Faculty of Science and Information Technology > Environmental Science and Disaster Management
All দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা do not see u 100% miss
Sultan Mahmud Sujon:
খরা
drought_3.jpg
চিত্রসুত্র: www.ecomagic.org/fruition/drought.html
খরা বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলের জন্য একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ৷ তবে খরার মাত্রা মরু অঞ্চলের মতো এতো তীব্র ও ভয়াবহ না হলেও তীব্র পানি সমস্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ আমাদের দেশে বৃষ্টিপাত যেমন কোনো কোনো বছর কম বেশি হয় তেমনি দেশের সব জায়গায় সমান হয় না৷ যেমন বছরে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় রাজশাহী অঞ্চলে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে চৈত্র থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত একনাগারে ১৫ দিন বা এর বেশি বৃষ্টি না হলে তাকে খরা বলা যেতে পারে৷ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট থেকে জানা যায়, সাধারণত আমন মৌসুমে সামান্য খরা থেকে অতি তীব্র খরার কারণে প্রায় ১০% থেকে ৬০% উত্পাদন কমে যায়৷ বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০-৪০ লক্ষ হেক্টর জমি খরায় পতিত হয়৷ ১ঌ৭ঌ, ১ঌ৮২, ১ঌ৮ঌ ও ১ঌঌ৪ সালে খরায় উত্তরাঞ্চলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়৷
Sultan Mahmud Sujon:
ঘূর্ণিঝড়ের শিকার কারা
ঘূর্ণিঝড়ের শিকার কারা
সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হলো উপকূলীয় এলাকা, ঐএলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ ও পরিবেশ৷ সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের সাথে থাকে জলোচ্ছ্বাস এবং সেইসময় ঢেউ প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত উচু হয়ে থাকে৷ প্রচণ্ড বাতাসের গতির সাথে পানির ঢেউ যোগ হয়ে ভয়ন্কর রূপ ধারণ করে এবং ধ্বংস হয় উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পদ, অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়, নিঃশেষ করে দেয় জীবন ব্যবস্থা৷
ঘূর্ণিঝড়ের প্রধাণ শিকার হচ্ছে:
- শিশু
- বৃদ্ধ
- বিকলাঙ্গ/অসুস্থ
- মহিলা
- গর্ভবতী মা
- সহায়ক প্রাণী যেমন গরু, ছাগল, মুরগী, মহিষ
- সাঁতার না জানা মানুষ
- গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণে যাওয়া জেলেগণ৷
Sultan Mahmud Sujon:
বিপদপূর্ণ এলাকা
এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের সাইক্লোন প্রায়ই মেঘনার ও চট্টগ্রামের তীর অঞ্চল দিয়ে সমুদ্র উপকূল অতিক্রম করে৷ তাই মেঘনায় অবস্থিত ব-দ্বীপ অঞ্চলসমূহের অদূরবতীᐂ দ্বীপসমূহ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও বরগুনা জেলা সবচেয়ে বিপদপূর্ণ এলাকা বলে ধরা যেতে পারে৷
এছাড়াও ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আক্রান্ত এলাকা হলো বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং হাতিয়া ও সন্দীপসহ বঙ্গোপসাগরের দূরবতীᐂ দ্বীপগুলো৷ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রতিবছরই আমাদের দেশে কম বেশি ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হয়৷
Sultan Mahmud Sujon:
ঘূর্ণিঝড় কখন আসে
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে গ্রীষ্মকালের শুরু এবং শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে৷ অর্থাত্ বাংলা বর্ষের বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি এপ্রিল-মে) এবং আশ্বিন- কার্তিক (ইংরেজি অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে৷ বছরের অন্যান্য সময়েও ঘূর্ণিঝড় হয় তবে তার সংখ্যা ও ভয়াবহতা তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে৷
Sultan Mahmud Sujon:
জলোচ্ছ্বাস কি
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র বা চোখে বাতাসের চাপ খুব কম থাকায় কেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের সমুদ্রের পানি কিছুটা ফুলে উঠলে একে জলোচ্ছ্বাস বলে৷
ঘুর্ণিঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাস হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ বিশেষ করে দ্বীপ বা উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের ঢেউ ওজোয়ারের কারণে প্লাবন ঘটে, ঝড়ের চোখও যদি সে স্থান অতিক্রম করে তবে ঐ স্থানের বিরাট অংশ ডুবে যায়৷ অমাবস্যা বা পুর্ণিমার ভরা কটালের সময় যদি জলোচ্ছ্বাস হয়, তবে তার ফল আরো মারাত্মক হয় ৷বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ১ঌ৭০ ও ১ঌঌ১ সালে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হয়েছিলো৷ ১ঌ৭০ সালের ১২ই নভেম্বরের ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় সাড়ে তিনলাখ মানুষ প্রাণ হারায়৷ ১ঌঌ১ সালের ২ঌশে মের ঘুর্ণিঝড়ে এক লাখ আটত্রিশ হাজার লোক মারা যায়৷ ঘরবাড়ি, গবাদি পশুপাখি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷
ঝড়ের ঢেউ
ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাস সমুদ্রের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রের বুকে ঢেউ হয় এবং ঢেউগুলো বাতাসের গতির দিকে চলে৷ মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের ঢেউ ৪৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা গেছে৷
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version