৷
(ই) ক্ষেত্রমতে দফা (অ) বা (আ) এর লঙ্ঘন করিয়া নির্বাহক ব্যবস্থাপক সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থা করিলে উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে উহা বাতিলযোগ্য হইবে৷
(৩) এইরূপ ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করিবার পূর্বে ক্ষেত্রমতে উপধারা (অ) এর এবং (১) ধারার (২) উপধারার (অ) এবং (ই) উপধারার একটি কপি উহাতে পৃষ্ঠাংকন করিয়া দিতে হইবে৷
(৪) প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র (৩) উপধারা বা সংযুক্তি না করা বা গাঁথিয়া না দেবার কারণে অবৈধ হইবে না কিংবা উক্ত পৃষ্ঠাংকন বা সংযুক্তির অনুপস্থিতি এই ধারার বিধানাবলী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্যকর করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপককে ক্ষমতা দান করিবেন৷
ধারা-৩০৮৷ ব্যবস্থাপনার সাধারণ ক্ষমতা৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তত্কর্তৃক আইনসংগতভাবে খরচ করার ক্ষমতা ছাড়াও উহা লঙ্ঘন না করিয়া খরচ করিতে পারিবেন৷ -
(ক) তত্কর্তৃক ব্যবস্থাকৃত কোন ভূ-সম্পত্তির উপযুক্ত তত্ত্বাবধান বা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্ষেত্রে এবং
(খ) হাইকোর্ট বিভাগে অনুমোদনক্রমে উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত এবং উপযুক্ত যেমন হইবে তেমন ধর্মীয় দাতব্য এবং অন্যান্য বিষয়ে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে৷
ধারা-৩০৯৷ কমিশন বা প্রতিনিধিত্ব চার্জ৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১৯১৩ সালের Administrator General's Act এর অধীনে বা দ্বারা মহাব্যবস্থাপক এর ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট হারের চাইতে অধিক হারে কোন কমিশন বা প্রতিনিধত্ব চার্জ গ্রহণ বা দখলে রাখার অধিকারী হইবে না৷
ধারা-৩১০৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কর্তৃক মৃতের সম্পত্তি ক্রয়৷- যদি কোন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে মৃতের সম্পত্তির কোন অংশ ক্রয় করে তাহা হইলে বিক্রয়টি বিক্রিত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট বাতিলযোগ্য হইবে৷
ধারা-৩১১৷ কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা একজনের দ্বারা প্রয়োগযোগ্য৷- যখন কয়েকজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক থাকেন তখন বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে তাহাদের সকলের ক্ষমতা তাহাদের মধ্যে একজনের দ্বারা প্রয়োগ করা যাইবে যিনি উইল প্রমাণ করিয়াছে কিংবা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করিয়াছে৷
উদাহরণ
(অ) কয়েকজন নির্বাহকের একজনের মৃত ব্যক্তির নিকট প্রাপ্য দেনা মুক্তকরণের অধিকার আছে৷
(আ) একজনের ইজারা সমর্পণের ক্ষমতা আছে৷
(ই) একজনের মৃতের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, বিক্রয়ের ক্ষমতা আছে৷
(ঈ) একজনের উত্তরদায়ে সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷
(উ) একজনের মৃতের প্রতি প্রদেয় প্রতিজ্ঞাপত্র পৃষ্ঠাংকন করার ক্ষমতা আছে৷
(ঊ) উইলের মাধ্যমে ক, খ, গ এবং ঘ কে নির্বাহক নিয়োগ করা হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয় যে দুই জনের নিয়া কোরাম হইবে৷ একজন নির্বাহক কোন কার্য করিতে পারিবেন না৷
ধারা-৩১২৷ কতিপয় নির্বাহক বা প্রশাসকের কোন একজনের মৃত্যুতে বিদ্যমান ক্ষমতা৷- উইল বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরী বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের এক বা ততোধিকের মৃত্যুতে উক্ত পদের সকল ক্ষমতা উত্তরজীবীগণ বা উত্তরজীবর উপর ন্যস্ত হইবে৷
ধারা-৩১৩৷ ব্যবস্থাপকের অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ক্ষমতা৷- অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ব্যবস্থাপকের উক্ত বিষয় সম্পর্কে মূল নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩১৪৷ নাবালকত্ব কালে ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- নাবালকত্ব কালে একজন ব্যবস্থাপকের একজন সাধারণ ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩১৫৷ বিবাহিত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- যখন কোন বিবাহিত মহিলাকে প্রবেট ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর দেওয়া হয় তখন তাহার একজন সাধারন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷
Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়-সাত
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের কর্তব্য সম্পর্কে
ধারা-৩১৬৷ মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পর্কে৷- মৃতের প্রয়োজনীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয় অনুষ্ঠানের সম্পাদনের জন্য তাহার অবস্থা উপযোগীভাবে মৃত ব্যক্তি উক্ত উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত সম্পত্তি রাখিয়া গেলে তহবিল দেওয়া নির্বাহকের কর্তব্য৷
ধারা-৩১৭৷ তালিকা এবং হিসাব্৷- (১) একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরের তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে অথবা আদালতের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ আদালতের দখলভুক্ত সকল সম্পত্তির পূর্ণ এবং প্রকৃত হিসাব এবং সকল পাওনা এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক অধিকারী হন কোন ব্যক্তির দ্বারা এরূপ সকল দেনা সম্বলিত একটি তালিকা প্রদর্শন করিবেন এবং একইভাবে মঞ্জুরের তারিখ হইতে এক বছরের মধ্যে অথবা উক্ত আদালতের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহার কাছে আসন্ন সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি প্রয়োগ বা বিলিব্যবস্থার পদ্ধিত সম্বলিত ভূ-সম্পত্তির একটি হিসাব প্রদর্শন করিবে৷
(২) এই ধারার অধীনে কোন ফরমে তালিকা বা হিসাব প্রদর্শিত হইবে সুপ্রীম কোর্ট তাহা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
(৩) যদি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার অধীনে আদালতের দ্বারা নির্দেশিত তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন না করেন তাহা হইলে তিনি ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারার অধীন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৪) এই ধারার অধীনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করা হইলে উহা উক্ত বিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-৩১৮৷ কতিপয় ক্ষেত্রে তালিকা বাংলাদেশের কোন অংশের সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত করিবে৷- যেক্ষেত্রে সমগ্র বাংলাদেশের কার্যকর হওয়ার অভিপ্রায়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করা হয় ঐ সকল ক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক বাংলাদেশে অবস্থিত মৃত ব্যক্তির সকল স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করিবে এবং উক্ত সম্পত্তির মূল্য আলাদা আলাদাভাবে উক্ত তালিকায় উল্লেখ করিতে হইবে এবং সম্পত্তি বাংলাদেশে যেখানেই থাকুক না কেন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের অনুরূপ দিকসহ সম্পত্তির পরিমাণ বা মূল্য ধার্যযোগ্য হইবে৷
ধারা-৩১৯৷ মৃতের সম্পত্তি এবং দেনা সম্পর্কে৷- যুক্তিসঙ্গত শ্রমে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তি এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে তাহার নিকট প্রাপ্য দেনা সংগ্রহ করিবেন৷
ধারা-৩২০৷ সমস্ত দেনার পূর্বে খরচ প্রদান করিতে হইবে৷- মৃত ব্যক্তির মান এবং গুণ অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে আন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয় এবং মৃত্যুশয্যার চার্জ চিকিত্সা সেবার জন্য ফিসহ এবং তাহার মৃত্যুর একমাস পূর্বে বোর্ড এবং লজিং সকল দেনার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২১৷ উক্ত খরচের পরে অন্যান্য খরচ পরিশোধ করিতে হইবে৷- সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কোন বিচার বিভাগীয় কার্যধারার জন্য বা বিষয়ের খরচসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র লাভের খরচ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খরচ এবং মৃত্যু শয্যার চার্জের পরে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২২৷ কতিপয় সেবার জন্য মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তারপর অন্যান্য দেনা৷- কোন শ্রমিক আর্টিজান বা ঘরোয়া চাকরের দ্বারা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে ৩ মাসের মধ্যে তাহার জন্য সেবার ক্ষেত্রে দেয় মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তাহার পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২৩৷ পূর্বোক্ত ব্যতীত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিতে হইবে৷- পূর্বে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত কোন পাওনাদারের অন্য কোন পাওনাদারের উপর অগ্রাধিকারের অধিকার থাকিবে না; কিন্তু নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তাহার নিজস্ব দেনাসহ যতদূর পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বর্ধিত হইত ততদূর পর্যন্ত তাহার জানার মধ্যে উক্ত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিবেন৷
ধারা-৩২৪৷ দেনা পরিশোধে স্থাবর সম্পত্তির প্রয়োগ যেক্ষেত্রে স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশ নয়৷- (১) যদি মৃত ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে না থাকে, তাহলে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবহার করিবার বিষয়টি বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
(২) (১) উপধারা বলে দেনার অংশবিশেষের পরিশোধ গ্রহণকারী কোন পাওনাদার মৃতের অস্থাবর সম্পত্তির 'উপস্বত্বে' কোন ভাগের অধিকারী হইবেন না, যদি না তিনি অন্যান্য পাওনাদারের কল্যাণার্থে উক্ত পরিশোধ হিসাবে আনেন৷
(৩) এই ধারা মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে প্রযোজ্য হইবে না৷
উদাহরণ
ক এমন কোন দেশে তাহার স্থায়ী নিবাস আছে যেখানে সীল মোহরাংকিত দলিলপত্র সীল মোহরাংকিত সিস নয় দলিলপত্রের উপর প্রাধান্য লাভ করে ৫,০০০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকা মূল্যে অস্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকার দেনা এবং একই পরিমাণ সীল মোহরহীন দলিলে দেনা রাখিয়া মারা যান৷ পাওয়ানাদারগণ স্থাবর সম্পত্তির লাভ হইতে তাহাদের দেনার অর্ধাংশ গ্রহণ করেন৷ অস্থাবর সম্পত্তির লভ্যাংশ মোহরাংকিত দলিলের দেনা পরিশোধে ব্যয় হইবে যতক্ষণ না উক্ত দেনার অর্ধাংশ পরিশোধ করা হয়৷ এই উইল ৫,০০০ টাকা রাখিয়া যায় যাহা দেনাদারের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করিয়া দিতে হয়৷
ধারা-৩২৫৷ উত্তরদায়ের পূর্বে দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷- প্রত্যেক প্রকার দেনা কোন উত্তরদায়ের পূর্বে অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইব৷
ধারা-৩২৬৷ অব্যাহতি ছাড়া নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷- যদি মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি কোন স্বত্বাধীন দায়-দায়িত্ব সাপেক্ষ হয় তাহা হইলে দায়-দায়িত্ব মেটানোর পর্যাপ্ত অব্যাহতি ব্যতীত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কোন উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷
ধারা-৩২৭৷ সাধারণ উত্তরদায়ের হ্রাস৷- দেনা পরিশোধের পরে যদি সম্পত্তি, প্রয়োজনীয় খরচ এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়সমূহ পূর্ণভাবে সকল সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধ পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তী অংশ সমান অনুপাতে কমাতে হবে হ্রাসপ্রাপ্ত হইবে এবং উইলে বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে নির্বাহক একজনকে অগ্রাধিকার দিয়া অন্য উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে কিংবা নিজে কোন উত্তর দায়ের অর্থ দখলে রাখিতে অথবা কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করিতে পারিবেন না তিনি যে ব্যক্তির ট্রাষ্টি৷
ধারা-৩২৮৷ সম্পত্তি দেনা পরিশোধে পর্যাপ্ত হইলে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের হ্রাসহীনতা৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্টকৃত বস্তু কোন হ্রাস ছাড়াই উত্তরদায়গ্রহীতাকে অর্পণ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২৯৷ নির্দেশার্থক উত্তরদায়ের অধীনে অধিকার যখন সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত৷- যেক্ষেত্রে নির্দেশার্থক উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার ঐ তহবিল হইতে তাহার উত্তরদায় পরিশোধের অগ্রাধিকারভিত্তিক দাবী থাকে সে তহবিল হইতে উক্ত তহবিল নিঃশেষিত না হওয়া পর্যন্ত উত্তরদায়টি পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে এবং তহবিল নিঃশেষিত হওয়ার পরে যদি উত্তরদায়ের অংশবিশেষ তখনও পরিশোধিত না থাকে তাহা হইলে তিনি সাধারণ সম্পত্তির বিরুদ্ধে অবশিষ্টের জন্য পদাধিকারের অধিকারী হইবেন৷
ধারা-৩৩০৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের আনুপাতিক হ্রাস৷- যদি সম্পত্তি দেনা এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় পরিশোধে পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তিটি হইতে উহাদের নিজেদের পরিমাণ আণুপাতিক হারে কমাইতে হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ কে ৫০০ টাকা মূল্যের একটি ডায়মন্ড রিং এবং ১,০০০ টাকার মূল্যের একটি ঘোড়া দান করে৷ উইলকারীর সকল বিষয় বিক্রয় করার প্রয়োজন হয় এবং দেনা পরিশোধের পর তাহার সম্পত্তির মূল্য হয় ১,০০০ টাকা৷ এই অর্থ হইতে খ কে ৩৩৩.৩৩ টাকা এবং গ কে ৬৬৬.৬৭ টাকা পরিশোধ করিতে হয়৷
ধারা-৩৩১৷ কমানোর উদ্দেশ্যে উত্তরদায়কে সাধারণ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷- কমানোর উদ্দেশ্যে আজীবন উত্তরদায় ভাতা প্রদানে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ এবং ভাতার মূল্য যখন উক্ত ভাতা প্রদানে কোন অর্থ বণ্টন না করা হয় সাধারণ উত্তরদায় হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷
Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায় -আট
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দ্বারা উত্তরদায়ে সম্পত্তি
ধারা-৩৩২৷ উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্বপূর্ণ করিতে প্রয়োজনীয় সম্মতি৷- উত্তরদায়ে উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্ব পূর্ণ করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি প্রয়োজন৷
উদাহরণ
(অ) ক উইলের দ্বারা খ কে সোনালী ব্যাংকে জমারত সরকারী কাগজ দান করে৷ ব্যাংকের সিকিউরিটি অর্পণে কোন ক্ষমতা নাই কিংবা নির্বাহকের সম্মতি ব্যতীত খ এর উহাদের দখল নেয়ার অধিকার নেই৷
(আ) ক উইল দ্বারা খ এর প্রজা সত্ত্বে ঢাকায় তাহার বাড়ী গ কে দান করে৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ব্যতীত গ উহার খাজনা গ্রহণ করিবেন না৷
ধারা-৩৩৩৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- (১) সুনির্দিষ্ট দানে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উহাতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক হিসাবে তাহার স্বার্থ বঞ্চিত এবং উত্তরদায়গ্রহীতার দানের বিষয় হস্তান্তরে পর্যাপ্ত হইবে, যদি সম্পত্তির প্রকৃতি বা অবস্থা এইরূপ হয় যে, উহা বিষয়ভাবে হস্তান্তর করিতে হইবে৷
(২) এই সম্মতি মৌখিক এবং নির্বাহক ব্যবস্থাপকের আচরণ হইতে প্রকাশ্য বা আপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷
উদাহরণ
(অ) একটা ঘোড়া দান করা হয়৷ নির্বাহক উহা হস্তান্তর করিতে উত্তরদায় গ্রহীতাকে অনুরোধ করেন কিংবা তৃতীয় পক্ষ নির্বাহকের নিকট হইতে ঘোড়াটি ক্রয় করার প্রস্তাব দেন, এবং তিনি উত্তরদায় গ্রহীতার নিকট আবেদন করিবার নির্দেশ দেন৷ উত্তর দায়টিতে সম্মতি অব্যক্ত৷
(আ) তহবিলের সুদ উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্বকালে তাহার ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয়৷ নির্বাহক উহা প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করেন৷ সমুদয় দানে ইহা সম্মতি৷
(ই) প্রথমে ক এবং খ কে তহবিল দান করা হয়৷ নির্বাহক তহবিলের সুদ ক কে পরিশোধ করেন৷ ইহা ক-কে দানের প্রতি অব্যক্ত সম্মতি৷
(ঈ) উইলকারীর সকল দেনা পরিশোধের পরে কিন্তু সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় মেটানোর পূর্বে নির্বাহকগণ মারা যান৷ উত্তরদায়সমূহে সম্মতি অনুমান করা যাইবে৷
(উ) সুনির্দিষ্ট পণ্য দান করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তি উহার দখল গ্রহণ করেন এবং নির্বাহকের কোন আপত্তি ব্যতিরেকে উহা দখলে রাখেন৷
ধারা-৩৩৪৷ শর্তসাপেক্ষ সম্মতি৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি শর্তসাপেক্ষ হইতে পারিবে এবং শর্তটি যদি এমন হয় যে, তাহা বলবত্ করিবার অধিকার তাহার আছে এবং উহা সম্পাদন করা না হয়, তাহা হইলে সেখানে কোন সম্মতি নাই৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ, কে সুলতানপুরের ভূমি দান করেন যাহা উইল এবং ক-এর মৃত্যুর তারিখে ১০,০০০ টাকা রেহেনাধীন ছিল৷ নির্বাহক দানটিতে এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, খ উইলকারীর মৃত্যুতে রেহেনে দেয় পরিমাণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করিবেন৷ পরিশোধ করা হয় নাই৷ কোন সম্মতি নাই৷
(আ) দানে উইলকারী এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, উত্তরদায়গ্রহীতা তাকে কিছু অর্থ প্রদান করিবেন৷ অর্থ পরিশোধ করা হয় নাই৷ সম্মতি বৈধ৷
ধারা-৩৩৫৷ নিজস্ব উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতি৷- (১) যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক একজন উত্তরদায়গ্রহীতা, তখন তাহার উত্তরদায়ে তাহার সম্মতি দান করার সময়ে একইভাবে যেমন প্রয়োজন তেমন উহাতে তাহার স্বত্ব পূর্ণ করিতে প্রয়োজন হয়, এবং একইভাবে তাহার সম্মতি প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷
(২) সম্মতি অব্যক্ত হইবে যদি সম্মতি ব্যবস্থাপনায় তাহার পদ্ধতিতে তিনি এমন কোন কার্য করেন যাহা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে তাহার চরিত্রে বরাতযোগ্য এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের চরিত্রে বরাতযোগ্য নয়৷
উদাহরণ
একজন নির্বাহক তাহাকে দানকৃত বাড়ির খাজনা কিংবা সরকারী সিকিউরিজের সুদ গ্রহণ করেন এবং উহা নিজের ব্যবহারে প্রয়োগ করেন৷ ইহা সম্মতি৷
ধারা-৩৩৬৷ নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উইলকারীর মৃত্যু হইতে উহাতে কার্যকর হইবে৷
উদাহরণ
(অ) একজন উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহকের দ্বারা সম্মতি লাভের পূর্বে তাহার বাড়ী বিক্রয় করেন৷ উত্তরদায় গ্রহীতা পরবর্তীতে ক্রেতার কল্যাণে উহাতে সম্মতি দান করে এবং উত্তরদায় শর্ত পূরণ করে৷
(আ) ক, খ কে তাহার মৃত্যু হইতে সুদ সহ ১,০০০ টাকা দান করেন৷ ক এর মৃত্যু হইতে এব বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহক তাহার উত্তরদানে সম্মতি দেন নাই৷ ক এর মৃত্যু হইতে খ সুদের অধিকারী হন৷
ধারা-৩৩৭৷ কখন নির্বাহককে উত্তরদায় অর্পণ করিতে হয়৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উইলকারীর মৃত্যু হইতে এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন উত্তরদায় পরিশোধ বা অর্পণে বাধ্য থাকিবেন না৷
উদাহরণ
ক উইলের দ্বারা তাহার মৃত্যুর পরে ছয় মাসের মধ্যে উত্তরদায় পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ দেন এক বছর অতিবাহিত না হইলে নির্বাহক উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য নন৷
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version