Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith
One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
arefin:
“জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)
arefin:
“আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ফাতেমা পায়ে হেঁটে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে আসছিলেন। তার হাঁটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাঁটার মতই ছিল। তাকে দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, স্বাগতম আমার মেয়ের প্রতি! তার পর তাকে তার ডান বা বাম দিকে বসালেন, তারপর তার কানে কানে কিছু কথা বললে, তিনি কেঁদে দিলেন, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কেন কাঁদছ? তারপর আবারও তিনি কানে কানে কিছু কথা বললেন , তখন তিনি হেসে দিলেন। তখন আমি বললাম, আজকের দিনের মত এত বেশি খুশি তোমাকে আমি আর কখনো দেখিনি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলছে্ন? তখন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপন কথা কারও নিকট প্রকাশ করব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তখন তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, "জিবরীল (আ) প্রতি বছর একবার করে আমার নিকট কুরআন পেশ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর তিনি দুইবার কুরআন পেশ করেছেন। এর কারণ, এটাই যে, আমার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর আমার পরিবারের মধ্যে তুমিই সবার আগে আমার সাথে সম্পৃক্ত হবে।" এ কথা শুনে আমি কাঁদি। তারপর তিনি বললেন, "তুমি কি এতে খুশি নও যে, তুমি জান্নাতী নারীদের বা মুমিন নারীদের সরদার হবে?" এ কথা শুনে আমি হাসলাম।[ বুখারি, হাদিস: ২৬২৪]
arefin:
ওযু শেষ হলে এই দু’আটি পাঠ করবেঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
“আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ্ আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ্ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হেরীন।” অর্থ- “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত উপাসনার যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই। তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। হে আল্লাহ্! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে শামিল কর।” যে ব্যক্তি এই দুয়া পাঠ করবে তার জন্য বেহেস্তের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
[মুসলিম, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুচ্ছেদঃ ওযুর পর মুস্তাহাব দু’আ। তিরমিযী, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হা/ ৫০।]
arefin:
আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
‘‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের হচ্ছে ঠিক কমলা লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উওম এবং স্বাদও উওম । আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট । (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসি) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উওম কিন্ত স্বাদ তিক্ত । আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’’ [বুখারী ৫০২০, মুসলিম ৭৯৭]
arefin:
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান গরীব কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [তিরমিযী:২৪১৮]
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version