Faculty of Science and Information Technology > Environmental Science and Disaster Management
All দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা do not see u 100% miss
Sultan Mahmud Sujon:
খরার পূর্বাভাস
আমন মৌসুমের যেকোনো সময় একটানা ১০-১৫ দিন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হলে তা খরার পূর্বাভাস হিসাবে ধরে নেয়া যায়৷ খরার পূর্বাভাস উন্নত করার জন্য বর্তমানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ তবে স্থানীয়ভাবে যেসব লক্ষণকে খরার পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয় সেগুলো হলো:
মৌসুমের শুরুতে অতি বৃষ্টি হলে মৌসুমের শেষ দিকে খরা দেখা দিতে পারে
হালকা বুনটের উঁচু জমির ফসল খরা কবলিত হওয়ার আশন্কা বেশী
Sultan Mahmud Sujon:
খরার প্রভাব
বাংলাদেশের চাষযোগ্য জমির শতকরা ৬০ ভাগে আমন ধান চাষ করা হয়৷ আমন চাষ বৃষ্টিনির্ভর হওয়ায় খরার কারণে ও পর্যাপ্ত সেচের অভাবে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ এছাড়া সাধারণভাবে খরার বিরূপ প্রভাব ফসলের মাঠ, পশুসম্পদ, মত্স্য ও পরিবেশের উপর নানাভাবে পড়ে৷ যেমন -
খরার কারণে মাঠের ফসল ও গাছপালা ধীরে ধীরে প্রাণহীন হয়ে পড়ে ও মারা যায়
khorar_provab_jomi.jpg
চিত্র: খরায় আক্রান্ত রোপা আমন ফসলের জমি
ফসলের বৃদ্ধি কমে যায়
khorar_provab_nosthto_jomi.jpg
চিত্র:খরার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলি জমি
চিত্রসুত্র: www.sfwmd.gov/.../photogelary/gelary.htm
খরার জন্য মাটির রস কমে গেলে ফসলের ফলন কম হয়
জমিতে চাষ দেয়া ও বীজ রোপন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে
পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে সেচকাজ ব্যহত হয়
দীর্ঘদিন খরা হলে বয়স্ক গাছের ক্ষতি হয়, পাতা ঝরে পড়ে, ফল ঝরে যায় বা ফেটে যায়
নদীনালা, খালবিল ও পুকুরের পানি কমে যায় এবং গরম হয়ে মাছ চাষ ব্যহত হয়
পশুপাখির খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়
উপকুলীয় এলাকার জমিতে লবনাক্ততা বেড়ে গিয়ে ফসলের ক্ষতি হয়
খরার প্রভাবে ফসলের রোগ বালাই বেড়ে যায়
খরা তীব্র ও অনেকদিন ধরে স্থায়ী হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে৷
Sultan Mahmud Sujon:
খরার প্রকৃতি ও খরাপীড়িত এলাকা
drought-map_small.jpg
চিত্র: খরাপ্রবণ এলাকা
চিত্রসুত্র: www.fao.org/.../reports/y_sa/z_bd/bdmp265.htm
খরিপ খরা
খরার প্রকৃতি খরাপ্রবণ এলাকা
অতি তীব্র রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ
তীব্র
দিনাজপুর,বগুড়া,কুষ্টিয়া,যশোর এবং ঢাকা ও টাঙ্গাইলের কিছু অংশ
মাঝারি রংপুর,বরিশাল এবং দিনাজপুর,কুষ্টিয়া ও যশোরের কিছু অংশ
সামান্য
তিস্তা ,ব্রক্ষ্নপুত্র ও মেঘনার পললভূমি এলাকা (রংপুর, লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম,গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ,কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা,মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর,নোয়াখালী,ফেনী)
রবি এবং খরিপ খরা
খরার প্রকৃতি
খরাপ্রবণ এলাকা
অতি তীব্র
রাজশাহী,নওগা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ
তীব্র
বরেন্দ্র অঞ্চল ও অন্যান্য উল্লেখযোগ্য এলাকা নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, পাবনা
মাঝারি মধুপুর,বরেন্দ্র অঞ্চল ও গাঙ্গেয় পলল ভূমির উল্লেখযোগ্য এলাকা (নাটোর, বগুড়া, পাবনা, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাজীপুর, চুয়াডাঙ্গা,বাগেরহাট)
কম মাঝারি
তিস্তা ব্রহ্মপুত্র ও গাঙ্গেয় পলল ভূমি এলাকা (সিরাজগঞ্জ, পিরোজপুর, নড়াইল, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও)
সামান্য তিস্তা ,ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পললভূমি এলাকা (পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা)
অতি সামান্য
সিলেট, গোলাপগঞ্জ ও খুলনার বন্যাপ্রবণ এলাকা
সুত্র : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর : খরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সম্পূরক সেচ সহায়তার মাধ্যমে রোপা আমন ফসলের উত্পাদন বৃদ্ধি ৷
Sultan Mahmud Sujon:
বিভিন্ন প্রকার/ শ্রেণীর খরা
খরার শ্রেণী ভাগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সাধারণভাবে খরাকে তিন ভাগে ভাগ হয় :
আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট খরা: এধরনের খরা বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে দেখা দেয় এবং কম সময় স্থায়ী হয়৷
ভূ-গর্ভস্থ জলাভাবজনিত খরা: এধরনের খরা একটি এলাকায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর মতো প্রয়োজনীয় ভূ-গর্ভস্থ (মাটির নীচে) পানির অভাবকে বোঝায় ৷
কৃষি খরা: কৃষি খরা বলতে চাষ মৌসুমে ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় মাটির আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের অভাবকে বুঝায়৷ কৃষি বিজ্ঞানীগণ কৃষি খরাকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন:
রবি খরা (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি/ অগ্রহয়ন-ফাল্গুন)
প্রাক খরিপ খরা (মার্চ-জুন/ চৈত্র- আষাঢ়)
খরিপ খরা (জুলাই-অক্টোবর/ শ্রাবণ-কার্তিক) বা আমন খরা
Sultan Mahmud Sujon:
খরার কারণ
বিভিন্ন কারনে খরা হয়ে থাকে৷ খরা দেখা দেয়ার প্রধান কারনসমূহ হলো :
অনাবৃষ্টি
মাটির নিচের পানির স্তর নেমে যাওয়া
প্রখর রৌদ্রতাপ
বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া
সেচের পানির অভাব
মাটির রস শুকিয়ে যাওয়া
জলাধার ভরাট ও শুকিয়ে যাওয়া
ব্যাপকভাবে গাছ কেটে ফেলা
প্রবল বায়ু প্রবাহ
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version