Faculty of Science and Information Technology > Environmental Science and Disaster Management

All দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা do not see u 100% miss

<< < (5/9) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
ঘুর্ণিঝড়ের চোখ
 
 
eye.jpg
 
ঘুর্ণিঝড়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার চোখ৷ এটা সবচেয়ে কম চাপ এলাকায় অবস্থিত এবং এর ব্যাস ৫ থেকে ৩০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে৷ সাধারণত মারাত্মক ঘুর্ণিঝড়েরই চোখ দেখা যায়৷ চোখ ঝড়ের অন্যান্য অংশের  চেয়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি উত্তপ্ত থাকে৷ ঝড় যত মারাত্মক হয় চোখ ততই বেশি উত্তপ্ত হয়৷ চোখে বাতাসের গতিবেগ খুব কম হয়৷ সাধারণত প্রতি ঘন্টায় ১৫-২০ মাইলের বেশি হয় না এবং এখানে বৃষ্টি খুব কম হয়ে থাকে ৷ আবার চোখের ঠিক বাইরের অঞ্চলেই বাতাসের বেগ সবচেয়ে বেশি এবং বৃষ্টির পরিমাণও বেশি হয়৷ 

Sultan Mahmud Sujon:
ঘুর্ণিঝড়ের আকার ও গতি
 

     একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ঘন্টায় ২৫০ কিঃমিঃ পর্যন্ত হতে পারে;
    ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাস ৪০ কিঃ মিঃ থেকে ১০০০ কিঃমিঃ (বা ২৫ মাইল থেকে ৬০০ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে;
    ঘূর্ণিঝড় সাধারণত কোনো এক জায়গায় স্থির থাকে না লাটিমের মতো ঘুরতে ঘুরতে সামনে এগুতে থাকে৷ অনেকসময় ঘূর্ণিঝড় তার দিক পরিবর্তন করে৷ আবার লাটিম যেমন অনেক সময় জায়গা না বদলিয়ে এক জায়গায় ঘোরে, ঘূর্ণিঝড়ও ঠিক একইভাবে অনেক সময় স্থান পরিবর্তন না করে স্থির হয়ে থাকে৷

Sultan Mahmud Sujon:
ঘূর্ণিঝড় কেন হয়

প্রখর রোদ ও অত্যধিক তাপে কোনো জায়গার বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে গেলে ঐ স্থানে বাতাসের চাপ কমে যায় এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়৷ এই ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য চারদিকের ঠান্ডা ও ভারী বাতাস মেঘসহ প্রবল বেগে ছুটে আসে এবং ঘুরতে ঘুরতে শূণ্যস্থানে প্রবেশ করে৷ ঘুরতে ঘুরতে ছুটে আসা বাতাসের এই প্রবাহকেই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে৷ ঘূর্ণিঝড়ে কেবল বাতাস থাকেনা প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়৷

image27.jpg

চিত্র: প্রচন্ড সূর্যের তাপে সাগরের পানি গরম হয়ে মেঘের সৃষ্টি
চিত্রসুত্র: ঘূণিᐂঝড়জনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিবার ও সমাজভিত্তিক উদ্যোগ
এবং ঘূণিᐂঝড় সম্পকেᐂ গনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক শিক্ষা 


    সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা যখন ২৭ ডিগ্রী সেঃ বেশি হয় তখন ঘূর্ণিঝড় হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে৷ যে সকল সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেঃ এর কম সেখানে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না৷
    সমুদ্রে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তাকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বলে৷ আর স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তাকে কালবৈশেখী ও টর্নেডো বলে৷
     সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে৷ আবার অনেকসময় ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রেই দুর্বল হয়ে পরে উপকূলে আঘাত হানে না৷
    সাধারণত বাংলাদেশে বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ ও আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়৷ অধিকাংশ ঝড়ের সৃষ্টি হয় বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায়৷

 
< আগে         পরে >

Sultan Mahmud Sujon:
ঘুর্ণিঝড়ের শ্রেণীবিভাগ
 
বাতাসের বেগ বা গতি অনুসারে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়কে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়ে থাকে৷ এগুলো হলো :


 image26.jpg
চিত্র: বাতাসে মেঘের সমন্বয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি
চিত্রসুত্র: ঘূণিᐂঝড়জনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিবার ও সমাজভিত্তিক উদ্যোগ
এবং ঘূণিᐂঝড় সম্পকেᐂ গনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক শিক্ষা 

১. নিম্নচাপ :বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৪০-৫০ কি ঃ মিঃ৷
২. গভীর নিম্নচাপ  :বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৫১-৬১ কি ঃ মিঃ৷
৩. ঘূর্ণিঝড় :বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৬২-৮৭ কি ঃ মিঃ৷
৪. প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড় :বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৮৮-১১৭ কি ঃ মিঃ৷
৫. হারিকেন গতিসম্পন্ন প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড়   :বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ১১৭ কি ঃ মিঃ এর বেশি৷

Sultan Mahmud Sujon:
ঘূর্ণিঝড়
 
ghurni_jhor.gif
 
চিত্রসুত্র: ঘূণিᐂজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিবার ওসমাজভিত্তিক উদ্যোগ এবং
ঘূ॔ণিঝড় সম্পকেᐂ গনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক শিক্ষা

কোন জায়গার বাতাস গরম হলে তা হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং ঐ জায়গায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়৷ তখন চারদিকের ঠান্ডা ও ভারী বাতাস প্রবল বেগে সেদিকে ছুটে আসে এবং ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে৷ এই প্রবল বায়ু প্রবাহকেই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে৷ বিভিন্ন দেশে ঘুর্ণিঝড়ের বিভিন্ন ধরনের নাম রয়েছে,যেমন উত্তর আমেরিকায় হারিকেন,দূরপ্রাচ্যে টাইফুন এবং আমাদের দেশে একে সাইক্লোন বা ঘুর্ণিঝড় বলে৷
 

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version