উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&

Author Topic: উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&  (Read 29176 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় - চৌদ্দ

সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় সম্পর্কে

 

ধারা-১৪২৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের সংজ্ঞা৷- যেক্ষেত্রে এ উইলকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার সম্পত্তির সুনির্দিষ্ট অংশ দান করেন, যাহা তাহার অন্য সম্পত্তির সকল অংশ হইতে পৃথক, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টিকে সুনির্দিষ্ট বলা হয়৷

 

উদাহরণ

    (অ) ''ক'' ''খ'' কে দান করে-

    ''গ'' কর্তৃক আমাকে প্রদত্ত ডায়ামন্ডের আংটি''

    ''আমার সোনার হার''

    ''উলের নির্দিষ্ট একটি গাঁট''

    ''কাপড়ের নির্দিষ্ট একটি অংশ''

    ''কলকাতাস্থ আমার এম স্ট্রীটের বসতবাড়িতে আমার মৃত্যুকালে আমার যা কিছু গৃহস্থলী দ্রব্য থাকবে তার সমূদয় অংশ''

    ''সিন্দুকে রক্ষিত ১০০০ টাকা''

    ''খ আমার কাছে যে দেনা পাইবে''

    ''কলিকাতা আমার বাসাবাড়িতে দখলভুক্ত আমার সব বিল, বন্ড এবং সিকিউরিটি''

    ''কলিকাতার বাড়িতে আমার সকল আসবাবপত্র''

    হুগলীর ওয়াই নদীতে বর্তমানে অবস্থানরত জাহাজে থাকা আমার সমস্ত পন্য৷

    গ-এর হাতে থাকা ২০০০ টাকা৷

    ঘ-এর মুচলেকা আমার প্রাপ্য অর্থ

    ''রামপুর ফ্যাক্টরিতে আমার রোহন''

    ''রামপুর ফ্যাক্টরিতে আমার রেহেনের টাকার অর্ধেক''

    ''গ-এর নিকট হইতে প্রাপ্য ১০০০ টাকা৷''

    ৪% হারে লোনে ১০,০০০ টাকার আমার সরকারী অংগীকার পত্র৷

    দেউলিয়া হওয়া ঘ ও কোম্পানীর নিকট থেক আমাকে প্রদেয় সমস্ত অর্থ আমার মৃত্যুর পরে নির্বাহক গ্রহণ করবেন তার সমূদয় অংশ৷

    আমার মৃত্যুর সময়ে আমার ভাড়ার পরে থাকার আমার সমস্ত মদ৷

    আমার ঘোড়াগুলোর মধ্য থেকে খ কর্তৃক বাছাইকৃত ঘোড়া৷

    ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় আমার সমস্ত শেয়ার৷

    আমার মৃত্যুর ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার যে সমস্ত শেয়ার আমার দখলে থাকবে৷

    আমার আছে তার সমূদয় অর্থ৷

    আমার মৃত্যুকালে আমার অধিকারভূক্ত সকল সরকারী সিকিউরিটিজ;

    (আ) ১০,০০০ টাকা মূল্যের ক-এর দখলভূক্ত সরকারী অংগীকার পত্রগুলো ক ''খ''-এর কল্যানার্থে বিক্রয় করার জন্য ট্রাস্টমূলে তার নির্বাহকদের বরাবরে দান করেন৷ উত্তর দায়টি নির্দিষ্ট৷

    (ই) ক-এর বেনারস ও অন্যান্য স্থানে সম্পত্তি মধ্য থেকে তিনি বেনারসের সব সম্পত্তি খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করে দেন৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট৷

    (ঈ) ক খ কে উইলমূলে দান করেন-

    (১) কলকাতাস্থ তার বাড়িটি;

    (২) তার রামপুরের জামিনদারী;

    (৩) তার রামনগরের তালুক;

    (৪) শালক্যের তার ইন্ডিগো ফ্যাক্টরীর ইজারা;

    (৫) তার জামিনদারীর খাজনার মধ্য হতে বার্ষিক ৫০০ টাকা ভাতা;

    (৬) ক তার এক্সের জামিনদারীটি বিক্রি করার এবং উহার লভ্যাংশ খ-এর কল্যানে বিনিয়োগ করার নির্দেশ দেন৷

    দানগুলোর প্রত্যেকটি সুনির্দিষ্ট৷

    (উ) ক উইলমূলে তার ওয়াই এর জামিনদারীটি ১,০০০ টাকা বার্সিক ভাতাসহ জীবদ্দশায় গ-এর বরাবরে চার্জযুক্ত করেন, এবং চার্জটি সাপেক্ষে তিনি জামিনদারীটি ঘ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করেন৷ প্রত্যেকটি দান সুনির্দিষ্ট৷

    (ঊ) ক উইলমূলে অর্থ দান করেন-

    (১) খ-এর জন্য কলকাতায় একটি বাড়ি ক্রয়ের জন্য;

    (২) খ-এর জন্য ফরিদপুর জেলায় একটি সম্পত্তি কেনার জন্য;

    (৩) খ-এর জন্য ডায়মন্ডের একটি আংটি ক্রয়ের জন্য;

    (৪) খ-এর জন্য একটি ঘোড়া ক্রয়ের জন্য;

    (৫) খ-এর জন্য ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে শেয়ার বিনিয়োগ করার জন্য;

    (৬) খ-এর জন্য সরকারী সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার জন্য;

    ক, খ কে উইলমূলে দান করেন-

    (৭) ডায়মন্ডের একটি আংটি;

    (৮) একটি ঘোড়া;

    (৯) ১০,০০০ টাকার মূল্যের সরকারী সিকিউরিটিজ;

    (১০) ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা;

    (১১) প্রত্যেককে প্রদেয় ২,০০০ টাকা;

    (১২) ৪% হারে সরকারী সিকিউরিটিজ থেকে প্রাপ্য ৫,০০০ টাকা৷

    দানগুলো সুনির্দিষ্ট নয়৷

    (ঋ) ক-এর ইংল্যান্ড ও ভারতে থাকা সম্পত্তি আছে৷ তিনি খ-এর বরাবরে উইলমূলে একটি উত্তরদায় দান করেন, এবং নির্দেশ দেন যে, তার ভারতে থাকা সম্পত্তি থেকে উত্তর দায়টি পরিশোধ করতে হবে৷ তিনি গ-এর বরাবরেও একটি উত্তরদায় দেন, এবং দেন যে, ইংল্যান্ডে থাকা সম্পত্তি থেকে উত্তরদায়টি পরিশোধ করতে হবে৷

    উত্তরদায়গুলোর কোনটিই সুনির্দিষ্ট নয়৷

 

ধারা-১৪৩৷ নির্দিষ্ট অর্থের দান যেখানে ন্যস্ত স্টকস্ প্রভৃতি বর্ণনা করা হয়৷- যেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থদান করা হয়, যেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয় শুধুমাত্র এই কারণে যে, উত্তরদায়টি ন্যস্ত হয় এমন স্টক, বন্ড বা সিকিউরিটি উইলে বর্ণনা করা হইয়া থাকে৷

 

উদাহরণ

                ''ক'' ''ঘ'' কে দান করেন-

                ''আমার ফান্ডের সম্পত্তির ১০,০০০ টাকা''

                ''ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানীতে বিনিয়োগকৃত শেয়ার সম্পত্তির ১০,০০০ টাকা''

                ''রামপুর ফ্যাক্টরীর বর্তমানে রেহেনমূলে সিকিউরড্ ১০,০০০ টাকা৷''

                এই সকল উত্তরদায়ের কোনটি সুনির্দিষ্ট নয়৷

 

ধারা-১৪৪৷ স্টক দান যেক্ষেত্রে উইলের তারিখে একই প্রকার স্টকের সমান বা বেশি পরিমাণ ছিল৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ শর্তে যেকোন প্রকার স্টকের নির্দিষ্ট পরিমাণ দান করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি নির্দিষ্ট নয় শুধুমাত্র এই কারণে যে, উইলের সময়ে উইলকারী, উইলকৃত পরিমাণের সমান বা উহার চাইতে বেশি পরিমাণ সুনির্দিষ্ট স্টকের অধিকারী ছিলেন৷

 

উদাহরণ

''ক'' ৫% হারে ''খ'' কে সরকারী সিকিউরিটির ৫০০০ টাকা দান করেন৷ উইলের তারিখে ৫০০০ টাকার জন্য সরকারী সিকিউরিটির ৫% ''ক'' এর ছিল৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয়৷

 

ধারা-১৪৫৷ নির্দিষ্টভাবে উইলকারীর সম্পত্তির অংশবিশেষ বিলি না হওয়া পর্যন্ত দেয়হীন অর্থের দান৷- অর্থ উত্তরদায় শুধুমাত্র এই কারণে সুনির্দিষ্ট নয় যে, উইলে উহার পরিশোধ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি না উইলকারীর সম্পত্তির কিছু অংশ কোন নির্দিষ্ট আকারে হ্রাস করা হয় বা নির্দিষ্ট স্থানে প্রেরণ করা হয়৷

 

উদাহরণ

ক, খ-কে ১০,০০০ টাকা দান করেন এবং নির্দেশ থাকে যে, ক-এর ভারতের সম্পত্তি ইংল্যান্ডে আদায় মাত্র এই উত্তরদায় পরিশোধ করিতে হইবে৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয়৷

 

ধারা-১৪৬৷ কখন নির্দিষ্ট দ্রব্য সুনির্দিষ্টভাবে উইল করা হয় নাই বলিয়া বিবেচিত হইবে৷- যেক্ষেত্রে পূর্বে উইল করা হয় নাই এই সম্পত্তির কিছু আইটেমসহ উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশের দান থাকে, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দ্রব্য নির্দিষ্টভাবে উইল করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে না৷

 

ধারা-১৪৭৷ পরপর কয়েকজন ব্যক্তির বরাবরে সুনির্দিষ্ট দানের দখল৷- যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে সম্পত্তি সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে উহা যে আকারে উইলকারী রাখিয়া গিয়াছিলেন ঐ আকারে রাখিতে হইবে যদিও উহা এমন প্রকৃতির হয় যে, অনবরত উহার মূল্য হ্রাস পাইতেছে৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' কয়েক বত্ সর মেয়াদের জন্য একটি বাড়ী ইজারা নেয়, তাহার মৃত্যুর সময়ে যাহার ১৫ ভাগ অবসান হয় নাই৷ ''ক'' উক্ত বাড়ীটি জীবনভর ''খ'' কে এবং ''খ''-এর মৃত্যুর পরে ''গ'' কে দান করেন৷ ''খ'', ''ক''-এর রেখে যাওয়া উক্ত সম্পত্তি ভোগ করে ''খ'' ১৫ বত্ সর যাবত্ বেঁচে থাকিলে দানের মাধ্যমে ''গ'' কিছুই পান না৷

(আ) ''ক'', ''খ''-এর জীবদ্দশায় একটি এ্যানুউটি থাকে, যাহা সে ''গ'' কে এবং ''গ''-এর মৃত্যুর পর ''ঘ'' কে দান করে৷ ''গ'' উক্ত এ্যানুউটি ভোগ করবে, যদিও ''খ'', ''ঘ''-এর পূর্বে মারা গেলে ''ঘ''-দানের অধীনে কিছুই পান না৷

 

ধারা-১৪৮৷ পরপর দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে উইলকৃত সম্পত্তির উপস্বত্বের বিক্রয় এবং বিনিয়োগ৷- যেক্ষেত্রে পরপর দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে দানের অন্তর্ভূক্ত সম্পত্তি সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশের অবর্তমানে, উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাইবে এবং বিক্রয়ের উপস্বত্ব সুপ্রীম কোর্ট দ্বারা কোন সাধারণ বিধির মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা নির্দেশিত জামানতে বিনিয়োগ করিতে হইবে, এবং উক্তভাবে গঠিত তহবিল উইলের শর্ত মোতাবেক ক্রমিক উত্তরদায়গ্রহীতার দ্বারা ভোগ করিতে হইবে৷

 

উদাহরণ

''ক''-এর কয়েক বত্ সর মেয়াদের একটা ইজারা আছে৷ সে তাহার সকল সম্পত্তি ''খ'' কে এবং ''খ''-এর মৃত্যুর পরে ''গ'' কে দান করে৷ ইজারাটি অবশ্যই বিক্রয় করিয়া উহার উপস্বত্ব এই ধারায় উল্লেখিতভাবে বিনিয়োগ করিতে হইবে এবং তহবিল হইতে উদ্ভূত আয় ''খ'' কে দিতে হইবে৷ ''খ''-এর মৃত্যুতে তহবিলের মূলধন ''গ'' কে প্রদান করিতে হইবে৷

 

ধারা-১৪৯৷ যেক্ষেত্রে উত্তরদায় পরিশোধে সম্পত্তির ঘাটতি থাকে, সেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায়ের সহিত সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় কমবে না৷- যদি উত্তরদায় পরিশোধে সম্পত্তির ঘাটতি থাকে, তাহা হইলে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় সাধারণ উত্তরদায়ে হ্রাস পাইবে না৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-পনের

নির্দেশাত্মক উত্তরদায় সম্পর্ক

 

ধারা-১৫০৷ নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের সংজ্ঞা৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী নির্দিষ্ট অর্থ বা কোন প্রকার নির্দিষ্ট পণ্যের পরিমাণ দান করে এবং কোন বিশেষ প্রকার তহবিল বা স্টক এমনভাবে উল্লেখ করে যাহা একই জিনিস গঠন করে এবং যাহা হইতে প্রাথমিক তহবিল বা স্টক পরিশোধ করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টিকে নির্দেশাত্মক বলা হয়৷

ব্যাখ্যা - সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় এবং নির্দেশাত্মক উত্তর দায়ের মধ্যে পার্থক্য এই যে-

যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পত্তি উত্তরদায়গ্রহীতাকে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট;

যেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট সম্পত্তি হইতে পরিশোধিত হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে উহা নির্দেশাত্মক৷

 

উদাহরণ

    (অ) ''ক'' ''খ'' কে ১০০০ টাকা দান করে যাহা ''চ'' হইতে তাহার নিকট দেয় দেনা হইতে পরিশোধ করিতে হয়৷ ''খ'' এর বরাবরে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট এবং ''গ'' এরটি নির্দেশাত্মক৷

    (আ) ''ক'' ''খ'' কে দান করে-

    ''আমার গ্রীন একর মাঠে উত্পন্ন ফসলের ১০ বাসেল''৷

    ''আমার রামপুরের কারখানায় উত্ পাদিত ৮০ টি সিন্দুক৷''

    ''সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র হইতে ৫% হারে ১০,০০০ টাকা৷''

    ''আমার তহবিলকৃত সম্পত্তি হইতে ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা৷''

    ''গ'' কর্তৃক আমার নিকট প্রাপ্য ২০০০ টাকা হইতে ১০০০ টাকা৷

    (ই) ক, খ কে দান করে-

    আমার রামনগরের ভূ-সম্পত্তি হইতে ১০,০০০ টাকা অথবা তাহার রামনগরের ভূ-সম্পত্তির উপর চার্জ সুষ্টি করে৷

    কোন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ে মূলধনকৃত আমার শেয়ারের ১০,০০০ টাকা৷

    এই দানগুলির প্রত্যেকটি নির্দেশাত্মক৷

 

ধারা-১৫১৷ পরিশোধের আদেশ যখন তহবিল সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের বিষয় হইতে প্রদান করিতে হইবে বলিয়া উত্তরদায়ে নির্দেশ থাকে৷- যেক্ষেত্রে তহবিলের একটি অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় এবং ঐ তহবিল হইতে উত্তরদায় পরিশোধিত হইবে নির্দেশ থাকে, সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত অংশটি প্রথমে উত্তরদায়গ্রহীতাকে প্রদান করিতে হইবে এবং তহবিলের অবশিষ্ট অংশ হইতে নির্দেশাত্মক উত্তরদায় এবং যতখানি অবশিষ্ট অংশ ঘাটতি হইবে ততখানি উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ কে ১,০০০ টাকা দান করে যাহা চ এর নিকট হইতে তাহার নিকট দেনার অংশ৷ সে গ-কেও ১,০০০ টাকা দান করে যাহা চ এর নিকট হইতে ক এর নিকট দেনা কেবলমাত্র ১,৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা ঘ এর দখলে এবং ৫০০ টাকা গ-কে দিতে হয়৷ উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে গ-৫০০ টাকা পাইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়- ষোল

উত্তরদায় প্রত্যাহার সম্পর্কে

 

ধারা-১৫২৷ প্রত্যাহারের ব্যাখ্যা৷- সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত কোন কিছু যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার দখলে না থাকে অথবা ভিন্ন প্রকার সম্পত্তিতে পরিণত করা হয় তাহা হইলে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷ অর্থাত্ উইলের কার্যকারিতা থেকে বিষয়বস্তু প্রত্যাহার করার করাণে উহা কার্যকর হয় না৷

 

উদাহরণ

        (অ) ১৪২ ধারার প্রথম ৫টি উদাহরণ৷

        ক তাহার জীবদ্দশায়-

        ''আংটিটি ক্রয় করে বা দিয়া দেয়৷''

        ''চেইনটি পেয়ালায় পরিণত করে৷''

        ''উল কাপড় পরিণত করে৷''

        ''কাপড় পোষাকে পরিণত করে৷''

        অন্য একটি বাড়ী নেয় যাহাতে সে সকল দ্রব্য অপসারণ করে৷

        এই উত্তর দায়গুলি প্রত্যেকটি প্রত্যাহার করা হয়৷

        (আ) ক খ কে দান করে-

        ''সিন্দুকের ১,০০০ টাকা''৷

        ''আমার আস্তাবলের সমস্ত ঘোড়া''৷

ক এর মৃত্যুতে সিন্দুকে কোন অর্থ পাওয়া যায় নাই এবং আস্তাবলেও কোন ঘোড়া পাওয়া যায় নাই৷

উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷ (৩) ক, খ কে কিছু পণ্যের গাঁইট দান করে-

ক তাহার সহিত সমুদ্রযাত্রায় পণ্যগুলি গ্রহণ করে৷ জাহাজ এবং পণ্য সমুদ্রে নিখোঁজ হয় এবং ক ডুবে যায়৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷

 

ধারা-১৫৩৷ নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের অ-প্রত্যাহার৷- কোন নির্দেশাত্মক উত্তরদায় এই কারণে প্রত্যাহার করা যায় না যে, উইলের মাধ্যমে যে সম্পক্তিতে উহা চার্জ করা হয় ঐ সম্পত্তি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে না অথবা ভিন্ন প্রকার সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করা হয়, কিন্তু এইরূপ ক্ষেত্রে উহা উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধিত হইবে৷

 

ধারা-১৫৪৷ তৃতীয় পক্ষের নিকট হইতে কোন কিছু গ্রহণ করার জন্য অধিকারের সুনির্দিষ্ট দানে প্রত্যাহার৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত বস্তুটি তৃতীয় পক্ষের নিকট হইতে কিছু মূল্যে গ্রহণ করার অধিকার হয় এবং উইলকারী নিজে উহা গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে দানটি প্রত্যাহার করা হয়৷

 

উদাহরণ

                    (অ) ক, খ কে দান করে-

                    ''দেনা, যা গ আমার নিকট পায়''৷

                    ''২,০০০ টাকা, যা গ এর নিকট আমার আছে''৷

                    ''চ এর বন্ডে আমার নিকট প্রদেয় অর্থ''৷

                    ''রহিমপুর কারখানায় আমার বন্ধক''৷

এই সমস্ত দেনার ক এর জীবদ্দশায় নিঃশেষিত হয় কিছু তাহার সম্মতিতে এবং কিছু তাহার সম্মতি ব্যতীত উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হয়েছে৷

(আ) ক, খ কে তাহার জীবনবীমা পলিসির কিছু স্বার্থ দান করে৷ ক তাহার জীবদ্দশায় পলিসির পরিমাণ গ্রহণ করে৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে৷

 

ধারা-১৫৫৷ সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত সমুদয় বস্তুর অংশ বিশেষ উইলকারীর গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার৷- সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত সমুদয় বস্তুর অংশবিশেষ উইলকারী কর্তৃক গৃহীত হইলে উহা যতখানি গৃহীত হইয়াছে ততখানি উত্তরদায়ের প্রত্যাহার হিসাবে কার্যকর হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ কে ''গ দ্বারা আমার নিকট প্রাপ্য দেনা'' দান করে৷ দেনার পরিমাণ ১০,০০০ টাকা৷ গ, ক কে ৫,০০০ টাকা দান করে৷ উত্তরদায়টি ক এর ৫,০০০ টাকা গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷

 

ধারা-১৫৬৷ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হইয়াছে এইরূপ সমুদয় তহবিলের অংশ উইলকারীর গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার৷- যদি কোন সমুদয় তহবিল বা স্টকের অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় তাহা হইলে উক্ত তহবিল বা স্টকের অংশ উইলকারী কর্তৃক গ্রহণের মাধ্যমে যতখানি গ্রহণ করা হইয়াছে ততখানি প্রত্যাহার হিসাবে কার্যকর হইবে এবং তহবিল বা স্টকে অবশিষ্ট অংশ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের অব্যাহতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ কে চ এর নিকট হইতে তাহার নিকট দেয় ১০,০০০ টাকার অর্ধেক দান করে৷ ক তাহার জীবদ্দশায় ৬,০০০ টাকা গ্রহণ করে৷ বাকী ৪০০০ টাকা সুনির্দিষ্ট দানের অধীনে তাহার মৃত্যুর সময়ে খ এর দখলে যায়৷

 

ধারা-১৫৭৷ পরিশোধের আদেশ যেক্ষেত্রে একজন উত্তরদায়গ্রহীতাকে তহবিলের অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় এবং অন্য একজনকে একই তহবিলের উপর উত্তরদায় চার্জ করা হয় এবং উইলকারী উক্ত তহবিলের অংশবিশেষ গ্রহণ করায় অবশিষ্ট অংশ উভয় উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত৷- যেক্ষেত্রে তহবিলের একটি অংশ সুনির্দিষ্টভাবে কোন একজন উত্তরদায়গ্রহীতাকে দান করা হয় এবং একই তহবিলের উপর চার্জকৃত উত্তরদায় অন্য একজন উত্তরদায় গ্রহীতাকে দান করা হয় তখন উইলকারী উক্ত তহবিলের অংশবিশেষ গ্রহণ করিলে এবং তহবিলের অবশিষ্ট অংশ সুনির্দিষ্ট এবং নির্দেশাত্মক উভয় উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত হইলে সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়টি প্রথমে পরিশোধে প্রযুক্ত হইবে এবং নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের বাকী অংশ উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

উদাহরণ

ক ''ল'' এর কাছ থেকে প্রাপ্য তার ২,০০০ টাকার মধ্য থেকে ১,০০০ টাকা খ কে এবং ১,০০০ টাকা গ কে উইলমূলে দান করে৷ পরবর্তীতে ক উক্ত দেনার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে এবং কেবলমাত্র ''ল'' এর কাছে প্রাপ্য ১,৫০০ টাকা রেখে মারা যান৷ এই ১,৫০০ টাকার মধ্য থেকে ১,০০০ টাকা পাবে খ আর ৫০০ টাকা পাবে গ৷ গ উইলকারীর সাধারণ সম্পদ থেকেও ৫০০ টাকা পাবে৷

 

ধারা-১৫৮৷ প্রত্যাহার যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উইলকৃত স্টকের উইলকারীর মৃত্যুর সময় অস্তিত্ব থাকে না৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে না, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷

 

উদাহরণ

ইস্ট ইন্ডিয়া স্টকে আমার ১০০০ টাকার মূল স্টক ৪% হারে ১০,০০০ টাকার সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র৷ ক স্টক এবং পত্রগুলি বিক্রয় করে৷ উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷

 

ধারা-১৫৯৷ প্রত্যাহার যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক কেবলমাত্র উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে আংশিকভাবে অস্তিত্ব থাকে৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক কেবলমাত্র উইলকৃত মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে, সেক্ষেত্রে স্টকের যতখানি অস্তিত্বহীন হইয়াছে উত্তরদায়টি ততখানি প্রত্যাহার করা হয়৷

 

উদাহরণ

''ক'' ''খ'' কে ৫.৫% হারে সরকারী দেনার ১০,০০০ টাকা দান করে৷ ''ক'' তর্কিত লোনের ১০,০০০ টাকার অর্ধেক বিক্রয় করে৷ উত্তরদায়টির অর্ধেক প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷

 

ধারা-১৬০৷ অপসারণের কারণে বিশেষ স্থানের সহিত সম্পর্কিত বর্ণিত পণ্যের সুনির্দিষ্ট দানের অ-প্রত্যাহার৷- নির্দিষ্ট স্থানের সহিত সম্পর্কিত কোন বর্ণনাধীন পণ্যের সুনির্দিষ্ট দান এই কারণে প্রত্যাহার করা হয় নাই যে, উক্ত পণ্য কোন সাময়িক কারণে বা প্রতারণার মাধ্যমে বা উইলকারীর অবগতি বা অনুমতি ব্যতীত উক্ত স্থান হইতে প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক খ কে ''আমার মৃত্যুর সময়ে আমার কলকাতার বসতবাড়ীতে থাকা সমস্ত গৃহস্থালী পণ্য দান করে৷'' পণ্যগুলি আগুন থেকে রক্ষার জন্য বাড়ী থেকে সরানো হয়৷ পণ্যগুলি ফিরিয়ে আনার আগে ''ক'' মারা যায়৷

(আ) ''ক'' ''খ'' কে আমার মৃত্যুর সময়ে আমার কলকাতার বসতবাড়িতে থাকা সমস্ত, গৃহস্থালী পণ্য দান করে এবং এর অনুপস্থিতিতে সমস্ত পণ্য বাড়ী থেকে সরানো হয়৷ পণ্যগুলি অপসারণের অনুমোদন না দিয়া ক মারা যায়৷

উত্তরদায় দুটির কোনটিই প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

ধারা-১৬১৷ কখন উইলকৃত বস্তুর অপসারণ প্রত্যাহার হয় না৷- যে স্থানে উইলকৃত বস্তুটি অবস্থিত হইবে বলা হয় ঐ স্থান হইতে উহার অপসারণ প্রত্যাহার হয় না সেখানে উইলকারী দান করা বুঝাইতে চাহিয়াছিল এইরূপ সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে স্থানটি উল্লেখ করা হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' ''খ'' কে ঢাকায় আমার বসতবাড়ীতে আমার দখলে থাকা সকল বিল, বন্ড এবং অন্যান্য জামানত দান করে৷ ''ক'' এর মৃত্যুর সময়ে এই সমস্ত দ্রব্যগুলি তাহার বাড়ী হইতে অপসারণ করা হয়৷

(আ) ''ক'' ''খ'' কে ঢাকায় তাহার বাড়ীর সকল আসবাবপত্র দান করে৷ ঢাকায় ''ক'' এর একটি এবং চালনায় অন্য আরেকটি বাড়ী আছে৷ সেখানে সে পর্যায়ক্রমে বাস করে এবং তাহার একসেট আসবাবপত্র থাকায় উক্ত আসবাবপত্র সে প্রত্যেকটি বাড়ীতে তাহার সহিত লইয়া যায়৷ তাহার মৃত্যুর সময়ে আসবাবপত্র তাহার চালনার বাড়ীতে থাকে৷

(ই) ''ক'' ''খ'' কে পদ্মা নদীতে থাকতে জাহাজে তাহার সকল দ্রব্য দান করে৷ ''ক'' এর নির্দেশে দ্রব্যগুলি একটি গুদামঘরে নেওয়া হয় সেখানে দ্রব্যগুলি ''ক'' এর মৃত্যুর সময়ে থাকে৷

এই উত্তরদায়গুলি কোনটিই প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

ধারা-১৬২৷ যখন তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে উইলকারী কর্তৃক গৃহীতব্য দানকৃত বস্তুটি মূল্যবান এবং উইলকারী নিজে বা তাহার প্রতিনিধি উহা গ্রহণ করে৷- যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুটি তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে মূল্যবান কিছু গ্রহণ করার অধিকার হয় না৷ উইলকারী নিজে বা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে গৃহীত অর্থ বা অন্য দ্রব্য ছাড়া যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুটি তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে মূল্যবান কিছু গ্রহণ করার অধিকার হয়না৷ সেক্ষেত্রে উইলকারী কর্তৃক উক্ত অর্থ বা পণ্য গৃহীত হইলে উহা প্রত্যাহার হইবে না; যদি তিনি উহা তাহার সাধারণ সম্পত্তির সহিত মিশান তাহা হইলে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷

 

উদাহরণ

''গ'' এর কাছ থেকে দাবী মোতাবেক যাহা কিছু অর্থ পাওয়া যাইবে ক উহা ''খ'' কে দান করে৷ ''ক'' ''গ'' এর নিকট হইতে তাহার সমুদয় দাবী গ্রহণ করে এবং তাহার সাধারণ সম্পত্তি হইতে উহা পৃথক করিয়া রাখে৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় নাই৷

 

ধারা-১৬৩৷ উইলের তারিখ এবং উইলের মৃত্যুর মধ্যে সুনির্দিষ্ট দানের বিষয়ের আইন এর কার্য দ্বারা পরিবর্তন৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত কোন বস্তু উইলের তারিখ এবং উইলের মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং উক্ত পরিবর্তন আইনের কার্য দ্বারা অথবা দানকৃত বস্তুটি অধীন এইরূপ কোন আইনগত দলিলের বিধানাবলীর কার্যকরতাকালে ঘটে, সে ক্ষেত্রে উক্ত পরিবর্তনের কারণে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' ''খ'' কে ৫.৫% হারে সরকারী ঋণের সকল অর্থ দান করে৷ ৫.৫% হারে সিকিউরিটি লোন ''ক'' এর জীবদ্দশার ৫% স্টকে রূপান্তরিত হয়৷

(আ) ''ক'' ''খ'' কে ''ক'' এর জন্য ট্রাস্টিদের নামে কনসোলে বিনিয়োগকৃত ২,০০০ টাকা দান করে৷ ট্রাস্টিদের দ্বারা ঐ ২,০০০ টাকা ''ক'' এর নিজের নামে হস্তান্তর করা হয়৷

(ই) ক সরকারী অংগীকার পত্রের ১০,০০০ টাকা খ কে উইলমূলে দান করেন এবং উইলমূলে তার বিবাহ বন্দোবস্তের অধীনে উক্ত অর্থ বিলি ব্যবস্থা করার অধিকার তার আছে৷ পরবর্তীতে ক-এর জীবদ্দশায় বন্দোবস্তে উল্লেখিত কর্তৃত্ব বলে তহবিলটিকে কনসলে রূপান্তর করা হয়৷

এই সমস্ত উত্তরদায়ের কোনটি প্রত্যাহার করা হয় নাই৷

 

ধারা-১৬৪৷ উইলকারীর অবগতি ব্যতীত বিষয়ের পরিবর্তন৷- যেক্ষেত্রে উইলের তারিখ এবং উইলকারীর মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে দানকৃত বস্তুটি পরিবর্ধিত হয় এবং উক্ত পরিবর্তন উইলকারীর অবগতি বা অনুমোদন ব্যতীত ঘটে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

উদাহরণ

''ক'' ''খ'' কে ''আমার ৩% হারের সকল কনসল দান করে৷'' উক্ত কনসল ''ক''-এর অবগতি ছাড়াই তাহার প্রতিনিধি বিক্রয় করে এবং লভ্যাংশ ইস্ট ইন্ডিয়া স্টকে জমা দেয়৷ এই উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়নি৷

 

ধারা-১৬৫৷ সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক এই শর্তে তৃতীয় ব্যক্তিকে ধার দেওয়া হয় যে উহা পুনঃস্থাপন করিতে হইবে৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক এই শর্তে তৃতীয় পক্ষকে ধার দেওয়া হয় যে উহা পুনঃস্থাপন করিতে হইবে এবং উহা সেই মোতাবেক পুনঃস্থাপন করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

ধারা-১৬৬৷ সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক বিক্রির কিন্তু পুনঃস্থাপিত এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার দখলভুক্ত৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক বিক্রয় করা হয় এবং ঐ একই সমপরিমাণ স্টক পরবর্তীতে ক্রয় করা হয় এবং উইলকারী মৃত্যুর সময় তাহার দখলভুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-সতের

উইলমূলে দানের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে দায়সমূহ পরিশোধ প্রসঙ্গে

 

ধারা-১৬৭৷ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হইতে উত্তর দায় গ্রহীতাকে অব্যাহতি দানে নির্বাহকের কোন দায় দায়িত্ব থাকিবে না৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত সম্পত্তি উইলকারীর নিজের কিংবা তাহার অধীনে দাবীকারী অন্যকোন ব্যক্তি দ্বারা সৃষ্ট কোন বন্ধক, পূর্বস্বত্ব বা দায়ের বিষয়, তখন, উইল দ্বারা ভিন্নরূপ ইচ্ছা প্রতীয়মান না হইলে সেক্ষেত্রে উত্তরদায় গ্রহীতা যদি তিনি দানটি গ্রহণ করেন, উক্ত সম্পত্তি ঐ বন্ধক বা দায় সাপেক্ষে গ্রহণ করিবেন এবং (তাহার নিজের এবং উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির মধ্যের ন্যায়) উক্ত বন্ধক বা দায়ের ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷

(২) সাধারণভাবে উইলকারীর দেনা পরিশোধের জন্য উইলে উল্লিখিত কোন নির্দেশ হইতে ভিন্ন কোন অভিপ্রায় অনুমান করা যাইবে না৷

ব্যাখ্যা৷-ভূমি রাজস্ব আকারে কিংবা খাজনা আকারে সাময়িক পরিশোধ এই ধারা দ্বারা বর্ণিত দায় হয় না৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'', ''খ'' কে গ দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত ডায়মন্ডের আংটি দান করেন৷ ক- এর মৃত্যুর সময়ে আংটি খ-এর নিকট বন্ধক থাকে যাহার নিকট বন্ধক রাখে৷ ক-এর নির্বাহকদের দায়িত্ব হচ্ছে, যদি উইলকারীর সম্পত্তির অবস্থা তদ্রুপ হয়, আংটিটি পুনরুদ্ধারে ''খ'' কে সাহায্য করা৷

(আ) ''ক'', ''খ''-কে একটি জামিনদারী দান করে যাহা ক-এর মৃত্যুর সময়ে ১০,০০০ টাকার রেহেন সাপেক্ষ থাকে, এবং আসল সহ সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১,০০০ টাকা৷ খ-কে দানটি গ্রহণ করিতে হইলে চার্জসহ গ্রহণ করিতে হইবে এবং সে উক্ত ১১,০০০ টাকা প্রদানে বাধ্য থাকিবে৷

 

ধারা-১৬৮৷ দানকৃত বস্তুতে উইলকারীর স্বত্ব পূরণ তাহার ভূ-সম্পত্তির খরচে করিতে হইবে৷- যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুতে উইলকারীর স্বত্ব পূরণে কিছু করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে উহা উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির খরচে করিতে হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' নির্দিষ্ট মূল্যে একখণ্ড জমি ক্রয়ের জন্য চুক্তি বদ্ধ হয়; সে খ-কে দান করে এবং ক্রয় মূল্য পরিশোধের পূর্বে মারা যায়৷ ক্রয়মূল্য ক এর সম্পত্ত হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷

(আ) ''ক'' নির্দিষ্ট মূল্যে একখণ্ড জমি ক্রয়ের চুক্তিবদ্ধ হয়, যাহার অর্ধেক পরিশোধ করা হয় এবং বাকী অর্ধেক ভূমির বন্ধক দ্বারা সিকিউরড থাকে৷ পরে ক উহা খ-কে দান করে এবং ক্রয়মূল্য পরিশোধের পূর্বে মারা যায়৷ ক্রয়মূল্যের অর্ধাংশ ক এর সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-১৬৯৷ ভূমি রাজস্ব বা খাজনা সাময়িকভাবে প্রদেয় উত্তরাদায়গ্রহীতার এইরূপ স্থাবর ভূমির অব্যাহতি৷- যেক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব বা খাজনা নিয়তকালীন পরিশোধ করিতে হয় এইরূপ স্থাবর ভূমিতে/সম্পত্তিতে বিদ্যমান কোন স্বার্থ হস্তান্তর করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি এবং উত্তরদায়গ্রহীতার মধ্যের ন্যায়) প্রদানে বাধ্য থাকিবে৷

 

উদাহরণ

''ক'' ''খ'' কে একটি বাড়ী দান করে, যাহার জন্য বার্ষিক ৩৬৫ টাকা খাজনা দিতে হয়৷ ''ক'' স্বাভাবিক সময়ে তাহার খাজনা প্রদান করে এবং ২৫ দিন পরে মারা যায়৷ খাজনা সম্পর্কে ''ক''-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে ২৫ টাকা দিতে হইবে৷

 

ধারা-১৭০ জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে উত্তরদায়গ্রহীতার সুনির্দিষ্ট স্টকের অব্যাহতি৷- উইলে কোন নির্দেশনা থাকিলে যেক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর কোন স্টক হস্তান্তর করা হয়, সেক্ষেত্রে, উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে স্টক সম্পর্কে তাহার নিকট কোন ফল বা অন্য কোন পাওনা দেয় থাকিলে, উক্ত ফল বা দেনরার ভাব ভূ-সম্পত্তি হইতে বহন করিতে হইবে; উইলকারীর মৃত্যুর পরে উক্ত স্টক বিষয়ে কোন ফল বা অন্য কোন পাওনা থাকিলে উহা উত্তরাদয়গ্রহীতার দ্বারা বাহিত হইবে, যদি তিনি দানটি গ্রহণ করেন৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' ''খ'' কে রেলওয়ে কোম্পানীতে তাহার শেয়ার দান করে৷ ''ক''-এর মৃত্যুর সময়ে প্রত্যেকটি কলের ক্ষেত্রে তাহার নিকট ১০০ টাকা পাওনা ছিল এবং প্রত্যেকটি শেয়ারের ক্ষেত্রে ৫ টাকা পাওনা ছিল৷ উহা ''ক''-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে বহন করিতে হইবে৷

(আ) ''ক'' অভিষ্ট জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে ৫০টি শেয়ার গ্রহণ করিতে সম্মতি হয় এবং প্রত্যেকটি শেয়ারের জন্য ১০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করিবে মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়, এবং উক্ত টাকা শেয়ারে তাহার স্বত্ব পূরণ হওয়ার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷ ''ক'' শেয়ারগুলি ''খ'' কে প্রদান করে৷ ক-এর স্বত্ব পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিশোধ তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে করিতে হইবে৷

(ই) ক, খ কে রেলওয়ে কোম্পানীর শেয়ার দান করে এবং খ উহা গ্রহণ করে৷ ক-এর মৃত্যুর পরে শেয়ার সম্পর্কে একটা কল করা হয়৷ খ-কে কল প্রদান করিতে হইবে৷

(ঈ) ক, খ কে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে তাহার শেয়ার দান করে এবং খ উহা গ্রহণ করেন৷ পরবর্তীতে কোম্পানীটি অবসারিত হয় এবং প্রত্যেক শেয়ার হোল্ডারকে কন্ট্রিবিউশনের জন্য ডাকা হয়৷ উত্তরদায়গ্রহীতাকে উক্ত কন্ট্রিবিউশনের পরিমাণ বহন করিতে হইবে৷

(উ) ক রেলওয়ে কোম্পানীর ১০টি শেয়ারের মালিক৷ ক জীবিত থাকাকালে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতি শেয়ারে ৫০ টাকার একটি কল দেয়া হয়, যাহা তিন কিস্তিতে প্রদেয়৷ ক তাহার শেয়ার খ-কে উইলমূলে দান করে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করার ধার্য তারিখের মধ্যে এবং প্রথম কিস্তি পরিশোধ না করিয়া মারা যায়৷ ক-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে প্রথম কিস্তি পরিশোধ করিতে হইবে, এবং খ, উত্তরদায়টি গ্রহণ করিলে, তাকে অবশিষ্ট কিস্তি পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-১৮

সাধারণ শর্তে বর্ণিত বিষয়ের দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৭১৷ সাধারণ শর্তে বর্ণিত বিষয়ের দান৷- যদি সাধারণ শর্তে কথায় বর্ণিত কিছু দান করা হয়, তাহা হইলে নির্বাহক বর্ণনাটির উত্তরদানের জন্য যুক্তিসংগতভাবে যাহা কিছু বিবেচিত হইবে তাহা উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য অবশ্যই ক্রয় করিবেন৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে একজোড়া বাহক ঘোড়া বা একটি আংটি দান করেন৷ সম্পত্তি অবস্থা ভাল হইলে নির্বাহক অবশ্যই উত্তরদায়গ্রহীতাকে উক্ত পণ্য সরবরাহ করিবেন৷

(আ) ক, খ কে ''আমার বাহক ঘোড়া'' দান করেন৷ তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন বাহক ঘোড়া ছিল না৷ উত্তরদায়টি ব্যর্থ হইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়- ঊনিশ

তহবিলের আয়ের স্বার্থের দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৭২৷ তহবিলের স্বার্থ বা আয়ের দান৷- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে তহবিলের স্বার্থ বা আয় এবং দানের ভোগ সীমিত মেয়াদের হইবে বলিয়া উইলে অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত থাকে, সেক্ষেত্রে আসল এবং সুদ/স্বার্থ উত্তরদায়গ্রহীতার দখলভুক্ত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ-কে ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ দান করে৷ উক্ত সিকিউরিটিকে প্রভাবিত করার মত উইলে অন্য কোন ক্লজ থাকে না৷ খ, ক এর ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের অধিকারী হয়৷

(আ) ক, খ কে ৫.৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ এবং তাহার মৃত্যুর পরে উহা গ-কে দান করে৷ ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় উক্ত নোটের স্বার্থ লাভ করিবে এবং খ এর মৃত্যুর পরে উহার অধিকারী হইবে ''গ''৷

(ই) ক, খ কে তাহার ভূমির খাজনা দান করে৷ ''খ'' উক্ত ভূমি লাভ করিবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় - বিশ

বার্ষিক ভাতার দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৭৩৷ উইল দ্বারা ভিন্নরূপ অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে তত্ কর্তৃক সৃষ্ট বার্সিক ভাতা শুধুমাত্র জীবনভর প্রদেয় হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলমূলে কোন বার্ষিক ভাতা সৃষ্টি করা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে উক্ত বার্ষিক ভাতা সম্পত্তি হইতে প্রদত্ত হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকা কিংবা উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ে কোন নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগে দান করা সত্ত্বেও উইল দ্বারা বিপরীত অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে উত্তরদায়গ্রহীতা শুধুমাত্র তাহার জীবনের জন্য উক্ত বার্ষিক ভাতা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে বার্ষিক ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতি বছরে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

(আ) ''ক'' মাসিক হারে খ-কে ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতিমাসে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷

(ই) ক, খ কে ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা এবং খ এর মৃত্যুর পর উহা গ কে দান করে৷ খ তাহার জীবদ্দশায় ৫০০ টাকা ভাতা পাইবে৷ গ, খ এর উত্তরজীবী হইলে সে-এর মৃত্যু থেকে তাহার মৃত্যু পর্যন্ত ৫০০ টাকা বার্ষিক ভাতা পায়৷

 

ধারা-১৭৪৷ যেক্ষেত্রে সাধারণভাবে সম্পত্তি লভ্যাংশ কিংবা সম্পত্তি হইতে বার্ষিক ভাতা প্রদত্ত হইবে বলিয়া উইলে নির্দেশ থাকে অথবা বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে উইলকৃত অর্থ বিনিয়োগকৃত হইবে সেক্ষেত্রে ন্যস্ততার সময়কাল৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুতে কোন ব্যক্তির জন্য [শিরোনাম টু লিথ], সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি উত্তরদায়গ্রহীতার উপর স্বার্থসহ ন্যস্ত হয় এবং তিনি তাহার জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের অথবা উক্ত উদ্দেশ্যে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' তাহার উইলে ''খ'' এর জন্য ১,০০০ টাকা বার্ষিক ভাতা তাহার সম্পত্তি হইতে ক্রয় করিতে হইবে বলিয়া নির্বাহকদের নির্দেশ দেন৷ ''খ'' তাহার জন্য ১,০০০ টাকার বার্ষিক ভাতা ক্রয় করিতে অথবা উক্ত বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত হইবে এমন পরিমাণ অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷

(আ) ক, খ কে একটি তহবিল দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে, খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল ''গ'' এর জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে খাটাইতে হবে৷ খ এবং গ উইলকারীর উত্তরজীবী৷ গ, খ এর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল গ এর প্রতিনিধির দখলভুক্ত হয়৷

 

ধারা-১৭৫৷ বার্ষিক ভাতা হ্রাসকরণ৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতা দান করা হয় কিন্তু উইলকারীর সম্পত্তি উইল দ্বারা প্রদত্ত সকল উত্তরদায় পরিশোধের পর্যাপ্ত না হয়, সেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতাটি উইল দ্বারা প্রদত্ত অন্যান্য আর্থিক উত্তর দায়ের ন্যায় একই অনুপাতে হ্রাস পাইবে৷

 

ধারা-১৭৬৷ যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে সমুদয় বার্ষিক ভাতা প্রথমে মিটাইতে হয়৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে অবশিষ্টের কোন অংশ অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিবার পূর্বে সমুদয় বার্ষিক ভাতা মিটাইতে হয় এবং প্রয়োজন হইলে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশ উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য হইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-একুশ

পাওনাদার এবং অংশীদারের উত্তরদায় সম্পর্কে

 

ধারা-১৭৭৷ অংশীদার আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হয়৷ - যেক্ষেত্রে একজন দেনাদার তাহার পাওনাদারের বরাবরে কোন উত্তরদায় দান করে এবং উইল হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় না যে, উত্তরদায়টি দেনা মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হইয়াছে, সেক্ষেত্রে পাওনাদার উক্ত উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৭৮৷ শিশু আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং অংশলাভের অধিকারী হইবে৷- যেক্ষেত্রে কোন পিতা চুক্তিমূলে শিশুকে অংশ প্রদানে বাধ্য কিন্তু, উক্তরূপ করিতে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত শিশুকে উত্তরদায় দান করে এবং উইল দ্বারা এইরূপ ইঙ্গিত দেয় না যে উত্তরদায়টি উক্ত অংশ মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সন্তান উত্তরদায় এবং অংশগ্রহণ করার অধিকারী হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ এর সাথে বিবাহ চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং শর্ত আরোপ করে যে, সে উক্ত ইপ্সিত বিবাহের প্রত্যেক কন্যাকে তাহার বিবাহে ২০,০০০ টাকা প্রদান করিবে৷ এই শর্ত ভাঙ্গিয়া ''ক'' প্রত্যেক বিবাহিত কন্যাকে ২০,০০০ টাকা দান করে৷ উত্তরদায় গ্রহীতাগণ তাহাদের অংশ ছাড়াও এই দানের অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৭৯৷ উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য পরবর্তী বিধান দ্বারা কোন প্রত্যাহার হইবে না৷- উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য বন্দোবস্ত বা ভিন্নরূপ কোন পরবর্তী বিধানের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে কোন দান প্রত্যাহার করা যাইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, তাহার পুত্র খ কে ২০,০০০ টাকা দান করেন৷ তিনি পরবর্তীতে খ কে ২০,০০০ টাকা প্রদান করেন৷ তদদ্বারা উত্তরদায়টি প্রত্যাহৃত হয় না৷

(আ) ক তাহার এতিম ভাইঝি খ কে, যাহাকে তিনি তাহার শৈশব হইতে লালন পালন করিয়াছেন, ৪০,০০০ টাকা দান করেন৷ পরবর্তীতে খ-এর বিবাহ উপলক্ষ্যে তিনি তাহাকে ৩০,০০০ টাকা দেন৷ উত্তরদায়টি তদদ্বারা বিলুপ্ত হয় না৷

 

অধ্যায়-বাইশ

নির্বাচন সম্পর্কে

 

ধারা-১৮০৷ যে অবস্থায় নির্বাচন হইবে৷- যে কোন ব্যক্তি উইলমূলে এমন কিছু বিলি করিতে চান, যাহার বিলিব্যবস্থা করিবার অধিকার তাহার নাই, সেক্ষেত্রে জিনিসটি যে ব্যক্তির দখলভুক্ত হয় তিনি উক্ত বিলিব্যবস্থা নিশ্চিত করিবেন না উহাতে অসম্মত দিবেন তাহা নির্বাচন করিবেন, এবং পরবর্তীটির ক্ষেত্রে/ দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাহাকে উইলমূলে প্রদত্ত লাভ ত্যাগ করিতে হইবে৷

 

আলোচনা

বাছাইয়ের শর্তাবলীঃ-

(১) উইলকারী উইলের মাধ্যমে তার নিজস্ব কিছু অন্যকে দিয়া থাকে;

(২) উইলকারী উইলের মাধ্যমে আগন্তুককে যে সম্পত্তি দিতে চায় তা, উত্তরদায় গ্রহীতার দখলভুক্ত হতে হবে৷

(৩) নীতিটি কেবলমাত্র উইলের অধীনে দাবী এবং dehor দাবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে৷

 

ধারা-১৮১৷ মালিক কর্তৃক ব্যক্ত স্বার্থে হস্তান্তর৷- ১৮০ ধারায় বিধৃত অবস্থায় ত্যক্ত কোন স্বার্থ এমনভাবে উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট হস্তান্তিরত হইবে যেন উহা তাহার অনুকূলে উইলমূলে বিলিব্যবস্থা করা হয় নাই উইলদ্বারা তাহাকে প্রদত্ত হইবে বলিয়া অভিষ্ট দানের পরিমাণ বা মূল্যের চার্জ নিরাশ উইলগ্রহীতাকে দান করা সাপেক্ষে এবং সত্ত্বেও৷

 

ধারা-১৮২৷ উইলকারীর মালিকানা সম্পর্কে তাহার বিশ্বাস অপ্রাসাঙ্গিক৷- ১৮০ এবং ১৮১ ধারার বিধানাবলী, উইলকারী তাহার উইল দ্বারা যাহা বিলিব্যবস্থা করিতে চাহেন তাহা তাহার নিজের বলিয়া বিশ্বাস করুক বা না করুক, প্রযোজ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) সুলতানপুরের ফার্মিটি গ-এর ছিল৷ ক উহা উইলমূলে খ-কে দান করেন এবং গ-কে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায় দেন৷ গ তাহার ৮০০ টাকা মূল্যের সুলতানপুরের খামারটি রাখার নির্বাচন করেন৷ গ-১০০০ টাকার উত্তরদায়টি বাতিল করিয়া দেন, যাহা হইতে ৮০০ টাকা খ-এর নিকট চলিয়া যায় এবং অবশিষ্ট ২০০ টাকা অবশিষ্ট দানের মধ্যে পড়ে অথবা ক্ষেত্রমতে, উইলহীন উত্তরাধিকারের বিধি মোতাবেক বর্তায়৷

(আ) ক, খ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করেন যদি খ-এর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং তাহার সন্তান আছে) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান না থাকে৷ ক, গ-কে একটি হীরাও দান করেন, যাহা খ-এর দখলভুক্ত৷ খ কে হীরাটি ত্যাগ করিবার অথবা ভূ-সম্পত্তিটি হারাবার নির্বাচন করিতে হইবে৷

(ই) ক, খ কে ১০০০ টাকা এবং গ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করে, যাহা কোন বন্দোবস্তাধীনে ঘ-এর দখলভূক্ত হইবে যদি তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং সন্তানের অধিকারী) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান রাখিয়া না যান৷ খ-কে অবশ্যই ভূ-সম্পত্তিটি পরিত্যাগ করিবার অথবা উত্তরদায়টি ঘোরানোর নির্বাচন করিতে হইবে৷

(ঈ) ১৮ বত্সর বয়স্ক একজন ব্যক্তি ''ক'' বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নির্বাসিত কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডে রিয়েল প্রপার্টির মালিক, আইন অনুযায়ী গ যাহার উত্তরাধিকারী৷ ক, গ কে একটা উত্তরদায় দান করে এবং খ কে ''আমার যেখানেই যাহাই থাকুক সকল সম্পত্তি'' দান করে এবং ২১ বত্সরের নীচে মারা যায়৷ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টি উইলমূলে হস্তান্তরিত হয় না৷ গ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টির দাবী ত্যাগ না করিয়াই তাহার উত্তরদায়ের দাবী করিতে পারিবে৷

 

ধারা-১৮৩৷ মানুষের কল্যাণার্থে দান কিভাবে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গণ্য৷- একজন ব্যক্তির কল্যাণার্থে দান, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, তাহার নিজের বরাবরে দানের ন্যায় একই জিনিস হয়৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুর খুরডের খামারটি খ এর সম্পত্তি; ক উহা গ কে দান করে এবং তাহার নিজের নির্বাহকদের সুলতানপুর বুজুর্গ নামে আরেকটি ফার্মটি এই নির্দেশ দিয়া দান করে যে, উহা বিক্রিত হইবে এবং উহার লভ্যাংশ খ-এর দেনা পরিশোধে ব্যয় করিতে হইবে৷ খ উইলের শর্ত মানিয়া চলিবে কিনা কিংবা উহার বিপরীতে সুলতানপুর খুরড়ের খামারটি রাখিবে কিনা তাহা নির্বাচন করিবে৷

 

ধারা-১৮৪৷ পরোক্ষভাবে লাভ বঞ্চিত৷- উইলের অধীন সরাসরি কোন লাভ গ্রহণ করিতেছে না কিন্তু পরোক্ষভাবে উহার অধীন লাভ হইতে বঞ্চিত হইতেছে এইরূপ ব্যক্তি নির্বাচন করিতে পারে না৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুরের ভূমি গ এর নামে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাহার একমাত্র সন্তান খ এর নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়৷ ক উক্ত ভূমি খ-কে এবং ১০০০ টাকা গ-কে দান করে৷ গ উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় এবং কোন নির্বাচনও করে না৷ খ, গ এর সম্পত্তির দেখাশুনার ভার নেয় এবং তত্ত্বাধায়ক হিসাবে উইলের অধীনে গ এর পক্ষে ভূ-সম্পত্তি গ্রহণ করার নির্বাচন করে৷ খ উক্ত ক্ষমতায় ১,০০০ টাকার উত্তরদায় গ্রহণ করে এবং সুলতানপুর ভূমির খাজনা গ কে দেয়৷ তাহার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যে সে উইলের বিপরীতে সুলতানপুরের ভূমি দখলে রাখে৷

 

ধারা-১৮৫৷ উইলের অধীন বিশেষ যোগ্যতায় গ্রহণকারী ব্যক্তি অন্য বৈশিষ্ট্যে বিপরীতভাবে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারে৷ যে ব্যক্তি তাহার বিশেষ যোগ্যতায় উইলে অধীনে কোন লাভ গ্রহণ করে ঐ ব্যক্তি অন্য কোন চরিত্রে উইলের বিপরীতে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারিবে৷

 

উদাহরণ

সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ''খ''-কে ২,০০০ টাকা এবং ''গ'' কে ১,০০০ টাকা, যে ''খ'' এর একমাত্র সন্তান, দিয়া যায়৷ ''গ'' ''খ'' এর সম্পত্তির ভার নেয় এবং প্রশাসক গিসাবে উইলের বিপরীতে উক্ত ভূ-সম্পত্তি রাখার এবং ২,০০০ টাকার উত্তর দায় পরিত্যাগ করার নির্বাচন করে৷ ''গ'' ইহা করিতে পারিবে এবং উইলের অধীন ১,০০০ টাকার উত্তরদায় দাবী করিতে পারিবে৷

 

ধারা-১৮৬৷ সর্বশেষ ৬টি ধারার বিধানাবলীর ব্যতিক্রম৷- ১৮০ ধারা থেকে ১৮৫ ধারা পর্যন্ত যাহা কিছু বলা হোক না কেন যেক্ষেত্রে কোন বিশেষ দান উত্তরদায়গ্রহীতার অধিকারভুক্ত কোন কিছুর পরিবর্তে, যাহা উইল দ্বারা বিলিব্যবস্থা করা হয়, হইবে বলিয়া উইলে প্রকাশ করা হয় তখন উত্তরদায়গ্রহীতা উক্ত বস্তু দাবী করিলে সে অবশ্য বিশেষ উপহারটি পরিত্যাগ করিবে কিন্তু উইল তাহাকে প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা সে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য নয়৷

 

উদাহরণ

''ক'' এর বিবাহ বন্দোবস্তাধীন তাহার স্ত্রী, যদি তিনি ক এর উত্তরজীবি হন, তাহার জীবদ্দশায় সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ভোগের অধিকারী৷ ক উইলমূলে উক্ত সম্পত্তির স্বার্থের পরিবর্তে তাহার স্ত্রীকে তাহার জীবদ্দশায় ২০০ টাকা বার্ষিক ভাতা দান করে এবং ভূ-সম্পত্তিটি তাহার পুত্রকে দান করে৷ তিনি তাহার স্ত্রীকে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায়ও প্রদান করেন৷ স্ত্রী বন্দোবস্তাধীন যাহা কিছু পান তাহা নেওয়ার নির্বাচন করেন৷ তিনি বার্ষিক ভাতা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবে কিন্তু, ১০০০ টাকার উত্তর দায়টি নয়৷

 

ধারা-১৮৭৷ কখন উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন উক্ত লাভ নেওয়ার নির্বাচন হইবে৷- উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন নেওয়ার জন্য উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক নির্বাচন গঠন করে যদি তাহার নির্বাচন করার অধিকার এবং নির্বাচন করিতে একজন যুক্তিসংগত ব্যক্তির রায়কে যে সমস্ত বিষয়ে প্রভাবিত করে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবগতি থাকে অথবা তিনি উক্ত বিষয়ের তদন্তের অধিকার পরিত্যাগ করে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক সুলতানপুর খুর্দ্ নামে একটি ভূ-সম্পত্তির মালিক এবং তাহার সুলতানপুর বুজুর্গ নামে অন্য একটি ভূ-সম্পত্তিতে জীবনস্বত্ব আছে, যাহাতে তাহার মৃত্যুর পর তাহার সন্তান ''খ'' পূর্ণভাবে অধিকারী হইবে৷ ''ক'' উইলমূলে সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তি ''খ'' কে এবং সুলতানপুর বুজুর্গে  সম্পত্তি ''গ'' কে দান করে৷ ''খ'' সুলতানপুর বুজুর্গের ভূ-সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে উহা ''গ'' এর দখলে নেওয়ার অনুমতি দেয় এবং সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তির দখলে প্রবেশ করে৷ ''খ'' ''গ'' কে প্রদত্ত সুলতানপুর বুজুর্গের দান করে নাই৷

(আ) ''ক'' এর জ্যেষ্ঠপুত্র খ সুলতানপুর নামে একটি ভূ-সম্পত্তির দখল দেয়৷ ''ক'' ''গ'' কে সুলতানপুর এবং ''ক'' এর সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ ''খ'' কে দান করে৷ ''খ'' এর নির্বাহক দ্বারা জ্ঞাত হয় যে, অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫,০০০ টাকা হইবে এবং সে ''গ'' কে সুলতানপুরের দখল নেওয়ার অনুমতি দেয়৷ সে পরবর্তীতে জানিতে পারে যে উক্ত অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশী হয় না৷ ''খ'' এর বরাবরে সুলতানপুর ভূ-সম্পত্তির দান নিশ্চিত করে নাই৷

 

ধারা-১৮৮৷ কোন অবস্থায় অবগতি বা স্বত্ব ত্যাগ অনুমান করিতে বা ধরিয়া নিতে হয়৷- বিপরীত মর্মে সাক্ষ্য না থাকিলে অসম্মতি প্রকাশ করার কোন কার্য সম্পাদন ব্যতিরেকে উত্তরদায়গ্রহীতা যদি উইল দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত লাভ দুই বছর ভোগ করিয়া থাকে তাহা হইলে তদন্ত সম্পর্কে জ্ঞান বা দাবী ত্যাগ অনুমান করিয়া লইতে হইবে৷

(২) উত্তরদায়গ্রহীতার কোন কার্যের ফলে যদি দানের বিষয়বস্তু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে যেন উক্তরূপ কার্যটি সম্পাদন করা হয় নাই এইরূপ একই অবস্থায় স্থাপন করিতে অসম্ভব হইয়া পড়ে তাহা হইলে উক্ত কাযর্য হইতে তদন্তের অবগতি বা দাবী ত্যাগ অনুমান করা যাইবে৷

 

উদাহরণ

''গ'' অধিকারী এইরূপ কোন ভূ-সম্পত্তি ক, খ কে এবং একটি কয়লা খনি গ কে দান করে৷ গ খনির দখল নিয়া উহা নিঃশেষ করিয়া ফেলে৷ ফলে সে খ এর বরাবরে ভূ-সম্পত্তির দানটি নিশ্চিত করিয়াছে৷

 

ধারা-১৮৯৷ কখন উইলকারীর প্রতিনিধি উত্তরদায়গ্রহীতাকে বাছাই করার আহবান করিতে পারিবে৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর পর হইতে এক বছরের মধ্যে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকারীর প্রতিনিধিকে উইলটি নিশ্চিত করার বা উহাতে সম্মতি না দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত না করে তাহা হইলে প্রতিনিধি উক্ত সময় অবসানান্তে তাহাকে বাছাই করিতে তলব করিবে এবং যদি সে উক্ত তলব গ্রহণ করিবার পরে যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে উহা পালন না করে তাহা হইলে সে উইলটি নিশ্চিত করিতে বাছাই করিয়াছে বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-১৯০৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে বাছাই স্থগিতকরণ৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে অক্ষমতার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা কোন যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাছাই না করা পর্যন্ত বাছাই স্থগিত থাকিবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধ্যায়- তেইশ

মৃত্যু অনুমানে দান সম্পর্কে

ধারা-১৯১৷ মৃত্যু কল্পনায় (অনুমান) কৃত দানের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি৷- (১) একজন ব্যক্তি মৃত্যু কল্পনায় দানের মাধ্যমে কোন অস্থাবর সম্পত্তি, যাহা সে উইল দ্বারা বিলির ব্যবস্থা করিতে পারিত, বিলি ব্যবস্থা করিতে পারবি৷

(২) ঐক্ষেত্রে মৃত্যু কল্পনায়/ভাবনায় কোন দান করা হয়, যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, যিনি অসুস্থ এবং তাহার অসুস্থতার কারণে শীঘ্র মৃত্যুর আশা করেন, কোন স্থাবর সম্পত্তির দখল দান হিসাবে রাখার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করে সেক্ষেত্রে দাতা উক্ত অসুস্থতার কারণে মারা যাইবে৷

(৩) উক্ত দানদাতা কর্তৃক পুন প্রবর্তন করা যাইবে এবং যে সময়ে তিনি দানটি করিয়াছিলেন উক্ত সময়ে যদি আরোগ্য লাভ করে অথবা যাহার বরাবরে দান করা হইয়াছে তিনি তাহার উত্তরজীবী হন তাহা হইলে দানটি কার্যকারী হইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় ''খ'' কে তদকর্তৃক রাখিয়া দিবার জন্য নিম্নলিখিত বস্তু অর্পণ করেঃ-

        একটি ঘড়ি,

        ক-কে গ দ্বারা প্রদত্ত একটি বন্ড,

        একটি ব্যাংক নোট,

        সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,

        বিনিময় বিল,

        কয়েকটি রেহেল দলিল৷

        ক উক্ত দ্রব্যগুলো প্রত্যার্পণ কালে অসুস্থতায় মারা যায়৷

        ''খ'' নিম্নলিখিত দ্রব্যের অধিকারী হয়৷

        ঘড়িটি,

        গ এর বন্ডের দেনা,

        ব্যাংক নোট,

        সহকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,

        বিনিময় বিল,

        রেহেন দিললের অর্থ

     

    (আ) ক অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় খ কে একটি ট্র্যাংকের চাবি, ক এর দখলভুক্ত দ্রব্য জমা আছে এইরূপ একটি গুদামের চাবি অর্পণ করে তাহাকে ট্র্যাংকের ভিকরকার দ্রব্য অথবা জমাকৃত দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ দেবার ইচ্ছায় এবং ক-এর মৃত্যুতে উহা নিকট রাখিয়া দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে৷ ক মারা যায়৷ খ ট্র্যাংক এবং ট্র্যাংকের মধ্যকার দ্রব্য অথবা ক এর গুদামের অধিকারী হয়৷

    (ই) ক অসুস্থ হইয়া মৃত্যু ভাবনায় কিছু দ্রব্য আলাদা আলাদা পার্সেলে রেখে দেয় এবং পার্সেলগুলোর উপর যথাক্রমে খ এবং গ এর নামের চিহ্ন দেয়৷ ক এর জীবদ্দশায় পার্সেলগুলি অর্পণ করা হয় নাই৷ ক মারা যায়৷ খ এবং গ পার্সেলের অধিকারী হয় না৷

     

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৭

মৃতের সম্পত্তির সংরক্ষণ

 

ধারা-১৯২৷ মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকারে অধিকার দাবীকারী ব্যক্তি বেআইনী দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকারের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে৷- (১) যদি কোন ব্যক্তি স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যান তাহা হইলে উহাতে বা উহার কোন অংশে উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার দাবীকারী কোন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত এইরূপ জেলার জেলা জজের নিকট কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রকৃত দখল নেওয়ার পর অথবা যখন দখল নেওয়ার বল প্রয়োগ পদ্ধতি আশংকা করা হয়, প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷

(২) কোন প্রতিনিধি আত্মীয় বা নিকট বন্ধু বা কোর্ট অভ ওয়ার্ড পূর্বোক্ত কোন সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারসূত্রে অধিকারী এইরূপ কোন নাবালক, অযোগ্য অথবা অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷

 

আলোচনা

পরিচালনামূলক মামলাঃ

বৃহত্ অর্থে পরিচালনা মৃত ব্যক্তির সম্পদের সংগ্রহ, উইলকারীর উইলের অধীনে অধিকারী ব্যক্তিকে দেনা পরিশোধ এবং অবশিষ্টাংশের বণ্টন অন্তর্ভূক্ত করে৷

 

ধারা-১৯৩৷ জজের দ্বারা তদন্ত৷- যে জেলা জজের নিকট আবেদন করা হয় ঐ জেলা জজ প্রথমত দরখাস্তকারীকে শপথপূর্বক জেরা করিবেন এবং দখলরত অথবা জোরপূর্বক দখল গ্রহণকারী ব্যক্তির কোন আইনগত শর্ত নাই এবং দরখাস্তকারী অথবা যাহার পক্ষে তিনি দরখাস্ত করেন তিনি প্রকৃতপক্ষে অধিকারী এবং মামলার স্বাভাবিক প্রতিকার দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা আছে এবং প্রকৃত অর্থে দরখাস্তটি করা হয় এইরূপ বিশ্বাস করিবার পযাপ্ত কারণ আছে কিনা তদসস্পর্কে তিনি যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন তেমন আরো তদন্ত করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-১৯৪৷ কার্যপদ্ধিত৷- যদি জেলা জজ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, পূর্বোক্তভাবে এবং অন্য কোনভাবে নয় বিশ্বাস করিবার পর্যাপ্ত কারণ আছে তাহা হইলে তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দিবেন এবং খালি করার নোটিশ দিবেন এবং যুক্তসংগত সময় অবসানের পর সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে দখল অধিকার নিষ্পত্তি করিবেন (অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতির ন্যায় মামলা সাপেক্ষে) এবং সেই মোতাবেক দখল অর্পণ করিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, জজের একজন অফিসার নিয়োগ করিবার ক্ষমতা থাকিবে যিনি দ্রব্যাদির তালিকা গ্রহণ করিবেন এবং দরখাস্তের ভিত্তি অনতিবিলম্বে উহা সিল করিবেন অথবা অন্য কোনভাবে নিশ্চিত করিবেন, তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করিয়া থাকুন বা না থাকুন৷

 

ধারা-১৯৫৷ কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটর নিয়োগ৷- যদি পূর্বোক্তভাবে উক্তরূপ তদন্তের পর আরো প্রতীয়মান হয় যে সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি নিষ্পন্ন হইবার পূর্বে সম্পত্তি আত্মসাতের আশংকা বা অপচয় হওয়ার ঝূঁকি আছে এবং দখলভুক্ত পক্ষের নিকট হইতে সিকিউরিটি লাভের বিলম্ব অথবা উহার অপর্যাপ্ততা দখলহীন পক্ষকে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির সম্মুখীন করিবে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি আইনগত মালিক হওয়া সত্ত্বে জেলা জজ এক বা একাধিক কিউরেট নিয়োগ করিতে পারিবেন, যাহারা তাহার বা তাহাদের নিয়োগের শর্ত মোতাবেক কর্তৃত্বপরায়ণ হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ভূমির ক্ষেত্রে জজ কালেকটরকে অথবা কালেকটরের অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কিউরেটরের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেনঃ

আরো শর্ত থাকে যে, কোন সম্পত্তি সম্পর্কে কিউরেটরের প্রত্যেকটি নিয়োগ যথোপযুক্তভাবে প্রকাশ করিতে হইবে৷

 

ধারা-১৯৬৷ কিউরেটরের উপর অর্পণযোগ্য ক্ষমতা৷ - জেলা জজ সাধারণভাবে সম্পত্তির দখল গ্রহণ করার অথবা দখলভুক্ত পক্ষ কর্তৃক মুচলেকা না দেওয়া পর্যন্ত অথবা সম্পত্তির তালিকা না করা পর্যন্ত অথবা দখলভুক্ত পক্ষ দ্বারা সম্পত্তি আত্মাসাত্ বা অপচয় হইতে রক্ষার জন্য কিউরেটরকে সম্পত্তি দখলদান করার ক্ষমতা দিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, জজের বিবেচনায় দখলভুক্ত পক্ষকে মুচলেকা দেওয়া বা না দেওয়ার ভিত্তিতে উক্ত দখল অব্যাহত রাখার অনুমতি দিবেন এবং অব্যাহতভাবে দখল রাখা তালিকা ইঙ্গিত দেওয়া অথবা দলিল বা অন্যকোন দ্রব্যাদি নিশ্চিত করণার্থে তিনি যেমন আদেশ দিবেন তেমন আদেশ সাপেক্ষ হইবে৷

 

ধারা-১৯৭৷ কিউরেটর কর্তৃক কতিপয় ক্ষমতা প্রয়োগ নিষিদ্ধ৷- (১) যেক্ষেত্রে ১০নং ভাগের অধীন সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয়, অথবা প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিসট্রেশন মঞ্জুর করা হয়, সেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন নিয়োজিত কিউরেটর আইনসঙ্গতভাবে সার্টিফিকেট ধারক, নির্বাহক বা প্রশাসকের অধিকার কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না৷

(২) কিউরেটরকে দেনা, প্রভৃতি পরিশোধ: যে সকল ব্যক্তি আদালত কর্তৃক অনুমোদিত কিউরেটরের গ্রহণের জন্য দেনা বা খাজনা পরিশোধ করিয়াছে, তাহাদেরকে অব্যাহতি দিতে হইবে এবং কিউরেটর ক্ষেত্রমতে সার্টিফিকেট, প্রোবেট, বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাভকারী ব্যক্তিকে উহা পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন৷

 

ধারা-১৯৮৷ কিউরেটরকে জামানত দিতে হইবে৷- (১) জেলা জজ কিউরেটরের নিকট হইতে তাহার ট্রাস্টের বিশ্বস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য এবং অতঃপর বর্ণিত সন্তোষজনক হিসাব প্রদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিবেন এবং তাহাকে সম্পত্তি হইতে জেলা জজ যেমন যুক্তিসঙ্গত মনে করিবেন তেমন বেতন গ্রহণের ক্ষমতা দান করিবেন যাহা কোনভাবেই অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে এবং স্থাবর সম্পত্তির বার্ষিক লাভের উপর ৫% এর অধিক হইবে না৷

(২) কিউরেটর কর্তৃক সকল অতিরিক্ত অর্থ আদালতে প্রদান করিতে হইবে এবং সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি বিচারের প্রেক্ষিতে উহাতে উধিকারী ব্যক্তির কল্যানার্থে উক্ত অর্থ জন নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

(৩) যুক্তিসংগত সকল ডিসপাচে কিউরেটরের নিকট হইতে জামানত নিতে হইবে এবং সম্ভব হইলে যে সকল ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ব্যক্তিকে কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে ঐ সকল ক্ষেত্রে সাধারণভাবে উত্তরদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিতে হইবে কিন্তু জামানত গ্রহণে বিলম্ব হইলে তাহা কিউরেটরকে অনতিবিলম্বে তাহার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা দিতে জজকে নিবারণ করিবে না৷

 

ধারা-১৯৯৷ কালেক্টরের নিকট হইতে রিপোর্ট যেক্ষেত্রে ভূ-সম্পত্তি রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি অন্তর্ভূক্ত করে৷- (১) যেক্ষেত্রে মৃতের ভূ-সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারকে রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি-লইয়া গঠিত হয়, সেক্ষেত্রে দখলরত পক্ষকে সমন দেওয়া কিউরেটর নিয়োগ অথবা উক্ত নিয়োগে ব্যক্তিকে মণোনয়ন দেওয়া সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জেলা জজ কালেক্টরের নিকট হইতে প্রতিবেদন দাবি করিবেন এবং উহার ফলে কালেক্টর উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেই উক্ত রিপোর্ট ব্যতিরেকে অগ্রসর হইতে পারিবেন৷

(২) জজ উক্তরূপ কোন রিপোর্ট অনুযায়ী কার্য করিতে বাধ্য থাকিবেন না কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্য করিবার ক্ষেত্রে তিনি অনতিবিলম্বে উক্তরূপ করিবার কারণ সম্বলিত একটি বিবৃতি দাখিল করিবেন, যদি হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কারণের সহিত অসন্তুষ্ট হন তাহা হইলে উহা কালেক্টরের রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্রসর হইবার জন্য জজকে নির্দেশ দিবেন৷

 

ধারা-২০০৷ মামলা দায়ের এবং আত্মরক্ষা৷- কিউরেটর মামলা দায়ের অথবা আত্মরক্ষা সম্পর্কিত জেলা জজের সকল আদেশ সাপেক্ষ হইবেন এবং সকল মামলা ভূ-সম্পত্তির পক্ষে কিউরেটরের নামে দাখিল করা যাইবে অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন যাইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, দেনা অথবা খাজনা আদায়ের জন্য কিউরেটরের নিয়োগের আদেশে সুস্পষ্ট কর্তৃত্বের আবশ্যক হইবে কিন্তু, উক্তরূপ প্রকাশ্য কর্তৃত্ব উক্ত কর্তৃত্ব বলে গৃহীত সকল অর্থ হিসাব দানে কিউরেটরকে সক্ষম করিব৷

 

ধারা-২০১৷ কিউরেটর দ্বারা তত্ত্বাবধান অবস্থায় দৃশ্যতঃ মালিককে ভাতা৷- কিউরেটরের অধীনে সম্পত্তির তত্ত্বাবধান থাকাকালে উক্ত সম্পত্তিতে পক্ষসমূহের বিদ্যমান আপাত যুক্তগ্রাহ্য অধিকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অবস্থা সম্পর্কে জেলা জজ যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সংক্ষিপ্ত তদন্তের ভিত্তিতে তাহাদেরকে তেমন ভাতা প্রদান করিতে পারিবেন, এবং তিনি তাহার বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে উহাতে অধিকারী নয় এইরূপ পক্ষের ক্ষেত্রে সুদসহ পুনঃ পরিশোধের জন্য জামানত নিতে পারিবেন৷

 

ধারা-২০২৷ কিউরেটরকে হিসাব দাখিল করিতে হইবে৷- কিউরেটর বস্তুনিষ্ঠভাবে মাসিক হিসাব দাখিল করিবেন এবং তিন মাসের প্রত্যেক সময়কাল অবসানে, যদি তাহার প্রশাসন তত সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এবং সম্পত্তির দখল ত্যাগের প্রেক্ষিতে, জেলা জজের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান তাহার প্রশাসনের বিস্তারিত হিসাব দাখিল করিবেন৷

 

ধারা-২০৩৷ হিসাব পরিদর্শন এবং উহার নকল রাখিবার সংশ্লিষ্ট পক্ষের অধিকার৷- (১) কিউরেটরের হিসাব সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে এবং উক্তরূপ সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ কিউরেটর কর্তৃক সকল রশিদ এবং পরিশোধের একটি নকল হিসাব রাখিবার জন্য পৃথক কোন ব্যক্তিকে নিয়োগের ক্ষমতা থাকিবে৷

(২) যদি দেখা যায় যে, কিউরেটরের হিসাব বাকী থাকে অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ অথবা কিউরেটর জেলা জজের দ্বারা আদিষ্ট সময়ে উহা দাখিল না করেন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ প্রত্যেক ব্যর্থতার জন্য অনধিক ১,০০০ টাকা দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷

 

ধারা-২০৪৷ একই সম্পক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিউরেটর নিযোগ বাঁধা৷- যদি কোন জেলা জজ মৃত ব্যক্তির সমুদয় সম্পত্তির বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ করেন তাহা হইলে উক্তরূপ নিয়োগ অন্য কোন জেলা জজকে অন্য কোন কিউরেটর নিয়োগ হইতে বাঁধা দিবেন কিন্তু সম্পত্তির কোন অংশ বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ উক্ত সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ বা অন্য কোন অংশ বিষয়ে আরেকজন কিউরেটরের নিয়োগকে বাঁধা দিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন জজ কোন জজের নিকট এই ভাগের অধীন পূর্বে দায়েরকৃত কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারার বিষয় সম্পর্কিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে একজন কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবেন না অথবা কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারা গ্রহণ করিবেন নাঃ

আরও শর্ত থাকে যে, কোন ভূ-সম্পত্তির কতিপয় অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জজের দ্বারা যদি দুই বা ততোধিক কিউরেটর নিয়োগ করা হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ সমুদয় সম্পত্তির একজন কিউরেটর নিয়োগের জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন আদেশ দিতে পারিবে৷

 

ধারা-২০৫৷ কিউরেটরের জন্য আবেদনের সময়সীমা৷- জেলা জজের নিকট এই ভাগের অধীন কোন দরখাস্ত যে স্বত্বাধিকারীর সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে দাবী করা হয় ঐ স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে করিতে হইবে৷

 

ধারা-২০৬৷ মৃত ব্যক্তির দ্বারা আইনগত নির্দেশের সরকারী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে এই ভাগ বলবত্ করণের বাধা৷- এই ভাগে বিধৃত কোন কিছুই নাবালক অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে কোন সম্পত্তির মৃত স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর পরে তাহার সম্পত্তির দখলের জন্য তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন আইনগত নির্দেশ বা বন্দোবস্ত সম্পর্কিত কোন সরকারী কার্যের লংঘনের অনুমতি দান করে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং উক্তরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে যখনই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উপর এক্তিয়ার সম্পন্ন জজ উক্তরূপ নির্দেশের অস্তিত্ব বিষয়ে সন্তুষ্ট হন, তখনই তিনি উহা কার্যকর করিবেন৷

 

ধারা-২০৭৷ নাবালকের ক্ষেত্রে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে উহার এক্তিয়ারভুক্ত সম্পত্তির কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে৷- এইভাগে বিবৃত কোন কিছুই কোন সম্পত্তির কোর্ট অব ওয়ার্ডের দখলে কোন বিশৃঙ্খলার অনুমতি দিবে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি, যাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডের বিষয়াধীন, এই ভাগের অধীনকৃত দরখাস্তের পক্ষ হইলে জেলা জজ, যদি তিনি দখলভুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার এবং একজন কিউরেটর নিয়োগ করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, পূর্বোক্ত জামানত গ্রহণ ব্যতিরেকে কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটরের সহিত কোর্ট অব ওয়ার্ড নিয়োগ করিবেন এবং সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে যদি নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি সম্পত্তির দখলের অধিকারী বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহাকে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে দখল অর্পণ করিতে হইবে৷

 

ধারা-২০৮৷ মামলা করার অধিকার হেফাজত৷- এই ধারায় বিবৃত কোন কিছুই ঐ পক্ষের দ্বারা মামলা দায়েরের কোন বাধা হইবে না৷ যে পক্ষের আবেদন দখলভুক্ত পক্ষের সমনজারীর পূর্বে বা পরে প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে কিংবা এই ভাগের অধীন দখল হইতে বিচ্ছেদ হইয়াছে৷

 

ধারা-২০৯৷ সংক্ষিপ্ত কার্যধারার সিদ্ধান্তের ফল৷- এই ভাগের অধীন কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারায় জেলা জজের সিদ্ধান্ত প্রকৃত দখলের বন্দোবস্তের চাইতে অন্য কোন ফল থাকিবে না, কিন্তু এই উদ্দেশ্যের জন্য ইহা চূড়ান্ত হইবে এবং কোন আপীল বা রিভিউয়ের সাপেক্ষ হইবে না৷

 

ধারা-২১০৷ সরকারী কিউরেটর নিয়োগ৷- সরকার কোন জেলা বা জেলাসমূহের জন্য কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং এক্তিয়ার সম্পন্ন জেলা জজ যেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন কিউরেটরের নিয়োগ দান তাহার বিবেচনাপ্রসূত সে সকল ক্ষেত্রে উক্ত কিউরেটরদেরকে মনোনীত করিবেন৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৮

উত্তরাধিকারে মৃতের সম্পত্তির প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব

 

ধারা-২১১৷ নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য৷- (১) ক্ষেত্রমতে মৃত ব্যক্তির নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সকল উদ্দেশ্যে তাহার আইনগত প্রতিনিধি, এবং মৃতের সকল সম্পত্তি তাহার উপরে ন্যস্ত হইবে৷

(২) যখন মৃত ব্যক্তি একজন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি, এই ভাগে বর্ণিত মৃতের কোন সম্পত্তি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের উপরে ন্যস্ত হইবে, যাহা উত্তরজীবী নীতি মোতাবেক অন্যকোন ভাবে অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷

 

ধারা-২১২৷ অকৃত উইলকারীর সম্পত্তিতে অধিকার৷- (১) উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ কোন ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ কোন অধিকার উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর না করা হইলে, কোন আদালতে প্রতিষ্ঠিত করা যাইবে না৷

(২) এই ধারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা বাংলাদেশী খৃস্টানের উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

 

ধারা-২১৩৷ নির্বাহক বা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে অধিকার কখন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷- (১) কোন ন্যায়ের আদালতে নির্বাহক কিংবা উত্তরদায়গ্রহীতার হিসাবে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না, যদি না বাংলাদেশে এক্তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালত যে উইলের অধীনে উক্ত অধিকার দাবী করা হয়, বা উইলসহ কিংবা সংযুক্ত উইলের স্বীকৃত প্রতিলিপির প্রতিলিপিসহ লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর করিয়া থাকে৷

(২) এই ধারা মুসলিম কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যেক্ষেত্রে উক্ত উইল ৫৭ ধারায় (ক) এবং (খ) দফায় বিভক্ত শ্রেণীভুক্ত উইল৷

 

Case Law

Section 213- The decision reported in 1987 BLD 244 that the executrix of the Will of the deceased appellant is entitled to prosecute the appeal as substituted appellant in place of the deceased appellant before she obtains probate of the Will cannot be agreed with. (Subhra Nandi Majumder Vs. Amar Prasad Bhattacharjee and others, 49 DLR 227).

 

ধারা-২১৪৷ মৃত ব্যক্তির দেনাদারের নিকট হইতে আদালতের মাধ্যমে দেনা আদায়ে পূর্ববর্তী শর্ত হিসাবে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্বের প্রমাণ৷- (১) কোন আদালত-

    (ক) মৃত ব্যক্তির দেনাদারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষে উত্তরাধিকার সূত্রে দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য ডিক্রি দিতে পারিবে না, বা

    (খ) উক্তরূপ অধিকারের দাবীদার কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত দেনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি কার্যকর করিবার বা তাহার দেনা পরিশোধের জন্য আদেশ দিবার জন্য অগ্রসর হইবে না৷ উক্ত দাবীকারী ব্যক্তির নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দাখিল ব্যতিরেকে-

        (অ) মৃত্যের ভু-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন; বা

        (আ) ৩১ ধারা কিংবা Administrator General's Act, 1913-এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেট এবং তথায় উল্লেখিত দেনা, বা

        (ই) ১০নং ভাগের অধীন প্রদত্ত উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট এবং যেখানে বিধৃত দেনা, বা

(২) উপ-ধারা (১)-এ বিকৃত ''দেনা'' শব্দটি কৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি সম্পর্কে প্রদেয় খাজনা, রাজস্ব বা লভ্যাংশ ব্যতীত অন্য কোন দেনা অন্তর্ভূক্ত করে৷

 

ধারা-২১৫৷ সার্টিফিকেটে পরবর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- (১) কোন ভূ-সম্পত্তি বিষয়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের মঞ্জুর ১০নং ভাগের অধীন পূর্বে প্রদত্ত কোন সার্টিফিকেটকে বাতিল বলিয়া বিবেচিত হ্ইবে৷

(২) যখন কোন দেনা বা জামানত সম্পর্কে কোন সার্টিফিকেটের ধারক কর্তৃক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের প্রদানের সময় কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকে, তখন যে ব্যক্তির বরাবরে উহা প্রদান করা হয় ঐ ব্যক্তি, মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কোন সার্টিফিকেট রহিত করা হয় (Superseded), যেক্ষেত্রে এইরূপ রহিতকরণ না করিয়া উক্ত সার্টিফিকেট ধারককে প্রদত্ত সকল অর্থ প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর অধীন সকল দাবীর বিপরীতে বহাল থাকিবে৷

 

ধারা-২১৬৷ প্রবেট ব্যবস্থাপনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মামলা করা, প্রভৃতির জন্য শুধুমাত্র উহা প্রদান৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপত্রের প্রদানের পরে উহা যে ব্যক্তির বরাবরে প্রদত্ত ঐ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা তলব না করা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কোন মামলা দায়ের অথবা ভিন্ন কোন ভাবে কার্য করিবার ক্ষমতা থাকিবে না৷

 

আলোচনা

প্রবেট বা পরিচালনাদেশ মঞ্জুর করা হলে যাকে মঞ্জুর করা হয়েছে ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করতে পারবে না৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৮

উত্তরাধিকারে মৃতের সম্পত্তির প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব

 

ধারা-২১১৷ নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য৷- (১) ক্ষেত্রমতে মৃত ব্যক্তির নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সকল উদ্দেশ্যে তাহার আইনগত প্রতিনিধি, এবং মৃতের সকল সম্পত্তি তাহার উপরে ন্যস্ত হইবে৷

(২) যখন মৃত ব্যক্তি একজন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি, এই ভাগে বর্ণিত মৃতের কোন সম্পত্তি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের উপরে ন্যস্ত হইবে, যাহা উত্তরজীবী নীতি মোতাবেক অন্যকোন ভাবে অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷

 

ধারা-২১২৷ অকৃত উইলকারীর সম্পত্তিতে অধিকার৷- (১) উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ কোন ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ কোন অধিকার উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর না করা হইলে, কোন আদালতে প্রতিষ্ঠিত করা যাইবে না৷

(২) এই ধারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা বাংলাদেশী খৃস্টানের উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

 

ধারা-২১৩৷ নির্বাহক বা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে অধিকার কখন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷- (১) কোন ন্যায়ের আদালতে নির্বাহক কিংবা উত্তরদায়গ্রহীতার হিসাবে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না, যদি না বাংলাদেশে এক্তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালত যে উইলের অধীনে উক্ত অধিকার দাবী করা হয়, বা উইলসহ কিংবা সংযুক্ত উইলের স্বীকৃত প্রতিলিপির প্রতিলিপিসহ লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর করিয়া থাকে৷

(২) এই ধারা মুসলিম কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যেক্ষেত্রে উক্ত উইল ৫৭ ধারায় (ক) এবং (খ) দফায় বিভক্ত শ্রেণীভুক্ত উইল৷

 

Case Law

Section 213- The decision reported in 1987 BLD 244 that the executrix of the Will of the deceased appellant is entitled to prosecute the appeal as substituted appellant in place of the deceased appellant before she obtains probate of the Will cannot be agreed with. (Subhra Nandi Majumder Vs. Amar Prasad Bhattacharjee and others, 49 DLR 227).

 

ধারা-২১৪৷ মৃত ব্যক্তির দেনাদারের নিকট হইতে আদালতের মাধ্যমে দেনা আদায়ে পূর্ববর্তী শর্ত হিসাবে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্বের প্রমাণ৷- (১) কোন আদালত-

    (ক) মৃত ব্যক্তির দেনাদারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষে উত্তরাধিকার সূত্রে দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য ডিক্রি দিতে পারিবে না, বা

    (খ) উক্তরূপ অধিকারের দাবীদার কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত দেনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি কার্যকর করিবার বা তাহার দেনা পরিশোধের জন্য আদেশ দিবার জন্য অগ্রসর হইবে না৷ উক্ত দাবীকারী ব্যক্তির নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দাখিল ব্যতিরেকে-

        (অ) মৃত্যের ভু-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন; বা

        (আ) ৩১ ধারা কিংবা Administrator General's Act, 1913-এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেট এবং তথায় উল্লেখিত দেনা, বা

        (ই) ১০নং ভাগের অধীন প্রদত্ত উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট এবং যেখানে বিধৃত দেনা, বা

(২) উপ-ধারা (১)-এ বিকৃত ''দেনা'' শব্দটি কৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি সম্পর্কে প্রদেয় খাজনা, রাজস্ব বা লভ্যাংশ ব্যতীত অন্য কোন দেনা অন্তর্ভূক্ত করে৷

 

ধারা-২১৫৷ সার্টিফিকেটে পরবর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- (১) কোন ভূ-সম্পত্তি বিষয়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের মঞ্জুর ১০নং ভাগের অধীন পূর্বে প্রদত্ত কোন সার্টিফিকেটকে বাতিল বলিয়া বিবেচিত হ্ইবে৷

(২) যখন কোন দেনা বা জামানত সম্পর্কে কোন সার্টিফিকেটের ধারক কর্তৃক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের প্রদানের সময় কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকে, তখন যে ব্যক্তির বরাবরে উহা প্রদান করা হয় ঐ ব্যক্তি, মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কোন সার্টিফিকেট রহিত করা হয় (Superseded), যেক্ষেত্রে এইরূপ রহিতকরণ না করিয়া উক্ত সার্টিফিকেট ধারককে প্রদত্ত সকল অর্থ প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর অধীন সকল দাবীর বিপরীতে বহাল থাকিবে৷

 

ধারা-২১৬৷ প্রবেট ব্যবস্থাপনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মামলা করা, প্রভৃতির জন্য শুধুমাত্র উহা প্রদান৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপত্রের প্রদানের পরে উহা যে ব্যক্তির বরাবরে প্রদত্ত ঐ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা তলব না করা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কোন মামলা দায়ের অথবা ভিন্ন কোন ভাবে কার্য করিবার ক্ষমতা থাকিবে না৷

 

আলোচনা

প্রবেট বা পরিচালনাদেশ মঞ্জুর করা হলে যাকে মঞ্জুর করা হয়েছে ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করতে পারবে না৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৯

প্রবেট, ব্যবস্থাপনাপত্র এবং মৃতের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা

 

ধারা-২১৭৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- এই আইন অথবা সাময়িকভাবে বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত সংযুক্ত উইলসহ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্রের সকল মঞ্জুর এবং উইলবিহীন অবস্থায় উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রমত এই ভাগের বিধানাবলী অনুযায়ী প্রদত্ত অথবা পালিত হ্ইবে৷

 

অধ্যায়-এক

প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান সম্পর্কে

 

ধারা-২১৮৷ মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন অথবা অব্যাহতি প্রাপ্ত হইলে কাহাকে ব্যবস্থাপনা প্রদত্ত হইবে৷- (১) যদি মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় এবং তিনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন অথবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হন, তাহা হইলে তাহার সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যে কোন ব্যক্তিকে প্রদান করা যাইবে যিনি উক্ত মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টনের জন্য প্রযোজ্য বিধি মোতাবেক উক্ত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির সমুদয় বা অংশবিশেষের অধিকারী হইবে৷

(২) যখন কতিপয় উক্তরূপ ব্যক্তি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য আবেদন করেন তখন আদালত তাহার বিবেচনায় তাহাদের একজনকে অথবা একাধিক জনকে উক্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করিবে৷

(৩) যখন উক্তরূপ কোন ব্যক্তি আবেদন না করেন তখন উক্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মৃত ব্যক্তির পাওনাদারকে প্রদান করা যাইবে৷

 

আলোচনা

মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন হলে এবং উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলে তার সম্পত্তির পরিচালনা যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে অধিকারী হইতেন ঐ ব্যক্তি পরিচালনা করিত পারিবেন৷

 

ধারা-২১৯৷ যে ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ অথবা অব্যাহতি প্রাপ্ত না হন৷- যদি মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান এবং তিনি ২১৮ ধারায় উল্লেখিত শ্রেণীর কোন একটিতে অন্তর্ভূক্ত না হন তবে বিবাহ অথবা রক্ত সম্পর্কীয় সূত্রে যাহারা তাহার সহিত সম্পর্কিত তাহারা তাহার সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্র লাভের অধিকারী হইবে এবং উক্ত সম্পত্তি অতঃপর বর্নিত বিধি মোতাবেক পরিচালিত হইবে৷ যথা-

    (ক) যদি মৃত ব্যক্তি বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যায় তাহা হইলে কোন ব্যক্তিগত অযোগ্যতা কিংবা তাহার মৃতের সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ নাই৷ এই কারণে আদালত তাহাকে বাদ না দিলে উক্ত বিধবা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব লাভ করিবেন৷

    উদাহরণ

        (অ) বিধবা পাগল অথবা ব্যভিচারিতা করেন অথবা তাহার স্বামীর সম্পত্তিতে তাহার বন্দোবস্ত দ্বারা সকল স্বার্থ বারিত হয়৷ ইহা ব্যবস্থাপনা হইতে তাহাকে বহির্ভূত করার কারণ৷

        (আ) স্বামীর মৃত্যুর পরে বিধবা পুনরায় বিবাহ করে৷ ইহা তাহাকে বহির্ভূত করার কোন ভাল কারণ নয়৷

    (খ) বিচারক যদি উপযুক্ত মনে করেন তাহা হইলে তিনি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে বিধবার সহিত সংশ্লিষ্ট করিতে পারিবেন তিনি যদি কোন বিধবা না থাকিলে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি হইতেন৷

    (গ) যদি কোন বিধবা না থাকে অথবা আদালত যদি বিধবাকে বহির্ভূত করিবার কারণ খুঁজিয়া পায় তাহা হইলে আদালত অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টনের বিধি মোতাবেক সম্পত্তিতে লাভজনকভাবে অধিকারী হইতেন এইরূপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিবেঃ

    তবে শর্ত থাকে যে, মৃত ব্যক্তির মাতা উক্তরূপে অধিকারী ব্যক্তির শ্রেণীর কোন একজন হন তাহা হইলে একমাত্র তিনিই ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইবে৷

    (ঘ) যাহারা মৃত ব্যক্তির জ্ঞাতির সমমাত্রায় অবস্থান করে তাহারা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমানভাবে অধিকারী হইবে৷

    (ঙ) স্ত্রীর উত্তরজীবীর স্বামীর ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিধবার যেমন অধিকার থাকে স্বামীও তাহার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একই অধিকার থাকিবে৷

    (চ) যখন বিবাহ বা রক্ত সম্পর্কীয় সূত্রে মৃতের সহিত সম্পর্কিত কোন ব্যক্তি না থাকে যিনি ব্যবস্থাপনাপত্রের অধিকারী হন এবং কার্য করিতে ইচ্ছুক তখন পাওনাদারকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া যাইবে৷

    (ছ) যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের সম্পত্তি রাখিয়া যায়, সেক্ষেত্রে যে দেশে স্থায়ী নিবাস ছিল উইল অবস্থায় এবং উইলবিহীন অবস্থায় উত্তরাধিকারীর ক্ষেত্রে ঐ দেশের আইন বাংলাদেশের আইনের সাথে পার্থক্য হওয়া সত্ত্বেও পূর্বোক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে হইবে৷

ধারা-২২০৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- ব্যবস্থাপনাপত্র ব্যবস্থাপককে অকৃত উইলকারীর সকল অধিকার এমনভাবে দান করে যেন উক্ত ব্যবস্থাপনা তাহার মৃত্যুর পরেই দেওয়া হইয়াছে৷

 

ধারা-২২১৷ ব্যবস্থাপনা পত্রের দ্বারা কার্য বৈধ হইবে না৷- অকৃত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির হ্রাস বা ক্ষতি করে ব্যবস্থাপকের এইরূপ তাত্ ক্ষণিক কোন কার্য ব্যবস্থাপনাপত্রের দ্বারা বৈধ হয় না৷

 

ধারা-২২২৷ কেবলমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহককে প্রবেট দিতে হইবে৷- (১) কেবলমাত্র উইল দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহককে প্রবেট প্রদান করিতে হইবে৷

(২) নিয়োগ প্রকাশিত অথবা প্রয়োজনীয় ইঙ্গিতপূর্ণ হইতে পারিবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক এইরূপ ইচ্ছা করে যে খ ইচ্ছুক না হইলে গ হইবে তাহার নির্বাহক৷ ঘ-কে ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগ করা হয়৷

(আ) ক, খ-কে একটি উত্তরদায় এবং পুত্রবধূ গ কে কয়েকটি উত্তরদায় দান করে এবং এইরূপ বলে যে ''গ যদি জীবিত না থাকে তাহা হইলে আমি খ কে আমার সমুদয় একমাত্র নির্বাহী নিয়োগ করিবে৷'' ''গ'' ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োজিত হয়৷

(ই) ক কয়েকজন ব্যক্তিকে তাহার উইল এবং কডিসিল এর নির্বাহক এবং তাহার ভ্রাতুষ্পুত্রকে অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা নিয়োগ করে এবং অন্য একটি কডিসিলে এইরূপ কথা থাকে যে, ''বিভিন্ন তারিখে স্বাক্ষরিত আমার উইল এবং কডিসিলের বিরুদ্ধে আমার সকল আইনগত চাহিদা পূরণে আমি আমার ভ্রাতুষ্পুত্রকে আমার অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা নিয়োগ করি৷'' ভ্রাষ্পুত্র ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগপ্রাপ্য৷

 

ধারা-২২৩৷ যে সকল ব্যক্তিকে প্রবেট দেওয়া যায় না৷- নাবালক বিকৃত মস্তিক এইরূপ কোন ব্যক্তিকে কিংবা কোন ব্যক্তির সংগঠনকে যদি না উক্ত সংগঠন এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করে এইরূপ কোন দল না হয়, প্রবেট দেওয়া যাইবে না৷

 

ধারা-২২৪৷ যুগপত্ ভাবে অথবা বিভিন্ন সময়ে কতিপয় নির্বাহককে প্রবেট দান৷- কতিপয় নির্বাহককে নিয়োগ করা হইলে তাহাদের সকলকে যুগপত্ ভাবে বা বিভিন্ন সময়ে প্রবেট দেওয়া যাইবে৷

 

উদাহরণ

ক প্রকাশ্য নিয়োগের দ্বারা খ এর উইলের একজন নির্বাহক এবং গ ইঙ্গিতের মাধ্যমে উহার একজন নির্বাহক৷ একই সময়ে ক এবং গ কে অথবা প্রথমে ক এবং পরে গ কে অথবা প্রথমে গ এবং পরে ক কে প্রবেট দেওয়া যাইবে৷

 

ধারা-২২৫৷ প্রবেট প্রদানের পর আবিষ্কৃত পৃথক কডিসিলের প্রবেট৷- (১) যদি প্রবেট প্রদানের পর কোন কডিসিল আবিষ্কৃত হয় তাহা হাইলে উক্ত কডিসিলে একটি পৃথক প্রবেট নির্বাহককে দেওয়া যাইবে যদি উহা কোন ভাবে উইলের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগ প্রকাশ না করে৷

(২) যদি কডিসিলের মাধ্যমে পৃথক নির্বাহক নিয়োগ করা হয় তাহা হইলে উইলের প্রবেট প্রত্যাহার করিতে হইবে এবং একত্রে উক্ত উইল এবং প্রবেটের ক্ষেত্রে নতুন প্রবেট দিতে হইবে৷

 

ধারা-২২৬৷ জীবিত নির্বাহককে সংযুক্ত উপস্থাপন৷- কতিপয় নির্বাহককে প্রবেট মঞ্জুর করা হইলে এবং উহাদের কোন একজন মারা গেলে উইলকারীর সমুদয় উপস্থাপন উত্তরজীবী নির্বাহক বা নির্বাহকগণের সহিত যুক্ত হয়৷

 

ধারা-২২৭৷ প্রবেটের প্রভাব৷- মঞ্জুরিকৃত উইলের প্রবেট উইলকারীর মৃত্যু হইতে উইল প্রতিষ্ঠিত করে এবং নির্বাহকের সকল সরাসরি কার্যের বৈধতা দান করে৷

 

ধারা-২২৮৷ বিদেশে প্রমাণিত উইলে প্রামান্য অনুলিপির সংযুক্ত অনুলিপিসহ ব্যবস্থাপনা৷- যখন কোন উইল বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে অথবা বাহিরে উপযুক্ত ইখতেয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে প্রমাণিত হয় এবং জমা দেওয়া হয় এবং উইলে একটি উপযুক্ত প্রামাণ্য অনুলিপি দাখিল করা হয় তখন ব্যবস্থাপনাপত্র উক্ত সংযুক্ত অনুলিপির সাথে মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২২৯৷ নির্বাহক নির্বাহীকতা পরিত্যাগ না করিলে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- নির্বাহক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যখন তাহার নির্বাহীকতা পরিত্যাগ না করেন তখন নির্বাহককে তাহার নির্বাহীকতা গ্রহণ বা পরিত্যাগ করিবার আহবান করিয়া সাইটেশন ইস্যু না করা পর্যন্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যখন কতিপয় নির্বাহকের মধ্য হইতে এক বা ততোধিক নির্বাহক উইল প্রমাণ করেন তখন আদালত, যে সকল নির্বাহক উইল প্রমাণ করিয়াছে তাহাদের উত্তরজীবির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, যাহারা প্রমাণ করেন নাই তাহাদের উল্লেখ ব্যতিরেকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷

 

ধারা-২৩০৷ নির্বাহীকতা পরিত্যাগের ফরম এবং ফল৷- নির্বাহীকতার ত্যাগ বিচারকের উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে অথবা পরিত্যাগকারী ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লেখার মাধ্যমে সম্পন্ন হইতে পারিবে এবং সম্পন্ন হইলে উহা উইলের প্রবেটের জন্য তাহাকে নির্বাহক হিসাবে নিয়োগ করিবার আবেদন করা হইতে নিবারণ করিবে৷

 

ধারা-২৩১৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাহক পরিত্যাগ কিংবা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইলে কার্য পদ্ধতি৷- যদি নির্বাহক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন নির্বাহিকতা পরিত্যাগ করিতে কিংবা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উইলটি প্রমাণ করা যাইবে এবং সংযুক্ত উইলের অনুলিপি সহযোগে ব্যবস্থাপনাপত্র ঐ ব্যক্তির বরাবরে মঞ্জুর করা যাইবে যিনি উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইতেন৷

 

ধারা-২৩২৷ সার্বজনীন অথবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- যখন-

(ক) মৃত ব্যক্তি উইল করিয়াছে কিন্তু কোন নির্বাহক নিয়োগ করেন নাই, বা

(খ) মৃত ব্যক্তি এমন একজনকে নির্বাহক নিয়োগ করিয়াছে যিনি আইনগতভাবে কার্য করিতে অক্ষম বা প্রত্যাখান করে কিংবা উইলকারীর পূর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছে অথবা উইল প্রমাণ করিবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছে, বা

(গ) উইল প্রমাণ করিয়া নির্বাহক মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু তত্পূর্বে তিনি মৃত ব্যক্তির সকল ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা করিয়াছেন৷

তখন উইল প্রমাণ করিবার জন্য একজন সার্বজনীন বা অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতাকে স্বীকার করা যাইবে এবং সংযুক্ত উইল সহযোগে সমুদয় সম্পত্তির অথবা যতখানি ব্যবস্থাহীন ততখানি তাহাকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৩৩৷ মৃত ব্যক্তির অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনায় অধিকার৷- লাভজনক স্বার্থ আছে এইরূপ কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতা যখন উইলকারীর উত্তরজীবী হন কিন্তু ভু-সম্পত্তি পূর্ণভাবে ব্যবস্থাপিত হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন তখন উক্ত অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার অধিকারের ন্যায় তাহার প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনায় একই অধিকার থাকে৷

 

ধারা-২৩৪৷ যেক্ষেত্রে কোন নির্বাহক কিংবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা কিংবা উক্ত উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধি নাই, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- যখন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার কোন প্রতিনিধি কিংবা কোন নির্বাহক এবং কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা না থাকে অথবা তিনি কার্য করিতে অস্বীকার করেন বা অক্ষম হন অথবা তাহাকে না পাওয়া যায় তখন মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইত এইরূপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে অথবা লাভজনক স্বার্থ সম্পন্ন অন্য কোন উত্তরদায়গ্রহীতাকে অথবা পাওনাদারকে উইল প্রমাণ করার জন্য গ্রহণ করা যাইবে এবং তাহাকে বা তাহাদেরকে তদানুসারে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৩৫৷ সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী ব্যতীত উত্তরদায়গ্রহীতাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর করিবার পূর্বে উল্লেখ৷ - ব্যবস্থাপনাপত্র গ্রহণ করিবার কিংবা প্রত্যাখান করিবার জন্য পরবর্তী আত্মীয় আহবান করিয়া অতঃপর উল্লেখিত পদ্ধতিতে উল্লেখ ইস্যু এবং প্রকাশ না করা পর্যন্ত সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরদায়গ্রহীতাকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে না৷

 

ধারা-২৩৬৷ যাহাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর করা যাইবে না৷- নাবালক বিকৃত মস্তিষ্ক এইরূপ কোন ব্যক্তিকে কিংবা কোন ব্যক্তির সংগঠনকে যদি না উক্ত সংগঠন এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করে এইরূপ কোন দান না হয়, ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যাইবে না৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-দুই

সীমিত মঞ্জুর সম্পর্কে-যে মেয়াদে মঞ্জুর সীমিত

ধারা-২৩৭৷ অনুলিপির প্রবেট অথবা হারানো উইলের খসড়া৷- উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে যখন উইল হারাইয়া যায় অথবা ভুলক্রমে স্থাপিত হয় কিংবা ভুলক্রমে বা দুর্ঘটনাক্রমে ধ্বংস হইয়া যায় এবং উহা উইলকারীর কোন কার্য দ্বারা না হয়, এবং উইলের অনুলিপি বা খসড়া সংরক্ষিত থাকে তখন মূল বা যথাপোযুক্তিভাবে প্রামাণ্য অনুলিপি দাখিল না করা পর্যন্ত উক্ত অনুলিপি বা খসড়ার প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৩৮৷ হারানো বা ধ্বংস হওয়া উইলের বিষয়বস্তুর প্রবেট৷- যখন উইল হারাইয়া যায় বা ধ্বংস হয় এবং কোন অনুলিপি তৈরী করা না হয় কিংবা খসড়া সংরক্ষিত না থাকে তখন সাক্ষ্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইলে উইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৩৯৷ অনুলিপির প্রবেট যখন মূল অংশ বিদ্যমান৷- যখন উইল বাংলাদেশের বাহিরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির দখলে থাকে, যিনি উহা অর্পণ করিতে অস্বীকার করেন অথবা অবহেলা করেন কিন্তু অনুলিপি নির্বাহকের বরাবরে প্রেরিত হয় এবং মূল অংশের জন্য অপেক্ষা করা ব্যতিরেকে প্রবেট মঞ্জুর করা উচিত ভূ-সম্পত্তির স্বার্থে এইরূপ প্রয়োজনীয় হয় তখন উক্ত প্রেরিত অনুলিপি সম্পর্কে প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে যতক্ষণ না উইল বা উহার প্রামাণ্য দলিল দাখিল করা হয়৷

 

ধারা-২৪০৷ উইল দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা৷- যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির কোন উইল আসন্ন নয় কিন্তু উইল বিদ্যমান আছে এইরূপ বিশ্বাস করিবার কোন কারণ না থাকে, সেক্ষে উইল বা উহার প্রামাণ্য দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৪১৷ নির্বাহকের অনুপস্থিতিতে এ্যাটর্নীকে সংযুক্ত উইল ব্যবস্থাপনা প্রদান৷- যখন কোন নির্বাহক বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং কার্য করিতে ইচ্ছুক এইরূপ কোন নির্বাহক বাংলাদেশে না থাকে তখন সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মালিকের ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে অনুপস্থিত নির্বাহকের এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে মঞ্জুর করা যাইবে যতক্ষণ না তিনি তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র লাভ করেন৷

 

ধারা-২৪২৷ যে অনুপস্থিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকিলে ব্যবস্থাপনা করিতে পারিতেন সেই অনুপস্থিত ব্যক্তির অ্যাটর্নীকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনা প্রদান৷- উপস্থিত থাকিলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইত এইরূপ কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে তখন ২৪১ ধারায় উল্লেখিত সীমিত মেয়াদে তাহার এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৪৩৷ উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে অনুপস্থিত ব্যক্তির এ্যাটর্নীকে প্রদত্ত ব্যবস্থাপনা উক্ত এ্যাটর্নী উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা করা অধিকারী৷- উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা করার অধিকারী কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং সমভাবে অধিকারী কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং সমভাবে অধিকারী কোন ব্যক্তি কার্য করিতে অনিচ্ছুক হন তখন ২৪১ ধারায় উল্লেখিত মেয়াদে অনুপস্থিত ব্যক্তির এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৪৪৷ একমাত্র নির্বাহক অথবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্ব কালে ব্যবস্থাপনা৷- যখন একমাত্র অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা নাবালক হন তখন উক্ত নাবালক সাবালক না হওয়া পর্যন্ত আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করে উক্ত নাবালকের আইনগত অভিভাবককে অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে এবং নাবালক সাবালক হইলে উইলের প্রবেট তাহাকে প্রদান করিতে হইবে৷

 

ধারা-২৪৫৷ কতিপয় নির্বাহক বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্ব কালের ব্যবস্থাপনা৷- যখন দুই বা ততোধিক নাবালক নির্বাহক থাকে এবং কোন নির্বাহক নাবালক সাবালক প্রাপ্ত হয় নাই অথবা দুই বা ততোধিক অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা থাকে এবং কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা সাবালক হয় নাই তখন তাহাদের কোন একজন সাবালকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত মঞ্জুর সীমাবদ্ধ থাকিবে৷

 

ধারা-২৪৬৷ পাগল বা নাবালকের ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে ব্যবস্থাপনা৷- যদি একমাত্র নির্বাহক অথবা একমাত্র সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতা অথবা মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীগণের ভূ-সম্পত্তিসমূহের বন্টনার্থে প্রযোজ্য বিধি মোতাবেক অকৃত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তিতে একমাত্র অধিকারী হইবে এইরূপ কোন ব্যক্তি নাবালক বা পাগল হয় তাহা হইলে ক্ষেত্রমত উক্ত নাবালক না হওয়া পযর্ন্ত অথবা উক্ত পাগল সুস্থ মস্তিক না হওয়া পর্যন্ত তাহার ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে তাহার ভূ-সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়োজিত ব্যক্তির বরাবরে অথবা উক্ত কোন ব্যক্তি না থাকিলে আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করে তেমন কোন ব্যক্তির বরাবরে ক্ষেত্রমত সংযুক্ত উইলসহ বা উইল ব্যতীত ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷

 

ধারা-২৪৭৷ মামলা চলাকালীন ব্যবস্থাপনা৷- মৃত ব্যক্তির উইলের বৈধতা সম্পর্কে কিংবা কোন প্রবেট বা কোন ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর লাভ বা প্রত্যাহার বিষয়ে কোন মামলা চলাকালে আদালত উক্ত মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির জন্য একজন ব্যবস্থাপক নিয়োগ করিতে পারিবে, যিনি উক্ত ভূ-সম্পত্তি বণ্টনের অধিকার ব্যতীত একজন সাধারণ ব্যবস্থাপকের সকল অধিকার এবং ক্ষমতার অধিকারী হইবেন এবং উক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক আদালতের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকিবেন এবং উক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক আদালতের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকিবেন এবং আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করিবেন৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
বিশেষ উদ্দেশ্যে মঞ্জুর

 

ধারা-২৪৮৷ উইলে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রবেট সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- উইলে উল্লেখিত কোন সীমাবদ্ধ উদ্দেশ্যে যদি নির্বাহক নিয়োগ করা হয় তাহা হইলে উল্লেখিত কোন সীমাবদ্ধ থাকিবে এবং যদি তিনি তাহার পক্ষে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করিবার জন্য কোন এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধি নিয়োগ করেন তাহা হইলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র সেই মোতাবেক সীমাবদ্ধ থাকিবে৷

 

ধারা-২৪৯৷ সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনা বিশেষ উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- যদি নিয়োগকৃত কোন নির্বাহক তাহার পক্ষে উইল প্রমাণের জন্য সাধারণভাবে একজন এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে কর্তৃত্ব দিয়া থাকেন এবং উক্ত কর্তৃত্ব বিশেষ উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ হয় তাহা হইলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র সেই মোতাবেক সীমাবদ্ধ থাকিবে৷

 

ধারা-২৫০৷ কোন ব্যক্তির লাভজনক স্বার্থ আছে এইরূপ কোন সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপনা সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি এইরূপ সম্পত্তি রাখিয়া মারা যায় তিনি যাহার একমাত্র অথবা উত্তরজীবী ট্রাস্টি কিংবা যাহাতে তাহার নিজস্ব কোন স্বার্থ নাই এবং কোন সাধারণ প্রতিনিধি রাখিয়া না যান অথবা কার্য করিতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক এইরূপ কোন ব্যক্তি থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপত্র বেনিফিশিয়ারী অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে মঞ্জুর করা যাইবে৷

 

ধারা-২৫১৷ মামলায় সীমিত ব্যবস্থাপনা৷- যখন মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধিকে নিষ্পন্নাধীন মামলায় পক্ষ করিবার আবশ্যক হয় এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপনায় অধিকারী ব্যক্তি কার্য করিতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হন, তাহা উক্ত মামলায় এক পক্ষের মনোনীত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পত্র প্রদান করা যাইবে উহা উক্ত মামলায় কিংবা অন্য কোন কারণে বা মামলায় যাহা পক্ষসমূহের মধ্যে একই বা অন্য কোন আদালতে শুরু হইতে পারিবে, মৃত ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করিবার উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে, এবং উক্ত কারণে বা মামলায় প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ থাকিবে, এবং যতক্ষণ পর্যন্ত উহাতে কোন ডিক্রি দেওয়া এবং উহা পূর্ণ কার্যকর করা হয়৷

 

ধারা-২৫২৷ ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পক্ষ হওয়ার উদ্দেশ্যে সীমিত ব্যবস্থাপনা৷- যদি কোন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের তারিখ হইতে ১২ মাস সময় অবসানে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলায় একটি পক্ষ হওয়া এবং করিবার উদ্দেশ্যে এবং মামলায় প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে, আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন কোন ব্যক্তিকে সীমিত আকারে ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে পারিবে৷

 

ধারা-২৫৩৷ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে ব্যবস্থাপনা সীমিত থাকিবে৷- কোন ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হইলে ঐ ক্ষেত্রে যে আদালতের এক্তিয়ারে কোন সম্পত্তি অবস্থিত ঐ আদালত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এবং আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে তাহার ভূ-সম্পত্তিতে দেয় দেনা মুক্তকরনার্থে যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবে তাহাকে সীমিত ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে পারিবে৷

 

ধারা-২৫৪৷ সাধারণ অবস্থায় ব্যবস্থাপনায় অধিকারী হইত এইরূপ ব্যতীত অন্যকোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপক হিসাবে নিয়োগ দান৷- (১) যখন কোন ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় অথবা এমন কোন উইল রাখিয়া যান যাহাতে কার্য করিবার জন্য ইচ্ছুক এবং উপযুক্ত কোন নির্বাহক থাকে না কিংবা যেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে নির্বাহক বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করেন এবং আদালতের নিকট ভূ-সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ ব্যবস্থাপনা করিতে কোন ব্যক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন বা সুবিধাজনক এইরূপ প্রতীয়মান হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সাধারণ অবস্থায় ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইতে পারিতেন ঐ ব্যক্তি ব্যতিরেকে আদালত তাহার বিবেচনায় রক্ষা সম্পর্কে, স্বার্থের পরিমাণ, ভূ-সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং উহা যথাযথভাবে ব্যবস্থাপিত হইবে এইরূপ সম্ভাব্যতা বিবেচনাপূর্বক যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন কোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপক নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) উক্ত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাপত্র আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমনভাবে সীমিত থাকিতে পারে আবার নাও পারে৷

 

ব্যতিক্রমসহ মঞ্জুর

ধারা-২৫৫৷ ব্যতিক্রম সাপেক্ষে সংযুক্ত উইলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা৷- যখনই ঘটনার প্রকৃতি ব্যতিক্রমধর্মী হয়, তখন উক্ত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে উইলের প্রবেট বা সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷

 

ধারা- ২৫৬৷ ব্যতিক্রমসহ ব্যবস্থাপনা৷- যখন ঘটনার প্রকৃতি ব্যতিক্রমধর্মী হয়, তখন উক্ত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হ্ইবে৷

 

অবশিষ্ট মঞ্জুর

ধারা-২৫৭৷ অবশিষ্টের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা৷- যখন প্রবেটের ব্যতিক্রমসহ মঞ্জুর বা সংযুক্ত উইলসহ বা ব্যতীত ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করা হয়, তখন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার অধিকারী ব্যক্তি উক্ত মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

 

ব্যবস্থাপনাহীন বিষয় মঞ্জুর

ধারা-২৫৮৷ ব্যবস্থাপনাহীন বিষয় মঞ্জুর৷ প্রবেট দেওয়া হইয়া এইরূপ ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করেন উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশবিশেষ রাখিয়া, তাহলে উক্ত ভূ-সম্পত্তির ঐ অংশের ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে একজন নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ করা যাইবে৷

 

ধারা-২৫৯৷ ব্যবস্থাপনাহী বিষয়ের মঞ্জুর সম্পর্কে বিধি৷ পূর্ণভাবে ব্যবস্থাপিত নয় এমন ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের ক্ষেত্রে মূল মঞ্জুরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি আদালত প্রয়োগ করিবে এবং মূল মঞ্জুর প্রদান করা যাইত কেবলমাত্র এইরূপ ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিবে৷

 

ধারা-২৬০৷ সীমিত মঞ্জুর অতিক্রান্ত এবং ভূ-সম্পত্তির কিছু অংশ এখনো ব্যবস্থাপনাহীন সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা৷- যখন সময় অবসান কিংবা সীমিত ঘটনা বা শর্ত ঘটার কারণে সীমিত মঞ্জুর অতিক্রান্ত হয় এবং মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির কিছু অংশ এখনো ব্যবস্থাপনাহীন থাকে, তখন মূল মঞ্জুর করা যাইত কেবলমাত্র ঐ সকল ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷