Faculty of Humanities and Social Science > Law

জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি

<< < (4/6) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৮৩ (রায়তগণের ভূমি ব্যবহার সম্পর্কে অধিকার )

কোনো রায়তের জোতের অন্তর্ভূক্ত ভূমি তাহার ইচ্ছা অনুযায়ী সে যে কোনোভাবে ভোগ-দখলে রাখার অধিকারী থাকিবে ।

ধারা-৮৪ ( কোনো রায়তের মৃত্যুতে জোতের উত্তরাধিকার বর্তন )

কোনো রায়ত যদি উত্তরাধিকারবিহীন অবস্থায় পতিত হয় তবে তাহার এই আইনের বিধানসাপেক্ষে এবং এই আইনের সংগে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপভাবে তাহার অপরাপর স্থাবর সম্পত্তি যেভাবে বর্তাইবে ইহাও সেইভাবে বর্তাইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যে উত্তরাধিকার আইন কোনো রায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই উত্তরাধিকার আইনে তাহার অপরাপর সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চলিয়া গেলে জোতে তাহার স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে ।

ধারা-৮৫ ( রায়ত উচ্ছেদের কারণ )

কোনো রায়তকে তাহার জোত বা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবা উহার অংশ বিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদ করা যাইবে না ।

ধারা-৮৬ ( সিকস্তির কারণে খাজনা হ্রাস এবং পরিবৃদ্ধির কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমিতে অধিকারের নিশ্চয়তা )

উপধারা-(১) যদি জোতের অন্তর্ভূক্ত জমি বা জমির অংশবিশেষ নদীগর্ভে সিকস্তি হইয়া যায় তাহা হইলে রাজস্ব অফিসারের নিকট প্রজা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করা হইলে আবেদন করা হইলে বা তাহাকে সংবাদ দেওয়া হইলে ঐ জোতের খাজনা বা উন্নয়ন কর কতটুকু হ্রাস করা বা মওকুফ করা হইবে যতটুকু রাজস্ব কর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথ ও ন্যায়সংগত বলিয়া বিবেচনা করিবেন এবং সিকস্তির কারণে যে ক্ষতি হইবে তাহা এই বিধি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হইবে যাহা পরবর্তীতে উক্ত ভূমি যথাস্থানে পুনঃউদ্ভব হইলে তখন উক্ত ভূমিতে স্বত্বের প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে ।

 

উপধারা-(২) সাময়িকভাবে বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অন্য কোনো কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারীর ঐ জমিতে বা জমির অংশে স্বত্ব, স্বার্থ এবং অধিকার সিকস্তির কারণে জমি অবলুপ্তির সময়ে বর্তমান থাকিবে যদি উক্ত জমি অবলুপ্তির ৩০ বছরের মধ্যে পূর্ব স্থানে পুনঃউদ্ভব হয় ।

উপধারা-(৩) অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ সম্পর্কে (২) উপধারার যাহা বলা আছে তাহা থাকা সত্ত্বেও, পুনঃউদ্ভাবিত জমিতে তাত্ক্ষনিক দখলাধিকার প্রথমে কালেক্টর নিজ উদ্যোগে বা যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল সেই প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী কর্তৃক বা অন্য কাহারো মাধ্যমে লিখিতভাবে সংবাদ পাইবার পর প্রয়োগ করিবেন ।

উপধারা-(৪) এই আইনের অন্যত্র কোনো কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও কালেক্টর অথবা রাজস্ব কর্মকর্তা এই ধরনের জমিতে দখল লইবার পর এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী দখল লওয়া সম্পর্কে জনগণকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাইবেন এবং পুনঃউদ্ভাবিত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে জরিপ করিবেন এবং ইহার ভিত্তিতে ম্যাপ প্রস্তুত করিবেন ।

উপধারা-(৫) কালেক্টর উপধারা (৪) অনুযায়ী সার্ভে জরীপ এবং ম্যাপ প্রস্তুত করিবার ৪৫ দিনের মধ্যে সিকস্তির কারণে যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছে তাহাকে অথবা যেইক্ষেত্রে তাহার উত্তরাধিকারকে এই পরিমাণ জমি বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ এইরূপ হইবে যাহা ইতিপূর্বে ঐ ব্যক্তির বা তাহার উত্তরাধিকারী কর্তৃক অধিকৃত জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া ৬০ বিঘার অতিরিক্ত না হয় এবং উক্ত প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী যদি উক্ত বন্দোবস্তের পর কোনো অতিরিক্ত ভূমি থাকে তবে তাহা সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং সরকারের কর্তৃত্বাধীনে থাকিবে ।

উপধারা-(৬) (৫) উপধারা অনুযায়ী বন্দোবস্তকৃত জমি সালামী মুক্ত হইবে কিন্তু এই শর্তসাপেক্ষে হইবে যে প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক যথাযথ ও ন্যায়সংগত বলিয়া ধার্যকৃত কর এবং ভূমি উন্নয়ন কর দিতে বাধ্য থাকিবে।

উপধারা-(৭) সরকার কর্তৃক বা কোন আইনের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা কর্তৃকপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজের ফলশ্রুতিতে কৃত্রিম বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুনঃউদ্ভব প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

ধারা-৮৬-ক (নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মামলা দায়েরে বাধা)

এই ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম যাহাতে কালেক্টর সম্পন্ন করিতে পারেন, সেই জন্য ৮৬ ধারার আওতাভুক্ত কোনো জমির ব্যাপারে কোনো মামলা, আবেদন অথবা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম ৮৬ (৪) ধারা অনুযায়ী জনগণের জ্ঞাতার্থে নোটিশ জারির পর ১২ মাসের মধ্যে দায়ের করা যাইবে না ।

ধারা-৮৭ (নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমির অধিকার )

 

উপধারা-(১)  সাময়িকভাবে বলবত্‍ কৃত অন্য কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণে যখন, কোনো জমি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, তখন ইহা সংযুক্ত জোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, কিন্তু উহা চূড়ান্তভাবে সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং উহার কর্তৃত্ব সরকারের হাতে থাকিবে ।

উপধারা-(২) উপধারা (১)-এর বিধানাবলী ঐ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সকল জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে তাহা ১৯৭২ সালের ২৮শে জুনের পূর্বে বা পরে পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত হউক না কেন, কিন্তু উহা ঐ তারিখের পূর্বে কোনো জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যদি জোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি মালিকের দখলে রাখার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (ষষ্ঠ সংশোধনী) আদেশ (পি. ও. ১৩৭/১৯৭২) শুরু হওয়ার পূর্বে বলবত্‍ কৃত আইনে স্বীকৃত বা ঘোষিত হইয়া থাকে ।

উপধারা-(৩) কোনো নদী বা সমুদ্র দুরে সরিয়া যাওয়ার কারণে জোতের সংলগ্ন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি অধিকার রাখার দাবী সম্পর্কিত সকল মামলা, আবেদন, আপিল বা অন্যান্য কার্যক্রম ঐ আদেশ কার্যকরী হওয়ার তারিখে কোনো আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট স্থগিত অবস্থায় থাকিলে তাহা আর চলিতে পারিবে না এবং তাহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং ঐ দাবী সম্পর্কিত কোনো মামলা, আবেদন বা আইনগত কার্যক্রম কোনো আদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-৮৮ রায়তের জোতজমি হস্তান্তর যোগ্যতা

অপরাপর স্থাপর সম্পত্তি যে নিয়মে এবং যতখানি হস্তান্তর করা যায় সেইভাবে রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ অত্র আইনের বিধানসাপেক্ষে হস্তান্তরযোগ্য হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, ২০ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী অধিকৃত চা বাগানের খাসজমি বা উহার অংশবিশেষ ডেপুটি কমিশনারের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ছাড়া হস্তান্তর করা যাইবে না এবং প্রস্তাবিত হস্তান্তর কোনো ভাবেই বাগানের অস্তিত্ব বিনষ্ট করিবে না অথবা অধিকৃত ভূমিতে চা চাষের ক্ষতি সাধন করিবে না ।

ধারা-৮৯ ( হস্তান্তর পদ্ধতি ) 

উপধারা-(১) উইল, ডিক্রীজারী মূলে নিলাম/বিক্রিঅথবা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট জারি ব্যতীত ঐরূপ প্রত্যেক হস্তান্তর রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে হইবে এবং রেজিষ্ট্রি অফিসার ঐরূপ কোনো দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য গ্রহণ করিবেন না, যদি না হস্তান্তরিত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য এবং যেক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য নাই সেক্ষেত্রে হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের মূল্য দলিলে উল্লেখ থাকে এবং যদি না ইহার সংগে সংযুক্ত করা হয়-

(ক) রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে পাঠাইবার জন্য নির্ধারিত প্রসেস ফি-সহ নির্ধারিত ফরমে হস্তান্তরের বিবরণসহ একটি নোটিশ; এবং

(খ) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে নোটিশসমূহের ও প্রসেস ফিসমূহের প্রয়োজন উহা ।

উপধারা-(২) ঐরূপ একটি হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের উইলের ক্ষেত্রে কোনো আদালত ̔প্রবেট̕ অথবা লেটার্স অভ এডমিনিষ্ট্রেশন মঞ্জুর করিবেন না, যে পর্যন্ত  R/F দরখাস্তকারী (১) উপধারার (ক) বর্ণিত একই রকমের নোটিশ ও একই অংকের প্রসেস ফি দাখিল করে ।

উপধারা-(৩) যে পর্যন্ত না ক্রেতা বন্ধকগ্রহীতা, সে যাহাই হউক, (১) উপধারায় বর্ণিত একই রকমের নোটিশ বা নোটিশসমূহ এবং একই অংকের প্রসেস ফি সমূহ জমা দেয় কোনো আদালত অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ডিক্রী জারীমূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট মূলে ঐরূপ কোন, হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের বিক্রয় অনুমোদন করিবেন না এবং কোন আদালত ঐরূপ কোন হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের কোনো বন্ধক সম্বন্ধে কোনো ফোরক্লোজারের চূড়ান্ত ডিক্রী বা আদেশ দিবেন না ।

উপধারা-(৪) যদি ঐরূপ একটি হোল্ডিং-এর খণ্ড অথবা অংশের হস্তান্তর এমন হয় যাহার ক্ষেত্রে ৯৬ ধারার বিধান প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে উক্ত হোল্ডিং-এর  সকল সহ-শরীক প্রজাগণের উপর জারীর জন্য এবং উহার এক কপি রেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসে অথবা আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয় ঝুলাইবার জন্য নির্ধারিত প্রসেস সমূহসহ হস্তান্তরের বিবরণাদিসহ নির্ধারিত ফরমে নোটিশসমূহে জমা দিতে হইবে ।

উপধারা-(৫) আদালত, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা রেজিষ্টারিং অফিসার, যে যেখানে প্রযোজ্য হয়, (১) উপধারার (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশ রেভিনিউ অফিসারের কাছে পাঠাইবেন এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে সহশরীক প্রজাগণের উপর জারী করিবেন এবং নোটিশের এক কপি আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে অথবা রেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসে, যেমন প্রযোজ্য হয়, ঝুলাইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নোটিশ জারী সরকার বা হোল্ডিং-এর কোনো সহশরীক প্রজা যাহাদের উপর এরূপ নোটিশ জারী হইয়াছে দ্বারা খাজনার পরিমাণ বা এইরূপ হোল্ডিং-এর পরিসীমার স্বীকৃত হিসাবে প্রয়োগ করা হইবে না । সরকার অথবা এইরূপ সহ-শরীক প্রজার হোল্ডিং-এর বিভাজন অথবা উহার জন্য দেয় খাজনা বণ্টনের ব্যক্ত সম্মতি হিসাবে নেওয়া হইবে না ।

আরও শর্ত থাকে যে, যাহাতে রাজস্ব অফিসার পক্ষ নন এমন কোনো মামলা, আপিল বা অন্যবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরবর্তী সময়ে যদি কোনো হস্তান্তর বাতিল বা সংশোধিত হয় তবে যে কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বপ্রথম যথাযথ মামলা বা কার্যক্রম রুজু করা হইয়াছিল সেই কর্তৃপক্ষ এইরূপ আদেশের কপি রাজস্ব অফিসারের কাছে প্রেরণ করিবেন ।

উপধারা-(৬) এই ধারায়-

(ক) হস্তান্তরগ্রহীতা, ক্রেতা এবং বন্ধক গ্রহীতা বলিতে তাহাদের স্বার্থের স্থলাবর্তীগণকেও বুঝাইবে; এবং

(খ) 'হস্তান্তর' বলিতে বাটোয়ারা বা, যে পর্যন্ত না একটি ডিক্রী অথবা ফোরক্লোজারে কোনো চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হয়, সরল বা খাই খালাসী বন্ধক বা শর্তসাপেক্ষে বিক্রয়ের বন্ধককে অন্তর্ভূক্ত করিবে না ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৯০ ( জোতজমি হস্তান্তরের সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ড বলবত্‍ হওয়ার পর এই খণ্ডের বিধান ব্যতীত কোনো ব্যক্তিবিশেষ এই পরিমাণ ভূমি ক্রয় করিতে বা অন্য কোনোভাবে অর্জন করিতে পারিবে না যাহা তাহার নিজের ও পরিবারের জন্য অধিকৃত মোট ভূমির সংগে যুক্ত হইলে ৩৭৫ বিঘার অধিক হইবে ।

উপধারা-(২) আপাতত বলবত্‍  অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়তের জোত বা উহার কোনো অংশ বা খণ্ড বিক্রয়, দান বা উইলমূলে বা অন্যকোনো বা ডিক্রীজারী মূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধিনে কোনো সার্টিফিকেট জারিমূলে প্রকৃত কৃষক ছাড়া অন্য কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না এবং এরূপ কোন প্রজাস্বত্ব বা উহার কোন বা খণ্ড ঐরূপ কোন উপায়ে কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না যদি না সে নিজের ও পরিবারের জন্য আপাতত ৩৭৫ বিঘার কম জমির অধিকারী হয় এবং ঐরূপ কোনো হস্তান্তর বৈধ হইবে না যদি হস্তান্তরের সময় হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকৃত ভূমির সহিত উক্ত হস্তান্তরিত ভূমি যুক্ত হইলে ৩৭৫ বিঘার সীমা অতিক্রম করে ।

 তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির নিকট হস্তান্তর করা হইলে, ঐরূপ ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির মোট জমির পরিমাণ ৩৭৫ বিঘার বেশী হইলেও (১) এবং (২) উপধারার বিধানের অধীনে হস্তান্তর বাতিল হইবে না, যদি-

(ক) নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এইরূপ ব্যক্তিকে শক্তিচালিত যন্ত্রপাতির সাহায্যে বৃহাদায়তন কৃষি খামার প্রতিষ্ঠান উপায় অবলম্বন করিয়াছে বলিয়া সার্টিফিকেট দিয়া থাকে; এবং

(খ) সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সার্টিফিকেট দেয় যে, ঐরূপ সমিতি দলবদ্ধভাবে চাষী জমির মালিকগণ উত্কৃষ্ট ফসল উত্পাদনের জন্য সংগঠিত হইয়াছে, তাহারা শক্তিচালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুক বা না করুক এবং নিঃশর্তভাবে প্রত্যেকের জমির মালিকানা সমিতির নিকট হস্তান্তর করুক বা না করুক, উভয়ক্ষেত্রেই এইরূপ হস্তান্তরের সীমা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের মঞ্জুরকৃত সার্টিফিকেটে বর্ণিত থাকিবে ।

আরও শর্ত থাকে যে, (১) ও (২) উপধারার কোনো বিধান কোনো ব্যক্তি যে প্রকৃতপক্ষে চায়ের চাষ করিতেছে, বা কোনো সমবায় সমিতি বা কোনো কোম্পানী যাহা প্রকৃতপক্ষে উক্ত সমবায় সমিতি অথবা কোম্পানী কর্তৃক চিনি উত্পাদনের নিমিত্ত আখের চাষ করিতেছে বা অপর কোনো কোম্পানী যাহার উদ্দেশ্য কোনো পণ্যদ্রব্য উত্পাদনের দ্বারা শিল্পের উন্নতি সাধন করা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(৩) (১) ও (২) নং উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও, খাঁটি চাষী নহে এমন কোনো ব্যক্তিও নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতি লইয়া অনুমতিপত্রে বর্ণিত পরিমাণ ভূমি ভোগদখল করিতে ও বাণিজ্যিক শিল্পের উদ্দেশ্যে অথবা দাতব্য এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ভূমি খরিদ এবং ভোগ-দখল করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৪) (১) ও (২) উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত চাষী নহে এমন ব্যক্তি নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতিক্রমে অনুমতিপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ ভূমি তাহার পরিবারের বসতবাড়ি প্রস্তুতের নিমিত্ত অথবা সে নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা অথবা চাকরদের অথবা শ্রমিকদের দ্বারা বা সাহায্যে অথবা অংশীদারগণের বা বর্গাদারগণের সাহায্যে উক্ত ভূমি চাষ করিবার নিমিত্ত খরিদ অথবা অন্য উপায়ে অর্জন করিতে পারিবে এবং উক্ত অর্জিত ভূমি সরকারের প্রজা হিসাবে অধিকারে রাখিতে পারিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে (১) উপধারায় নির্ধারিত ভূমির বেশী পরিমাণ ভূমি অধিকারে রাখিতে দেওয়া হইবে নাঃ

আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদ্স্যগণের জন্য বসতবাড়ি তৈরীর নিমিত্ত তদকর্তৃক অধিকৃত ভূমির ক্ষেত্রে যদি অধিকার অর্জনের তারিখ হইতে পাঁচ বত্সরের ভিতর উক্ত ভূমির  উপর বসতবাড়ি প্রস্তুত না করা হয় তবে উক্ত জমিতে উক্ত ব্যক্তির অধিকারের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত ভূইম সরকারের উপর বর্তাইবে ।

উপধারা-(৫) অত্র ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোনো জোত বা প্রজাস্বত্ব বা উহার অংশ বা খণ্ডের হস্তান্তর করিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং উহা দায়যুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর চূড়ান্তভাবে অর্পিত হইবে ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৯১ ( উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তিত অতিরিক্ত ভূমির অধিগ্রহণের ক্ষমতা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পূর্ব দখলকৃত মোট ভূমির সহিত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে তাহার প্রাপ্ত ভূমি সংযুক্ত হইয়া ৯০ ধারায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত অতিরিক্ত ভূমির জন্য ৩৯(১) ধারায় উল্লেখিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর উহা অধিগ্রহণ করা সরকারের জন্য আইনানুগ হইবে ।

ধারা-৯২ (কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ )

উপধারা-(১) জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে-

(ক) যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধান অনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকার উইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।

(খ) যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বত্সরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমর্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;

(গ) যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বত্সরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;

(ঘ) যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনো ভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজে অথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়ে পাঁচ বত্সর কাল যাবত্‍ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;

উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে তারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার ক অনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।

উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকল ব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মে নোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।

উপধারা-(৪) (১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির  কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ঐরূপ মামলা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক (৩) উপধারায় প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।

উপধারা-(৫) (১) উপধারায় জোতে কোনো রায়তের স্বার্থ বিলুপ্ত হইলে তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য উক্ত জোতের সমস্ত বকেয়া খাজনা অনাদায়যোগ্য বলিয়া গন্য হইবে ।

ধারা-৯৩ ( কোর্ফা পত্তনের উপর বিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১) কোনো রায়ত তাহার সমগ্র জোত অথবা উহার কোনো মেয়াদ অথবা শর্তে কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।

উপধারা-(২) এই ধারার বিধানসমূহ অমান্য করিয়া কোনো জোত অথবা উহার অংশ যদি কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তবে উক্ত জোত অথবা উহার অংশে রায়তের স্বার্থের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত জোত অথবা উহার অংশ, উহা যাহাই হউক, কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৯৪ ( কতিপয় ক্ষেত্রে দায় হস্তান্তর )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ৯০ ধারার (৫) নং উপধারায় অথবা ৯০ ধারায় (২) উপধারায় উল্লেখিত দায় সংশ্লিষ্ট ভূমির হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারার তারিখ হইতে নির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বাছাইকৃত হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতার অপরাপর জমির সংগে হস্তান্তরিত অথবা যুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নেওয়া হইবে; এবং তত্পর উক্ত হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারা সম্পন্ন হইবার আগে তাহার মূল ভূমিতে দায় প্রাপকের যে অধিকার নিহিত ছিল সেই একই অধিকার ঐ সমস্ত জমির উপর চলিতে থাকিবে । হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতা, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য উক্ত দায় সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহীত অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবে ।

ধারা-৯৫ ( রায়তি জোতের বন্ধকের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ছাড়া অন্য কোনো রকম বন্ধকাবদ্ধ হইবে না এবং ঐরূপ প্রত্যেক সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ৯০ ধারার অধীন কোনো রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ হস্তান্তর ক্ষেত্রে ৯০ ধারায় যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হইয়াছে ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ও একই সীমাবদ্ধতাসাপেক্ষ হইবে এবং যে সময়ের জন্য রায়ত ঐরূপ সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হইয়াছে উহার মেয়াদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন চুক্তি দ্বারা সাত বত্সরের বেশী হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোনো খাইখালাসী বন্ধক উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় বন্ধকের মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য সরাসরিভাবে বন্ধকের টাকা প্রতার্পণ করিয়া বন্ধকী ভূমি দায়মুক্ত করিয়া লইতে পারিবে ।

উপধারা-(২) ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক রেজিষ্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।

উপধারা-(৩) কোনো রায়ত যদি (১) উপধারায় নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ না করিয়া কোনো সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হয় অথবা (২) উপধারার অধীনে উহা নিবন্ধনকৃত না হয় তবে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৪) আপাতত বলবত্‍ অপর কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বন্ধকগ্রহীতা (১) নং উপধারার বিধান অনুসারে বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাধা দান করে অথবা অস্বীকার করে তবে বন্ধকদাতা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের (বর্তমানে থানা ম্যাজিষ্ট্রেটের) নিকট বা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং ঐ আবেদন করার পরও বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে ঐ বিধান অনুযায়ী বন্ধকগ্রহীতার প্রাপ্য অর্থ দরখাস্তকারী কর্তৃক প্রদান করার পর থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অথবা কর্তৃত্বে অবস্থিত বন্ধকী জমি সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র প্রদান করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৫) যদি বন্ধকগ্রহীতা (৪) উপধারার অধীন নির্ধারিত তারিখে বন্ধকী জমির দখল বন্ধকদাতার নিকট ফেরত্‍ না দেয় তবে বন্ধক দাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার ঐ বন্ধকগ্রহীতাকে উচ্ছেদ করিয়া দরখাস্তকারীকে ঐ জমির দখল প্রদান করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উচ্ছেদের নিমিত্ত বলপ্রয়োগ করিবেন অথবা প্রয়োগের ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা ৯৫-ক ( কতিপয় হস্তান্তর খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্য করা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোনো জোত বা উহার অংশবিশেষ কবলা মূল্যে পুনঃফেরতের চুক্তিসহ হস্তান্তর করা হয় অথবা যে ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হইতে কোনো মূল্য গ্রহণ করে এবং হস্তান্তরগ্রহীতা দখল করার ও উত্পাদিত ফসল ভোগ করার অধিকার অর্জন করে সেইক্ষেত্রে এইরূপ জোত বা উহার অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐরূপ মূল্যের পরিবর্তে হইলে হস্তান্তর দলিলে অন্যরূপ কিছু থাকিলেও উহাকে অনধিক ৭ বত্সরের পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯৫ ধারার বিধানা বলী প্রযোজ্য হইবে, ইহা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী আদেশ) ১৯৭২  কার্যকর হওয়ার তারিখের আগেই হউক বা পরেই হউক ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৯১ ( উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তিত অতিরিক্ত ভূমির অধিগ্রহণের ক্ষমতা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পূর্ব দখলকৃত মোট ভূমির সহিত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে তাহার প্রাপ্ত ভূমি সংযুক্ত হইয়া ৯০ ধারায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত অতিরিক্ত ভূমির জন্য ৩৯(১) ধারায় উল্লেখিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর উহা অধিগ্রহণ করা সরকারের জন্য আইনানুগ হইবে ।

ধারা-৯২ (কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ )

উপধারা-(১) জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে-

(ক) যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধান অনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকার উইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।

(খ) যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বত্সরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমর্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;

(গ) যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বত্সরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;

(ঘ) যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনো ভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজে অথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়ে পাঁচ বত্সর কাল যাবত্‍ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;

উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে তারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার ক অনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।

উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকল ব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মে নোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।

উপধারা-(৪) (১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির  কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ঐরূপ মামলা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক (৩) উপধারায় প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।

উপধারা-(৫) (১) উপধারায় জোতে কোনো রায়তের স্বার্থ বিলুপ্ত হইলে তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য উক্ত জোতের সমস্ত বকেয়া খাজনা অনাদায়যোগ্য বলিয়া গন্য হইবে ।

ধারা-৯৩ ( কোর্ফা পত্তনের উপর বিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১) কোনো রায়ত তাহার সমগ্র জোত অথবা উহার কোনো মেয়াদ অথবা শর্তে কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।

উপধারা-(২) এই ধারার বিধানসমূহ অমান্য করিয়া কোনো জোত অথবা উহার অংশ যদি কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তবে উক্ত জোত অথবা উহার অংশে রায়তের স্বার্থের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত জোত অথবা উহার অংশ, উহা যাহাই হউক, কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৯৪ ( কতিপয় ক্ষেত্রে দায় হস্তান্তর )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ৯০ ধারার (৫) নং উপধারায় অথবা ৯০ ধারায় (২) উপধারায় উল্লেখিত দায় সংশ্লিষ্ট ভূমির হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারার তারিখ হইতে নির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বাছাইকৃত হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতার অপরাপর জমির সংগে হস্তান্তরিত অথবা যুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া নেওয়া হইবে; এবং তত্পর উক্ত হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারা সম্পন্ন হইবার আগে তাহার মূল ভূমিতে দায় প্রাপকের যে অধিকার নিহিত ছিল সেই একই অধিকার ঐ সমস্ত জমির উপর চলিতে থাকিবে । হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতা, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য উক্ত দায় সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহীত অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবে ।

ধারা-৯৫ ( রায়তি জোতের বন্ধকের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা )

উপধারা-(১) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ছাড়া অন্য কোনো রকম বন্ধকাবদ্ধ হইবে না এবং ঐরূপ প্রত্যেক সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ৯০ ধারার অধীন কোনো রায়তের জোত বা উহার অংশবিশেষ হস্তান্তর ক্ষেত্রে ৯০ ধারায় যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হইয়াছে ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ও একই সীমাবদ্ধতাসাপেক্ষ হইবে এবং যে সময়ের জন্য রায়ত ঐরূপ সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হইয়াছে উহার মেয়াদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন চুক্তি দ্বারা সাত বত্সরের বেশী হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোনো খাইখালাসী বন্ধক উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় বন্ধকের মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য সরাসরিভাবে বন্ধকের টাকা প্রতার্পণ করিয়া বন্ধকী ভূমি দায়মুক্ত করিয়া লইতে পারিবে ।

উপধারা-(২) ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক রেজিষ্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।

উপধারা-(৩) কোনো রায়ত যদি (১) উপধারায় নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ না করিয়া কোনো সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হয় অথবা (২) উপধারার অধীনে উহা নিবন্ধনকৃত না হয় তবে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৪) আপাতত বলবত্‍ অপর কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বন্ধকগ্রহীতা (১) নং উপধারার বিধান অনুসারে বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাধা দান করে অথবা অস্বীকার করে তবে বন্ধকদাতা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের (বর্তমানে থানা ম্যাজিষ্ট্রেটের) নিকট বা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং ঐ আবেদন করার পরও বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে ঐ বিধান অনুযায়ী বন্ধকগ্রহীতার প্রাপ্য অর্থ দরখাস্তকারী কর্তৃক প্রদান করার পর থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অথবা কর্তৃত্বে অবস্থিত বন্ধকী জমি সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র প্রদান করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৫) যদি বন্ধকগ্রহীতা (৪) উপধারার অধীন নির্ধারিত তারিখে বন্ধকী জমির দখল বন্ধকদাতার নিকট ফেরত্‍ না দেয় তবে বন্ধক দাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে থানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার ঐ বন্ধকগ্রহীতাকে উচ্ছেদ করিয়া দরখাস্তকারীকে ঐ জমির দখল প্রদান করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উচ্ছেদের নিমিত্ত বলপ্রয়োগ করিবেন অথবা প্রয়োগের ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা ৯৫-ক ( কতিপয় হস্তান্তর খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্য করা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোনো জোত বা উহার অংশবিশেষ কবলা মূল্যে পুনঃফেরতের চুক্তিসহ হস্তান্তর করা হয় অথবা যে ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হইতে কোনো মূল্য গ্রহণ করে এবং হস্তান্তরগ্রহীতা দখল করার ও উত্পাদিত ফসল ভোগ করার অধিকার অর্জন করে সেইক্ষেত্রে এইরূপ জোত বা উহার অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐরূপ মূল্যের পরিবর্তে হইলে হস্তান্তর দলিলে অন্যরূপ কিছু থাকিলেও উহাকে অনধিক ৭ বত্সরের পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯৫ ধারার বিধানা বলী প্রযোজ্য হইবে, ইহা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী আদেশ) ১৯৭২  কার্যকর হওয়ার তারিখের আগেই হউক বা পরেই হউক ।

Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৯৬ ( অগ্রক্রয়ের অধিকার-)

উপধারা-(১) যদি কোনো প্রজার জোতের খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তর করা হয় তবে ঐ হোল্ডিং-এর এক বা একাধিক সহ-শরীক প্রজাগণ ৮৯ ধারা অনুযায়ী নোটিশ জারীর চার মাসের মধ্যে বা ৮৯ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো নোটিশ জারী না করা হয় তবে হস্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হইবার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের ঐ ভূমি খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন পেশ করিতে পারে ও কোনো জোত অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তর করা হইলে ঐ হস্তান্তর করা ভূমির সংলগ্ন ভূমি দখলকার প্রজা অথবা প্রজাগণ ঐ হন্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হওয়ার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের নিকট ঐ হোল্ডিং অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সহ-শরীক প্রজার বা হস্তান্তরিত ভূমির দখলদার প্রজার অত্র ধারা অনুবলে খরিদ করার অধিকার থাকিবে না-যদি না সে এমন ব্যক্তি হয় যাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড বা অংশ, সে যাহাই হউক, ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তরযোগ্য ।

উপধারা-(২) একজন সহ-শরীক প্রজা বা সহ-শরীক প্রজাগণ (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত দাখিল করিলে উক্ত দরখাস্তে জোতের অপর সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তর গ্রহীতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা দরখাস্ত করিলে ঐ দরখাস্তে হস্তান্তরিত জোতের সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার সমস্ত প্রজাগণকে এবং ক্রেতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) (ক) (১) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্ত খারিজ হইবে যদি দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ উহা দায়ের করার সময় মূল্যের অর্থ অথবা হস্তান্তরিত জোত বা জোতের খণ্ড অথবা অংশের মূল্য হস্তান্তর দলিলে বা ৮৯ ধারার অধীনে নোটিশ বর্ণিত, সে যাহাই হউক, মূল্যের অর্থ তত্‍সহ উহার শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ আদালতে জমা না দেয় ।

(খ) উক্তরূপ জমাসহ দরখাস্ত পাওয়ার পর আদালত ক্রেতা ও (২) নং উপধারার অধীনে দরখাস্তের পক্ষভুক্ত অপরাপর ব্যক্তিগণকে আদালতে যে সময় ধার্য করেন সে সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন ও হস্তান্তর বাবদ যে মূল্যের টাকা প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হইয়াছে তাহা বর্ণনার জন্য এরূপ ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । হস্তান্তরের তারিখ হইতে খাজনা বাবদ সে আরও কত টাকা পরিশোধ করিয়াছে ও জোত অথবা অংশের দায়মুক্ত করার নিমিত্ত এবং অপর কোনো উন্নয়ন কার্য্য বাবদ সে আর ও কত টাকা খরচ করিয়াছে উহা বলার নিমিত্ত ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । আদালত তখন সমস্ত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া প্রকৃত মূল্যের টাকা, খাজনা পরিশোধ ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির দায়মুক্তি বা উন্নয়ন বাবদ ক্রেতার খরচ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবেন । প্রয়োজনবোধে আদালত যাহা যথার্থ মনে করেন সেই সময়ের মধ্যে আরও অর্থ জমা দেওয়ার নিমিত্ত দরখাস্তকারী বা দরখাস্তকারীদিগকে নির্দেশ প্রদান করিবেন ।

তবে শর্ত হইল যে, ক্রেতা কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তর দলিলে বর্ণিত অর্থের চাইতে বেশী মূল্যের অর্থ দাবী  করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(৪) যখন (১) উপধারার অধীনে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা হয় তখন ক্রেতা, তাহাদের মধ্যে যদি কেহ থাকে তাহাকে সহ যে কোনো অবশিষ্ট সহ-শরীক প্রজা ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণ (১) উপধারায় বর্ণিত সময়ের মধ্যে বা (৩) উপধারার খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তের নোটিশ জারীর তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে, যাহা আগে ঘটিবে, ঐ দরখাস্তে যোগদানের জন্য দরখাস্ত দিতে পারিবে; কোন সহ-শরীক বা হস্তারিত সম্পত্তির লাগা ভূমির দখলদার প্রজা যে (১) উপধারা বা অত্র উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত করে নাই অত্র ধারা অনুযায়ী তাহার খরিদ করার আর কোনো অধিকার থাকিবে না ।

উপধারা-(৫) (ক) (অ) যদি কোনো সহ-শরীক প্রজা, যাহার স্বত্ব ওয়ারীশসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে;

(আ) কোনো সহ-শরীক প্রজা যাহার স্বত্ব খরিদসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে এবং

(ই) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজ্ঞা আবেদন করে এবং উহার শর্তাবলী পালন করে তাহা হইলে আবেদনকারী বা আবেদনকারীরা অত্র ধারায় বর্ণিত ক্রমানুসারে খরিদ করিবার অগ্রাধিকার পাইবে ।

(খ) যদি অত্র ধারা মোতাবেক হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা আবেদন করে তবে আদালত এইরূপ প্রজাগণের মধ্যে নিম্নলিখিত বিবেচনায় অগ্রাধিকার ক্রমিক অনুযায়ী নির্ধারণ করিবেন-

(অ) দরখাস্তকারী প্রজাদের প্রত্যেকের দখলে থাকা মোট জমির পরিমাপ;

(আ) প্রজার সংলগ্ন ভূমি বসত বাড়ীর ভূমি অথবা অন্য প্রকারের ভূমি কিনা;

(ই) সংলগ্নতার বিস্তৃতি;

(ঈ) আবেদনকারীর সংলগ্ন ভূমির দখল লাভের প্রয়োজনীয়তা কতখানি; এবং

(উ) আবেদনকারীর ইজমেন্টের অধিকার, যদি কিছু থাকে ।

উপধারা-(৬) (ক) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করা যাইতে পারে সে সময় অতিবাহিত হইবার পর অত্র ধারার শর্তাবলী অনুসারে আদালত নির্ধারণ করিবেন যে, (১) উপধারা বা (৪) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত আবেদনসমূহের মধ্যে কোনটির অনুমতি প্রদান করিবেন;

(খ) যদি আদালত দেখিতে পান যে, অত্র ধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্তসমূহের অনুমতির আদেশ একাধিক দরখাস্তকারীর অনুকূলে দিতে হইবে তবে আদালত এইরূপ প্রত্যেক দরখাস্তকারী কতৃক যেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে তাহা নিরূপণ করিবেন ও অর্থ ন্যায়ানুগতভাবে ভাগ করিবার পর আদেশ প্রদান করিবেন যে, দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ যাহারা (৪) উপধারা মোতাবেক মূল দরখাস্তে যোগদান করিয়াছেন তাহার বা তাহাদের দ্বারা পরিশোধযোগ্য অর্থ আদালত যেমন সঙ্গত মনে করিবেন তেমন সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিবেন এবং এইরূপ কোনো দরখাস্তকারী যদি উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা না দেয় তাহা হইলে তাহার দরখাস্ত খারিজ হইয়া যাইবে ।

উপধারা-(৭) (ক) (৬) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে জমা, যদি কিছু থাকে, দিতে হইবে সেই সময় অতিবাহিত হইলে আদালত অত্র ধারা মোতাবেক খরিদ করিবার অধিকারী ও ইহার শর্তাবলী পালন করিয়াছে এইরূপ আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীগণ দ্বারা দায়েরকৃত আবেদন অথবা আবেদনসমূহ অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদান করিবেন এবং যেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ একাধিক আবেদনকারীর অনুকূলে প্রদান করিতে হয় সেক্ষেত্রে জোতটি অথবা জোতের খণ্ড অথবা অংশকে তাহাদের মধ্যে এইরূপভাবে ভাগ করিবেন যাহা আদালতের কাছে ন্যায়সংগত বলিয়া গণ্য হয় এবং (১) উপধারার অধীন যদি আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কোন অর্থ ফেরত পাইবে বলিয়া প্রতিপন্ন হয় তাহা হইলে (৬) উপধারার অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কর্তৃক দেওয়া জমার অর্থ হইতে ফেরত পাইবে ।

(খ) হস্তান্তরের জন্য ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্যের টাকা, এইরূপ টাকার উপর শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণসহ, হস্তান্তরের তারিখ হইতে জোতের অথবা খণ্ডের অথবা অংশের খাজনা বাবদ তত্‍কর্তৃক পরিশোধিত টাকা, যদি কিছু থাকে, এবং এইরূপ জোত অথবা খণ্ডের বা অংশের দায়মুক্তি বা উন্নয়নের জন্য তত্কর্তৃক ব্যয়িত টাকা, যদি কিছু থাকে, (৩) উপধারা মোতাবেক দেওয়া জমা হইতে ক্রেতাকে পরিশোধ করার জন্য আদালত একই সময় নির্দেশ প্রদানপূর্বক আদেশ দান করিবেন ।

উপধারা-(৮) (৭) উপধারা মোতাবেক কোনো বিভাগাদেশ জোতের বিভাজন হিসাবে গণ্য হইবে না ।

উপধারা-(৯) (৭) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে -(ক) হস্তান্তরের দরুন জোত অথবা খণ্ডে বা অংশে ক্রেতার উদ্ভুত অধিকার, স্বত্ব স্বার্থ উক্ত উপধারা অনুযায়ী প্রদত্ত যে কোনো আদেশের সাপেক্ষে সমস্ত দায়, যাহা হস্তান্তরের তারিখের পরে সৃষ্ট হইয়াছে, মুক্ত হইয়া, অবস্থাভেদে সহ-শরীক প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের, যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন (৭) উপধারা মোতাবেক মঞ্জুর হইয়াছে, তাহাদের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) ক্রেতার হোল্ডিং অথবা খণ্ডের বা অংশের খাজনা বাবদ দায় হস্তান্তরের তারিখ হইতে লোপ পাইবে এবং সহ-শরীক প্রজাগণ অথবা হস্তান্তরিত সম্পত্তি সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন এইরূপে মঞ্জুর হইয়াছে তাহারা ক্রেতার কাছে প্রাপ্য এইরূপ যে কোনো খাজনার নিমিত্ত দায়ী থাকিবে ।

(গ) আদালত এইরূপ আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে তাহার অথবা তাহাদের উপর অর্পিত সম্পত্তির দখলে তাহাকে অথবা তাহাদিগকে, সে যাহাই হউক, বহাল করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(১০) অত্র ধারার কোনো কিছুই প্রয়োগ করা যাইবে না-

(ক) জমার কোনো সহ-শরীক, যাহার স্বার্থ খরিদসূত্রে ছাড়া অন্য উপায়ে উদ্ভব হইয়াছে, এইরূপ সহ-শরীকের কাছে ভূমি হস্তান্তর করা হইলে; বা

(খ) বিনিময় অথবা বাটোয়ারামূলে, হস্তান্তর করা হইলে; বা

(গ) উইল অথবা দানমূলে স্বামী অথবা স্ত্রীর উইলকারী অথবা দাতা তাহার আনুকূলে বা কোনো উইলকারী অথবা দাতা তাহার তিন ডিক্রির মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্কিত আত্নীয়ের অনুকূলে, (দান অথবা হেবামূলে, আর্থিক বিনিময়ের হেবা বিল এওয়াজ ছাড়া) হস্তান্তর করিলে; বা

(ঘ) সরল বা সম্পূর্ণ খাই খালাসী বন্ধক বা, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধক মুক্তকরণের অধিকার হরণের চূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রি প্রদান করা না হয়, কোনো বন্ধক দ্বারা শর্তাধীন বিক্রয় করা হইলে; বা

(ঙ) মুসলিম আইনের বিধান মোতাবেক সৃষ্ট ওয়াকফ; অথবা

(চ) কোনো ব্যক্তির জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া কোনো ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্য উত্সর্গ করা হইলে ।

উপধারা-(১১) অত্র ধারা কোনো কিছুই মুসলিম আইনের অধীন কোনো অগ্রক্রয়ের অধিকার হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(১২) যে আদালতে সংশ্লিষ্ট ভূমির দখল সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার আছে, সেই আদালতে এই ধারার অধীনে দরখাস্ত দাখিল করিতে হইবে ।

উপধারা-(১৩) অত্র ধারাবলে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সাধারণ দেওয়ানী আপিল আদালতে আপিল দায়ের করা চলিবে । কিন্তু অন্য কোনো আইনে আপাতত অন্যরূপ  কিছু বলবত্‍  থাকিলেও প্রথম আপিল আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিল দায়ের করা চলিবে না ।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version